এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • দানিয়ুব ও দ্বিচক্রযান

    sumana sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৩১ বার পঠিত
  • ​২৬ শে  জানুয়ারী বাচ্চাদের স্কুলের program  দেখতে দেখতে আমরা দুম করে ঠিক করলাম ইউরোপ যাব দল বেঁধে। দল বলতে আমি, আমার বন্ধু মোনালি, আর ওর তিন বন্ধু মিনল, অর্চনা আর কেতকী। ৫জন চল্লিশোর্ধ তরুণী, ছানাপোনা ঘরসংসার আপিসকাছারি ৮ দিনের জন্যে outsource  করে দিয়ে সাইকেলবাহনে পাড়ি দেব প্রাগ হয়ে ভিয়েনা, ব্রাতিস্লাভা, বুডাপেস্ট। সঞ্চারিণী কল্লোলিনী  Danube এর ধার ঘেঁষে, গ্রাম ছুঁয়ে, শহর ছুঁয়ে, সঙ্গে যাবেন আরো ১৪জন cyclists, যাদের তখনো চিনি না। এখান থেকেই শুরু হলো এই গল্প, আর পাঁচটা গল্পের মত, খানিকটা সত্যি ঘটেছিল, খানিকটা ঘটলে মন্দ হত না, আর বাকিটা নিখাদ গুলবাজি।
    ৭ই অগাস্ট মুম্বই থেকে রওনা দিয়ে ইস্তন্বুলে ৬ ঘন্টা স্টপ ওভার পেরিয়ে প্রাগ যতক্ষণে পৌঁছালাম, তার মধ্যে আমি যথারীতি প্রায় হাফ ডজন নতুন প্রাণের বন্ধু হৃত্কমলে  সংযোজন করে ফেলেছি। মুম্বই এয়ারপোর্টে দেখা পেলাম জো এবং জয়ার, জয়দীপ এবং জয়লক্মী  সেনগুপ্ত, আমাদেরি সঙ্গে চলেছেন। জয়াদি দুর্দান্ত সুন্দরী, সুগায়িকা, সুলেখিকা, একসময়ে দুঁদে জার্নালিস্ট এডিটর ছিলেন, এখন NVC  compassionate communication framework নিয়ে passionately ব্যস্ত। Special Forces Veteran জয়দীপ সেনগুপ্ত, বীর চক্র, অতিশয়  elite National Security Force এর কাউন্টার টেররিস্ট ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন, বিদ্বান, brilliant, বন্ধুবত্সল, সুরসিক এবং কিমাশ্চর্য  কিমাশ্চর্য, বরিশালের সেনগুপ্ত। ওনার সঙ্গে আমার দু একটা dna strand মিলবেই মিলবে এই দাবীতে ওনাকে দাদা  ডাকার permanent intellectual rights অবিলম্বে কব্জা করে ফেললাম। এই extremely well travelled, well read, বিদগ্ধ এবং মাই ডিয়ার জুটির উজ্জ্বল সঙ্গ এই ট্রিপের একটা মস্ত পাওনা। 
    ফ্লাইটে আমার পাশে বসেছিল শ্যামলা কোমলা সুতনুকা একটি মেয়ে, প্রথমে ভেবেছিলাম কুড়ি একুশ বছর  বয়েস, কথা বলে জানলাম সে এক্কেবারে আমার মেয়ের বয়েসী, মাত্র তেরো তে পা দিয়েছে। জুভেলীনা এই কচি বয়েসে একা একা  চলেছে গুজরাতের এক গ্রাম থেকে সুদূর manchester।মায়ের ছবি দেখিয়ে চোখের জল মুছে জানালো, ওর শিশুকালেই মা বাবার তালাক হযে গেছে।মা মেয়েতে মামার বাড়ি থাকত, বরোদার কাছে এক গ্রামে, বাবা Manchesterএ কবেই নতুন সংসার পেতেছেন। এতদিন মামার বাড়িতে মানুষ হওয়া জুভেলীনা এখন চলেছে বাবার সংগে থাকতে, অচেনা ভাইবোনদের সাথে, যতদিন না বড় হয়ে মাকে নিজের কাছে এনে রাখতে পারে। আমার হাত ধরে বার বার বলে রেখেছে ওর জন্যে দুয়া করতে যাতে জলদি মাকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারে, আমিও আপনাদের বলে রাখছি, আপনারাও ওর জন্যে দুয়া করবেন।
    মিনাল পুনেকর আমারি সহকর্মিণী, প্রতিবেশিনী ও বটে, বাচ্চাদের daycareএ নিয়মিত দেখা হত, কিন্তু তেমন করে আলাপ ছিল না। মুম্বই থেকে ইস্তনবুল ৮  ঘন্টার  ফ্লাইটের অকথ্য boredom কাটাতে aisle এ দাড়িয়ে গপ্পগাছা  করতে করতে জানা গেল আমার বেড়ালের সমবযেসী তারও একটি সুন্দরী বেড়ালিনী আছেন, একি রকম আদুরে আর ত্যাদড়। ব্যস আর যায় কোথায়, সঙ্গে সঙ্গে পাকা  কথা হযে গেল, হবু বেয়ানেরা গলাগলি করে vet এর ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া করে ফেললাম।
    এমনি করে মনের পুরনো ফ্রেমে নতুন নতুন ছবি জুড়তে জুড়তে যখন প্রাগের ( czech ভাষায় প্রাহা)ছোট্ট ছিমছাম এয়ারপোর্টে পৌঁছালাম তখন হঠাত খুশি ঘনিয়ে এল চিতে তো বটেই, আকাশেও জমে এল পরত পরত মেঘ। আমার যেমন কপাল, ইস্তনবুল থেকে প্রাগ আসার ছোট্ট প্লেনে আমার সিটের পাশেই ছিল emergency exit, অর্থাৎ কিনা একখানি জানালাবিহীন দরজা। exit  করার মত এমার্জেন্সি উপস্থিত হলে আমার বিশেষ সুবিধা হত বটে, কিন্তু কপাল অতটাও খারাপ নয় বলে পুরো রাস্তা টা inflight entertainnet এ puss in  boots দেখেই কাটিয়ে দিতে হলো। প্রাগাকাশে মেঘমল্লার সম্পর্কে কোন পূর্বাভাস পাই নি। ঝোড়ো হাওয়ায় এলোমেলো চুল জ্যাকেট মাফলার সামলাতে সামলাতে বাসে করে  আসার পথে সূর্যাস্তের মায়াবী আলোয় দেখা পেলাম ভ্লাটাভা নদীর।   Czech National River নামে বিখ্যাত এই নদীর সারি সারি  arched bridgeএর মালায় সাজানো ভরভরন্ত মন্দাক্রান্তা চালচলন দেখে বোঝার উপায় নেই যে যুগে যুগে কি ভয়াবহ বন্যা ডেকে আনার জন্য ইনি কুখ্যাত। নদী র বুকে অলসগামী রাজহাঁস আর  tugboatsর উপর দিয়ে  bridge পেরিয়ে ওল্ড টাউনের সীমানায় এসে বাস থেকে নেমে পড়তে হলো, রাত ৮ টার পরে ওল্ড টাউনে automobile ঢোকার নিয়ম নেই। র্গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে cobbled roadএর উপর দিয়ে পেল্লাই সুটকেসখানা  ঘটর ঘটর করে টেনে পাক্কা ১৫মিনিট হেঁটে হোটেলে পৌঁছালাম।
     তারপরে আলাপ হলো আমার রুমমেটের সঙ্গে।
    সঙ্গীতা ওয়দস্কর, BARC র senior auditor, আমার রুমমেট, মুম্বইকর, কিন্তু আপাতত কোলকাতায় পোস্টেড, কি আশ্চর্য coincidence!!!! ছোট্টখাট্ট গোলগাল ভীষণ মিষ্টি মানুষটি দুর্ধর্ষ adventurist, rock climber, mountaineer, এবং cyclist, Everest basecamp, Annapurna basecamp এ নিজ দায়িত্বে trecks conduct করেন। ৮দিন ওনার সঙ্গে থেকে কত যে শিখেছি কত যে জেনেছি সে ক্রমশ প্রকাশ্য।
     ওল্ড টাউনে আমাদের হোটেলে র আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিস্তর দর্শনীয় ক্যাফে রেস্টুরেন্ট এবং বার, ইওরোপীয় দস্তুরমত রাস্তায় উপছে পড়ছে চেয়ার টেবিল রঙিন ছাতার আতিথেয়তা।  czech liquor বেচেরোভকা taste করতে এক  ক্যাফে তে ঢুকে লক্ষ্য করলাম মধুশালার দরজার উপরে ছোট্টো একটা মধুমক্ষীর relief।  জানা গেল old town  র কিছু বাড়ির দরজায় খোদাই করা এই প্রতঈকের ভিতরে আসলে  লুকিয়ে আছে ইতিহাসেরএক ফুলকি! এ সেই রাজা বাদশা র আমলের tradition , যখন বাড়ির পরিচয় থাকত তার নম্বরএ নয়, ,বরঙ গৃহস্থের পেশায়। এই cafe টি আসলে ছিল রাজবাড়ির Beekeeperর ভিজ তাই দুয়ারে মৌমাছি। old town র বিখ্যাত cafe গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য Franz Kafka এবং Albert Einstein এর স্মৃতি বিজড়িত ক্যাফে ল্যুভ, পৌছতে পৌঁছতে সন্ধে হযে গেল তাই সোজা ডিনার করতে চলে গেলাম। 
    Czech Republic র খানদানী রেকর্ডধারী বিয়ারপ্রীতির মান রাখতে স্থানীয়  ডার্ক বিয়ার আর অ্যাক্কেরে পুরো মাখন পর্ক শর্ট রিবস দিয়ে জম্পেশ করে ডিনার সেরে আমরা বেরলাম রাতের শহর দেখতে। শহরের সাঝবাতি আর বর্ষণক্ষান্ত  মেঘের  মায়ায় আকাশের রঙ তখন মখমলী  midnight blue। কূলপ্লাবিনী ভ্লাটাভার কল্যাণে শহরের ভিত বারবার উচুঁ করা হয়েছে, যার ফলে প্রাগে র অনেক ক্যাফে র ই একটা উল্লেখযোগ্য অঙশ থাকে মাটির নীচে। এরকমই এক  basement এ দেখি থরে থরে ক্যান্ডি সাজানো। সেই candy mine থেকে ছোট্টো খুরপি দিয়ে নানারকম  রঙচঙে মণি মাণিক্যের মতো লবেণ্চুশ উদ্ধার করে পোটলা বেধে নিয়ে চললাম খোকা খুকিদের জন্য। 

    এরকমই আরো হিজিবিজি এটাসেটা কিনে, শেষে নগদ ৫ ইউরো দিয়ে এক মহার্ঘ আইসক্রিম খেয়ে  নিজের আদেখলাপনায় তিতি বিরক্ত হয়ে ফিরলাম হোটেলে। কাল সকালে  city tour. 
     
    যিনি পাত্রীস্থ হলেন 

     
     
    ছিমছাম ছোট্ট প্রাগ এয়ার পোর্ট
     

     
    অলসগামিনী ভ্লাটাভা
     

     
     
     
    Waterlevels in major floods
     

     
    ওল্ড টাউন 
     

     
    দুয়ারে মৌমাছি
     

     
     
     
     Cafe Louvre

     
     
     
    রাম এবং শূকর মাংস 
     

     
     
    Velvet sky

     
     
    Candy mine   

     
     
     
    A nursery at city centre
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৩১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ** - sumana sengupta
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • gr17 | 165.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৩৮526104
  • @সুমনা, এই লেখার সব পর্বের মাস্টার টপিক নং হবে 28683। আর এপিসোড বিবরণ পর্ব অনুযায়ী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন