ধুত্তেরি, আমি বোধ হয় ভুল দেখেছি। মোবাইলের স্ক্রীনে। ওটা বোধ হয় তাইলে পিপি পাঠিয়েছে। তাই ভাবি আমাদের নয়ডা শ্রাবণী এইসব আমার কাছে কেন জানতে চাইবে ঃ-)
পিপি বেব্স, সন্ধ্যেবেলা উত্তর দেব।
Arpan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৫৩ | 122.252.231.10
যাক কমরেড কেসি পাশে আছেন। ঃ-)
Arpan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৫০ | 112.133.206.18
আমি বরাবরের মতই কেকেআর আর আরসিবির জন্য গলা ফাটাব।
Arpan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৪৯ | 112.133.206.18
৮৩-এর ওয়ার্ল্ড কাপের সময় আমি বোধহয় ক্লাস টু-তে উঠেছি। ক্রিকেট নিয়ে কোন আগ্রহই ছিল না, তখন শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু ফুটবল। কিছুদিন আগেই নেহরু কাপ হয়ে গেছে, ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ। পাড়ার দাদাদের মুখে শুধু তারই পুনরাবৃত্তি। আর তখন শীতকাল ছাড়া কেউ ক্রিকেট খেলতও না।
আমাদের বাড়ি টিভি ছিল না। সন্ধেবেলা দেখতাম বাবা অফিস থেকে ফিরে রেডিও খুলে কমেϾট্র শুনছে। পাতিল-কিরমানি-মদনলালের নাম সেই প্রথম শোনা। আর শিখলাম উইকেট কাকে বলে। শিখলাম, আবার প্রবল কনফিউজড হলাম। দেড়শো রানে তিন উইকেট, মানে তিনজন আউট হয়েছে। আউট কী বুঝলাম না, বুঝলাম উইকেট মানে লোক।
সেমিফাইনাল আর ফাইনাল পাড়ার বড়রা মিলে একটা বাড়িতে গিয়ে দেখল। পুরো বিল্ডিংটায় ষোলটা ফ্ল্যাট, সবাই কেঃসঃ কর্মচারী, কিন্তু টিভি ওই একটাই বোধহয়। বোধহয় কেÒট্রন টিভি ছিল, সামনে নীল পর্দা লাগানো। খেলার কিছুই মনে নেই, খালি মনে আছে কে একজন আউট হয়ে গেল আর সন্দীপ পাটিল গদার মত ব্যাট ঘোরাতে ঘোরাতে নামল। আমি বিন্দুবিসর্গ কিচ্ছু বুঝতে পারছিলাম না। ওই বাড়ির ছেলে অশোক ছিল আমার সমবয়সী, আদতে রাঁচির লোক ওরা, মোহনবাগানের প্রবল ফ্যান, আমরা দুজনে মিলে ফুটবল খেলতে ভেতরের ঘরে চলে গেলাম।
তারো আগে সেমিফাইনালে যখন ইংল্যান্ডের সাথে জিতল সেই সময় কাগজে যশপাল শর্মার একটা ছবি দেখেছিলাম। বোধহয় একপায়ে হুক করছে। বেশ রাজসিক শৌর্য ফুটে বেরোচ্ছিল ছবিটায়। নীলাংশু ছবিটা কেটে এনেছিল খাতার ভেতরে লুকিয়ে। আমাকে বলল জানিস ভারত ফাইনালে উঠে গেছে। বলল, আবার ভুলেও গেলাম পরমুহূর্তে।
ফাইনালের বাকি কিছু মনে নেই, জেতার পরে সেলিব্রেশন হয়েছিল কিনা জানি না, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরদিন সকালে কাগজ দেখিয়ে বলল দ্যাখ ভারত জিতে গেছে। ইন্ডিয়া বোধহয় বলেনি, তখনো চেনাপরিচিতের গণ্ডীতে সবাই ভারত বলত। তখন উনি প্রবল বামপন্থী ছিলেন বোধহয় মনেপ্রাণে, বাড়িতে আজকাল আসত। আমি শুধু ভেতরের কমিক্সের পাতাটা পড়তাম। সেদিনই প্রথম পুরো খেলার খবরগুলো আগাপাশতলা পড়লাম। পড়তে পড়তে দুপুর হয়ে গেল, চান-খাওয়ার সময় হয়ে গেল, মায়ের বকুনি খেলাম, তাও দেখলাম গরমের দুপুরে মেঝেতে শুয়ে শুয়ে সেই কাগজ আমি পড়ে যাচ্ছি। মা আর ঠাকুমা কখন ঘুমিয়ে পড়েছে।
সেই থেকে ক্রিকেট নিয়ে পাগলামো শুরু হল। ইঁটের পরে ইঁট সাজিয়ে উইকেট। স্কুল থেকে ফিরেই ঘন্টাদুয়েকের জন্য খেলা। আবার বিকেলে খেলা। তখন কপিল আমার হিরো। অনেকটা দৌড়ে এসে বল করার চেষ্টা করতাম। আর বেশির ভাগ আউট হত জানলার কঁচ বল লেগে। একবার হিসেব করে দেখেছিলাম এক মাসে গোটা পঁয়ত্রিশ উইকেট নিয়েছিলাম। ব্যাটিংয়ে তাড়ু ছিলাম। অফের দিকে কানা ছিলাম, সব বল লেগের দিকে খেলতাম।
শমীক, আমি তোমায় মেল করিনি তো! ভুলেভালে কিছু ক্লিক হয়ে গেছে না স্প্যাম বুঝছি না। তবে না খোলাই মঙ্গল, কারণ আমি কোনো দরকারে মেল করিনি।
shrabani | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৩৬ | 124.30.233.86
আমাদের (এন সি আরের পাবলিক) তো অপশন আছে, দিল্লী ডেয়ারডেভিল। কেকে আর কে কে সাপোর্ট করতে যাচ্ছে! তবে আরও অপশন থাকত যদি না কোচি টা ভুলভাল হত, ওটা শুধু নামেই কোচি, থরুর মাইনাস ওটার আর কোচিত্ব নেই। এমনিতেই বর সেদিন হারার সম্ভাবনায় বলছিল শ্রীশান্ত নাকি কেরালায় গেলে ওকে লোকে চাঁদা তুলে পেটাবে।
Arijit | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৩৫ | 115.249.42.177
আইপিএল নিয়ে তো এক ফোঁটাও ইন্টারেস্ট নেই। কে কে খেলে সে খবরও রাখি না, টো-টো কেমন হয় আজ অবধি তাও জানি নাঃ-)
siki | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৩৩ | 123.242.248.130
শ্রাবণী,
মোবাইলে জিমেল খুলে তোমার মেসেজ দেখেছি। এখন রিপ্লাই করা মুশকিল আছে। সন্ধ্যে বেলা জানালে হবে তো?
জরুরি হলে ফোন করতে পারি।
Arijit | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:২৯ | 115.249.42.177
ও হ্যাঁ - এইটা আরেকটা কারণ - কোর্টে বিসিসিআই-য়ের দেওয়া স্টেটমেন্ট।
Ishan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:২৭ | 122.248.183.1
তাও বিশ্বকাপে বিসিসিআইকে যা সাপোর্ট দেবার দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আইপিলে কেকেআরকে একটি রানও দেবেন না।
siki | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:২০ | 123.242.248.130
আমি আবার অনেক বড় হয়ে পরে জেনেছিলাম তিরাশিতে ভারত কাপ জিতেছিল। তিরাশি সালে কী করেছিলাম, মনে নেই। আনন্দমেলা পড়ছিলাম নিশ্চয়ই ঃ-) তখন আনন্দমেলায় এসব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ছাপা হত না।
shrabani | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:১৬ | 124.30.233.86
আমাদের বাড়ীতে কী একখান ম্যাগাজিন আসত তাতে মাঝখানের দুটো পাতা জুড়ে কারুর না কারুর রঙীন ছবি থাকত। রবি শাস্ত্রীর ছবি দেখে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বলল, এই ক্রিকেটারটা বেশ লম্বা টম্বা আছে, এর ফ্যান হওয়া যায়। আমার ঘরে কোনো পোস্টার ছিলনা, ম্যাগাজিনটা একটু পুরনো হতে ঐ ছবিটা বার করে দরজার পেছনে লাগিয়েছিলাম। একদিন গ্রুপ স্টাডিজ এ দীপা শেখরণ আর বন্দনা এলো আমাদের সঙ্গে অঙ্ক করতে। ওরা এক ক্লাসের হলেও বেশ কেউকেটা ছিল হাবেভাবে চেহারায়, আমাদের একটু বাচ্চা বাচ্চা ট্রীট করত, তাছাড়া ইউ এস রিটার্ণড ছিল, অনেক দেশবিদেশের খবর রাখত। দীপা রবি শাস্ত্রীর ছবি দেখে এত অ্যাক থু করল, "ছিঃ, সাচ অ্যান আগলি লুকিং গাই", ওর কাজিন না কে দেখেছে মাঠে খেলা। সেইসব শুনে ফোটো ফেলে দিলাম, ফ্যান হওয়াও ক্যানসেল!ঃ))
Arijit | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:০৯ | 115.249.42.177
৮৩-তে আমি ক্রিকেট খেলতুম না। কাজেই ইন্টারেস্ট ছিলো না। ফাইনালের দিন বাড়ির সব্বাই মিলে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলো বলে আরোই কিসু মনে নাই। তবে তার পরেই সম্ভবতঃ দিদিকে জিগ্গেস করেছিলুম "কপিলদেব ব্যাটার না বোলার রে?'
তখন কেউ ব্যাটার বলতো না, এখন তো দিব্যি বলে।
আমারও ওই ৮৫-র বেনসন হেজেস থেকে মনে আছে। তদ্দিনে খেলাও শিখে গেছিলুমঃ-)
Arpan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:০৫ | 122.252.231.10
উইকিতে কতকিছু থাকে। মেঘনাদের বউয়ের নাম দিয়েছিল সুলোচনা।
shrabani | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:০৫ | 124.30.233.86
হ্যাঁ তাই, পার। সিনেমাটাও অনেক কাল আগে দেখেছি।
quark | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:০৪ | 202.141.148.99
তিরাশির ফাইনাল এর আর কিচ্ছু মনে নেই - শুধু ঐ "মাইকেল হোল্ডিং এলবিডাব্লু অমরনাথ" আর তারপরে চারপাশে গগনবিদারী চিৎকার ... অনেকরাত অবধি তাসা-ব্যান্ডের আওয়াজ।
তারপরে যেটা পুরোটা মনে আছে সেটা ১৯৮৫তে চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়ন্স - ইন্ডি-পাক ফাইনালে জেতা আর রবি শাস্ত্রীর ম্যান অব দ্য ম্যাচের অডি গাড়ীতে মাঠ পরিক্রমা।
Arijit | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:০৩ | 115.249.42.177
তাই ভাবছিলাম - পারাপার থেকে, কিন্তু বাংলা উইকি "ড়' লিখেছে।
সদ্য কলকাতায় আসা নাসিরুদ্দিন আর স্মিতা (নাকি শবানা - এইটা মনে পড়ছে না) রাস্তার ধারে শুয়ে আছে রাত্রে - গ্র্যান্ডের নীচে সম্ভবতঃ - তখন একটা মিছিল আসবে "ইন্ডিয়া জিত গয়া'
shrabani | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৫৬ | 124.30.233.86
আমার কেমন মনে হচ্ছে তিরাশির আগে ক্রিকেট নিয়ে এত মাতামাতি পুরো দেশে সর্বত্র ছিলনা বোধহয় (কলকাতা অবশ্যই আলাদা) । কারণ আমার তিরাশির কোনো স্মৃতি নেই, কোনো ম্যাচ দেখিনি বা ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছে বলে কোনো উৎসব, আলোচনা কিছুই মনে নেই। তিরাশির ঐসব ছবি টিভিতে বা অন্যত্র আমি মনে হয় পরে দেখেছি অন্য প্রসঙ্গে। আমাদের তখন কো এড স্কুল ছিল, ছেলেদেরও কোনো পাগলামো দেখিনি ক্রিকেট নিয়ে! কারুর কারুর ঘরে প্রচুর পোস্টার থাকত তারমধ্যে গাভাসকার বা কপিলদেব থেকে থাকবে, সেও ঠিক খেয়াল নেই।
আসলে আমি সেসময় কলকাতায় নয় ইউ পি/কের ছোট শহর রুরকীতে থাকতাম। অনেকে মজাও করত কলকাতায় খেলা থাকলেই অফিস কাছারীতে আর কোনো কাজ হয়না, অঘোষিত ছুটি হয়ে যায় ইত্যাদি! হয়ত সেখানেও লোক ছিল যারা ক্রিকেট ফলো করত কিন্তু আমার জানা ছিলনা। পরে কলকাতায় এসে ক্রিকেট খেলা দেখতে শুরু করি, ক্রিকেটারদের চিনতেও। তাই গৌতম ঘোষের পাড়ির ঐ সীনটা দেখে বহুত মজা লেগেছিল, আর মনে হয়েছিল ইস এমন একটা সেলিব্রেশন কেমন যেন মিস করে গেছি! তবে সেই ১৯৮৩-র দিন না থাকলে হয়ত এমন অকাল হোলি দেওয়ালী দশেরা (ফরিদাবাদে রাবণ পুড়েছে, শ্রীলঙ্কা...) সব একসাথে এখানে বসে আজও দেখতাম না। ইন্ডিয়া গেটে মানুষের ঢল নেমেছিল, আশেপাশের অনেকেই গিয়েছিল, আমরা যদিও যাইনি।
siki | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৫৪ | 123.242.248.130
ঃ)
আমার টিভিটা কিছু লাকি। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগের দিন জাস্ট কেনা। তারপর থেকে একের পর এক।
Arpan | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৪৭ | 122.252.231.10
বোতিন লাস্টে গোলা দিল। মণিন্দর সিং!
Arijit | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৩১ | 115.249.42.177
দ্রিয়ের Date :03 Apr 2011 -- 11:22 PM পোস্টটা পুরোপুরি না হলেও কিছুটা ঠিক। কিছুটা ঠিক এই কারণে যে আমার যে কোনো দিন যে কোনো সময়ে ফুটবল বেশি পছন্দের। এবং ক্রিকেট নিয়ে একটা বাড়াবাড়ি রকমের নাচানাচিতে আমি বীতশ্রদ্ধ - এস্পেশ্যালি গ্রেগ চ্যাপেল এপিসোডের সময় থেকে। নইলে ২০০৩ অবধি ক্রিকেট নিয়ে নেচেওছি, চেঁচিয়েওছি। ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জেতার পরদিন নিউক্যাসলে প্রথম খবরের কাগজ কিনে এনেছিলুম (নইলে কাগজ কেনার দরকার তো হত না, স্পেশ্যাল অকেশন ছাড়া - যেমন শিয়ারার যেদিন জ্যাকি মিলবার্নের রেকর্ড ভাঙলো)।
চ্যাপেল এপিসোডের শুরুতেও অনেক গলা ফাটিয়েছি - অন্যান্য ফোরামের আর্কাইভে পাবে - যখন চ্যাপেল দুম করে সৌরভকে বাদ দিলো। আমার ইংরিজী ব্লগেও আছে কিছু পোস্ট।
কিন্তু ওই ঘটনাটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছয়, প্লাস এই মাতামাতিটা এমন বাড়াবাড়ি রকমের জায়গায় পৌঁছয় যে সেই সময় থেকে আমি ইনডিফারেন্ট হয়ে গেছি।
তবে টেনশনের মার্কেটে লোকজনকে একটু চটাতে ভালো লাগে বলে অল্পস্বল্প খুঁচিয়ে থাকি।
quark | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:২৩ | 202.141.148.99
জানি এখন বল্লেই লোকে রে রে ক'রে তেড়ে আসবে.... তবুও। শচীন, সেওয়াগ আউট হওয়ার পরেও কেমন যেন মনে হচ্ছিলো এই ছেলেগুলো পারবে। সেই লাইন দিয়ে আউট হওয়ার দিনগুলো বোধহয় গেছে।
Bratin | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:১৬ | 122.248.183.1
আমি আগে লিখতে পারি নি তাই গুরু র ভাই/বোন/দিদি/দাদা আর বন্ধু দের সাথে এই আনন্দঘন মুহুত্র টা ভাগ করে নিতে চাই।
আগেই বলেছি আমি ছিলম হলদিয়া তে। আমরা তিন পিস বন্ধু আরেক স্কুলের বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সবাই মিলে জাহাজ দেখতে চলে গেল বন্ধুর সাথে ও পোর্টে চাকরী করে আমি খেলা দেখবো বলে আর চাপ নিলাম না। তাছাড়া মাথা টাও ধরেছিল । যাকগে যাই হোক। টসে হারতেই মনটা দমে গেল। যত ই হোক ঘরপোড়া গরু তাই সিঁদুরে মেঘ দেখলেই মনটা কু গায়। ২০০৩ হতে যাচ্ছে না তো? কিন্তু জাহির,মুনাফ র টাইট বোলিং এ মন টা ভালো হয়ে গেল। শুধু অশ্বিন কে বাদ দিয়ে শ্রীশান্ত নেবার জন্যে ধোনীর উদ্দেশ্যে কিছু কিছু বাছা বাছা বিশেষণ প্রয়োগ করলাম। ৪০/৪১ ওভার অবধি ভালো ই ছিল। ছোটোকাকার আর ন কাকা র সাথে SMS চালাচালি হচ্ছে কত রান হবে, কত রান পরে ব্যাট করে চেজ করা যাবে ইত্যাদি। কিন্তু শেষের ৫ ওভারে মনে হয় ম্যাচ বেরিয়ে গেল। জয়বর্ধনে অসাধারণ একট ইনিংস খেললো চাপের মুখে। ওদের ইনিংসের পরে আমার খুব ক্লোজ একটা বন্ধু কে ফোন করে দুঃখ করছিলাম এবারে ও হল না। ফোন শেষ করে টিভি খুলতে না খুলতেই শেহবাগ আউট। প্রথম ১০ ওভার ও র থাকা জরুরী ছিল। আর আশা নেই। তার পরে ২/৩ ব্যাপক চার মেরে শচীন ও গেল। আমি থম মেরে বসে। কোহলি আর গম্ভীর আস্তে আস্তে ম্যাচ টা ধরে নিল। রানের ব্যবধান আস্তে আস্তে কমতে লাগলো। তবে কি জিতবো এবার? আশা নিরাশায় মনটা দুলছে। এর মধ্যে বন্ধু ফিরে এসেছে আমরা পান করতে শুরু করেছি। সিঙ্গল মল্ট। নাম তা ভুলে গেছি । যেটা অর্পন দিল হুতোর জন্মদিনে সেটা। হঠাৎ গম্ভীর আউট। শতরান টা ওর পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ততক্ষণে ভারতে র জেতার পথ অনেক টাই পরিষ্কার। একটা করে চার হচ্ছে আমরা হই হই করছি আর পাগলের মতো চেঁচাচ্ছি। তারপরে ধোনীর সেই ছয়। আমি লাফিয়ে বিদ্যুতের কোলে। সব্বাই পাগলামি করছে। আমার চোখের কোন দুটো কেমন জ্বালা জ্বালা । হৃৎস্পন্দন কেমন বেড়ে গেছে। কী বলছি কী করছি কিছুই জানি না। হঠাৎ টিভি তে দেখি মনিন্দার সিং কাঁদছে। সবাই সেটা বলতেই বললো ও টা নাকি হরভজন আর আমি নাকি আউট ।
siki | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ০৯:০০ | 123.242.248.130
দাঁড়*
siki | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ০৯:০০ | 123.242.248.130
অ্যাঃ, এরা বাংলা ব্যাকরণ পড়ে নাই। স্যান থাকলে সব্বাইকে কান ধরে দাঁর করিয়ে দিত।
সুরজিত মানে সুর কর্তৃক জিত হয়েছেন যিনি, মানে দেবতার কাছে পরাজিত হয়েছেন যিনি। আর সুরজিৎ মানে সুরকে জয় করেছেন যিনি, দেবতাকে হারিয়ে দিয়েছেন।
অসুরজিৎ মানে অসুরকে জয় করেছেন, অসুরজিত মানে অসুরের হাতে পরাজিত হয়েছেন। ত আর ৎ -এ মানে পাল্টে যায় কমরেড্স।
s | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ০৮:৫৫ | 117.194.97.27
আমার এক্খান ব্লগ আছে, বাংলা ব্লগ- বিবর্ণ কবিতা। মাঝে মইদ্যে কিছু ছাতা মাতা লিখে রাখি, বা এখানে ওখানে প্রকাশিত কিছু লেখা সেখানে জমা রাখি, উদ্দেশ্য সৎ, যাতে দরকার পড়লে যে কোনো লেখাই খুঁইজ্জা পাইতে অসুবিধা না হয়।
ক্যাম্নে কি হইছে কিস্যু জানি না, হঠাৎ এক্খান ইপত্র পাইলাম অচেনা একজনের কাছ থেকে, তিনি আমার ব্লগ থেকেই আমার ই-ঠিকানা পাইসেন, পত্রে তিনি আমারে অভিনন্দন জানাইলেন, আমর ব্লগ নাকি সেরা বাংলা ব্লগ প্রতিযোগীতায় সিট পাইসে! দিনটা ছিল পয়লা এপ্রিল। সক্কাল সক্কাল ফুল হইলাম ভাইব্যা একটু মন খারাপ হইল। তাও কি মনে কইরা কে জানে পত্রপ্রেরকেরে এক লাইনে জিগাইলাম, ভাইডি, সক্কাল সক্কাল আমারেই পাইলেন?
পত্র আসিল, এক্খান লিং সহ, এবং আমি জানি না দেইখ্যা তিনি যে চরম অবাক হইসেন সেইটাও জানাইলেন। এই রকম কোনো প্রতিযোগীতা যে হয় সেটাই আমি জানতাম না। মুখ্যু মানুষ, ইংরাজী সাইট পার্তে খুলি না, কিস্যু দর্কার পড়লে লোকজনেরে কইলে তাঁরা লিং দেন, আমি কাজ চালাইয়া দেই। তো ঘটনা সত্য, আমার ব্লগ ওই ভোটের বাজারে এক্খান সিট পাইসে!
সেরা ব্লগ প্রতিযোগীতায় "বিবর্ণ কবিতা'র জেতার কোনো সিন নাই, আমার ভাগে ভোট দেখা যায় এক শতাংশ! যেখানে ব্লগবন্ধু জেবতিক আরিফ ৪০শতাংশ ভোট পাইয়া অলমোস্ট খেতাব পাইয়া গেসেন। আনন্দের বিষয়, জেবতিক দোস্তো মানুষ। কিন্তু এক শতাংশ ভোট? এট্টু কেমন কেমন লাগে না? দুই-চার শতাংশ হইলে একটু দিলখুশ হয়ঃ-)
গুরুবান্ধবদের জন্যে লিং রইখা গেলাম, ফেসবুক বা ট্যুইটার দিয়া সেরা বাংলা ব্লগ বিভাগে যদি বিবর্ণ কবিতার ভাগে দুই চাইরখান ভোট পড়ে তাইলেই হইব। এগারৈ এপ্রিল পর্যন্ত ভোট দেওন যাইব, রোজ এক্খান ভোট দেওনের সুযোগও আচে। নিচে লিং-
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন