এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ভোটবাক্স  বিধানসভা-২০২১  ইলেকশন

  • টোটোপাড়া: এখন, ভোটের আগে

    গীতশ্রী মুখোপাধ্যায়
    ভোটবাক্স | বিধানসভা-২০২১ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩০৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • ডুয়ার্সের টোটোপাড়া পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। জনজাতিদের, তায় আবার লুপ্তপ্রায় জনজাতিদের পাড়াগাঁ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। তবে সফর সেরে ডিজেলের ধোঁয়া ছেড়ে চলে আসার পরেও সে জায়গাটা থেকে যায়। থেকে যায় তার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের সংকট নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা বেঁচে বর্তে থাকেন। ভোট দেন। তাঁদেরও মাথা পিছু ভোট একটা করেই। অর্ধেক নয়।

    “বাবা, লাগাতুগো মাজুদ, লদ চুং... ইয়া ল লনগি ইয়েন দেখ লো... লাগাতুগ মাজুদ...”

    অচেনা কানে এমনই ঠেকেছিল গানের কথাগুলো।

    এখানে থ্যালাসেমিয়ার কষ্ট আছে, বর্ষায় খরস্রোতা নদীর প্লাবন-বিভীষিকা আছে, জীবনচর্যার সুবিধাহীনতা আছে - সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আছে আদিম আচ্ছন্নতা, মহুয়ার মাদকতা। 

    ১৯৪১ সালে তৈরি জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের বর্তমান প্রবেশদ্বার  হিসেবেও পরিচিত এই গ্রাম। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লক থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান এই গ্রামটির। এর উত্তরেই রয়েছে ভুটানের সীমান্ত তথা তাদিং পাহাড়ের পাদদেশ, পূর্বে তোরসা নদী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে হাওরি নদী এবং তিতি বনাঞ্চল যাকে বিভক্ত করেছে হাওরি নদী।  সারা বিশ্বে এটিই একমাত্র টোটো উপজাতির আবাসস্থল।

    ছোট চোখ, চাপা নাক, এই টোটো  উপজাতির মানুষদের চেহারার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।   ১৯০১ সালে এখানে জনজাতির সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭১ জন। ১৯৫১ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৩২১ জন। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই সংখ্যাটা ১৬০১।  প্রায় ৬ ফুট উঁচু বাঁশের মাচায় ঘর টোটোদের। বাঁশ, খড়, দড়ি ইত্যাদি দিয়ে পাহাড়ের ধাপে ধাপে বাড়ি। মাচার নীচেই শূকরপালনের জায়গা। অনুষ্ঠান উৎসবে এই শূকরই তাঁরা বলি দিয়ে থাকেন।  মূলত কৃষিকাজই এদের মুল পেশা। সাথে রয়েছে শূকর পালন।  তবে, গ্রামের নাম টোটোদের নামে হলেও বর্তমানে এখানে টোটো সম্প্রদায় ছাড়াও নেপালি, ভুটানি, ধীমল ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন।.

    বাম জমানায় টোটাপাড়া পেয়েছিল বিদ্যুৎ। কিছুটা রাস্তাঘাট আর বিদ্যালয়।  কাজেই,  টোটোরা খানিকটা হলেও খুশি বামেদের ওপর। তবে বিদ্যুৎ এলেও জীবনযাপনের সব অন্ধকার ঘোচেনি। রাতবিরেতে হাসপাতাল- অ্যাম্বুলেন্স- একটু অক্সিজেন এসবের সুবিধা ছিল দূর অস্ত।



    এরপর পালাবদল ঘটেছে। ২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছে তৃণমূল সরকার। গত ১০ বছরে টোটোপাড়ায় একে একে গড়ে উঠেছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটু একটু করে এসেছে পরিষেবা। বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত। আর হয়েছে তার বিজ্ঞানবিভাগও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানালেন, বর্তমান রাজ্য সরকার আমাদের যা দিয়েছে,  তাতে আমরা খুশি। আগামী দিনে তারা ক্ষমতায়  ফিরলে আরও উন্নয়নের আশা রাখছি। 

    তবে, এই মনোভাবের প্রতিফলন পাওয়া যায়নি সর্বশেষ বিধানসভা ভোটে। উলটে, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের মসনদ পাকা হতেই টোটোরা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচন করেছেন বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিগগাকে। তবে,   মাদারিহাট ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েতই হস্তগত করেছে তৃণমূল। 

    বিজেপির বিধায়ক বনাম তৃণমূলের পঞ্চায়েতের চাপানউতোর টোটোপাড়ার  উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। 

    শিকারই একসময়ে ছিল টোটো সম্প্রদায়ের জীবিকা ছিল বটে কিন্তু এখন ছোট ছোট জমিতে চাষ করেন এঁরা। ধাপচাষের বদলে ধানচাষও করেন। এছাড়া, ভুট্টা, কাওন জাতীয় দানাশস্য এবং স্কোয়াশ, নানা শাক-আনাজও চাষ করেন। নিজস্ব সংস্কৃতিতেই প্রকৃতির মধ্যে দিন কাটাতেই অভ্যস্ত এই সম্প্রদায়। এঁদের জীবনচর্যা একেবারেই নিজস্ব। মাদল নাচ এদের সংষ্কৃতির অঙ্গ।  ঘরের  উত্তরদিকে থাকেন কুলদেবতা। পুরুষেরা পূজো করেন। সেখানে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। 



    বিবাহের ক্ষেত্রেও রয়েছে টোটোদের বিশেষ রীতি। বাগদান পর্ব আগেই মিটে যায়। বিয়ে হয় নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে।  বরের বয়স কনের তুলনায় কম, এমন ঘটনা এখানে আদৌ বিরল নয়।  যতদিন না পর্যন্ত মেয়ে সাবালিকা না হয়, ততদিন পর্যন্ত সে পিতৃগৃহেই থাকে। এর পর সাবালিকা হলে বরের বাড়ি গিয়ে বসবাস করে। বিয়ের আগে কনের গর্ভবতী হওয়া বাধ্যতামুলক। গর্ভবতী হওয়ার পঞ্চম, সপ্তম বা অষ্টম মাসে  বিয়ে হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ। বিয়ের দিন বর-কনের নতুন নামকরণ হয়। বিধবা বিবাহ, বিচ্ছেদ, ইত্যাদি প্রচলিত আছে। তবে, আধুনিকতার ছোঁয়া সামান্য হলেও পৌঁছেছে অরণ্য-পর্বতের এই দুর্ভেদ্য জনপদের আনাচে-কানাচে। নতুন প্রজন্মের টোটোরা মান্ধাতার আমলের প্রচলিত নিয়মকানুন মানতে নারাজ। তাঁরা স্বাধীনভাবে চলতে চান। চলছেনও। এবং কাজের তাগিদে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন প্রান্তে। 

     বর্তমানে বেশ কয়েকজন স্নাতক স্তর উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কাজকর্মে নিযুক্ত। এক সময়ে বিভিন্ন কুসংস্কার ছিল টোটোসমাজে। তাঁরা মনে করতেন, লেখাপড়া করলে মানুষ ক্ষণজীবী হয়।  এই কুসংস্কারও স্কুলবিমুখ টোটোদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং অবশ্যই সাংস্কৃতিক জগৎ থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে দিয়েছে।

    বিধায়কের অভিযোগ,  এখানে রাজ্য সরকার স্কুল দিয়েছে,  কিন্তু শিক্ষক দেয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্র দিয়েছে,  কিন্তু পরিষেবা সেভাবে দেয়নি। প্রকল্প আছে,  কিন্তু ঘরহীন টোটোরা ঘর পায়নি। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যসরকার শুধু চাল দিয়ে ভুলিয়েছে টোটোদের। সেই চালও কেন্দ্রের।  

    টোটোদের না-পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যা খানিক সামাল টোটোরা দিতে পেরেছেন নিজেদের চেষ্টায়। কিন্তু আজও বর্ষার দিনে হাউরি, বাংরি, তিতি নদীতে পাহাড়ি স্রোতের ঢল নামে। নদীগুলির উপর সেতু না থাকায় বর্ষার দুর্যোগে টোটোরা বিচ্ছিন্ন থাকেন সংলগ্ন শহরাঞ্চল থেকে। ভোটের আগে আর্থসামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা শুনে আসছেন টোটোপাড়ার বাসিন্দারা।

    অনেকের মতে, টোটোদের উন্নয়ন না-চাওয়ার পেছেনে কিছু কূটনৈতিক কারণ জড়িয়ে আছে।  বহিরাগতরা তাদের গ্রামে প্রায়ই ঢুকে পড়ে বলে শোনা গেছে। এমনও বলা হয় যে, সার, বীজের ব্যবহার এখনো তাদের নাকি অজানা।

    টোটোদের বাগানের কমলালেবুর সুমিষ্ট স্বাদ আজও মুখে লেগে রয়েছে ডুয়াসের্র অনেক বাসিন্দার। কমলালেবুকে ভর করেই খানিক হাল ফিরছিল দুর্গম এলাকার বাসিন্দা ওই দরিদ্র জনজাতির। পরিচর্যার অভাবে লেবুর বাগানগুলি নষ্ট হয়ে যায়। মুখ থুবড়ে পড়ে গোটা এলাকার অর্থনীতি। ২০০৭ সালে টোটোপাড়ার বাসিন্দাদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার তিন হাজার কমলালেবুর চারা তুলে দেন এলাকার ২০ জনের হাতে। পাঁচ বছর পরে সেগুলিতে ফল ধরলেও গত বছর থেকে সমস্ত গাছে মড়ক ধরে। মাথায় হাত পড়ে টোটো চাষিদের। বাজার দখল করে নেয় ভুটানের কমলা। 

    তবে, টোটোপাড়ার দেশে, ব্যাতিক্রমী দু একটি ছবি রাতের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। এ বছরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় টোটোপাড়া ধনপতি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা  মিশা দেবী। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় যেন আশীর্বাদ তিনি। অথচ ২০০৮ সালে যখন টোটোপাড়ার এই স্কুলে তিনি প্রধান শিক্ষিকা হয়ে এসেছিলেন, তখন স্কুলের ক্লাসঘরে তালা পড়ে যেত শেষ বাস ছাড়ার আগে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছুটতেন বাস ধরতে। কেন? কারণ, মাদারিহাট থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এবং দুর্গম এলাকার এই স্কুল থেকে আর কোনও উপায় ছিল না। টোটো জনজাতিদের নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। বললেন, ‘‘টোটোদের আর্থ-সামাজিক বিকাশ ঘটাতে হলে শিক্ষার বিকাশ ঘটানো সবার আগে জরুরি।’’ স্কুলটিকে যাতে বিশেষ স্কুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেই আর্জিই জানাবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। এলাকার বাসিন্দা অশোক টোটো বলেন, ‘‘স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কার পাওয়ায় আমরা গর্বিত। আমরা চাই স্কুলের উন্নতি, শিক্ষার বিকাশ।’’

    দলবদলের রাজনীতি এখনো তেমনভাবে প্রকট নয় টোটোদের সমাজে। স্থানীয়  এক বাসিন্দা বলেন, টোটোরা নিজের জায়গাতেই অটল আছেন।


     
    কিন্তু, ১, ২ নয় - ৭ টি নদী পেরিয়ে পৌঁছানো এই গ্রামের মানুষ বর্ষার কয়েকটা মাস বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে  থাকাটাকে কতদিন মেনে নেবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেকের মতে, এই বঞ্চনাকে অস্ত্র করেছে বিজেপি। তারা সেখানে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করছে। পদ্ম শিবিরে নতুন কিছুর আশায় তারা ঝু্ঁকতে পারেন। 

    তবে,  এই সম্ভাবনাকে মানতে নারাজ টোটোপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশ। তাঁদের মতে, টোটোরা বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। বিজেপি বিধায়কের প্রভাবও তাদের ওপর নেই৷ শাসকদলের ওপর তাদের যথেষ্ট সন্তুষ্টতা আছে। পর্যটন কেন্দ্রও হয়েছে। এই দুই দল ছাড়া অনান্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব টোটোপাড়ায় তেমনভাবে স্পষ্ট নয় এখন আর। 

    এলাকার বিধায়ক অভিযোগ করে বললেন, টোটোদের উন্নয়নে সরকার যে পরিমান অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা সঠিকভাবে সঠিক খাতে ব্যয় হলে টোটোপাড়ায়  'সোনার পাইপ' দিয়ে জল পড়ত। কিন্তু, সঠিক বণ্টনের অভাবে  দু একজনের আত্মসাতেই তা হাওয়া হয়ে গিয়েছে। নাম না করে তিনি ইংগীত করেছেন তৃণমূল নেতাদের কাটমানিকেই৷ উল্টোদিকে  এই অভিযোগকে   একেবারেই 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা উত্তম সাহা। তাঁর কথায়,  বিধায়কের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই টোটোদের কাছে। এতগুলো বছরে উনি কিছুই করেননি। দোষ চাপিয়েছেন বিরোধীদের ওপর। বিজেপি যে 'ভাঁওতাবাজ'- তা টোটোরা ধরে  ফেলেছে।

    এলাকার এক  তৃণমূল নেতার কথায়, টোটোপাড়ায় গিয়ে গিয়ে তৃণমূল যে প্রচার চালাচ্ছে, তা প্রতিশ্রুতির প্রচার নয়। রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে ধরে মমতা সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে। 

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য,  এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে পরিমাণ সুবিধা টোটোরা পেয়েছে, তা ওরা জীবনে পায়নি। তবে, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতার জন্য সেতু বা রাস্তার দিকটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। 
     
    পান্দাপানি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত এখন চলছে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার বাস। বাম বিধায়ক কুমারী কুজুরের পর এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে টোটোরা শাসক দলকেই ক্ষমতায় আনবে; আশাবাদী তৃণমূল। যদিও, ভোটব্যংক ভারী করার  ক্ষেত্রে বিজেপি আশাবাদী৷ 

    দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সমাজের প্রায় সর্বত্র। টোটোদের জীবনেও ছাপ ফেলেছে এই মারণ ভাইরাস। লকডাউনের জেরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী গ্রামে আসছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এই সময় গ্রামের সুপারি বাদাম এবং আদার চাষ হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় গ্রামের কৃষকরা সেগুলি মাদারিহাটের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারেননি। ফলে বাড়িতেই নষ্ট হয়েছে ফসল।জীবনধারণের জন্য টোটোপাড়ার বাসিন্দারা কেবল পিডিএসে সরবরাহ করা চাল ও ময়দার উপর নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, কাজের জন্য ভুটান পাড়ি দেওয়াও সেই সময়ে ছিল একেবারে বন্ধ। আবার অনেকে কাজের জন্য ভুটানে গিয়ে আটকেও পড়েন।

    সূএই লকডাউনে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপজাতি গোষ্ঠী সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৬০০ টোটো উপজাতিভুক্ত মানুষেরা রয়েছেন। 

    এই পরিস্থিতিতেই দরজায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা  ভোট। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।  ভোটে শাসকদলের প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন টোটোরা, নাকি পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকবেন, তা সময়ই বলবে।

     

    ছবি- গীতশ্রী মুখোপাধ্যায়
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ভোটবাক্স | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩০৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • / | 103.124.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২৪102698
  • এটা কি বিজেমুলের ইস্তাহার? 

  • দীপালোক ভট্টাচার্য | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০০:২৯102713
  • মূল্যবান ও তথ্য সমৃদ্ধ লেখা ।


    আরো কিছু ছবি যোগ করলে ভালো হত ।

  • শুদ্ধসত্ত্ব দাস | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:০৬102788
  • খুবই উপকারি প্রতিবেদন। আমার একটা প্রশ্ন আছে - উন্নয়ন ছাড়া আর কি কোনো নিয়ামক আছে যা এনাদের গোষ্ঠিগত ভাবে ভোট দিতে প্রভাবিত করবে?  যেমন পশ্চিম বঙ্গের অন্যান্য অঞ্চলে নানান ভাবাবেগের সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি, আর আসামেএ পুরানো অহম জাতি-রাজ্যের দাবিটাকেও তারা হিন্দুত্বের বাগে এনে ফেলেছে। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

Assembly Election 2021, Assembly Election, West Bengal Assembly Election, Totopara, Tototpara Vote, North Bengal Vote, TMC Tototpara, Bjp Totopara, Mamata Banerjee, Cut Money, Development
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন