খিল্লি। প্রচণ্ড খিল্লি। উতপটাং, চিতপটাং, মিশনারি-কুত্তাপটাং-সিক্সটিনাইন-আইন-বেয়া-ডোপ বেআইন বিল্লির ল্যাজে দিনরাত দাঁত-অঙ্গ খিঁচিয়ে-খেঁচিয়ে ইয়ে উত্তোলনে স্বাধীনতা-ভ্যালেন্টাইন-বসন্ত-বাতাসে হতাশ দশায় জীবন উদযাপনে গুপ্তধনে দোল দিয়ে যায় যাবার বেলায় আত্মনির্ভর করে তোলে নালে-ঝোলে রাম-হরিবলের মায়া জাদুবলে এই খিল্লি। ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে শুনি অতল খিল্লির উদগ্র আহবান। মন রহে না আর জাঙ্গিয়ার বুক পকেটে। আজি উছলি উছলি উঠে কেবলই ধায় আমার সক্কল ভালোবাসা... প্রভু... খিল্লির পানে। নয়ন মেলে দেখি আমায় খিল্লি ঘিরেছে। গোপনে সে কেমন কোরে এ গাঁড় মেরেছে...!
গাঁড় ও মগজের অদ্বৈত প্রেমে কাউকেই অস্বীকার না করায় কূটকূটে ও কুতকুতে যুগলবন্দীর তানে বাজিতে থাকে নটরাজের বীর্য-মাখা ডম্বরু হাতে পূর্ব-পশ্চিমে গোপন-যৌবন-দ্বারের আগুন-মাখা দ্রিদিম তাল। আমরা সমস্বরে বলে উঠি বাল-বাল-বাল। প্রচণ্ড বাল্পনা যখন বাস্তবতার প্রভূত চোদনে চূড়ান্ত উল্লুকানন্দ-কাননে আধ-মাড়ানো নিতম্বে ঘাসের ডগার শার্প-নোট বাইট-চুম্বন-ডেটার আপ-ডাঊনলোডে ফুল লোড হয়ে এক অতি আস্বাদনীয় কেলানে-বিবস্ত্র অবস্থা প্রাপ্ত হয় তখন তাহাকে খিল্লি অবস্থা বলিয়া কেলা-হার্ট-কালচার-হাভাতে হাড়-শিহরিত হ্যালু-খোরেরা মাতিয়া উঠেন। নিম্নে নানাপ্রকার সমসাময়িক ও ক্লাসিক খিল্লি খিল্লিত হইল:
সামাজিক খিল্লি: দারিদ্র ও দেরিদা
অ্যাকাডেমিক ন্যাকাচোদা খিল্লি সামাজিক খিল্লির ধর্ম ও ব্যবসা ও বহুদিনের খ্যামটা খানকি-রূপী সহবাসী। প্রচুর উত্তাপে সেঁকে নেওয়া সেঁকো-বিষ থিওরি পোঁদে গুঁজে আত্মগরিমার মাতলামিতে জীবনের ন্যারেটিভ রচনা এক পোঁদে-পুস্তক খিল্লি। ইহাতে মগজের ব্যবহার ও সময়ের ব্যায়ভার প্রচুর। অনেক উৎসাহী বঙ্গীয় বাল এই খিল্লিতে প্রাণ দিয়ে ইতিহাস-পুকুরে আধভেজা পাতিহাঁসের জীবনের ঝরা পালক হয়ে আজও ঝর-ঝর মুখর বাদর দিনের আশায় পোঁদ-বিচি-নিউরোন রণে-বনে শুয়ে-বসে চুলকাইতেছেন। প্রচণ্ড অ্যাডিকটিভ এই সামাজিক খিল্লি।
আর্থ-সামাজিক খিল্লি: ভিখিরি ও শপিং মল
ভিখিরি-পাত্রে কয়েনের ঝনাতের তালে ডিস্কের উদোম-মদ্য ফোয়ারার ঝিক-ঢিকের নিত্যমিলনে-মর্দনে চোষণে এই খিল্লির নিত্য জন্ম পদ্ধতি প্র্যাকটিসিত।এই প্রকার খিল্লি মানব জাতির অক্সিজেন। সভ্যতার বিকাশে এ খিল্লির অবদান প্রচণ্ড-উত্তাপ যৌনতার তুরীয় আআআআহ-ধ্বনির ন্যায়, ন্যায়-আদলতের কমোডের প্রধান বিচারপতির পটি-ন্যাড়ের স্বর্গীয় ভিসুয়াল। পুরস্কৃত কাঁদুনে শিল্প মেকিং-এর জন্য এই প্রকার খিল্লি প্রধান কাঁচামাল ও ভরসা!
গণ-খিল্লি: মিডিয়া ট্রায়াল ও সেলেব
সেলেব্রিটির মুখ-চোখ-পোঁদ যৌনাঙ্গের ক্যামেরা কভারেজ। তার পারসোনাল জীবনের বীভৎস গল্প, পারভারসনের তালে বেজে ওঠা পারকাশন কাশের বনে গণ-মনে গনগণে জিঘাংসা-জিজ্ঞাসার উত্তেজনা-তৈরির ময়রা-মিডিয়ার সুইট হাতের ছোঁয়ায় গাঁড়ে গাঁড়ে পৌঁছে গেলে দেশ-শহরের পোঁদ দুলে ওঠে। ওঠো গো ভারত-লক্ষ্মী ওঠো জেগে প্রাতে হেগে আদি-রিপু তাড়িত গণ-ক্রোধ। এ খিল্লি উচ্চ-দামী প্রেমী-রামী-বামী চণ্ডীদাসী খোদার খাসি ফুল ভালবাসি স্টাইলে সকলের মুণ্ডহীন পোঁদে অবস্থিত।
রিলেটিভিটি-খিল্লি: তুমি ও আমি
তুমি-আমি, আমরা-তোমরা, গোমড়া-ভোমরা, বোলতা-মৌমাছি, বাঙ্গালি-বিজেপি, বাল-মাল, বিচিত্র-বিচি, আবাল্য-বাল্য এই প্রকার একে অপরকে খিল্লিত করা বা ভাবার দ্বৈত-প্রয়াস যা মনোজগৎ গঠন কোরে এক ক্ষুদ্রতা-আবদ্ধ চিলে-শকুনের মৃত-বদ্ধ লাশকাটা ঘরের টেবিলের পরে জীবনের নীরস হাত মেরে যাওয়ার আবর্তে। এক সাইক্লিক সফট-ডিক মৃদু-ফিক খিল্লি যা আমাদের প্রত্যেক মোমেন্টে ঘেঁটে ঘ কোরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সসম্মানে কবরে ও শ্মশানে রাষ্ট্রের উপেক্ষা ও শোষণের বন্দুক-বাঁড়ার ঠেকানো ঘনিষ্ঠ-উত্তাপের উৎফুল্ল ফুল-পরাগের রেনুমাখা এ খিল্লি কাকা।… ফুল খিল্লি বাঁড়া!
অস্তিত্ব-খিল্লি: জীবন ও মরণ
জ্যান্ত থাকার উৎসাহ। আত্মহত্যার চিন্তা ও প্রয়াস। জীবনের অর্থ, আমির অর্থ-পরমার্থ নিয়ে গাঁড় ফাটানো চিন্তা, মগজ-হ্যাকানো চোদনা-হ্যাজানু-লম্বিত দিনরাত। ক্যানো আমারে বুঝল না এ জীবন। সূক্ষ্মবাতাসে ক্যানো উড়ে গেলেম না আত্মা হয়ে। ক্যানো ঢুকিতে পারলাম না তোমার গোপন ঘরে তোমার একমাত্র চোদনা প্রেমিকের রেপ-মাস্ক পরে…সেই অতিজাগতিক হতাশায় সারাদিন খিঁচি… কলমির গন্ধ ভরা বারুদ আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে। হেঁটে যাই জীবনের খোঁজে ইলেকট্রিক শক খাই বিদ্রোহের নামে একা সময়ের কারাগারে। উরি শালা কি বেদনা আজ মম গাঁড়ে…।
খিল্লিত খিল্লি: মোক্সা ও বাল্পনা
খিল্লির বাল-বিচি অনন্ত কাল-ব্যাপী বিষ-তাড়িত এক সাপ-বেজির মঙ্গল কাহিনী।বাল নাগরিকের চিন্তা-উৎসব বোঁদে-মুড়কি প্রসাদের খিল্লিত হরির লুটে নাইট-মেয়ারে কত মাতাল-গেঁজেল জুটে… মোক্সা-খিল্লির কথা না বলিলেই নহে। ইহা এই সকল খিল্লির পানে চেয়ে চেয়ে পুলকিত ধনে প্রতিদিন প্রাতে নব নব ধনে নব বীর্য-পাতে খুশি-অখুশি সিক্ত-রাঙ্গা সভ্যতা-বন্যতার পোঁদ-মগজ বা মগজ-পোঁদ কাহিনী। জয় বাঁড়া মোক্সা খিল্লি!
রাজনৈতিক খিল্লি: সরকার ও বিরোধী
ক্ষমতা, অধিকার, সম্পদ, মানবাধিক্কার, শীৎকার, চিৎকারের সমাবেশে এক ফুল-কাঠামো তব অ-চিন-তো, অ-পাকিস্তান-জাপান-আমেরিকা-তো… পণ্যবাজার ব্যাজার-অর্থনীতির ঝলসানির ঝলমলে শতাব্দী-এস্কপ্রেস, কফি-এসপ্রেসো…এসো এসো চোদনা-নেতা ছাদনাতলার ঘরে এসো…ধপাস পড়ে পাপোশ পরে আমারে মেরে ভালবেসো টাইপের গভীর বিশ্বাসে প্রচণ্ড পতপতে মরণ-শক্তির ভয়-পতাকায় জয় হে খুঁজে নিয়েছে এই খিল্লি। হেব্বি জনপ্রিয় এবং আনপ্রোডাকটিভ এই খিল্লি অ্যানারকি-টাইপ প্রতি-খিল্লির বাল-চেল্লানি গণ-গাঁড় খটাশ-মারি আওয়াজের অশ্রুত-ডিস্ক-বিট শুনেছে কিনা এখনো জানা যায় নাই…!
রোদ্দুর রায় আর স্যান্ডি সাহার একপেশে কোস্তাকুস্তির খিল্লিটা বাদ দিয়ে গেলে(ন), ভাইটু !
কী লাভ হয় এসব খিস্তি খামারিসম্বলিত ফাঁকা-কলসী টাইপ রচনা লিখে? কী হয় এসব বুলবুলভাজায় জমা করে? ছায়াপিণ্ড ....?
মাইরি, আমিও ভাবলাম ইনভাইটেড লেখা, হয়ত জিনিস থাকবে। কিসুই বুঝলাম না, পড়ে কোন আনন্দও হলনা, ক্রিয়েটিভ নতুন কিছুও দেখলাম না।
গঞ্জিকাসেবীর.............. ।. কিন্তু বিষয় নির্বাচনে গুরুচন্ডা৯ র দুঃখিত হলে হবেনা দায়িত্ব আশা করি|
অন্ততঃ এইসব অ লেখার বিরুদ্ধে একটু নির্মম হন । লেখকের স্বাধীনতা মানে তো রকবাজি খিস্তি নয় । নিজের অক্ষমতা র প্রকাশ মাত্র এই লেখা ।।
বন্যেরা বনে সুন্দর, রোদ্দুর রায় টু লাইনারে
একথালা লঙ্কার আচারের সঙ্গে সিকি টুকরো পরোটা যেন
রোদ্দুর রায়কে এমনিতে বেশ ভালো লাগলেও এই লেখাটা একদম পোষাল না। বেটার লাক নেক্সট টাইম।
এই রোদ্দুর রায় একেবারেই ভূষিমাল। এই লেখাটার সারবস্তু কিছুই নেই। শুধুমাত্র কিছু কাঁচা খিস্তি লিখলেই নবারুণ ভট্টাচার্য হওয়া যায় না। এই রোদ্দুর আসলে চূড়ান্ত ফ্রাসট্রেটেড গাঁজাখোর।
ভদ্রলোক বাংলাটা বেএএশ খারাপ লেখেন দেখলাম। কিন্তু, সেটাও বড় কথা নয় কেননা অপরিশীলিত শব্দপ্রয়োগ ও ত্রুটিপূর্ণ বাক্যগঠন ইদানিং সেলিব্রিটির বার্থরাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে আশিরনখ আত্মবিশ্বাস সহযোগে ভদ্রলোক এই গারবেজগুলি প্রকাশ্যে প্রসব করেছেন স্বাধিকারপ্রমত্তভাবে, সেইটেই সাধারণ পাঠকের মধ্যে আশঙ্কার উদ্রেক করে।
সঙ্গে ছবিটা বেশ ভালো হয়েছে। ভাষাটা যথেষ্ট খটমট। খুবই খিল্লি, তাই স্বাভাবিকভাবেই কোনো গ্রহণযোগ্য বার্তা বর্জিত।
দ্যাশের পোধানমন্তি যখন স্টেজে ফুল ক্যামেরার সামনে আলফল বাংলা বলে আর সেটা সবাই হ্যাঁ করে সনে, তখন খিল্লি বেরোবে না তো আর কি বেরোবে।
এসব বুঝতে হবে....
লেখাটা কিছু বুঝলাম না৷
অসা। নেকুপুসু শান্তিনিকেতনপনার মুখে সজোর থাপ্পর। গুরুতে পড়া শ্রেষ্ঠ লেখা এটি। টুপি খুললাম।
আমি রোদ্দূর রায়ের ফ্যান। অসাম লেখা।
সত্যি অসাধারণ ট্যালেন্ট।........
এটা কী? এটা কি লেখা?
বহুদিন পরে এসে ভেবলে গেলাম!
সনিবারের ভাল ভাল ধারাবাহিকগুলো বন্ধ হয়ে এইসব ওচাটে মাল আসছে।