এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  সমোস্কিতি

  • সন্দীপ দত্তর সাক্ষাৎকার : জয়িতা ভট্টাচার্য

    Jayeeta Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    সমোস্কিতি | ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৭৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শ্রী সন্দীপ দত্ত এর মুখোমুখি সাহিত্যিক জয়িতা ভট্টাচার্য



    জন্ম ৭ শ্রাবণ ১৩৫৮ (২৪ জুলাই ১৯৫১) কলকাতা। শিক্ষা এম এ, বি এড। অবসৃত শিক্ষক। ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন এদেশের প্রথম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। কবিতা, প্রবন্ধ সঙ্কলন সহ ৩০টি বই। সম্পাদিত পত্রিকা উজ্জ্বল উদ্ধার।

    জয়িতা : লিটল ম্যাগাজিনে লেখা ও পত্রিকা করা এটা সব সময়ই ছিল এখন আরো বেশি করে সাহিত্যচর্চা বেড়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দশকে বিভিন্ন জেলা ও শহর কলকাতা তথা বাংলা ভাষার লিটিল ম্যাগাজিনগুলি একত্রিত করার কথা সংরক্ষণ করার কথা কেবল আপনি ভেবেছেন। এই পরিকল্পনা কিভাবে এবং কবে আপনি ভেবেছিলেন?

    সন্দীপদা : সেটা বলা যায় একটা টার্নিং পয়েন্ট। তখন আমি স্কটিসে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়ছি। পার্ট টু দেব। ১৯৭২ সাল। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে পড়াশোনা সূত্রে প্রায়ই যেতাম। মে মাসে একদিন একটা ঘটনা ঘটে গেল। দেখলাম বাংলা বিভাগের সামনে বেশ কিছু লিটল ম্যাগাজিন স্তুপের মতো জড়ো করা রয়েছে। তখন বাংলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন কবি নচিকেতা ভরদ্বাজ। কৌতূহলী হয়ে তাঁকেই জিজ্ঞেস করলাম এভাবে এইসব পত্রিকাগুলো পড়ে আছে কেন? উত্তরে তিনি বললেন এগুলো রাখা হবে না। তার কারণ অনিয়মিত বেরোয়। বাঁধাইয়ের অসুবিধা ইত্যাদি। পা থেকে মাথা জ্বলে উঠল। নিজে তখন 'পত্রপুট 'নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন করি। মনে হলো এ তো আমাকে অপমান। বাংলা ভাষার লিটল ম্যাগাজিনকেই অপমান। ন্যাশনাল লাইব্রেরি থেকে চলে এলাম। পার্ট টু পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষার পর ঠিক করলাম ওই ঘটনার প্রতিবাদে লিটল ম্যাগাজিনের একটি প্রদর্শনী করবো। পাড়ার একটি ক্লাবের সহযোগিতায় ১৯৭২ সালের ২৩-২৭ সেপ্টেম্বর বাড়ির নিচে, একতলায় সদর আর বৈঠকখানায় ৭৫০ লিটল ম্যাগাজিনের একটি প্রদর্শনী করি। সেই প্রদর্শনীর আমন্ত্রণ পত্র, ছবি, মন্তব্যর খাতা আজও আমার কাছে সযত্নে আছে। লাইব্রেরি গড়ার নেপথ্যে এই সলতে পাকানোর ইতিহাসটিও উল্লেখযোগ্য। ৬বছর পরে ১৯৭৮ এর ২৩ জুন লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা। না, কোনো আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হয় নি এই লাইব্রেরির। আমার ডায়রির পাতায় সবুজ কালি দিয়ে লেখা আছে "আজ থেকে শুরু করলাম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি বাংলা সাময়িক পত্র পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্র"। উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য, অবমানানার ভ্রূণে এভাবেই জন্ম হল বাংলাভাষার প্রথম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির।

    জয়িতা : লিটিল ম্যাগাজিন সংগ্রহশালা তৈরি করার ব্যাপারে আপনার প্রাথমিক দিনগুলোতে কাকে কাকে পাশে পেয়েছিলেন?

    সন্দীপদা : একক অভিযান। সংগ্রহর দিকেই মন দিয়েছিলাম বেশি। ছাত্র জীবন। সদ্য এম এ পাস করেছি। পত্র-পত্রিকা কেনার জন্যে ১৯৭৭এ সিগারেট খাওয়া ছাড়লাম। ওতে কোনো খাদ্যগুণ নেই, ওই পয়সায় লিটল ম্যাগাজিন কেনা যাবে। ওই বছরই মেদিনীপুরের রাধামোহনপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলে ১০০ টাকার মাইনেতে পার্টটাইম শিক্ষাকতার চাকরি। রাতে একটা সংবাদপত্র অফিসে ৫০ টাকার ট্রেনি। আর একটা পিগি ব্যাংক। লক্ষীর ভাঁড়। তাতে খুচরো ফেলি। এই পুঁজি দিয়েই সূচনা। তখন পাশে কোথায় কে! প্রথম ১৮ বছর ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ে লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। ফেসবুক ছিল না। নিয়মিত বিবলিওগ্রাফি নির্মাণ করে তবে পাঠকের কাছে পৌঁছেছি।

    জয়িতা : যে কোনো কাজই করতে গেলে প্রথমে তার স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন এমনকি উপেক্ষাও সইতে হয়। সন্দীপদা আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

    সন্দীপদা : উপেক্ষা তাচ্ছিল্য তো ছিলই। ১৯৮২ সালে বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড: সুকুমার সেনের হাতে লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে বিবলিওগ্রাপফি সংখ্যা দিতে উনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে আমাকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, লিটল ম্যাগাজিন জঞ্জাল রাবিশ। আর আপনি তার তালিকা করছেন! কেউ আসত না লাইব্রেরিতে। ধৈর্য ধরে বসে থাকতাম। ১৯৮১সালের ১৬ জুন আনন্দবাজারে কলকাতার করচায় প্রথম লাইব্রেরি নিয়ে লেখা হলো।

    জয়িতা : আজ যেটি লিটিল ম্যাগাজিন দপ্তর একদম প্রথমদিনেও কি এখানেই ছিল? যাত্রা শুরুর দিনগুলি কেমন ছিল?

    সন্দীপদা : লাইব্রেরি শুরু থেকে আজ একই অবস্থানে। খুব কষ্টের আর যন্ত্রণার অগ্নিপথে এই লাইব্রেরির গড়ে ওঠা। সিটি কলেজ স্কুলে আমি যোগ দিই ১৯৮১ তে। স্কুলে যাওয়ার আগে ও স্কুল থেকে ফিরে লাইব্রেরি খুলতাম। ১৫০০ লিটল ম্যাগাজিন দিয়ে শুরু হলেও পত্রিকা আসতে লাগলো ডাকে। কিনতামও। ফলে পত্রিকার সংখ্যা বাড়তেই থাকলো। নিয়মিত বিবলিওগ্রাফ চলছিল। তখন পাঠকদের সে অর্থে কোনো সদস্যচাঁদা ছিল না। পুরানো বই পত্রিকা নিয়মিত কেনা, বাঁধাই, সেলফ কেনা এসব চলত।

    জয়িতা : আজ লিটিল ম্যাগাজিন সংগ্রহশালা একটি বিরাট জ্ঞানভাণ্ডার সাহিত্য ইতিহাসে যার একক কারিগর আপনি। আর্থিক সাহায্য ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন কি? 

    সন্দীপদা : ১৯৯৬ সালে লাইব্রেরি রেজিস্ট্রি হয়। এখন সদস্য চাঁদায় লাইব্রেরি চলে। আসল সমস্যা জায়গার। তিনটি কক্ষে লাইব্রেরি অবস্থান করলেও আসলে অভাব স্পেস।

    জয়িতা : কেবল প্রাচীন থেকে আধুনিক সাহিত্য পত্রিকা সংরক্ষণ ছাড়া আরও কীভাবে গবেষকদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আজ লিটিল ম্যাগাজিন গ্রন্থাগার?

    সন্দীপদা : বিপুল গবেষণা মূলক বই এবং ইন্টারনেট আর্কাইভ আছে।

    জয়িতা : ভবিষ্যতে আর কী কী পরিকল্পনা আছে আপনার। অথবা কী হলে ভালো হয় বলে মনে করেন?

    সন্দীপদা : আগামী দিনে একটি সম্পূর্ণ কবিতার বইয়ের লাইব্রেরি খুলতে চলেছি দক্ষিণ কলকাতায়। ইচ্ছে হয় আন্তর্জাতিক করে তোলার। Space পেলেই এটা সম্ভব।

    জয়িতা : কোথাও কি আপনার কিছুটা হতাশা বা ক্ষোভ আছে সন্দীপদা আপনার এই সুবৃহৎ কাজের সূত্রে?

    সন্দীপদা : আসলে আমি শুরু করেছিলাম শূন্য অবস্থান থেকে। তখন কেউ বুঝতে চায় নি লিটল ম্যাগাজিনের শক্তিকে, তার বিস্তারকে, তার চেতনাকে, তার লেখালেখির গুরুত্বকে। শুধু পত্রিকা বেরিয়েই গেছে। যখন লাইব্রেরি গড়ে উঠল প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর স্বপ্নমন্ত্রে তা আমাকে ভাবালো। কবিতা লেখা বন্ধ হয়ে গেল। আড্ডা, সভা, বিনোদন, ভ্রমণ, কফিহাউস সব হারিয়ে যেতে লাগল। না এতে কোনো ক্ষোভ নেই। আসলে যখন দেখি সরকার এগিয়ে আসে না আমাদের জায়গা দিতে, তখন সত্যি হতাশ হই। দমি না। লড়াইটা চালাতেই হয়। ৪৫ বছর ধরে আঁকড়ে ধরে আছি ৯০ হাজার লিটল ম্যাগাজিন সহ ৫০০০ কবিতা গল্প প্রবন্ধের বই।

    জয়িতা : কোনো বিশেষ প্রাপ্তি অথবা স্বীকৃতি পেয়েছেন সরকার থেকে?

    সন্দীপদা : ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো পুরস্কার বা সম্মান নিই না। সরকার আমাকে বা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিকে দেবেই বা কেন?

    জয়িতা : নিজের লেখালিখি সম্পর্কে জানতে চাই। আপনি সেই ব্যাপারে সব সময়ই খুব আড়ালে রেখেছেন নিজেকে।

    সন্দীপদা : কবিতার বই আমার ৪টি। কোলাজ, ভুবনেশ্বরী, বহতা ও কবিতাভান্ড। লিটল ম্যাগাজিন সংক্রান্ত বই ৫টি। প্রসঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন, লিটল ম্যাগাজিন ভাবনা, লিটল ম্যাগাজিন ভাবনায়, বিষয় যখন লিটল ম্যাগাজিন ও লিটল ম্যাগাজিন : এক স্বতন্ত্র অভিযাত্রা। কালপঞ্জি -- বাংলা কবিতার কালপঞ্জি (১৯২৭-১৯৮৯), তারাশঙ্কর কালপঞ্জি, বিভূতিভূষণ কালপঞ্জি।
    বিবাহ মঙ্গল, স্ল্যাংগুয়েজ, বাংলা গল্পকবিতা আন্দোলনের তিন দশক, কবিতাকাজ, বাংলা সাময়িক পত্রের ইতিবৃত্ত ১ ও ২ খন্ড। সম্পাদনা -- জীবনানন্দ প্রাসঙ্গিকী, গল্পের কোলাজ, লিটল ম্যাগাজিনে দেশভাগ, বাংলাভাষা, সুভাষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সাহিত্য। পত্রিকা সম্পাদনা - হার্দ্য, পত্রপুট, উজ্জ্বল উদ্ধার, Little Magazine News and Views.

    জয়িতা : লিটিল ম্যাগাজিন ও তার গবেষণায় সন্দীপ দত্তর নাম আজ অনিবার্য ও ঐতিহাসিক। আপনার নিজস্ব উপলব্ধি ও পরিতৃপ্তি এই ব্যাপারে কেমন?

    সন্দীপদা : কাজ করে চলাই একমাত্র কাজ।

    জয়িতা : কোনো প্রিয় স্বপ্নের কথা বলুন পত্রিকার তরফ থেকে ও আমার প্রণাম, শ্রদ্ধা ও সতত শুভকামনা রইল সন্দীপদা আপনার লিটিল ম্যাগাজিন গ্রন্থাগার আরো ছড়িয়ে পড়ুক বিকেন্দ্রীত হোক?

    সন্দীপদা : স্বপ্ন কাজের পাসপোর্ট। স্বপ্ন দেখি এক আন্তর্জাতিক লিটল ম্যাগাজিন ভবনের।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • সমোস্কিতি | ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৭৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মৃণালকান্তি দাশ | 103.159.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩১517470
  • খুব ভালো লাগল সাক্ষাৎকারটি ।
    সন্দীপদা সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম ।
    আজ সন্দীপদা নেই । তাঁর শেষ স্বপ্ন স্বপ্ন  সাকার হোক ।
  • সুশান্ত | 117.214.***.*** | ১৬ মার্চ ২০২৩ ২১:২৫517484
  • ভালো কাজ করলেন।
  • অমিত সরকার | 103.217.***.*** | ১৭ মার্চ ২০২৩ ১১:৪৯517497
  • ভালো লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন