এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • কাশ্মীরের রাজনৈতিক বাস্তবতা - এক পাঠিকার দৃষ্টিতে 

    লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৯০৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ‘কাশ্মীর’ বলতে ছোটবেলায় বুঝতাম টকটকে ফরসা শালওলা আর রঙ বেরঙের শাল, হাউসবোট আর অমরনাথ যাত্রা, জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন ইত্যাদি। আশির দশক জুড়ে যখন বড় হচ্ছি কাগজে দেখতাম কাশ্মীরে নির্বাচনের খবর শেখ আবদুল্লার মৃত্যু, ফারুক আবদুল্লার উত্থান ইত্যাদি। নব্বইয়ের দশকে পড়তে না পড়তেই কাশ্মীরের গল্পটা এক্কেবারে বদলে গেল। ‘সন্ত্রাসবাদী হানা’, পাকিস্তানি হস্তক্ষেপ’ ইত্যাদি শব্দ আর যত্রতত্র ছিটকে ওঠা রক্তের মধ্যে আলতো করে কোথাও কোথাও ‘কুনান পোশপোরা’ ‘কুপওয়ারা’ ‘আফস্পা’ এসব শব্দও ঢুকে পড়তে লাগল। কিন্তু এ সবই বড় দূরের, বড় আবছামত। আর মূল ভূখন্ডে তখন শুরু হয়েছে পরের পর পরিবর্তনের ঝড়। সহজলভ্য হচ্ছে রকমারী বিনোদন, উপায় হয়েছে নানাবিধ জীবিকার, তারই তালে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে খেই হারিয়েছি কাশ্মীরের। এদিকে ৯২ এর ডিসেম্বরে মূল ভুখন্ডে বাবরি মসজিদ ধ্বংস বদলে দেবে ভবিষ্যত ভারতের রাজনীতি। এরপর এক দীর্ঘসময় শুধু সংবাদে কাশ্মীরের রক্তক্ষরণ দেখা আর মনে মনে ভাবা আর হয়ত কখনও কাশ্মীরে যাওয়া হবে না, বা বলা ভাল যাওয়া যাবে না।
    .
    কাট ট্যু ২০১৫-১৬
    এইসময় পরপর দুটি স্মৃতিকথা পড়া হয়। প্রথম বাশারাত পীর লিখিত ‘কার্ফ্যিউড নাইট’ এবং সেই সূত্রে রেফারেন্স পেয়েই বিপ্রতীপের আখ্যান রাহুল পন্ডিতা লিখিত ‘আওয়ার মুন হ্যাজ ব্লাড ক্লটস’। পীরের লেখা আমাকে আমূল কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। আফস্পা নামক আইনটি এবং সেই রক্ষাকবচের আড়ালে কাশ্মীর বা মণিপুরে ভারতীয় সেনার দানবীয় রূপের কিছু কিছু কথা জানা ছিল, জানা ছিল না এই ভয়াবহ অত্যাচার আর অবিশ্বাসের আবহাওয়ার। জানা ছিল না সরকার তথা সেনাবাহিনী অথবা সন্ত্রাসবাদী তথা স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর এই দুই পক্ষের মধ্যে কোন একটির আওতায় থাকতে বাধ্য প্রতিটি মানুষ। জানা ছিল না এমনকি পক্ষাবলম্বনের পরেও সেই পক্ষের মধ্যে থাকতে পারে অজস্র ছোট পক্ষ যাদের মধ্যের বাদানুবাদে যেকোন মুহূর্তে বিপন্ন হতে পারে মানুষের সর্বস্ব। প্রায় নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে পীর লিখে গেছেন কাশ্মীরের অসহায় বিপন্ন দিনরাতের জ্বলেপুড়ে যাওয়ার কাহিনী। পন্ডিতা নিজে কাশ্মিরী পন্ডিত, লেখা সত্যি বলতে কি বড় বেশী পার্টিজান, খুব যে ভাল লেগেছে পড়তে তা নয়, কিন্তু এ বইও আমার জন্য আই ওপনার। কাশ্মীরি পন্ডিতদের আতঙ্ক ও অসহায় পলায়ন ঠিক এভাবে জানা ছিল না।
    .
    এই দুই বিপরীতমুখী আখ্যান পড়তে পড়তেই মনে হচ্ছিল কাশ্মীরে সত্য তবে কি এর মাঝে কোথাও? অথবা এর থেকে কিছু সরে? এই সময়ই মিঠুন শুরু করে ওর ব্লগ গুরুচন্ডা৯তে। মিঠুনের ব্লগের নীচেই আমাদের কিছু সমমনস্ক বন্ধুদের আলোচনাও চলতে থাকে কাশ্মীর নিয়ে, উঠে আসে সুমন্ত্র বোসের বই ‘কাশ্মীর রুটস অব কনফ্লিক্ট’ এর নাম, যোগাড় হয়ে যায় হাতে হাতে, পড়াও হয়ে যায়। সুমন্ত্র বোস হয়ত বা কাশ্মীরে ওঁর কোনই স্টেক নেই বলেই অনেকটাই ফেন্স সিটারের ভঙ্গীতে লিখে যেতে পেরেছেন। একই সময় মিঠুনও লিখে চলে যেমন যেমন পড়ছে বুঝছে তথ্য পাচ্ছে। তখনই বারেবারে মনে হয়েছিল মিঠুনের লেখাটা প্রচুর ছড়ানো দরকার, প্রচুর লোকের কাছে পৌঁছানো দরকার। অবশেষে ২০১৮র বইমেলায় বই হয়ে এলো।
    .
    এবার তাহলে হাতের বইটির দিকে তাকানো যাক। বইটির শুরুতে যে ঘটনাক্রম দেওয়া আছে তা শুরু হচ্ছে খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক (মতান্তরে খ্রীঃপূঃ একাদশ শঃ) শ্রীনগরীর পত্তন দিয়ে আর শেষ হচ্ছে ২০১৬ র সেপ্টেম্বরে উরির সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা দিয়ে। এই ঘটনাক্রমটা খুঁটিয়ে দেখলে কাশ্মীরের অনবরত হাতবদলের ইতিহাস চমৎকার ধরা যায়। এর পরেই আসে মুখবন্ধ, যা গোটা ভারতের গণতান্ত্রিক অবস্থান, চার্চিলসহ বিভিন্ন জনের ভারতের ‘একদেশ’ হিসেবে স্থায়িত্বের প্রতি সংশয়ের ইতিহাস, ১৯৪৭ পরবর্তীকালে দ্বিখন্ডিত ভারতের এক জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ক্রমশঃ উঠে দাঁড়ানর ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরেছে। একইসাথে সেই ১৯১৫ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন ও সারদান কীভাবে চল্লিশের দশকের ভারত উপমহাদেশকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন রক্তাক্ত করেছে সেই ইতিহাসও সততার সাথে এখানে লিপিবদ্ধ। মিঠুন যথার্থই বলেছে দেশভাগ, দাঙ্গা, তৎকালীন নেতাদের অবক্ষয় লোভ ও রাজনৈতিক ঘুঁটি চালাচালি কাশ্মীরের ইতিহাসকে করে তুলেছে রুক্ষ ও রক্তক্ষয়ী। বস্তুত এই ‘মুখবন্ধ’টি একটি অত্যন্ত সৎ ও অমূল্য সংযোজন। পরবর্তী আটটি অধ্যায়ে প্রাককথন, স্বাধীনতা, জনমত, অস্থিরতার শিকড়, আফস্পা, দেশাত্মবোধের দাম, আমজনতার ইতিহাসপাঠ ও সম্ভাব্য সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ‘আফস্পা’ পর্বে নাদিম খাতিবের কাহিনী প্রায় হাত পা ঠান্ডা করে দেয়, অনেকটা যেন মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপীনেসের সেই হাউসবোটের মালিক এসে মিলেমিশে যায় নাদিমের সাথে। ‘দেশাত্মবোধের দাম’ পর্বে ‘মার্শাল রেস’এর উল্লেখ, ব্যাখ্যা এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। ‘আমজনতার ইতিহাসচর্চা পর্বে রাজনৈতিক দর্শন ও ‘কাস্টমাইজড হিস্টরি’ ও তদজনিত অপব্যবহার সম্পর্কে মিঠুনের আন্তরিক বক্তব্যটি এখানে একটু উল্লেখ করি
    “... রাজনৈতিক দর্শনের জায়গাটুকু নিয়ে আরেকটু বলি। সারা পৃথিবীতে মুসলিমরা ক্রমশ সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন, এবং সেখানে মৌলবাদ প্রতিরোধ করতে গেলে প্রধানত ইসলামিক মৌলবাদের বিরোধিতা করতে হচ্ছে। আইসিস যে চরম পরিস্থিতি তৈরী করেছে তাতে অনেকেই ভাবছেন আর যাই হয় হোক এই মৌলবাদ নিপাত যাক। এইটা খুবই ভয়ের জায়গা। কারণ “যাই হয় হোক”টা বেশীর ভাগ সময়ই সাময়িক স্থিতাবস্থা এবং ক্রমশ আরো খারাপ দিকে নিয়ে যায়। বিশ্ব ইতিহাস থেকে পশ্চিমবঙ্গের হালের “পরিবর্তনের” ইতিহাস ঘাঁটলে এই কথাই স্পষ্ট হবে। একইভাবে ভারতের বামপন্থীরা ভাবছেন আর যেই আসুক বিজেপী যাক। এবং নির্বিচারে বিজেপী বিরোধীতা করতে গিয়ে তাঁরা সংখ্যালঘুর করা অপরাধগুলোর গুরুত্ব কমিয়ে ফেলছেন। এই প্রবণতা নিরপেক্ষ জনমতকে আর নিরপেক্ষ থাকতে দেয় না, আরো বেশী করে মেরুকরণ হয়, যা বিপজ্জনক।“ এই ঋজু স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য মিঠুনকে অকুন্ঠ অভিনন্দন।
    .
    শেষে অল্প দুই একটি কথা। দুই এক জায়গায় ‘এবং’ দিয়ে বাক্য শুরু হয়েছে, এটা কিঞ্চিৎ অস্বস্তির, এগুলি বদলাতে পারলে ভাল। এছাড়া কাশ্মীরে সময়ের সাথে পপুলেশান ডেমোগ্রাফিক বদলগুলির একটি গ্রাফ পেলে ভাল হত। পরের সংস্করণে প্রচ্ছদ আর একটু অন্যরকম কিছু করা যায় কী? গুরুচন্ডা৯’র একদম প্রথম দিকের বইগুলির তুলনায় এই বইটির ছাপা বাঁধাই যথেষ্ট ভাল, ঝকঝকে, ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন আমার এই বই পড়তে অসুবিধে হয় নি একটুও। বইটি নিঃসন্দেহে সংগ্রহযোগ্য।

    # এই প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম ফেব্রুয়ারী-২০১৮তে। ইতোমধ্যে আর্টিকল ৩৭০ বিলোপ এবং তদপরবর্তী রাষ্ট্রীয় হিংসা গিলে ফেলেছে কাশ্মীরকে। মিঠুন একাধিকবার ঘুরেও এসেছে কাশ্মীর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব  বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ (মুদ্রণ নয়) আসা জরুরী।

    বই – কাশ্মীর রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণতন্ত্র ও জনমত
    লেখক – মিঠুন ভৌমিক
    প্রকাশক – গুরুচন্ডা৯
    দাম – ৬০/-
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৯০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৭528775
  • রিভিউটা পড়ে বইটা পড়ার আগ্রহ হল। প্রথমে কি পীরের বইটা দিয়ে শুরু করা দরকার না এই বইটায় সেটা অনেকটা কভার হয়ে যাবে ? সুমন্ত্র বাবুর বইটাও দেখতে হবে।
  • | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৮528777
  • না এই বই পীরের বইকে কভার করবে না। ওটা আলাদা করে পড়ুন।  পীর আর সুমন্ত্র বোস তো পবশ্যই পড়ুন। এছাড়া আরো কিছু বই আছে। জেড লিবে সবকটা পাবেন। 
     
    এই বইটা ছোট্ট পাতলা, ঝট করে হয়ে যাবে।  পড়বেন তো নিশ্চয়ই। 
  • সুদীপ্ত | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২০528810
  • মিঠুনদার এই বইটার প্রচার কম, আমার বেশ ভালো লেগেছিল, দু-তিনজন কে উপহার দিয়ে পড়িয়েছিলাম মনে আছে। 
    আমি প্রথমে পড়েছিলাম যাযাবরের 'ঝিলম নদীর তীর', ওটা অবশ্য খানিকটা কিশোরদের জন্যে লেখা। পরে পন্ডিতা আর তারপর পীর। পীরের বইটা পড়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম! 
  • | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৯528825
  • যাযাবর আমিও ছোটবেলায় পড়েছি।  খুব একটা রেকো করি না সিরিয়াস পড়ার জন্য।   এমনিতে  কাশ্মীর লাদাখ অঞ্চলের রাজনৈতিক গুরুত্ব বুঝতে দ্য গ্রেট গেম ব্যপারটাও একটু বোঝা উচিৎ। হপকার্ক,  জন কি ইত্যাদিদের অতীব সুখপাঠ্য কিছু বই আছে। 
     
    হ্যাঁ এ বইটা সম্ভবত সংস্করণ শেষ ফলে কোথাও দেখা যায় না। এবারে দ্বিতীয় সংস্করণ আসা খুব জরুরী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন