আমেরিকায় কালো মানুষদের নিয়ে 'সভ্য' সাদা মানুষদের অস্বস্তি খুব নতুন নয়! তাঁদের প্রতি ঘৃণা আর বিদ্বেষের ইতিহাসও বহুকাল ধরেই চলে আসছে! এই বর্ণবিদ্বেষ কালো মানুষদের অলিখিতভাবে 'দ্বিতীয় শ্রেণির' নাগরিকে পরিণত করেছে। 'কালো মানুষ' মানেই দারিদ্র, 'কালো মানুষ' মানেই ঘেটোর জীবন, 'কালো মানুষ' মানেই অপরাধী জিন, 'কালো মানুষ' মানেই 'অশিক্ষিত', 'বর্বর', 'সভ্য' জগতের 'কলঙ্ক'---এই ভাবনাই শ্বেতাঙ্গদের অনেকের মনে বুনে দেওয়া হয় শৈশব থেকে! যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি বর্ণবিদ্বেষ, আর কৃষ্ণকায় মানুষের প্রতি ঘৃণা ও হিংস্রতা।
কৃষ্ণকায় মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা, হিংস্রতা বংশপরম্পরায় এভাবেই একবিংশ শতকেও প্রবাহিত হতে থাকে 'সভ্য' সাদা মানুষদের একাংশের মধ্যে! সাদা মানুষদের সেই বিদ্বেষ, ঘৃণা, হিংস্রতার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা শুধু আমেরিকার কালো মানুষদেরই নয়, প্রবাসী এশীয়দেরও প্রায়শই হয়! এরকমই হিংস্রতার একটি দৃশ্য ঘটনাচক্রে ভিডিওর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লো বিশ্বজুড়ে! আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মী শভিনের কালো মানুষ জর্জ ফ্লয়েডকে নিষ্ঠুরভাবে হাঁটু দিয়ে পিষে মারার ওই দৃশ্যে বহুদিনের জমে থাকা তুষের আগুন বিস্ফোরণের চেহারা নিল! যন্ত্রণায়, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জনসাধারণ। একের পর এক আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই সময়েও জীবনের পরোয়া না-করে লক্ষ লক্ষ মানুষ নেমে এলেন পথে! বিক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে যখন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সদর দপ্তর হোয়াইট হাউসের সামনে যখন চলে এলো বিক্ষুব্ধ জনতা, তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশ্রয় নিলেন বাঙ্কারের নিচে। রাষ্ট্র ক্ষমতার দর্পে বলীয়ান ট্রাম্প যখন পুলিশকে যথেচ্ছ ক্ষমতা দিয়ে, সেনা নামিয়ে জনতার প্রতিরোধ ঠাণ্ডা করার হুমকি দিলেন, তখন গর্জে উঠলেন স্বয়ং আমেরিকার পুলিশ প্রধান, 'ভালো কিছু বলতে না-পারলে, এবার অন্তত চুপ করুন'! ক্ষমতামত্ত রাষ্ট্রপ্রধান মানুষের ক্ষোভের উত্তাপ অনুধাবনে ব্যর্থ হলেও, বিচক্ষণ পুলিশ প্রধান ঠিক বুঝতে পেরেছিলেন পরিস্থিতি! সাদা-কালো নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয়, মানবিক বোধে উদ্দীপ্ত মানুষের এই ক্ষোভ যে ট্রাম্প-এর বিদায় ঘন্টার সূচনা করলো, এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে সংশয় ক্রমশ কমছে।
ট্রাম্প সাহেবের আমেরিকায় দক্ষিণপন্থী হাওয়ায় বেড়েছে বর্ণবিদ্বেষ, একই সঙ্গে বেড়েছে রাষ্ট্র-র দমন-পীড়নমূলক চেহারা! পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বারংবার! পুলিশকে নিরঙ্কুশ ছাড়পত্র দিলে তার পরিণতি একদিন যে এমন হতে বাধ্য, এই দূরদৃষ্টি ক্ষমতাদর্পী প্রেসিডেন্ট সাহেবের ছিল না! এখনও নেই!
এই বর্ণবিদ্বেষ আমাদের দেশেও আছে। আমেরিকায় 'কালো মানুষদের' যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেই একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমাদের দেশে দলিত এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের! আমাদের তথাকথিত 'উচ্চ বর্ণের', 'সভ্য' মানুষদের 'নিম্ন বর্ণের' প্রতি অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য, হেয় করার প্রবণতা এই 'শিক্ষিত' বাংলায় খুব কম চোখে পড়ে না! 'সোনার চাঁদ' , 'সোনার টুকরো' ইত্যাদি তাচ্ছিল্যভরা বিশেষণ তো আছেই! আর, সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ, ঘৃণা, হিংস্রতার ক্ষেত্রে কোনো রাখঢাক আর রাখি না আমরা! 'শিক্ষিত' মুখোস তখন খসে পড়ে আমাদের বড় সহজেই! বংশপরম্পরায় শৈশব থেকে লালিত সেই ধর্মীয় আর জাতিগত বিদ্বেষ রাজনীতির আগুনে আরও চমৎকারভাবে পরিপক্ব হয়ে ওঠে!
' উচ্চবর্ণে জন্ম নেওয়া শিশুর মনেও শৈশব থেকেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এই ধারণা যে দলিত মানেই 'নির্বোধ', 'বোধবুদ্ধি হীন', 'অযোগ্য', 'অকর্মণ্য'! 'আমাদের জেনারেলদের সব চাকরি ওরাই খেয়ে নিলো'! আর, মুসলমান মানেই 'নোংরা', 'নৃশংস', 'হিংস্র', 'মীরজাফরের জাত', 'পাকিস্তানী', 'দেশদ্রোহী', ' সন্ত্রাসবাদী'...! 'মুসলমান মানেই চারটে বিয়ে আর গন্ডা গন্ডা বাচ্চা!' দলিত এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পর্কে এইসব ধারণাও ওই সাদা চামড়ার মানুষদের মতোই আমাদের 'উচ্চবর্ণের' বড় অংশের মানুষের মধ্যে বংশপরম্পরায় প্রবাহিত! এইসব ধারণা থেকে মুক্ত নন তথাকথিত 'শিক্ষিত' কিংবা 'বাম-মনস্ক' বহু মানুষও! মনের গভীরের সংকীর্ণতা বিশেষ বিশেষ সময়ে উন্মোচিত হয়ে যায়! বিশেষ করে, পাকিস্তান সীমান্তে বা কাশ্মীরে কিছু ঘটলে কিংবা ভোট এলে!
আমেরিকার মতোই আমাদের দেশেও দখিনা বাতাস বইছে, রাষ্ট্রবাদ, পুলিশী দমন আর সাম্প্রদায়িকতা হাত ধরাধরি করে ক্রমশ বাড়ছে! এখানে বর্তমানে সারা দেশজুড়ে যেভাবে প্রশাসন চলছে, তাকে 'পুলিশিরাজ' বললে অত্যুক্তি হবে না! সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনো প্রতিবাদকে নির্মমভাবে দমন করা হয় পুলিশ দিয়ে! সাম্প্রতিককালে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক...সর্বত্র শাসকের পক্ষ নিয়ে খাকি পোশাকের ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের বর্বর নির্যাতনের চেহারা চোখে পড়েছে বার বার! বিশেষত, লক্ষ্য যদি সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ হয় কিংবা দলিত, তখন শাসকদল বিজেপি-র নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ হয়ে ওঠে আরও বেপরোয়া!
আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও তার থেকে বিন্দুমাত্র আলাদা নয়! এখানে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপি ছাড়া অন্য যে কোনো দল বা মানবাধিকার সংগঠনের সভাসমিতির ক্ষেত্রে প্রবল আপত্তি থাকে পুলিশের! পুলিশ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় শাসকদলের দ্বারা! স্বাধীনতার পর থেকেই এই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে! এই আমলে তার মাত্রা ক্রমশ বাড়ার দিকে! করোনা-র 'লক ডাউন' পর্বেও আমরা দেখলাম সরকারি বন্টন ব্যবস্থাকে কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ করে দিয়ে পুলিশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব! সব কিছুতেই পুলিশ! মাত্র দিন কয়েক আগে জল আর বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগে সোনারপুরে মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীদের জেলে পোরা হলো জামিন-অযোগ্য ধারায়!
পুলিশের ওপর সব দায়িত্ব চাপানোর এই প্রবণতায় পুলিশ কর্মীদের ওপর চাপ বাড়ছে বহুগুণ! কাজের সেই অতিরিক্ত চাপ মানসিক চাপে পরিবর্তিত হতে বেশি সময় লাগে না! আর, সেই মানসিক চাপ থেকে আমেরিকার জর্জ ফ্লয়েডের মতো যদি কোনো ঘটনা এখানেও ঘটে যায় খুব অবাক হবো না!
এদেশে পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার সাধন নিয়ে কোনো কথা হয় না! জনতা পার্টির আমলে ধরমবীর কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের কোনো সদ্গতি হয়নি!
কোনো রাজনৈতিক দলই পুলিশি ব্যবস্থাকে শাসকদলের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে দেশের সংবিধান আর আইনের বাঁধনে বাঁধতে চায়নি! কারণ, শাসকদল যেমন নিজের যাবতীয় ব্যর্থতা পুলিশকে দিয়ে সামাল দিতে চায়, বিরোধী দলও ভাবে শাসন ক্ষমতায় গেলে তাকেও যে পুলিশের ওপর ভর করেই চলতে হবে! তাই, শাসক এবং বিরোধী কেউই পুলিশকে স্বায়ত্তশাসন দিতে নারাজ, নারাজ পুলিশি ব্যবস্থার সার্বিক সংস্কার সাধনে!
সাচার কমিটির রিপোর্টে জেনেছিলাম আমরা, এদেশের আধাসামরিক বাহিনীতে সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের সংখ্যা সাকুল্যে ৩ শতাংশ। পুলিশ বাহিনীতেও সেই অনুপাতে বড় রকমের তফাৎ হবে বলে মনে হয় না! সাম্প্রতিককালে বিজেপি শাসনাধীন পুলিশের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচারের বহু ছবি মানুষের মনে গেঁথে আছে! দিল্লি পুলিশ মাটিতে ফেলে কয়েকজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবককে যখন নৃশংসভাবে মারতে মারতে 'জনগণমন' গাইতে বলছে, সেই দৃশ্য আমরা দেখেছি! তাঁদের মধ্যে এক যুবক নিহত হয়েছিলেন সেই অত্যাচারে। সেই সব স্মৃতি ভোলা সহজ নয়! একটু একটু করে মানুষের মনে জমতে থাকে! তারপর কোনো একদিন, আর একটি কোনো দৃশ্যে তুষের আগুন এখানেও বিস্ফোরনে ফেটে পড়তে পারে! আমাদের রাষ্ট্রের কর্ণধাররা যদি এখনও দূরদৃষ্টি দিয়ে না এই ভবিতব্য না বোঝেন, তাহলে হোয়াইট হাউসের মতো, পার্লামেন্ট ভবনের মাটির নিচে সুড়ঙ্গ বানিয়ে রাখাই শ্রেয়! ভবিষ্যতে জনরোষের সময় কাজে দেবে!
এদেশে সাম্প্রদায়িকতার চূড়ায় বসে আছে আমাদের পুলিশ ফোর্স। বেছে বেছে সংখ্যালঘু ও দলিতকে পেটানো, নিরপরাধ হলেও জেলবন্দী রাখা এদের দস্তুর। মগজ পুরো ধোলাই হয়েই আছে যে জগতে যা কিছু অনাছিষ্টি, সকলের মূলে সংখ্যালঘু। ব্যতিক্রম আছেন জানি। তবে বড় কম।
সঠিক বিশ্লেষণ। তবে এই যে পুলিশ বিদ্রোহ, এতে আমি অন্য কিছুর আভাস পাচ্ছি। পুলিশই নাকি প্রথম ডুবন্ত জাহাজ ছাড়ে!
মোহিতদা, নীচুতলার পুলিশের মধ্যে বিদ্বেষ যে কত,তার তুলনা হয়না।ভাদ্দরবিত্ত সমাজ বহুকাল নীচে রেখে, অত্যাচার করে যদি ভাবে এভাবে চলে যাবে, তারা ভুল করছো।সমাজ নীচে নামছে।বর্ণবাদের বজ্জাতি জাতীয়তাবাদের প্রভাবে কমেছিল।আজ রাজনীতি দাঁড়ানো বর্ণবাদের উপর।দলিত,মুসলিম অত্যাচারিত।আশ্চর্য লাগে তারপরও বহুমানুষের হেলদোল নেই।বামপন্থীদের পাপও কম না।বড় করুন ছবি। এই সময়ও ভদ্দরবৃত্তরা উদাসীন নয় পরষ্পরকে নামাতে ব্যস্ত।
মোহিতদা, নীচুতলার পুলিশের মধ্যে বিদ্বেষ যে কত,তার তুলনা হয়না।ভাদ্দরবিত্ত সমাজ বহুকাল নীচে রেখে, অত্যাচার করে যদি ভাবে এভাবে চলে যাবে, তারা ভুল করছো।সমাজ নীচে নামছে।বর্ণবাদের বজ্জাতি জাতীয়তাবাদের প্রভাবে কমেছিল।আজ রাজনীতি দাঁড়ানো বর্ণবাদের উপর।দলিত,মুসলিম অত্যাচারিত।আশ্চর্য লাগে তারপরও বহুমানুষের হেলদোল নেই।বামপন্থীদের পাপও কম না।বড় করুন ছবি। এই সময়ও ভদ্দরবৃত্তরা উদাসীন নয় পরষ্পরকে নামাতে ব্যস্ত।
মোহিতদা, নীচুতলার পুলিশের মধ্যে বিদ্বেষ যে কত,তার তুলনা হয়না।ভাদ্দরবিত্ত সমাজ বহুকাল নীচে রেখে, অত্যাচার করে যদি ভাবে এভাবে চলে যাবে, তারা ভুল করছো।সমাজ নীচে নামছে।বর্ণবাদের বজ্জাতি জাতীয়তাবাদের প্রভাবে কমেছিল।আজ রাজনীতি দাঁড়ানো বর্ণবাদের উপর।দলিত,মুসলিম অত্যাচারিত।আশ্চর্য লাগে তারপরও বহুমানুষের হেলদোল নেই।বামপন্থীদের পাপও কম না।বড় করুন ছবি। এই সময়ও ভদ্দরবৃত্তরা উদাসীন নয় পরষ্পরকে নামাতে ব্যস্ত।
রাষ্ট্রের প্রধান শত্রু পুলিস। বিশেষতঃ যাদের হাতে ক্ষমতা। ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করে এরা নরকের সম্রাট। মারা দূর্বল তারাই সংখ্যা লঘু। আর তাই এদের সমস্তরকম পারভার্সন এরা মেটায় তাদের দিয়ে। বর্ণ বিদ্বেষ বলো অন্যকে অপমান বলো এ আগেও ছিল। মেয়ে কালো হলে বাপ মায়ের মুখে আঁধার ঘনায় বেশি। রাজনীতির ছলচাতুরী করে কিছু মানুষ ঢেকে রাখতে চায়।
খুবই সময়সচেতন প্রশংসনীয় একটি লেখা। বিশেষ করে 'বামমনস্ক' যে সব মানুষের মনে ঘুমিয়ে আছে এই বর্ণভেদ, সেটা নিয়ে আরো লেখা আশা করি লেখকের কাছে।
ভালো লাগলো মোহিত। প্রশংসনীয় লেখা হয়েছে। বর্ণবৈষম্য এবং জাতিবিদ্বেষ সাথে রাষ্ট্রের ভূমিকা।
ভালো লাগতো যদি এই বাংলায় পুলিশী নির্যাতনে হত্যা ঘটনায় ও নিঃশাস্তির কিছু আলোকপাত করা হত।
Ladies and gentlemen ekhon USA ebong UK te anek murti bhangar udahoron paoa jacche. Ek samay jara samajer bir bole porichito chilo tarai ekhon samajer chokhe nindyoniyo o ghrinito. Tahole Kolkatar central metro eer 5 number gate eer kacher Rana Pratap eer murti tao ki bhenge fela uchit? Kolkata tatha Bangalir itihaas e Rana Pratap eer ki emon abodaan aache je tar murti goriye rakhte hobe? Aapnader suchintito motamot eer apekkhay roilam.
দক্ষিণপন্থী দের ষড়যন্ত্র এবার আমাজন কেও গ্রাস করলো
All Comments (6)
Replies (1)
Write in:
A
Ashok amin
Yesterday
Ahinsa . Surely the intelligent despatcher must have thought lot to mean communism is thoughtless
0 0
R
Rajendra Dutta
Yesterday
Its ovious, If you accidentally give a pearl necklace to a wild monkey, what would you expect from that monkey ?? This bengali communists are cancers of this country. Yes I am from bengal. But cann't tolarate redicule our Religion and Culture.
1 0
A
Asit Kumar Sinha Ray
Yesterday
The name of the man is Sutirtha.His name is ,of course , related to THIRTHA BHUMI BHARATBARSHA. He is also very fortunate man and therefore got most sacred book of the world The Bhagabat Gita instead of most obsolete book Communist Manifesto.Please don't return it .It is God"s blessings to you.
0 0
K
Kagazi phool
Yesterday
An Amazon user has alleged that a seller-Vishv Books, Ghaziabad, Uttar Pradesh, has been fuelling anti-Hindu sentiments by sending a copy of a book denigrating the ordered Shrimad Bhagwat Mahapuran as a “special gift” along with the holy scripture
0 0
A
Aj Reddy
Yesterday
The Bengali Communists are a cancer of India. Not only are these commies destroying India, they are trying to export their failed revolution to America with the likes of Saikat Chakrabarti.
1 0 2 replies
Load More
Read commentpost a comment
সাম্রাজ্য রক্ষায় ব্রিটিশের আইন কানুন একটুও পাল্টায়নি। এখন সাম্রাজ্যের জায়গায় এসেছে দেশভক্তি। ডান বাম মধ্য কেউই পাল্টানোর চেষ্টা করেনি।
স্বীকার করি, এপারেও বর্ণবাদ, জাতি বিদ্বেষ খুব সক্রিয়, অনেকটাই বংশ পরম্পরা। সাধারণত ধর্মীয় সংখ্যালঘু (প্রধানত হিন্দু) ও জাতিগত সংখ্যালঘু আদিবাসীদের প্রতি পদে হেয় করা হয়।
জনে জনে শুনেছি, হিন্দু হওয়ার কারণে তাদের প্রায়ই শুনতে হয়, ওপারে কয়টা বাড়ি কিনেছেন? বা ওপারে জমিজমা কতো কিনেছেন? মসজিদে মসজিদে ইসলাম ধর্মের মহিমা প্রকাশে প্রতি জুমা বারে মাইকে প্রচারিত খুদবায় প্রকাশ্যে পৌত্তলিক ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো হয়।
এখন মূর্তি ভাংগাভাংগীর খবরে বুঝতে পারি, দুর্গাপূজা এসে গেছে।
আদিবাসী, দলিতদের "তুই" সম্বোধন প্রচীন রীতি। এই কিছুদিন আগেই উত্তরবংগে "নীচুজাত" বলে আদিবাসীদের (প্রধানত সাঁওতাল) হোটেল রেস্তোরাঁয় কাঁচের থালাবাসনে খেতে দেওয়া হতো না, তাদের জন্য ছিল টিনের বাসনপত্র।
দলিত স্কুল ছাত্রদের দিয়ে মাস্টাররা নিয়মিত স্কুলের বাথরুম পরিস্কার করান, সংবাদপত্রে ভেতরের পাতায় এমন ছোট, প্রায় গুরুহীন ফিলার খবর আকচার হয়েছে।
কয়েক বছর আগে দিনাজপুরে ওঁরাও নেত্রী গণধর্ষণের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেওয়ার সময় গাইড কাম কলেজ ছাত্র সাঁওতাল ছেলেটি বলেছিল, স্কুল জীবনের অভিজ্ঞতায় কলেজে নিজের নামের প্রথম অংশটিতে সে শুধু পরিচিত (মনে করি, সুনীল), আদিবাসী পরিচয় লুকাতে পদবী প্রায়ই (মনে করি, টুডু) উহ্য রাখে। নইলে কলেজের ছাত্ররা মিশতে চায় না। একে আদিবাসীর ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, তায় তারা ইদুর, সাপ, ব্যাং, শুকর, মদ ইত্যাদি হারাম খায় -- সাধারণের ঘৃণার যেন শেষ নাই!
আর পাহাড়ে "আদিবাসীরা বহিরাগত" এমন রাষ্ট্রীয় প্রচারণায় হিংসা বিদ্বেষ রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে, অন্তত চার দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে রক্ত ঝরছে!
"শান্তি সম্প্রতির ঐতিহ্যবাহী সুখী বাংলাদেশ" একটি ছেলে ভুলানো ডাহা মিথ্যা প্রচারণা মাত্র।
মানুষ নাই রে দেশে