এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • খাননামা

    অর্ণব রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ মার্চ ২০১০ | ৮২৫ বার পঠিত
  • জহুরী : (তোয়ালে পরে, সনা চান করতে করতে) জেবনটায় ঘেন্না ধরে গেল ভাই। লোকের মুখে খালি "কিছু কিছু করেছি' বা "কখনো পূর্ণিমা, কখনো অমাবস্যা' বা "কখনো আঁধার এনো না' - এইসব নেকুপুষুমুনুপিরীতিগদগদ-ফিলিম বানিয়েছি শুনে শুনে। ভাবছি এবার একটা তীব্র রাজনৈতিক চেতনা সমৃদ্ধ ছবি নামাবো।

    রাজা খাঁ : (চোখ বন্ধ করে, সনা নিতে নিতে) পেগলে গেছিস!!

    জহুরী (মুচকি হেসে) : না:, খিল্লি মারছিলাম। পরের ছবিটাও মাখোমাখো লাভস্টোরিই হবে। শচীন তেন্ডুলকারকে ক্রিকেট ছেড়ে কথাকলি নাচতে বললে, নাচবে? তাছাড়া পাবলিকও তো প্রেমকাহানিই ভালো খায়। তবে আজকাল আবার পাবলিকের খিদে বেড়েছে, তারা হল থেকে বেরিয়ে নিজেদের ""আমি কি হনু রে'' ভাবতে চায়। আর তাই আমাদের মত ফিল্মওয়ালাদেরও নিজেদের চারপাশে গভীর পরিণত রাজনৈতিকবোধের চাদর জড়িয়ে রাখতে হয়, সেই বস্তাপচা, রদ্দি বাস্তবের বুনোটের। মোদ্দা কথা হলো, রদ্দি মালকে আরো পোক্ত আর ঝাঁ চক্‌চকে করা। সহজ সরল কলেজপ্রেমের গল্প আর নিচ্ছে না পাবলিক, বুঝলে ভায়া? তবে আমিও আর তোমাকে গোঁফচাঁছা কলেজছাত্তর বানাতে পারবো না। মেঘে মেঘে তো বেলা হয়েই গেলো, তাই না?

    রাজা খাঁ : কেন? ঐ ইডিয়টটা যদি পারে, তবে আমি ওর থেকে বেশী কিসে? আরে ভাই, অন্তত বিশ্ববন্দিত ইঞ্জিনিয়ার তো বানাতেই পারিস যে যখন তখন তুড়ি মেরে উড়ন চাকিও বানিয়ে ফেলতে পারে!

    জহুরী : সে কথা কী আর বলতে? আমি আছি কী করতে? এই ছবিতে তুই হলি "গড়াপেটার বাজীকর'।

    রাজা খাঁ : সেরেছে! আজহার আবার খচে যাবে না তো!

    জহুরী : অ্যাইত্তো! পেয়ে গেছি, পেয়ে গেছি! এই ছবিতে আমরা "সংখ্যালঘু শোষণ' উন্মোচন করবো। সেট ফেলবো স্টেটসে, আমি আবার তুলিআঁকাছবির মত গাঁগঞ্জ না দেখিয়ে থাকতে পারি না। মনে আছে তোর "কনে নিয়ে যাবে কানু'র কথা? পিছনে সর্ষে ক্ষেত, আর সামনে তুই আর সুর্মা! তবে গপ্পে কোনো ছাই ছাই রঙের ম্যাটার রাখবো না, পাবলিক সাদা-কালো গপ্পো খায় ভালো। এমনিতেও আমি গপ্পো নিয়ে বেশি জট পাকানো পছন্দ করি না। তো ভাবছি যে সারা পৃথিবী আমেরিকার সম্পর্কে যা ভাবতে ভালোবাসে, সেরকম কিছু মশলা ভরে দেবো। যেমন ধর -- ওখানে শুধু বিশেষ এক ধর্মের এবং রঙের মানুষের উপরই নিপীড়ন হয় আর ওখানে নিরাপত্তার নামে রাষ্ট্রের বড় বড় খুড়োরা সারাক্ষণ ঘাড়ের কাছে নি:শ্বাস ছাড়ে "আমরা কিন্তু সব দেখছি' বলে। জর্জ বুশ হোলো গে বর্ণ পরিচয়ের দুষ্টু রাখাল কিন্তু তার উত্তরসূরী পুরো উল্টো কেস, সুবোধ বালক গোপাল। তো এইসব ঘি-জবজবে ব্যাপারস্যাপার দেখতে গেলে তো আঙুল এট্টু বাঁকাতেই হবে। যেমন ধর আমরা ২০০৮এর জর্জিয়ার চেহারা বদলে আঙ্কল টম্‌স কেবিনের সময়ে নিয়ে যাবো। অথবা ধর যদি দেখাই যে আমেরিকায় যত লোক বন্দী অছে, সবার উপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে! লোকে যদি এসব বিশ্বাস করতেই ভালোবাসে, তো চল, আমরাও সেই বিশ্বাস ভাঙ্গিয়ে কামিয়ে নিই।

    রাজা খাঁ : মানে আমরা এখন অ¡মেরিকায় বস্তির বাদশা বানাতে চলেছি! লোকে যাতে হজম করতে পারে সেইজন্য দেশটাকে বস্তাপচা কিছু ধারণা অনুযায়ী দেখানো, তাই তো?

    জহুরী : ঠিক তাই। আর গল্পের এই সুতো ধরে অনেকগুলো দেশ, বিশেষ করে ম্‌ধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভালো কামিয়ে নিতে পারবো।

    রাজা খাঁ : আর দেশে আমার জনপ্রিয়তাও চড়চড় করে বেড়ে যাবে, বলা যায় না "শ্রেষ্ঠ প্রতিবেশী'র তকমাও পেলেও পেয়ে যেতে পারি!! কিন্তু বাপু আমার একটা শর্ত আছে। আমি এই ছবিটা তখনই করব, যদি প্রতিটা সিনেই আমাকে দেখানো হয়। ঐ যে আমার আগের ছবিটা কি যেন নাম, - তাপ্পিমাস্টার দর্জি না কী যেন! ঐটেতে আরেক মক্কেলের সাথে কাঁধ মিলিয়ে, মুখ দেখিয়েছিলাম, ব্যাস, ছবিও মহাফ্লপ। আসলে আমার ভক্তরা আমার ছবিতে অন্য কেউ এক সেকেন্ডের জন্যও অভিনয় করে ক্রেডিট নিয়ে যাবে, এটা বরদাস্ত করতে পারে না।

    জহুরী : টেন্‌শন মত লো ইয়ার। তুই এ ছবির হিরো নোস, হলি গে এ ছবির ভগবান। এ ছবিতে তুই সবাইকে এক হাত ভরপুর নিবি। নিউটন, আর্কিমিডিস সব হনুই তোর কাছে ফেল মেরে যাবে, কিন্তু তোর মুখের বোল হবে "মেরেছ কলসীর কানা, তা বলে কি প্রেম দেবো না'! তুই বন্যাবিধ্বস্ত গ্রাম আবার নতুন করে গড়ে তুলবি, আর আমেরিকা প্রশাসন হাত গুটিয়ে চুপ করে বসে দেখবে। তুই রকেটের ইঞ্জিনও সারিয়ে ফেলবি, ওদিকে আবার তুই সবসময় সত্যের পূজারী। নির্ভেজাল সত্যি বলা ছাড়া কথাই বলিস না। সশরীরী ঈশ্বর!! আমি শুধু ভাবছি, হলভর্ত্তি মেয়েরা তোকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে আর "আহা, উঁহু" করতে করতে একে অপরের গায় ঢলে পড়ছে। সেই উত্তমের "রমা, রমা' ডাক শুনে মেয়েদের নাকি ফিট হত, আবার সেই হারানো সুর ফিরিয়ে আনবো আমি। আর তোর করা চরিত্রের পদবীও তোর নিজের পদবীর সাথে মিলিয়ে দেবো, যাতে ঐ চরিত্রর সাথে তোর বিশেষ ফারাক না থাকে! তোর চরিত্র যদি সাক্ষাৎ ভগবান, তো তুই ঈশ্বর!

    রাজা খাঁ : তথাস্তু! তবে কি জানিস, লোকে আমায় বলে আমি নাকি সব সিনেমাতেই একভাবে শারীরিক অভিনয় করি! মাথা ঝাঁকিয়ে, ঠোঁট কাঁপিয়ে। সব সিনেমাতেই নাকি আমাকে দেখলে মনে হয়, জন্মের পরে পরেই খাট থেকে পড়ে গেছিলুম। :-)

    জহুরী : সেই তো! সেটাই তো আমার গল্পের আসল পরশপাথর, বক্স অফিস থেকে সোনা আনবে। তুই এই ছবিতে একজন অল্প জড়বুদ্ধি মানুষের ভূমিকায় অভিনয় করবি। আরে, ঐ যে রেনম্যানে ডাস্টিন হফম্যান যেরকম করেছিলো - জটিল জটিল সব সংখ্যা নির্ভুলভাবে বলে দিতো! হফম্যানের ম্যানারিজম্‌টা চোথা মারবি, শুধু অভিনয়টা নিজের স্টাইলে করবি। মনে রাখবি তোর এই আংশিক জড়তাগ্রস্ত মগজ তোকে বাড়তি প্রেরণা জোগাবে অবিশ্বাস্যরকমের সৎ আর অপাপবিদ্ধ সরল হতে। ফরেস্ট গাম্পকে মনে পড়ে? হুঁ হুঁ বাবা। এরপর দেখি কোন সমালোচকের বুকের পাটা আছে তোর অভিনয়ের নিন্দে করতে! আরে হ্যাঁ হ্যাঁ, সে তো জানিই যে তুই আর হফম্যানের রেনম্যান হল গিয়ে কিসে আর ইসে!! কিন্তু দর্শকের কিচ্ছু আসে যায় না, যতক্ষণ পর্দায় তোকে দেখা যাচ্ছে।

    রাজা খাঁ : বা:!! বেড়ে নামছে তো মালটা!

    জহুরী : অধীর হোয়ো না বৎস, আরো আছে। চরিত্ররূপায়ণ!! তোর সাথে সুর্মাকে দিচ্ছি। আজ অব্দি যে কটায় তোদের দুজনের জুটি নামিয়েছি সবকটা মেগাহিট! কেমিস্ট্রিটাই আসল বুঝলি! তুই আর সুর্মা মিলে কেমিস্ট্রিটা নামিয়ে দিবি ঠিকমতো। সুর্মা আবার আবেগ বেশি হলে এট্টু বাড়াবাড়ি, চিল্লামিল্লি করে ফেলে বটে, কিন্তু কেমিস্ট্রি জমিয়ে ক্ষীর করে দেয়! পুরনো প্রিমিয়ার পদ্মিনী গাড়ি যেমন ৬০এর উপর স্পিড তুললেই কেঁদেককিয়ে একসা হয়, কিন্তু তা বাদ দিলে ভরসা রাখতে পারিস। কিন্তু বুঝে উঠতে পারছি না ভালোমানুষ, হাসিখুশি, সেবাপরায়ণা, লাউ দিয়ে প্যানকেক বানানো ইন্দো-আম্রিগান-আফ্রিকান ধাইমার রোলটা কাকে দিয়ে করাই! কিরনদি নাকি ফরিদাআপা!! নাকি ওখানকার লোকাল অভিনেত্রী নেবো? বাজেটটার কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে!

    রাজা খাঁ : বাজেট নিয়ে মাথার চুল ছিঁড়তে হবে না। ও হয়ে যাবে। আমরা প্রচুর কর্পোরেট কোম্পানিকে গলায় দড়ি দিয়ে নিয়ে আসবো। আর হাতের পাঁচ জুতোর কোম্পানি কুরুবক তো রয়েইছে, কুরুবক তো আমার ক্রিকেট টিমের স্পনসর। সিনেমার প্রথম পাঁচ মিনিট পর্দা জুড়ে আমাকে রাখবি, কুরুবকের জুতো পরে আমি ডিজনিল্যান্ডে নাচছি, দৌড়ে নিউ এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিঙের ছাদে উঠছি। ক্যামেরা আমার পদযুগলের উপর ফোকাস করবে। হুঁ হুঁ বাবা, দেখেছো আমার কী বুদ্ধি!

    জহুরী : আমি একটা স্টুডিওর কথা ভাবছিলাম। তারা আবার আমেরিকার প্রতিক্রিয়াশীলদের সমর্থক বলেই পরিচিত। "সংখ্যালঘু শোষণ' - এই থিমের সিনেমায় যদি এদেরকে দিয়ে ডলার ঢালাতে পারি - জমে ক্ষীর!

    রাজা খাঁ : (ফোনে কথা বলছেন) না মিস্টার শর্মা, আমি আপনাকে আগেই বলেছি আমি আপনার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়েতে নাচতে পারবো না। আপনার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়েতে আমার নাচ হবে, এটা যতই আপনার অ্যালিমনির শর্ত হয়ে থাকুক, আমি পারবো না। কী বললেন, দুই কোটি, সাথে ডিনার? ঠিক আছে, এক ঘন্টার মধ্যে আপনার সাথে দেখা করছি। (ফোন রেখে) সরি ভাই, পরে তোর সাথে আমি ছবিটা নিয়ে কথা বলবো, এখন উঠতে হবে।

    জহুরী : ঠিক আছে, ওঠ তুই। আমি এই ছবিটা নামাবোই। ছবি রিলিজ করার আগে আমাদের শুধু এমন কিছু ঘটনা দরকার যেগুলোতে তোকে শোষিত হতে হবে। তাহলেই বাস্তবজীবনের তোর সাথে ছবিতে তোর ভগবানের অবতার চরিত্রের সাথে ফারাক কমে আসবে। আমরা তো আর সত্যি ভগবান নই যে অমন ঘটনা বানাতে পারবো, কিন্তু যদি ঘটেই যায় তার থেকে ফায়দা তুলতে দোষ কোথায়? ( এক চোখ টিপে)

    রাজা খাঁ : কোনো দোষ নেই (এক চোখ টিপে)

    জহুরী : ঠিক আছে, চল তাহলে, পরে আবার বসবো তোর সাথে। মনে আছে তো, পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধুজীবী!!

    রাজা খাঁ : (মার্কামারা দুষ্টু হাসিটা হেসে, ঘাড় হেলিয়ে) আরে আমি হলাম রাজা খাঁ , বুদ্ধুজীবী হতে যাবো কোন দু:খে!

    জহুরী : তা তো বটেই!

    **লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল http://greatbong.net/ এ। ইংরাজী থেকে বাংলায় অনুলিখন করেছেন সুচেতনা দত্ত।

    ১৩ই মার্চ, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ মার্চ ২০১০ | ৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন