NRC-NPR-CAA -- দত্তপুকুরের হিন্দু বীর : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৫৩৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৬
তারপরই আসরে নামেন, হিন্দু বীর রা। একে তো নারীর শ্লীলতাহানি অতি স্পর্শকাতর বিষয়, জনসমাজে আলোড়ন ফেলার পক্ষে যথেষ্টর অধিক। তদুপরি মুসলমান ছেলে ও হিন্দু মেয়ের সমীকরণ। এসব ব্যাপারে রামচন্দ্রের যুগ থেকেই 'হিন্দু ভীর'রা কখনই অভিযোগের যাথার্থ্য বিচার করে কবে রাবণকে পুলিশে ধরবে, বা আদৌ ধরবে কিনা সেই 'ডিউ প্রসেস'এর জন্য অপেক্ষা করেননি। ফলে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলেটিকে গণপিটুনি দেন। ছেলেটি মারা যায়। কীভাবে মারা গেল, এই দ্রুতগতির যুগে নিশ্চিত করে জানা যায়নি। একটি কাহিনী শোনা যাচ্ছে, যে, ছেলেটিকে ক্লাবে আটকে রাখা হয়,পরে সে বাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করে।
NRC-NPR-CAA -- আবার কাণ্ড যাদবপুরে : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৩২৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে 'ভীর'রা তাঁদের শেষ সম্বলের আশ্রয় নেন, যার নাম আইটি সেল। গভীর রাতে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি গভীর বীরত্বব্যঞ্জক উদাত্ত আহ্বানঃ "যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডের পাশে CAA সংক্রান্ত এক জনসভাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির কিছু নকশাল পন্থী পড়ুয়া এবং স্থানীয় হার্মাদ বাহিনী সভা বানচাল করার চেষ্টা করে। স্লোগান তোলে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সভা শেষে তারা স্টেজ ভাঙচুর করে, স্টেজে লাল ঝান্ডা গেড়ে দেয়, এবং সেই সময় উপস্থিত আমাদের মহিলা ও বরিষ্ঠ কর্মীদের উপর হাত তোলে। এদের এই সাহস ক্রমশই বেড়ে চলেছে।"
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের অষ্টম দিন, আসাম এবং বাংলা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১৬১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
এসবের মধ্যেই পূর্ব ভারতের কেষ্টবিষ্টুদের বাঙালিবিরোধী কর্মপদ্ধতি অটুট। রাজ্যপাল ধনখড় বনহুগলীতে একটি সভায় বলেছেন, 'সংবিধানে বলা হয়েছে হিন্দিই আমাদের ভাষা। তাই ইংরেজির পাশপাশি হিন্দিতেও কথা বলার জন্য নিরন্তন প্রয়াস চালানো উচিত। সংবিধান অনুযায়ী হিন্দি আমাদের ভাষা।' সভাটি ছিল 'রাষ্ট্রীয় গতিশীল দিব্যাঙ্গ জন সংস্থা'র। কোনো বাঙালি যে এর অর্থ বলতে পারবেন না, এ মোটামুটি নিশ্চিত। আসামে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্য ভাষা হিসেবে অসমিয়াকেই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছেন অমিত শাহরা। এমনকী অসম বিধানসভার আগামী অধিবেশনে সেই বিষয়টি পাশ করিয়ে অসমের সব স্কুলে বাধ্যতামূলক অসমিয়া ভাষা রাখা হবে। শুধু তাই নয়, আনা হচ্ছে আরও একটি নতুন আইন। নতুন এই আইন অনুযায়ী অসমিয়া ছাড়া আর কেউ রাজ্যে জমি কিনতে পারবেন না।
NRC-NPR-CAA -- গভীর রাতে ছাত্রদের দখলে রাজপথ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৯২৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
গভীর রাত থেকেই ছাত্ররা রাজপথে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অবস্থান। ছাত্রছাত্রীরা গভীর রাতে যাদবপুর থেকে উপস্থিত হয়েছেন সেখানে। সারা রাত অবস্থান বিক্ষোভ চলেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। বিক্ষোভ চলছে এন-আর-সির বিরুদ্ধে, এন-পি-আর এর বিরুদ্ধে। নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। স্লোগান চলছে কেন্দ্রীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের একনায়কত্ব না যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঞ্চলিকতাকে রক্ষা করা? সংখ্যাগুরুর একচেটা একনায়কতন্ত্র, নাকি ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুর সমানাধিকার? বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে মূল প্রশ্নটি এইই। প্রথাগত বাম, শাসক তৃণমূল ছাড়াও বাংলা জাতিয়তাবাদী শক্তিগুলিও এবারের আন্দোলনে ভীষণভাবে সক্রিয়। সব মিলিয়ে কলকাতা হয়তো শাহবাগ ধাঁচের একটি গণ-আন্দোলন দেখতে চলেছে আজ থেকে। অন্যান্য মিডিয়া প্রকাশ করুক না করুন, এই আন্দোলনের খবর আমরা প্রকাশ করে চলব। নজর রাখুন এই পাতায়।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের দ্বিতীয় দিন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৮৯৩ বার পঠিত
ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ অগণিত। প্রতি মুহূর্তে নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের খবর আসছে। আলাদা করে দেওয়া অসম্ভব। তবে বস্তুত ভারতবর্ষের প্রতিটি কোণে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়, শোনা যাচ্ছে, এক আর-এস-এস কর্মী বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা পড়েছেন। তিনি মুসলমান সেজে ধ্বংসাত্মক কাজকর্মে উসকানি দিচ্ছিলেন। আর বহু জায়গায়ই এরকম চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা। তবে এইটুকুর বাইরে বাংলায় বিজেপির আর তেমন অস্তিত্ব চোখে পড়ছেনা। তাদের বিখ্যাত আইটি সেলও ক্রমশ অকার্যকর হয়ে যাবার সম্ভানায় অবশ্য তীব্র প্রচার চালাচ্ছে। ছড়ানো হচ্ছে ভুয়ো খবর, ভিডিও, উত্তেজক বাণী। তা নিয়ে প্রতিবাদও হচ্ছে। প্রবল জনবিক্ষোভে মেঘালয়ের রাজ্যপালকে ছুটিতে যেতে হয়েছে। তিনি উত্তর কোরিয়ায় ছুটি কাটাতে গেছেন কিনা অবশ্য জানা যায়নি।
উলুবেড়িয়া থেকে সরাসরি : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১৯০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪
রাজ্যের কিছু হিংসাত্মক ঘটনার পর ফিসফিসিয়ে চলছে প্রচার। 'ওদের' নিয়ে। উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইলে ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার ঘটনার পর থেকে ফিসফিসিয়ে বা সোচ্চারে চলছে সাম্প্রদায়িক প্রচার। 'ওদের আন্দোলন', 'ওরা হিংসা ছড়াচ্ছে'। কিন্তু কী বলছেন স্থানীয় মানুষ? আমাদের হাতে আছে দুই সম্প্রদায়ের কিছু স্থানীয় মানুষের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও। কী বলছেন তাঁরা? কী হয়েছিল? কী নিয়ে আন্দোলন? কারা করছেন? শোনা যাক, বক্তব্য। উলুবেড়িয়া থেকে সরাসরি. প্রকাশ করা হল গুরুচণ্ডালির পক্ষ থেকে।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের ষষ্ঠ দিন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১৭২ বার পঠিত | মন্তব্য : ১০
অন্তত ছজন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন গুলিতে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা গুলি চালায়নি। বিক্ষোভকারীরা নিজেদের গুলিতে নিজেরাই মারা গেছেন। তাঁদের দাবী সত্যি হলে পৃথিবীতে প্রথমবার এরকম ঘটনা ঘটল, যে, বিক্ষোভকারীরা নিজের দলের লোককেই নিশানা করে গুলি করে মারছেন। সম্ভবত বিক্ষোভকারী খুব বেশি হয়ে গেছে।
এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ডিজি দাবী করেছেন, গোলমালের পিছনে বহিরাগতদের হাত আছে। অনেকে বাংলায় কথা বলছিল। বাঙালি মাত্রেই সন্দেহজনক, এবং উত্তরপ্রদেশে কেউ বাংলায় কথা বলতেই পারেনন, এই তথ্য অবশ্য নতুন না। বাঙালি বিদ্বেষের টুকটাক বিক্ষিপ্ত খবর ইতিপূর্বেও পাওয়া গেছে।
NRC-NPR-CAA -- সংখ্যাগুরুর বিপদ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১৯৩ বার পঠিত
এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, বাঙালি হিন্দু হল বোঝা, এবং বাঙালি 'আধিপত্য'কে সরকারিভাবেই বিপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসামে 'অবৈধ বাংলাদেশী' হিন্দুর একটা মনগড়া সংখ্যাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। কারা এই 'বাংলাদেশী হিন্দু?' আসামে বা গোটা দেশে? কেউ জানেনা। জানা সম্ভবও না। তাই খুব সম্ভব গোটা বাঙালি জাতিকেই বাংলাদেশী না হবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে। ভারতের অন্য কোনো জাতির এই সমস্যা হবেনা, কিন্তু হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সব বাঙালিই সন্দেহের পাত্র। দীর্ঘদিন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যাঁরা এই বাংলায় বসবাস করে এসেছেন, প্রত্যেককে সম্ভবত আরও একবার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। কীভাবে প্রমাণ হবে? কেউ জানেনা। না করতে পারলে কী হবে? কেউ জানেনা।
NRC-NPR-CAA -- দেয়াল লিখন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৯৬৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
কী বুঝলেন? এই হল ফ্যাসিবাদ। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের ঘোষিত এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরপর তিনটি বড় বড় মিছিল করে জানান দেওয়া স্ট্যান্ড হল -- ক্যাব নয়, এনআরসি নয়। তবুও এখানে নির্বিবাদে প্রো-ক্যাব পথসভা হচ্ছে, মাইকিং হচ্ছে, ধর্মীয় মেরুকরণ করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। করছে এমন এমন সংগঠন, রাষ্ট্রীয় নাগরিক উদ্যোগ, সনাতন দল ইত্যাদি, যাদের নাম কস্মিনকালেও কেউ শোনেনি। কেউ কিছু বলছে না, না মানুষ, না পুলিশ। লোকে শুনছে কি শুনছে না সে কথা আলাদা।
আর গুজরাতে দুটো দেওয়ালে দেওয়াল চিত্র এঁকেছে আর্ট কলেজের ছেলেমেয়েরা। No CAB Modi. 'o'-এর জায়গায় স্বস্তিকা চিহ্ন এঁকেছে যা সারা পৃথিবীতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ঘৃণিত হয়। তার জন্য পুলিশ পাঁচজন একুশ বাইশ বছরের ছাত্রকে অ্যারেস্ট করেছে। আরো দু-জনকে খুঁজছে।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের দশম দিন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২০০৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৪
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিপর্যয় অব্যাহত। শিলিগুড়িতে বিজেপির মিছিলে একটি ষাঁড় ঢুকে পড়ে লন্ডভন্ড করে দিতে চলেছিল। কার্বাইনধারী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা থাকায় নেতারা কোনোক্রমে রক্ষা পান। অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, একটা ষাঁড়েই এই অবস্থা, এন-আর-সি বিরোধী জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়লে কী যে হাল হবে বোঝা মুশকিল।
এইসব ঠাট্টাতামাশার মধ্যেই থাবা বসাচ্ছে এন-আর-সি আতঙ্ক। কারণ বিষয়টা এতটুকুও ইয়ার্কির নয়। সংবাদপত্র সূত্র অনুযায়ী আতঙ্কে আরও এক মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। মারা গেছেন লিয়াকত কারিগর। আপাতদৃষ্টিতে মৃত্যুর কারণ হৃদ্যন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া হলেও, পরিবারের লোক্জন জানিয়েছেন, মূল কারণ আতঙ্কই।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের সপ্তম দিন, বাংলা-হিন্দি বিতর্ক : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২১৭০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১২
অন্য এক সমালোচক জানিয়েছেন, এই প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। মুসলমানরা জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে বলা যায় বাধ্যই হচ্ছেন, কারণ তাঁদের উপরে প্রমাণ করার দায় চাপানো হয়েছে যে তাঁরা ভারতীয়। একই ভাবে বাঙালিদেরও প্রমাণ করতে হচ্ছে, তাঁরা মূলধারার ভারতীয়, বাংলাদেশী নন। সমষ্টিগত অবচেতনে হয়তো ব্যাপারটা কাজ করছে। কিন্তু সমস্যা হল, আলাদা করে কাউকে কিছু প্রমাণ করতে যাতে না হয়, সেজন্যই তো এ আন্দোলন। ভারতীয় হতে গেলেই যে এক ভাষায় কথা বলতে হয়না, বিভিন্ন আঞ্চলিকতা, বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন ভাষার যোগফলই ভারতবর্ষ, এই স্পিরিটটা এই একই স্লোগানে থাকছেনা। একরকম করে অখণ্ড হিন্দুস্তানের প্রচারই চলছে যেন। ঐক্যবদ্ধ প্রমাণ করার জন্য আন্দোলনকারীরা আপ্রাণ হিন্দি বা উর্দু স্লোগান মুখস্থ করছেন। তামিল তেলুগু বাংলা নানা স্লোগান মুখস্থ করে তো দিচ্ছেন না। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নয়, এ যেন যান্ত্রিক ঐক্য।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের তৃতীয় দিন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১১০ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ নির্বাসন ভেঙে টুইটারে ফিরে এসে বিবৃতি দিয়েছেন নতুন আইনের বিরুদ্ধে। বললে বিশ্বাস করা মুশকিল, চেতন ভগতও ছাত্রদের উপর রাষ্ট্রীয় হামলার নিন্দা করেছেন। সারা ভারতের নারী-পুরুষরা যাঁদের কথা ভেবে শয়নে-স্বপনে নালেঝোলে হন, যাঁরা মাঝেমাঝে টিভিতে 'সামাজিক' বিষয়ে অনুভূতিপ্রবণ অনুষ্ঠান করেন, সোশাল মিডিয়ায় বাণী দেন, মুম্বইয়ের সেই বৃহৎ তারকারা অবশ্য এই সংকটকালে নিশ্চুপ। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে পক্ষ নিলেও সিনেমার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, যাঁরা আজকাল সিনেমার সুবাদে টিভি থেকে সংসদ সর্বত্রই সহজে ঢুকে পড়েন, তাঁদের মধ্যে তেমন নড়াচড়া দেখা যাচ্ছেনা। খুব সম্ভবত কোন পক্ষ নিলে সুবিধে হবে, তাঁরা এখনও এই জল মাপতেই ব্যস্ত।
NRC-NPR-CAA -- বিদ্রোহের নবম দিন : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১৩৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
সামাজিক মাধ্যমে ঠাট্টাতামাশা চলছে, যে, বড় মিছিল করেও বিজেপির দুর্ভাগ্যের কোনো শেষ নেই। ঝাড়খন্ড থেকে উৎসাহ নিয়ে যে কর্মীরা এসেছিলেন, মিটিং শেষ করে বাড়ি ফিরে তাঁরা দেখেন, বিজেপি রাজত্বই চৌপাট হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে, বেশিরভাগ মানুষই, এমনকি খোঁজই রাখছেন না, প্রধানমন্ত্রী মোদী নাকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আরও একটি সার্জিকাল স্ট্রাইক ঘটিয়ে ফেলেছেন। গোলযোগে পড়লেই তিনি পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেবার কথা ভাবেন, এবারও তাই। গতবার সার্জিকাল স্ট্রাইক করে নির্বাচনে উপকার হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পরে দেখা গেছে, আদতে কয়েকটি পাইন গাছ এবং একটি কাক মারা ছাড়া কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয়নি, এবং বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখই পুড়েছে। সেই কান্ডের পর মোদীর বিশ্বাসযোগ্যতা এতই তলানিতে, এমনকি কোনো চরম ভক্তও এ নিয়ে মুখ খোলার সৎসাহস পাচ্ছেননা।
NRC-NPR-CAA -- দেয়াল লিখন ২ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : NRC/CAA | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১৮৬৫ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৫
এনআরসি, ক্যা, এনপিয়ার - সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল এখন এদেরি দখলে। বড়দিন, নববর্ষে পালাপার্বণের ভরা মোচ্ছবের বাজারেও। এরকম গম্ভীর বিষয় নিয়েও ইয়ার্কি, ফাজলামি, খোরাক, খিল্লি, ব্যংগবিদ্রূপে ছেয়ে যাচ্ছে ফেসবুক ট্যুইটার ফেসবুকের দেওয়াল, রাস্তায় নেমে যুদ্ধের সংগে সমানতালে চলছে মায়াদুনিয়ায় পোস্ট আর পোলের লড়াই। সেসব যুদ্ধেরই কিছু আঁচ, দেয়ালের কিছু ভেংচি কাটা ছবির টুকরো, রইল এই সংকলনে।আপনাদের নজরে মণিমুক্তো কিছু এলে পাঠান এই ঠিকানায়, পরবর্তী দেয়াল লিখনের জন্য, guruchandali@gmail.com
বছর শুরুর গুরুচন্ডা৯ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১৩৪৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
এ বড় সুখের সময় নয়। ঘাড়ের উপর এনআরসি, মাথার উপর ক্যা। আসামে বাংলা কোনঠাসা, উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। কাশ্মীর এখনও অবরুদ্ধ, নাগাল্যান্ডে বুটের শব্দ। এখনও পর্যন্ত ১১ টি রাজ্য এনপিআর মানবেনা জানিয়েছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অনমনীয়। দেশভাগের পর গত সত্তর বছরে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় ইউনিয়নের সামনে এত বড় সংকট আর আসেনি। এ ঠিক উৎসবের সময় নয়। সেই জন্যই এ সময় উৎসবেরও। রাষ্ট্র যখন পিটিয়ে সমস্ত বহুত্বকে সমতল করে দিতে চায়, তখনই তো সময় বহুত্বকে উদযাপন করার। রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন কিচ্ছু বদলাতে পারেনা দেখিয়ে দেবার। সংকটের মধ্যেই জন্ম হয় নতুন উচ্চারণের, স্ফুরণ হয় নতুন শব্দ, নতুন চিৎকারের, নতুন সৃজনের। এ সময় উৎসবেরও। উৎসব সংখ্যার।
পুজোর কবিতা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কাব্য | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৩৩১ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
মঞ্চে প্রবিষ্ট অভিনেতার ওপর কবি তো আলো ফেললেন, সে আলো পাঠককে চিনে নিতে সাহায্যও করলো কী সেই অদম্য প্রকাশবাসনার উৎস, কী সে বক্তব্য যা না বলে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে কবির পক্ষে। কিন্তু সেখানেই কি কাজ শেষ হলো? এই জায়গায় এসেই সম্ভবত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় আত্মজিজ্ঞাসা। সাধারণভাবে কবিতা কেন লেখা হচ্ছে এই বিষয়ে আমরা কথা বললেও এখনও পর্যন্ত একটি বিশেষ কবিতা কেন লেখা হচ্ছে সেকথায় আসিনি। "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" সৃষ্টি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন চোখের ওপর থেকে পর্দা সরে যাওয়া, লিখেছিলেন "বিষাদের আচ্ছাদন" ভেদ করে আলোর প্রবেশের কথা (জীবনস্মৃতি)। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এই ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছিলেন ঐ বিষাদের আবরণ বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া - কবির এই উপলব্ধির কথা মনে রাখলে “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের” বিস্ফোরণ বহুগুণে স্পষ্ট হয়। এই চমৎকার উদাহরণে আমাদের কাছে দুটো ব্যাপার স্পষ্ট হয়। কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমাদের চোখ খুলে দেয় অন্যতর অর্থের দিকে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো আত্মজিজ্ঞাসা ও সততা। যে বিষাদ বা আনন্দের প্রকাশে কবিতা লেখা হচ্ছে, সেই প্রকাশ কতখানি কবির নিজস্ব, কতখানি আরোপিত সেই অস্বস্তিকর সত্যের মুখোমুখি না হয়ে তাঁর উপায় নেই। উপায় নেই কবিতা যে ব্যাপ্তি দাবি করে তা এড়ানোর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে কবিতা নিয়ে উদ্বেল হবে সেই কবিতা লিখতে গেলে নিজের মধ্যে যেমন ডুব দেওয়া চাই, তেমনি নিজের বাইরে বেরোনোরও দরকার আছে। দরকার আছে আবেগের সাথে দূরত্ব তৈরী করে, ধীরভাবে সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশের। আমাদের আশা প্রথম দুই পর্বের মত তৃতীয় পর্বের কবিতা সংকলনেও সেই বহিঃপ্রকাশ পাঠক আবিষ্কার করবেন।
লিখেছেন - শৌভ চট্টোপাধ্যায়, মজনু শাহ, বোধিসত্ত্ব সেন, রামিজ আহমেদ, শাকিলা তুবা, তনুজ সরকার, ঈশিতা ভাদুড়ী, অনিকেত মৃণালকান্তি, অর্পিতা আচার্য্য, বুবুন চট্টোপাধ্যায়, দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম, রুদ্রদীপ চন্দ, মাজুল হাসান, শ্ব, মিঠুন ভৌমিক।
পুজোর কবিতা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কাব্য | ১৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১০২৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
"কবিতার কী ও কেন" বইতে কবিতাপাঠের "প্রয়োজন" সম্পর্কে লিখতে গিয়ে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উল্লেখ করেছিলেন আসলেই প্রয়োজনহীনতার কথা। বস্তুত, যে সৌন্দর্য্যবোধের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে পাঠক অন্য চোখে এই পৃথিবী দেখতে চান, সেই বোধের অভাবেই যাঁর বর্তমান অবস্থান, তাঁকে এই অভাব পীড়া দেবেনা, দেয়ও না। তবু প্রচুর কবিতা লেখা হয়, বিস্তর বই ছাপা হয়, এবং তার ভগ্নাংশ কেউ কেউ পড়েও থাকেন। এই নিরন্তর চর্চার একমাত্র ভালো দিক হলো, এর থেকে লেখালেখির ক্ষেত্রটি ঊর্বর ও সম্ভাবনাময় থাকে। কাজেই বোঝাই যাচ্ছে কবিতার পাতা সাদা বাংলায় সাদা থাকলে তা আসলে মোটেই সুবিধের ব্যাপার না। অবজ্ঞায় নিভৃতচর্চার গভীরতর কারণ খুঁজতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই কবিতারই কাছে। আটষট্টি সালের বন্যায় ছাত্র ঠেঙিয়ে ঘোর কাদা ভেঙে ঘরে ফিরতে চাওয়া সেই মাষ্টারমশাইয়ের কথা আমাদের মনে করতে হবে যাঁর -
"কাদার ভিতর থেকে কলম আঁকড়ানো হাত কনুই পর্যন্ত উঠে আছে"। ("আমাদের ছাদে এল", জয় গোস্বামী)
চলে এলো উৎসব সংখ্যা প্রথম পর্বের কবিতা। এই পর্বে লিখেছেন কোয়েলী সরকার, বেবী সাউ, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুমন মান্না ও কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজোর কবিতা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কাব্য | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ১৩৬৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ৭
কবিতা লেখা ও পড়ার, কবিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভাবার পরেই অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন আসে, তার বহুমুখী অভিঘাত নিয়ে। যেহেতু কবিতা একটি মাধ্যম যেখানে একজন লেখক ও পাঠক একটি স্বতন্ত্র পথে নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করছেন, তাই এই বিষয়ে কোন সাধারণ উপলব্ধি বলে কিছু হয়না। আমরা এরকম বলতে পারিনা যে জীবনানন্দের বনলতা সেন যা বলতে চেয়েছিলেন তার "মানে" ঠিক এই। কবি ও পাঠকের কথোপথন অনেকটা দুটি মানুষের মধ্যে একান্ত নিভৃত টেলিফোনে বাক্যালাপের মত হয়ে দাঁড়ায়। আগে একটা সময় মনে করা হত এই কথোপকথনের নিজস্ব ব্যাকরণ থাকা উচিত, কালক্রমে সেই মজবুত বাঁধন অনেক আলগা হয়েছে। এখন লেখক ও পাঠক দুজনের ব্যক্তিগত যাপন ও দর্শনের প্রত্যক্ষ প্রভাব নির্দিষ্ট করে দেয় লেখায় কী থাকবে, পাঠকের সেই জিনিস ভালো লাগবে কিনা, এবং ব্যাকরণ বহির্ভূত কবিতা বলে সেইভাবে আর হয়ত কিছু নেই, যদি কবিতার সার্থকতা ভালো লাগা দিয়ে নির্ধারিত হয়। অবশ্য ভালো লাগার বাইরেও, শিল্পবোধ বা বহুদিন ধরে মানুষকে ভাবিয়ে তোলার নিরিখেও কবিতার ভালোমন্দ বিচার হয়, এবং কী সেই আশ্চর্য ভারসাম্য যা কবিতাকে কালজয়ী ও পাঠকের অন্তরঙ্গ করে, সেই কূট তর্ক আপাতত আমরা সরিয়ে রাখবো।
নাট্যমঞ্চে যেমন আলোর বৃত্ত ফেলে ফেলে ঠিক করা হয় দর্শকের কী দেখা উচিত, সেইভাবে জীবনদর্শনের ফোকাস দিয়ে কবি ঠিক করেন কী লিখবেন, পাঠক ঠিক করেন সে জিনিস তার পছন্দের কিনা। এই দ্বন্দ্ব, এই কখনও ভালো কখনও খারাপ লাগার চর্চাকেই কেউ কেউ কবি ও পাঠকের মধ্যে ঘটে চলা নিরন্তর লড়াই বলেছেন।
উৎসব সংখ্যা দ্বিতীয় পর্বের কবিতা। এই পর্বে লিখেছেন যশোধরা রায়চৌধুরী, চিরশ্রী দেবনাথ, হিন্দোল ভট্টাচার্য, সাম্যব্রত জোয়ারদার, হীরক সরকার, সোমনাথ রায়, জগন্নাথদেব মন্ডল এবং সোনালী সেনগুপ্ত।
পুজো ইস্পেশাল - ২০১১ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৪ অক্টোবর ২০১১ | ১৩১৭৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৬৭
পুজো বললেই আমাদের কুঁজোর কথা মনে পড়ে। আকৃতি বললে গোবর গণেশ, প্রকৃতি বললে ল্যাবা কাত্তিক। আমরা লক্ষী বলতে ট্যারা বুঝি আর কলা বলতে বৌ। গনেশ প্রায়ই ওল্টায় বলে আমাদের ভবানী থাকেন ভাঁড়ে। বাজেটের এই হাল নিয়ে থিম-টিম আমাদের পোষাবেনা। তাই পুজো হলেই বা কি, পেরিয়ে গেলেই বা কি, আমাদের কোনো কোনো হেলদোল নেই। এবার আমাদের কোনো থিম নেই।
ধন্যবাদ ও ধনবাদ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৯ নভেম্বর ২০১০ | ১৪৯০ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
আমার তাজ্জব লাগে আমাদের উপমহাদেশের যারা নব্য-অভিবাসী আমেরিকান হয়েছেন, যাদের অনেকেই দেশে খুব "বাম' ও "প্রগতিশীল' হিসেবে গর্বিত ছিলেন, এমন কী স্বদেশী আদিবাসীদের অধিকার আদায়েও শৌখিন সমর্থক, তারাও অবলীলায় ঘটা করে "থ্যাঙ্কসগিভিং' পালন করেন এবং ফেসবুক, ইয়াহূতে এর মহিমা কীর্তন করে সুখ লাভ করেন। সেদিন ফেসবুকে দেখলাম একজন মাঝারিগোছের সুপরিচিত লেখিকা নসিহত করেছেন আমাদের দেশেও "থ্যাঙ্কসগিভিং ডে'র মত এওকটা গিভিং-টিভিং দিন আবিষ্কার করে তা পালন করার জন্য। এটা মানুফ্যাকচারেড "আমেরিকান কালচার' "আমেরিকান ড্রিম'-এর সংক্রামক মাহাত্ম্যই বটে। হাজার হোক ইউরোপীয়দের মত আমাদের নব্য-আমেরিকান বেরাদারেনরাও তো বহিরাগত সেটেলারই বটেন!
গুরুর পুজো ৩ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | খবর : টুকরো খবর | ১৭ অক্টোবর ২০১০ | ৯৫৪ বার পঠিত
থিমের নাকি আকাল। নতুন-নতুন থিম পাওয়া ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে, এই নিয়ে টিভিতে উদ্যোক্তাদের স্লাইট হাহুতাশ শোনা গেল। কারো-কারো কপালে ভাঁজ। কারো মাথায় হাত, কারো বা টাকে। পড়ারই কথা। পুজো শেষ হবার সাতদিন পরেই তাঁরা নাকি পরের বারের প্রস্তুতি শুরু করেন (কি পরিশ্রমী, বাপরে)।
ইরান : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০ | ৩২১৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
যে দেশে এক্কেবারে চলতি ভাষাতেই টুরিস্টকে বলা হয় ‘মুসাফির’ তার রোদ্দুর তো আলাদা হবেই। অন্ধকার আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে সবার আগে সেই কথাটাই মনে হল। আমার ভাঙাচোরা ফারসিই আমাকে বুঝতে দিয়েছে, সৈয়দ তার স্ত্রী তহমিনেহকে মোবাইলে জানাচ্ছে, ‘হিন্দ-এর মুসাফির এসে গিয়েছে। আমরা শিগগির বাড়ি পৌছাচ্ছি’। ‘মুসাফির!’ সে কি সহজ কথা! চকিতে মাথায় খেলে যায়– দিল-এ-ম্যান, মুসাফির-এ-ম্যান! ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ-এর ফারসি শিরোনামের সেই কবিতার গোড়ার পঙক্তিগুলি—‘প্রাণ আমার, মুসাফির আমার/হয়েছে যে আদেশ আবার/দেশ ছাড়ি, তুমি-আমি, আরও একবার।... ইরান শেষে আমাকে মুসাফির করলে!
কূটকচা৯ - ২ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১০ জানুয়ারি ২০০৬ | ৭৭০ বার পঠিত
সংবাদে প্রকাশ, যে মেয়েদের হোস্টেলে জনৈকা ছাত্রী তার পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে প্রবেশ করার অপরাধে হোস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সুপ্রাচীন জীর্ণ ভবনে যেহেতু ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তুঘুঘুদের বাসস্থান, অতএব, আমরা এই মূহুর্তে ভুলে যাব, যে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা খোঁয়াড়ে ভরে রাখাটা প্রাগৈতিহাসিক একটি প্রথায় রূপান্তরিত হতে চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে, ভুলে যাব, যে এই অ্যান্টি ব্যারাকিং মুভমেন্ট
ঋতুচক্র : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১২ মার্চ ২০০৬ | ৮৪২ বার পঠিত
প্রথমে অযোধ্যা তার পরে লন্ডন এবং সব শেষে বান্দোয়ানে উপর্যুপরি বোমাবিস্ফোরণে যারা বিস্মিত হয়েছেন, যাঁরা শখের গোয়েন্দাগিরি করে এই উপর্যুপরি বিস্ফোরণের কার্যকারণ সন্ধানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে, যে এগুলি মূলত: প্রাকৃতিক ঘটনা। এবং প্রতিটি প্রাকৃতিক ঘটনারই কিছু বিধিদত্ত সময় থাকে। শীতকালে শীত পড়ে বর্ষাকালে বৃষ্টি। ভাদ্রমাসে কুকুররা পথে নামে, আর স্বরস্বতীপুজোয় ইশকুলের ছোঁড়া-ছুঁড়িরা। একমাত্র পূজাবার্ষিকী প্রসবের সময়েই কবি গর্ভযন্ত্রণায় ছটফট করেন, অন্যান্য সময়ে নিয়ম করে থলে হাতে বাজারে গিয়ে বেগুনের দরদাম করে থাকেন। সুধীজন জেনে খুশি হবেন যে এগুলি নিছকই প্রকৃতির নিয়ম।
নাইন ইলেভেন -- একটি শোকগাথা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০৭ নভেম্বর ২০০৪ | ৮১৯ বার পঠিত
টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসবাদী হানা জনিত সর্বশেষ ক্যাজুয়ালটিটির খবর পাওয়া গেল হালে, যা এতদিন জনচক্ষুর অগোচরে ছিল। অসমর্থিত সূত্রের খবরে প্রকাশ, জনৈক বিবাহিত শ্বেতকায় যুবক,যার কর্মস্থল ঐ যুগ্ম স্তম্ভের কোনো একটিতে ছিল, ঘটনার দিন অফিস ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার অ্যাপার্টমেন্টে প্রেমসাগরে নিমজ্জিত ছিলেন। স্বভাবতই সেই অ্যাপার্টমেন্টে টিভি ও রেডিও, দরজা ও জানালা ছিল বন্ধ।
ভেঙ্গেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময় : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০১ ডিসেম্বর ২০০৪ | ৯৩৮ বার পঠিত
সংবাদে প্রকাশ, যে মেয়েদের হোস্টেলে জনৈকা ছাত্রী তার পুরুষ বন্ধুকে নিয়ে প্রবেশ করার অপরাধে হোস্টেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সুপ্রাচীন জীর্ণ ভবনে যেহেতু ঐতিহ্যপূর্ণ বাস্তুঘুঘুদের বাসস্থান, অতএব, আমরা এই মূহুর্তে ভুলে যাব, যে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা খোঁয়াড়ে ভরে রাখাটা প্রাগৈতিহাসিক একটি প্রথায় রূপান্তরিত হতে চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে, ভুলে যাব, যে এই অ্যান্টি ব্যারাকিং মুভমেন্ট থেকেই শুরু হয়েছিল সত্তরের দুনিয়া কাঁপানো সেই ফরাসী বিপ্লব।
আরও একটি নীতিশিক্ষা : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | আলোচনা : সমাজ | ০১ ডিসেম্বর ২০০৪ | ৮৫৭ বার পঠিত
মেয়েদের জন্য আরও একটি নীতিশিক্ষা। মণিপুরের মেয়েরা যা কান্ডটি কল্লেন, তাতে আপনারা, বাংলার মেয়েরা, সাপের পাঁচ পা দেখবেননা যেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী দিল্লীতে কান্নাকাটি আর নিজভূমে লম্ফঝম্প করছেন দেখেও বিভ্রান্ত হবেননা, সমারসল্টের সহজাত দক্ষতা ওনার সিভির স্কিলসেটে এক নম্বরে আছে। যে যাই বলুকনা কেন, উপদ্রুত আইন ওখানে চলছে চলবে।
সন্ত্রাস, সন্ত্রাস : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০১ জানুয়ারি ২০০৫ | ৮৬৩ বার পঠিত
শুধু অপহরণ নয়, দিগ্বিদিক ছেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসেও। চারিদিকে এখন সন্ত্রাসের বিষবাষ্প, সূর্যের সোনারোদ ঢেকে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিতিকিচ্ছিরি পলিউশনের মেঘে। উত্তরবঙ্গে গন্ডার খুন? সন্ত্রাসবাদীদের অপকীর্তি। চিড়িয়াখানায় বিরল প্রজাতির উটপাখির ডিম উধাও হয়েছিল দশ বছর আগে? আগে জানা যায়নি, সন্ত্রাসবাদীরা করেছিল। দীঘায় সমুদ্রের ধারে তিন বাক্স অব্যবহৃত কন্ডোম পাওয়া গেছে? সন্ত্রাসবাদ ছাড়া আবার কি? দিনে দুপুরে ইস্টিশানে মেয়ে অ্যাথলিট ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে গলা তুলতে গিয়ে রামধোলাই খেয়েছে?
অপহরণ, অপহরণ : গুরুচন্ডা৯
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০১ জানুয়ারি ২০০৫ | ৮৬৪ বার পঠিত
চাদ্দিকে এখন অপহরণ অপহরণ হাওয়া। লোকে গপগপ করে চা আর লেড়ো বিস্কুট সহযোগে সাতসকালে গিলছে তাজা নিউজপ্রিন্ট,খবরের কাগজের পোয়াবারো, হাইটেক তদন্ত করে শিগগিরিই ভারত্ন পুরষ্কার পেতে চলেছে বঙ্গের পুলিশ। পাব্লিকেরও মস্তির শেষ নেই, এইফাঁকে শিখে নেওয়া যাচ্ছে অপহরণের নতুন নতুন কায়দা, শার্লক হোম্স টোম্স ছাড়ুন, স্বপনকুমার, হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, স্বয়ং স্বপনকুমার অব্দি গোয়েন্দা গপ্পে এইরকম অপহরণের কাহিনী লিখতে নির্ঘাত ভির্মি খেতেন।