এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ‘নতুন’ করোনা – বিভ্রান্তির মধ্যে কীসের ইঙ্গিত?

    স্থবির দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৭ এপ্রিল ২০২০ | ৭৭৮৯ বার পঠিত
  • আন্টার্কটিকা বাদ দিলে প্রায় গোটা বিশ্বই এখন করোনা-ত্রাসে মুহ্যমান। শত্রুর বিরুদ্ধে জনমানুষকে যথেষ্ট পরিমাণে ত্রস্ত করে তোলাটা নাকি যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ, নইলে তারা যুদ্ধের উপকারিতা বোঝে না। জনমানুষ আসলে ছেলেমানুষ, পুরোপুরি মানুষ না; তাকে মানুষ করে গড়ে তুলতে হয়। পরিশীলিত, বিজ্ঞ, পারদর্শী এবং ভুয়োদর্শীরাই সেই কাজ করে থাকেন। করতে গিয়ে মাঝে-সাঝে বলপ্রয়োগও জরুরি হতে পারে; হাজার হোক, ‘হুইমজিকাল পাবলিক’ তো! যুদ্ধ মানে যে বিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জ এটাই বোঝে না। কিন্তু কম্পিত বক্ষে কি যুদ্ধ সম্ভব?

    এই আপৎকালটা অবশ্য শুধু ডাক্তারি বিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জ না; সমাজ বিজ্ঞানের সামনে এ আরও বড় চ্যালেঞ্জ। আগে তো সমাজ, ডাক্তারি তার পরে। সমাজ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেকোনও মহামারী নিজেই আরও তিন-তিনটে মহামারীর সৃষ্টি করে। যেমন, সংক্রমণের চরিত্র নিয়ে বিচিত্র ব্যাখ্যান আর নীতিশীলতার মহামারী। এই মহামারী জনজীবনে তৈরি করে মৃত্যুভয় আর পারস্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস। সে আর এক মহামারী। তারই হাত ধরে আসে এক-একটা অভাবনীয় ‘অ্যাকশন’-এর পরিকল্পনা। সেকথাও ছড়িয়ে পড়ে মুখে মুখে, মহামারীর মতো। ঐতিহাসিক, ভয়াবহ মহামারীগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করে সমাজ বিজ্ঞানীরা এই ধারণায় পৌঁছিয়েছেন। চলতি মহামারীতেও একই ছবি।

    কিস্কিন্ধ্যা থেকে কিলিমাঞ্জারো পর্যন্ত যাঁদের প্রতিদিন স্বচ্ছন্দ যাতায়ত সেইসব স্বনির্বাচিত জনদরদীদের কৃপায় যত তথ্যের জলপ্রপাত ঘটছে, ততই আমরা দিশেহারা হচ্ছি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘নতুন’ করোনা ভাইরাস অতি অনায়াসে সংক্রমণ ঘটায় ঠিকই, কিন্তু তাতে মৃত্যুর আশঙ্কা কমই। দুনিয়া জুড়ে এ পর্যন্ত সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা জনসমষ্টির নিরিখে অতি সামান্যই, মৃত্যুর সংখ্যাও তাই। কিন্তু ভাইরাস অক্লান্ত, তাই উদ্বেগ। শোনা যাচ্ছে, নালা-নর্দমায় আমাদের ‘লাশ’ পড়ে থাকবে, সৎকারের লোকও জুটবে না। তেমন কুৎসিত দৃশ্য অবশ্য আমরা তেতাল্লিশের মন্বন্তরে দেখেছি, তবে সেই চল্লিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যুমিছিলে ভদ্রজন অনুপস্থিত ছিল। করোনা যে এত অল্প সময়ে ইতর-ভদ্রের শ্রেণিভেদ মুছে দিল এটাই সুভদ্রজনের আতঙ্কের আসল কারণ।

    মুছে দেওয়ার যে-শৈলী নতুন ভাইরাসটি রপ্ত করেছে তা বড় সহজ, সরল; মাত্র তিন ফুটের খেলা। তাই আতঙ্কের সঙ্গে জোট বেঁধেছে সন্দেহ। তিন ফুটের ব্যবধানে কে যে পবিত্র কে না, তা নিয়ে স্পর্শকাতরতা। কে যে অজান্তে-অচিন্তে কোথায় ‘টাচ্‌’ করে ফেলেছে তা তো হলফ করে বলা মুশকিল। তাই শুধু চৈনিক মানুষজনই অচ্ছুৎ না, সন্দেহের তালিকায় প্রতিবেশী থেকে প্রিয়জন, দোকানি থেকে দ্বাররক্ষক সকলেরই অবাধ প্রবেশ। প্রেমালিঙ্গন স্থগিত, হয়তো শিশুর পরিচর্যাও। শুধু মানুষজনও না, সদর দরজার কড়া থেকে জলের কল, মুরগী থেকে দৈনিক কাগজ সবই সন্দেহজনক। তিন ফুটের দূরত্ব এখন ক্রমশ পঁচিশ ফুট অবধি গড়িয়েছে! নীতিবাগীশরা জন ডান-এর কাব্য শোনাচ্ছেন, ‘কার জন্য ঘণ্টা বাজছে, জানতে চাও? এ যে তোমারই মৃত্যুঘণ্টা’! একি প্রকৃতির দুরভিসন্ধি, নাকি অন্য কিছু?

    যাঁরা রাজনীতি-মনস্ক তাঁরা ‘চক্রান্ত’ খুঁজতে পারঙ্গম, তাই ‘জৈবিক যুদ্ধ’-এর তত্ত্ব শানাচ্ছেন, - ভিলেন হয় চিন নয়তো আমেরিকা। কাল্পনিক কিনা তা আপাতত প্রমাণযোগ্য না; তবে যা প্রমাণিত তা হল, একই সঙ্গে দু-দুটো ‘যুদ্ধ’ চলছে, মহাযুদ্ধও বলা যায়, - ভাইরাস বনাম মানুষ এবং মানুষ বনাম মানুষ। কোনওটাই নতুন না, তবে ভঙ্গিমাটা নতুন। ‘কেউ মিশবেন না’ বলাটা মিলন-পিয়াসী মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বড় শাস্তি। কেউ কেউ নীতিসিক্ত খাদ্য তালিকা সাজাচ্ছেন। গড়পড়তা পাবলিকের কাছে তা অবাস্তব, বাকিদের কাছে অবান্তর। আমাদের সত্যিই বড় মুশকিল। ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’! কথাটা আমাদের সভ্যতার সঙ্গে মানানসই। আবার একই সঙ্গে শুনি, গৃহবন্দি আর কর্মবিমুখ থাকাই নাকি যোদ্ধার কর্তব্য।

    একসময় প্লেগ, বসন্ত আর কলেরার মতো ভয়ঙ্কর মহামারীতে অনেকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে সেবার কাজে ব্যস্ত হতেন। সেদিন গেছে, ফেরার লক্ষণ নেই। অথচ তত্ত্বতালাশ করে সম্ভাব্য বিপদগ্রস্তদের চিহ্নিত করার কাজটা সাধারণ মানুষজনই সবচেয়ে ভাল করতে পারতেন, চিকিৎসার দায়িত্বটা না-হয় যথাস্থানেই থাকত। তা তো হলই না, বরং বুঝলাম, সতত চলমান জনজীবনে মিশে গেছে সতত চলমান ভাইরাস, এখন বিনাশকাল। তাই সাবানসুখী আর মুখোশমুখী হতেই হবে; তবে ঠিক কতবার হাত ধুলে বিপন্মুক্ত থাকব বলা যাচ্ছে না, সাবানের জোগানও তো ফুরবে, মুখোশেরও। ওদিকে ধ্বংসলীলার ভয়াবহ সংবাদ যতটা মিলছে, সফল চিকিৎসার সংবাদ ততটা না। ‘পরমা যন্ত্রণা’ কি একেই বলে? বয়স্ক মানুষজনের বিপদটা নাকি সত্যি; কতটা সত্যি?

    কষ্টেসৃষ্টে হোক বা মনের আনন্দে, তাঁরা বেঁচেবর্তেই থাকেন। এখন তাঁরা মরমে মরছেন। ভাইরাস নাকি তাঁদেরকেই তাক করেছে, তাঁরা নিউমোনিয়ায় মারা যাবেন, নয়তো হৃদাঘাতে বা ডায়াবিটিসের প্রকোপে। এতকাল তাহলে কীসে মারা যেতেন? করোনায় মৃত্যুর হার নাকি এক থেকে প্রায় তিন শতাংশ। ওদিকে ডাক্তারি নথিপত্র বলছে, সাধারণ অবস্থাতেই বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটে অতি দ্রুত এবং অতি তীব্র, আর তাতে মৃত্যুর হার উন্নত দেশেই প্রায় কুড়ি শতাংশ। মৃত্যু কারোরই কাঙ্ক্ষিত না, কথাটা ‘ক্লিশে’; কিন্তু বার্ধক্যে মৃত্যু কি সত্যিই অস্বাভাবিক, নাকি করোনা জাতভ্রষ্ট করে দেয়? তাছাড়া, ‘মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ’ নিয়েও বিজ্ঞানী মহলে তর্কের সুরাহা নেই। তাহলে করোনার দিকেই আঙুল উঠছে কেন?

    এমনও তো হতে পারে যে, বৃদ্ধদের মৃত্যুর কারণ অন্য অথবা আবহমান কালের মতো রহস্যাবৃত, করোনা শুধু সেই মৃত্যুর সাক্ষী। নাকি, জীবনের অন্তিম পর্বে করোনা এল বলে সেটাই কারণ হয়ে দাঁড়াল? ‘পোস্ট হক, আর্গো প্রপ্টার হক’, - শেষকালে যাকে দেখা গেছে সেটাই কারণ! রাত্রির আগে ছিল দিন, তাই দিনই রাত্রির কারণ! তার উপর জুটেছে আরও এক আনমনা চর্চা, - ‘ইমিউনিটি’। শব্দটা এই সংকটকালে নতুন করে মুখরোচক হয়ে গেল। অথচ ইমিউনিটি যে আমাদের কতটা বন্ধু আর শত্রুই বা কতটা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের সংশয় আজও কাটেনি। কারণ, ইমিউনিটি হল ঘুমন্ত বাঘ, খিদে না-পেলে জাগে না; জোর করে জাগিয়ে তুললে সে উন্মাদ হয়ে যায়। তাই কোন সংক্রমণ ইমিউনিটিকে কখন, কতটা তোয়াজ করবে তা আন্দাজ করাও মুশকিল।

    স্তুপীকৃত বিভ্রান্তি। ভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘অবস্থান ধর্মঘট’ চলবে, যাঁদের যতটা এলেম ততটাই। কিন্তু এলেম ফুরোলেও ভাইরাস যদি নমনীয় না-হয়? ভাইরাস যদি আমাদের ‘অনশন ধর্মঘট’-এ প্ররোচিত করে? তা তো করছেই। গৃহকোণে অবস্থান কাদের পক্ষে, কতকাল সম্ভব সেকথা ভাইরাস ভাববে কেন, সে তো অসাম্যই বোঝে না! রাজনীতিকরা তা জানেন, ডাক্তাররাও; কিন্তু বোঝেন কতটা? বুঝলে তাঁদের কাছ থেকে একটু ভাবনার পটুত্ব আশা করা যেত; যদিও তা দুরাশাই, কেননা আমরা নিম্নমেধার অধীনেই থাকি। এমনকী, শব্দচয়নেও তাঁরা আনাড়ি। নইলে ‘সামাজিক দূরত্ব’ কথাটা আমদানি হয় কীকরে? ব্যক্তিগত, শারীরিক দূরত্ব এক কথা, বিসদৃশ পরিস্থিতিতে কখনও তার দরকার হয় ঠিকই; কিন্তু সামাজিক দূরত্বের অর্থ যে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    অমন দূরত্ব নির্মাণের অদূরপ্রসারী ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে, বুদ্ধির বৈকল্যে তা যুদ্ধবিশারদদের কাছে ধরা পড়ে না। আমরাও হয়তো এইভাবে সমাজবিচ্ছিন্ন কোনও উৎকট জীবে পরিণত হয়ে যাব। আমরা কি অজান্তে সেই পথই খনন করে, নতুন অসভ্যতার রিহার্সাল দিচ্ছি? অথচ যুদ্ধের যে-কঠোর কৌশল আমরা এখন বাধ্য হয়ে মানছি তা এড়িয়ে যাওয়া যেত, যদি সময়মতো কর্তব্যগুলো কঠোরভাবে পালন করা হত। অন্তর্জলি যাত্রার দৃশ্যকল্প না-লিখে ভিয়েতনাম, কিউবা, থাইল্যান্ড বা দক্ষিণ কোরিয়া তা করে দেখিয়েছে। কারণ, সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাঠামোটা মজবুত। আমরা নিধিরাম! গলাবাজী আর ধূর্তামি ছাড়া আমাদের রাষ্ট্রনীতিতে আছেই বা কী!

    তাই কেন্দ্রীয় সরকার এখন হয়তো বলবে, ‘দুয়ার খুলে দেখিনি, ওই একটি পরমাদ ছিল’! সেকথা ছেড়ে আমরা বরং অন্য কথা ভাবি। আমরা জানি, সংক্রমণের গতি কমবে, সংখ্যাও। এও জানি, প্রতিটি সংকট নতুন সংস্কৃতির জন্ম দেয়। নতুন ভাইরাস ইঙ্গিত দিচ্ছে, ঘরে আর বাইরে নিয়ম আর নীতির বেড়া বাঁধলেই তার হাত থেকে নিশ্চিন্তি জুটবে না; আমাদের কল্পস্বর্গে তার কোনও স্পৃহা নেই। সে থাকতে এসেছে, মারতে না, মরতেও না। আশ্রয়দাতাকে মেরে ফেললে সে নিজেও মারা পড়ে। এই জ্ঞানবুদ্ধি তার আছে, কেননা বয়সে, অভিজ্ঞতায় আর সংখ্যায় সে আমাদের চেয়ে বহুগুণ বড়। এমনিতেই লক্ষ-কোটি ভাইরাস আমাদের শরীরে পরম নিশ্চিন্তে বসবাস করে। তারা যুদ্ধ করে না, আমাদের জৈবিকতার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নেয়।

    সেই বোঝাপড়ার ইঙ্গিত সে দিয়েই চলেছে, আমরা তা ধরতে চাই না। কারণ, আধুনিকতা আমাদের বোঝাপড়া করতে শেখায়নি, ‘যুদ্ধ’ করতে শিখিয়েছে, আমরা বর্বর হয়েছি। কতটা বর্বর তা এমনিতে বোঝা যায় না, কিন্তু ভাইরাস-সঙ্কটে তা স্পষ্টই বোঝা গেল। তাই মনে হয়, আমাদের নতুন কোনও সংস্কৃতির উদ্ভব ঘটাতে হবে, উদার, চরাচরবিস্তৃত, বন্ধুবৎসল। এবং বিজ্ঞানমনাও। নইলে বিনাশ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ এপ্রিল ২০২০ | ৭৭৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 108.162.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২১:৫৯92424
  • স্বাস্থের বৃত্ত তে বেরোনো আপনার লেখাটাও পড়লাম, এটাও। সমর্থন জানালেও প্রচুর লোক গালাগালি দেবেন জানি, তবু এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণই সমর্থন করি, কারণ আমিও এভাবেই ভাবছি। বিষাণের লেখাতেও এটাই জানিয়ে এসেছি। আমি রাখ ঢাক না করেই বলি, আমার বারবার মনে হচ্ছে এই আতঙ্কটা ম্যানমেড। সতর্কতা আর আতঙ্কের মধ্যে যে অনতিসূক্ষ্ম প্রভেদ থাকে সেটা প্রায় জোর করে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে কে আগে হার স্বীকার করে নিতে পারে তার কম্পিটিশন চলছে যেন।
  • dc | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০২92426
  • আমার মনে হয় আতংকটা মূলত এই জন্য যে এটা নতুন অসুখ আর এটার ভ্যাক্সিন এখনো বেরোয়নি, এই দুটো খুব করে প্রচার হয়েছে। তবে জোর করে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, সেটা ঠিক মনে হয়না। অসুখটা ছোঁয়াচে, আর প্রথম ছয় থেকে আট সপ্তাহ খুব ছড়াচ্ছে, কাজেই পিক রিচ করা অবধি সব দেশেই সতর্কতা নিতেই হচ্ছে।

    আর ইয়ে, এখনো অবধি অন্তত দেড় লাখ মৃত্যু হয়েছে, চীনের জল মেশানো ডেটা ঠিক করে ধরলে বোধায় লাখ দুয়েকের কাছে। তাই এই বাক্যটা কেমন যেন লাগলোঃ "দুনিয়া জুড়ে এ পর্যন্ত সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা জনসমষ্টির নিরিখে অতি সামান্যই, মৃত্যুর সংখ্যাও তাই"। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে একই রোগের কারনে দু লাখের কাছাকাছি মৃত্যু খুব সামান্যও না কিন্তু।
  • রৌহিন | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:১২92427
  • স্বাস্থের বৃত্ত নয় - শ্রমজীবি ভাষা - দুঃখিত
  • শুদ্ধসত্ত্ব বন্দোপাধ্যায় | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:২১92432
  • বাহ!!

  • শুদ্ধসত্ত্ব বন্দোপাধ্যায় | 162.158.***.*** | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:২১92433
  • বাহ!!

  • স্থবির দাশগুপ্ত | 172.69.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০১:২৩92501
  • ১) আমার ধারণা, করোনা ভাইরাস ম্যান মেড না, তার ছড়িয়ে পড়াটা ম্যান মেড। তাকে ঘিরে আতঙ্কটাও। 

    ২) প্রতি বছর পৃথিবী জুড়ে টিবির মতো একটা জীবাণু সংক্রমণেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যান। ২০১৮ সালে এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ। তার মধ্যে ভারতেই প্রায় সাড়ে চার লক্ষ।

    ৩) অথচ ওতে মিডিয়া আতঙ্ক ছড়ায় না। তাই আতঙ্কের কারণটা অন্য কোথাও খুঁজতে হবে, করোনার মধ্যে না। করোনা কাদের হাত ধরে ছড়িয়েছে সেটা লক্ষ্য করুন। আর তাতে কাদের মৃত্যুভয় বেশি সেটাও লক্ষ্য করুন। আতঙ্কের কারণ ওখানেই লুকিয়ে আছে।

    ৪) কোভিডে নিশ্চয়ই বহু মানুষ মারা যাবেন। স্বাস্থ্য পরিষেবার নাগাল যাদের কম তাদেরই মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। আমেরিকায় তা প্রমাণিত। কিন্তু যত জনই মারা যান, ৭৫০ কোটি জনসংখ্যার নিরিখে তা কত তা হিসেব করে দেখুন।

    ৫) মনে রাখুন, ডাক্তারি শাস্ত্র আসলে একটা "পলিটিকাল সায়েন্স"!!!

    ​​​​​​

    ​​​​​​

     

    ​​​

  • শুভঙ্কর ভাস্কর | 108.162.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪৮92552
  • আমাদের সবার আগে নিজেদের সমাজতন্ত্রের ভাবনা আর ভাবুকদের চিনতে জানতে হবে। করোনা, তো কমবে বা বাড়বে তাদেরই হাত ধরে। বিগত দিনে আমাদের বহু কাজে সে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমরা আসলে নিজেদের অতি শিক্ষিত ভাবি বা শিক্ষার মূল্যায়ন করতে চাই না। এই দু-ধরণের মানুষ আমাদের এখানে বেশি। তাই কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই সারাক্ষন আমরা দাদা-দিদি দের কথায় বিশ্বাস করে ভরসা করে থাকি। আর নিজেদের নিজের দোষারোপ করি বা বাহবা দি। ভাইরাস তো আজ এলো, এতদিন কি ছিলো ? সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ যাদের জন্য আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সবটাই বেঁচে থাকে তাদের তো উচ্চ বা নিম্ন মানের সমাজ ভাইরাস দুদিক থেকে পিষে এসেছে। আজ একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন কোন ক্যাটাগরি-র মানুষ বেশি আক্রান্ত। তবে লেখা পড়ে যতটা ভালোলাগলো তার থেকে বেশি খারাপ লাগলো আমাদের কদর্য মনোভাবাপন্ন মানুষ দের অশিক্ষার কথা ভেবে। এখনো রাজনীতির খেলা এখনো তোষনবৃত্তি আজও অশিক্ষা সাধারণ বুদ্ধির অভাব, এ যেন করোনার বাবা বলেই প্রমান দিচ্ছে।

  • আকাশ সরকার | 162.158.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৫:৩৯92558
  • মুগ্ধ হয়ে রইলাম। আলাপ ভাল লাগল।

  • পরিতোষ তালুকদার | 108.162.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৪92562
  • অসাধারণ লেখা। কী বলব ভাষা খুজে পাচ্ছি না। আরও পড়তে চাই। 

  • দিল্স্ লক্ষ্মীনারায়ণ সিংহ | 162.158.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৫৭92566
  • সুন্দর, যুক্তিনিষ্ঠ ও মানবিক দৃষ্টিসম্পন্ন লেখা। অনেক কিছুই জাাালাল। লে আন্ততরি ধন্যবাদ।

  • বছিরুদ্দি | 14.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:০২92577
  • সব না করে সবাইকে আল্লাহর পথে টানেন। নামাজ, দোয়া, ক্ষমা, তওবা পড়ার প্রতি উদ্ভুত করেন। আল্লার কারো না কারো উছিলায় ইনশাআল্লাহ সাহায্য করবেন। ইসলাম যদি সত্যি বিসশাস করেন তাহলে এটাও বিসশাস করবেন যে এটা গজব। তাই পরিত্রানের জন্ন্যে তার দিকেই তাকাতে হবে। গজবে এটা দেখবে না কে কি ধরমের। কে যাবে কে থাকবে এটা আল্লাহই জানেন। তাই আমাদের সবার উচিত এই উছিলায় যেন আমরা আল্লাহকে আরো বেশি ডাকতে পারি। তিনি সরবশক্তিমান, সব্জান্তা,পরম দয়ালু এবং সকল ভাল গুনে গুনান্নিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই যারা এটা পড়বেন দয়া করে যতটুকু কেয়ারফুল থাকা যায় এই রোগে এবং আল্লাহকে কিভাবে খুশি করা যায় সেটা চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের সবাই সেই তৌফিক এবং সেই রহমত দান করুন। আমিন
  • ফারজানা নাজ শম্পা | 162.158.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৫:১০92592
  • সুন্দর আলোচনা গভীর পর্যবেক্ষণ শুভেচ্ছা কানাডার হ্যালিফ্যাক্স নোভা স্কোশিয়া থেকে 

  • মনিরুল মনির | 162.158.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৮92625
  • সকাল আসুক

    সুবর্ণ সকাল

    আমরা যেন যাই নিবিড় সম্পর্কচর্চার দিকে

  • সৈকত মিস্ত্রী | 162.158.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:১১92646
  • ভাইরাস প্রাকৃতিক বিষয়।সেটাকে ধনতান্ত্রিক পৃথিবী কাজে লাগিয়েছে। একটু অন্যভাবে দেখলে দেখব যে সময় কোভিড এর বাড় শুরু হল,তখন বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বসে গেছে।অন্তত কিছুকাল করোনার জুজু দেখালে ধনতান্ত্রিক পৃথিবীর  লাভ বইকি।

    প্রথম থেকে ধনতান্ত্রিক পৃথিবী ও তার প্রচার যন্ত্র পৃথিবীর পরিসংখ্যানের কারবার করেছে।সামনে বড় সংখ্যা দিয়ে আমাদের যখন ভয় পাওয়ানো হচ্ছে, তখন আমরা বড় সংখ্যার নিরিখে অবেক পিছিয়ে।যেদেশে ১২৩৩ জন প্রতিদিন টিবিতে গরীব লোক মরে,তাতে ব্যবস্থা ভয় পাায়না।কিছু ধনী যেই আক্রান্ত হল ওমনি ব্যবস্থা নড়ে গেল।       

  • Dipak Basu | 172.69.***.*** | ১৩ মে ২০২০ ১৩:০২93280
  • Exceptionally outstanding ! Illuminating and enlightening write -up. Keep up the good work !

  • ইন্দ্রনীল ঠাকুর | 2402:3a80:a75:78cd:0:20:cbc1:***:*** | ২৫ মে ২০২০ ১৭:২৩93650
  • আপনি বরাবরই ভালো এবং যুক্তিপূর্ণ লেখা লেখেন।তবে আমার মনে হয় আতঙ্কেের মূল কারণটা হল কোভিডে মৃত্যুর আকস্মিকতা এবং সামাজিক ট‍্যযাবু।কে কখন খারাপ হবে জানা নেই।একবার ফুসফুস ধরলে শতকরা নব্বইভাগ মৃত‍্যু।হাইরিস্ক নয় এমন হাট্টাকাট্টা বছর চল্লিশের যুুুবক দুচার দিনেের জ্বরে শেষ।এমন ঘটনা নেহাত কম নয়।এক জনের হলে সংস্পর্শেে আসা সবাই কে নিয়ে টানাটানি।যক্ষায় মৃত‍্যু হলেও কিছুটা সময় পাওয়া যায়।তাই ...যা লিখেছেন সবটুকুই মেনে নিতে পারলাম না।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন