এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • হুইলচেয়ার

    Sangrami Lahiri লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ১৩ জুলাই ২০২০ | ২১৭৪ বার পঠিত
  • সময়টা দুহাজার বারো সাল | তখন নিউইয়র্ক শহরে আমার নিত্য যাতায়াত | ডেলিপ্যাসেঞ্জারী করে অফিস করি | অন্য আরও পাঁচটা লোকের মতো আমিও ভোরের বাসে চেপে ঘুমোতে ঘুমোতে পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনাসে গিয়ে নামি | আর সেখান থেকে বেরিয়ে হন্তদন্ত হয়ে এইটথ এভিনিউ ধরে দৌড়োই আমার অফিসের দিকে | সেই পথেই তার সঙ্গে দেখা | নিউইয়র্ক শহরের অগুন্তি হোমলেসের মধ্যে একজন |
    ফর্টি ফাইভ আর ফর্টি সিক্সথ স্ট্রিটের মাঝে যেখানে আমোরিনোর বিখ্যাত জেলাতো শপ, তার পাশে ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে বসে থাকে | চেহারার কাঠামোটি ভারী সুন্দর | চওড়া কাঁধ, ছফুটের ওপর লম্বা এক মূর্তি | চট করে দেখলে হোমলেস ভাবতে কষ্ট হয় | একটু নজর করলে বোঝা যায় ওর একটা পা অবিন্যস্ত | ক্রাচ নিয়ে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় | সারাক্ষণের সঙ্গী এক হুইলচেয়ার | তার ওপর থাকে ওর গোটা সংসার | লেপ-কম্বল, জামা, জুতো, জলের বোতল |
    অফিসফেরত আমোরিনো থেকে একটা জেলাতো নিয়ে খেতে খেতে পথ হাঁটা আমার প্রিয় অভ্যাস | আমায় দেখলেই ওর চোখে ফুটতো পরিচিতের দৃষ্টি | সামনে রাখা কৌটো তে এক-দু'ডলার রেখে আসতাম | চেনা হাসিটা স্বস্তি দিতো |
    তখন অক্টোবর মাসের শেষ | ওক-মেপলের পাতায় লাল-হলুদ রঙের খেলা প্রায় সাঙ্গ | প্রতি হেমন্তের নিয়মমাফিক ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে জন্ম নিল ছোট্ট একটি নিম্নচাপ | তফাৎ শুধু এই - দুদিনের মধ্যেই ওয়েদার চ্যানেল খবর দিল সে নাকি ক্যাটেগরি ওয়ান হারিকেন হয়ে উত্তরপূর্বে ধেয়ে আসছে | নিউজার্সির উপকূলে আছড়ে পড়ার বাসনা তার | নাম পেলো সে - স্যান্ডি |
    স্যান্ডি যেদিন এসে আঘাত হানবে তার আগের দিন থেকেই আকাশের মুখ ভার | অফিস থেকে ফেরার পথে আমোরিনোর পাশে তাকে দেখলাম না | মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভাবলাম - নিশ্চয়ই কোনো শেল্টারে আছে | যাক, নিশ্চিন্দি |
    এর পর শুধুই তান্ডব | অসহায় নিউজার্সি-নিউইয়র্ক-বাসী দেখলো একশো চল্লিশ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা "ফ্রাঙ্কেনস্টর্ম" স্যান্ডি-র ধ্বংসলীলা | সে সব সামলে কিছুটা স্বাভাবিক জীবনে পৌঁছতে পৌঁছতে আরও দু'সপ্তাহ | আবার যেদিন নিউইয়র্কে অফিস যাওয়া শুরু করলাম, সবার আগে চোখ চলে গিয়েছিলো আমোরিনোর পাশের ল্যাম্পপোস্টে | কিন্তু না, সেই ছফুট কাঠামো, অবিন্যস্ত পা, হুইলচেয়ারের সংসার কোথাও নেই | আর দেখতে পাই নি তাকে | আমোরিনোর জেলাতো বিস্বাদ লেগেছিলো মুখে | আর কোনোদিন যেতে পারি নি সে দোকানে |
    তারপর কাজের চাপে কবে যেন তাকে ভুলেই গেছি | অফিসে নতুন দায়িত্বে আমায় অনেক বেশি ট্রাভেল করতে হয় | বাকি সময়টা বাড়ি থেকে কাজ করি | নিউইয়র্কের সঙ্গে যোগসূত্র ক্ষীণ হয়ে আসে |
    এক ডিসেম্বরের ছুটিতে কলকাতায় গেছি অনেক বছর পর | আদ্ধেকেরও বেশি জীবন কেটেছে যে শহরে, তার সঙ্গে নাড়ীর টান সাঙ্ঘাতিক | আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব | অল্প কয়েক দিনে তাদের সবার সঙ্গে দেখা করাই হয়ে ওঠে না | তবু এর মধ্যেই ফাঁক খুঁজে ছেলেবেলার স্কুলের বন্ধুর বাড়ীতে জলসা | টালিগঞ্জে তার ফ্ল্যাটবাড়িতে ঢুকতে যাবো, হঠাৎ দেখি রাস্তার ফুটপাথে এক ভিখারী | শতচ্ছিন্ন ময়লা কাপড়, পাশে রাখা একটা হুইলচেয়ার | বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো | আরে, সেই লোকটা না ? পরক্ষণেই মনে মনেই হাসলাম - দূর, তা কি করে হবে ! কি জানি কেন, তার হাতে কিছু বেশি করে টাকা গুঁজে দিলাম | সে বোধহয় অবাক হয়েছিল | একগাল হাসলো | কিছু বললো কি ? ততক্ষণে আমি লিফটে | ওপরে উঠতে উঠতে আমার ভাবনায় তখন প্রথম আর তৃতীয় বিশ্ব কেমন যেন মিলেমিশে একাকার ।
    সেবার কলকাতায় থাকার সময় আরো একবার গেছিলাম বন্ধুর বাড়ি | আবারো তাকে দেখেছিলাম | একই জায়গায়, একই ভাবে বসে আছে | পাশে হুইলচেয়ার | এবার আমি তৈরী হয়েই এসেছি | একটা প্যাকেট ধরালাম ওর হাতে | মুখ বাড়িয়ে প্যাকেটের ভেতরটা দেখে পরিচয়ের হাসি হাসলো | ওই হাসিটা আমার বড্ডো চেনা | মুখটা লুকিয়ে ফেললাম | প্যাকেটে ছিল একটা জামা, কিছু টাকা |
    এবছরের শুরুতে আবার গেলাম কলকাতায়, মায়ের সার্জারি হবে | সারাদিন কাটে নার্সিংহোমে, ভিজিটিং আওয়ার্স দিনে দুবার | মায়ের অপারেশন হল | বন্ধুর টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট নার্সিংহোম থেকে খুব দূরে নয় | প্রায়ই বলে ওর বাড়িতে লাঞ্চ করে যেতে | মা একটু সুস্থ হতে একদিন রওনা হলাম টালিগঞ্জের দিকে |
    কিচ্ছু বদলায় নি | সেই একই জায়গা, হুইলচেয়ার, উস্কোখুস্কো চুল, ময়লা জামা | হাতে গুঁজে দিলাম কিছু টাকা | বললাম কেন এসেছি | কেমন যেন মমতা মাখানো গলায় বললো - মা ভালো হয়ে উঠবেন, কোনো চিন্তা নেই দিদি | ওর গলায় কি ছিল জানি না, আমার মনে একটা অদ্ভুত শান্তি এলো |
    কাট টু বিশবিশ সালের বিশে মে | কলকাতায় সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডব অনেকগুলো বছর পরে আবার মনে করিয়ে দিলো হারিকেন স্যান্ডিকে | কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন | শহর জুড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ, ছিন্নভিন্ন ডালপালা, বেঁকে যাওয়া ল্যাম্পপোস্ট | করোনায় নয়, প্রকৃতির মারে মানুষ অসহায় |
    নিউজার্সিতে বসে আমাদের মাথা পাগল পাগল | বাড়ির লোকের খোঁজখবর নেই, বন্ধুরাই বা কে কেমন আছে কে জানে | ফোন কাজ করছে না, মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই | কোনোমতে হয়তো কয়েক সেকেন্ডের জন্যে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ হয় | এই করেই আস্তে আস্তে পাচ্ছি এক এক জনের খবর | ভালো আছে মা, শাশুড়ি পরিচিত দুই বাড়ির আত্মীয়স্বজন - জেনে আশ্বস্ত হচ্ছি। বন্ধুবান্ধবরাও একে একে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। একসময় টালিগঞ্জের বন্ধুকেও পেয়ে গেলাম |
    বাকিদের মতো সেও জানালো যে এমন ঝড় সে জীবনে দেখেনি।| তার বাড়ীর সামনের পার্কে বিরাট বিরাট গাছ ধরাশায়ী | পার্কের রেলিং ঘেঁষে বস্তি ঝড়ে উড়ে গেছে |
    একটু কিন্তু কিন্তু করে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা, তোর বাড়ীর বারান্দার নিচে যে লোকটা থাকতো, যার একটা হুইলচেয়ার ছিল, সে কেমন আছে রে ?
    বন্ধু অবাক - তোর মনে আছে তাকে ? আমফান আছড়ে পড়ার আগে তাকে পাড়ার ছেলেরা আমাদের বিল্ডিঙের নিচে গ্যারাজে গাড়ীর পাশে রেখে গিয়েছিলো | জল, খাবারদাবারও দিয়েছিলো | তবে তার হুইলচেয়ারটা ঢোকানো যায় নি |
    আমার দমবন্ধ হয়ে আসে - তারপর ?
    বন্ধু বললো, লোকটা ওর হুইলচেয়ারটাকে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রেখে গিয়েছিলো | কিন্তু ঝড়ের যা দাপট ছিল ! ঝড় থামতে দেখা গেল সে ল্যাম্পপোস্ট বেঁকে গিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছে | আর হুইলচেয়ারটা নেই | ঝড়ে উড়ে গিয়ে কারোর বাড়ীতে আছড়ে পড়েছে নিশ্চয়ই |
    আমার বুকে হৃৎকম্প - আর লোকটা ? কেমন আছে সে ?
    বন্ধু জানালো - লোকটা তো গ্যারাজে ছিল, তাই ঠিকই ছিল | কিন্তু সকাল হতেই বেরিয়ে এসে দেখেছে হুইলচেয়ারটা নেই ! সেই থেকে তার চোখে কেমন একটা শূন্য, অসহায় দৃষ্টি | মনে হচ্ছে ওর যেন একটা অঙ্গই খসে গেছে রে ! হয়তো কত কষ্ট করে জোগাড় করেছিল ওই হুইলচেয়ারটা | আমরা কিছু কিছু খাবার দিয়েছিলাম | কিন্তু সে খাবার পড়েই আছে, খেতে ওর যেন মন নেই |
    চোখে কি জানি কেন জল এলো | বন্ধুকে বললাম – তোকে আমি টাকা পাঠিয়ে দেব | সব একটু সামলে ঠিকঠাক হলে ওকে একটা হুইলচেয়ার কিনে দিস ভাই | আর ওকে একটু জানিয়ে দিস যে ওর হুইলচেয়ারের একটা ব্যবস্থা হবে, ও যেন মনখারাপ না করে।
    বন্ধু সীমাহীন বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করলো - তুই হুইলচেয়ার কিনে দিবি ? ওকে ? কেন রে ?
    আস্তে উত্তর দিলাম - এমনিই |
    ফোনটা রেখে দিলাম | ওপারের বন্ধুকে কি করে বোঝাবো - আমার চোখের সামনে তখন নিউইয়র্কের ফর্টি সিক্সথ স্ট্রিট আর টালিগঞ্জের কবি নবীন রোড মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে |

    ** - cafe-কলামে প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বাকিসব | ১৩ জুলাই ২০২০ | ২১৭৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উংলি - Malay Roychoudhury
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন