এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সহ্যন্ডে মকন -- দি এলিফ্যান্ট প্রজেক্ট

    লিখছেন -- প্রগতি চট্টোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ মে ২০০৯ | ১৪১৬ বার পঠিত
  • নান্দীমুখ:
    যেখানে "দি এলিফ্যান্ট প্রজেক্ট" ছাড়া অন্যদের কথা।
    থিয়েটার মানে হল চৌকো, গোল বা বিশেষ জ্যামিতি-বিহীন রঙ্গবেদীতে আচরিত একটি সজীব শিল্প -- যে রঙ্গবেদী কখনও দর্শকের থেকে দূরে কিছুটা উচ্চতায় রাখা, কখনও দর্শকের হাঁটু-গোড়ালির সঙ্গে মেশামেশি করে নেওয়া।

    শব্দে-ঝঙ্কারে-নিস্তব্ধতায়-ব্যঙ্গে-শুদ্ধতায়-মলিনতায় ২-১২ মার্চের জাতীয় নাটক উৎসবের নাটকগুলি এই শহরের নাট্যপ্রেমীদের বেশ কিছুটা ভাবিয়ে ছিলো। রসিকেরা একেবারে কাচ্চাবাচ্চা নিয়ে থিয়েটার দেখতে এসেছেন। ভিড় প্র্রায় ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশেষ-প্রসিদ্ধ আন্তর্জাতিক ফিল্ম-উৎসবের মতনই। শহরের সন্ধের আকাশ তাই প্রতিদিনই বদলে যেত, জনতার বিপুল উৎসাহ- সমাহারে। ছোটো শহরের মজা এখানেই। একটুতেই ঘোর লেগে যায়।

    দেশের দূরতম ভৌগোলিক প্রান্তবিন্দু থেকে আসা থিয়েটার সস্মিতচিত্তে দেখেছেন দর্শক। যেমন, মণিপুরের 'কলাক্ষেত্রের' থিয়েটার রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর', যেখানে উত্তর-পূর্বের ভিন্ন-ভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন-ভিন্ন ভাষায় কথা বলেছেন পাত্র-পাত্রীরা। 'অমল' হয়েছিলেন ষাটোর্ধা সাবিত্রী দেবী। যিনি কথা বলেছেন বোড়ো ভাষায়।

    আরেকটি আশ্চর্য বুদ্ধিদীপ্ত প্রযোজনা, তিরুবনন্তপুরমের থিয়েটার রিসার্চ সেন্টারের ' ম্যাকবেথ'। যার সঙ্গীত ও মঞ্চসৌকর্য্য ছিলো অদ্ভুত ভালো। অন্য একটি প্রযোজনা, বীণাপাণি চাওলার 'আদিশক্তির' 'হেয়ার অ্যান্ড দি টর্টাইস'--- যার প্রাণশক্তির ক্ষুরস্য ধারা দর্শকের ভাবনার গতানুগতিকতাকে একটু খুঁচিয়ে দিয়েছিলো।
    হবীব তনবিরের ক্লাসিক 'চরণদাস চোর' এর ছত্তিসগঢ়ি স্যাটায়ারে বিদ্ধ হতেও তেমন অসুবিধে হয়নি হিন্দিতে অনভ্যাসী শহরবাসীর।

    এই প্রদেশের থিয়েটাররসিক, মুদ্রায়-নৃত্যে-সঙ্গীতে ক্লাসিক থিয়েটার-আঙ্গিকের সঙ্গে বিশেষ পরিচিত প্রধানত ' কথাকলি', 'কুডিআট্যম', 'ওট্টানতুলাল' প্রভৃতির মাধ্যমে। যেখানে রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণ বা সাম্প্রতিক কথাবস্তু অভিনীত হয় একটি কুশল, স্টাইলাইসড্‌ ভঙ্গিতে। যেগুলি অভিনীত হবার রীতি প্রধানত ছিলো অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীতে গড়া মন্দিরের নাট্যশালায়। এই রীতি এখনও অতটা অপ্রতুল নয়। কেরলের গ্রামের পথে এমনি যদি কোনোদিন হাঁটেন, আর কোনো সুপ্রাচীন মন্দিদের পাশ দিয়ে যান, তবে হয়তো দুর্যোধনের উরুভঙ্গ, বা অভিমন্যুবধের সাক্ষী হতে পারেন মন্দিরে অভিনীত 'কথাকলি'র মাধ্যমে। কুডিয়াট্ট্যম' একটি অসাধারণ ক্লাসিক, প্রাচীন অভিনয় কলারীতি -- যা সম্পূর্ণ সংস্কৃত ভাষায় অভিনীত হয়। এমন সব অভিজাত, কুশল নাটকের আঙ্গিকে কেরলের পারফর্মিং আর্টের জমিন উর্বর। নতুন প্রজাতির বীজ বপনও হচ্ছে দিনে দিনে।

    কেরলের প্রাচীন নাট্য-ঐতিহ্যের এই আপাত-তাত্ত্বিক সুতোটি থেকে বেরিয়ে আসা যায় এইভাবে --- এই প্রদেশের সুচিহ্নিত নাট্যশিল্পকে পাশে রেখেই এবারের নাট্যউৎসবে একেবারে অন্যরকম , লেবেলহীন, ঋজু থিয়েটারের দার্ঢ়্যে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক।

    প্রমুখ নাটকটির অন্দরে :
    এই ভাবেই তাহলে ঢুকে পড়ি আজকের আলোচ্য নাটকে।
    'সহ্যন্ডে মকন -- দি এলিফ্যান্ট প্রজেক্টে'। নাটকের নাম। সহ্যন্ডে মকন' অর্থে, যে সহ্যাদ্রির সন্তান,পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পায়ের নীচে চন্দনকাঠ, গোলমরিচ অন্যান্য ঔষধি-বনষ্পতির বনাঞ্চলে যে পেলে উঠেছে। সে একটি হাতি।

    অসাধারণ এই নাটকটি। চূড়ান্ত নাট্যকুশল এক শিল্পীর হাতে শ্রীছাঁদ পাওয়া এই নাটক ন্যাশানাল থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের প্রমুখ প্রযোজনা ছিল। এটি অভিনীত হয় শহরের এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাগানের মধ্যে, কালো পাথেরে বাঁধানো চার-থামওলা এক রঙ্গবেদীতে। কিন্তু, নাটকটি এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, নাটকের ধ্বনি-সঙ্গীত-আলোকসম্পাত ছিল কালো চাতালের বাইরে, দর্শকের সঙ্গে মেশামেশি করে, আনতসন্ধ্যার স্লেটরঙ অন্ধকারের কোণায়। প্রায়শই তাদের ঝলক দেখা গেছে ঐ পাথরের চাতালে।

    নাটকটি একটি কবিতার নাট্যরূপ, যে কবিতাটি লিখেছিলেন চল্লিশের দশকে, মলয়ালম কবি, ভইলোপল্লি শ্রীধর মেনন। মলয়ালীরা কবিতাটি বিশেষ জানেন পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে। বেশ কয়েকটি প্রজন্ম ধরেই। চেনা লাইন, চেনা রূপক, ক্লাস এইটের মলয়ালাম পাঠ্যপুস্তকের কত পৃষ্ঠায় যেন .... পড়ার বইএর বাদামী নিরুত্তপে চাপা পড়া একটি ষাটোর্ধ কবিতাকে প্রায় নবজন্ম দিয়েছেন এই নাটকের অতি নবীন পরিচালক, মলয়ালম ভাষা ব্যবহার করলে-- নাটকের 'সংবিধায়ন', শঙ্কর ভেঙ্কটেশ্বরন।

    এতক্ষণে পাঠকের কাছে পরিষ্কার, নাটকটি একটি হাতিকে নিয়ে। হাতির সঙ্গে কেরলের মানুষের আত্মবন্ধন সুদৃঢ়। 'আনা', অর্থাৎ হাতি মলয়ালীর সাংস্কৃতিক/ধর্মীয় জীবনের একটি সজীব মোটিফ। কেরলের মন্দিরে-মন্দিরে উৎসবকালে অতি সুসজ্জিত হাতির পীঠেই স্থান পান ঈশ্বরপ্রতিমা। সবচেয়ে দীর্ঘকান্ত, সৌম হাতিটিকেই বেছে নেওয়া হয় এইজন্য। উৎসবের শেষদিনে মন্দিরের আঙ্গিনায় ঈশ্বরবাহী অনন্য হাতিটি, যার নাম হতে পারে গোপালকৃষ্ণন, শঙ্করনকুটি, অনন্তপদ্মনাভন... তাকে ঘিরে থাকে আরো কুড়ি-তিরিশ সুসজ্জিত হাতি। 'পঞ্চবাদ্যম' বা পাঁচটি অপূর্বঘোষ , ইন্ডিজেনাস বাদ্যযন্ত্রের মেলের সঙ্গে হাতিরা থাকে সুনিশ্চল, প্রায় কয়েক ঘন্টা। উৎসবের হট্টমেলার ভীড়ে তাকে থাকতে হয় সুশৃঙ্খল।

    ভইলোপল্লি শঙ্কর মেননের কবিতায় এমনি একটি হাতির কথা, যে উৎসবের বিচিত্র ধ্বনিসমাহারের মধ্যে ভাবনায় ডুবে যায়, যেন সে পালিয়ে যায় সহ্যাদ্রির সুনিবিড় চারণভূমিতে, সেখানে তার বাল্যসখীর সঙ্গে খেলার দিনে... মন্দিরের অর্থহীন রিচ্যুয়াল, আতসবাজির ছুঁচোলো আলো-শব্দের যান্ত্রিকতায় তার কোথায় আনন্দ! তাই সে নিশ্চলতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে, ভক্তদল ভাবে সে মদমত্ত -- একটু আগে যে ছিল ঈশ্বরবাহক, এখন সে এক দুর্দম জীব মাত্র। মারো ওকে। তাই সে মরে , মানুষের হাতে। শেষ লাইনে কবির প্রশ্ন, এই হাতির মৃত্যু-আর্তি গর্ভগৃহের মূর্তির কাছে পৌঁছবে কি?

    কবিতার এই প্রশ্নটিকে ঘিরে শঙ্কর ভেঙ্কটেশ্বরন নাটকের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ মেপে রেখেছেন। কিন্তু এই প্রেডিক্টেবল দৈঘ্য-প্রস্থের চতুষ্কোণের মধ্যে তৈরী করেছেন নানা বিভঙ্গের কোনাচ।

    যেমন, উপস্থাপন :-
    নাটকটি শুরু হচ্ছে কবিতাটির একটি অদ্ভুত, মর্মর পাঠে। একটিমাত্র স্পটলাইটের আলোয়, একটি সাদা ধুতি পরিহিত, নগ্ন উপরাঙ্গের এই যুবা 'সংবিধায়ন' শঙ্কর ভেঙ্কটেশ্বরনের প্রায় পনেরো মিনিটের এই পাঠ নাটকের আবহ তৈরী করে দিয়েছিলো। নাট্যশিল্পে বাচনের যে একটি আলাদা প্ল্যাটফর্ম আছে, তা ক্ষণে ক্ষণে প্রতিপাদ্য হচ্ছিল এই কবিতা পাঠে। এইখানে শঙ্কর ছিলেন একজন অভিনেতা হিসেবে, তার অসাধারণ বাচনের মাধ্যমে।

    কবিতাপাঠের পরে কিছু পলের নিটোল নীরবতার মধ্যে কবিতায় কথিত হাতির ভুমিকায় আসেন, মিকারি। জাপানী অভিনেত্রী। পরিধানে নীল-ধূসর কিমোনো-আধারে বানানো অতি চমৎকার পোষাক। হাতির গাত্রবর্ণের সঙ্গে মিল-রাখা পোষাক। গলায় কাঠের মালা, শৃঙ্খলাকালে নির্মিত, হাতি পায়ে থাকে যেমন শৃঙ্খল। মিকারি অভিনীত হাতিটি কেরলের এক মন্দিরের উৎসবপ্রাঙ্গণে নিজের স্থান নেয়। রঙ্গবেদী ঘিরে তখন মশাল জ্বলছে, কেরলের মন্দিরের দীপস্তম্ভের রূপকে । দর্শকরা পাচ্ছেন তেলের পোড়া গন্ধ, তাদের চোখ যাচ্ছে আকাশে ঘুরন্ত আতসবাজির দিকে... দর্শকচিত্ত ক্রমশ: ঢুকে পড়ছে এই অসাধারণ প্রযোজনার অন্তস্থলে।
    মশালের পাশে ছিলেন বাদ্যযন্ত্রীরা, তিন কি চারজন। তাদের সঙ্গীতের মূলসূত্র, কেরলের মন্দিরউৎসবের 'পঞ্চবাদ্যম'এর আঙ্গিক। কিন্তু, এই নাটকের 'ভিন্নতা'র সঙ্গে সমচিত্ত হয়ে তা ছিল সনাতনী মন্দির বাদ্যের মধ্যেই ভিন্নপ্রকৃতির। নানা দেশের তালবাদ্য, আফ্রিকীয়, লাতিন আমেরেকীয়, তূর্কী -- মিশে ছিলো আবহের মধ্যে।

    কবিতার ধারা অনুসরণ করে নাটকের মধ্যে যেতে যেতে দেখি, মিকারির জাপানী অভিনয় রীতির লঘু পদচালনার সঙ্গে অনায়াসাধ্য ভাবে ঢুকে পড়েচে 'আনা-চলন', হস্তিপদক্ষেপ। ধীর,বীরোচিত। নীল-ধূসর কিমোনোর হাতা দুটি মৃদু আন্দোলিত হয় হাতির কানের মতন। অনায়াস শরীরভাষায় মিকারি হয়ে যান কেরলের মন্দিরের একটি হাতি। এখানে একটা কথা বলি, শিকারী ও হত্যাকারী মানুষের ভূমিকায় যারা, তারা একই সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রীর ভূমিকাও নেন। এদের মধ্যে ছিলেন শঙ্করও। বাজনা থামিয়ে কেউ কেউ বেদীতে উঠে আসছিলেন, আবার গিয়ে বসছিলেন ড্রামে, "চেন্ডা'য় , বা লম্বা বাঁশে বানানো সেই অদ্ভুত, তারের যন্ত্রে।

    মিকারি এই নাটকে অনায়াসে বলেছেন জাপানী বাক্য। মলয়ালমে কবিতা পাঠের পর একমাত্র জাপানীই উচ্চারিত হয়েছে বেদীতে। অনুবাদ নেই। জাপানী বাক্যগুলি তিরতির করে বয়ে গেছে নাটকের তীব্রতার পাশে, শীতের সরু নদীর মতন। যখন হাতিটি মানুষের কাছে বিভ্রান্তমানস এক পশুমাত্র : দেবধারী, ধর্মীয় রিচ্যুয়ালের আধার নয়, তখন মিকারি যে অভিনয় করেছেন, তা আমার কাছে অপূর্ব মনে হয়েছে। জাপানী রীতিতে বাদ্যযন্ত্র এবং পদচালনার মধ্যে একটি নিস্তব্ধতার সংকেত থাকে। ভারতীয় রীতিতে বাজনার সঙ্গে সঙ্গেই পদচালনা করেছেন মিকারি। তাহলেও, সব সময়েই জাপানী আঙ্গিকের একটি স্পর্শ ছিলো নাটকে। নাটকটি শেষ হয় যে বিন্দুতে, হাতিটি যেখানে নিহত হয়, বেদীতে রাখা দুই হস্তীদন্তের আধারে ডিম্বাকৃতির দোল-আয়নাটি ঘুরিয়ে বেদী থেকে নীচে নেমে যান মিকারি। পরের মুহূর্তে নীল-ধূসর পোষাকটি বদলিয়ে সাদা পোষাকে, সূচীভেদ্য নীরবতায় দর্শকের মধ্যে হেঁটে যান তিনি।

    নাটকটি শেষ হয়

    মুখামুখম্‌ :--
    নাট্য-উৎসবের প্রতিটি অভিনীত নাটকের পরে ছিল সেই নাটকের পরিচালক-অভিনেতা এবং সাধারণ দর্শক-প্রেস ইত্যাদির একটি মুখোমুখি আলাপচারিতা, 'মুখামুখম্‌'। আলোচ্য নাটকের 'মুখামুখম্‌'এর দিনে শঙ্কর ভেঙ্কটেশ্বরন এই নাটকের জাপানী-কেরলীয় অবতারণাশৈলীর ওপর বলতে গিয়ে ছিলেন অমায়িক, হৃদ্যতাপূর্ণ। এই নাট্যপরিচালক ত্রিশুর স্কুল অফ ড্রামায় পড়াশোনার পর সিঙ্গাপুর ও জাপানে থিয়েটারে আরো পড়াশোনার পর ২০০৩ এ খোলেন নাট্যদল,' থিয়েটার রুট্‌স অ্যান্ড উইঙ্গস'্‌। প্রশ্নোত্তরে উঠে আসে মিকারি মলয়ালম না বুঝেও কিভাবে কথাবস্তুর অন্তরে পৌঁছেচেন -- শরীরভাষায়, মুখাভিনয়ে। এই শরীরভাষা,'আনা-চলন'শিখতে মিকারি প্রায় চার মাস থেকেছেন কেরলের তেক্কাডি অঞ্চলে, গুরুবায়ুর মন্দিরের কাছে গ্রামে, হাতিদের মধ্যে।
    শঙ্কর বলেছেন নাটকের প্রথম ভাগে তাঁর কবিতাপাঠের কথা, কিভাবে বাক্য থেকে শরীর , শরীর থেকে আত্মায় নাটকের একটা সুগম্যতা থেকে যায়। প্রশ্ন ছিলো, কেরলের সনাতনী বাদ্যযন্ত্রে 'ভিন্নতর' ব্যবহারের ওপর, যার কিছু রি-মিক্স এই নাটকে গিমিকের জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন কিনা : এই সব প্রশ্নের উত্তরে শঙ্করের বক্তব্য, বিশুদ্ধ সংস্কৃতি থেকে তিনি নিয়েছেন নিজের মতন, তারপর তাকে গড়েছেন নিজের মতন, চেষ্টা করেছেন। চল্লিশের দশকে লেখা একটি মলয়ালম কবিতার নাট্যরূপে প্রধান চরিত্রের ভূমিকা নিয়েছেন জাপানী অভিনেত্রী, নেপথ্য-আবহে কেরলের মন্দিরের সঙ্গীতের সঙ্গে থেকেছে পৃথিবীর প্রান্ত থেকে নেওয়া বাদ্যযন্ত্র,রঙ্গবেদী ও তার চত্বর জুড়ে থেকেছে কেরলের মন্দিরের উৎসবের শব্দ-গন্ধ। পুরো থিয়েটার জুড়ে নানা টানা পোড়েন, নানা মিলমিশ।

    শেষের বাক্য :---
    আমার মনে হয়, এতগুলি স্তর ভিতর-বাহিরে মিশিয়ে মিশিয়ে 'সহ্যন্ডে মকন -- দি এলিফ্যান্ট প্রজেক্ট ' একটি অখন্ড শিল্পবস্তু হিসেবে শিরদাঁড়া সোজা রেখে পঁচাত্তর মিনিট দাঁড়াতে পেরেছিলো।

    দর্শকরা ভাবতে ভাবতে বাড়ী গেছেন। আমার মতনই।

    ছবি:
    http://picasaweb.google.com/guruchandali/Pragati1#

    মে' ৩, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ মে ২০০৯ | ১৪১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন