এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • তুমি তো প্রহর গোনো, তারা মুদ্রা গোনে কোটি কোটি

    অতনু চক্রবর্তী 
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১৫৮১৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৪ (৭ জন)
  • রাজ্য রাজনীতিতে বিরাট  তোলপাড় তুলে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা,  দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার  পার্থ চট্টোপাধ্যায় যিনি রাজ্য মন্ত্রীসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি । শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই নন, তিনি তৃণমূল দলের বিরাট মাপের এক নেতা, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির চেয়ারম্যান ও বটে । শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যার উপর দল  সঁপেছিল তিনিই এতো বড় কেলেঙ্কারি, আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন --- নির্মম পরিহাসের এর থেকে বড় উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে রয়েছে কিনা সন্দেহ আছে । তাঁর সাঙাততন্ত্রের  কদর্য চেহারাও  দেখলো গোটা রাজ্য। কিভাবে তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল গুপ্তধন, কোটি কোটি টাকা,  অঢেল বিদেশি মুদ্রা ও সোনার অলঙ্কার! মিলল কি বিপুল স্থাবর  সম্পত্তির হদিশ । কুৎসিত বৈভবের নির্লজ্জ প্রদর্শনী চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল ক্ষমতার অলিন্দে থাকা এই সমস্ত হোমরা চোমরা নেতা - মন্ত্রী কত বড় বহরের অন্যায় - অবিচার - কে গোপনে সংগঠিত করেছিল বছর বছর ধরে। এতোবড় দুর্নীতির সাথে নাম জড়ানো  সত্ত্বেও রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে পার্থবাবুকে বরখাস্ত করা হল না। বোঝাই গেল, দুর্নীতির প্রশ্নে শূন্য সহনশীলতার নীতি আমাদের নীতিবাগিশ  মুখ্যমন্ত্রীর না- পসন্দ। আর তারপরেও সবাইকে  অবাক করে  মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি নাকি এই সমস্ত কিছুর বিন্দু - বিসর্গ ও জানতেন না!!  

    কিন্তু, এতো বড় অন্যায়ের শিকার যাঁরা হলেন, তাঁদের কি হবে?  রাজ্যের সাধারণ ঘরের অগুনতি  ছেলে মেয়েরা বহু পরিশ্রম করে এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরও দেখলেন তাঁদের চাকরি হলো না। উল্টে তা বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেল।   এদিকে, ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাঁচাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।  বঙ্গ - সম্মান প্রদানের মঞ্চকে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের মঞ্চে পরিনত করে অবলীলায় জানালেন যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি আগে কিছুই জানতে পারেননি। অথচ কে না জানে, ২০১৯ সালের এসএলএসটি - র মেধা তালিকায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে- র নাম হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল আর তিনি চাকরি পেয়ে গেলেন "যাদুকরী"  স্পর্শে।  গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ না করার প্রতিবাদে ২০১৯ -র ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে ' যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ' এর ব্যানারে দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শুরু হয় অনশন আন্দোলন। ২৯ দিনের মাথায় হঠাৎ অনশনস্থলে আবির্ভূত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এসএসসি কে ঘুঘুর বাসা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সেখানে গঠন করেন একটা কমিটি ---- আর, সেখানে তাঁদেরই রেখে দিলেন  যাঁরা ইতিমধ্যেই দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত।  কে না জানে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এসএসসি - র মাধ্যমে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে যে পরীক্ষা হয়, তাতেও লেপ্টে ছিল দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে যে এলো, তাও কি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না?  হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি - র নিয়োগ দুর্নীতি যাচাই করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এটাও কি জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী? হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটি এসএসসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে আঙুল তুলেছিলেন, তাও কি শুনতে পাননি মুখ্যমন্ত্রী?  না কি শুনতে চাননি? একদিকে   ক্ষমতার দম্ভ ও দাপটের মিশেল, অন্যদিকে ঠগ খুঁজতে দল উজাড় হওয়ার আশঙ্কায় তিনি নীতিহীন আপোষ করেছেন দুর্নীতির সাথে। 

    ২০১৫ সালে সংঘটিত আপার প্রাইমারি প্যানেলের মধ্যে বিরাট অসঙ্গতি থাকায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে তা সংশোধন করতে।   আজও ওই প্যানেলের নিয়োগ সম্পন্ন হলো না। ফলে, প্যানেলের মধ্যে থাকা চাকুরিপ্রার্থীরা ২০১৫- ২০২২ - --- এই দীর্ঘ সাত বছর ধরে যে স্বপ্ন সযত্নে লালন পালন করেছিলেন, তার ভ্রূণ হত্যা হল। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসলেও তার সমাধান আজ পর্যন্ত হল না। এদিকে,  সংকট থেকে পরিত্রাণ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী আদালতের দিকে দায় ঠেলে দিলেন। হাইকোর্ট ও শিক্ষা সচিবের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে কোন কোন শূন্যপদ পূরণ আদালতের রায়ের কারণ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তা হলফনামা পেশ করে জানাতে। 

    সাম্প্রতিক দুর্নীতি কান্ডে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে আতঙ্কজনক কর্মহীনতার ছবি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘনিয়ে ওঠা সরকার - সৃষ্ট নৈরাজ্য, পড়ুয়া -পিছু শিক্ষকদের লজ্জাজনক ঘাটতি, রাজ্য সরকারি - আধা সরকারি - স্বশাসিত সংস্থাগুলোতে বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণে শূন্যপদ না পূরণ করার আখ্যান। পড়ুয়া - শিক্ষক অনুপাতের চরম দৈন্যতা আজ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গিলে খাচ্ছে। সংবাদে প্রকাশ, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে সাকার ঘাট জুনিয়ার হাই স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকে ৭৭২ জন পড়ুয়া পিছু শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১! এটা কোন ব্যতিক্রমী উদাহরণ নয়। বহু উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মাত্র এক বা দু' জন শিক্ষকের উপর পঠন পাঠনের পুরো দায়ভারটি ন্যস্ত। এমনও দেখা যায়, সেই এক বা দু'জন শিক্ষক ছুটিতে গেলে স্কুলের গ্রুপ -  ডি কর্মীকে ক্লাস নিতে হয়। কখনও বা আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে এই অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলে। শিক্ষার প্রতি এই নির্দয় অবহেলা অপরাধসম। শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী। শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলে ক্লান্তিহীন বিজ্ঞাপন যতই দেওয়া হোক না কেন, এই রাজ্য সরকার তিলে তিলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছয় মাস পার হওয়া সত্ত্বেও  ২০২১ সালের টেট লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা কর্মপ্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুই করা গেল না। আরও উল্লেখ্য, এই নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোন ধরনের মামলাই দায়ের করা হয়নি।

    শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবই নয়, সরকার এবং সরকার - পোষিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ, পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। নেই পর্যাপ্ত স্কুল ঘর, কোথাও খোলা আকাশের নীচে চলছে পঠন পাঠন, কোথাও শিক্ষক নেই, নেই শৌচাগার - পরিশ্রুত পানীয় জল - এমনই করুন অবস্থা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে। গোটা শিক্ষাক্ষেত্র জুড়ে কত শূন্যপদ রয়েছে ( শিক্ষক - অশিক্ষক পদে)  তার কোন সরকারি হিসাব আজ পর্যন্ত পেলনা রাজ্যবাসী। অথচ, তুমুল মস্করা করে, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন রাজ্যে নাকি ৩০ হাজার চাকরি তৈরি! সরকার নাকি শুধুমাত্র নিয়োগ পত্র দেওয়ার অপেক্ষায়। আর, ঠিক ক'দিন আগে সংবাদে প্রকাশিত হল রাজ্যে কর্মসংস্থানের আরেকটি মর্মান্তিক ছবি। সংবাদে প্রকাশ, মালদায় সরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্র পরিচারিকাদের জন্য একটা প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করে, যাতে অংশ নেয় ৪০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহিলারা। 

    এতো বড় একটা ঘটনার পরও রাজ্যের নাগরিক  সমাজ নীরব নিশ্চল! ক্ষমতার উদ্ধত চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলার মূল্যবোধ এ রাজ্যে যেন বড়ই বিষম বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, যে সমস্ত টগবগে প্রাণ কাউকে তোয়াক্কা না করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশকে পরিনত করেছেন তাঁদের প্রতিবাদ প্রতিরোধের তীর্থস্থান, এক গণ আদালত, এক গণ সংসদে -- সেটাই আগামীতে রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনবে এক ফুটন্ত সকাল! সেই অবিচল, অবিনশ্বর বিশ্বাসের উপর ভর করেই উত্তাল সমুদ্রে বেয়ে চলেছে নবজীবনের তরনী। সমস্ত বাধা বন্ধনকে উপেক্ষা করে।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১৫৮১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দীপ | 2402:3a80:1989:381a:578:5634:1232:***:*** | ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:২০541749
  • যতো ইস্লামিক মৌলবাদকে তোষণ করবেন, বিজেপি ততো শক্তিশালী হবে! 
    না বুঝলে কিছু করার নেই!
     
  • দীপ | 2402:3a80:196f:aa31:878:5634:1232:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৫:২১541773
  • এতো দিন দেখেছি জমি কেনা থেকে বাড়ি করা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমতি (পড়ুন টাকা দিতে হয়) নিতে হতো লোকাল ক্লাবের! লোকাল ক্লাব না বলে বলা ভালো এলাকার শাসক দলের তথাকথিত দাদাদের কাছ থেকে।
    আজ দেখলাম প্রেম করতে গেলেও নাকি এলাকার অনুমতি নিতে হবে, শুধু প্রেমই নয়, বিয়ে করতে গেলেও লাগবে অনুমতি। আর সেই অনুমতি দেবে কারা? না শাসক দলের কচ্চি নেতারা! (খড়দহের এই ঘটনায় তাঁদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ঘটনা ও তাঁদের নাম উল্লেখ করলাম না)
    আরও আশ্চর্য যে এই ঘটনার সমর্থনে আর এক নেতা বলছেন, এটা ইউরোপ নাকি? এই নিয়ে নাকি সালিশিও বসে ছিল(সেটি সেই নেতা মিডিয়ার সামনে বুক ফুলিয়ে বলছেন)! কত বড় আস্পর্ধা। আচ্ছা সমস্যা কোথায়? দুজন প্রপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে ৩ বছর ধরে প্রেম করছে(এটি প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার), পরের সপ্তাহে তাঁরা বিয়ে করতে চলেছে। এখনে নোংরামির কী আছে? নাকি মেয়েটি আগে বিবাহিত ছিলো তাই? নাকি মেয়েটি ছেলেটির থেকে বয়সে বড় তাই?
    এর উত্তরে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, "পাত্রীর বয়স পাত্রের থেকে বেশি। তাছাড়া পাত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল। তার তিন সন্তানও রয়েছে। এই ধরনের সম্পর্কে এলাকার যুব সমাজকে প্রভাবিত করবে" (এই শেষের লাইনটি মন দিয়ে পড়ুন)। বাহ্ কী সুন্দর উত্তর! যুব সমাজকে প্রভাবিত করবে! একটি জেনারেশনের চাকরী খেয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য করে বলছে কী না প্রেম করলে যুব সমাজ প্রভাবিত হবে....!
    এর পরেও নচ্চি দা এসে ২১ এর মঞ্চে গান গাইবে,'রাজ্যটা এখনও ইউপি, গুজরাট হয়ে যায় নি।' আমরা তালি দেবো (?)
    ধুর ঘুম পাচ্ছে ব্রাআআ!
    দুয়ারে মদ প্রকল্প এখনও শুরু হল না কেন কে জানে?
     
    -ফেসবুক
  • দীপ | 2402:3a80:196c:5734:778:5634:1232:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২৫ ২২:১৮541962
  • আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যানার্জিদি একজন অত্যন্ত সেনসিটিভ এবং উচ্চমার্গের ইন্টেলেকচুয়াল। দিনের পর দিন অত্যন্ত সুচারুভাবে তিনি বামপন্থীদের কয়েক দশকের তৈরি মেধার দম্ভ ভেঙেই চলেছেন। তিনি দেখিয়ে চলেছেন আসলে এইসব পুঁথি পড়া বুলি কপচানো গাদা গাদা তথ্য দিয়ে তৈরি কিছু প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গের খেটে খাওয়া আধপেটা মানুষের বালটাও ছেঁড়া যায় না। রাজনীতিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করেছেন, সাধারণ মহিলাদের মধ্যে নিজের ক্যারিশমা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, পাওয়ার প্লে তে পুরুষদের হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সর্বোচ্চ শিক্ষিত, ডিগ্রিধারী, ক্ষমতাশালী লোকজনকে নিজের চারপাশের বাঁদরনাচ করাচ্ছেন, এবং তারা গ্রীড এবং স্টুপিডিটির যে ব্যাপক উলঙ্গ ডিসপ্লে করে চলেছে, তাতে সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ের যে ইতিহাস, যে ত্যাগ এবং অভাবনীয় রেসিলিয়েন্স এর উদাহরণ, সবটা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে। যে পরিমাণ প্রোপাগান্ডা গত তেরো বছরে তৃণমূল আইটি সেল ছড়িয়েছে, তাকে নস্যাৎ করার চেষ্টাটুকু শুরু অবধি করা সম্ভব হয়নি বামপন্থীদের পক্ষে। মানুষের স্মৃতি থেকে সত্তরের ইতিহাস মুছে যাচ্ছে। এটা গত চল্লিশ বছর ধরে উনি করছেন। ছোট ছোট স্টেপে। এই প্রজন্মের কাছে বামপন্থাকে একটা ইউটোপিয়া তে পরিণত করেছেন তিনি। 
    উল্টোদিকে এই লড়াইয়ে মুখোমুখি দাঁড়াবার শক্তিটুকু পর্যন্ত বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা জড়ো করতে পারছেন না। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ইত্যাদিদের লেগাসি অবধি চাড্ডিদের ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে প্রচার করতে হচ্ছে! গতকাল এক তৃণচাড্ডির কেলগ এর অনুষ্ঠানের বর্ণনা সমেত একটি পোস্ট প্রায় হাজার শেয়ার হয়েছে। বামপন্থীরাই করছেন।
    জন্মভিটা হারিয়ে আন্তর্জাতিক হওয়া যায় না। নিজের ঘরের মানুষের লাশ পেরিয়ে কোনো পিংক ওয়েভের অংশ হওয়াটা আসলে হাস্যকর দ্বিচারিতা। মালদা থেকে উত্তরবঙ্গ, কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই, একথা গত পাঁচ বছর ধরে আমি লিখছি, বলছি। আমার পোস্টে বিধিবামগণ এসে জ্ঞান দিয়ে যান। কিন্তু সংগঠন নিয়ে কারুর মুখে একটি কথাও শুনিনা। সবাই ফাটকা খেলছে। ফাটকা শেয়ার করছে, ব্যক্তিনির্ভর পপুলারিটির রসে মজে আছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। আজ নিখুঁত গণিতের মত বিজেপির সাম্প্রদায়িক মানচিত্র তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। এর দায় একমাত্র বামপন্থীদের। ছাত্র রাজনীতি ক্ষমতার গর্ভে চলে গেছে। কমিউনিজম বলে এ রাজ্যে আর কিছু নেই। থাকার কথাও না। কিন্তু দক্ষিণপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্লু প্রিন্টও যদি দক্ষিণপন্থীদের থেকেই ধার করতে হয়, তাহলে এই যে চারিদিকে বাম স্তাবক তৈরি হচ্ছে, যারা কোনরকম স্বাধীন চিন্তা করে না, কোনোভাবেই মানুষের কাছে পৌঁছনো নিয়ে চিন্তিত না, শুধু নেতাদের তালে তাল দিচ্ছে, এরা সবাই মিলে তৃণমূল অথবা বিজেপিতে ঢুকে গেলেই হয়। টাইম অ্যান্ড স্পেস এর প্রবাহ বামপন্থার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারেকশন প্যারামিটার। লেনিনের "কি করিতে হইবে" ১৯০২ সালে লেখা। আরো একবার ঝালিয়ে নিতে অসুবিধা নেই। সুভাষ চক্রবর্তীর স্পর্ধা প্রয়োজন। সুশীল কর্পোরেট বামের হায়ারার্কি না।

    ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • দীপ | 2402:3a80:196c:5734:778:5634:1232:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২৫ ২২:১৯541963
  • লিখেছেন তপারতি গঙ্গোপাধ্যায়।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:e9bb:678:5634:1232:***:*** | ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৪২542104
  • দোষী শুধু রোদ্দুর রায়!
  • দীপ | 2402:3a80:198d:321:778:5634:1232:***:*** | ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৬542144
  • সকালে একটু কাজে বের হয়েছিলাম। দিকে দিকে তিনু আর বিজেপি রাম নবমীর খেল দেখাচ্ছে। কে কাকে টেক্কা দেবে বলতে পারছিনা। কিন্তু বামেরা বলেছিল যে সব নাকি লক্ষ্য রাখছে? আমি কোথাও তাদের টিকি টি দেখতে পাইনি। হয়তো ইজরায়েলের আর ট্রাম্প বাবাজীবনের ওপর লক্ষ্য রাখতে গিয়ে এদিকে লোক কম পরেছে। যাই হোক এবারে আর নো বমি মার্কা তাদের কথা বার্তা শুনতে পারছি না। মালদায় তো মুসলিম সম্প্রদায় ফুল টুল ছুঁড়ছে রাম নবমীর শোভা যাত্রায়। যাদবপুরে অমান্য করে রাম নবমী চলছে। বামেরা নাকি লক্ষ্য আর রাখতে পারছে না! কী করে রাখবে, কদিন আগেই ধুমধাম করে ইফতার করেছে ভেতরে। এখন কিছু বলতে গেলেই বিপদে পরবে। তাই কিছুই বলতে না পেরে এখন বলছে রাম পাখি খাবো আজ! আমি কালকেও বলেছি, বাঙালি হুজুগে জাতি। ধুমধাম করে যখন রাম নবমী পালন করছে, করতে দে বাপ। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। কালকে থেকেই পয়লা বৈশাখে কী খাবে, কী কী করবে তার প্ল্যান করবে। রাম নবমী ভুলে যাবে। রাজনীতি করতে হলে চোখ কান খোলা রাখতেই হয়। আজকে বাপ আর এসব নিয়ে চুলকাস না। কিন্তু যতই বলি না কেনো, তোদের চুলকানি জন্মগত। পার্ক সার্কাসে সেদিন যে ছেলেটা কলকাতাকে শাহীন বাগ বানাবে বললো, তার একটাও নিন্দে তোরা করলি না। হয় আদর্শ নিষ্ঠ হ , জাত পাত ধর্ম এসবের ঊর্ধ্বে উঠে বাজে টাকে বাজে বল নয়তো চুপচাপ থাক। ধান্দানিষ্ঠ হয়ে তো দেখছিস আম ছালা সব গেছে। ফেসবুকে ইয়া বড় বড় হ্যাজ নামাস না আর। এখন ধান্দাবাজী সব্বাই করতে জানে।
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:198f:4c81:878:5634:1232:***:*** | ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪৭542736
  • অবিভক্ত মেদিনীপুর চাকরি চুরির আঁতুড়ঘর। "টাকা ও লাইন ছাড়া চাকরি হয়না" -এটা সব আমলেই ঘটে এসেছে। ঘুষের রমরমা প্রচন্ড। একটা ছোট ক্যাজুয়াল পোস্টের জন্য বা সিভিক ভলান্টিয়ার পোস্টের জন্য যে পরিমাণ টাকা দিতে হয় সেটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে! 

    স্কুলের ডেপুটেশন ভ্যাকেন্সিতে গেলে জয়েন করার আগে ১ দেড়-দুই লাখ দিতে হ'ত! 

    এই জেলায় যেমন খুব ভালো স্টুডেন্ট পাবেন ঠিক তেমনি টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রচুরজনকে পাবেন! সেচ দপ্তর, বনদপ্তরে কতজন যে টাকা দিয়েছে ও তাদের টাকার সর্বনাশ হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই! 

    এখানে ছোট থেকেই বাড়ির লোকেদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে টাকা ছাড়া চাকরি হবেনা। সেজন্য বাড়ির লোকজন ঘটিবাটি বিক্রি করে,হবু শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরির জন্য টাকা দেয়। শিক্ষক নিয়োগে ওই আমলের শেষের দিকে টাকা ছাড়াও অরিজিনাল ডকুমেন্টস রেখে দিত দালালরা! আবার কোন দালাল বলতো চাকরি হ'লে টাকা দিতে। মানে ১০ টা ঢিল মেরে দুটোতে আম পড়লেই কিছু না করেই টাকা! ২০১০ এর এক কচি স্কুলের নিয়োগে দর ছিল দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ! 

    এই যে কোমর ভেঙে দেওয়া,আত্মবিশ্বাস গুঁড়িয়ে দেওয়া, ফলে বহু ভালো স্টুডেন্টও অসদুপায় অবলম্বন করতে বাধ্য হয়!

    সার্ফ এক্সেল নেতাই আসল কালপ্রিট এই অবিভক্ত জেলার,এখন সতী সাজছে! পতি,প্রধানরা আসল সাপ্লাই লাইন! 
    আমি মনে করি এ রাজ্যের চাকরি চুরি রুখতে এইসব মাথাদের ধরা উচিত,যাদের কাউকেই আঁচড়ানো হচ্ছেনা!

    তবে অন্যান্য জেলাও সতী নয়,প্রচুর আছে! বিশেষ করে মেদিনীপুর লাগোয়া বাঁকুড়ার কোতুলপুর,লেগো,পেনো,ছেনো,বালঠে,গেলিয়া,চাতরা,সাঁইতারা,রাজগ্রাম,ময়নাপুর,বাঁকুড়া টাউন -এগুলোতে ঘনত্ব সবাইকে লজ্জা দেবে আরকি! তাই মেদিনীপুর শুনে অন্যদের সতী সাজার প্রয়োজন নেই! আবার উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব বর্ধমান,মালদা,নদীয়া,মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গা তো প্লাজমা স্টেটে আছে! তবে হাওড়া সবার সেরা আর হাওড়ার শ্যামপুর সেরার সেরা! তবে আলাদা করে আর কীইবা বলবো,পুরো রাজ্যেই....! 
    সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হ'ল এই যে, যারা সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করে তাদের মধ্যে এই % টা আবার অনেক অনেক বেশি!
    ©প্রদীপ শাসমল
  • দীপ | 2402:3a80:198b:2f91:678:5634:1232:***:*** | ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৩542752
  • "অশোক খেমকা, IAS. সরকারি সিস্টেমে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির ত্রাস। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর কাজ করছেন, এবং চাকরির প্রথম দিন থেকে কোরাপশন দেখলেই ধরেছেন সংশোধন করেছেন। বিভিন্ন সরকার তাকে নিয়ে অতিষ্ঠ। এই কেরিয়ারে ৫৭ বার ট্রান্সফারের চিঠি হাতে ধরানো হয়েছে IAS কে, কিন্তু তিনি দমেননি। হাসি মুখে নিজের ট্রান্সফারের চিঠি গ্রহণ করেছেন, পরিবারকে নিয়ে একের পর এক জায়গায় রিলোকেট করেছেন সেখানে গিয়ে আবার Anti Corruption অপারেশন চালিয়েছেন। একসময় ট্রান্সফার করতে করতে সরকার ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আজ এই লড়াকু IAS এর কেরিয়ায়ের শেষ দিন, বয়েস অনুসারে অবসর নেবেন অশোক খেমকা। তিনি কেরিয়ার শেষ করছেন হরিয়ানার ট্রান্সপোর্ট বিভাগের এডিশানাল চিফ সেক্রেটারি হিসেবে। একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে IAS অশোক খেমকাকে প্রণাম ও ধন্যবাদ। নতুন প্রজন্মের IAS দের মধ্যেই অশোক খেমকা বেঁচে থাকুন বছরের পর বছর সেই প্রার্থনা জানাই। জয় হিন্দ।"

    লিখেছেন অরিত্র দত্ত বণিক।

    সশ্রদ্ধ নমস্কার!
  • দীপ | 2402:3a80:4318:171e:778:5634:1232:***:*** | ২৫ মে ২০২৫ ১৬:৩৭731667
  • আমেরিকা কেনো উন্নত জানেন? একটা বেবি ফুডের কৌটোতে  ব্যবহারের ১০ বছর পরে জং আসায় মামলা হয়েছিল। কোম্পানি কে বেবি ফুড বানানোই বন্ধ করতে হলো। আজ বাজারে এত চিংড়ি মাছ কেনো পান? এত এন্টিবায়োটিক দেওয়া যে উন্নত বিশ্ব নেয় না। এক হাল চা পাতার। পেস্টিসাইড রেসিডিউ বেশি, নাকচ। আম, আপেল সবেতেই এক হাল। আর এখানে? আমার দেশে ভাগাড় বিশু জামিন পায়। ব্যাঙের ছাতার মত ভুয়ো কোম্পানি দিব্যি জাল ওষুধ বানায়, আমরা খাই। জলে আর্সেনিক, ফ্লুরাইড, কোন ব্যপার না। মুরগি থেকে সবজি, মশলা থেকে কসমেটিকস দেদার ভেজাল, না আছে মনিটরিং, না আছে ল্যাব, না আছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার, না নিয়োগ হয় না ছানবিন। ঘুষ দিলেই সব পাস! শালা ভেজাল খেয়ে খেয়েই বড় হলাম। মহান দেশের ভেজাল প্রতিরোধ আইন গুলো খুঁটিয়ে পড়ুন। উকিল লাগবে না, নিজেরাই বুঝে যাবেন পাশ কাটিয়ে যাবার ১০১ টা উপায় আছে। তোরা বাম, তিনু, চাড্ডি  নিয়ে হৈ হৈ কর, হিন্দু মুসলমান কর। তোদের বাপেদের স্নেহে সারা দেশ জুড়েই জালের রমরমা চলুক। প্রবাদ আছে, ঘুষ ঠিকমত না দিতে পারলেই একমাত্র জাল ধরা পরে। ঘুষ খায়না এমন কোন পার্টি আছে নাকি? অতএব জালি কারবার চলবে। জালি মাল খাবি আর জালি করবি, লাইফ সেটেল! মরে গেলে? হে হে , কিলবিলের দেশে  তুই বাপু একটা সংখ্যা। তুই মরলে তোর বাড়ির লোক ছাড়া কার কি যায় আসে? 
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:1989:bc3:578:5634:1232:***:*** | ০৮ জুন ২০২৫ ২১:০০731934
  • শাসকের ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ!
    এই প্রতিবাদ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করুক; এই কামনা করি!

     
  • দীপ | 2402:3a80:198d:892c:778:5634:1232:***:*** | ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৬:১১732267
  • মহারাষ্ট্রে তিন মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ কৃষক!
    নির্বিকার সরকার!
    আচ্ছে দিনের সামান্য নমুনা!
  • দীপ | 2402:3a80:198f:ca3b:878:5634:1232:***:*** | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৪732585
  • এটা ঠিক হলো না। একটা ঐতিহ্য থাকবে না? ও হাকিম সাহেব, আফনার শোক দিবসে ডিম্ভাত তাও মানা যায় তাই বলে চিকেন ভাত? একি অনাসৃষ্টি! আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো ওটা শোক দিবস নাকি মেঘ না চাইতেই জল দিবস? আচ্ছা, সেদিন তো আবার মেঘ বৃষ্টিতে ভেজার ও দিবস! মরলো কংগ্রেসের হয়ে রুদালি সাজছেন আপনারা! এ তো রিজানুর কেস! মরলো ছেলেটা, মারলো যারা তারা পেল প্রাইজ। এখানেও তাই, গুলি চালালে যে সেই আবার আপনাদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেও গেল। রিজানুরের ভাই এখন আবার এম এল এ! সেই বিখ্যাত চাপড়া, যেখানে প্রিন্সিপাল পেটানো হয়।তাহলে কি ধরবো সাহেব? এই দিনটা শোক নাকি ক্ষমতা প্রদর্শন নাকি ভুলভাল বোঝানো নাকি মেলা খেলা আর কলকাতা দেখতে আসা দিবস? রাগ করেন না প্লিজ। ধরা গলায় এত কিছু বললেন কিন্তু সত্যিই ক্লিয়ার হলোনা কাল কি দিবস?
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:198f:cd04:878:5634:1232:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৪732636
  • তাহলে এগুলো কি পেছনে গোঁজার জন্য লাইন দিয়ে তৈরি করেছিলাম? আধার না থাকলে ব্যাঙ্কে একটা একাউন্ট খোলা যায় না, প্যান কার্ড বানানো যায়না, তাহলে এসব পয়সা খরচ করে বানানো করালেন কেনো? জীবনের যে কোন কাজে, সে সরকারি স্কলারশিপ হোক, সরকারি, বেসরকারি কাজ হোক, আধার আবশ্যিক করেছেন কেনো? আপনি আধার, প্যান ইত্যাদি ছাড়া পাসপোর্ট বানাতে পারবেন? ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে পারবেন? আধার জাল হচ্ছে সেটা আটকানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পেরে এখন ভুলভাল বলছেন সেই নোট বন্দীর মতো? নেহাৎ প্রতিযোগী তেমন নেই বলে অপদার্থতার চুড়ান্ত সীমায় চলে গেছেন। মানুষজন কে আবার লাইনে দাঁড় করাবেন আবার একটা কার্ডের জন্য? আপনাদের ভুলভাল নীতির জন্য মানুষ সব কাজ কারবার ছেড়ে ৫০ রকমের কার্ডের জন্য রোজ লাইন দেবে? শুনুন মশাই, ৬ বার ঘষে যে স্নাতক আমলা হয়েছে তার থেকে বিশাল কিছু জ্ঞান আশা করবেন না। ওসব লাইন চষে দেখেছি ভুষি মাল বেশী। ভারতের মতন এত বড় দেশে এরকম জন সংখ্যায় বারে বারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যায় না। অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকাবার আর জালি আধার কার্ড বন্ধ করার বহু মেকানিজম আছে। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে চাইলে রাজ্যের দিকে দায় না ঠেলে নিজেদের মেশিনারি তৈরি করুন। অনেক টাকা আছে আপনাদের। কিন্তু দয়া করে এসব বদমাইশি এবার বন্ধ করুন। দলিল, দস্তাখত দেখিয়ে যদি ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হয় তাহলে ওসব ভোটার উৎসাহ রেখে দিন। মানুষের অনেক কাজ আছে, অনেক কষ্ট করে ইনকাম করতে হয়।
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2402:3a80:1989:d458:578:5634:1232:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৬732923
  • আপনারা পি সি সরকারের ম্যাজিক দেখেছেন কিন্তু পিসি সরকারের ম্যাজিক কী দেখেছেন? এই প্রশান্ত বর্মন WBCS এর প্রথম পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ২০০-র মধ্যে ১৪ র ও কম। তালিকায় নাম ছিল ৮০,৯৪৬ জনের পরে। কিন্তু ওই তালিকা থেকেই প্রথম ৯৭২১ জনকে পরের পরীক্ষার জন্য ডাকা হলে উনিও ডাক পান। কারণ ওই ১৪ নম্বরটা ম্যাজিক হয়ে বেড়ে হয় ১৬৮ নম্বর।

         এই দ্বিতীয় পরীক্ষায় উনি ফাটিয়ে দেন। একেবারে ফার্স্ট হয়ে যান ১১৫৭+ নম্বর পেয়ে। নিন্দুকেরা বলে ইংরাজি তে শূন্য পেয়েছিলেন কিন্তু ম্যাজিক এর ফলে তা হয়ে যায় ১৬২ আর বাংলায় নাকি পেয়েছিলেন ১৮ কিন্তু আবার ওই ম্যাজিকের জন্য তা বেড়ে হয় ১৬৮ নম্বর। ফলে যে পরীক্ষায় ২০০ জনে মাত্র একজন পাশ করতে পারে সেই পরীক্ষায় উনি শুধু পাশই করলেন না, একেবারে ফার্স্টবয়। 

         বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলার বিডিও। সরকারি মাইনে তেই ৪০ লাখ টাকা কাঠা দামের কয়েক কাঠা জমিতে বিশাল অট্টালিকা বানিয়েছেন। আবার ম্যাজিক।
     
    লিখেছেন শুভ্র সুন্দর।
  • দীপ | 2401:4900:713b:9396:391b:e460:d795:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ০০:৩৪733050
  • আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না, অশিক্ষিতের ভিড়ে চিল্লিয়ে বলছেন ইলেকশান কমিশনের অর্ডার মানি না, এর আগে বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার মানি না! তো মানেন কী আপনি? সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন সেটা কি মানেন? আপনার দাবি টা ঠিক কি বুঝিনা। আধার হলো যখন, তখন বললেন কাউকে কিছু করতে হবে না, নিজে জানালেন আপনি আধার কার্ড বানাবেন না, অনেকে ভুলে গেলেও জনসভায় আপনার সেই দিনের চিল চিৎকার আমি ভুলিনি। বেশ হাততালি পরেছিল! তারপর? আপনার কোন পরিষেবা আধার ছাড়া হয়? অশিক্ষিত জনগণ কে কী কারণে আপনি বোকা বানিয়ে এরকম নাটক করে আনন্দ পান? আপনি ক্যা মানেন না, কিছু ভাত ছড়ানো বুদ্ধিজীবী দিয়ে ক্যা ক্যা ছি ছি করিয়ে আসর মাতালেন। বাস্তবে কি হলো? আইন হয়ে গেছে। এখন বলছেন ক্যার নামে ওরা নাম লেখাবে কেনো? সে সব করার জন্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর আছে। মানে আপনি মেনেই নিয়েছেন। তাহলে এসব করে কী লাভ হয়? আপনি যে ভাবে বাংলাদেশের জয় বাংলা হুঙ্কার দেন, আমার তো মনে হয় অচিরেই না বলে বসেন ভারতে থাকবো না। নিজের আলাদা দেশ দরকার মনে হয়! তাহলে কি  জামাতের মতন গ্রেটার বাংলাদেশ চাইছেন? আপনি যে ভাবে সিমির প্রাক্তন সদস্য কে পার্লামেন্টে পাঠিয়েছেন তারপর থেকেই বেশ অবাক হয়েছি। পাশের বাংলাদেশের নির্যাতন নিয়ে ভুলেও একটা কথাও কোনদিন বলেন না। এত বড় একটা ঘটনা মুর্শিদাবাদে ঘটে গেল, তারপরেও কোন বিকার আপনার মধ্যে নেই। এই রাজ্যের মুসলমানের থেকে অবৈধ বাংলাদেশি নিয়ে আপনার দরদ এত বেশি কেন? কী কারণে হুমকি দিচ্ছেন এক জন ভোটারের নাম বাদ গেলে দেখে নেবেন? মানে বলতে চাইছেন এখানে অবৈধ ভোটার নেই? আপনার কথায় বাংলাদেশের উগ্রপন্থীরা মনে বল পায়, ভরসা পায় যে তাদের এই রাজ্যে অন্তত বসবাস করতে অসুবিধা নেই। সেই বিখ্যাত খাগড়াগড়ে গ্যাস থেকে ব্লাস্টের গল্প আমরা ভুলিনি। পাশের বাংলাদেশের মৌলবাদীরা কি চোখে আমার দেশ কে দেখে জানেন না? আপনি তো বলেন ফেসবুক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাদের মনোভাব কী?তারা এই দেশ বিশেষ করে এই রাজ্যটাকে উগ্রপন্থীদের মরুদ্যান বানাতে চায়। তাদের সহায়তা করছেন আপনি? বাংলাদেশ থেকে দলে দলে অবৈধ মৌলবাদী ঢুকলে এই রাজ্যের মুসলমানের কী হাল টা হবে ভেবে দেখেছেন? নিজের কর্মচারীদের ডিএ আটকাতে রোজ কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। রাস্তায় বাচ্চাদের ভ্যান উল্টে যাচ্ছে, স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ধুঁকছে পয়সার অভাবে এদিকে জগন্নাথ ধাম হচ্ছে, দুর্গা পুজার মোচ্ছব খাতে কোটি কোটি বের হচ্ছে। চাকরি থেকে ভবিষ্যৎ চুরি চলছে অবাধে, চুরির পরে চুরি, খুন, ধর্ষণ, মারপিট লেগেই আছে। লাখে লাখে বেকার। কিছু বলতে গেলেই অন্য রাজ্যের তুলনা কেনো শুনবো আমরা? আর কতটা তলানি তে নামাবেন এই রাজ্য টাকে? সামান্য ভাতা দিয়ে আর কতদিন গরীব মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করবেন? ছিঃ!
    #ভেনোচরিতকতা
  • অরটউইন গোলডবেরগ | 2607:fb91:f9b:323:e53d:e177:1d5c:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ০২:৫০733051
  • দীপ্তাংশুবাবু শান্ত হোন। কীইইইই হবে এত্তো স্প্যাম করে? 
  • দীপ | 2402:3a80:1989:5b97:578:5634:1232:***:*** | ০৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৩৮733061
  • জয় বাংলা!
    ঠ্যালা সামলা!
     
     
     
    https://fb.watch/Bkd0QFV7y4/?mibextid=Nif5oz
  • দীপ | 2402:3a80:198d:e963:778:5634:1232:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪৫733126
  • "গাড়ি পার্কিং করার জায়গা নিয়ে বিবাদ। এর জেরেই দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার জঙ্গপুরায় অভিনেত্রী হুমা কুরেশির সম্পর্কীয় ভাই আসিফ কুরেশিকে (৪২) খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতের এই খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা দুই ভাই।
    সূত্রের খবর, বাড়ির সামনে স্কুটার রাখাকে কেন্দ্র করেই আসিফের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কয়েক জনের। আসিফ সেখানে গাড়ি রাখতে বারণ করায় বিবাদ শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ওই লোকজন আসিফকে আক্রমণ করেন।
     
    আসিফের স্ত্রী সাইনাজ় কুরেশি ওরফে সাহিনের দাবি, যারা তাঁর স্বামীকে আক্রমণ করেন তারা তাঁদের প্রতিবেশী। এর আগেও ওই একই জায়গায় গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন সাহিন।   
     
    জানা গিয়েছে, সেখানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বাড়ির সামনে স্কুটারটি রাখা হয়। আসিফের মুরগির ব্যবসা আছে। দোকান থেকে ফেরার সময়ে সেখানে স্কুটার থাকতে দেখে তা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন আসিফ। সাহিনের দাবি, এই কথা বলার জন্যই আফিসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে অন্যরা এগিয়ে আসার আগেই সেখান থেকে চলে যায় হামলাকারীরা।
     
    গুরুতর আহত অবস্থায় ন্যাশনাল হার্ট ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আসিফকে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই নিয়ে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
     
    অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।"
     
    তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার!
    অপরাধীদের কঠোর শাস্তি চাই!
     
     
  • দীপ | 2402:3a80:198f:2ee2:878:5634:1232:***:*** | ১২ আগস্ট ২০২৫ ১৮:১৫733270
  • চোরের ব‌উয়ের বড়ো গলা! 
     
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c39c:778:5634:1232:***:*** | ১৬ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩২733404
  • সোজা কথা ভাই, আমি মুসলমানদের পছন্দ করি। আমার প্রচুর মুসলমান বন্ধু আছে। যারা আমার বন্ধু নয় তাদেরও ভালবাসি। ওরা অ্যাটলিস্ট লিবারেল সেকু মাকুদের মত হিপোক্রিট না। মাকুরা সক্কাল থেকে উঠেই তাদের পা ধরে টেনে গান শুরু করে, শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয়, ফিরে আয়। তারা ফেরে না। মুসলমানরা তাদের ধর্ম সম্পর্কে সচেতন। ভুলেও আল্লাহ, নবী কিংবা কোরআন হাদিসের অসম্মান যেখানে করা হয় সেখানে থাকে না। প্রগতিশীল মাকু দের মতন দুর্গা কে বেশ্যা, শিবলিঙ্গ তে কনডম পরাতে 
    বলে না, এগুলো হিন্দু মাকুর দল শুরু করেছিল। কিন্তু গাঁড়ে এত দম নেই যে নবী কে নিয়ে ফাজলামি মারবে। যাই হোক মুসলমান স্পষ্টবাদী, তাই আমি পছন্দ করি। ঠিক হোক কী ভুল নিজের ধর্ম নিয়ে ফাজলামি পছন্দ করে না। মুসলমান সাহসী। তাই তসলিমা কে কলকাতা ছেড়ে পালাতে হয়। মুসলমান বীর। ওবামার মুণ্ডু চেয়ে ৩ ঘণ্টা পার্ক সার্কাস বন্ধ করে রাখতে পারে গোটা ফুলিশ কে হিজড়ে বানিয়ে। উড়ন্ত লাথি খেয়েও ফুলিশ বলে কিচ্ছু হয়নি তো! দাবি আদায় করতেও জানে মুসলমান। চেয়েছে পাকিস্তান পেয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে ম্যাক্সিমাম গরীব। কারণ সবাই জানে। এরা ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে রাজনীতিতে ব্যবহৃত হয়। রাজনীতির লোকজন সেটা করে, তোল্লাই দেয়। মুসলমান কি বলেছে তাদের তোল্লাই দিতে? না। একরোখা মুসলমান কে ভারতবর্ষ ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারে নি, সেটা মুসলমানের দোষ না। হিন্দুদের মতন তারা ডরপুক জাতি না। হিন্দুরা মুসলমানের কাছে বহুৎ মার খেয়েছে, পাছার কাপড় তুলে পালিয়েছে, রোজ কাঁদুনি গায়, দ্যাখো গ্রেটার ক্যালকাটা কিলিং, নোয়াখালি হয়েছে, দেখো গো বাংলাদেশে কী করছে! বেশ করছে। যে জাতি ভীরু, যে জাতি বক ধার্মিক, যে জাতি এক অন্যের পেছনে কাঠি দিতে জানে, যে জাতি ভন্ড সেক্যুলার সাজে, যে জাতি নিজের কালচার নিজে ধরে রাখতে পারে না, মার খেয়ে পালায় তাদের জন্য নিষ্ঠুর প্রকৃতিতে বেশিদিন সারভাইব করা সম্ভব না। এই যে আজ এখানে সিনেমার ট্রেলার দেখাতে এত ভয়, এর কারণ মুসলমান রেগে যাবে। একটা সিনেমার জগতের কারুর সাহস হয়েছে বলার যে, ভালো, খারাপ যাই হোক দর্শক কে দেখতে দাও। বাজে হলে দর্শক ছুঁড়ে ফেলে দেবে। না, মাতব্বরের দল নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছে এই ছবি দেখলে দাঙ্গা হতে পারে! তাহলে মুর্শিদাবাদে ওসব হলো কেনো? কোন ছবি সে সময় বের হয়েছিল? ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন কোথায় চলে গেল! তাই আবার বলছি হিন্দু মুসলমান মিলে মিশে নতুন ভারত তৈরি করুন পুরোনো বিদ্বেষ ভুলে। অন্যের কিংবা নিজের ধর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করুন। সিউডো সেক্যুলার হবেন না।
    #ভেনোচরিতকতা
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন