লেখক বুদ্ধদেব গুহ। কিছু স্মৃতি। কিছু উচ্চারণ ... ...
সৈয়দ হাসান ইমাম। এক উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। দুই বাংলার মিলনের দূত। ... ...
কয়েক দিন ধরে মনে হচ্ছে যে বাড়ি গুলোতে জীবনের দিন সব কাটিয়ে এলাম শেষ বেলায় তাদের কথা একটু লিখে যাই। যাই বলছি বটে যাওয়ার নাম গন্ধ নেই। জাঁকিয়ে বসেছি মাটি মায়ের কোল আঁকড়ে। লিখতে অসুবিধা হয়। আস্তে আস্তে লিখবো খণ্ড খণ্ড। সেভ করতে গিয়ে লেখা হারিয়ে ফেলি। অনেকের জীবন এক বাড়িতে কেটে যায়। আমাদের তা হয়নি। ছোটবেলা থেকে কতো বাড়িতে থাকলাম। যেটুকু মনে আছে লিখতে থাকি। সুখে জড়ানো না হোক স্বস্তি শান্তি তো ছিল। মা বাবা ভাইবোন, দুএকজন সহায়ক, গৃহপালিত নিয়ে মধবিত্ত পরিবার। হাসি খুশি মোটামুটি খেয়ে মেখে মন্দ কাটেনি বলতে পারি। যাঁরা পড়বেন জেনে বুঝেই অপ্রয়োজনের আনন্দে পড়বেন। ... ...
মহম্মদগঞ্জ। পালামৌ জেলার একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামেই স্টেশনের নাম। রেল লাইনের একদিকে গ্রাম আর অন্য দিকে জঙ্গল আর পাহাড়। স্টেশনের পাশেই রেল কমর্চারীদের কোয়ার্টার। তার পিছনদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্রামের ঘরবাড়ি। অধিকাংশই মাটির। গ্রামের শেষে বয়ে চলেছে কোয়েল নদী। দূরের পাহাড় থেকে নেমে আসা দুটি ঝর্ণা গ্রামের দুপাশ দিয়ে বয়ে কোয়েলে গিয়ে মিশেছে। রেল লাইন পার হয়ে কাছের পাহাড়টার ... ...
স্মৃতির সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে চলে গেলাম সেই শৈশবের কোন এক ঈদে, আব্বা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, মামারা ইতোমধ্যে ঈদের শার্ট, প্যান্ট কিনে দিয়েছেন, খালা কিনে দিয়েছেন জুতো, কিন্তু এরপরও আমি কাঁদো কাঁদো, আমার যে অন্য সবার মত দুই সেট জামা চাই, সকাল ও বিকালে বদলে পরার জন্য। ... ...
৬০২ শব্দের এই খাজা ভাবনাটি লিপিবদ্ধ করেছিলাম ডিজিটাল ডায়েরিতে - চার বছর আগে - ১৮.০২.২১ - মনিপালে থাকতে। আজ ভাটের পাতায় চোখ বুলোতে গিয়ে kk - &/ - dc লিখিত তিনটি মন্তব্যে চোখ পড়লো। তার মধ্যে কেকের মন্তব্যের শেষটা বেশ বিমূর্ত - কিছু অনুক্ত অনুভবের আভাসমাত্র রয়েছে তাতে। ঐ তিনটি ভাট মন্তব্যের অনুরণন হিসেবে হপার পাতায় থাকলো অতীতের ডিজিটাল ডায়েরির পাতাটি ... ...
ব্যক্তির জীবনে তিনটি দশক বড় কম সময় নয়। এই দীর্ঘ সময়ে ঘরে বাইরে তার নিজস্ব পরিসরে অনেক কিছু বদলায়। পুরানো গাড়ি বাতিল হয়, নতুন গৃহে প্রবেশ হয়, পুরানো সম্পর্কে শ্যাওলা ধরে, নতুন অহং পুষ্ট হয়, পুরানো স্মৃতি ধূসর হয়, নতুন মানে খুঁজতে হয়। এমন নানা পরিবর্তনের প্রভাবে কখনো জীবনের কিছু সরল সমীকরণ ক্রমশ বিবর্তিত হয় জটিল অসমীকরণে। এসবের মাঝে তিন দশক ধরে একটি সামান্য টি-শার্ট কিভাবে এহেন সার্ভিস দিয়ে যায় ভেবে অবাক লাগে ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
ম্যাডান স্ট্রীট নামের উৎস সন্ধানের অলস কৌতূহল মেটাতে গিয়ে ক্ষণিকের আলাপ হোলো অমায়িক গুলনার ম্যামের সাথে …. ফাউ হিসেবে জানা গেল কিছু কথা ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
১৪ই জানুয়ারি যখন ডাক্তারবাবু মায়ের ব্যপারে আমাদের বলে দিলেন “ইট ইজ নাউ ম্যাটার অফ টাইম”... তারপর মোবাইলের পাতায় এগুলো লেখা হয়েছিল। এর সম্পাদনা হওয়ার নয়। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
বর্ষশেষে গুরুর সবাইকে নতুন বছরের অগ্ৰিম শুভেচ্ছার সাথে রইলো ৩৮ বছর আগের কিছু স্মৃতিকণা ... ...
যৌবনে নারীর শীতল প্রত্যাখানে অপমানিত পৌরুষ হয়ে যেতে পারে কর্কশ, বিপথগামী। সবল পুরুষের হবে সংযমী হৃদয়, তাতে অযথা উঠবে না ভাবাবেগের তরঙ্গ, উঠলেও তার পাথরপ্রথিম মুখচ্ছবিতে ফুটবে না অন্তর্লীন বেদনার সামান্য আঁকিবুঁকি, একান্তে ক্ষণিক ক্রন্দনও সর্বৈব নৈব নৈব চ। এই হচ্ছে সমাজে পুরুষের প্রচলিত ম্যানলি ইমেজ। অজান্তেই এই ইমেজ অনুশীলনে রত অধিকাংশ মেল শভিনিস্ট। যারা এ ছকে পড়ে না, নারীর মধুর আন্তরিক সঙ্গ তাদের মননকে করতে পারে গভীর সংবেদনশীলতায় সমৃদ্ধ। সুমনের কাছে কেতকীর সাহচর্য ছিল সেরকম। গন্তব্য নয়, যতদিন সম্ভব সখ্যতার সহযাত্রাই ছিল সুমনের কাছে অতীব আনন্দময়। ... ...
খুব স্পষ্ট না হলেও কাঁটাকলের অর্থনীতি বিভাগে আমরা ছিলাম দুটো দলে বিভক্ত – একদিকে আমার মতন পাতি বাংলা স্কুল, অনামধন্য কলেজ থেকে আসা বৃহৎ ছাত্র সমষ্টি , অন্যদিকে ইন্দ্রজিৎ দেবের মতন কয়েকজন ক্যালকাটা বয়েজ স্কুল, সেন্ট জেভিয়ারস , প্রেসিডেন্সি কলেজের, আলাদা পেডিগ্রির কিছু উজ্জ্বল তারকা; তারা নিজেদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলে, জুতো পরে ক্লাসে আসে । সিঁথি বরানগরের বিদ্যেয় ইংরেজি বাক্য আমার মুখ থেকে বেরোয় না। কুণ্ঠিত ভীত সন্ত্রস্ত মনে তাদের দূর থেকে দেখি। হাঁদুর জন্যে ঠনঠনের বাড়ি থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার আসতো প্রতিদিন সাড়ে বারোটা একটার মধ্যে । ব্রাঞ্চে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই হাঁদু জিজ্ঞেস করেছিল ‘ হ্যাঁরে দুপুরে কি খাবি ? ‘ আমার মায়ের পক্ষে সে রকম কোন ব্যবস্থা করা কঠিন ছিল । জানালাম রাস্তায় কিছু একটা খেয়ে নেবো। পরের দিন হাঁদু বললে ‘ আয় আমার সঙ্গে বসে খাবি । মা বলে দিয়েছে আজ থেকে তোর জন্যেও খাবার আসবে রোজ ‘। হাঁদুর কাছে এটা দুপুরের খাবার , ‘লাঞ্চ ‘ নয় ! হাঁদু আর তনুশ্রী পুরী যাবে দু সপ্তাহের ছুটিতে। শুক্রবার অফিসে এসেই বললে ‘ যাক বাবা, দু সপ্তাহ এস পি সেনের মুখ দেখতে হবে না ‘ । তার পরেই চিন্তায় পড়ে গেল “ আরে, তোর খাওয়ার কি হবে ?’ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বললাম ‘হাঁদু, ওটা আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেব ‘ । বিকেল বেলা হাঁদু বললে, ‘ শোন, মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে , সোমবার থেকে তোর জন্যে খাবার আসবে , বুঝলি ? ‘ যে টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে আসে সে বসে থাকবে তোর খাওয়া হয়ে গেলে বাড়ি নিয়ে যাবে এমন মানুষও হয় ? ... ...