এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  কাব্য

  • হরিতকী ফলের মতন - তৃতীয় কিস্তি

    শিবাংশু দে লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | কাব্য | ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ | ১২৩৪ বার পঠিত
  • ৬.

    কাগজকলম নিয়ে চুপচাপ বসে থাকা প্রয়োজন আজ ;
    প্রতিটি ব্যর্থতা ক্লান্তি কী অস্পষ্ট আত্মচিন্তা সঙ্গে নিয়ে আসে।
    সতত বিশ্বাস হয়, প্রায় সব আয়োজনই হয়ে গেছে, তবু
    কেবল নির্ভুলভাবে সম্পর্কস্থাপন করা যায়না এখনো।
    সকল ফুলের কাছে এতো মোহময় মনে যাবার পরেও
    মানুষেরা কিন্তু মাংসরন্ধনকালীন ঘ্রাণ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।
    বর্ণাবলেপন গুলি কাছে গেলে অর্থহীন অতি স্থূল বলে মনে হয়।
    অথচ আলেখ্যশ্রেণী কিছুটা দূরত্ব হেতু মনোলোভা হ'য়ে ফুটে ওঠে।....... '

    আমার বন্ধু সন্দীপ একটা কবিতার কাগজ বার করে। বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, পরের সংখ্যার জন্য অন্তত গোটা দশেক পদ্য ওর চাই। বড়ো অস্থির সময় যাচ্ছে আজ। কতোবার বসার চেষ্টা করলুম, কতো খসড়া। কতো বার   প্রথম দু ' তিনটে লাইন লেখার পরে নিরাশ ছিঁড়ে ফেলা। অথচ কতো কথা বলার বাকি থেকে যাচ্ছে, কতো চমক দেওয়া শব্দবন্ধ মাছির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে মাথার চারিধারে। কিন্তু শাদা কাগজে কালো অক্ষরে তারা ধরা দিতে চাইছে না। মাঝে মাঝে হয় এমন। সে বড়ো সুখের সময় নয়, সে বড়ো আনন্দের সময় নয়। নিজেকে বাহুল্য বোধ হতে থাকে। গানের কাছে যাই, মানুষের কাছে যাই, বইয়ের কাছে যাই, কিন্তু শব্দ বাঁধার রেশ গুলো খুঁজে পাইনা। প্রিয় কবিদের প্রচুর পদ্য বারবার পড়ি, কতো জাদুর মতো প্রতীক, তৈরি শব্দের মায়া মাথায় ঝিলিক দিয়ে পালিয়ে যায়। পদ্যের শরীরে যদি প্রাণটাই প্রতিষ্ঠা না করা গেলো তবে তার অলঙ্কার কী প্রয়োজন। মৃতদেহের মাথায় হিরের মুকুট ?

    হঠাৎ চোখে পড়ে গেলো বিনয়ের ১৪ই অক্টোবর ১৯৬০, এই কবিতাটি। ফিরে এসো চাকায় সংকলিত রয়েছে। এই কবিতাটিই যেন আমি লিখতে চাইছিলুম। কিন্তু অপচয় ছাড়া আর কিছুর নাগাল পাচ্ছিলুম না।

    '.... হে আলেখ্য, অপচয় চিরকাল পৃথিবীতে আছে ;
    এই যে অমেয় জল- মেঘে মেঘে তনুভূত জল-
    এর কতোটুকু আর ফসলের দেহে আসে বলো ?
    ফসলের ঋতুতেও অধিকাংশ শুষে নেয় মাটি।
    তবু কী আশ্চর্য, দ্যাখো, উপবিষ্ট মশা উড়ে গেলে
    তার এই উড়ে যাওয়া ঈষৎ সংগীতময় হয়। '

    পর্ণার সঙ্গে শেষ যতোবার দেখা হয়েছে, জানতে চেয়েছে, নতুন কিছু লিখতে পারলুম কি না। প্রশ্ন করেছে, গান শুনিয়েছে, কিন্তু লেখাটা আর হয়ে ওঠেনি। ওকে এই কবিতাটা এখুনি শোনাতে হবে। কিন্তু ওকে এক্ষুণি পাই কোথায়?

    ৭.

    রোববার সক্কালে গানের ক্লাস থাকে রবীন্দ্রভবনে। ঐ সময় তিনচার ঘন্টার জন্য পর্ণাকে হাইজ্যাক করা   যেতে পারে। যদিও ওর সঙ্গে দেখা করার জন্য আমার অতো অ্যাডভেন্চার করার দরকার নেই। ওকে বাড়ি থেকেই ডেকে নিতে পারি নির্দ্বিধায়। কিন্তু একটু আলোছায়া লাগে। রোদের সঙ্গে মেঘ না থাকলে বেঁচে থাকাটা কী বোরিং হয়ে যায়।
      যথারীতি জুবিলি পার্কের গেটের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকি সকাল সাড়ে আটটার সময়। বেশ ঠান্ডা পড়ে গেছে এই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। কপার ব্লু শাড়ি আর শাদা স্টোলে ঝলমল। বেঙ্গল ক্লাবের দিক থেকে তিনি হেঁটে হেঁটে আসছেন। কোনও দিকে দ্যাখেনা কেন ? এতো অন্যমনস্ক ছন্দে অনুষ্টুপ চলন। পাইপলাইন ফ্ল্যাটের দিকে বাঁকার আগেই ধরে ফেলি,
      এই যে নমস্কার...
    আরে এ এ এ, আমি তোমার কথাই ভাবছিলাম...
    সে কী তুমিও ভাবো ? ওটা তো আমার একচেটিয়া বার্ডেন বলেই জানতুম।
    দ্যাখো সকাল সকাল মেজাজটা খারাপ কোরোনাতো...
    না না, সে অধিকার আমার আছে কোথায় ?
    এখানে কী করছো ?
    এই তোমার জন্যই দাঁড়িয়ে আছি...
    ওহ বুঝেছি, মধুরিমাও   গানের ক্লাসে ভর্তি হয়েছে নাকি ?
    কোথায় হলো ? এতো করে বললুম, আমি সকালে বাইকে করে পৌঁছে দেবো আবার ফেরার সময়েও বাইকের ব্যবস্থা থাকিবে...
    কিন্তু শুনলে তো...
    কেন শুনলো না ?
    বোধ হয় তোমার ভয়ে....
    আমার ভয়ে ? আমার বয়েই গেছে....
    তাও বলেছিলুম, কিন্তু মানলো না.....
    দ্যাখো, এই রাস্তার উপর তোমাকে মারবো...
    দেবি, স্মরগরলখন্ডনং মমশিরসিমন্ডনম..... আমি প্রস্তুত,
    আর ভাঁড়ামি কোরোনা...
    বেশ করবো না, তবে একটা সিরিয়াস কথা আছে...
    এতো সকালে সি-রি-য়া-স কথা !!
    না, মানে তুমি আজ গানের ক্লাসে যাচ্ছো না...
    পাগল নাকি ? আজ বাকি আদ্ধেকটা গান শেখানো হবে....
    ও আমি শিখিয়ে দেবো, সেই তো দুলে দুলে ' তোমার সুরের ধারা '
    নাহ, ' সুখহীন নিশিদিন... '
    রাম, রাম, দিনটাই খারাপ যাবে.... ও সব ছাড়ো.. আজ আমরা দোমোহানি যাচ্ছি। তুমি পাগলের গপ্পো শুনতে চেয়েছিলে না, গায়ত্রী কে ? সেই গপ্পো করবো আর একটা অদ্ভূত পদ্য, মনে হয় আমারি লেখা, কিন্তু
    আমার জ্ঞান হবার আগে থেকে বিনয়ের নামে ছাপা আছে। চলো...
    শীতের সুবর্ণরেখা আর খরকাই অপেক্ষা করে আছে, অপেক্ষা করে আছে তার ঋজু ধৈর্যশীল শালবন, উত্তুরে হাওয়ায় তারা পদ্যের উড়ে যাওয়া পরাগমোচনের সাক্ষী থাকবে কি ....
    উনকি তমন্না দিলমে রহেগি
    শম্মা ইসি মহফিলমে রহেগি
    ইশকে মে জীনা, ইশকমে মরনা
    অওর হমেঁ ক্যা করনা হ্যাঁয় ফির....

    ৮.   

    '..... অথচ পালঙ্করাশি আছে,
    রাজকুমারীরা আছে- সুনিপুণ প্রস্তরে নির্মিত
    যারা বিবাহের পরে বারংবার জলে ভিজে ভিজে
    শৈবালে আবিষ্ট হয়ে সরল শ্যামল হতে পারে।
    এখন তাদের রূপ কী আশ্চর্য ধবল লোহিত।
    অকারণে খুঁজে ফেরা ;.....'
    রেঙ্গুনে জন্মেছিলো ছেলেটি, তার পর তারা সপরিবারে চলে আসে পশ্চিমবঙ্গে। শৈশব থেকে অংকপাগল। গণিতের মধ্যে খুঁজে পাওয়া ক্রমান্বয় যুক্তির সমারোহ, তার গভীর সাংখ্য যাত্রা, অমেয় শুশ্রূষার স্বাদে মজে ছিলো সে আজন্মকাল। তাই কি যুক্তিহীন পৃথিবীর প্রখর চাপ, দুয়ে দুয়ে পাঁচ হওয়া ঘটনাসমূহ, তাকে স্বাভাবিক সংসারী মানুষের বৃত্ত থেকে অনেক অনেক দূরে নিয়ে ফেলে দিয়েছিলো। তাঁর কাব্যগুরু যেভাবে লিখেছিলেন, '.... মরণ তাহার দেহ কোঁচকায়ে ফেলে গেল মিরুজিন নদীটির পারে ', অনেকটা সেরকমই। মিরুজিন নদী তাঁর জন্য হয়ে যায় উত্তর চব্বিশ পরগণার ঠাকুরনগর গ্রাম। গাণিতিক মস্তিষ্কের শ্রেয় ফল তাঁকে নিয়ে যায় শিবপুর কলেজে। সাফল্যের সঙ্গে মেকানিক্যাল ইনজিনিয়ারিং উত্তীর্ণ হন। উচ্চপদের বৃত্তিও লাভ করেন সম্মানের সঙ্গে। প্রথম কবিতার বই, 'নক্ষত্রের আলোয় ' । রুশ ভাষায় পন্ডিত। ঐ ভাষায় লেখা বৈজ্ঞানিক বইগুলি বাংলায় অনুবাদ করার কাজ করেছেন বহুদিন। হাংরির একজন মুখ্য সদস্য। পরে দূরত্ব তৈরি হয় শক্তির সঙ্গে। তাঁর গাণিতিক মস্তিষ্ক বাংলা কবিতায় আনে এক অন্যধরনের জঁর।
    গায়ত্রী চক্রবর্তী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরিজি ও বাংলায় সোনার মেডাল পাওয়া মেয়ে। দুরন্ত সুন্দরী, অসম্ভব মেধাবী। যেকোনও উচ্চাকাঙ্খী পুরুষেরই এমন একজন নারীর সাহচর্য পাবার স্বপ্ন কখনও শেষ হয়না। বিনয়ের স্বপ্নও কখনও শেষ হয়নি, চিতাকাঠ পর্যন্ত গেছে সম্ভবত। গায়ত্রী কলকাতার পাট চুকিয়ে চলে যান কর্নেল ইউনিতে, সেখান থেকে বহু সারস্বত সাধনার জয়টীকা অর্জন করে শেষ পর্যন্ত কলাম্বিয়া ইউনিতে অধ্যাপক। নারীবাদ, ইতরযান ও সমাজতত্ত্বের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক নাম। তিনি কি কখনো জানতে পেরেছিলেন বিনয় মজুমদার নামে এক যুবক তাঁর জন্য উত্তীয়ের মতো অপেক্ষা করে আছে ? এ রহস্যের কোনও পাথুরে উত্তর এখনও নেই। শুধু আছে ফিরে এসো চাকা। বাংলা কবিতার সর্বকালের একটি প্রধান কাব্যসংকলন ; আমাদের মতো ইতরজনের জন্য।    
    বিনয় কখনও বিবাহ করেননি, গায়ত্রী স্বল্পকালের জন্য স্পিভাক সাহেবের বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন।
    কোনও পালঙ্করাশি ছিলোনা কোথাও, যা জীবনে ন্যূনতম রোমাঞ্চ এনে দিতে পারে। ছিলোনা    রাজকুমারীরা, যারা বিবাহের পর জলে ভিজে ভিজে শৈবালের মতো কোমল শুশ্রূষা এনে দেয় মানুষের মনে। সাগরহংসীর শুভ্র গান কখনও আসেনি। খুঁজে ফেরা অকারণই রয়ে গেছে,
    '..... আমাদের দেহের ফসল, খড় যেন ঝরে গেছে, অবশেষে স্বপ্নের ভিতরে।
    এত স্বাভাবিকভাবে সবই ব্যর্থ-ব্যর্থ, শান্ত, ধীর। '

    ৯.

    টাটাবাবার শহর যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো কখনও হেঁটেছেন শহরের উত্তর পশ্চিম সীমান্তের সেই মায়াবী কোণটিতে। যেখানে উত্তরবাহিনী পাহাড়ি বন্য নদী খড়কাই এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পূর্ববাহিনী সুবর্ণরেখার বিস্তৃত স্রোতধারায়। জায়গাটির নাম দোমোহানি। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এই যুগ্মধারার সব তীর জুড়ে   ছিলো অগণিত প্রাংশু শালের সমারোহ। সবই অতীত ? তাইতো তাইতো.....
    বাইক থেকে নেমেই পর্ণা বললো,
      দ্যাখো, জল কতো নেমে গেছে..
    আমি বলি, তা বটে, কিন্তু দেখতো কতো পাথর   জেগে উঠেছে এই ফাঁকে। কেউ কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে, আরো কেউ জেগে থাকে। মানুষের দিন ফুরোয় না কখনও। জল হয়ে, পাথর হয়ে, বেঁচে থাকাটাই তো মুখ্য....
    ওসব থাক, তুমি গায়ত্রীর গল্প বলো...
    -সব গায়ত্রীর গল্প কিন্তু তৎসবিতুর্বরেণ্য হয়না, সুরায় উন্মত্ত হয়ে পদাঘাতে বিচূর্ণ হওয়া পুষ্পাধারের মতো পরিতাপহীন জীবনের গল্পই শুনতে পাবে তুমি.....
    তার পর ছাড়া ছাড়া সংলাপে শোনে বিনয়, সুবিনয়, দুর্বিনয়ের গপ্পো। তার চিরকাল গায়ত্রীর শূন্য অলিন্দের দিকে চেয়ে গেয়ে যাওয়া সমুদ্রকল্লোল আর পঞ্চম সিম্ফনি। উদ্দাম একাকিত্ব, নিষ্করুণ দারিদ্র্য আর নির্নিমেষ অবসাদের নিম ইতিবৃত্ত।
    প্রিয় কবির প্রতি সজল দৃষ্টিপাত ছাড়া বোধ হয় আমাদের আর কিছু দেবার ছিলোনা।
    '..... অঙ্গুরীয়লগ্ন নীল পাথরের বিচ্ছুরিত আলো
    অনুষ্ণ ও অনির্বাণ, জ্বলে যায় পিপাসার বেগে
    ভয় হয়, একদিন পালকের মতো ঝরে যাবো। '  
    -বলোতো কেন এমন হয়....অন্যরকমও তো হতে পারতো.... আর কেউ আসতে পারতো কবির জীবনে... নতুন করে পাতা ধরতো, ফুল.......
    মনে মনে বলি, হয়তো পারতো, কিন্তু উৎফুল্ল আশা আর উদ্ভাসিত ভবিষ্যৎ তো সবার জন্য নয়..... জ্যোতিষ্কসম্ভব জীবন কজন পেয়েছে। সকলের জীবনেই রক্তাপ্লুত ট্রাম কখনো না কখনো একবার মাড়িয়ে দিয়ে যাবেই।
    সুবর্ণরেখার জল সাক্ষী থাক, এমন বিষাদমগ্ন সময় পর্ণার সাথে কখনও কাটেনি। কবিতাই শুধু পারে, প্রিয় নারীর সঙ্গ ছাপিয়ে এমন   গেরুয়া রঙে অন্তর রাঙিয়ে দিতে......
    পরের সপ্তাহে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন শুরু হচ্ছে। তিনটে সন্ধে খালি রেখো। জর্জদা আসবেন এবার। শেষ মুহূর্তে নো অজুহাত। এবার কবিতার সঙ্গে মিলিয়ে গান শুনবো।   পাগলের সঙ্গে যাবো, পাগল হবো, ভাসবো রসে পাগলপারা।
    যাক তবে জ্বলে যাক, জলস্তম্ভ, ছেঁড়া যা হৃদয়।
    সব শান্তি দূরে থাক, সব তৃপ্তি, সব ভুলে যাই।
    শুধু তার যন্ত্রণায় ভরে থাক হৃদয়শরীর।
    তার তরণীর মতো দীর্ঘ চোখে ছিলো সাগরের
    গভীর আহ্বান, ছায়া, মেঘ, ঝঞ্ঝা, আকাশ, বাতাস।
    কাঁটার আঘাতদায়ী কুসুমের স্মৃতির মতন
    দীর্ঘস্থায়ী তার চিন্তা ;.....'

    (আগামী কিস্তিতে সমাপ্য)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ | ১২৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | ***:*** | ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৬:৪৪90550
  • "সকলের জীবনেই রক্তাপ্লুত ট্রাম কখনো না কখনো একবার মাড়িয়ে দিয়ে যাবেই।"
    এটাই শ্বাশ্বত, যার হয়নি, সে বাঁচে নি, শুধু রয়ে গেছে জলচৌকির মত।
    শিবাংশুর ওই ঋষিবাক্য পড়ে মন খারাপ হল না। অন্য একরকম প্রশান্তির দেখা পেলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন