এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কেন আমরা Transgender Persons (Protection of Rights) Bill 2018এর বিরোধিতা করছি - একটি যৌথ বিবৃতি

    প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনসংখ্যালঘু মানুষদের গোষ্ঠীভিত্তিক সংগঠন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১২২৫ বার পঠিত
  • গত ১৭ই ডিসেম্বর ২০১৮ লোক সভায় "ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস (প্রোটেকশন অফ রাইটস) বিল" নামক একটি প্রস্তাবিত আইন পাশ করা হয়। ট্রান্সজেন্ডার অর্থাৎ রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের অধিকার সংক্রান্ত এই বিল বা খসড়া আইনটি ২০১৬ সালে ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক (Ministry of Social Justice and Empowerment) প্রথম সংসদে পেশ করেছিল । তখন রূপান্তরকামী এবং প্রান্তিক লিঙ্গ পরিচয়ের ব্যক্তিবর্গ এই বিলের নানারকম সমস্যাজনক দিকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় এবং বিলটি সংশোধনের জন্য তাঁদের মতামত এবং সুপারিশ জানায় । অথচ যাদের অধিকার সুরক্ষার নামে এই বিল, তাদেরই মতামত অগ্রাহ্য করে সরকার ডিসেম্বর ২০১৮তে পুনরায় বিলটি পেশ করে, বেশিরভাগ অংশ অপরিবর্তিত রেখেই। অতয়েব রাজ্য সভায় যাতে বিলটি পাশ না হয়, বরং আইন হওয়ার পূর্বে বিলটি সঠিক রূপে সংশোধন করা হয়, তার জন্য সারা দেশ জুড়ে রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের গোষ্ঠীবর্গ আবার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে । এই বিলটির বিভিন্ন সমস্যাজনক দিক রয়েছে যার কারণে আমাদের অধিকার সুরক্ষার পরিবর্তে হনন করা হতে পারে, ক্ষমতায়নের পরিবর্তে অপরাধিকরণ হতে পারে, যথা :-

    ১) লিঙ্গ স্বনির্ধারণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে:

    • ২০১৪ সালের ভারতীয় শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের NALSA রায় অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির তাঁর লিঙ্গ পরিচয় স্বনির্ধারণের অধিকার রয়েছে - অর্থাৎ সামাজিক ভাবে আরোপিত লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে তিনি তাঁর নিজস্ব সত্তা অনুযায়ী পুরুষ, নারী, বা তৃতীয় / ভিন্ন লিঙ্গ পরিচয় বেছে নিতে পারেন । এই রায়ের সুপারিশ অনুযায়ী তাঁর লিঙ্গ পরিচয়ের আইনি স্বীকৃতির জন্য তাঁকে কোনোরকম শারীরিক যাচাই প্রক্রিয়া, অস্ত্রোপচার, বা হরমোন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না - কোনো রকম শারীরিক পরিবর্তন ছাড়াই তাঁর লিঙ্গ স্বনির্ধারণ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
    • অথচ, এই বিল অনুযায়ী কোনো রূপান্তরকামী বা প্রান্তিক লিঙ্গের ব্যক্তি যদি তাঁর লিঙ্গ পরিচয়ের আইনি স্বীকৃতি পেতে চান, এবং সরকারি পরিচয়পত্রে সামাজিক ভাবে আরোপিত লিঙ্গ পরিবর্তন করে ভিন্ন লিঙ্গ পরিচয় নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে তাঁকে দুই রকমের যাচাই প্রক্রিয়া বা two-tiered screening processএর মধ্য দিয়ে যেতে হবে । যদি তিনি পুরুষ-নারীর বাইরে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয়পত্র চান তাহলে তাঁকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেট তার আবেদনটিকে একটি জেলাভিত্তিক যাচাই কমিটির (District Screening Committee) কাছে পাঠাবেন, যার মধ্যে মনোবিদ, মেডিকেল অফিসার, প্রভৃতি ব্যক্তিবর্গ নিযুক্ত থাকবেন (TG Bill 2018, Clause 7) । ব্যক্তিটিকে সেই কমিটির কাছে তাঁর পরিচয় প্রমান করতে হবে এবং অতঃপর তাঁকে certificate of identity বা লিঙ্গ পরিচয়ের প্রমাণপত্র দেওয়া হবে । যা কিনা সম্পূর্ণ ভাবে লিঙ্গ স্বনির্ধারণের পরিপন্থী, Right to Privacy বা ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকার লঙ্ঘন করছে, এবং সর্বোপরি অত্যন্ত অপমানজনক একটি প্রক্রিয়া ।
    • উপরন্তু তিনি যদি তথাকথিত “বিপরীত” লিঙ্গ পরিচয়ে স্বীকৃত হতে চান, অর্থাৎ সরকারি পরিচয়পত্রে “নারী” থেকে “পুরুষ” অথবা “পুরুষ” থেকে “নারী” পরিবর্তন করতে চান, তাহলে তাঁকে উপরোক্ত screening committeeর মারফতে ট্রান্সজেন্ডার প্রমাণপত্র আদায় তো করতে হবেই, তার ওপর তাঁকে SRS (sex reassignment surgery) অর্থাৎ শারীরিক লিঙ্গ চিহ্ন পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার করতে হবে এবং অস্ত্রোপচারের প্রমানপত্র জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দিতে হবে (TG Bill 2018, Clause 8)। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা রয়েছে যে “any insistence for SRS for declaring one’s gender is immoral and illegal” অর্থাৎ লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণের জন্যে অস্ত্রোপচারের চাপ দেওয়া আইনত ভাবে অপরাধ এবং অনৈতিক।
    • অর্থাৎ এই প্রস্তাবিত আইনটি সম্পূর্ণ ভাবে লিঙ্গ স্বনির্ধারণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং শীর্ষ আদালতের রায় অমান্য করছে।

    ২) বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা ছাড়াই হিজড়ে পেশাকে অপরাধিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে:
    • এই বিলটিতে বলা হয়েছে যে কোনো ট্রান্স (রূপান্তরকামী / প্রান্তিক লিঙ্গের) ব্যক্তিকে যদি ভিক্ষাবৃত্তিতে প্ররোচিত করা হয় বা বাধ্য করা হয়, তাহলে সেই অপরাধের জন্য দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে (TG Bill 2018, Clause 19)। এই নির্দেশনাটি সহজেই হিজড়ে পেশা এবং জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা যেতে পারে, এবং ভিক্ষেবৃত্তিতে “প্ররোচনার” দায়ে হিজড়ে গোষ্ঠীর মানুষদের অপরাধী রূপে চিহ্নিত করা হতে পারে । রূপান্তরকামী মানুষেরা এবং বিশেষত গরীব ও দলিত শ্রেণীর কোতি-হিজড়ে সম্প্রদায়ের মানুষেরা মূলস্রোতের পেশায় সুযোগ না পেয়েই হিজড়ে পেশা এবং গোষ্ঠীর মধ্যে আশ্রয় খুঁজে পান । অথচ মূলস্রোতের কর্মক্ষেত্রে কোনো সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করেই এই বিলটি হিজড়ে পেশায় নিযুক্তিকরণকে ভিক্ষাবৃত্তিতে প্ররোচনা (enticement) হিসেবে আখ্যা দিয়ে অপরাধিকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । যে কারণে হিজড়ে গোষ্ঠীর মানুষদের ওপর পুলিশি অত্যাচার এবং নজরদারির বৃদ্ধি ঘটতে পারে, এবং জীবিকা নির্ধারণের মৌলিক অধিকার হনন করা যেতে পারে।

    ৩) বিলটি জৈবিক পরিবারকে প্রাধান্য দিচ্ছে ও প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের পরিবারের কাছে ফিরতে বাধ্য করছে:
    • বিলটিতে বলা হয়েছে যে কোনো ট্রান্স শিশুকে তার জৈবিক পরিবার থেকে আলাদা করা যাবে না এবং তার পরিবার যদি তার দেখাশোনা করতে অক্ষম হয় সেই ক্ষেত্রে একটা কোর্ট অর্ডার বা আদালতের নির্দেশের মাধ্যমেই তাকে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে (rehabilitation centre) প্রতিস্থাপিত করা যাবে (TG Bill 2018, Clause 13) । অথচ বহু রূপান্তরকামী এবং প্রান্তিক লিঙ্গের শিশু বা কিশোরেরা প্রথম তাদের জৈবিক পরিবারের কাছেই হেনস্থা, লাঞ্ছনা এবং নির্যাতনের মুখোমুখি হয় এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় । পালিয়ে গিয়ে অনেকক্ষেত্রে তারা তাদেরই মতনই মানুষদের কাছে আশ্রয় পায় । এই ক্ষেত্রে বিলটি পারিবারিক হিংসা সম্পূর্ণ ভাবে অগ্রাহ্য করছে এবং সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রান্তিক লিঙ্গের শিশু/কিশোরদের ওপর যে বৈষম্য বা হেনস্থা হতে পারে সেটাও অগ্রাহ্য করছে; উপরন্তু রূপান্তরকামী বা প্রান্তিক লিঙ্গের শিশু/কিশোরদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে বাধ্য করছে । বাড়ি থেকে বেরোনোর জন্যে একটা কোর্ট অর্ডার বাধ্যতামূলক করছে যেটা প্রান্তিক শিশু বা কিশোরদের পক্ষে আদায় করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার । অর্থাৎ বিলটি পারিবারিক হিংসা এবং বৈষম্যের পথ প্রসারিত করে দিচ্ছে । উপরন্তু হিজড়ে-কোতি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের যে বৈকল্পিক পরিবার ব্যবস্থাগুলি রয়েছে, যেগুলি বহুযুগ ধরে প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের আশ্রয় দিয়ে গিয়েছে, সেই বিকল্প পরিবার ব্যবস্থা যথা গুরু-চেলা প্রথা প্রভৃতিকেও আইনত ভাবে অস্বীকার করা হচ্ছে।

    ৪) রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের ব্যক্তিদের ওপর শারীরিক, মানসিক বা যৌন হেনস্থার জন্য যথাযথ শাস্তির অভাব:
    • বিলটিতে রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের ব্যক্তিদের ওপর শারীরিক, মানসিক বা যৌন হেনস্থার জন্য শুধুমাত্র ছয় মাস থেকে দুই বছর জরিমানাসহ কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে, যেই জায়গায় মহিলাদের ওপর অনুরূপ অপরাধের জন্য শাস্তি অনেক বেশি। অর্থাৎ বিলটিতে ট্রান্স মানুষদের অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর তুলনায় হেয় করা হয়েছে এবং তাঁদের মানবাধিকারকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
    অতয়েব আমরা চাই যে এই বিলটি ফিরিয়ে নিয়ে এমন একটি বিল আনা হোক যা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলি হনন করে না, বরং অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বাস্তবিকভাবেই সাহায্য করে । আমরা চাই :-

    • NALSA রায় অনুযায়ী আমাদের লিঙ্গ স্বনির্ধারণের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হোক;
    • NALSA রায়ের সুপারিশ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে ট্রান্স (রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের) মানুষদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হোক;
    • রূপান্তরকামী ও প্রান্তিক লিঙ্গের ব্যক্তিদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন বা হেনস্থা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং যথাযথ শাস্তি হোক;
    • হিজড়ে পেশার অপরাধিকরণ বন্ধ হোক এবং রূপান্তরকামী/ প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষদের বৈকল্পিক পরিবারদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

    কোচবিহার মৈত্রীসংযোগের Transgender Persons (Protection of Rights) Bill 2018 বিরোধী কর্মসূচী
    মৈত্রীসংযোগ কোচবিহার, কোচবিহার জেলা, পশ্চিম বাংলা
    নদীয়া রাণাঘাট সম্প্রীতি সোসাইটি, নদীয়া জেলা, পশ্চিম বাংলা
    মধ্য বাংলার সংগ্রাম, মুর্শিদাবাদ জেলা, পশ্চিম বাংলা

    (রূপান্তরকামী-হিজড়ে-কোতি সহ প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনসংখ্যালঘু মানুষদের গোষ্ঠীভিত্তিক সংগঠন)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ১২২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সমুদ্র সেনগুপ্ত | ***:*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:১৯85682
  • বিল টি তে সামাজিক, মানবিক ও বৈজ্ঞানিক দিকগুলোর মধ্যে একটা ভারসাম্য আনা জরুরি
  • সমুদ্র সেনগুপ্ত | ***:*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:১৯85681
  • বিল টি তে সামাজিক, মানবিক ও বৈজ্ঞানিক দিকগুলোর মধ্যে একটা ভারসাম্য আনা জরুরি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন