এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • মেটা এবং ফেসবুক -- কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কেউটে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ অক্টোবর ২০২২ | ৩২৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৬ (৫ জন)
  • ফেসবুকের মাতৃপ্রতিম কোম্পানি মেটাকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঝড় উঠেছে, কিন্তু ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে তার চিহ্নমাত্র নেই। সংক্ষেপে ব্যাপারটা এইঃ ওয়্যার (thewire.in) নামক একটি ভারতীয়  ইংরিজি ভাষার সাইট, অক্টোবরের ১০ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে, ছোট্টো করে বললে, বলা হয়েছে, যে, মেটাকীর্ণ সামাজিক মাধ্যম, অর্থাৎ কিনা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে, সব্বাই সমান, কিন্তু কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বাকিদের চেয়ে একটু বেশিই সমান। বাকিরা যা লিখতে পারেনা, তাঁরা তা পারেন। তাঁদের যা পছন্দ নয়, তেমন লেখা মর্জিমতো উড়িয়ে দিতে পারেন। ২০২০ সালে দুনিয়া জুড়ে এরকম প্রচুর ব্যবহারকারী ছিলেন (ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী), ওয়্যারের দাবী অনুযায়ী, এখনও অন্তত একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। যে-সে ব্যক্তি নন, বিজেপির সর্বভারতীয় আইটিসেলের প্রধান শ্রী শ্রী অমিত মালব্য। 
    এটা জানা গেল কীকরে? কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে। গত কয়েকদিন আগে, ইনস্টাগ্রামে, যোগি আদিত্যরাজের মূর্তিকে পুজো করা হচ্ছে, এরকম একটা ছবি ব্যঙ্গাত্মকভাবে ছাড়েন  @cringearchivist নামক এক ব্যবহারকারী। প্রকাশ করার দু মিনিটের মধ্যে সেটাকে সরিয়ে দেয় ইনস্টাগ্রাম। বলা হয়, নগ্নতা, যৌনতা ইত্যাদি কারণে। বলাবাহুল্য তেমন কিছু আদৌ ছিলনা ওই ছবিতে। 
    কেন সরানো হল, এইটা খুঁড়তে গিয়েই বেরিয়ে আসে কেউটে। ওয়্যারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেখাটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন, অমিত মালব্য স্বয়ং। এবং সেই কারণেই, মেটা, আর কিছু না দেখেই, ছবিসহ লেখাটিকে সরিয়ে দেয়। এটিই একটিমাত্র ঘটনা নয়, ওয়্যার জানাচ্ছে, যে, কেবল সেপ্টেম্বর মাসেই, মালব্য একাই ৭০৫ খানা লেখা রিপোর্ট করেন। সব কটাকেই অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
    কীসের জোরে মালব্য এগুলো করতে পারেন? কারণ, তিনি, একজন 'বিশেষ ব্যবহারকারী', বা তথাকথিত XCheck ব্যবহারকারী।  ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ইতিপূর্বেই জানিয়েছিল, যে, এই ব্যবহারকারীরা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী। তাঁরা 'সাদা তালিকাভুক্ত'। অতএব যা খুশি লিখতে পারেন, নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে। এবং, দেখাই যাচ্ছে, তাঁরা অবলীলায় অন্যের লেখাও উড়িয়ে দিতে পারেন। ওয়্যারের দাবী এরকমই। 
    শুধু দাবী হলে, সেও একরকম হত। ওয়্যার হাতেকলম সাক্ষ্যও পেশ করে এই ব্যাপারে। তারা ইনস্টাগ্রামের ভিতরের রিপোর্ট জোগাড় করেছে বলে জানায় প্রতিবেদনে। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এই বিশেষ লেখাটির ক্ষেত্রে, অমিত মালব্য রিপোর্ট করেছিলেন। এবং তিনি XCheck  অধিকার প্রাপ্ত বলে সেটাকে কোনো সরেজমিন দেখাশুনো ছাড়াই অবলীলায় উড়িয়ে দেওয়া হয়। ওয়্যারের সাইট থেকে সেটা ভিতরের রিপোর্টের প্রতিলিপি এখানে দেওয়া হলঃ

    "
    1663587735000 - Reported by user: {pk: 30038280187, is verified: true, has check: true}
    1663587780000 - Skipped auto-moderation. Reason: Reporting user has XCheck privileges
    1663587792000 - Flagged under Nudity or sexual activity - Sharing private images
    1663587851000 - Review not required. Reason: Reporting user has XCheck privileges
    1663587876000 - Review denied. Notify user @cringearchivist
    1663587901000 - Report accepted. Notify user @amitmalviya


    এই বিস্ফোরক প্রতিবেদনের পর, আন্তর্জাতিক মহলে নাড়াচাড়া পড়ে যায়। যা হওয়াই স্বাভাবিক। মেটার 'নীতি সংযোগ অধিকর্তা' অ্যান্ডি স্টোন আসরে নামেন। তিনি তাইই বলেন, যা এতদিন ধরে মেটা বহুলক্ষ বা বহুকোটি ব্যবহারকারীকে জানিয়ে এসেছে। অর্থাৎ, এইসব 'বিশেষ ব্যবহারকারী' বলে কিছু হয়না। সবই যন্ত্রের কারবার। স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্তটাই করা হয়েছে। এবং এই ব্যাপারে যে দলিল ওয়্যার দেখিয়েছে, তা জাল। 

    https://twitter.com/andymstone/status/1579645448276840448?s=20&t=S-Kh3UM-bDvrsFIM41MFFA

    মজা হয় এর পর। ওয়্যার এর জবাবে গত কাল, আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে, সরাসরি স্টোনের একটি মেলই প্রকাশ করে দেওয়া হয়। ওয়্যারের দাবী অনুযায়ী, মেলটা মেটার  আভ্যন্তরীন এবং উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছিল। তাতে তিনি খুব আহত হয়ে প্রশ্ন করেছেন, যে, ভিতরের দলিল ফাঁস হল কীকরে? এবং দলিলের লিংকও দেওয়া আছে, যা, ওয়্যারের প্রতিবেদনের লিংক।

    এই মেলের সত্যতা  যাচাইয়ের জন্য ওয়্যার যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেটাও তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে। ক্লিক করে দেখে নিতে পারেনঃ https://thewire.in/tech/meta-andy-stone-email-xcheck?wvideo=l6arnmphh4 
    তৃতীয় পক্ষের বিশেষজ্ঞদের দিয়েও ব্যাপারটা যাচাই করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। 
    ওয়্যারের দাবী যথার্থ হলে, ব্যাপারটা কী ভীষণ বিপজ্জনক, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে মেটা, সম্ভবত ৯০% ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে গেছে। এবং নিজেদের এরা বাকস্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়ের ধর্মযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে, যে মতাদর্শে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে প্রভাবিত করতেও সক্ষম হয়েছে। যেমন, ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম থেকে। কিন্তু  এখন, এতদিনের সন্দেহের পর, যদি, সত্যিই দেখা যায়, কিছু লোক, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই অতিরিক্ত এবং অপার ক্ষমতা পেয়ে চলেছেন, তাহলে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে, এবং বাকিদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত, আর সমস্ত একনায়কের মতো। ইতিপূর্বের সব একনায়কদের সঙ্গে এদের একটাই তফাত, তা হল, এদের হাতে আছে বিপুল ক্ষমতা, যা রোম থেকে চিলে পর্যন্ত, আজ পর্যন্ত কোনো একনায়ক অর্জন করতে পারেননি। 

    ওয়্যারের দাবীর পরে, ফেসবুকের জবাব অবশ্য এখনও আসেনি। দেখা যাক, তারা কী উত্তর দেয়। 
    -- 
    পুঃ এই লেখার সবটুকুই ওয়্যারের নানা সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে নেওয়া। ছবিগুলিও। যদি পড়তে চান, তো সর্বশেষ প্রতিবেদনটি এখানে পাবেনঃ  https://thewire.in/tech/meta-andy-stone-email-xcheck    । অন্যগুলির লিংক এই লেখার ভিতরেই পাওয়া যাবে। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৬ অক্টোবর ২০২২ | ৩২৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:3604:9ba0:c8bf:afbb:9fd:***:*** | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৯:০৬512884
  • এই স্টোরিটা বেশ ইন্টারেস্টিং, প্রথম থেকেই ফলো করছি। অ্যান্ডি স্টোনের ইন্টার্নাল ইমেল বলে যেটা ওয়্যার পাবলিশ করেছে, সেটা আমার অল্প একটু ফেক মনে হয়েছে, মানে কেমন যেন একটা হাইপারবোলের গন্ধ আছে। তবে এটা ডেভেলপিং স্টোরি, দেখা যাক আগে কি হয়। 
     
    ইন জেনারাল, এই যে মাঝে মাঝে ফেবু/মেটা, গুগল/অ্যালাফাবেট, আপেল ইত্যাদিদের নিয়ে একটা করে হৈচৈ হয়, এটা আমার বেশ অবাক লাগে। গত কুড়ি বছর ধরে গুগল, আপেল, আর ফেবু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সমস্ত ইউজারের ডেটা সংগ্রহ করে চলেছে আর সেই ডেটা বিভিন্ন ইন্টারেস্ট গ্রুপের কাছে বিক্রি করছে বা সাপ্লাই দিচ্ছে। আমি রাতে কখন ঘুমাতে যাই, আমার ঘুম কেমন হয়, সকালে কখন উঠি, ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারে কি খাই, সারাদিন কি খাই, কি করি, কি পরি, কাদের সাথে কথা বলি, কি পড়ি, কি কিনি, কোথায় যাই, ইত্যাদি সমস্ত তথ্য ওরা জানে, ওদের মাধ্যমে এনএসএ জানে, বিভিন্ন কোম্পানি জানে, নানা দেশের সরকারী এজেন্সিগুলো জানে। আমি কি চিন্তা করি আর কেন করি, কোন বিষয়ে আমার কি মত হতে পারে, সেটা আমার থেকে বেশী ভালো জানে সরকার আর নানান কোম্পানি। আর শুধু ইন্ডিয়ার না, বিভিন্ন দেশের সরকারের সুপার প্রিভিলেজ আছে যা দিয়ে সাধারন ইউজারদের নানাভাবে ইনফ্লুয়েন্স করা হয়। এ সবই খুব পাবলিকলি অ্যাভেইলেবল তথ্য। কাজেই ওয়্যারের এই রিপোর্ট নতুন কিছু তো না, অনেক দিন ধরেই এগুলো জানা। 
  • santosh banerjee | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:১১512895
  • অমিত মালব্য বর্তমান সরকারের গুপ্তচর সংস্থা IT Cell এর মুখিয়া। অনেক ভাবেই এরা দেশের প্রতিটি মানুষ আর তাদের ‌‌‌বৃত্তান্ত জেনে তার ফিডব্যাক ঐ ফ্যাসিসট দানব দের পরিবেশন করে। এটা বহু আগেই হয়ে চলেছে , এখন আরো জোরদার হয়েছে। চেতনা গ্রুপের "মারীচ সংবাদ" নাটকের ""CIA'র গান" শুনুন, সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আগে FBI, KGB, CIA ছিল, এখন I T Cell !! এরা এই বর্বর সরকার এগুলো করবেই। সঙ্গে যোগ দেবে এসব বিদেশি কোম্পানি , এতো জানা কথা। 
  • guru | 103.2.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪০512904
  • ভীষণ প্রাসঙ্গিক ব্যাপার | লেখককে ধন্যবাদ এটি তুলে ধরার জন্য |
  • dc | 2401:4900:1cd0:7da0:fd9c:5d25:fe4c:***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৭512943
  • আপডেটঃ ডেটস্ট্যাম্প নিয়ে একটা কনট্রোভার্সি চলছে। দুয়েকজন বলছেন ২০২১ এর জায়গায় ২০২২ দেখাচ্ছে, আর ওয়্যার বলছে ওটা ও এস ইনস্টল করতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। তাতে আবার ওরা বলছে ইয়ারে গন্ডগোল হলে তো দিনেও গন্ডগোল দেখাবে, কিন্তু দিনটা তো ২০২২ এর দিন! তাহলে কি ফোটোশপ? 
     
    তবে এতো সবের মধ্যে অরিজিনাল যে পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছিল সেটি এখনও ডিলিটেডই আছে। আর কিছু কিছু ব্যক্তি বা পার্টি বা অর্গানাইজেশান যে অন্যদের চেয়ে বেশী সমান, সেই ফ্যাক্টটা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন ওঠেনি। 
  • dc | 2401:4900:1cd0:7da0:fd9c:5d25:fe4c:***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৫২512950
  • এখানে একটা সামারি পাওয়া যাবেঃ 
     
     
    এই আর্টিকেল থেকে দুইটা কথাঃ 
    the more important point, to us, is that the mail simply doesn’t sound like anything Stone has ever said to us in years of conversations and email.
    “Contact the reporter and gather more information about the document, post which I will tweet about it,” the email reads, sounding nothing like the real Stone, and arguably not like anyone who grew up in New England, as he did.
     
    ওয়্যারের রিপোর্ট পড়ে আমারও ঠিক এটাই মনে হয়েছিল - লেখাটা একটু কাঁচা। 
     
    আরঃ 
     
    Since the early days of the COVID-19 pandemic, the country has been ordering Meta and others to remove hundreds of posts critical of the government — and is doing so in the open, without the benefit of any secret Xcheck program. Twitter sued the country in July amid mounting requests to remove posts that appear to go beyond the government’s legal authority.
    It would be a tragedy if, in an effort to prove something that was already obviously true, someone felt compelled to offer a lie in support of it. 
     
    ঠিক এটাই আমার কথা। মেটা, আপেল, অ্যালফাবেট ইত্যাদিরা অলরেডি সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে, এটা জানা কথা। যেমন জানা কথা, ইন্ডিয়ায় যেসব ভিপিএন ব্যবহার তাদের সবাইকে সরকার বলে দিয়েছে প্যাকেট ইন্সপেক্ট করতে দিতে হবে (এই আদেশের প্রতিবাদে একটিমাত্র ভিপিএন কোম্পানি বলেছে ইন্ডিয়ার থেকে তাদের সার্ভার সরিয়ে নেবে)। 
     
    মানে ব্যাপারটা হলো, রামসফেল্ডের কথায়, নোন নোন। 
     
  • উলটপুরান  | 185.227.***.*** | ১৮ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪৮512966
  • In light of the concerns and doubts raised about our coverage of Meta, we are setting up an internal review of all documents, information, source material and sources used for these stories.
     
    https://thewire.in/media/the-wire-intends-to-review-its-reporting-on-meta
  • dc | 2401:4900:1cd0:7da0:d46b:56bb:513d:***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৩৬512970
  • হ্যাঁ এটাও দেখেছি। কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে মনে হয়, থিংস আর নট অ্যাডিং আপ। আশা করি ওয়্যার নিজেদের দাবী ঠিকমতো এস্ট্যাব্লিশ করতে পারবে, আশা করি অ্যান্ডি স্টোনের কমিউনিকেশানটা হোক্স না (যদিও এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে)। সবথেকে বড়ো কথা, মেটা, আপেল ইত্যাদিরা আমাদের সবাইকে চব্বিশ ঘন্টা সার্ভেইল করে, এই ফ্যাক্টটা এতো সবের মধ্যে গুলিয়ে না যায়। 
  • dc | 2401:4900:1f2a:207f:fdc0:2f18:9ec0:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০৯:১৯513459
  • এই টইটায় আপডেট দেবো বলে এসেছিলাম। অ্যাদ্দিনে সবাই জেনে গেছে যে ওয়্যারের আর্টিকেলটা ভুল ছিল। শুধু মেটা না, ওয়্যার টেক ফগের আর্টিকেলও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এখন ওয়্যারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাদের রিপোর্টার দেবেশ কুমার নাকি তাদের সাথে প্রতারনা করেছিল আর ভুলভাল তথ্য দিয়েছিল, যার জন্য ওয়্যার দেবেশ কুমারের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআরও করেছে। এতো সব সত্ত্বেও কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। ইন্ডিয়া টুডের এই আর্টিকেলটা পড়ে সেই প্রশ্নগুলো আবারও মনে এলোঃ 
     
     
    Who takes responsibility for the story?
     
    Anyone can make mistakes, but where does the buck stop? In its statement on their website, The Wire claims that they were deceived by a member of their Meta investigation team. So there was a team, which would presumably be subject to editorial standards and oversight. Especially before putting out such a fantastic claim about the world’s largest social media platform and the world’s largest political party.
     
    In fact, there are at least three reasons why the senior editorial staff at The Wire cannot possibly disavow responsibility for the story now. First, on Oct 11 when The Wire was still defending its story, their article claiming to have more ‘evidence’ against Meta was bylined by one of the founding editors, as well as a deputy editor.
    Second, founding editor Siddharth Varadarajan has repeatedly taken to Twitter to insist that their story “came from multiple Meta sources – whom we know, have met and verified.” And finally, in an interview published by the Platformer on Oct 19, when Varadarajan is asked about Devesh’s credibility, given that concerns have been raised about his reporting on Tek Fog as well, Varadarajan answers, “I don’t think we should make this about Devesh, frankly. This should be equally about me, I was hands on involved in the story.” How can Devesh now be blamed for everything?
     
    কথা হলো, ওয়্যারের সিনিয়র এডিটররা নিজেদের নাম দিয়ে আর্টিকেলগুলো ছাপিয়েছে, টুইট করেছে, ইন্টারভিউ দিয়েছে। তাহলে এখন দেবেশ কুমারের ওপর পুরো দায় চাপিয়ে দিয়ে কি নিজেরা বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব? তাহলে অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যাপারটার কি হলো?  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন