
আন্টার্কটিকা বাদ দিলে প্রায় গোটা বিশ্বই এখন করোনা-ত্রাসে মুহ্যমান। শত্রুর বিরুদ্ধে জনমানুষকে যথেষ্ট পরিমাণে ত্রস্ত করে তোলাটা নাকি যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ, নইলে তারা যুদ্ধের উপকারিতা বোঝে না। জনমানুষ আসলে ছেলেমানুষ, পুরোপুরি মানুষ না; তাকে মানুষ করে গড়ে তুলতে হয়। পরিশীলিত, বিজ্ঞ, পারদর্শী এবং ভুয়োদর্শীরাই সেই কাজ করে থাকেন। করতে গিয়ে মাঝে-সাঝে বলপ্রয়োগও জরুরি হতে পারে; হাজার হোক, ‘হুইমজিকাল পাবলিক’ তো! যুদ্ধ মানে যে বিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জ এটাই বোঝে না। কিন্তু কম্পিত বক্ষে কি যুদ্ধ সম্ভব?
রৌহিন | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৯92424
dc | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০২92426
শুদ্ধসত্ত্ব বন্দোপাধ্যায় | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:২১92432বাহ!!
শুদ্ধসত্ত্ব বন্দোপাধ্যায় | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:২১92433বাহ!!
স্থবির দাশগুপ্ত | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০১:২৩92501১) আমার ধারণা, করোনা ভাইরাস ম্যান মেড না, তার ছড়িয়ে পড়াটা ম্যান মেড। তাকে ঘিরে আতঙ্কটাও।
২) প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে টিবির মতো একটা জীবাণু সংক্রমণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যান। ২০১৮ সালে এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ। তার মধ্যে ভারতেই প্রায় সাড়ে চার লক্ষ।
৩) অথচ ওতে মিডিয়া আতঙ্ক ছড়ায় না। তাই আতঙ্কের কারণটা অন্য কোথাও খুঁজতে হবে, করোনার মধ্যে না। করোনা কাদের হাত ধরে ছড়িয়েছে সেটা লক্ষ্য করুন। আর তাতে কাদের মৃত্যুভয় বেশি সেটাও লক্ষ্য করুন। আতঙ্কের কারণ ওখানেই লুকিয়ে আছে।
৪) কোভিডে নিশ্চয়ই বহু মানুষ মারা যাবেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগাল যাদের কম তাদেরই মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। আমেরিকায় তা প্রমাণিত। কিন্তু যত জনই মারা যান, ৭৫০ কোটি জনসংখ্যার নিরিখে তা কত তা হিসেব করে দেখুন।
৫) মনে রাখুন, ডাক্তারি শাস্ত্র আসলে একটা "পলিটিকাল সায়েন্স"!!!
শুভঙ্কর ভাস্কর | 108.162.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪৮92552আমাদের সবার আগে নিজেদের সমাজতন্ত্রের ভাবনা আর ভাবুকদের চিনতে জানতে হবে। করোনা, তো কমবে বা বাড়বে তাদেরই হাত ধরে। বিগত দিনে আমাদের বহু কাজে সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমরা আসলে নিজেদের অতি শিক্ষিত ভাবি বা শিক্ষার মূল্যায়ন করতে চাই না। এই দু-ধরণের মানুষ আমাদের এখানে বেশি। তাই কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই সারাক্ষন আমরা দাদা-দিদি দের কথায় বিশ্বাস করে ভরসা করে থাকি। আর নিজেদের নিজের দোষারোপ করি বা বাহবা দি। ভাইরাস তো আজ এলো, এতদিন কি ছিলো ? সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ যাদের জন্য আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সবটাই বেঁচে থাকে তাদের তো উচ্চ বা নিম্ন মানের সমাজ ভাইরাস দুদিক থেকে পিষে এসেছে। আজ একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন কোন ক্যাটাগরি-র মানুষ বেশি আক্রান্ত। তবে লেখা পড়ে যতটা ভালোলাগলো তার থেকে বেশি খারাপ লাগলো আমাদের কদর্য মনোভাবাপন্ন মানুষ দের অশিক্ষার কথা ভেবে। এখনো রাজনীতির খেলা এখনো তোষনবৃত্তি আজও অশিক্ষা সাধারণ বুদ্ধির অভাব, এ যেন করোনার বাবা বলেই প্রমান দিচ্ছে।
আকাশ সরকার | 162.158.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৩৯92558মুগ্ধ হয়ে রইলাম। আলাপ ভাল লাগল।
পরিতোষ তালুকদার | 108.162.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৪92562অসাধারণ লেখা। কী বলব ভাষা খুজে পাচ্ছি না। আরও পড়তে চাই।
দিল্স্ লক্ষ্মীনারায়ণ সিংহ | 162.158.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৫৭92566সুন্দর, যুক্তিনিষ্ঠ ও মানবিক দৃষ্টিসম্পন্ন লেখা। অনেক কিছুই জাাালাল। লে আন্ততরি ধন্যবাদ।
বছিরুদ্দি | 14.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:০২92577
ফারজানা নাজ শম্পা | 162.158.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৫:১০92592সুন্দর আলোচনা গভীর পর্যবেক্ষণ শুভেচ্ছা কানাডার হ্যালিফ্যাক্স নোভা স্কোশিয়া থেকে
মনিরুল মনির | 162.158.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৮92625সকাল আসুক
সুবর্ণ সকাল
আমরা যেন যাই নিবিড় সম্পর্কচর্চার দিকে
সৈকত মিস্ত্রী | 162.158.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:১১92646ভাইরাস প্রাকৃতিক বিষয়।সেটাকে ধনতান্ত্রিক পৃথিবী কাজে লাগিয়েছে। একটু অন্যভাবে দেখলে দেখব যে সময় কোভিড এর বাড় শুরু হল,তখন বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বসে গেছে।অন্তত কিছুকাল করোনার জুজু দেখালে ধনতান্ত্রিক পৃথিবীর লাভ বইকি।
প্রথম থেকে ধনতান্ত্রিক পৃথিবী ও তার প্রচার যন্ত্র পৃথিবীর পরিসংখ্যানের কারবার করেছে।সামনে বড় সংখ্যা দিয়ে আমাদের যখন ভয় পাওয়ানো হচ্ছে, তখন আমরা বড় সংখ্যার নিরিখে অবেক পিছিয়ে।যেদেশে ১২৩৩ জন প্রতিদিন টিবিতে গরীব লোক মরে,তাতে ব্যবস্থা ভয় পাায়না।কিছু ধনী যেই আক্রান্ত হল ওমনি ব্যবস্থা নড়ে গেল।
Dipak Basu | 172.69.***.*** | ১৩ মে ২০২০ ১৩:০২93280Exceptionally outstanding ! Illuminating and enlightening write -up. Keep up the good work !
ইন্দ্রনীল ঠাকুর | 2402:3a80:a75:78cd:0:20:cbc1:***:*** | ২৫ মে ২০২০ ১৭:২৩93650আপনি বরাবরই ভালো এবং যুক্তিপূর্ণ লেখা লেখেন।তবে আমার মনে হয় আতঙ্কেের মূল কারণটা হল কোভিডে মৃত্যুর আকস্মিকতা এবং সামাজিক ট্যযাবু।কে কখন খারাপ হবে জানা নেই।একবার ফুসফুস ধরলে শতকরা নব্বইভাগ মৃত্যু।হাইরিস্ক নয় এমন হাট্টাকাট্টা বছর চল্লিশের যুুুবক দুচার দিনেের জ্বরে শেষ।এমন ঘটনা নেহাত কম নয়।এক জনের হলে সংস্পর্শেে আসা সবাই কে নিয়ে টানাটানি।যক্ষায় মৃত্যু হলেও কিছুটা সময় পাওয়া যায়।তাই ...যা লিখেছেন সবটুকুই মেনে নিতে পারলাম না।