ঘরের ভেতরে ঢুকতেই new age weekly পত্রিকার একটা খণ্ড চোখে পড়ল।জানালার চাতালে রাখা পত্রিকার হেডলাইনটা জ্বলজ্বল করছে 'our destination is socialism'। জানালার পাশেই একটা ছোট্ট বিছানা, যার ওপর ধবধবে সাদা চাদর পাতা।তামাটে রঙের বড় একটা রথ, মহাভারতের দৃশ্যে যেরকম দেখা যায়, সেরকম একটা রথও বিদ্যমান জানালার চাতালের ওপর IPTA র থেকে সম্মানপ্রাপ্তির নিদর্শনস্বরূপ।
লম্বা কাঠের সেল্ফের ওপর সারি দিয়ে পরপর রাখা স্মারক।অভিনেতা হিসেবে যেসব পুরস্কার পেয়েছেন, তারই সাক্ষ্য বহন করে চলেছে সেগুলো।একদিকের দেওয়ালে ঝুলছে পুরনো বিবর্ণ হয়ে যাওয়া একটা ছবি আর তার পাশেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের সই সম্বলিত ফ্রেমে বাধাই পদ্মভূষণ সার্টিফিকেটের কপি।আরেকদিকের দেওয়াল জোড়া বই।যার মধ্যে শোভা পাচ্ছে ফ্রেড্রিক এঙ্গেলস, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন সহ আরো অনেকে।অনেকগুলোর পাতাই হলুদ হয়ে গেছে।বহু যুগের ধুলো জমেছে তার মধ্যে।পাশের একটা ছোট্ট সেল্ফে অনেকগুলো সিরাপের বোতল আর একটা শাওয়ার টু শাওয়ার ট্যালকম পাউডার।বুকশেলফের নিচে ছোট টিভিটা থেকে পরেশ রাওয়ালের আবছা কিছু ডায়লগ ভেসে আসছে।
ঠিক তখনই ওয়াকারের খুট খুট শব্দ আমাদের মনে করিয়ে দিল কীসের জন্য আমরা এখানে এসেছি।প্রথমে বয়সের ছাপ পড়া বলিরেখা কুঞ্চিত একটা মুখ, তারপর বেকেচুরে থাকা পুরো শরীরটা ঘরে প্রবেশ করল।হ্যাঁ, এই লোকটাই, এই লোকটার বলা শোলে সিনেমার সেই অমর ডায়লগ 'ইতনা সন্নাটা কিউ হ্যায় ভাই' লোকের কানে এখনো বাজে।মৃত্যুর নীরবতাকে যিনি একটা মাত্র সংলাপের মধ্যে ধরেছিলেন।
আমাদের দেখে উনি হাসলেন।তারপর অনেক কষ্ট করে ওয়াকারটা ঠেলতে ঠেলতে ঘরে ঢুকলেন।শুকনো খরখরে চামড়ার ভেতর দিয়ে লাল ও সবুজ শিরা ধমনীগুলো পরিষ্কার চোখে পড়ছে।খাদি কুর্তা আর লুঙ্গিটা সামলে নিয়ে 'অবতার কিশান হাঙ্গাল' সাদা চাদরে মোরা বিছানাটার ওপর বসলেন।একজন লোক এসে তার বালিশ আর গদিটা ঠিক করে দিলেন যাতে উনি আরাম করে বসতে পারেন।নিজের নরম কম্বলটা গায়ের ওপর ঢেকে নিলেন।প্রকাশ রেড্ডি, সিপিআই দলের নেতা, আমাদের সাথে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিলেন।যখন আমার পরিচয় দিলেন সাংবাদিক হিসেবে, উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন 'অনেক অনেক সাংবাদিক ইতিমধ্যে অনেক কিছু লিখে ফেলেছেন।আর কিছু কি বাকি আছে?, যাই হোক, আপনি জিজ্ঞাসা করুন।আমি উত্তর দেব।'
আমার মুখ তখন স্তব্ধ আর চোখ ভরে উঠেছে জলে।আমি কে তাকে জিজ্ঞাসা করার!আমি তার কাছে এসেছিলাম এটা জেনে যে কিছুদিন আগেই তিনি তার কমিউনিস্ট পার্টির মেম্বারশিপ রিনিউ করেছেন। ভেবেছিলাম তাঁর কাছ থেকে তাঁর 'কমরেড' জমানার গল্প শুনব, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরর গল্প শুনব, তার থিয়েটার জীবন আর আইপিটিএ র গল্প শুনব।কিন্তু, আমি নতুন কী লিখব! কিছুই কি লিখতে পারব? অর্ধ শতক আগের এই সব গল্প এই লোলচর্ম বলিরেখা কুঞ্চিত বৃদ্ধটিকে জিজ্ঞাসা করব কীভাবে?
'পুছো, ডরো মত।পুছো' রহিম চাচা বলে উঠলেন তার নিজের গলায়।
সদ্য সদ্য তিনি তার ৯৭ বছরের জন্মদিন পেরিয়েছেন আর সিপিআই র মেম্বারশিপ রিনিউ করিয়েছেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম আইপিটিএ র সাথে তার সংযোগের দিনগুলোর ব্যাপারে।
'পেশোয়ারে যখন থেকে ছিলাম, তখন থেকেই আমি কমিউনিস্ট'। আইপিটিএ র অধ্যায় উনি অনেক আগে ছেড়ে চলে এসেছেন, সেটা নিজেই হয়তো বুঝলেন।একবার ঘরে জ্বলতে থাকা টিউব লাইটটার দিকে তাকালেন।এই সময়ে আমি ওনার কাছে আরেকটু এগিয়ে এলাম যাতে ওনার কথা আরো পরিষ্কার ভাবে শুনতে পারি আর আমার রেকর্ডিং করার যন্ত্রটাতেও যাতে ভালোভাবে রেকর্ডিং করা যায়।ঘরের এয়ার কন্ডিশনের ঘড়ঘড় আওয়াজটা বিরক্তি উদ্রেক করছিল আমার।এই আওয়াজটার জন্যও ওনার কথা শুনতে অসুবিধা হচ্ছিল।কিন্তু সঙ্কোচের কারণে বলতে পারছিলাম না।কিছুটা আমার মনের কথা আন্দাজ করেই হয়ত উনি বলে উঠলেন 'এসিটা বন্ধ করে দেব'? হেসে না বললাম।উনি আবার শুরু করলেন।
'আমি ছিলাম মোটামুটি সমৃদ্ধ পরিবারের ছেলে।প্রাচুর্যের অভাব ছিল না।তবে সেই সময়টা ছিল ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করার সময়।বহুত মার খায়া, বহুত লাঠি খায়া, গোলিয়া ভি লাগি।মার খেয়েছি, লাঠি খেয়েছি, গুলিও খেয়েছি।পেশা হিসেবে দর্জির পেশা বেছে নিয়েছিলাম।'
গলার স্বর খুবই ক্ষীণ। তিনবার দর্জি বলার পর ঠিক মত শুনতে পেলাম।
'দর্জি হিসেবে বেশ সুনামই ছিল।খুব ভালো কাজও করতাম।তার মধ্যেই আন্দোলন চলছে।যখন আমার কুড়ি বছর বয়স, তখন আমি আন্দোলনে যোগ দিই।এখনো মনে আছে সেই দিনটার কথা যেদিন ভগত সিং গ্রেপ্তার হলেন, মনে আছে যেদিন ওরা ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল, মনে আছে যেদিন তাঁর ফাঁসি হল।পাঠানরা সেদিন কাঁদছিল।ভাবতে পারো, সিংহহৃদয় পাঠানরা পর্যন্ত কেঁদে উঠেছিল!সবাই রাস্তায় ভাগত সিং ভগত সিং বলে চিৎকার করতে করতে পাগলের মত ঘুরছিল।তব তো বাস দিমাগ মে বেঠ গ্যায়া কি আংরেজো কো ভাগানা হ্যায়।মাথায় ঢুকে গেল যে ইংরেজদের এবার হঠাতে হবে'।
একটা লম্বা বিরতি আর একটু কাশিতে কথা থেমে গেল কমরেড হাঙ্গালের।দেখে মনে হচ্ছিল অনেক কথা বলার আছে ওনার।অনেক অনেক কথা যেসব কথাগুলো কখনো ভোলা সম্ভব নয়।
'চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি পেশোয়ার থেকে করাচিতে চলে এলাম।ওখানেই এরপর দর্জির কাজ করছি আর তার সাথে পার্টি মেম্বার হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামও চলছে।
'আমি পড়েছিলাম যে আপনি নাকি জেলও খেটেছেন।' মাঝখানে তাকে থামিয়ে দিতে আমি বলে উঠলাম।জেলের ওই অধ্যায়টার ব্যাপারে জানতে চাইছিলাম।
'হ্যাঁ, জেলে ছিলাম আমি তিন বছর।যখন ছাড়া পেলাম, খুব খুশি হয়েছিলাম।কিন্তু তারা বলল আমাকে তাড়িপাড় হতে হবে। তাড়িপাড় মানে জানো তো? আমাকে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে করাচি ছাড়তে হল।আমাদের সাথে আরো লাখ লাখ হিন্দুকে চলে যেতে হয়েছে।আমরা কেউই বুঝতে পারছিলাম না আমাদের মুল্ক বিভাজিত কেন হল।কেনই বা আমাদের জন্মভূমি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে।কিন্তু চলে গেলাম।জন্মভূমি ছেড়ে বম্বেতে গিয়ে উঠলাম।'
আবার কথা থেমে গেল।লম্বা বিরতি যেন লম্বা ইতিহাস মনে করিয়ে দিচ্ছে।বুঝতে পারছি বন্যার মত স্মৃতি এসে ভিড় করছে।
'জীবন বয়ে চলে যাচ্ছে।দর্জি হিসেবে বোম্বেতেও কাজ করে যাচ্ছি।এবার আমার খদ্দের বড় বড় লোকেরা।পার্টির সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে।অভিনয়ের মঞ্চে রাজনীতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে আইপিটিএ তখন শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।আমিও তখন সেই প্ল্যাটফর্মের সদস্য।এরপর আস্তে অাস্তে হিন্দি সিনেমার জগতে প্রবেশ করলাম।
সিনেমায় যাদের সাথে কাজ করেছেন তাদের কারো সাথে আপনার রাজনীতি বিষয়ে কোনো কথা বা আলোচনা হত? জিজ্ঞাসা করে উঠলাম আমি।
কমরেড হাঙ্গাল মাথা নাড়িয়ে না বললেন।'সিনেমায় অভিনয় করাটা আমার কাছে একটা কাজ ছিল, আর কিছু নয়।আমি আমার অভিনয় জীবন উপভোগ করেছি শুধু আইপিটিএ তে।'
ফিল্মি দুনিয়ার রূপালী জগত সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করতে যাব তার আগেই উনি কমরেড রেড্ডির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, 'আরে ইয়ার কুছ তো বাতাও আজকাল পার্টি মে কেয়া হো রহা হ্যায়'।পার্টিতে আজকাল কি হচ্ছে সে সম্পর্কে কিছু তো বলো।
কমরেড রেড্ডি বলে উঠলেন 'পটনা কো তো লাল কর দিয়া ইসবার।দশ হজার লোগ আয়ে থে।'পটনা কে লাল করে দিয়েছি এবার।দশ হাজার লোক এসেছিল এবার।
কমরেড হাঙ্গাল চোখ বড় বড় করে শুনলেন।তারপর একটা স্বস্তির হাসি দিয়ে বললেন 'বাহ, খুব ভালো'।এরপর আমার দিকে তাকিয়ে তত্ত্ব ব্যাখা করার ভঙ্গিতে বললেন, 'পার্টি অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।এর আগে অনেক ভুল করেছে পার্টি, কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে সেই ভুলের থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।এখন খুব ভালো অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।'বিছানা থেকে একটু উঠে বসতে বসতে বললেন উনি।
কথাবার্তা চলার মাঝেই হাঙ্গালের ছেলে বিজয় এসে এক কোণায় বসলেন।হাঙ্গাল বলে উঠলেন 'আমার মনে হয় আজকের জন্য এই যথেষ্ট।এবার আমার ওঠার সময় হয়েছে।আমার দাড়ি কাটার ছেলেটা এসে যাবে এবার।তোমরা আবার এসো কিন্তু।
আমরা বিদায় জানানোর আগে বাকি সবাই কমরেড হাঙ্গালের সাথে একটা করে ছবি তুলতে চাইলেন।কমরেড হাঙ্গাল একটু হেসে সম্মতি জানালেন।আমরা বিজয় সাব কেও বললাম আমাদের সাথে ছবি তোলার জন্য, কিন্তু উনি মাথা নিচু করে বিনয়ের সাথে না জানালেন।কমরেড হাঙ্গাল বকে উঠলেন, 'আমার ছেলেকে আমি ওর শৈশবটা উপহার দিতে পারি নি।ওকে আর ওর মা কে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে আমার আন্দোলনের জন্য।এমনকি এখনো ওকে আমায় দেখতে হয়, আমায় নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়।খারাপ লাগে ওর জন্য।' বিজয় সাব কোনো কথা বললেন না।ক্যামেরা আর স্মার্ট ফোনে ছবি তোলার পর কমরেড হাঙ্গাল ছবিগুলো দেখতে চাইলেন। 'ফ্ল্যাশ আসে নি।আবার তোলো।' দ্বিতীয়বার তোলার পর ওনাকে সন্তুষ্ট দেখালো। 'জীবন শুধু রাজনীতি নয়।এটাও জীবন' হাসতে হাসতে কমরেড হাঙ্গাল বলে উঠলেন।
দাড়ি কাটার ছেলেটা ইতিমধ্যে ঘরে প্রবেশ করল।ওকে দেখে হাঙ্গাল বলে উঠলেন 'ইসকা ভি খিচো'।এর ছবিও তোলো।ছবি তোলার পর্ব শেষ হলে দাড়ি কামানোর ছেলেটার দিকে দেখিয়ে বললেন 'ওকে একটা কপি দিও অবশ্য করে।ভুলে যেও না যেন'।
আমরা বেরিয়ে আসার পর বিজয় সাব ওনার ঘরে আমাদের আসার আমন্ত্রণ জানালেন।সান্তাক্রুজ ইস্টের এই পুরনো ক্ষয়াটে বাড়িটাতে ওনারা ১৯৬০ সাল থেকে আছেন।এই বিল্ডিংটা মুম্বাইয়ের ভাগ্যক্রমে বেচে যাওয়া কিছু বিল্ডিং এর মধ্যে একটা যার তিনতলার ব্যালকনি ঘেরা রয়েছে গাছপালার শামিয়ানা দিয়ে।'কবিতা ভালোবাসেন?' বিজয় সাব আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন।দিনটা ছিল রবিবার।কারোরই কোনো তাড়া নেই।সবাই হ্যা বলতে উনি আমাদের তার ঘরে নিয়ে আমাদের বসিয়ে একটা প্লাস্টিকের ফোল্ডার বের করলেন।তার মধ্যে একতাড়া কাগজ।তার কবিতার খাতা এটা।উনি আবৃত্তি করতে শুরু করলেন।স্মৃতির সরণি বেয়ে চলে যাচ্ছেন অনেক দূরে তার কবিতার হাত ধরে।পরলোকগত তার মা ও স্ত্রীর কথা ফুটে উঠছে বারেবারে তার ইংরেজি কবিতাগুলোর মধ্যে।কমরেড হাঙ্গাল ও তার ছেলে দুজনেই বিপত্নীক।পরে উনি ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতেই বললেন, আমি ইংরেজিতে কবিতা লিখতেই পছন্দ করি বেশি, যদিও আমি হিন্দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ।
৭৪ বছরের বিজয় সাব তার বাবার দেখাশোনা করছেন এক দশক ধরে।তিনি ছিলেন একজন ফটোগ্রাফার।কিন্তু লম্বা সময় ধরে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানোয় তার শরীরের ওপর প্রভাব পড়ছিল।শরীর ভেঙে যাচ্ছিল।তার ওপর বাবারও বয়স হয়েছে, দেখার লোক নেই, অনেকদিন মুম্বাইয়ের বাইরে থাকা মানে সবসময় বাবার জন্য একটা চিন্তা, এইসব ভেবে তিনি সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে বাবার সাথেই থেকে যাওয়া মনস্থ করেছেন।'মাঝে মাঝে কিছু লোক আসে দেখা করার জন্য আর বেশির ভাগ সময় ফাঁকাই পড়ে থাকে বাড়ি।যদিও আমি আর বাবা দুজনেই লোকজনের সাহচর্য খুব উপভোগ করি।
ওয়াকারের ক্লিক ক্লিক শব্দ শুনতে পেলাম।কমরেড হাঙ্গাল ধীরে ধীরে ঘরে প্রবেশ করলেন।তাকে আগের থেকেও বেশি উজ্জ্বল লাগছিল।দাড়ি কাটার কারণেই হয়ত।তিনি একটা সোফায় এসে।বসলেন।এরপর একে একে আমাদের সম্পর্কে জানতে চাইলেন।শুধু নাম নয়, কী করি, কোথায় থাকি, বাড়িতে কে কে আছেন সব তাকে জানাতে হল।এরপর খানিক হাসিঠাট্টার পর যখন আমরা একেবারের জন্য উঠে দাঁড়ালাম, উনি এসে একে একে সবার হাত ধরে হ্যান্ডশেক করলেন।'কাজ থেকে ফুরসত পেলে আবার এসো।আমাদের ভালো লাগবে।'
বেরোনোর সময় আমাদের মধ্যে থেকে একজন বলে উঠল 'লাল সালাম কমরেড'
কমরেড হাঙ্গাল মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে সুদৃড়ভাবে বলে উঠলেন 'লাল সালাম, লাল সালাম'। উনি হাসছিলেন।হাসতে হাসতেই কাশির দমক এসে হাসিটা ঢেকে দিল।
প্রিয়াঙ্কা বরপূজারীর When Rahim Chacha Says 'Laal Salaam' থেকে অনুমতিক্রমে অনূদিত। http://priyanka-borpujari.blogspot.in/2012/05/when-rahim-chacha-says-laal-salaam.html?m=1