এই মিছিলের নাম, ‘India March for Science’। কেন এই মিছিল? এ বছর নতুন নয়। ২০১৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞানসমাজ তাঁদের দেশের সরকারকে বারংবার অনুরোধ করছিল, যেন অবৈজ্ঞানিক চিন্তা, কুসংস্কার, ইত্যাদির, সরকারি খরচে প্রসার রদ করা হয় এবং বিজ্ঞানমনস্কতার চর্চা করা হয়। সরকারি নীতি – তা সে পরিবেশ বিষয়কই হোক, বা স্বাস্থ্যসম্পর্কিত, যেন বিজ্ঞান-অনুসারী ও কল্যাণকামী হয়। ভারতের বিজ্ঞানকুলও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এঁদের দাবি ছিল, বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার ও প্রচার, সংবিধানের 51(A) ধারা অনুযায়ীই, আমাদের কর্তব্য। এই সব দাবি নিয়ে এবং বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান-আন্দোলনের সমর্থনে ভারতও হাঁটতে থাকে প্রতি বছর, ২০১৭ থেকে ২০১৯। ... ...
গত ২৬ শে জুলাই থেকে SSKM হসপিটালের নার্সিং স্কুলের সামনে নার্সেস ইউনিটির নেতৃত্বে সারা রাজ্যের নার্সদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই আন্দোলনের কারণ কি? অনেকের মুখেই প্রচারিত হচ্ছে, এটা নার্সদের মাইনে বাড়ানোর দাবি। কিন্তু, এটা ভুল। আসল কারণ কি তবে? ... ...
প্রথম কথা লকডাউন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এই রাজ্যের একটা বড় জনভারের অংশ ইতিমধ্যেই গত লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর রাজ্যের উপর দিয়ে গেছে আম্ফানের মতন বড় দুর্বিপাক। গ্রামে-গঞ্জে দিকে দিকে কোভিড ছড়িয়ে পড়েও রুটি-রুজি মার খেয়েছে অনেকের। তার উপর এই আচমকা একদিনের নোটিসে লকডাউন। পেটের ভাত জুটবে তো সকলের? উপোষী পেটে কোভিড সংক্রমণ কিন্তু প্রায়-নিশ্চিত মৃত্যুর প্রেসক্রিপশন। কেন “দুয়ারে রেশন” এর মত সুবিধার কথা ভাববে না সরকার? আর শুধু তো রেশন নয়, বেঁচে থাকতে লাগে আরও কিছু জিনিস। যেসব মানুষ লকডাউনের চক্করে সাময়িক জীবিকাহারা হলেন বা আগেই জীবিকা হারিয়ে অসহায় বিপন্নতার দরজায়, সেই অজস্র অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত / একদা-জড়িত মানুষদের জন্য কেন সরাসরি সাময়িক আর্থিক ভাতা দেওয়া হবে না? এবং কেন নিশ্চিত করা হবে না যে সেই অর্থ বিপন্ন মানুষ পাবেন ‘দাদা’ না ধরে, কাউকে তার থেকে ভাগ না দিয়ে? ... ...
এই অভিযোগের স্তূপের মধ্যেই নতুন করে কাল ভাইরাল হয়েছে একটি বিস্ফোরক ভিডিও। আলাদা করে তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু নানা সংবাদমাধ্যম ইতিমধ্যেই সেটি প্রকাশ করে চলেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে উত্তেজিত জনতার জমায়েত, গুলির আওয়াজ, আর্তচিৎকার এবং রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে। এখনও পর্যন্ত এর সত্যতা কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি। ভিডিওটি যদি সত্যি হয়, তো কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার কোনো চিহ্ন সেখানে দেখা যাচ্ছেনা। শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। তা একতরফা। কাঁদানে গ্যাস বা লাঠি চালনার কোনো চিহ্ন নেই। সামান্য বা একেবারেই বিনা প্ররোচনায় গুলি করে মারা হয়েছে সাধারণ ভোটারদের। ... ...
নওদীপ কৌর-এর বিষয়ে নতুন করে বলবার অপেক্ষা রাখে না। গত জানুয়ারি মাসে দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্টজন থেকে সাধারণ মানুষ গ্রেফতারের বিরোধিতা করেন। দেড় মাস বন্দি থাকার পর ছাড়া পান নওদীপ। তিনি গান পরিবেশনের পাশাপাশি সাহিত্য উৎসবের আলোচনাতেও যোগ দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘এক গুচ্ছ বুলেটপ্রুফ কবিতা’। ... ...
শুভেন্দুর মূল তাস, যা বোঝা গেল দুইটি। এক, নন্দীগ্রামে মমতা বহিরাগত। দুই, সাম্প্রদায়িক বিভাজন। এই এলাকায় গত বছর দশেক ধরে আরএসএস-এর নানা সংগঠন তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে একটা 'মুসলিম আগ্রাসন' সংক্রান্ত টেনশন এমনিতেই আছে। শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক সব সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বক্তৃতা সেই আগুনকে আরও উস্কে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের জনবিন্যাসের অঙ্কে চোখ বোলালে দেখা যাচ্ছে ওখানে ৩০/৩৪ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে বলে যে আলোচনা চলছে তা একটু বাড়াবাড়ি। নন্দীগ্রাম বিধানসভা গঠিত নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী এই দুই ব্লক মিলিয়ে মোট ৩৩১,০৫৪ জনসংখ্যার ২৪৪,৬৬৭ জন, অর্থাৎ ৭৩.৯৬% হিন্দু, এর মধ্যে ৫৪,৫০৩ (১৬.৪৬%) জন তপসিলি জাতি ভুক্ত। আর মুসলিম জনসংখ্যা ৮৫,৬৯৬, বা ২৫.৮৮%। ... ...
৫০০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'সংযুক্ত কিষাণ মঞ্চ'-এর নেতৃত্ব বাংলার নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলায় বিজেপি-কে একটিও ভোট না দেওয়ার আবেদন করছেন, তাঁরা বলছেন এই ভোটে বিজেপি-কে উচিৎ শিক্ষা দিন। সিঙ্গুরে অনুষ্ঠিত কৃষকদের এই মহাপঞ্চায়েতের সভা পরিচালনা করেন পশ্চিমবঙ্গ কৃষি কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক তেজেন্দ্র সিং বল। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির কর্মী-সমর্থকেরা। ... ...
কৃষক নেতারা স্পষ্টভবে জানান, কোনও নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে কোথাও যাচ্ছেন না তাঁরা। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কতটা কৃষক আন্দোলন নিয়ে ৫০০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা'র অনেকেরই মতপার্থক্য থাকতে পারে। অনেকে অনেক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, কিন্তু এই আন্দোলনগুলিতে ঐতিহাসিক ভাবে কৃষকরাই অংশ নিয়েছিলেন এবং প্রাণ দিয়েছেন। তাই 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা' বাংলার এই অঞ্চলের কৃষকদের কাছে যাবে। ... ...
"সারা বাংলা জুড়ে যেভাবে ফ্যাসিস্ত আগ্রাসন শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আমাদের এই লড়াই। আগামী দিনে এই আন্দোলনকে আমরা কলকাতার বাইরে অন্যান্য জেলা ও গ্রামে পৌঁছে দিতে চাইছি প্রবলভাবে। এই দুঃসময়ে আমরা গুটিকয়েক সাংস্কৃতিক কর্মী ফ্যাসিবাদী হামলাকে প্রতিহত করতে পথে নেমেছি।" ... ...
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা ভাষা রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা, আসন্ন নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া গ্রহণসহ বাংলার সংস্কৃতিকে যেভাবে বিষাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে শহর কলকাতার বুকে এক মিছিলের আহ্বান জানানো হয়েছে মঞ্চের তরফ থেকে। ... ...
সাদা চোখে তথ্য হিসেবে যেটুকু এখনও দেখা যাচ্ছে, বাংলায় যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তার উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের জন্য। ... ...
সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওয়ার পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি আইটিও-র কাছে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে সরকারি বয়ানের বিপ্রতীপ এক বয়ান প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে, মৃত কৃষকের পরিবারের লোকজনের বয়ান উদ্ধৃত করা হয়, যাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহের শরীরে বুলেটের চিহ্ন রয়েছে। ... ...
সিংঘু সীমান্তে কী চলছে আজ, এখন? অকুস্থল থেকে জানাচ্ছেন ছন্দক চ্যাটার্জি। ... ...
যদিও একেবারে মধ্যখানে অটুট জাতীয় পতাকার উড়ান, আর হাজার হাজার হাতে উড়ছে অগুন্তি জাতীয় পতাকা, তবুও পুলিশ লালকেল্লার ঝান্ডা নামাতে আবার তৎপর হল। কিন্তু পতাকাদণ্ডে চড়া কি অতো সহজ ! আদর্শ আর মরণপণ প্রতিজ্ঞা যা পারে, বেতনভুক তা অতো সহজে পারে না। সে চেষ্টায় তাই জলাঞ্জলি দেওয়া হল অল্প সময়েই, আবার সাহায্য এসে পৌঁছবে এ-ই আশায়। ... ...
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। ফিরতে হবে এবার। এই আন্দোলন কোনও ভাবেই যে কুলাকের আন্দোলন, বা শিখেদের আন্দোলন নয়, তা এতক্ষণে নিশ্চিত জেনেছি। দেখেছি বিপুল সংখ্যায় ক্ষেত-মজদুররা এসে পৌছেছেন এই আন্দোলনে। কৃষক-ক্ষেতমজদুরদের সমর্থনে এগিয়ে আসছেন দিল্লির আশে পাশে থাকা শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকেরা। এছাড়াও এঁদের পাশে রয়েছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানার গোটা সমাজ, যাঁদের অকুণ্ঠ সমর্থন ছাড়া এই আন্দোলন চালানো সম্ভব নয়। ... ...
বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের রাজ্য সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেছেন, “কৃষকদের জন্য আইন হলেও কৃষকেরা এই আইন চাইছেন না, এরপরেও কেন বিজেপি সরকার এই আইন প্রত্যাহার করছে না স্পষ্ট, কারণ আইন বানানো হয়েছে আম্বানি-আদানিদের জন্য। এই লড়াই শুধুমাত্র কৃষকদের না, সাধারণ মানুষেরও। কারণ এই আইনের জেরে কৃষকের পাশাপাশি আম-জনতা বিপুলভাবে আক্রান্ত হবেন।” ... ...
বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত মাথায় রেখে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলগুলি এই ধর্নামঞ্চের দিকে যে লক্ষ্য রাখছে সে কথা নিশ্চিত করে বলা যায়। সংগঠকদের কথা মত গ্রাম ও শহরতলি থেকে ক্রমশ কৃষক ও তাঁদের সমর্থক, অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও গণআন্দোলনের কর্মীরা নিয়ত আসা-যাওয়া শুরু করলে যে মেলবন্ধন তৈরি হবে, তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ... ...
যাঁরা স্টল দিচ্ছেন, তাঁদের থেকে কোনও টাকা পয়সা দিতে হবে না। আয়োজনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত ক্রাউডফান্ডিংয়ের উপরেই এ ব্যাপারে নির্ভর করছেন। প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এই আয়োজনে। অতিমারীজনিত প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের জন্য স্টলগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব তো রাখা হচ্ছেই, একইসঙ্গে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। ... ...
এই সময়টা অদ্ভুত। এমন অনেককিছু চারপাশে ঘটে চলেছে, যা হয়তো ঘটার কথা ছিল না। এমন অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়ে যাচ্ছে, যাঁদের সঙ্গে হয়তো আলাপ হত না কোনওদিন। চোখের সামনে বদলে যাচ্ছেন মানুষ। পাহাড়ের মতো বড় হয়ে যাচ্ছেন কেউ, কারও ওজন হয়ে যাচ্ছে পাখির পালকের মতো হাল্কা।রাস্তাঘাট, চেনা শহর, পরিচিত মুখ- বদলে যাচ্ছে সবকিছুই। অন্ধকার বাড়ছে। তাই প্রতীকদার মতো আকাশপ্রদীপদের পাশে পাশে থাকাটা জরুরি। ... ...
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, CSIR - ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি এবং বেলেঘাটা আইডির উদ্যোগে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির ট্রায়াল করা হচ্ছে। প্লাজমা সংগ্রহের কাজটি চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসার মানুষের বড়ো অভাব। না, এক্ষেত্রে সংক্রমণের কোনো ভয় নেই; দুর্বল হয়ে পড়ার ভয়ও নেই। যেটা নেই সেটা হলো সচেতনতা। রাজ্যে কোভিডমুক্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু প্লাজমা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন ক'জন! এতদিনে মাত্র সতেরো জন প্লাজমা দিয়েছেন। ... ...