এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধর্ম সংক্রান্ত ও অভিজিৎ --- নিশান চ্যাটার্জী

    অভিজিতের জন্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৫ | ২৭৯৪ বার পঠিত
  • গতকাল ঢাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে কাটা হয়েছে চাপাতি দিয়ে, কিছু লেখবার ইচ্ছে হোলো, কিন্তু হাজার একটা জট!

    কি লিখি? কেন লিখি? কিভাবে লিখি? অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। মৃত্যু হয়তো এক চিরন্তন সত্য, কিন্তু সত্যের হাতুড়ি মাথায় পড়লে মাঝে মাঝে বড় লাগে! ভীষণ জোরে।

    এখন কেলো হোলো, কেন তিনি মারা গেলেন? আমাদের অভিব্যক্তি কি হওয়া উচিৎ? কেন হওয়া উচিৎ? কিভাবে হওয়া উচিৎ।

    নির্দ্বিধায় বলা যায় তিনি মারা গেছেন ধর্মের কারণে, নিতান্তই ধর্মের কারণে, এমন একটি ধর্ম যে নিজে আভ্যন্তরীন দার্শনিক দুর্বলতাকে ঢাকতে চায় কেবল মাত্র গা জোয়ারি দিয়ে। অতএব তাদের মূলে, যে মূল গত পাঁচশো বছরে পোকায়ে খেয়ে খয়ে পচে গেছে তার মধ্যে তিনি ঘা দিযেছিলেন। ফলশ্রুতিতে গোটা গাছ নড়ে ওঠে, এবং কিছু খচ্চর পাখি ডালচ্যুত হয়। যাদের নখে ভয়াবহ ধার, ঠোঁটে ভয়াবহ ধার, মগজ ফাঁকা! অতএব তিনি অপরাধ করেছিলেন বৈকি! শাস্তি পেতে হবে না?

    সেমেটিক প্রতিটি ধর্মের মধ্যেই এই ব্যপারটা স্পষ্ট যে তোমার ঈশ্বর আমার ঈশ্বর নয়, মধ্যপ্রাচ্যের নিদারুণ তাপে বোধহয় মোজেস থেকে মহম্মদ সবারই মাথা গেছিলো আউলে।

    প্রশ্ন হোলো আদৌ কি এসব ধর্মের দরকার ছিলো, থাকলে ছিলোই বা কেন? আমি নিতান্ত সাধারণ মানুষ, আমি ফুকো জানিনা, দেরিদা জানিনা, নীটশে, হেগেল, কান্ট (The right kind), এপিকিউরাস, চমস্কি কিচ্ছু জানি না! আমি গ্রীসের সাম্প্রতিক অবস্থার গোটা খবর রাখি না, মার্কস গোটা পড়া নেই, লেনিন ও রোজা লুক্সেমবুর্গের বিতর্কের, বা মানবেন্দ্রনাথ রায় লেনিন বিতর্কের অংশমাত্র জানি, চে গেভারা-তুপামারোর লাইনের পার্থক্য বিশদে জানি না, এমনকি অঙ্ক টাও ভয়াবহ ভালো রকম জানি না, লজিক সামান্য পড়া আছে এই মাত্র (প্রসঙ্গতঃ পেশায় আমি গণিতজ্ঞ বলে অঙ্কের প্রসঙ্গটা এলো)

    অতএব আমি নিতান্ত সাধারণ ছাপোষা, অজ্ঞান নির্গুণ একটি মানুষ, আপনি অনায়াসে আমার লেখার কপি নিয়ে কমোডে ফেলে পেচ্ছাপ করতে পারেন, কিন্তু তাও আমার ব্যক্তিগত মতামতটুকু জানিয়ে যাই।

    ধর্ম কেন? আদিম মানুষ পৃথিবীর আদ্দেক জিনিস বুঝতো না, তার আন্দাজের মধ্যেও ছিলো না, কেন সবকিছু হয়! তার সুদূরতম স্বপ্নেও ছিলো না যে সমস্তকিছু এই মহাবিশ্বে গণিতের নিয়মে বাঁধা। কিন্তু মানুষ মূলতঃ রিপুর দাস। শাস্ত্রের ষড়রিপু বাদ দিয়ে আমাদের আরো দুপিস রিপু আছে, একটি কৌতুহল, আরেকটি ব্যখ্যা ও বোধের বাসনা। অতএব যখনই কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, সে তখনই সেখানে একপিস দেবতা বসিয়ে দিয়েছে।

    সেসব দেবতা ভারী সহজ সরল ছিলেন, জলের দেবতা, রাতের দেবতা, সূর্যদেব ইত্যাদি ইত্যাদি, সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে, পৌত্তলিক এসব আদিম ধর্ম স্বভাবে সরল, কম ভজঘট, এবং অনেকটাই প্রাকৃতিক!

    কিন্তু তাতে করে হবেটা কি? পোষাবে আদৌ? অবশ্যই না, কারণ আমরা আইন চাই, ক্ষমতা চাই, অর্থ চাই, লোকের মাথায় ছড়ি ঘোরাতে চাই। অতএব ধীরে ধীরে ধর্মে ধোঁয়াশা বাড়াও! এই যে অনিত্য জীবন, যা নিয়ে মানুষ সদাই সশঙ্কিত, সদাই কণ্টকিত, তাকে খুড়োর কল দেখাও, তাকে বলে এতেই শেষ নয়, এরপরে নানা ভালো ভালো গাছের ফল আছে, সুন্দরী মেয়েরা আছে, তাদের সাথে সঙ্গম করলেও বাচ্চা হয়না, আর কোন শালা না জানে সগগে সবার জন্য প্রাসাদ আছে! কিন্তু বাপধন, গেটকিপার ভারী ভয়ানক লোক! এজীবনে তিনি ভালো রকম লক্ষ্য রাখছেন, তেমন গোলমাল দেখলেই তোমার অক্ষয় নরকবাস বাঁধা। (ও হ্যাঁ নরক, সগগো যেমন সব ভালো, নরক তেমনি সব মন্দ, না থাকলে হবে কি করে? ব্যালান্স বলে একটা ব্যপার আছে না?)

    অতএব ধর্ম ক্রমশঃ ধোঁয়াশাময় হয়ে উঠলো, সশঙ্কিত মানুষ, যে সিন্ধুতে জলবিন্দু মাত্র সে প্রাণপণে ভাবতে চাইলো, এই অতিনশ্বর জীবনই শেষ কথা না, আমি একটা জলের ফোঁটা না, আমি আরো অনেক বড় কিছুর অংশ, সেই বৃহতের, সেই মহতের অংশদারিত্বে আমিও সেমি মহৎ বৈকি! এই পয়েণ্টটায় পরে ফিরে আসছি!

    কেউ ভেবে দেখলো না কয়েকটা জিনিস

    ১) মেয়েদের জন্য কি বন্দোবস্ত মরার পর সেটা সবাই সুচারু ভাবে এড়িয়ে গেলো

    ২) ধরা যাক দুই ভাই মামলা লড়েছে, তাদের মধ্যে ঝামেলা, দুজনেই ঈশ্বরকে বলছে হে পোভু আমাকে জিতিয়ে দাও! দাদু কারটা শুনবেন?

    ৩) ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান ইত্যাদি হন, তাহলে কে তাঁর ভক্ত কে নয় তাতে তাঁর কি এলো গেলো?

    ৪) এত যুদ্ধ বিগ্রহ ইত্যাদির পরও তিনি কিভাবে এর’ম করুণাময়?

    তখন বোধহয় লোকের ভাবার সময় ছিলো না বিশেষ, নারীবাদের পয়েণ্টটায় যেতে পারতাম, কিন্তু অকারণে যাবার প্রয়োজন দেখি না।

    যাইহোক, এখানেই কিন্তু শেষ নয় দাদা, আমার কোম্পানী আরো দিচ্ছে, সেটা হোলো আমার ঠাকুর তোমার ঠাকুর না টাইপের আইডিয়া! আর আমার ঠাকুরই সবচে’ শক্তিমান (কারণ তিনি রোজ সকালে টাইগার বিস্কুট খান), শুধু তাই না তিনিই সবচে’ করুণাময় (যদিও তুমি ভুলভাল করলে তিনি তোমার পোঁদে বাঁশ দেবেন, এবং তুমি তাঁকে না মানলে আমি মুণ্ডুটা ঘ্যাঁচ করে কেটে নেবো)! কি হাস্যকর তাই না?

    দাঁড়ান, অত হাসবেন না, আরো আছে। সেমেটিক ধর্মগুলোর দাড়িবাবা আবার একজনই, কিন্তু তাঁদের মানে ইহুদি, কেরেস্তান, আর মুসলমানের বিরোধের অন্যতম মূল সুত্র কি? না দাড়িবাবার সাথে স্যাটেলাইট টেলিফোনে কে শেষ কথা বলেছেন? মুসা না ঈশা না মহম্মদ! বোঝো কাণ্ড!

    হাজার একটা ডাইনামিক্স নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু এটা জোকের পাঞ্চলাইনটা।

    ইহুদি এবং খ্রীস্টান প্রসঙ্গ আপাততঃ থাক, আপাততঃ ইসলাম নিয়ে দু কথা বলি, কারণ এইমুহূর্তে আমিও বেশ খানিকটা নিশ্চিৎ ইসলাম ভয়াবহ সমস্যার আকার ধারণ করেছে।

    এই মুহূর্তে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বলছে, আইসিস সৌদির রাষ্ট্রীয় অবদমন দুইই চুড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ ফেল মেরে গেছে (যা চরিত্রগত ভাবে সন্ত্রাসবাদী, এবং আরো গূঢ় সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেয়) এবং ভারতীয় উপমহাদেশ, যেখানে বিশ্বের মুসলমান জনসংখ্যার অধিকাংশই বসবাস করেন।

    তার পূর্বপ্রান্তে বঙ্গদেশ, যা মূলতঃ ত্রিখণ্ডিত, দু পাশের অংশ এখন ভারতের মধ্যে, সেখানে তেরঙা ওড়ে, মাঝের অংশ বাংলাদেশ, যাতে সবুজ মাঠে লালা সূয্যি ওঠে।

    ভাঙলো কেন? ভাঙলো কে? সেসব নিয়ে নানা মুনি নানা কথা বলেছেন, আমি আর আলাদা কি বলবো? আমরা জার্মান জাতিও না, যে কোনকালে আবার এক হবো। সেসব সম্ভাবনা নেই। ভারতের অংশকে আর্যাবর্ত বানানোর একটা অপচেষ্টা চলছে, বাংলাদেশ বাংলাস্তানে পরিণত হয়েছে। সেখানে হজরত মহম্মদের শতশত রক্তাক্ত যৌনকেশ, রক্তবীজের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে! তারা খোলা রাস্তায় লোককে কুপিয়ে মারতে পারে, এবং মানুষ (যে মূলতঃ ভেড়া, যার সবসময় মেষপালক লাগে, এবং মেরুদণ্ড তরুণাস্থি দিয়ে তৈরী) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে, ফটো তুলেছে, কারণ আরো অনেককে জানাতে হবে আমি এই ঘটনার সাক্ষী! এও দেখতে হোতো?

    এই নিয়ে তিনবার হোলো, হুমায়ুন আজাদ, রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, আরো কত আসবে কেউ জানে না! অপরাধ কি এঁদের? এরা যুক্তি দিয়ে ভাবেন, লোকের কাছে যুক্তি পৌঁছে দেন! যুক্তি ধর্মের ধোঁয়াশা দূর করে, যুক্তি মনের কুয়াশাকে দূর করে, সবচে’ বড় কথা যুক্তি শেখায় প্রশ্ন করতে। মানুষের খুব মৌলিক ধর্মই হোলো প্রশ্ন করা, কাজেই সেখানে খুঁচিয়ে দিলে বিপদ বৈকি!

    অতএব বাঁচতে দিয়ো না। মেরে কুপিয়ে কেটে শেষ করে ফেলো। না অভিজিৎকে আমি চিনতাম না, অভিজিৎও আমাকে চিনতেন না, তবু আরেকজন লেখকের মৃত্যু হঠাৎ করে ঝাঁকিয়ে দিযে যায়, আর এবারই এমন একটা প্রসঙ্গে যাবো যেটা নিয়ে লোকের অপ্রীতিভাজন হবার প্রবল সম্ভাবনা। কিন্তু আমার যৌনকেশ মহম্মদের ন্যায় মজবুত না, ছিঁড়লেও রক্ত বেরোয় না, অতএব বলেই ফেলি।

    যত সমস্যা আমাদের, মানে মধ্যবিত্তের! ধনী লোক ধর্ম নিযে মাথা ঘামায় না! সৌদির রাজার ধর্ম না মানলেও চলে, ইসলাম বিরোধী দশটা কাজ করলেও সে টঙেই বসে থাকবে, নিম্নবিত্তেরও সমস্যা নেই, মানে ধর্ম নিযে, তার আরো সমস্যা আছে, সমস্যায় সে জর্জরিত, সে অবস্থায় কোন ঈশ্বর বড় আর কে ছোট তাতে তার কি যায় আসে? অতএব সমস্যা মূলতঃ মধ্যবিত্তির। কিন্তু ধর্মীয় উৎপীড়নের সবচেয়ে বড় বলি কারা? নিম্নবিত্ত প্রান্তিক মানুষ! অভিজিৎ আমাদের নাড়া দেন, নির্ভয়া আমাদের পথে টেনে আনে, কিন্তু সোনি সোরি? কিম্বা বাংলাদেশের হাজা হাজার সংখ্যালঘু মানুষ, যাঁদের কয়লা বলে ডাকা হয়, যাঁদের বাড়ির মেয়ে ধর্ষিতা হন? যাঁদের বাড়িতে আগুন জ্বলে কেবলমাত্র তাঁর ভগবান রাষ্ট্রের ভগবান নন বলে? তাঁদের কথা ভাবারও সময় এসেছে। অভিজিৎ আমাদের নাড়িয়ে দিয়েছেন, কারণ তিনি আমাদের মত, কিন্তু নিচুতলায় শিক্ষা না পৌঁছলে কোন উন্নতির সম্ভাবনা নেই!

    সবাইকেই কি নাস্তিক হতে হবে? একেবারেই না, মরার পর কি হয়, আদৌ কোন ঈশ্বর আছে নাকি, মরার আগে জানার উপায় নেই, অতএব যে যাঁর নিজের স্বতঃসিদ্ধ ঠিক করে নিযে বাঁচুন না, খালি রূপকথার গপপোগুলোকে ওজন করে নিতে শিখুন আর যুক্তি দিযে ভাবুন! যেমন ধরুন সেমেটিক ধর্মের ব্যবসায়ীরা বলেন ভাইবোনে যৌনতা ভারী মন্দ, তাহলে আদম আর হবা যদি সত্যি আদিমতম মানব মানবী হয়, তাহলে তৃতীয় প্রজন্মের জন্মরহস্যটা আরেকটু তলিযে ভাবুন দেখি! কিসব নোংরা ব্যপার স্যপার মাইরি!

    বরং লোকধর্মে চোখ রাখুন, বাউলদের দেখুন, দেখুন ফকিরদের, দেখুন আদিবাসী ধর্মগুলোকে, শিখুন কি জীবনবোধ, আপনি আমি তাদের ব্রাত্য করে রেখেছি, আমাদের বাংলা ইংরাজী জার্মান কচকচির অনেক দূরে কি সব দর্শন তয়ের হয়েছে দেখুন। কেন বলুন তো? কারণ ধর্ম রাজনীতি মিশলেই ভয়াবহ ব্যপার।

    আজকে দাঁড়িয়ে বলা ভারী সহজ, ইসলামই সমস্যার মূল, কিন্তু পেছন ফিরে দেখুন তো মধ্যযুগের ইউরোপ, যখন মূর শাসনকালে আল জিবর বীজগণিতের শাস্ত্র লিখছেন, আর ইউরোপ জুড়ে কেরেস্তানরা পুড়িয়ে মারছে যুক্তিবাদীদের। অথচ আরো পেছনে গেলে দেখবেন রাজধর্ম হবার আগে এই খ্রীষ্টধর্মই প্রান্তিক মানুষের বেঁচে থাকার। প্রতিবাদের হাতিয়ার, সেদিনের যীশুখ্রীষ্ট দীনবেশে আজকের ক্যাথোলিক চার্চের সামনে দাঁড়ালে তাঁকেও লাথ মেরে বের করে দেওয়া হবে!

    অতএব তিনটি জিনিস আশু প্রয়োজন

    ১) প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে শেখা, এবং তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন যাতে তাদের জীবনকে অকিঞ্চিৎকর ভেবে অকারণে বৃহত্তর কিছুর অংশীদারিত্বের প্রয়োজন বোধ না হয় (আগের পয়েণ্ট, প্রথমের দিকেই বলেছি)

    ২) ধর্ম ও রাজনীতির প্রবলতম বিচ্ছেদ

    ৩) সংখ্যাগুরুর মৌলবাদকে চিহ্নিত করা!

    সেজন্যেই, বাংলাদেশে জামাত মূল সমস্যা হলেও, ভারতে বিজেপি (যাঁরা ভাবছেন এরা ঢোঁড়সাপ, তারা ভুলে যাচ্ছেন দাওলেকরের কথা, গো বলয়ের কথা এবং তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন ভারতের ডাইনামিক্স বাংলাদেশের চেয়ে এতটাই জটিল যে এরা চেয়েও অত সহজে অতটা ভয়াবহ হতে পারছেন না, তককে তককে আছেন মাত্র)

    এবং বিজেপির লোকরা অতি অবশ্যই তেড়ে বসেছেন সেকুলার এবং বামপন্থী জনতার দিকে, ভাবটা “হুঁ হুঁ বাবা দেখলে তো কি হোলো?” একই ঘটনা ঘটবে মোল্লাদের দিক থেকে যেদিন কোন স্বংঘসেবক শাখামৃগের হাতে কোন মুসলিম মারা যাবেন, তাঁরাও হাবভাব নেবেন “আগেই বলেছিলাম! দেখ কেমন মজা?” কিন্তু তলিয়ে ভাবুন জনগণ, সমস্যা ইসলামের নয়, সমস্যা ধর্মেরও নয়, সমস্যা আমাদের, আমি মূলতঃ অ্যানার্কিস্ট কিম্বা দেশে বিদেশে মানতে গেলে আমি পাঠান আদর্শেই বিশ্বাসী, কোনরকম প্রতিষ্ঠান আমার পছন্দ না, কিন্তু আমরা বিবর্তনে এখনো কয়েক ধাপ পিছিয়ে, আর এসব ধর্মব্যবসায়ী, স্বার্থান্ধ বরাহনন্দনেরা আরো পিছিয়ে, এরা লোককে তাতায় কেবল সুযোগ বুঝে!

    এদের বিশ্বাসও অদ্ভুত, অনন্ত মহাবিশ্বের অনন্ত নিয়মাবলী কিকরে একটি সনন্ত পাতা বিশিষ্ট বইতে এঁটে গেলো, কোন অঙ্কের নিয়মে, সেটা তাঁরা প্রশ্ন করেননা, অথবা তাঁরা মনে মনে জানেন, ক্ষমতা দখলের একমাত্র অস্ত্র লোককে গু খাওয়ানো! লোকেরও কদিন বাদে গুটাই ভালো লাগবে!

    বিশ্বাসের আরেকটা উদাহরণ দিই, ইভাঞ্জেলিকাল কেরেস্তানরা ইজরায়েল প্যালেস্তাইন বিরোধে ইহুদী সমর্থক! কারণ? তাঁরা বিশ্বাস করেন রোজ কেয়ামতের দিন বিশ্ববাবা সব ইহুদিকে পুড়িয়ে মারবেন, তদ্দিন যাতে ইহুদিরা বেঁচে বর্তে থাকে আরকি! (ইহাও সম্ভব! ভাবলেই হৃৎকম্প হয়)।

    অতএব এইসমস্ত লোকরা ধরে নেন তাঁদেরই মত বামপন্থীরাও কোন বইতেই আস্থা রেখেছেন, তাঁরাও বিশ্বাসী। দুঃখের বিষয়তাঁরা দুটো জিনিস মিস করে যাচ্ছেন, প্রথমতঃ বামপন্থা মানেই কমিউনিজম না, বামপন্থা হোলো প্রচলিত অবদমনের বিরোধিতা করা, দ্বিতীয়ত কমিউনিজম ধর্ম না! এঁরা একপাতা মার্কস না পড়েই (আমার চেয়েও কম পড়ে) মার্কস বিরোধী! কথায় কথায় বলবেন “ভামপন্থা” ইত্যাদি! বলবেন দেখলে তো বলেছিলাম না আমার বিরোধী ধর্মের লোকরাই বেশি খচ্চর! ঠিক যেরকম দমচাপা উল্লাস বিজেপি সমর্থক কিছু আবালের মধ্যে দেখা যাচ্ছে! এঁরা লোকের দর্শন ঠিক করবেন, মেয়েদের কি করা উচিৎ না নারী বিবর্জিত মিটিঙে ঠিক করে দেবেন, পুরুষতান্ত্রিকতা, ক্ষমতার ষড়যন্ত্র জিইয়ে রাখবেন!

    আমাদের বামপন্থীদেরই কি দোষ নেই? আছে বৈকি! ভোটকেন্দ্রিক রাজনীতিতে কেবল মাত্র ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষা করতে গিয়ে সংখ্যালঘু তোষণ টাও বাড়াবাড়ি বৈকি! তবে সে তো মানব রায়ে আমল থেকেই চলছে, তাশখন্দে যখন তিনি নামাজ পড়তে দিচ্ছেন এবং বলছেন ধর্মের সাথে পার্টির লাইনের বিরোধিতা নেই, কিম্বা মুজঃফর আহমেদ যখন বন্দেমাতরম বলতে অস্বীকার করছেন কমিউনিস্ট হিসেবে না, মুসলিম হিসেবে। সুভাষ চক্কোত্তি যখন দাবী করছেন আমি আগে বামুন পরে কমিউনিস্ট, এবং রেজ্জাক গাজী হজ করতে যাচ্ছেন। (লক্ষ্যণীয় আবার সুভাষ চক্কোত্তি আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় থাকলেও রাজ্জাক কিন্তু চার নাম্বারে)। অতএব ধর্মীয় তোষণ এবং মূলতঃ মুসলিম তোষণ! সেই লাইন থেকেও আমাদের বেরোতে হবে বৈকি!

    কিন্তু আবাল জনগণদের একটাই কথা বলবো, দুনিয়ায় মধ্যপ্রাচ্য এবং উপমহাদেশ বাদেও আরো কয়টি মুসলিম দেশ আছে পূর্ব ইওরোপ বলে এক জায়গায়, সেখানকার মুসলমান রা কিন্তু ধর্ম মারান না! এই সাইডের সাথে কোন পার্থক্য দেখছেন? আমি দেখছি সবকটা দেশই কোন না কোন সময় কমিউনিস্ট শাসনে ছিলো। বিশ্বাস নাহলে মিশে দেখুন, কথার প্রমাণ পাবেন! আজও যদি কেউ এই ইসলামের বিষকে ঠেকানোর ক্ষমতা রাখে সে বামপন্থাই আপনারা নন। কারণ আপনারা গুয়ের ওপিঠ মাত্র! আপনারা কালীর ন্যাংটো ছবি আঁকলে মুণ্ডু কাটার ক্ষমতা রাখেন, যদিও শাস্ত্র বলবে কালীর ন্যাংটো হওয়ারই কথা ছিলো! অতএব চুপ করে থাকুন আবাল বক্তব্য দেবেন না!

    যে বাংলা ছিলো সমৃদ্ধ, শান্ত, যেখানে এতগুলো যুগান্তকারী দর্শন জন্ম নিয়েছে, তার এই দুর্দশার দায় কার? যে সমস্ত প্রান্তিক জনগণ মুসলিম তারা আমার আপনার মত বর্ণহিন্দুর অত্যাচারেই কিন্তু একদিন মুসলিম হয়েছিলো! সেই পাপ ধুয়ে ফেলবেন? এত সহজে? হিন্দুধর্মের সতীদাহ ভুলে যাবেন? ভুলে যাবেন প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলের সন্ত্রাস? ভুলে যাবেন কাশ্মীরে সাঁড়াশি সঙ্গম? সব দোষ শুধু ইসলামের আর “ভামপন্থার?”

    আর যে সমস্ত ইসলামি খচ্চর কাস্তে হাতুড়ি তারায় চাঁদ তারার ছায়া দেখছেন তাদেরও চাবকে সিধে করা আশু প্রয়োজন।

    অতএব জনগণ মধ্যবিত্তি ত্যাগ করুন, এবং যুক্তিবাদী, মুক্ত একুশ শতকের মানুষ হোন।

    বামপন্থীরা একজোট হোন!

    আর বাংলাদেশের যুক্তিবাদী মানুষদের কাছে অনুরোধ আরো লড়াই করতে হবে, প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছতে হবে যুক্তির মশাল!

    চাদ্দিকে আগুন জ্বলছে, গোটা বিশ্বে, দেখতে পাচ্ছেন? শুনতে পাচ্ছেন? আমাদের এই স্ট্রাকচার প্রিয় আচরণে যে কটা স্ট্রাকচার আমরা তৈরী করেছি সেটার প্রত্যেকটা কেমন গুঁতো মারছে দেখছেন? সে দেশই বলুন, ধর্মই বলুন, কি অর্থনীতিই বলুন! সবকটাই হাস্যকর অথচ আমরা এতই প্রাতিষ্ঠানিক যে প্রতিষ্ঠান ভিন্ন আমরা পশুমাত্র! কেন জানি মনে হয় আদতে সবকিছুই ভীষণ সরল ছিলো, কিন্তু আমরা কিরকম যেন জটিল করে ফেলেছি সবকিছু!

    অভিজিৎ সেই সারল্যের দ্যোতক, কেবলমাত্র মধ্যবিত্তির যুক্তি তুলে তাঁকে আমি নস্যাৎ করবো না, কারণ অভিজিতের বড় পরিচয় তিনি লেখক! তাঁর মশালের আলো আরো অনেক দিন পথ দেখাবে! তিনি আমার কমরেড, তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন না, কিন্তু যুক্তির পথে সহযোদ্ধা তিনি, আর কমরেড কথাটা আমার পছন্দ, তাই!

    অভিজিত আপনি আরো অনেক অনেক দিন বেঁচে থাকুন আপনার লেখাগুলোর মধ্যে দিয়ে, আমাদের লেখাগুলোর মধ্য দিয়ে।

    জগতের মধুময় হয়ে আর কাজ নেই, বরং আরেকটু বাসযোগ্য হোক!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৫ | ২৭৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • সমাধান | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৫ ০৮:২২68562
  • আপনি।
  • - | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৫ ০৮:৫৯68563
  • রঞ্জন, 03 March 2015 23:53:58 IST, অর্থাৎ ধরেই নেবো, যাঁরাই "ঠাকুর নমঃ" করছে, তাঁদের সবাই চোখ "বুঁজে" আছে? নিই?
  • - | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০২:২২68568
  • সত্যি? "কিন্তু যারা চোখ বুজে আছে তারা অবশ্যই ঠাকুর নমঃ করছে।" আপনি নিশ্চিত রঞ্জনবাবু? জানেন, তারা কেউ আদতে পয়সা নমঃ, ক্ষমতা নমঃ, এমং কি হুরী-পরী-বেহস্ত নমঃ-ও করছে না? অন্য মানুষদের মন এমন নিশ্চিত ভাবে জানা যায়?
    আমি শিখতে চাই, কিভাবে।
  • সত্যের খাতিরে | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৫:২২68564
  • মূল টপিক থেকে সরে গেলেও আরো দুপয়সা - ক্যাপিটালিস্ট কান্ট্রি তেই কিন্তু স্টুডেন্ট ও সিভিল রাইটস , ওম্যান লিবার্টি ও গে রাইটস মুভমেন্ট গুলো হয়েছে, নতুন আইডিয়া এসেছে ইন্চ্লুদিং marxism , নতুন ইনোভেশন হয়েছে এটার্প্রেনার্শিপ হয়েছে । আপনি আমেরিকায় বসে বুশ ওবামার চরম সমালোচনা করতে পারেন,প্রশ্ন করতে পারেন , সোভিয়েত বা চিনে এটা সম্ভব নয় কারণ ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় / হয়েছিল বন্দুকের নল শক্তির উত্স আর মার্ক্সবাদ সত্য কারণ ইহা বিজ্ঞান। "নারী অর্ধেক আকাশ" বলা হলেও লাল দেশে কিন্তু নারী রাষ্ট্র প্রধান (যেমন এঞ্জেলা মরকেল বা মার্গারেট থ্যাচার) আসে নি।বিশ্বের সাকসেসফুল cooperative সংস্থা গুলোর ম্যাক্সিমাম ক্যাপিটালিস্ট কান্ট্রি তে (http://www.thenews.coop/49090/news/general/view-top-300-co-operatives-around-world/)
    লাল সোভিয়েত ও দীর্ঘকাল কেমন পূর্ব ইউরোপ জুড়ে পুতুল সরকার বসিয়ে রেখেছিল গায়ের জোরে সেটাও তো ইতিহাসে আছে । সিয়া যেমন , তেমন ছিল কেজিবি ।কাটাকুটির পর হাতে রইলো পেন্সিল
  • ন্যাড়া | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৬:৪০68565
  • জ্যোতি বসু না-ই হতে পারেন, কিন্তু সব পেঁচি বামপন্থীরা একই হ্যান্ডবুক পড়েন নাকি - "অতীতের ভুল থেকে শিখতে হবে"? যে কোন অর্গানাইজড মুভমেন্টকে সন্দেহের চোখে দেখুন, বিশেষত যাদেরই ঘোষিত ম্যানিফেস্টো আছে - ধর্ম, বামপন্থা, রাষ্ট্র, ইন্টুক, ন্যাটো, ওপেক, পাবলিশার্স গিল্ড ...
  • ranjan roy | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৬:৪৮68569
  • আমি একটি নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি।
    আপনি যা বলেছেন তাও হতে পারে।
    আমার নমোর লিস্টটি দেখুন, তাতে "আদতে পয়সা নমঃ, ক্ষমতা নমঃ, এমং কি হুরী-পরী-বেহস্ত নমঃ-ও" implied।
  • ranjan roy | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৭:১২68567
  • @-,
    একেবারেই না। আমি ঠিক বোঝাতে পারি নি।
    (কথাটা খানিকটা সরকারী বাম নেতাদের লিংগো তে বললাম কি?ঃ)))

    যারা ঠাকুর নমঃ করছে তারা সবাই চোখ বুজে আছে তা বলছিনে। কিন্তু যারা চোখ বুজে আছে তারা অবশ্যই ঠাকুর নমঃ করছে। সে ঠাকুর কালীমাতা, অমিতশক্তিধর আল্লা, করুণাময় যিশু বা দাড়িওলা সর্বরোগহর মার্ক্সঠাকুর বা দাড়িবিহীন মাও ভগবানও হতে পারেন!
    আমার আঙুল একটি নির্বিচারে সব কিছু মাথা নত করে মেনে নেওয়ার প্রবণতার দিকে।
    অমুক সর্বজ্ঞানী বা সর্বশক্তিমান--তুমি কে হে যে তাঁর কথা আজকের পরিস্থিতিতে কতটুকু প্রযোজ্য তাবাজিয়ে দেখবে-- এই প্রবণতার দিকে।

    আমরা ছোটবেলার থেকেই এই কালচারটা কে হাওয়া দিই; প্রশ্ন করার জায়গায় নত হতে শেখাই।
  • :) | ***:*** | ০৪ মার্চ ২০১৫ ০৭:১২68566
  • ..., গুরুচন্ডা৯, ...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন