অনেক গভীর বিশ্লেষণ, অনেক সংগত প্রশ্ন। অনেক তেতো বড়ি।
"মাস্টারমশাইরাও সেই সম্মানের আসন চ্যূত হয়েছেন অনেক কাল আগেই "।
হ্যাঁ, আজকাল "হামামকে অন্দর হম সব নংগে হ্যায়"।
স্নানঘরে সবাই নগ্ন।
পচন শুরু হয়েছিল অনেক আগেই।
চারদশক আগের ছত্তিশগড়ের অভিজ্ঞতার থেকে বলি:
1. নামকরা ইংরেজি মাধ্যমের প্রাইমারি সেকশনের টিচার বাচ্চাদের চাপ দিচ্ছেন ওনার বাড়িতে গিয়ে টিউশন পড়ার জন্য। তা নাহলে ক্লাস টেস্টে নম্বর কাটছেন।
2. একজন টিচারকে দেখলাম স্কুল ছুটির সময় যে রিকশা করে বাড়ি ফিরছেন তাতেই টিউশন পড়ার বাচ্চাদের মুর্গিহাটার মত ঠুঁসে নিয়ে যাচ্ছেন।
3. গিয়ে উনুনে ডাল চাপিয়ে বাচ্চাদের দাদাং বুলোতে বলবেন।
4.
একসময় টিচারদের মাইনে ছিল অনিয়মিত, এবং টাকার অংক অসম্মানজনক। তখন প্রাইভেট টিউশনকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতাম।
আজ মনে হয় ঘুষ খাওয়া, কনফ্লিকট অব ইন্টারেস্টকে এড়িয়ে অতিরিক্ত আয় করা -- এর মূলে আছে লোভ।
সেই লোভ যখন মান্যতা পায়, লেজিটিমেট বা নিও নর্মাল বলে স্বীকৃত হয় তখন সেটা বল্গা ছাড়া হয়ে যায়, হিংস্র চেহারা নেয়।
5. অধিকাংশ টিচার কোচিং ক্লাসে কিছু শর্টকাট শেখান এবং মুখস্থ করতে উৎসাহিত করেন। প্রশ্ন করতে বা বিষয়ের গভীরে যেতে নয়।
ব্যতিক্রম আঙুলে গোনা যায়।
6. যদি এমন নিয়ম করা যায় যে কেউ নিজের ক্লাসের ছাত্রদের টিউশন নিতে পারবেন না, তাহলে কি সামান্য ফারাক হতে পারে?