এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • হারানো গল্পের খোঁজে (একটি নভেলা)

    Krishna Malik (Pal ) লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ২৬ অক্টোবর ২০২২ | ১০৯১ বার পঠিত
  • গল্পটা যেন রুশদেশের উপকথার ছোট্ট গোল রুটিটার মতো।গড়াতে গড়াতে চলে গেল কোথায় না কোথায়।ও গল্পে বেচারা বোকা রুটিকে শেয়ালে খেয়েছিল বটে, কিন্তু আমার হারানো গল্প উদরসাৎ করা যে আমার আয়ুষ্কালে কিংবা আয়ুফুরোনো  আমার ফেলে যাওয়া পৃথিবীতে কখনই সম্ভব নয়! সব জায়মান ঘটনা, সব কথার কণিকা থেকে যায় ইথারে ইথারে। আমিও কি কোথাও থেকে যাব না? কে জানে?    

    খুঁজতে খুঁজতে গল্পের গোড়ায় চলে গেলাম, তখন বর্ষাকাল। একহাঁটু দঁক নিয়ে রাস্তা অতিরিক্ত আহার করা হাঁসফাঁস অজগড়ের মতো পড়ে আছে। বর্ষাকালে এর বাড়ির নাছ দুয়ার, ওর বাড়ির পোস্তায় পা দিয়ে কাদার কম ঘনত্ব বুঝে হাঁটতে হতো। নিরুপায় আমি ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়াকালীন রাতে টিউশনি পড়ে ফেরার সময় বেকায়দায় পড়তাম। ওই বয়সে সন্ধ্যে থেকে আমার গা ছমছম করত, ভয় করত, এতটাই যে ঘরের ভেতর একা ঢুকতে পারতাম না। অথচ কীসের যে ভয় তাও বুঝি না। ভূতের ভয় আমার নেই, তাহলে? ওই, তবু ভয়। 

    টিউশনছুটির পর অন্য  সময়ে একছুটে বাড়ি ফিরতাম, কিন্তু বর্ষায় তা সম্ভব নয়। খানিকটা একই রাস্তায় অন্যদের সঙ্গে ফিরে, বাকিটাতে কাদা এড়াতে ঘোষবাড়ির প্রায় আধমাইললম্বা গোয়ালঘরের সামনের চালার উপর দিয়ে নিভু নিভু হ্যারিকেন নিয়ে ছুটতাম। ভেতর থেকে তখন অত অত গরুর জাবর কাটার শব্দ, তাদের নিঃশ্বাসের শব্দ – সব মিলিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে পড়া বর্ষাকালীন গ্রামীণ মাত্র রাত নটার সময়টাকে আরও ভয়াবহ করে তুলত। হ্যরিকেনের নিভে যাওয়া আটকে, গোবর আর গোমূত্রে পা পিছলে পড়ে যাওয়া আটকে তবেই ভয়ের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়োনো।

    সেই আমিই! তখন সিক্স সেভেনই হবে, কার যে বিয়ের পার্টি নেমন্তন্নে বাসে চড়ে গেলাম মনে নেই। তখন বরের বাড়িতে কনেপক্ষের লোকজনের নেমন্তন্নকে এরকমই বলা হতো। সেখান থেকে ফেরার সময় বাড়ির কার হাত ধরে, নাকি কোনো মামার হাত ধরে  মেঠোরাস্তাটুকু পার হচ্ছিলাম তাও মনে পড়ে না। মাঠ পেরিয়ে পাকা সড়কে রিজার্ভ বাসখানা দাঁড়িয়ে আছে। 

    হঠাৎ হাত ছেড়ে গেলো, ধীরে ধীরে যেন একা হয়ে গেছি। মাঠখানা ভেসে যাচ্ছে অনাবিল জ্যোৎস্নায়। মনে হলো এ’ জ্যোৎস্না পার্থিব হতেই পারে না,  এক অপার্থিব বিভাই যেন ছড়িয়ে আছে চরাচর জুড়ে। হাওয়ায় ভেসে আসছে আমাদের লোকজনের কথার টুকরো, ছেঁড়া ছেঁড়া হাসি। এরকম জ্যোৎস্না কখনও দেখিনি! সম্মোহিতের মতো জ্যোৎস্নায় শরীর ডুবিয়ে আনন্দে সব ভুলে ছুটতে শুরু করেছি। আচমকা যেন বদলে গেল দৃশ্যপট। কেউ নেই, কিছু নেই, না কোনো শব্দ,  না কোনো কথা,  কেবল চাঁদের আলোয় ধুয়ে যাওয়া আদিগন্ত চরাচরে আমি একা। স্বপ্ন নাকি? চোখ কচলে তাকাই, নাহ্! স্বপ্ন তো নয়! বাকিরা সবাই কোথায় গেল? বুকটা ধড়াস করে উঠেছে। চিৎকার করে ডাকি, মা -! কাকু -! মামা -! --- কারও সাড়া পাইনা। 

    ভয়ের থেকেও বেশি ছিল বিস্ময়। পিছনে তাকালে জ্যোৎস্নার পর্দা, সামনেও তাই। সামনের দিকে ছুটতে থাকলাম। কয়েক পা মাত্র ছুটে এগিয়ে দেখি, এক দীর্ঘাকার মানুষ, সাধারণ প্যান্ট-শার্ট পরিহিত। আমায় দেখে বললেন, ছুটছ কেন? সাবধানে হাঁটো আমার হাত ধরে।তাঁর কোমল হাতের তালু এই তো, এই মুহূর্তেও আমি অনুভব করতে পারছি! 

    কিন্তু বাড়ির সবাই কোথায় গেল? আমি মুখ তুলে জিগ্যেস করলাম। তাঁর মুখে একটা মিষ্টি হাসি, যে হাসিটা আজও একই রকমভাবে স্পষ্ট দেখতে পাই। 

    তিনি আমায় আশ্বস্ত করে মধুর কন্ঠে বললেন, সবাই আছে যে যেখানে ছিল। কেউ কিছুটা আগে, কেউ কিছুটা পরে। তাঁর কণ্ঠস্বরে কী যে ছিল জানি না। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাঁর হাত ধরে হাঁটতে থাকলাম। 

    আমাকে বললেন,  তুমি অত ভয় পাও কেন? যদি অন্যায় না করো তাহলে কখনও কোনো কিছুতেই ভয় করবে না। আর জানবে তুমি একা নও কখনও, তোমার সঙ্গে তুমি আছো, তোমার অন্তরাত্মা তোমার সঙ্গে আছে। আমি তাঁর সব কথা বুঝতে পারলাম না। কতক্ষণ তাঁর হাত ধরে হেঁটেছি তাও জানি না।

    একটু পরে বললেন, মৃণ্ময়ী! ওই দ্যাখো, তোমার মা সামনে। যাও! 

        আপনি আমার নাম জানেন? 

         জানি তো! 

    ওনাকে আমি সারা বিয়েবাড়িতে, বাসের মধ্যে কোথাও একবারও দেখিনি। অথচ উনি সব জানেন? সামনে যে মা আছেন তা উনি জানলেন কীকরে? আমি তো দেখতে পাচ্ছি না?  তবু আমি অবাক মন নিয়েই অল্প ছুটে এগিয়ে যেতেই মায়ের গলা পেলাম। মা – বলে ডাকতেই মা বলল, কোথায় ছিলি এতক্ষণ, দেখতে পাচ্ছিলাম না? 

    পাকা রাস্তায় প্রায় এসে গেছি। পিছনে অন্যরা আসছে হাসিঠাট্টা ফাজলামি করতে করতে, শুনতে পাচ্ছি আমি। কিন্তু আমি সেই ভদ্রলোককে কোথাও দেখলাম না। যিনি বলেছিলেন, তিনি আমার আত্মীয়। বাসেও তাঁকে দেখলাম না।

    আজও তাঁকে খুঁজে চলেছি। কিন্তু তিনি নিখোঁজ। সমস্ত আত্মীয় মহলেও কেউ ওরকম কাউকে চিনতে পারল না। তবে একটা জিনিস হয়েছিল, আমার জীবন থেকে ভয় পাওয়াটা চলে গেল। রাত দুপুরে একা একা বাইরে বেরিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম কোথাও একটা। সেই বয়স থেকেই না আমি ভূত বিশ্বাস করেছি, না ভগবান। তবু জ্যোৎস্না নামের আলেকিত – সুরভিত সুষমায় মনে হয়েছে বরাভয়দানকারী আনন্দময় এক অস্তিত্ব আমাদের এই মরজগত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে আছে হয়তো আকাশে আকাশে। আর গহন অন্ধকারের নিকষে নক্ষত্রখচিত আকাশ ও মাঠঘাটের ভেতর অন্ধকারের কায়ারূপী এক দেবি রয়েছেন বুঝি, যিনি কঠিন, তবে মাটি ফুঁড়ে যেভাবে ফল্গু উৎসারিত, সেভাবেই তার বুক ফুঁড়ে আলোর ঝরণা ঝরে পড়ছে নিরন্তর। জাগতিক কালিমা দূর করতেই তিনি কঠিন, আর এভাবেই মঙ্গলবিধান করেন হয়তো বা।

    প্রথম যৌবনে যখন বাড়ি থেকে এই কর্কশ পৃথিবীতে কোনো মেয়েকে একা ছাড়ে না কেউ, তখনও আমি একা একা বেড়াতে বেরোতাম বাড়ির সবার আপত্তি অগ্রাহ্য করে। কখনও কোনো বিপদেও পড়িনি আজও। এতে অবশ্য আবাক হবার মতো যথেষ্টই মেরিট আছে। এক নারীদেহধারী দ্বিতীয় লিঙ্গ পৃথিবীতে আত্মীয় পরিজনহীন একা হেঁটে চলেছে, একার ভ্রমণে হোটেলে থাকছে অথচ কোনো কেঁচো কৃমিকীট তাকে স্পর্শ করতেও পারছে না এতে অবাক হওয়াই তো স্বাভাবিক।   

    একার মনে হাসি তাঁর কথা মনে করে, তিনি কি তবে সেই মধুসদূনমামা নাকি, যিনি অদৃশ্য থেকে আমায় রক্ষা করে চলেছেন? নাকি এই পৃথিবীতে ঠগ প্রতারক আর মাসলোভী  অমানুষেরা কাকতালীয়ভাবেই আমার সামনে পড়েনি, কে বলবে? যাই হোক, আমার খোঁজ কিন্তু জারি আছে আজও। তাই গল্পটাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছি এই ক্ষুদ্র জীবনের সরণী ধরে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৬ অক্টোবর ২০২২ | ১০৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2a:1c56:a870:5f9d:b783:***:*** | ০৮ নভেম্বর ২০২২ ০৮:১০513621
  • অসাধারন, বিশেষ করে এই জায়গাটাঃ "তবু জ্যোৎস্না নামের আলেকিত – সুরভিত সুষমায় মনে হয়েছে বরাভয়দানকারী আনন্দময় এক অস্তিত্ব আমাদের এই মরজগত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে আছে হয়তো আকাশে আকাশে"
     
    আমার খুব ​​​​​​​ইচ্ছে ​​​​​​​যেন জ্যোৎস্না​​​​​​​রাতে ​​​​​​​মরতে ​​​​​​​পারি :-)
     
     
  • কৃষ্ণা মালিক পাল | 113.2.***.*** | ০৯ নভেম্বর ২০২২ ২২:০৪513649
  • আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন dc
  • &/ | 107.77.***.*** | ০৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:১৯513652
  • খুব ভালো লাগল।  অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করল, তারপর মনে হল থাক , পরে কোনোদিন বলবো।  
  • &/ | 151.14.***.*** | ১০ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৪২513657
  • এই লাইনটা। 'আর গহন অন্ধকারের নিকষে নক্ষত্রখচিত আকাশ ও মাঠঘাটের ভেতর অন্ধকারের কায়ারূপী এক দেবি রয়েছেন বুঝি, যিনি কঠিন, তবে মাটি ফুঁড়ে যেভাবে ফল্গু উৎসারিত, সেভাবেই তার বুক ফুঁড়ে আলোর ঝরণা ঝরে পড়ছে নিরন্তর।'
    কী অসাধারণ যে লাগল! মনে হল আদিগন্ত রাত্রিমাঠের উপরে উপুড় হয়ে পড়েছে নক্ষত্রখচিত বিরাট আকাশ। অবর্ণনীয় আভায় দীপ্তিময় ছায়াপথ, একেবারে দক্ষিণের ধনুরাশি থেকে উত্তরের রাজহংস পর্যন্ত। আর সেই মাঠের উপর দিয়ে একলা চলেছে এক পথিক, তারার আলোয়।
    অপূর্ব আপনার লেখা, আগে পড়া হয় নি সেভাবে। তাই কিছু বলাও হয় নি।
    ভালো থাকুন, ভালো লিখুন।
  • Krishna Malik (Pal ) | ১১ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৫৭513717
  • ভালো থাকুন, &
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন