এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • গল্পঃ পলায়নপর

    Muradul islam লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ এপ্রিল ২০২০ | ৩০৭৬ বার পঠিত
  • এক ধরনের মোহগ্রস্ততা আমরা অনুভব করতে থাকি। আমাদের মনে হয় যে বহুদিন ধরে এইখানে কোন আনন্দ উৎসব হয় না। আমাদের মনে হয় কোন এক অদ্ভুত পোকা আমাদের জীবন গাছের মূল শেকড়টাকে ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলছে এবং তার ফলশ্রুতিতে আমরা আমাদের শিরায় শিরায় অনুভব করছি এক ধরনের অন্তঃসার শূন্য শূন্যতা, যেই শূন্যতার কোন তুলনা নেই।

    নিজেদের জীবন এবং চারপাশকে আমাদের ভয় হতে শুরু করে এবং এই ভয় আমাদের মধ্যে যেন অলৌকিক ভাবে ঢুকে যায়। আর আমরা বুঝতে পারি আমরা যত সময় যাচ্ছে তত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছি।

    এরকম সময়ে আমাদের জীবন যাপন অনেকটা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মত হয়ে যাচ্ছিল। তবুও আমরা যখন শোনলাম হিন্দুপাড়ার পঞ্চম লোকটা মারা গেছে তখন আমাদের খারাপ লাগল। আমাদের পঞ্চম লোকটা অর্থাৎ নরেনের কথা মনে হল। কেউ কেউ বলল, নরেন খুব ভাল লোক ছিল। নরেনের হাসি ও বেদনামাখা মুখ আমাদের সামনে যেন ভেসে উঠল। আমরা স্পষ্ট দেখতে পেলাম যেন নরেন হাসছে আর কাঁদছে। তার হাসি ও কান্নার মাঝে এক ধরনের আশ্চর্য মিল ছিল যা অবাক হওয়ার মত। তবুও আমরা অবাক হলাম না। কারণ অবাক হওয়ার মত বোধ আমাদের মধ্যে তখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না। আমরা শুধু আস্তে আস্তে কথা বলছিলাম, ভয়ে ভয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম বাতাসে আর একে অন্যের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে নিজেদের মুখের প্রতিচ্ছবি যেন অন্যের মুখে দেখছিলাম।

    হঠাৎ হঠাৎ আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম এই ভীতিকর পরিস্থিতি কবে শেষ হবে। সময়কে আমাদের দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মনে হচ্ছিল। যেন তা শেষ হবার নয়। যেন কেয়ামত পর্যন্ত তা চলতেই থাকবে। যেন আমরা এই খানে আমাদের চারপাশে শত শত বিভিন্ন বয়সী বিদেহী আত্মাকে সঙ্গে নিয়ে নিস্তেজ ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকব।

    এইসব মনে হওয়ার ফলে আমাদের খারাপ লাগতে শুরু করল। কিন্তু খারাপ লাগলেও কিছু করার ছিল না।

    আমরা যখন ভয় ও বিষাদে মাখামাখি হয়ে অবস্থান করছি তখন আবার খবর পেলাম যে নরেনের লাশ শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার মত মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের সবারই বাস্তব জ্ঞান ছিল তবুও আমাদের ভেতর টা হু হু করে উঠল। নরেনের মৃতদেহ একলা কোন ঘরে নির্জন এবং বিমর্ষ হয়ে পড়ে আছে ভাবতেই আমাদের চোখ জলে ভরে এল।
    নরেনের খবর আমাদের কাছে যে নিয়ে এসেছিল আমরা সেই রইছুদ্দি বেপারীকে জিজ্ঞেস করলাম, হিন্দুপাড়ার আর কী অবস্থা?

    রইছুদ্দি বেপারী এই প্রশ্নের তেমন কোন উত্তর দিতে পারল না। তবুও হিন্দুপাড়ার অবস্থা সম্পর্কে আমাদের ধারণা করতে কোন অসুবিধা হল না। শশ্মানে বিরামহীন জ্বলছে চিতা। শশ্মান আমাদের গ্রামের কাছাকাছি হওয়ায় আকাশের দিকে প্রচন্ড আবেগে উঠতে থাকা ধোঁয়ার কুন্ডলী এখান থেকেই দেখা যাচ্ছে। তবে আমরা ধারণা করে নিলাম এই ধোঁয়ার কুন্ডলী অচিরেই আর দেখা যাবে না। কারণ মৃতকে শশ্মানে নিয়ে আসার মত মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না।

    আমরা যখন আকাশের উত্তর কোণের দিকে তাকিয়ে এক ধরণের অপার্থিব ছন্দে আকাশের পানে উঠতে থাকা মানুষ পোড়া ধোঁয়ার কুন্ডলীকে দেখছিলাম আর একরাশ কুচকুচে কালো বিষাদ গড়াগড়ি খাচ্ছিল আমাদের ভেতরে তখন আমরা প্রথম দুঃসংবাদটা শুনি। দুঃসংবাদটি ছিল হাফিজদ্দি মৌলানা বিকেলের দিকে মারা গেছেন। তার মৃত মুখের উপর ভনভন করে উড়ছে কয়েকটি স্বাস্থ্যবান মাছি।

    এই খবরে আমাদের বিমর্ষতা আরো বাড়ল আর আমাদের মনে হল হাফিজদ্দি মৌলানা ভাল লোক ছিলেন। তিনি তার স্ত্রীকে অত্যধিক ভালবাসতেন এবং দুই সপ্তাহ পূর্বে যখন তার বউ মারা যাবার আগে পানি পানি বলে চিৎকার করছিলেন তখন হাফিজদ্দি কীভাবে পানি লুকিয়ে রেখেছিলেন তা আমাদের মনে পড়তে থাকে। আমাদের এও মনে পড়ে যখন রোগাক্রান্ত এবং শীর্ণ শরীর নিয়ে হাফিজদ্দি মৌলানার স্ত্রী গড়িয়ে গড়িয়ে পানির পাত্রের কাছাকাছি গিয়ে সেই পানি খাওয়ার জন্য মুখ হা করেছিলেন তখন দ্রুতবেগে দৌড়ে এসে হাফিজদ্দি মৌলানা পানির পাত্র কেড়ে নিয়ে তা দরজা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। হাফিজদ্দি তার বউকে অনেক ভালবাসতেন তা আগেই বলেছি, তাই তিনি চান নি তার বউ মারা যাক। মূলত সেই কারণেই তিনি পানি খেতে দেন নি। কারণ আমরা জানতাম বা আমাদের জানা ছিল কলেরা রোগীকে পানি খাওয়ালে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়।

    হাফিজদ্দি পানি না দিয়ে তার বউকে বাঁচাতে পারেন নি। সেদিনই একটু পরে তার বউ মারা যান। এর তিনদিন পর উপজেলার সুবোধ ডাক্তার আমাদের গ্রামের ফজিলত মুন্সীর ছোট মেয়েকে দেখতে আসলে তিনি বলেছিলেন রোগীকে লবণ গুড় দিয়ে বেশি বেশি পানি খাওয়াতে। তখন আমরা অবাক হই এবং আমাদের ভুল ভাঙ্গে। কীভাবে যেন হাফিজদ্দি মৌলানার কাছেও এই খবর পৌছে যায়। তখন তিনি তার স্ত্রীর কবরের পাশে প্রায় মূর্ছিত অবস্থায় ছিলেন। এই খবর পাওয়ার পর হাফিজদ্দি দীর্ঘক্ষণ নিশ্চুপ থেকে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিলেন। সেইরকম কান্না কেউ কোনদিন দেখে নি। তার কান্না এবং চিৎকার যে ফালি ফালি করে কেটে দিচ্ছিল আমাদের হৃদয়কে এবং তীব্র আক্রোশে উঠে যাচ্ছিল উপরে, আরশের পানে।

    সেদিন থেকে হাফিজদ্দি মৌলানা দানা পানি ছেড়ে দিলেন। তাকে বুঝিয়ে যে ঘরে নিয়ে যাবে বা কিছু খেতে দিবে এমন অবস্থা তখন কারো ছিল না। কারণ সবার ঘরেই কান্না, সবার ঘরেই অসুস্থ, অর্ধমৃত ও মৃতরা। সবার ঘরেই তখন কলেরা।

    হাফিজদ্দি নিজ উদ্যোগেই তার ঘরে গেলেন। কখন গিয়েছিলেন তা কেউ জানে না। তাকেও কলেরা ধরল। এবং শেষ পর্যন্ত তিনিও মারা গেলেন। তার স্ত্রীর মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পরে।
    হাফিজদ্দি মৌলানার মৃত্যু আমাদের ভয় ও বিষাদকে আরো উশকে দেয় এবং আমরা আমাদের নড়বড়ে ভেতরটাকে খুব ভালভাবে অনুভব করতে থাকি। আমাদের তখন আরো দৃঢ়ভাবে মনে হতে থাকে যেন মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে থাকবে সময়ের সাথে সাথে।

    সন্ধ্যার দিকে আমাদের কয়েকজন গ্রাম পরিভ্রমনে বের হয় গ্রামের অবস্থা জানতে এবং তারা যখন ফিরে এসে আমাদের সবিস্তারে যা যা দেখে এসেছে তা বর্ননা করে তখন আমরা বুঝতে পারি অবস্থা আমাদের আশংকার চেয়েও ভয়াবহ। আকাশের উত্তরকোণে তাকিয়ে আমরা কোন ধোঁয়া দেখতে পাই না এবং আমরা আশংকা করি যে হিন্দুপাড়ায়ও আমাদের পাড়ার মত ঘরে ঘরে মৃতদেহ পড়ে আছে। সেগুলো শশ্মানে আনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সুস্থ লোকজন রোগীর সংস্পর্শ এড়িয়ে পালাচ্ছে। যেমন আমরা পালিয়ে আছি এখানে।
    কিন্তু আমাদের ভয় হচ্ছে এবং সে ভয় বাড়ছে তো বাড়ছেই। কারণ জীবাণু হয়ত ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসে বাতাসে। তাছাড়া আমাদের গ্রাম্য সংস্কার মতে সৎকারবিহীন মৃতদেহগুলির আত্মারা হয়ত ইতিমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে।

    তারা আমাদের চেনে। বেশ ভালোভাবেই চেনে। যেহেতু তারা আমাদের আত্মীয় পরিজন ছিল। একসাথে কত হাসি আনন্দ ঠাট্টা তামাসা আমরা করেছি। আমাদের গায়ের গন্ধ পর্যন্ত তাদের চেনা। তাই তারা যখন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল তখন আমরা যেহেতু নিজেদের বাঁচাতে তাদের একলা ঘরে ফেলে রেখে এসেছিলাম এবং যন্ত্রণা ও পিপাসায় ছটফট করতে করতে তাদের মৃত্যু হয়েছে সুতরাং প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তাদের বিদেহী আত্মারা ছুটে আসতেই পারে। আমরা আমাদের গ্রাম্য সংস্কার থেকে জানি যে সৎকারবিহীন মৃতদেহের বিদেহী আত্মারা খুব প্রতিশোধপরায়ণ হয়।

    ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসছে। কিছুদূরের কলাগাছের পাতাগুলো কাঁপছে সন্ধ্যার বাতাসে। আমাদের মনে হতে লাগল অন্ধকার নেমে এলে আমরা কেউ আর বাঁচব না। আমরা জানি না ঠিক কি কারনে অন্ধকারের আসন্ন মুখ দেখেই আমাদের ভেতরটা নড়ে উঠল এবং আমরা যেন বুঝতে পারছিলাম তখন বাঁচতে হলে আমাদের ছুটে পালাতে হবে। আমরা তো আগেই জীবন থেকে পালিয়েছি নিজেদের বাঁচানোর জন্য। স্বীয় প্রিয় পরিজনদের অসুস্থ কাতর মরণাপন্ন অবস্থায় একলা রেখে আমরা পালিয়েছি। সুতরাং এখন আবার পালাতে আমাদের কোন বাঁধা নেই। কিন্তু পালিয়ে আমরা যাব কোথায়? সেই প্রশ্ন ঠিক আমাদের মাথায় এল না। যারা পলায়নপর তারা হয়ত বা গন্তব্যের ভাবনায় ভাবিত হয় না। পালাতেই সুখ তাদের। অথবা অসুখ।

    ঠিক সন্ধ্যা নামার কয়েক মুহুর্ত আগে আমরা ছুটতে শুরু করলাম। আমরা পালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিশোধ স্পৃহায় উন্মত্ত শত বিদেহী আত্মাদের পিছনে ফেলে, কলেরাকে পিছনে ফেলে। আমরা যাচ্ছি এবং যাচ্ছি। আমরা পালাচ্ছি। অথবা ঘোরপাক খাচ্ছি অন্ধকার গোলকধাঁধায় কিংবা আপন আবর্তে।

    জুলাই, ২০১৪
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ এপ্রিল ২০২০ | ৩০৭৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    হেলেন - Muradul islam
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪১92553
  • নিরুপায় কান্না আর অসহায় সমর্পণ। মানুষের গল্প এমনই হয়...
  • একলহমা | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১০:৩৬92588
  • কালোত্তীর্ণ গল্প।

  • ধীমান মন্ডল | ২৫ এপ্রিল ২০২০ ২০:০৫92674
  • এমন দিন আর যেন না দেখতে হয়.....

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন