অনুবাদকঃ সাগর দাস
অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন সোজা কাজ নয়। অর্থনৈতিক যুক্তির সাথে রাজনৈতিক বাস্তবতার মিশেলের যেসব উদাহরণ মাঝে মধ্যে সামনে আসে, তা অর্থনীতিবিদ থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানের পণ্ডিত সকলকেই হতবাক করে দেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স, বাংলায় সামগ্রী ও পরিষেবা কর) ক্রমশঃ সেরকমই একটি উদাহরণ হয়ে উঠছে।
কর আদায় করা যেকোনও সরকারেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ এটি তার রাজস্বের প্রধান উৎস। ভারতীয় করের কাঠামো এমনই যে আমাদের রাজস্বের একটি বড় অংশ আসে পরোক্ষ কর (ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স) থেকে। খুব কম সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষ কর বা ডাইরেক্ট ট্যাক্সের (যেমন ইনকাম ট্যাক্স, কর্পোরেট কর ইত্যাদি) আওতায় পড়েন। তা সত্ত্বেও, আয়কর সম্পর্কে আমরা ভারতীয়রা খুব সংবেদনশীল, এবং একটি সরকারের ভবিষ্যত প্রায়ই তার আয়কর শুল্ক পরিবর্তনের নীতির উপর নির্ভর করে। বাজেট ঘোষণার সময় আমরা অধিকাংশ ভারতীয়রাই শুধুমাত্র আয়করের স্ল্যাবগুলির পরিবর্তনের দিকেই নজর রাখি। তার সাথে হয়তো কোন কোন জিনিসের বা পরিষেবার মুল্য বাড়লো বা কমলো (যা কিনা আবার সরকারের পরোক্ষ করের দ্বারাই প্রভাবিত হয়) সেই দিকে কিছুটা দৃষ্টি দিই।
জনসাধারণের এই সংবেদনশীলতার কারণেই বহু বছর ধরে সরকার পরোক্ষ করকেই রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে। ফলে, এক বিশাল সংখ্যক পরোক্ষ করের (অতিরিক্ত কর, সেস, ইত্যাদি) যে ফাঁদ তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষ তা না জেনে আনন্দেই থেকেছেন। প্রতক্ষ করের আওতায় আরও বেশি লোককে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলেছে। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে করের হার 'যুক্তিযুক্ত' করা হয়েছে যাতে কর ফাঁকি কমে। কিন্তু প্রত্যক্ষ করের এমন যৌক্তিকীকরণের ক্ষতিপূরণ করা হয়েছে পরোক্ষ করের হার বৃদ্ধি করে, যাতে সরকারের মোট কর আদায়ের পরিমাণ না কমে।
এইখানে এটা বলে রাখা ভালো যে সরকার বলতে, ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে, আমরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য উভয় সরকারকেই বোঝাই। এদেশে প্রত্যক্ষ করগুলি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকলেও, পরোক্ষ করের দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ভাগ করা রয়েছে। রাজ্যের জন্য পরোক্ষ কর আদায় করার কর্তৃত্বই তাদের একমাত্র আর্থিক স্বাধীনতা ছিল। এবং প্রতিটি রাজ্য তাদের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে পরোক্ষ কর প্রয়োগ করার অধিকারকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে।
সব সামগ্রী ও পরিষেবার অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং এক অভিন্ন পরোক্ষ করের হার বাস্তবায়নই জিএসটির উদ্দেশ্য ছিলো। জিএসটির মূল মন্ত্র ছিলো "এক দেশ, এক বাজার। এক বাজার, এক কর।" ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতকে এক অভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল (বা বাজার) হিসেবে গণ্য করা হবে, যাতে পুরো দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা করলেও একই করের নিয়মকানুন প্রয়োগ হবে।
ব্যবসায়িক সম্প্রদায় জিএসটি পলিসিকে স্বাগত জানায় কারণ পরোক্ষ করগুলি শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এর দুটি কারণ আছে। এক, বিভিন্ন রাজ্যের পার্থক্যের কারণে জটিল ট্যাক্স স্ল্যাব ও সম্মতিকরণ নীতি (কমপ্লায়েন্স) তৈরী হয়েছিলো। দুই, ধারাবাহিকভাবে এবং ক্রমাগত নিয়মের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন সেস, ছাড় ইত্যাদির প্রবর্তন পুরো ব্যবস্থাকে এক গোলক্ধাঁধায় পরিণত করেছিলো। জিএসটির উদ্দেশ্য ছিলো এই পুরো ব্যবস্থাকে সরিয়ে একটি সহজ, সরল কর ব্যবস্থা আনা যেটি সারা দেশজুড়ে পরোক্ষ করের এক অভিন্নতা নিশ্চিত করবে।
প্রাথমিকভাবে নিয়ামক (রেগুলেটরি) পরিবর্তনের একটি অংশ হিসাবে শুরু হলেও, জিএসটির প্রস্তাবে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের উৎসাহ দেখে এটি ভারতে ব্যবসা করা সহজতর (ইজ অব ডুইঙ্গ বিজনেস) করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসাবে বিবেচিত হতে শুরু করে। যদিও ইজ অব ডুইঙ্গের অনেকগুলি দিক রয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে জিএসটি রেষারেষির একটি প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে। এটা এখন কারোরই অজানা নয় যে ইউপিএ সরকারের প্রস্তাবিত জিএসটি'র সবচেয়ে বড় সমালোচক ছিল এনডিএ, যারা সরকারের আসার পরে এখন জিএসটির সবথেকে বড় সমর্থক হয়ে উঠেছে। জিএসটির এমন খ্যাতির ফলে জনসংখ্যার এই বিশাল অংশ এখন পরোক্ষ করের কথা ভাবছে, যা আগে কখনো হয়নি।
তো,জিএসটি একটি অর্থনৈতিক নীতির প্রণয়ন থেকে ক্রমশঃ একটি রাজনৈতিক বিষয়সূচি হয়ে ওঠেছে। প্রথমে যে রাজনৈতিক দলগুলো জিএসটি সংক্রান্ত প্রশংসা নেওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলো, তারাই এখন এটিকে বিপুল ব্যর্থতা হিসেবে দেখিয়ে বর্তমান সরকারের উপর দোষারোপের চেষ্টা করছে। প্রায়শই অর্থনীতি থেকে রাজনীতিকে আলাদা করা কঠিন হয় এবং সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমিও অন্যের দৃষ্টিকোণ থেকেই এই নীতিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে, ভারতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জিএসটি কীভাবে রূপায়িত হয়েছিল, তা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করার একটা চেষ্টা করবো।
অনেক দেশেই জিএসটি এবং ভ্যাটকে (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) প্রায়শই একে অন্যের পরিবর্ত হিসাবে ধরা হয়, কারণ সেখানে ভারতের মতন পরোক্ষভাবে এতো বিভাগ নেই। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি সাংবিধানিক এবং অন্যান্য নিয়মানুযায়ী একে অন্যের থেকে আলাদা ভাবে কাজ করে। ফলে, ভারতে যখন ভ্যাট চালু হয়, তখন তা কেবলমাত্র উৎপাদিত পণ্যের উপর লাঘু ছিলো, যা আবার উৎপাদন প্রক্রিয়ার অধিক্ষেত্রের উপরে নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় স্তরের ভ্যাট এবং কেন্দ্রীয় স্তরের ভ্যাটে বিভক্ত ছিল। সার্ভিস ট্যাক্স বা পরিষেবা কর, যা ১৯৯৪ সালে চালু করা হয় এবং পরিষেবা খাতের দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া ফলে যা এখন রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং রাজ্যগুলির এই গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব খাতের উপর কোনও কর্তৃত্ব ছিল না।
পরোক্ষ করের এইসমস্ত বিভিন্ন উপাদানকে এক আধারে আনার জন্য জিএসটি প্রস্তাব করা হয়, যেখানে সেবা এবং পণ্য সমানভাবে বিবেচিত হবে, যেখানে উৎপাদনের ক্ষেত্রে লাঘু হওয়া বিভিন্ন পরোক্ষ করকে একত্রিত করা হবে, এবং সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবার জন্য একই হার নির্ণয় করা হবে। তাই, জিএসটির বাস্তবায়ন ছিল অর্থনীতিবিদের কাছে যেমন এক স্বপ্ন আর রাজনীতিবিদদের কাছে ততোটাই দুঃস্বপ্ন।
ভারতীয় প্রেক্ষাপটে "এক দেশ, এক বাজার। এক বাজার, এক কর।" এই মূলমন্ত্র অবলম্বন করে সারা দেশে একটি অভিন্ন পরোক্ষ করের ব্যবস্থা আনা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। ভারতের অর্থনীতির যুক্তরাষ্ট্রীয় বৈশিষ্ট্যই জিএসটির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্যগুলির কাছ থেকে তাদের নিজস্ব কর নির্ধারণের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া অনেকটাই তাদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার সমান। সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি (যা পরে জিএসটি কাউন্সিলে পরিণত হয়) গঠন করেই এই প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়েছিলো। সবথেকে বড় চ্যালেন্জ ছিলো সমস্ত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদেরকে একই জিএসটি কাঠামোতে রাজি করানো এবং তাঁদের কাছ থেকে একই সময়সূচীর ভিত্তিতে প্রতিশ্রুতি নেওয়া যাতে প্রতিটি রাজ্য পরোক্ষ করের একই আইন এবং করের একই হার মেনে চলে।
জিএসটি-র রাজনীতিটি বরং খুব সহজ ছিল: রাজ্যগুলি তাদের অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসন কিছুটা হারাবে এবং তার সাথে সাথে এমনকি ভ্যাটের থেকে পাওয়া রাজস্বও কিছুটা কমবে (বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিমাণে); কিন্তু পরিবর্তে (ক) পরিষেবা করের ভাগ পাবে (যা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করেছে) এবং (খ) আন্তঃরাজ্য লেনদেনের উপর ভ্যাটের ক্ষেত্রে তৈরী হওয়া সমস্যাগুলির সমাধান হবে। (পাঠকরা এই ব্যাপারটা মাথায় রাখুন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি আবার এই বিষয়টিতে ফিরে আসবো)
সাধারণ পাঠকদের জন্য উপরোক্ত (খ) এর কিছুটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। আমরা জানি ভারতের সবকটি রাজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমান জায়গায় নেই। পরিকল্পিত অর্থনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে, এই পার্থক্য প্রায় ইচ্ছাকৃতভাবেই তৈরি করা হয়েছিল - ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রকে একটি যৌথ ইউনিট হিসাবে দেখা হতো, যেখানে কিছু রাজ্য কৃষির ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে আর অন্যগুলি শিল্পের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। মহারাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পদ ও অর্থনৈতিক উন্নতির দিক থেকে প্রকৃতপক্ষেই মধ্যপ্রদেশের তুলনা করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় গঠনের মাধ্যমে ভারসাম্য সুনিশ্চিত করার কথা ছিলো, এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার তথাকথিত উন্নত রাজ্যের থেকে অর্জিত রাজস্বের একটি অংশ দিয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা চালাত। অর্থনীতির উদারীকরণের পরে যখন প্রতিটি রাজ্য একে অপরের সাথে বিদেশি পুঁজি (এফডিআই) আকৃষ্ট করার এবং স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার প্রতিযোগী হয়ে উঠলো, রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়নের এই অন্তর্নিহিত পার্থক্য তখন আরো বৃদ্ধি পেলো, কারণ পূর্ববর্তী উন্নত রাজ্যগুলি আরো উন্নত হয়ে উঠলো এবং পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলি আরো পিছিয়ে পড়লো। এটি ভারতবর্ষের রাজ্যগুলির মধ্যে বিভেদ আরো বাড়ালো, আর এর ফল হল এই, প্রতিটি রাজ্য অন্যটির সাথে অপ্রত্যক্ষ রাজস্ব আদায়ের লড়াইয়ে নেমে পড়লো। অবধারিতভাবে দুর্বল রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নততর রাজ্যগুলির প্রতি তৈরি হল ঈর্ষা, কারণ উৎপাদনের ঘাঁটি এই উন্নততর রাজ্যগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য দুর্বল রাজ্যগুলিতে রপ্তানি করে প্রচুর ভ্যাট উপার্জন করতে লাগলো। আর দুর্বল রাজ্যগুলি প্রবেশ করের (এন্ট্রি ট্যাক্স) মতন বিভিন্ন ধরনের কর বসিয়ে এই অব্স্থার বিরুদ্ধে লড়তে লাগলো। এর ফলে ঠিক কোন সময়ে পরোক্ষ কর আদায় করা উচিত সেই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলো। প্রশ্ন উঠলো পরোক্ষ কর আদায় করা কোথায় উচিত, যেখানে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে সেখানে, নাকি যেখানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে? দুর্বল রাজ্যগুলি স্পষ্টতই যুক্তি দিলো যে পরোক্ষ কর যেহেতু ব্যবহার-ভিত্তিক-কর (কনজাম্পশান-বেসড-ট্যাক্স), তাই তাদের নিজেদের রাজ্যে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পণ্যের উপরে উপরোক্ত কর আদায় করার অধিকার তাদেরই থাকা উচিত। কিন্তু যে রাজ্যগুলিতে এইসব পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তারা উৎপাদনের থেকে প্রাপ্ত ভ্যাট-রাজস্ব প্রত্যাহারের জন্য কখনই রাজি ছিলোনা। ফলতঃ একই পণ্যের উপরে একাধিক কর বসলো এবং রাজগুলির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরী হলো।
যখন রাজ্যগুলির মধ্যে ইতিমধ্যেই এমন অর্থনৈতিক লেন-দেনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে, নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে চলে এল কিছু রাজনৈতিক বাধ্য-বাধ্যকতা। ব্যবসা করার সুবিধার আন্তর্জাতিক অব্স্থানে ভারতের মান দুর্বল হয়ে উঠছিলো, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট ও মন্দা জিডিপি (দেশের মোট উৎপাদনের একটি মূল্যবান সুচক) বৃদ্ধির হারকে ব্যাহত করছিলো, এবং এসবের মাঝেই নতুন ক্ষমতাসীন সরকার তার আগের সরকারের থেকে নিজেকে বেশি সক্ষম দেখাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। আর ঠিক তখনই জিএসটি হঠাৎ ভারতীয় অর্থনীতির জন্য যেন এক জাদুদণ্ড হয়ে উঠল। একটি অননুমোদিত আদেশ জারি করা হলো যে একটি নির্দিষ্ট সময়রেখার মধ্যে জিএসটিকে দ্রুত বাস্তবায়িতকরতে হবে। যেহেতু আর্থিক দুর্বলতা যথাযথভাবে সমাধান করা সম্ভব হলোনা, তাই একটি আপসে আসা হলো।