এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • উৎসবের না দেখা দিক

    ঈশান চক্রবর্তী
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩৬৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • এবারের পুজোটা একদম অন্যরকম কাটল, তাই না? হয়তো আপনাদের মধ্যে শতকরা আশি কি নব্বইভাগ মানুষই বলবেন হ্যাঁ, ঠিক তাই। কিন্তু আমি যদি আপনাদের বলি যে আমার এবারের পুজো বিশেষ অন্যরকম কাটেনি -বলতে গেলে গত বছর বা গত দশবছরের মতই কেটেছে -তাহলে? না, হেঁয়ালি করছি না। সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেও এবারের পুজো অন্যরকম কাটেনি। আচ্ছা এই "অন্যরকম" বলতে আপনারা কি বোঝেন? প্যান্ডেল হপিং নেই, উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা চষে ফেলা নেই, সদলবলে বন্ধুদের সঙ্গে মাইলের পর মাইল হাঁটাহাঁটি নেই, ধুনুচি নাচ নেই, হইহই করে ভাসানে যাওয়া নেই -এবং এরকম আরো অনেক কিছুই নেই। এইসব নেই-এর কারণেই বোধহয় এবারের পুজোটা অন্যরকম, তাই তো? কিন্তু এই যে নেই-এর লম্বা তালিকা- এ তো আমার এবং আমার মত আরো অনেক প্রতিবন্ধী মানুষদের কাছে প্রতিবছরের খুব চেনা অভিজ্ঞতা।

    ভেবে বলুন তো, পুজোর সময় ক'জন প্রতিবন্ধী মানুষকে শহর কলকাতার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেন? আমি নিশ্চিত, আপনাদের মধ্যে অধিকাংশই বছরের অন্যান্য দিনগুলোয় যদিও বা দু-একজন প্রতিবন্ধী মানুষকে ট্রেনে, বাসে বা রাস্তায় দেখে থাকেন, পুজোর সময় সে সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণটা আর কিছুই নয়, নিরাপত্তাহীনতার ভয়, ইনক্লুশনের সম্পূর্ণ অভাব। বীভৎস ভীড়, ধাক্কাধাক্কি, অসহ্য আওয়াজ এবং বিশ্ববিস্মৃত আত্মকেন্দ্রিকতার উদযাপন- এর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকবার জন্য আমি, আমার মত অনেক প্রতিবন্ধী মানুষই বেছে নেন, বেছে নিতে বাধ্য হন, ঘর। কিন্তু এই ফাঁকে আর একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখা ভালো, পুজোর সময় অধিকাংশ প্রতিবন্ধী মানুষরা ঘরে থাকেন, তার মানে এই নয় যে উৎসবের আনন্দের সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ নেই, তারা নিজেদের মত করে আনন্দ করেন। যেহেতু সমাজের একটি প্রবণতা আছে ট্র্যাজেডি এবং প্রতিবন্ধকতাকে সমার্থক করে দেখার, তাই একথা আলাদা করে বলে রাখবার প্রয়োজন হল।

    আচ্ছা কখনো ভেবে দেখেছেন, প্রতিবন্ধী মানুষরা কীভাবে পুজো কাটান? পুজোর সময়, যখন নাকি চারিদিকে কে কত বেশি আনন্দ করতে পারে তার প্রায় এক উগ্র প্রতিযোগিতা চলতে থাকে, তখন উৎসবের প্রান্তে থাকা প্রতিবন্ধী মানুষরা কীভাবে আনন্দ করছেন, অথবা আদৌ আনন্দ করতে পারছেন কি-না সে খবর কে রাখে? অপ্রতিবন্ধী মানুষদের ঠিক করে দেওয়া মাপকাঠিতে বিচার করলে আমাদের, প্রতিবন্ধী মানুষদের উৎসব একগাদা নেই-এর এক ট্র্যাজিক তালিকা। কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুন - দেখতে পাবেন আমাদের পুজোর মধ্যেও অনেক কিছু "আছে" -এমন অনেক কিছু, যা উৎসবের অভিজ্ঞতাকে এক অন্য মাত্রা দিতে পারে। এই ধরা যাক আমার কথা, আমার মত এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের কাছে দৃশ্যময় উৎসব একেবারে অন্যরকম উদযাপনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে।এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই অন্যরকম, ভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে বৈচিত্র্যের এমন সম্ভাবনা ধরা থাকে- যা উৎসবের আনন্দকে আরো সম্পদশালী করতে পারে। সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনায় প্রতিবন্ধকতা এবং উৎসব তো আসলে প্রায় বিপরীতধর্মী দুটি শব্দ। উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আলোর রোশনাই, হুল্লোড়, উল্লাস এবং একরকমের আনন্দ। অন্যদিকে প্রতিবন্ধকতার অনুষঙ্গ হিসেবে চলে আসে (বা মূলস্রোত সেইরকমভাবেই দেখতে অভ্যস্ত) হতাশা, দুঃখ, বেদনা, নিরানন্দ এমনকি কুশ্রীতা। তাই বলছিলাম, প্রতিবন্ধী মানুষদের উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারা বা পারার অধিকার -এ যেন প্রায় এক অলীক কল্পনা।

    প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে অধিকার বলতে আমরা সাধারণভাবে কী বুঝি? ট্রেনে-বাসে সিট পাওয়ার অধিকার, শিক্ষাক্ষেত্রে-চাকরীক্ষেত্রে সংরক্ষণের অধিকার, ভাতার অধিকার, ছাড়ের অধিকার - আর খুব যদি প্রগতিশীল হই, তাহলে রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সর্বজনীন উৎসবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অধিকার? -এ আবার একটা কথা হল!
    উৎসবকে সর্বজনীন ভাবতে আমাদের ভালো লাগে, আসলে এমনটা ভাবতে পারলেই সমাজের ভারি সুবিধা হয়। উৎসবের গায়ে এই সর্বজনীন ট্যাগটা লাগিয়ে দিলেই নিশ্চিন্ত। যথার্থ অন্তর্ভুক্তিকরণের সবরকম দায়দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া যায়। অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রসঙ্গে বড় জটিল প্রশ্নগুলো এখানে নাহয় না-ই তুললাম, কিন্তু সাধারণ দু-একটি বিষয়ের দিকে তাকালেই অন্তর্ভুক্তিকরণের সার্বিক অভাবের চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভেবে বলুন তো, কটি পুজোমন্ডপে হুইলচেয়ার ঢোকা বা বেরোনোর জন্য ঠিকঠাক র‍্যাম্প দেখেছেন? ঠিকঠাক র‍্যাম্প বাদ দিন, পুজোমন্ডপে আদৌ র‍্যাম্প কটা জায়গায় দেখেছেন? দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দর্শনার্থীদের (যুৎসই শব্দের অভাবে দর্শনার্থী কথাটিই রেখে দিলাম) মন্ডপসজ্জা ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য আদৌ কি পুজো কমিটিগুলির তরফ থেকে কোনো সৎ উদ্যোগ দেখা যায়? তবে এখানে আলাদা করে বলবার কথা এই যে, প্রতিবন্ধকতা উৎসবের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায় তখনই, যখন তা বিক্রয়যোগ্য, বিজ্ঞাপনের বস্তু। গতবারও এমন দু-একটি পুজোমন্ডপ আমি দেখেছিলাম যেখানে "মন্ডপটি প্রতিবন্ধীবান্ধব" বলে ব্যপক প্রচার করা হয়েছিল। মন্ডপকে যথার্থই প্রতিবন্ধীবান্ধব করাটা উদ্যোক্তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কি-না বলতে পারিনা। তবে শারদ সম্মানের হাতছানি যে সেখানে বড় ভূমিকা পালন করেছিল সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। প্রশ্ন উঠতে পারে, এ আবার কি! প্রতিবন্ধীবান্ধব করলেও দোষ, না করলেও দোষ? আমার জবাব এই, করলে দোষ নয়, যদি এই করাটা চ্যারিটির বাইরে এসে, বিজ্ঞাপন এবং পুরষ্কারের চোখ ঝলসানির বাইরে এসে, প্রতিবছর, নিয়মিত, যথার্থ ইনক্লুশনের চেহারা পায়।

    আর একটি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাকে পুজোর কেন্দ্রে থাকতে দেখেছি -প্রতিবন্ধকতাই যখন থিম। দেখুন ঘুরেফিরে সেই বিজ্ঞাপন, সেই বিক্রয়ের কথাই চলে এল। প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ততক্ষণই মাথা ঘামাব, যতক্ষণ তা সেলেবল, এবং যতক্ষণ তা টোকেনিজমের গন্ডীর ভেতরে থাকে- উৎসবের প্রাঙ্গনে এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে? যাক্, যেকথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, "অন্যরকম পুজো" বা চলতি কথায় নিউ নর্মালের পুজো, অনেক নেই-এর পুজো -এ আমাদের, প্রতিবন্ধী মানুষদের বাৎসরিক অভিজ্ঞতা। আসলে নিউ নর্মাল এমন কিছু অভিজ্ঞতাকে সর্বজনীন করল, যা এতদিন ছিল প্রান্তিক, অভাবনীয়। একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষ হিসেবে আমার এ-বছরের পুজোর প্রাপ্তি এটাই। জানি, কথাটা অপ্রাপ্তিজনিত প্রতিহিংসার মত শোনালো, তবে নিউ নর্মাল যে সমাজের বিকল্প, প্রান্তিক অভিজ্ঞতাকে মূলধারায় এনে ফেলেছে -আশা করি এতে ভবিষ্যৎ ইনক্লুশন -এর পথ খানিকটা হলেও প্রশস্ত হবে। আশা করতে ক্ষতি কি!

    যাই হোক, পুজো নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন একটা অণুগল্প দিয়েই শেষ করি।

    ~~~
    খুঁত
    ~~~

    "এএএএএএ রাআআম! দেখেছো! খুঁতো ঠাকুর এনেছে।" সকালবেলা আসনে বসাতে গিয়েই নজরে পড়েছে খুঁতটা। বাঁ পায়ের তিনটে আঙুল ভাঙা। গতকাল রাতেই বাবাই পুজোর বাজার করে এনেছে। ভারী মিষ্টি মুখটা, খুব পছন্দ হয়েছিল। ইশশ্, খুঁত বেরোল!
    "এই বাবাই! কি ঠাকুর এনেছিস! ওঠ, উঠে দেখ,"-ঝাঁঝিয়ে উঠল শ্যামলী।
    "কি আবার হল তোমার ঠাকুরের! সকালবেলা চেঁচামেচি!" -মোবাইলটা খাটের ওপর ছুঁড়ে দিয়ে চোখ ডলতে ডলতে বেরিয়ে এল বাবাই।
    "দেখে যা, এই দেখ, ঠাকুরের পা-টা"
    "কই দেখি, সরো। ইশশ্। এ-ব্বাবা! কিকরে হলো!"
    "কিকরে হলো তার আমি কি জানি! সবসময় বলেছি ঠাকুর একটু দেখেশুনে আনবি।"
    "পুজোর আগেরদিন সন্ধ্যেবেলা জানোই তো কি ভীড় হয়! তার মধ্যে কি ভালো করে দেখা যায়! মুখটা সুন্দর, তাই... আর পছন্দ হয়ে গেল বলে দামটাও বেশি নিল। দাঁড়াও। পাই ওটাকে বাজারে গিয়ে।"
    "হ্যাঁ, তোমার জন্য পসরা সাজিয়ে এখনো বসে আছে। খুঁতো ঠাকুর গছিয়ে দিয়েছে, সে কি আর এখন থাকে!"
    "তাহলে কী করবে এখন!"
    "আমি আবার কী করব! তুই যা, পুজোটা তো করতে হবে, এখনও গেলে হয়তো ঠাকুর পাওয়া যাবে। খুঁতো ঠাকুরে তো আর পুজো হবেনা!"
    "আচ্ছা চাঁদমালাটা একটু কায়দা করে পায়ের ওপর দিয়ে দিলে হয় না? তাহলে আর দেখা যাবে না।"
    "তার মানে! ভাঙা ঠাকুর ঢাকা দিয়ে পুজো করব! তাই আবার হয় নাকি! তুই যা, যা বলছি তাই কর। ঠাকুরমশাই আসবে বলেছে সাড়ে পাঁচটায়, এখনও সময় আছে, ওদিকে আমার ভোগের সব রান্না বাকী, যাই, ওদিকটা ততক্ষণে এগিয়ে রাখি।"
    "উফ্, আবার বাজারে যেতে হবে।"
    "হ্যাঁ, যেতে তো হবেই, আর যাওয়ার পথে কোনো একটা বড় গাছের তলায় এই ঠাকুরটাকে বসিয়ে দিয়ে যাস।"
    অগত্যা ব্যাজার মুখে বাবাই ঠাকুরকে আসন থেকে কোলে তুলে নেয়, পায়ে চটি গলাতে গলাতে বলে, ফাউয়া ঝামেলা, এখন আবার রিকশা পাই কিনা কেজানে! সিঁড়ি দিয়ে নামবার সময় শ্যামলীর গলা শোনে, আর শোওওন, বেছে আমপাতা নিয়ে আসতে পারবি? ফুলওলাটাকে বলেছি, সে যে কি আমের পল্লব দেবে কেজানে! তুই পারলে একটু দেখে বেছে নিয়ে আসিস তো!"
    "হুঁ, পেলে আনব" -সিঁড়ি দিয়ে হুড়মুড় করে নামতে থাকে বাবাই।

    দুপুরবেলা প্রতিমা যাচ্ছিল হন্তদন্ত হয়ে বাজারে। দশকর্মার ছেলেটা ঠিক গন্ডগোল করেছে। দর্পণটা ভাঙা, তীরকাঠি আর চাঁদমালা তো দেয়ই নি।
    গলির মোড় ঘুরেই দম নেওয়ার জন্য একটু দাঁড়াল, অক্টোবরের শেষ, তাও রোদের তাপ দেখো না! হঠাৎ রিকশা স্ট্যান্ডের পাশের আমগাছটার গোড়ায় নজর পড়ল তার। " ওটা কি! ঠাকুর নাকি! নতুন ঠাকুর মনে হচ্ছে না! ওমা! হ্যাঁ তো! মুখটা তো বেশ সুন্দর! গাছের তলায় বসিয়ে দিয়ে গেছে কেন? -প্রতিমা দু-পা এগিয়ে যায়। ক্রাচে ভর দিয়েই কোনোক্রমে ঝুঁকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকে ঠাকুরটাকে, ছোট্টমত কাঠামোর ঠাকুর, জরির গয়না, পেছনে মাটির চালি, টানা টানা চোখদুটো যেন একটু ঝোঁকানো, দূর থেকেই নজর কাড়ে।
    এবারে তার চোখ পড়ল ঠাকুরের পায়ের দিকে, দেখতে পেল বাঁ-পায়ের তিনটে আঙুল ভাঙা, মাটির রং বেরিয়ে এসেছে। "এঃহে! খুঁতো! ...ওইজন্য বসিয়ে রেখে গেছে। ঠাকুরটা এমনিতে দেখতে বেশ সুন্দর। ...তা আর কি হবে! খুঁতো ঠাকুরে তো আর পুজো হয় না!" কোমর টান করে সোজা হয়ে দাঁড়াল প্রতিমা, এখনও একটাও রিকশা আসেনি। এই দুপুরে আর রিকশা পাওয়া যাবে বলে মনেও হয় না। প্রতিমা রওনা দিল বাজারের দিকে, দূরে ক্রাচের খুটখুট শব্দ ধীরে মিলিয়ে গেল, আর এদিকে, তিরতিরে হাওয়ায় একটা-দুটো শুকনো আমপাতা ঝরে পড়তে লাগল ঠাকুরের পায়ের কাছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩৬৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anindita | 103.87.***.*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:৫৯100956
  • আমাদের অসংবেদনশীল মধ্যবিত্ত স্বার্থপরতার আরেকটি চূড়ান্ত নিদর্শন এই লেখাটির পাঠকসংখ্যা। যেখানে রাজনৈতিক তরজা আর সাহিত্যচর্চা দিয়ে গুরুর পাতা ভরে থাকে, মতামত আর তর্কবিতর্কের ঝড় ওঠে সেখানে এই শিরোনাম দেখে তিনদিনে মাত্র ৫৮ জন পড়তে উৎসাহী হলেন ! গুরুর পাঠক তো নাকি সব শিক্ষিত সচেতন নাগরিক। এই সমাজ বদলাবে এমন আশা করতে ভরসা হারিয়ে যাচ্ছে।  লেখাটি পড়লে হয়তো কিছু বিবেকবোধ কাজ করতো। 

  • ♤♡♢♧ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৪৪100968
  • disability এর জন্য ইনক্লুসিভ ব্যবস্থা যদি আমাদের এ অঞ্চলে  থাকতো তাহলে আজ তিন হাত দূরত্ব বজায় এত কঠিন হতো না .

  • | 2601:247:4280:d10:258b:36b0:f38a:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৯100971
  • এরা তো বাড়তি বা বোঝা। সমাজের কাছে অদৃশ্য, ফলে সামান্যতম সুবিধা পাবার যোগ্য নন। যাদের বেঁচে থাকাটাই অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে বলে অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, তাদের জন্যে কিছু করার দরকার আছে বলে কেউ( সরকার, প্রতিষ্ঠান)  মনে করে না।


    প্রতিবন্ধী নয়, বিশেষভাবে সক্ষম- এখান থেকেই যুদ্ধটা শুরু করা দরকার। 

  • aranya | 162.115.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:৩২100974
  • ভাল এবং দরকারী লেখা। অণুগল্প - টিও সুন্দর 

  • Debarshi Kar | 117.2.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৪৪100987
  • খুব প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্য পূর্ণ l অনুগল্প টিও খুব ভালো লাগলো l সর্বোপরি দুর্গাপুজো'তে বিশেষ বন্ধুদের জন্য পুজোকর্তা'রা একটু সংবেদনশীল হয়ে প্যান্ডেল এ সেরম ব্যবস্থা করলে সেটা সমবেত দর্শনার্থী দের অনেকের'ই যে  সুবিধে হবে  তাই  শুধু না, যেই তাদের আরাধনা'ও সার্বিক ভাবে স্বার্থক হবে l

  • Dr. Shyamasree Sur | 42.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:০২101020
  • Wonderful thought provoking writing. Enjoyed lot in reading. Thank you 

  • Saswati Basu | ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৬101277
  • লেখাটা আরো একবার প্রমাণ করলো শারিরীক সীমাবদ্ধীদের ব্যাপারে আমরা কতখানি অন্ধাকারে। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন