এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • জুনিয়র ডাক্তারঃ পেটে খেলে পিঠে সয়?

    Anik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ২৪৩৮ বার পঠিত
  • (ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লেখাটি তৈরী। ভিন্ন মত ও সুস্থ আলোচনায় ডাক্তার-রোগী সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান অসুস্থতায় পরবর্তীকালে আরও উপযোগী প্রেসক্রিপশন লিখতে পারবো, এই আশা রাখি

    ১.
    অভয় দা কে আমি চিনি না। আরও যারা চেনেন না, তাদের জন্য বলি, অভয় দা S.S.K.M এ Orthopaedics এর পিজিটি। কাল এক অ্যাক্সিডেন্টের রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাসকদলের এক নেতার মদতপুষ্ট গুন্ডাবাহিনী তাকে ওয়ার্ডের মধ্যেই মেরে, হাত পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা কেউ অভয় সরকারকে চিনি না।
    এবং আমি আমার আগত মৃত্যুর দিব্যি কেটে বলছি, আমার একটুও খারাপ লাগছে না। একবারও মনে হচ্ছে না একটা কিছু হেস্তনেস্ত করা উচিত। যা হয়েছে বেশ হয়েছে। না চিনলেও আমি কেমন একটা ভাইসুলভ অধিকারের আলখাল্লা নিজেই নিজের গায়ে চাপিয়ে 'অভয় দা' বলে ডাকছি। অভয় দার হওয়ারই ছিল এটা। আজ নয় কাল নয় পরশু। হতই। কারণ অভয় দা সেই প্রজাতির এক জীব যে বিবর্তনের এক অদ্ভুত মোড়ে এসে স্বেচ্ছা অন্ধতা আরোপ করেছে নিজের অস্তিত্বে। 'যে মারাচ্ছে মারাক, আমার তো গায়ে আঁচ লাগেনি ভাই' - যে শ্রেণীর সহজপাঠ বইয়ের ওপরে গোটা গোটা করে লেখা। যে শ্রেণী শুধু ছলে বা কৌশলে পালানোর কম্পিটিশনে নাম লিখিয়েছে, তার কোনও বল নেই বলে। নিজের জীবনে খুব কম করে হলেও হাজারটা মানুষের ওপর ঘটা হাজারটা অন্যায় দেখেছে অভয় দা, এবং একটাও টুঁ করেনি, কারণ বেঁচে থাকতে হবে বস, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে বেঁচে থাকা যায় না। আমাদের হাজার রাগ, হাজার প্রতিবাদ আমরা যুগে যুগে পোসেঞ্জিত আর অমিতা বচ্চনের মধ্যে দিয়ে বেঁচে, রূপোলী পর্দায় ভিলেন কেলিয়ে ইজাকুলেট করে দিয়েছি, আর হল থেকে বেরিয়ে লেবেঞ্চুস চুষেছি আচ্ছা করে। এই যে 'ওর যা হচ্ছে হোক, আমি তো সটকে থাকি' টাই আমাদের গণ স্টেটমেন্ট, আমাদের জিনা ইসি কা নাম হ্যায়। পেঁয়াজের দাম বাড়ছে- বস ক্যাজ কাটাও, টেট পিছিয়ে গেল- বস তোমার কী, চাষীরা আত্মহত্যা করল- ওফফ, বস কাউন্টার নাও, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে- ধুর বস, কাটাও তো। আয়লান কুর্দি আমাদের স্ক্রীন নোংরা করে দিলে আমরা অডির ছবি হোমস্ক্রিনে সেট করেছি, কালবুর্গিকে ফেলে আমরা শিনা বোরা গিলেছি, FTII- খুলি খিড়কি- নগ্নতা নিয়ে ন্যূনতম জানাবোঝাপড়া না রেখে আমরা তমোঘ্নকে ছিঁড়ে খেয়েছি। ওরে বাবা, কত কিছু বলে ফেল্লুম গো! আমরা তো দিনের শেষে নিজের ফ্যামিলি- কেরিয়ার আর প্রেম ছাড়া করেছি বলতে গসিপ, তুলেছি বলতে সেলফি আর খেয়েছি বলতে ঢপ। আমাদের সময় নেই, কোনওকিছু নিয়েই পড়ে থাকার মত সময় নেই এবং সত্যি স্বীকার করলে, আমাদের চিৎকার করার মত সাহস, বোঝাপড়ার মত সেরিব্রাল ক্যাপাসিটি আর মানুষের হাত ধরার মত হৃদয় নেই। আমার নেই, আপনার নেই, অভয় সরকারের নেই। এবং তাই অভয় দা বেঁচে পালাতে পারে নি, আমি পারিনি, আর আপনিও পারবেন না।

    ২.
    আপনি শেষ কবে শুনেছেন ভুল সওয়াল করার জন্য কোনও উকিলকে ধরে পিটিয়েছে সাধারণ মানুষ (ইনফ্যাক্ট, প্রতিটা কেসেই তো কোনও একজন উকিল মিথ্যে সওয়াল করেন), কবে শুনেছেন সরকারি কাজে ঢিলেমির জন্য সরকারি কর্তাকে ফেলে খিস্তি করেছে জনগন, শেষ কবে সেতুর রেলিং ভেঙে গেলে নির্দিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের হাত পা ভেঙে রেখে দিয়েছে গুন্ডাবাহিনী, কোনদিন সিনেমা ভালো না লাগলে প্রযোজক পরিচালককে গিয়ে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে এসেছে দর্শক, কবে পুলিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইচ্ছে করে বাজেয়াপ্ত করে হাজারটাকা চাইলে তাকে স্যু করেছেন? বলুন। চিৎকার করে জিজ্ঞেস করছি তো, বলুন না। না, শোনেন নি। কারণ এরা কেউ একটা ভগ্ন পিরামিড সিস্টেমের একেবারে শেষধাপে বসে থাকা একটা অসহায় কেয়ার গিভার হয়নি। একটা অসভ্য, অশিক্ষিত দেশে স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্ষেত্রে শুধু মাথা ভর্তি সাইন-সিম্পটম আর ওষুধের নাম নিয়ে আপনার হাতের সামনে ঘুরে বেড়ায়নি ইমার্জেন্সিতে- ওটিতে- ওয়ার্ডে। শেষ কবে সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে যখন বাইরে থেকে হাজার হাজার টাকা দামের ওষুধ কিনতে হয়েছে তখন ওয়ার্ড মাস্টারকে জিজ্ঞেস করেছেন - কেন ওষুধ কিনবো বাইরে থেকে? শেষ কবে হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করেছেন RSBY এর জন্য অ্যালটেড টাকার গোটাটা পাচ্ছি না কেন তা নিয়ে? কবে? শেষ কবে মেডিকেল কলেজের ওটি মাসের পর মাস বন্ধ থাকলে গন ডেপুটেশন হয়েছে? শেষ কবে জানতে চেয়েছেন একজন জুনিয়র ডাক্তার সপ্তাহে কত ঘন্টা ডিউটি দেন? শেষ কবে পেপারে জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়েছে পড়ে একটা জমায়েত করেছেন নিজের পাড়ায়- গ্রামে- শহরে? কবে, কবে, কবে?
    আসলে আপনাদের ধক নেই। সুপারকে পাঁচমিনিট ঘেরাও করতে হলে যে সাহস যে দূরদর্শীতা যে সংঘবদ্ধতার প্রয়োজন আপনার বিগত সাড়ে চোদ্দ পুরুষের তা ছিল না, আগত পৌনে তের পুরুষের তা হবে না। আপনি শুধু ক্যাথারসিস বোঝেন। নিজের রাগ, নিজের না পাওয়া, নিজের অসহায়তা, নিজের কষ্টের পাহাড় ফাটিয়ে যে কটা পাথরটুকরো পান- তা হাতের সামনে থাকা মানুষটার মাথা তাক করে ছুঁড়ে মারেন দ্রুত।এই আপনিই সরকারি অফিসে গিয়ে আট ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন কিন্তু একটাও টুঁ শব্দ করবেন না, কারণ তাহলে মুখের ওপর আপনার ফাইলটা ছুঁড়ে দিয়ে বের করে দেবে। আসলে আপনি কাজ হাসিল করা বোঝেন। আর আড়ালে জল মাপেন।

    আপনি জানেন ডাক্তার আসলে একা। একে মেরে ফেলে রাখলেও এরা একশটা জন মিলে পাঁচটা দিন স্ট্রাইক করতে পারবে না। পারবেই না। উভয় সঙ্কট যে। ইমেজ, স্টেটাস বজায় রাখতে হবে তো। এ পৃথিবীতে ডাক্তার ছাড়া পাব্লিক সার্ভেন্ট হিসেবে নিজের ইমেজ প্রমাণের দায় কারও নেই, জানেন আপনি। আপনি এও জানেন কোনও নেতা এসে এদের একটা রেজিস্ট্রেশন বাতিলের থ্রেট মারলে এরা সুরসুর করে বিপি মাপতে বসে যাবে। এবং হ্যাঁ, হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ ম্যাডাম, হ্যাঁ জনগণমনঅধিনায়কভারতভাগ্যবিধাতা, আপনি ঠিকই জানেন। আমাদের জীবনটা এতই নরম, স্বপ্নগুলো এতই রঙীন, চেতনারা এতই তুলতুলে- আমরা লড়াই কাকে বলে জানিই না। আমাদের কোনও বন্ধু নেই, শুধু কেরিয়ার আছে। আমাদের কোনও বোঝাপড়াই নেই, শুধু সুখযাপন আছে। আমাদের শিন বোন ভাঙবেন না তো কি স্বাস্থ্য নিয়ে আন্দোলন করবেন বলুন? আর মিডিয়া তো সত্য, শিব ও সুন্দর। সেইই তো আপনার নকুলদানা সাইজের মাথায় ঠুসে রেখেছে, ডাক্তার মানেই ভিলেন। ব্যাস, পেটান মনের সুখে। প্রিয়জনের স্ট্রোক হলে ডাম্বেল ভেঁজে হাসপাতালে আসুন, হাঁপানির টান উঠলে বাংলা চার্জ করে ঢুকুন ওয়ার্ডে। আমরা পেতে আছি আমাদের চিরবাধ্য পিঠ...

    ৩.
    আমি সত্যিই রাজনীতি বুঝি না। তাই 'শ্রেণীসংগ্রাম' এর ব্যাখ্যা ভুল বুঝতে পারি, তবে যুক্তশব্দ ভেঙে অর্থ করলে যা বুঝি, সেটা হল, প্রতিটা শ্রেণীর আলাদা আলাদা করে লড়াই আছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক স্তরে। সেটা কখনও ওভার অল সিস্টেমের সাথে, কখনও অন্য শ্রেণীর সাথে। বাস্তব, তার সমস্যা গুলোর অনুভব বিভিন্ন শ্রেণীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন। শিক্ষা, সচেতনতা একটা দূর পর্যন্ত এক শ্রেণীর মানুষকে অন্য শ্রেণীর যন্ত্রণায় সমব্যথী করে তুলতে পারে বা লড়াইয়ের শরিক করাতে পারে, কিন্তু সেটা আদর্শগত লেভেলে খুবই আশার কথা হলেও বাস্তবে লড়াইটা লড়তে হবে নির্দিষ্ট শ্রেণীকেই। (সেটা কোন স্তরে গিয়ে যৌথ সংগ্রাম হবে সেটা কোনও আলোচনার বিষয় নয়)। আমার সারামাসে বিদ্যুতের বিল আসে দু'শ টাকা, সেটা আমার মাসিক আয়ের কত শতাংশ তা হিসেব করতে গেলে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে। অতএব, আমি বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধিতে ঝাঁপিয়ে পড়বো আন্দোলনে, এ হয়ত হবে না। কিন্তু আমি একটা স্তর পর্যন্ত সেই মানুষ গুলোর দৈনন্দিনতার শরিক যাদের মাসুল বৃদ্ধিতে যায় আসে। বা আমি এর পেছনের নোংরা ব্যাবসাটা বুঝি। তাই আমি রাস্তায় না নামলেও এই আন্দোলনটার শরিক হবো একটা স্তর পর্যন্ত। লড়াইটা যদিও মূলত আঘাত পাওয়া মানুষগুলোই করবে।

    আমরা ডাক্তার হিসেবে কোনও লড়াই করতেই পারবোনা। কারণ আমাদের কোনও শ্রেণী চেতনাই নেই। এমনিতেই শ্রেণী হিসেবে আমরা ক্ষুদ্র। প্রতিবছর এরাজ্যে হয়তো হাজারজন ডাক্তার তৈরী হয়। অথচ আমাদের শ্রেণী অনুভূতি সবচেয়ে কম। পিজিটি মার খেলে ইন্টার্নরা নামবে না, ইন্টার্নরা মার খেলে ফাইনাল ইয়ার বলবে আমাদের কী। মেডিকেল কলেজে কেউ মার খেলে এসএসকেএমের কিছু যায় আসে না, সেখানে কেউ মার খেলে বর্ধমানের আর কী। আমাদের শুধু নিজেদের মধ্যে শ্রেণীসংঘাত আছে। তাই না তো আমরা একটা কমিউনিটি হিসেবে একসাথে লড়ার ক্ষমতা রাখি, না তো অন্য কোনও শ্রেণী আমাদের লড়াইয়ের শরিক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয় ন্যূনতম স্তরে। কেন মুভমেন্ট করবো, কেন দাঁতে দাঁত চেপে পড়ে থাকবো, তা জানিই না আমরা। কল্পনাই করতে পারি না একশ জন মিলে পাঁচদিন স্ট্রাইক করছি।

    তাই আমরা মার খাবো। আমি, তুমি, তুই, সে, আপনি, উনি মিলে মার খাবো। কারণ আমরা মার খাওয়ার পেছনের শ্রেণী বুঝিনা, সমাজচেতনা বুঝি না। মার খাওয়ার পরে একটা মুভমেন্ট কীভাবে হবে, কেন হবে, কী কী দাবিতে হবে তা বুঝি না। অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, শ্রেণীগতভাবে আমরা ক্ষুদ্র, অবুঝ, নির্লিপ্ত, দাম্ভিক এক কমিউনিটি। তাই আমরা মার খাবো ততদিন পর্যন্ত, ততদিন ধরে, জনে জনে, প্রত্যেকে, আজ বা কাল যতদিন না আমরা শুধু ছোটা আর ছোটা ভুলে একটু সহজ হই, রাস্তায় নামি, কাঁধে কাঁধ মেলাই, হাতে হাত ধরি...

    ততদিন পর্যন্ত বেথুন, কোটনিশ ও চে আমাদের মার খাওয়ায় হাসবে আড়াল থেকে। যারা লড়াইয়ের ইতিহাস জানেনা, এই মুহূর্তে তাদের জন্য কোনও ভবিষ্যতের স্বপ্ন নেই...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ২৪৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:১০66114
  • মূলো কোম্পানি পেটাচ্ছে বুঝি? ভাল। হিজিবিজি বুকনি জারি থাকলে বোধহয় এও জারি থাকবে। জয়, বিভ্রান্তের বিপ্লবের জয়, বালখিল্যের পরিবর্তনের জয়।
  • sm | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৩66115
  • @জানি না তো তাই, কে উদ্দেশ্যে লিখছি।
    লাইসেন্স বাতিল করা নিয়ে এত আগ্রহ কেন? লাইসেন্স বাতিল হয় এক্সট্রিম কেসে; মূলত ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স ও গ্রস নেগলিজেন্স এর ক্ষেত্রে।
    ডাক্তার ভুল ডায়াগনসিস করতেই পারে; যার ফলশ্রুতি হলো ভুল চিকিত্স্যা। এটা কমন। এতে ডাক্তারের দোষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে থাকে না। সুতরাং তিনি দোষী নন।
    এরপর আসে ভুল ডিসিশন। অর্থাত ঠিক সময়ে রেফার না করা, সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করা ইত্যাদি। এতে ডাক্তার পার্টলি রেস্পন্সিবল। সুতরাং ম্যাক্সিমাম শাস্তি ক্ষতিপূরণ বা টেম্পরারি সাসপেনশন। বিদেশে, বিশেষত ইংল্যান্ডে (NHS তথা GMC ), এই ব্যাপার টা খুব দক্ষতার সঙ্গে ডীল করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই ডাক্তার কে কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তারের আন্ডারে দু এক বছর কাজ করতে বলা হয়। উক্ত ডাক্তার ও তাঁর টিমের রিপোর্টের ওপর, অভিযুক্ত ডাক্তারের পুনর্বহাল ও পদোন্নতি হয়।
    তবে,সবচেয়ে বেশি ভুল চিকিত্স্যা হয় সিস্টেম ফেলীয়রের জন্য। এখানে শুধু ডাক্তার নয় পুরো টিম তথা হাসপাতাল ভুল চিকিত্স্যা তথা গাফিলতির জন্য দায়ী। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি কে দায়ী করা যায় না বা উচিত ও নয়।
    যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তির স্ক্যান করতে দেরী হয়েছে কারণ ওয়েটিং লিস্ট লম্বা ছিল। কোনো ব্যক্তি কে A &E তে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে কারণ ভিড় বেশি ছিল , অথবা নার্স ডাক্তার কে কল করতে দেরী করেছে কারণ তিনি বুঝতে পারেন নি পেশেন্টের কার্ডিয়াক পেন ছিল; গ্যাসের ব্যথা নয়।
    সর্বপরি একটা জিনিস আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেমন আমাদের দেশে কোনো গ্রস নেগ্লিজেন্সের জন্য কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ কয়েক কোটি হবে কেন? মানে, আই মিন,কয়েক হাজার , কয়েক লক্ষ বা কয়েকশ কোটি নয় কেন?
    কোনো গরিব মানুষ মারা গেলেও কি কোর্ট কয়েক কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে বলে? ট্রেন এক্সিদেন্তে কেউ মারা গেলে কি সরকার কয়েক কোটি ক্ষতিপূরণ দেয় বা ভিন্ন ব্যক্তি কে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষতিপূরণ দিতে বলে ?
  • pi | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৬:২৬66106
  • বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু হলে এরকম আক্রমণ হয় ?
  • কল্লোল | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৬:৫২66107
  • রুবীতে হলো তো কদিন আগেই। তাও মৃত্যুর খবরটা গুজব ছিলো।
  • pi | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৭:০৩66108
  • রুবিরটা পড়েছিলাম। সেটা মূলত তিনো তাণ্ডব।ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে। কিন্তু এমনিতে সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর সাধারণ মানুষের যে পরিমাণ ক্ষোভের প্রকাশ দেখি , সেরকম ওখানে হয় কি ? মানে, টাকাপয়সা বেশি চার্জ করা, ভুল চিকিৎসা এসব নিয়ে তো বেসরকারি হাসপাতাল নিয়েও অভিযোগ কম নেই। পেটানো , ভাঙচুর করার কথা একেবরেই বলছিনা, কিন্তু লোকজন সেসব মোটামুটি মেনেই নেয় দেখেছি। সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থার উপর ঝাড়টা বেশি আসে, এবং তাও, ঐ অনীক যেমন লিখেছে, তলিয়ে সত্যিকারের কারণ না দেখে ঐ সব ব্যাটা ছেড়ে জুনিয়র ডাক্তারদেরই ধর মোডে।
  • sm | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৭:০৪66109
  • বেসরকারী হাসপাতালে এমন ঘটনা খুব কম হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয়; তা হলো পয়সা নিয়ে ঝামেলা বা মৃত ব্যক্তি কে আটকে রাখা ( পেমেন্ট না মেটা অবধি) এইসব কারণ।
    এর সঙ্গে রয়েছে, স্থানীয় থানার সঙ্গে হাসপাতালের কতৃপক্ষের ভালো যোগাযোগ ও রাজনীতিবিদ দের সঙ্গে সখ্যতা।

    সরকারী হাসপাতালের ব্যাপার টা অন্য রকম। এখানে জুনিয়র ডাক্তার রা হলো ব্যাকবোন। কিন্তু সবাই মিলে তাদের চুষে, চেটে ছিবড়ে করে ফেলেছে। এমন নয় যে তাদের দোষ নেই; তবে সে ব্যাপারে পরে আসছি।
    প্রথম কথা হলো মডেল টা ত্রুটি পূর্ণ।
    ওয়ার্ড ডিউটি করার সময়, অফিস আওয়ার্স বাদ দিয়ে প্রায় পুরোটা সামলায় জুনিয়র ডাক্তার রা। আর এম ও / আর এস রা সংখ্যায় অপ্রতুল। কন্সাল্ত্যান্ট রা বাড়িতে থাকে বা প্রাকটিস করে। বাই রোটেশন এই সিনিয়র লোকদের একসঙ্গে ডিউটি করানো উচিত।
    এরপরে আছে কিছু প্যারা মেডিকেল সাবজেক্ট। যেমন প্যাথলজি, ফার্মা, মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি । এদের সঙ্গে ক্লিনিকাল ডিসিপ্লিন এর কোনো যোগাযোগ নেই। এরা দশ টায় কাজ করতে এসে একটায় বাড়ি চলে যায়( প্রত্যেকে নয়)।
    এরা মাস গেলে মোটা বেতন পান। এদের কে ইউটিলাইজ করা হয়না। অথচ এদের উচিত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে প্রেসক্রিপশন চেক করা, মেডিসিন ডোজে ভুল থাকলে সংশোধন করা, সঠিক এন্তিবীয়তিক প্রেসক্রাইব করার পরামর্শ দেওয়া; ইত্যাদি প্রভৃতি।
    দ্বিতীয়, নার্স দের আরো পাওয়ার দেওয়া । যাতে করে তারা কিছু লিমিটেড মেডিসিন প্রেসক্রাইব করতে পারেন বা ক্লিনিক চালাতে পারেন।
    যেমন ধরুন,সি ও পি ডি ক্লিনিক, হার্ট ফেইলীয়র ক্লিনিক, অস্টিওপরোসিস ক্লিনিক ইত্যাদি। কারণ তারা হয়ত বেশ কিছু বছর উক্ত রোগ বা দিপার্তমেন্তের সঙ্গে যুক্ত।
    আর একটা দিক যেটা চোখে পড়ে , তা হলো আন ওয়ান্টেদ লোকজনের যত্র তত্র প্রবেশ। বেসরকারী হাসপাতলে কিন্তু কার্ড হোল্ডার ছাড়া রোগীর পরিজন গ্রাউন্ড ফ্লোরের ওপরে উঠতে পারেনা। সরকারী হাসপাতালেও, ক্যাসুয়াল্তির ঠিক আগে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। খালি আউট ডোর কে এই সিস্টেমের বাইরে রাখতে হবে।
    সর্বপরি জুনিয়র ডাক্তার দের উচিত নরম সরম ব্যবহার করা। রোগীর পরিজন ও রোগী কে রোগ সম্মন্ধে ডিটেলে বলা ও কি কি ঔষধ লেখা হচ্ছে, সে সম্মন্ধে অবহিত করা। কড়া মেজাজ আখেরে বিপদ ডেকে আনে। তারা বেতন ভুক কর্মী; কাউকে দয়া করছেন না।
    সর্বপরি, হাসপাতালের চত্বর ও ওয়ার্ড গুলি সি সি টি ভি তে মুড়ে ফেলতে হবে। ভবিষ্যতে রোগীর পরিজন দুর্ব্যবহার করলে যেমন ধরা যাবে, আবার স্বাস্থ্য কর্মীরাও এলার্ট থাকবেন।
    রোগীর আত্বীয় সজন, অনেক সময়েই ইচ্ছা কৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে ( অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিস ইন্ফর্মদ হয়ে)চড়াও হন।
    তাদের প্রাপ্য কড়া শাস্তি ।
  • b | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৮66110
  • আমার বন্ধুর বাবা সরকারী হাসপাতালে কাজ করতেন। ঐ অঞ্চলে খুব নামকরা শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। একবার একটা কাজে ওনার সাথে দেখা করতে যাই। ওনার তখন আউটডোরে কন্সালটেন্সি। তিন ঘন্টা ডিউটি, দেখাচ্ছে ১৫০ জন। মানে রোগী পিছু গড়ে এক মিনিটের একটু বেশি। উনি বলেছিলেন, কি করব বলো, সবাইকেই ওপর ওপর দিয়ে দেখি, ওভাবেই অ্যাভারেজ ওষুধ লিখি। যাদের মনে হয় কেসটা জটিল, তাদের একটু বেশি সময় দিই।
  • Anik Chakraborty | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১১66111
  • প্রথমত, বেসরকারী নার্সিংহোমে কোনও 'জুনিয়ার ডাক্তার' থাকেন না। আর দ্বিতীয়ত, সেখানে পরিবেশটাই কেমন একটা মিষ্টি মিষ্টি, ঝাঁ চকচকে ব্যাপার স্যাপার। যাদের ট্যাঁকের জোর আছে, তারাই আসেন বেসরকারী জায়গায়। সেখানে কিন্তু সরকারী হাসপাতালের থেকে অনেক বেশী পরিমাণে irrational চিকিৎসা হয়। কিন্তু একইসাথে, অনেক বেশী পরিমাণে ভদ্র ব্যাবহারও করা হয়, সময় নিয়ে রোগ তার আনুষঙ্গিক দিক গুলো, চিকিৎসাপপদ্ধতি বুঝিয়ে সুঝিয়ে দেওয়া হয় রোগী ও তার পরিজনদের। তাই লোকের এই 'মার শালা চোরেদের' ব্যাপারটাও কম। একটা মিউচুয়াল ব্যাপার আর কী। আমি তোমাদের টাকা দিচ্ছি, তুমি আমাকে পরিষেবা দাও। সরকারী হাসপাতালে ব্যাপারটা এরকম আদৌ নয়। সেখানে মানুষ তিন ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে, ঝগড়া করে দু'টাকা দিয়ে টিকিট করিয়ে তার আরও চারঘন্টা পরে পাঁচমিনিটের জন্য 'বড় ডাক্তারবাবু' কে দেখান। একটা চাপা ক্ষোভ থাকেই। সেটাই পরে জুনিয়র ডাক্তারের ওপর নেমে আসে
  • sm | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:৩৪66112
  • বেসরকারী নার্সিং হোম জুনিয়র ডাক্তার থাকে তো। হয় হাউস স্টাফ নামে বা আর এম ও নামে থাকে। এরা সরকারী হাসপালের জুনিয়র ডাক্তার দের চেয়েও বেশি নিস্পেষিত। বেতন কম, ডিউটির ঠিক ঠিকানা নেই; উল্টে আছে ম্যানেজার ও কনসাল্টেন্ট দের চোখ রাঙ্গানি। কারণ পেশেন্ট আসে কনসাল্টেন্ট এর থ্রু দিয়ে।
    এখানে সরকারী হাসপালের মতন জুনিয়র ডাক্তার দের রংবাজি ও চলে না; কারণ তারা সংখ্যা লঘিষ্ঠ। একটু বেগর বাই করলে চাকরি থেকে নট।
    তবে পেশেন্ট রা বা পেশেন্ট পার্টি খুব আমদে থাকে তা নয়। কারণ এই হাসপাতাল গুলো একেবারে ডাকাত। দিনে দুপুরে গলা কাটে। পেশেন্ট ঢুকলেই নানা ছুতো নাতায় লক্ষ টাকার বিল। এযেনো এ সি রেস্টুরান্তে খাওয়ার মতন ব্যাপার।
    যে আল্ট্রা সাউন্ড বাইরে ৮০০ টাকা, বড় হাসপাতাল নেবে দু হাজার। ব্লাড টেস্ট তিন গুনের বেশি চার্জ করে।
    প্রশ্ন তাহলে লোকে যায় কেন?
    ওই কতক গুলো বাঁধা ধরা কারণ। ওপর থেকে ক্লিন। সরকারী হাসপাতাল গুলো তুলনায় নরক। আমি তো কোনদিন কল্পনাতেও সরকারী হাসপাতালের টয়লেট ইউস করতে পারবো না।
    তার উপর রয়েছে সরকারী স্বাস্থ্য কর্মীদের অকারণে বদ মেজাজ। রোগ কি, জিগালে বলে; যদি বলি পোর্টাল হাইপার টেনশন , কি বুঝবেন?হক কথা। কিন্তু পেশেন্ট কে নিজের ভাষায় বুঝিয়ে বলা স্বাস্থ্য কর্মীর কর্তব্য। এতে অর্ধেক কনফিউশন দূর হয়।অন্য প্রফেশন ভ্যারেন্ডা ভাজে কিনা,পুলিশ কেন কটুক্তি করে; এইসব হাবি জাবি ভেবে লাভ নেই।
    কারণ এটা একটা উচ্চ মানের প্রফেশন; তাই ডিমান্ড ও খুব বেশি।একজন ডাক্তারের জটিল রোগ ধরে চিকিত্স্যা করে পেশেন্ট কে ভালো করে যে অনাবিল আনন্দ লাভ করে ; সেটা পুলিশ চোর ধরে বা উকিল মিথ্যা সওয়াল করে কোনদিনই পাবে না।
    মনে রাখতে হবে বেশির ভাগ রুগী গ্রাম থেকে বা দুরান্তের পেশেন্ট। তারা চিকিত্স্যা করাতেই এসেছে; ঝামেলা করতে নয়।
    তবে ইচ্ছকৃত গন্ডগোল কারী, পেশেন্ট পার্টির দাওয়াই; কড়া শাস্তি। এটা আটকানো সম্ভব , ভালো করে স্ক্রিন করা ও যত্র তত্র প্রবেশাধিকার বন্ধ করা।
  • জানি না তো, তাই... | ***:*** | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:৫৬66113
  • একটু আলাদা প্রসঙ্গ,
    "সেখানে কিন্তু সরকারী হাসপাতালের থেকে অনেক বেশী পরিমাণে irrational চিকিৎসা হয়।"
    মানে বেসরকারি তে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুও হয় নিশ্চয়?
    যদি সত্যিই ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে এযাবৎ কালে, তাহলে কি সেই ডাক্তার-এর সঠিক বিচার হয়? মানে জানতে চাইছি medical council of india অথবা কোর্ট সেই ডাক্তারের বড় কোনও শাস্তি বা লাইসেন্স ক্যান্সেল করে দেওয়ার মতো উদাহরণ কি আছে? থাকলে statisticsটা কীরকম?
    অনুরাধা সাহা-র কেস-এ বোধহয় লাইসেন্স ক্যান্সেল-এর কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই না? বোধ হয় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল ডাক্তার দের।
  • pi | ***:*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:৪৯66116
  • এই খবরটা সত্যি ?
    এ বার ‘কনে দেখাতে’ জুনিয়র ডাক্তারদের ‘ডেমনস্ট্রেটর টিউটর’ সাজতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ আনলেন জুনিয়র ডাক্তারদেরই একাংশ।....ক্ষুব্ধ পিজিটি-দের ওই অংশের বক্তব্য, ‘‘আমাদের শাঁখের করাতের দশা। কলেজে কর্তৃপক্ষ ও সিনিয়রদের কথা মেনে না নিলে স্নাতকোত্তরে পাশ করা বা হাসপাতালে কাজ করা দুষ্কর হবে, আবার তাঁদের কথা মেনে এমসিআই-এর কাছে লিখিত ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরে তা ফাঁস হয়ে গেলে রেজিস্ট্রেশনই বাতিল হয়ে যেতে পারে।’’ তাঁদের কথায়, ‘‘সব সময়ে বলির পাঁঠা হিসেবে আমাদেরই এগিয়ে দেওয়া হয়। এমসিআই তো সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে নিয়ম অনেক শিথিল করেছে। ২০০ জন পড়ুয়ার জন্য এখন ১৬৭ জন শিক্ষক হলেই হয়। তার পরেও কেন স্বাস্থ্য দফতর পরিকাঠামো ঠিক করছে না বা যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক চিকিৎসকের ব্যবস্থা করছে না? আমরা ধরা পড়ে গেলে কী হবে?’’
    http://www.anandabazar.com/health/%E0%A6%95%E0%A6%A8-%E0%A6%B8-%E0%A6%9C-%E0%A6%B0-%E0%A6%AC-%E0%A6%B0-%E0%A6%A6-%E0%A6%A7-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AC-%E0%A6%A6-%E0%A6%9C-%E0%A6%A8-%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A6%A6-%E0%A6%B0-1.208325

    তবে জুনিয়র ডাক্তার না হোক, রিটায়ার্ড ডাক্তারদের ধরে এনে দেখানোর হাতে গরম নিদর্শন দেখেছি, অন্য রাজ্যে ;)

    তবে এই ডেমন্স্ট্রেস্টর টিউটরের সংখ্যায় ঘাটতির কারণটা কী ? প্যানেল বানাতে প্রশাসনিক গাফিলতি ?
  • sm | ***:*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২১66117
  • এম সি আই এরকম অদ্ভুত পরিদর্শনে আসে কেন? ঠিক যেন বাজারে মাছ কিনতে বেরিয়েছে। এটা হলো তথ্য প্রযুক্তির যুগ।
    এম সি আই, সমস্ত মেডিকেল কলজ গুলোর শিক্ষক শিক্ষিকা ও পি জি টি দের নাম, ধাম, নিয়োগপত্রের কপি তার ডেটা বেসে রেখে দিতেই পারে।
    দরকার পড়লেই সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বা ভারপ্রাপ্ত অফিসার কে তলব করতে পারে। তা না করে মাঝে মধ্যে ঢু মেরে মাথা গোনার কোনো মানে হয়? কোনো নির্দিষ্ট কলেজ পরিদর্শনে গেলে, কেউ অন্য কলেজ থেকে শিক্ষক এনে দাঁড় করিয়ে দিতেই পারে।
    এটা কি চোর পুলিশ খেলা নাকি?
    আর কতৃপক্ষ বাধ্য করলেও, কোনো পিজিটির, কোনো অবস্থাতেই উচিত নয় সামনে গিয়ে দেমন্সত্রেতর হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়া।
    কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত নিয়মিত টাকা (অনুদান) সাপ্লাই করে মেডিকেল কলেজ গুলোর পরিকাঠামো উন্নত করে রাখা।
    ভারতে হেলথ বাজেট কিরকম কম সবাই জানে। ধুঁকতে থাকা শিল্পের মতন অবস্থা মেডিকেল কলেজ গুলোর।
    রাজ্যের ঘাড়ে সব কিছু চাপিয়ে দিলে হয় নাকি?
  • জানি না তো তাই | ***:*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৮66118
  • @sm " লাইসেন্স বাতিল হয় এক্সট্রিম কেসে; মূলত ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স ও গ্রস নেগলিজেন্স এর ক্ষেত্রে।"
    আমাদের দেশে এরকম কোনও উদাহরণ কী আছে? সেটার স্ট্যাট-ই জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের দেশেও "গ্রস নেগ্লিজেন্স" বা "ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স" হয় নিশ্চয়ই, তা সে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিই করুক বা পুরো টিম তথা হাস্পাতাল-ই করুক। আগ্রহটা দেশে এরকম ভার্ডিক্ট আদৌ আছে কিনা সে ব্যাপারে।
  • sm | ***:*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:০৩66119
  • প্রচুর ডাক্তারের লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হয়েছে;এটা গুগল সার্চ করলেই পাওয়া যাচ্ছে।বিভিন্ন ব্যক্তি কে বিভিন্ন সময়ের জন্য। তবে স্টেট মেডিকেল কাউন্সিল আর এম সি আই যেহেতু ভিন্ন ভিন সংস্থা ;তাই প্রকৃত নাম্বার কত খুঁজে বার করা কঠিন।
    যদি আর টি আই ফাইল করেন; তাহলে নিশ্চয় সংখ্যাটা কত জানতে পারবেন।
  • pi | ***:*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:৩০66120
  • আর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগের ক্ষেত্রে তাহলে মূল সমস্যা, রোগীর চাপের তুলনায় চিকিৎসকের ঘাটতি মনে করা যেতে পারে ?

    তো, এই ঘাটতি কি শুধু বাজেট সংক্রান্ত ইস্যুতে ? সব পদ ভর্তি ?
  • lcm | ***:*** | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৭66122
  • বোঝো! কি আয়রনিক
  • | ***:*** | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৫:২১66123
  • আচ্ছ এই 'চিকিৎস্যা' কী? একেবারে স্যা স্যা টাইপের চিকিৎসা?
  • pi | ***:*** | ১৬ জুন ২০১৯ ০৮:৫২66124
  • এই লেখাটাও তুলি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন