অনবদ্য লেখনি, ভাষার কাজ, লেখার মুন্সিয়ানায় সন্দেহ নাই।
তবে এবার কাহিনীর প্লট কী বেশ খানিকটা ফস্কে গেল ইশরাত? কতিপয় উল্লম্ফন এখানে সেখানে।
প্রথমে ভূমিহীন আতাহার হয়ে তার ফ্রক পড়া, লজেন্স হাতে কন্যা। হঠাৎ করেই স্ত্রী জামিলা ও কর্তীত পায়ের কন্যা পরী (দুই কন্যা একইজন?)। এরপর আবারও লম্ফনে ব্যাক টু ব্যাক জহির ধর্ষন, বিচারহীনতা, দারোগার গলা ধাক্কা, ফরিদউদ্দিনের দাপট, গরু চুরি ও কন্যাসহ আতাহারের ট্রেনেরনীচে ঝাঁপ। এইখানে মাঝে মাঝে গল্প কথকের কী চরিত্র (নার্স? ডাক্তর?), কেনই বা তার আগমন-গমন, উত্তম পুরুষে খাপ ছাড়া বয়ান -- ইত্যাদি খুব পাজল তৈরি করে।
কাহিনীর প্রথোমার্ধ যতটাই শিথিল, দ্বিতীয়, মধ্য ও শেষভাগ ততোটাই গতিশীল। গুরুতর সম্পাদনার পরেই এই লেখা বহন করা যায়। এই আমার মত।
উড়ুক। শুভ
বিপ্লব রহমান, অনেক ধন্যবাদ জানবেন। পাঠ আর মন্তব্যের জন্য।
এ গল্পের গল্পকথক হাওয়া। বাতাস উড়ে উড়ে আমাদের এই গল্প বলছে। বিভিন্ন স্তরে গল্পকে নিয়ে খেলা। ফ্ল্যাট ন্যারেশানে লিখি না। গতি বাড়িয়ে কমিয়ে, শব্দে, ছায়ার, গন্ধে, ইশারায়, প্রতীকে এই অচেনা পথ হাঁটতে গিয়ে পাঠক হোঁচট খেলে সেটাই স্বাভাবিক। গল্পের নির্মাণ প্রকৌশলটাই এমন। জাম্প কাট।
সতত শুভেচ্ছা! :)
ফ্ল্যাট ন্যারোশন বা জাম্প কাটে তর্ক নাই, চণ্ডালের নোক্তা কাহিনী খোলসায়।
আবারও বুঝতে ভুল হলো, বা বোঝাতে। পাঁঠার মুড়ো বা ল্যাজে কোপের স্বাধীনতা তো এর মালিকেরই। যা হোক, চলুক