#বিশ্ব_সাইকেল_দিবস
আদিখ্যেতা আদিখ্যেতা আর আদিখ্যেতা
___________________________________
বড্ড আদিখ্যেতা করে ফেলি সবকিছুতে, বিশ্বাস করুন এহেন রোগ আমার আগে ছিল না।
কিন্তু কি করি!
বিসর্গ থিয়েটার যে জীবনকে প্রতিপদে ভিন্ন ভিন্ন রূপে চিনিয়েছে।
দাদার ঘাড়ে মাথায় চেপেই বড় হয়েছি,
দাদা মা করবে ঠিক তাই করবো,
এই করেই আমার সাইকেল শেখা।
তখন সাইকেল থেকে নামতে পারতাম না, বিকেলে খেলা শুরুর সময় দাদা সাইকেলে উঠিয়ে দিতো;
সন্ধ্যা নামলে খেলা শেষ করে আমাকে ধরলে তবে সাইকেল থেকে নামতে পারতাম।
মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার পর দাদার প্রথম কাজের টাকায় হলো আমার নিজের সাইকেল 'জি়না'।
এক চুল কেত কম মারতে ছাড়িনি জিনার পিঠে চেপে।
দ্বাদশ শ্রেণীর শুরুর দিকে সম্ভাব্য প্রথম প্রেমকে কষিয়ে থাবড়া মেরে চটকে দিয়েছিলাম, আমার জিনাকে ফেলে দেওয়ার জন্য।
বিশ্বভারতী তে একমাস জিনাহীন জীবন আমার,
রাতে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করেছিলাম বাড়িতে। মা বলেছিল পরের মাসে ওখানে একটা সাইকেল কিনে নিস।
দাদা তিনদিন বাদে জিনার পিঠে ১৮ঘন্টা চেপে (১৫ই আগস্ট ২০১৫) দিয়ে গিয়েছিল আমার কাছে।
এহেন আমি তখনও জানতাম না সাইকেল আমার জীবনে কি এমন ব্যাপার!
জানলাম, বুঝলাম, চাখলাম ২০২০ এর মে মাস থেকে।
পুলিশের লাঠির তাড়া খেয়ে সাইকেল চেপে তৈরী হচ্ছে #বাঘ_চাল।
তারপর কতশত পথ পেরোনো এই সাইকেলে প্যাডেল করে।
একবার দ্বৈপায়ণ দা কে শুধিয়েছিলাম, নাটক করতে কি কি জানতে হয়?
উত্তরে বলেছিল জীবন কাটাতে যা যা জানতে হয়।
সেই গেঁজেল মাতালের কথা!
ধুর শালা...
লকডাউনে ভাত জুটিয়ে ছিল আমার সাইকেল শেখা।
সাইকেলে চেপে বহু জেলা ঘুরে, নাটক করেই ডান হাত সচল ছিল আমাদের।
আজ ৩রা জুন, বিশ্ব সাইকেল দিবস।
এই দিনটার মাহাত্য আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে Bisargo Theatre ।। বিসর্গ থিয়েটার এর #বিসর্গ_এর_দ্বিচক্রযান_অভিযান পৌঁছিয়েছে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।