আজ পাতা উল্টোতে গিয়ে চোখে পড়ল, পুরনো কলকাতার মদের ইতিহাসে এটার কথা বলতে ভুলে গেছিলাম - রাধাপ্রসাদ গুপ্ত ওরফে শাঁটলবাবুর "ভারতে আসবের ত্রি-ধারা"।
সে কি! এতো বিশ্বভ্রমাণ্ড ঘুরে ভাল ভাল পানীয়র বর্ণনা শেষে কি না ডালের বড়া দিয়ে পান্তাভাত! ভোঁদ্দা কী এরপর রদ্দা খেল ন্যাড়া দা?
#
হ্যাশট্যাগের গুগল ড্রাইভের অনুষ্টুপের" লিংক খুলছে না।
নয়ের দশকে এপারে ঢাউস অনুষ্টুপের কিছু বিশেষ সংখ্যা আসতো। কতো ভাল ভাল লেখা পড়েছি সে সময়। তারপর রাতারাতি কেমন সব ডিজিটাল হলো। কতো কি পাল্টে গেল। অনুষ্টুপ আর পাই না। এখনো পত্রিকাটির জন্য প্রাণ কাঁদে। ...
বেতলা বা জঙ্গল গেছ অথচ মহুয়া খাও নি; এও কি অসম্ভব ? 1998 সাল। আমরা চার মক্কেল আমি , অনিন্দতো, দেবরূপ আর কৌশিক এক কনকনে শীতের সময় বেতলা গেলাম । ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি করে আসার পথে কিছু একটা লোচা হল। এই অনিন্দতো আর দেবরূপ আবার যদুপুর। পুজোর ফল খায় না। মিটিং মিছিল করে মানে হালকা বিপ্লবী টাইপস। তারা কীসব করে একটা লরি জোগাড় করলো তাতে ইট যাচ্ছিল। আমরা চাদ মুখ করে সেটায় চেপে প ড়লাম। ওটা আমাদের বেতলায় ছেড়ে দিল। তখন কাচা বয়েস। ঘর বুক করার কথা কেউ ভাবি নি। আর সেই কনকনে ঠান্ডা । ডিসেম্বরের 23 বা 24 তারিখ । পিতৃদেবের নাম প্রায় ভুলে যাই যাই। এমন সম য় একটা সরকারী গেস্ট হাউস টাইপস পেলাম। চৌকিদার অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। 75 *2 = 150 টাকায় দুটো ঘর হয়ে গেল। খেয়ে দেয়ে আমাদের পুলক জাগলো। ক্যাম্প ফায়ার করবো। চৌকিদার সব ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই শীতের রাতে আগুন পোহাতে পোহাতে উদাত্ত কন্ঠে দেবরূপের গান। আহা। এখনো কানে লেগে আছে। তা গান শেষে হাততালি দিতে, দিতো হেবববি খিস্তি করলো। ক্যাম্প ফায়ার এ নাকি হাততালি দিতে নেই। দুটো কাঠি তে তালি দিতে হয়। বোঝো কান্ড!!
পরের দিন চা টা খেয়ে ব্রেকফাস্ট করে আমি বললাম চল মহুয়া খাবো। বাকিদের তেমন অনিচ্ছা ছিল না। এদিক ওদিক দেখে একটা সাওতালী গ্রামে ঢুকলাম । সেখানে মনে হয় 30/35 টাকার মহুয়া কেনা হল। কিন্তু বোতল দিতে ওরা রাজি নয়। কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরে দিতোর দামড়া টাইপের ওয়াটার বোতল করে আমরা মহুয়া টা আনলাম। 65-70% দিতো আর দেবরূপ মেরে দিল। কৌশিক কোন মতো একটু খেয়েছে। গন্ধের চোটে আমি একটুর খেতে পারি নি।মহুয়া খেতে খেতে ওরা আমাকে গুছিয়ে খিস্তি করলো।
...... অথ মহুয়া কাহিনী :)))