এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • তুমি তো প্রহর গোনো, তারা মুদ্রা গোনে কোটি কোটি

    অতনু চক্রবর্তী 
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১৬১৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৪ (৭ জন)
  • রাজ্য রাজনীতিতে বিরাট  তোলপাড় তুলে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা,  দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার  পার্থ চট্টোপাধ্যায় যিনি রাজ্য মন্ত্রীসভার দ্বিতীয় ব্যক্তি । শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীই নন, তিনি তৃণমূল দলের বিরাট মাপের এক নেতা, শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির চেয়ারম্যান ও বটে । শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যার উপর দল  সঁপেছিল তিনিই এতো বড় কেলেঙ্কারি, আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন --- নির্মম পরিহাসের এর থেকে বড় উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে রয়েছে কিনা সন্দেহ আছে । তাঁর সাঙাততন্ত্রের  কদর্য চেহারাও  দেখলো গোটা রাজ্য। কিভাবে তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল গুপ্তধন, কোটি কোটি টাকা,  অঢেল বিদেশি মুদ্রা ও সোনার অলঙ্কার! মিলল কি বিপুল স্থাবর  সম্পত্তির হদিশ । কুৎসিত বৈভবের নির্লজ্জ প্রদর্শনী চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল ক্ষমতার অলিন্দে থাকা এই সমস্ত হোমরা চোমরা নেতা - মন্ত্রী কত বড় বহরের অন্যায় - অবিচার - কে গোপনে সংগঠিত করেছিল বছর বছর ধরে। এতোবড় দুর্নীতির সাথে নাম জড়ানো  সত্ত্বেও রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে পার্থবাবুকে বরখাস্ত করা হল না। বোঝাই গেল, দুর্নীতির প্রশ্নে শূন্য সহনশীলতার নীতি আমাদের নীতিবাগিশ  মুখ্যমন্ত্রীর না- পসন্দ। আর তারপরেও সবাইকে  অবাক করে  মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি নাকি এই সমস্ত কিছুর বিন্দু - বিসর্গ ও জানতেন না!!  

    কিন্তু, এতো বড় অন্যায়ের শিকার যাঁরা হলেন, তাঁদের কি হবে?  রাজ্যের সাধারণ ঘরের অগুনতি  ছেলে মেয়েরা বহু পরিশ্রম করে এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় নাম ওঠার পরও দেখলেন তাঁদের চাকরি হলো না। উল্টে তা বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেল।   এদিকে, ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাঁচাবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।  বঙ্গ - সম্মান প্রদানের মঞ্চকে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের মঞ্চে পরিনত করে অবলীলায় জানালেন যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি আগে কিছুই জানতে পারেননি। অথচ কে না জানে, ২০১৯ সালের এসএলএসটি - র মেধা তালিকায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে- র নাম হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসল আর তিনি চাকরি পেয়ে গেলেন "যাদুকরী"  স্পর্শে।  গেজেট অনুযায়ী নিয়োগ না করার প্রতিবাদে ২০১৯ -র ২৮ শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার মেয়ো রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে ' যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ' এর ব্যানারে দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে শুরু হয় অনশন আন্দোলন। ২৯ দিনের মাথায় হঠাৎ অনশনস্থলে আবির্ভূত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এসএসসি কে ঘুঘুর বাসা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সেখানে গঠন করেন একটা কমিটি ---- আর, সেখানে তাঁদেরই রেখে দিলেন  যাঁরা ইতিমধ্যেই দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত।  কে না জানে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এসএসসি - র মাধ্যমে শিক্ষক ও অশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে যে পরীক্ষা হয়, তাতেও লেপ্টে ছিল দুর্নীতির বড়সড় অভিযোগ। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে যে এলো, তাও কি মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না?  হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি - র নিয়োগ দুর্নীতি যাচাই করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এটাও কি জানতেন না মুখ্যমন্ত্রী? হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটি এসএসসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে আঙুল তুলেছিলেন, তাও কি শুনতে পাননি মুখ্যমন্ত্রী?  না কি শুনতে চাননি? একদিকে   ক্ষমতার দম্ভ ও দাপটের মিশেল, অন্যদিকে ঠগ খুঁজতে দল উজাড় হওয়ার আশঙ্কায় তিনি নীতিহীন আপোষ করেছেন দুর্নীতির সাথে। 

    ২০১৫ সালে সংঘটিত আপার প্রাইমারি প্যানেলের মধ্যে বিরাট অসঙ্গতি থাকায় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে তা সংশোধন করতে।   আজও ওই প্যানেলের নিয়োগ সম্পন্ন হলো না। ফলে, প্যানেলের মধ্যে থাকা চাকুরিপ্রার্থীরা ২০১৫- ২০২২ - --- এই দীর্ঘ সাত বছর ধরে যে স্বপ্ন সযত্নে লালন পালন করেছিলেন, তার ভ্রূণ হত্যা হল। টেট কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসলেও তার সমাধান আজ পর্যন্ত হল না। এদিকে,  সংকট থেকে পরিত্রাণ খুঁজতে মুখ্যমন্ত্রী আদালতের দিকে দায় ঠেলে দিলেন। হাইকোর্ট ও শিক্ষা সচিবের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে কোন কোন শূন্যপদ পূরণ আদালতের রায়ের কারণ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তা হলফনামা পেশ করে জানাতে। 

    সাম্প্রতিক দুর্নীতি কান্ডে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে আতঙ্কজনক কর্মহীনতার ছবি। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় ঘনিয়ে ওঠা সরকার - সৃষ্ট নৈরাজ্য, পড়ুয়া -পিছু শিক্ষকদের লজ্জাজনক ঘাটতি, রাজ্য সরকারি - আধা সরকারি - স্বশাসিত সংস্থাগুলোতে বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণে শূন্যপদ না পূরণ করার আখ্যান। পড়ুয়া - শিক্ষক অনুপাতের চরম দৈন্যতা আজ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গিলে খাচ্ছে। সংবাদে প্রকাশ, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে সাকার ঘাট জুনিয়ার হাই স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকে ৭৭২ জন পড়ুয়া পিছু শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১! এটা কোন ব্যতিক্রমী উদাহরণ নয়। বহু উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে মাত্র এক বা দু' জন শিক্ষকের উপর পঠন পাঠনের পুরো দায়ভারটি ন্যস্ত। এমনও দেখা যায়, সেই এক বা দু'জন শিক্ষক ছুটিতে গেলে স্কুলের গ্রুপ -  ডি কর্মীকে ক্লাস নিতে হয়। কখনও বা আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে এই অবস্থার সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলে। শিক্ষার প্রতি এই নির্দয় অবহেলা অপরাধসম। শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী। শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলে ক্লান্তিহীন বিজ্ঞাপন যতই দেওয়া হোক না কেন, এই রাজ্য সরকার তিলে তিলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকেই ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছয় মাস পার হওয়া সত্ত্বেও  ২০২১ সালের টেট লিখিত পরীক্ষায় পাশ করা কর্মপ্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুই করা গেল না। আরও উল্লেখ্য, এই নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোন ধরনের মামলাই দায়ের করা হয়নি।

    শুধু পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবই নয়, সরকার এবং সরকার - পোষিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ, পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। নেই পর্যাপ্ত স্কুল ঘর, কোথাও খোলা আকাশের নীচে চলছে পঠন পাঠন, কোথাও শিক্ষক নেই, নেই শৌচাগার - পরিশ্রুত পানীয় জল - এমনই করুন অবস্থা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে। গোটা শিক্ষাক্ষেত্র জুড়ে কত শূন্যপদ রয়েছে ( শিক্ষক - অশিক্ষক পদে)  তার কোন সরকারি হিসাব আজ পর্যন্ত পেলনা রাজ্যবাসী। অথচ, তুমুল মস্করা করে, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন রাজ্যে নাকি ৩০ হাজার চাকরি তৈরি! সরকার নাকি শুধুমাত্র নিয়োগ পত্র দেওয়ার অপেক্ষায়। আর, ঠিক ক'দিন আগে সংবাদে প্রকাশিত হল রাজ্যে কর্মসংস্থানের আরেকটি মর্মান্তিক ছবি। সংবাদে প্রকাশ, মালদায় সরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্র পরিচারিকাদের জন্য একটা প্রশিক্ষণ শিবির সংগঠিত করে, যাতে অংশ নেয় ৪০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মহিলারা। 

    এতো বড় একটা ঘটনার পরও রাজ্যের নাগরিক  সমাজ নীরব নিশ্চল! ক্ষমতার উদ্ধত চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন তোলার মূল্যবোধ এ রাজ্যে যেন বড়ই বিষম বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, যে সমস্ত টগবগে প্রাণ কাউকে তোয়াক্কা না করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশকে পরিনত করেছেন তাঁদের প্রতিবাদ প্রতিরোধের তীর্থস্থান, এক গণ আদালত, এক গণ সংসদে -- সেটাই আগামীতে রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে আনবে এক ফুটন্ত সকাল! সেই অবিচল, অবিনশ্বর বিশ্বাসের উপর ভর করেই উত্তাল সমুদ্রে বেয়ে চলেছে নবজীবনের তরনী। সমস্ত বাধা বন্ধনকে উপেক্ষা করে।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ জুলাই ২০২২ | ১৬১৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:198f:5ad9:878:5634:1232:***:*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪৩734072
  • আনন্দবাজার কি এখন ওড়িশা থেকে ছাপানো হয় নাকি পশ্চিমবঙ্গের কেঁচো নিয়ে নাড়াঘাটা করলে বিজ্ঞাপন হারাবার ভয়! সন্দীপ ঘোষ, তার খামার বাড়ি, আমার সাজা ভাইয়ের ভেড়ির পর ভেড়ি, শূন্য পেয়ে বিডিও হওয়ার কোটি কোটি সম্পত্তি, নেতা মন্ত্রী বাদ দিলাম, সুফিয়ানের বাড়ি দেখে আমাদের পিসি অব্দি হা করে দুই মিনিট চেয়ে ছিল! ভাইপোর শান্তিনিকেতন, অপার খামার, ভাঙ্গড় লাভ হাউস, মায় ছেলে পুলেদের সোয়াবিনের বিরিয়ানি খাইয়ে ভিডিও তোলা শিক্ষকের সিনেমা আর্টিস্ট মার্কা রাজপ্রাসাদ কী তাদের চোখে পরে না? বালুর মেয়ে কিভাবে টিউশন করে কোটি টাকা জমালো, সেটাও বলে দিলে আমার ছেলে মেয়েকে বলতাম চাকরি ছেড়ে টিউশন কর! ওপাশে মাগুর মাছ বিক্রেতা কিভাবে হাজার কোটি সম্পত্তি করেছে কিংবা ব্যাচা কী বেচে এত বড়লোক হলো জানিনা। বুদ্ধবাবুর নির্বাচনী এজেন্ট এখন পাড়ায় থাকে না। সব কিছু গুটিয়ে ব্যাঙ্গালোরে। ডি আই অফিসের পিওন কিভাবে পুরীতে হোটেল খোলে সেই নিয়ে মাথাব্যথা নেই। সামান্য সিভিক, কোটি টাকার সম্পত্তি। সেই দিনের বি ডি ও, কলকাতায় ৪ টে ফ্ল্যাট কিনে বসে আছে। পুলিশ না হয় বাদের খাতাতেই রাখলাম। সামান্য হার্ড ওয়ারের কার যেন দোকান ছিল? এখন? জহিরুল ভাইকে ইডি না ধরলে জানতাম কত হাজার কোটির মালিক? বেকার কুন্তল, পাতি নেতা, কোটির নিচে কথা বলতো? বি এড কলেজের মালিক, তৃণ, বিজেপি করে নিজেই ভবানন্দ সাজা যে মালটা নকল গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছিল তার সোর্স অফ ইনকাম? বাইরন কী জন্য কংগ্রেসের টিকিট পেয়েছিল কিংবা কৃষ্ণ কল্যানী বিজেপির? রাজ্যে কি কিছু কম পরেছে যে ওড়িশা ছুটতে হবে? গোটা দেশ থিকথিকে টপারে ভর্তি বাপ। এই জন্য ভালো ছাত্র আর খারাপ ছাত্র বিচার করিনা আমি। সব বিক্রি হয়, সব। দামটা শুধু জানতে হয় কার কিসে সন্তুষ্টি। কারুর টাকায়, কারুর মেয়ে মানুষে, কারুর ক্ষমতায়। হে হে! এসব খবর শুনলে এখন হালকা মুতে হয় চা খেতে যাই নইলে ঘুমিয়ে পরি।
  • দীপ | 2402:3a80:197f:c142:878:5634:1232:***:*** | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৫734148
  • এদের শুয়োরের বাচ্চা বললে শুয়োরের বাচ্চার অপমান করা হয়!
     
  • দীপ | 2402:3a80:1979:8764:778:5634:1232:***:*** | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৫734209
  • কি অদ্ভুত মিল! একজনের লেখা বই পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে স্কুলে পড়ানো হবে আর আরেকজনের জীবন কাহিনী ভারতবর্ষের স্কুলে স্কুলে দেখানো হবে।
     
    ফেসবুক 
  • দীপ | 2402:3a80:1989:81f2:578:5634:1232:***:*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫১734298
  • ভিখারির থেকেও কাটমানি! 
     
  • দীপ | 2402:3a80:1979:e649:778:5634:1232:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৭734362
  • কলকাতা পাঁচঘন্টা জলের তলায় বলে কান্না পাচ্ছে?

    ২০১৮ সালে সামসেরগঞ্জের ছেলেমেয়েদের কাঁদতে দেখেছি হাউমাউ করে।

    ২০২৪ সালে ভুতনির মানুষকে কাঁদতে দেখেছি
    ২০২৫ সালে ধুলিয়ান,সুতির মানুষকে কাঁদতে দেখেছি
    আগের বছর ঘাঁটাল,পাঁশকুড়ার মানুষকে কাঁদতে দেখেছি।

    সংবাদবেশ্যারা কী করেছে?এখন কান্নাটা যেমন কান্না ওইকান্নাগুলোও ঠিক তেমন কান্না ছিল।

    ২০০৮ সালের বন্যায় আমি নিজে একদিন ভাত খেতে পাইনি,সব কাঠ ভিজে গিয়েছিলো বলে,মুড়ি খেয়ে কাটিয়েছিলাম,আমি নিজে দুদিন সকালে গাছের উপর উঠে পায়খানা করেছিলাম ল্যাট্রিন জলে ডুবে গিয়েছিল বলে।তখন আমার কষ্ট হয়নি?আমার অন্তত বাড়িতে জল ঢোকেনি।আমি গ্রামের পর গ্রাম দেখেছি দোতলা বাড়ি জলের নীচে।হাজার হাজার মাটির বাড়ি ভাঙতে দেখেছি।রেল ব্রিজ ভাঙতে দেখেছি।তখন আমাদের কষ্ট হয়নি?

    সেদিন আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছিলেন।আজও মানুষের কষ্ট বুঝি।পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাবে এইসব হচ্ছে।সরকারের কাজ এই পরিকল্পনা রচনা করা এবং তা বাস্তবায়িত করা।না পারলে তাকে ব্যর্থতা বলে।
    জাপান পারছে,ইরান পারছে,জার্মানি পারছে তুমি পারছো না মানে তোমার কোথাও না কোথাও গলদ  আছে।সেটা মেনে নিতেই হবে।

    —©ঋষিকৃপা
  • দীপ | 2402:3a80:1979:67a0:778:5634:1232:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৩১734363
  • "কদিন আগে বেহালায় মেয়র সাহেব বলেছিলেন, কোলকাতা অপরিকল্পিত শহর। সমস্যা থাকবেই। নিউ টাউন তো প্ল্যানড সিটি। সেখানেও একই অবস্থা। সমস্যা প্ল্যান নয়, সমস্যা অন্য। মেয়র সাহেব সেটা ভালই জানেন।"
  • দীপ | 2402:3a80:1989:8d5b:578:5634:1232:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৬734388
  • এই Natural Calamityর আগাম সতর্কতা কি প্রশাসনের কাছে ছিল না? আমি তো বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম গতকাল রাতে, এরকম কিছু হবে। কিন্তু ওনারা জানতেন না। 
    কালকে দেখলাম এই শহরের মেয়র, একজন সম্পুর্ন ইনকম্পিটেন্ট লোক, একি সাথে বিধায়ক এবং কাউন্সিলর, তিনি কলকাতা ফুটবল লিগের পুরস্কার বিতরণ করছেন। এই ভদ্রলোকের নিজের বিধানসভায়, বে আইনি বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ সারা শহর জুড়ে বে আইনি বাড়ি হয়েছে৷ অথচ ওনার কোন দায় নেই। কোন এমারজেন্সি মেসার নেই। কোন আগাম সতর্কবার্তা নেই। 

    মুখ্যমন্ত্রী দেখলাম, গান কবিতা শেয়ার করছেন, ফিতে কাটছেন। ৮ জন মানুষ মারা যাবার পরে আজকে দুদিনের ছুটি দিয়ে দিলেন। কোন দায় নেই।
    আমাদের এদিকে সবচেয়ে বড় লেক ছিল পাটুলির। সেখানে ভিয়েতনামের স্টাইলে ফ্লটিং মার্কেট হয়েছে, যেখানে কেউ যায় না, কোন মেন্টেনেন্স নেই। খাল গুলো ড্রেজিং হয় না। ইস্ট কোলকাতা জলাভূমি বুজিয়ে বাড়ি তৈরি হয়েছে, তাও কিছু লোক বলে চলেছে সরকারের কোন দায় নেই। 
    বিকাশ ভটচাজ তো নয় খারাপ লোক, চুরি ধরে খালি। তা সেই লোক যখন মেয়র ছিল তখন আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ এর কাজ করেছিল সারা শহর জুড়ে। মাটির উপরে 'I love  পাড়ার ভ্যাট' জাতীয় বিষদৃশ্য art work করতে পারে নি বলে তোয়ালে শোভন হয়ে স্যান্ডো ববি কোলকাতার মেয়র। তারা এই ড্রেনেজ সিস্টেম মেন্টেইন করেননি কেন? এই প্রশ্ন করলে আপনি পলিটিসাইজ করছেন।

    বি:দ্র: সন্তোষপুরের খাল শেষবার ড্রেজিং করা হয়েছিল সম্ভবত ২০২০ সালে, সুজন চক্রবর্তীর উদ্যোগে।  কিন্তু উনি তো মমতাকে মমতাজ বেগম বলে, বা ক্যা ক্যা ছি ছি বলে রাজনীতি করেননি - তাই যাদবপুরের বিধায়ক হয়েছেন এমন লোক, যে একি সাথে টালিগঞ্জের ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড এর কাউন্সিল। এদের মাইরি বিধায়ক হবার পরেও কাউন্সিলর হবার লোভটা কিন্তু গড লেভেলের। এখন ফুল যাদবপুর -টালিগঞ্জ খাবি খাচ্ছে। ছাপ্পা মেরে জেতা ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড এর জলে ভাসছে ফল বিক্রেতার লাশ।
     
    অবিন দত্তগুপ্ত
  • দীপ | 2401:4900:16cb:1843:c77a:df03:f3e6:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫২734391
  • কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ (বিদ্যুৎ ) সন্দীপ বক্সী কোথায় ?
    তাঁকে মিডিয়া ধরতেই পারলো না। তাঁর নাকি গলায় ব্যাথা। তাই কথা বলা বারণ।
    তাঁর এক সতীর্থের দাবি, যা বলার সি এম বলছেন, ভাইকে কিছু বলতে হবে না। দাদা এমনই নির্দেশ দিয়েছেন ভাইকে। 
    সিইএসসির শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় ?
    কলকাতার পুর এলাকার ল্যাম্প পোস্ট দায়িত্ব
     কে এম সির। মেয়র ইন কাউন্সিল (লাইট) সন্দীপ কে ক্লিনচিট দিয়ে পুরসভাকে দায় মুক্ত করা অন্যায়। 
    কলকাতায় সৌন্দর্য্যায়নের নাম করে ল্যাম্প পোস্টে এল ই ডি লাগানোর আহাম্মকগিরি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। 
    নেতাদের সন্তানদের মোটা বেতনে গোয়েনকা গোষ্ঠীতে চাকরি , অলিপুরে বাড়ির অন্দর সজ্জার বরাত পাবেন এক নেতার স্ত্রী, আবার ইলেকট্রিক শক এ মৃত্যুর দায় মেনে দাঁত খিঁচুনি হজম করতে হবে ...
    অলীক কুনাট্য বটে।
  • দীপ | 2401:4900:16cb:1843:c77a:df03:f3e6:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:১৫734397
  • ।।উন্নয়নের জোয়ার জল।।
    বাইপাসের কিনারে আমাদের কমপ্লেক্সে একতলায় প্রায় হাঁটুজল। বাইরে কোমরজল। বিগত ৩৫ ঘন্টায় জল একই রকম, কমার কোনো লক্ষণ নেই। গৃহস্থালির বর্জ্য যে ড্রামগুলোয় জমা হয় সেগুলো ভেসে গেছে। জমা জলে সকল বর্জ্য ভাসছে। জল পচে দুর্গন্ধ উঠছে। গাড়িগুলো সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে অর্ধেক জলে ডুবে আছে। 

    প্রায় পঁয়ত্রিশ ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই। ফ্রিজে যেটুকু খাবার ছিল হয় শেষ না হলে নষ্ট। খাবার এবং পানীয় জল প্রায় নিঃশেষিত। অন্ধকার, দরজা জানালা বন্ধ রাখলে গরমে সেদ্ধ হচ্ছি আর খুলে দিলে প্রচন্ড মশা ছেঁকে ধরছে। ঘুমোনো এখন বিলাসিতা! 

    ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। পাওয়ার ব্যাঙ্কও নিঃশেষিত। টিভি চলছে না। নিজেদের কাঁদুনি গাইছি কিন্তু ফোনেই দেখেছি বহু মানুষের এর চেয়েও বেশি দুর্দশা। সবচেয়ে খারাপ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মিছিল। আমাদের কাছেই অভিষিক্তার মোড়ে একজন হতভাগ্যর এই দশা । বেশি বৃষ্টি হলেই এরকম মৃত্যু এখন যেন গা সওয়া। কিন্তু আপনারাই বলুন, এই মৃত্যু কি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায়? চার্জ শেষ হয়ে গেলে বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব এবার। আর খবর পাবো না। সেই বোধহয় ভালো!

    বৃষ্টি আর তো হয়নি কাল থেকে। কিন্তু ৩৫ ঘন্টা পরেও জল এতটুকু সরছে না কেন জানি না। এই নারকীয় অবস্থায় আর কতক্ষণ কাটাতে হবে জানি না তাও। শরীর খারাপ লাগছে এবার। এই শহরে প্রশাসন বলে কিছু কি আছে?

    কী আর বলব। আমরা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছি!!
    - পল্লব কীর্ত্তনীয়া।
  • Manali Moulik | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩৬734400
  • সবই তো বুঝলাম, কিন্তু করণীয়টা কী??
  • দীপ | 2402:3a80:198b:3065:678:5634:1232:***:*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০৮734533
  • কিছু বিজেপির কর্মী চক্রান্ত করতে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি বলেছেন হিন্দু মুসলিম করা পেছনে ঢুকিয়ে দেবো। খুবই হিরোইক ব্যাপার৷ আমি মনে করি ঠিক করেছেন। উস্কানি, অশান্তিকে শাস্তি দেওয়া উচিৎ। সত্যিই তো, ধর্মের নামে অশান্তি উস্কানি করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। আমার প্রশ্ন এই রবীন্দ্র নগর থানার আইসি তার গুরু IPS রাজীব কুমারকে প্রশ্ন করুন কয়েকমাস আগে থানায় ঢুকে ধুলিয়ান, সামসেরগঞ্জে, গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে দফায় দফায় যখন হিন্দুদের খেদিয়ে বের করা হচ্ছিলো, হুগলি জেলায় নেট বন্ধ করে হিন্দু পেটানো হচ্ছে, যখন থানায় ঢুকে পুলিশকে লাথি মেরে ফেলা হচ্ছে কাগজে ছবি বেরোচ্ছে তখন এই ডায়ালগটা রাজীব কুমার কি মুর্শিদাবাদে বা হুগলিতে দিতে পেরেছিলেন? আমিতো কাঁচুমাচু মুখে ওনাকে কোনোরকমে পরিস্থিতি শান্ত করে কেটে পড়তে দেখলাম টিভিতে। ধর্মের সন্ত্রাসীদের পেছনে ঢোকাতে হলে দুই ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করুন। পক্ষপাতদুষ্ট পেছন বানাবেননা নাহলে কখন কে আবার লুঙ্গি তুলে লাথি মারে সেই পেছনে(যেমনটা কয়েকমাস আগে টিভিতে দেখালো), সেটা খবরের কাগজে আমাদের পড়তে হয়, হাসি পায়।
     
    লিখেছেন অরিত্র দত্ত বণিক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন