এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • পৃথিবী এবং পরিবেশ নিয়ে কিছু অসংলগ্ন বিলাপ

    priyak mitra লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ অক্টোবর ২০১৬ | ১৭৮৩ বার পঠিত
  • "মানুষ যে মাটিকে কাঁদাল
    লুট করে মাটির জীবন
    সে মাটি শুভেচ্ছা পাঠাল
    ঘাসের সবুজে প্রাণপণ"
    -কবীর সুমন

    টি এস এলিয়ট এপ্রিলকে বলেছিলেন ক্রুয়েলেস্ট মান্থ,আর নাসার সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস হল 'হটেস্ট মান্থ এভার', অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত উষ্ণতম মাস।
    এরকম একটি ঘটনায় চমকে গেছেন তাবৎ বিজ্ঞানীকুল। জার্মান আবহাওয়াবিদ স্টেফান রাহমস্টর্ফ বলেছেন এইমুহূর্তে আমরা সকলেই রয়েছি 'ক্লাইমেট এমারজেন্সি'-র মধ্যে।

    গার্ডিয়ান পত্রিকার যে প্রবন্ধ থেকে এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই প্রবন্ধেই বলা হচ্ছে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড মাত্রাছাড়া হয়ে পড়ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড। তা ক্রমাগত পৃথিবীর বায়োস্ফিয়ারে মিশে যাচ্ছে এবং সমুদ্র ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গলে যাচ্ছে আর্কটিকের বরফ। দুই দশকের বেশি সময় যাবৎ জাতিপুঞ্জ আবহাওয়ার এমন ভয়ঙ্কর পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছে।

    পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি, শুধুই শুকনো তথ্য এবং পরিসংখ্যান দেওয়া নয়, কিছু ভাবনাকেও উসকে দিতে চেয়েই লিখতে বসা। যে তথ্যগুলো জানালাম সেটা মূলত পরিস্থিতির তীব্রতা বোঝানোর জন্য। এই ভয় ধরিয়ে দেওয়া অবস্থা তৈরি হল কীভাবে? আসলে এই 'ধ্বংসের দায়ভাগে' আমরা সকলেই 'সমান অংশীদার'। এটুকু অন্তত স্বীকার করে নিয়ে এগোনো উচিত। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন 'অ্যানথ্রোপসিন ',অর্থাৎ এইসময় দাঁড়িয়ে মানুষই আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। যা কাঙ্খিত নয়। আজ পৃথিবীজুড়ে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে নির্বিচারে। যেমন ধরা যাক আমাজনের সতেরো শতাংশ অরণ্য অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেছে বিগত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে। গোটা বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৫০০০০ হেক্টরের বেশি জঙ্গল ধ্বংস হয়। লোকালয় এবং জঙ্গলের সহবাস বিশ্বের বহু জায়গায় দেখা যায়। কিন্তু যে সমস্যা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে তা হল এই সহাবস্থানে প্রকৃতি এবং বসতি একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারছে না। বহুক্ষেত্রেই চাষআবাদ অথবা পশুচারণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বনাঞ্চল এবং তার ফলে প্রয়োজন হয়ে পড়ছে সেইসব বনাঞ্চল সাফ করারও। এপ্রসঙ্গে মনে করা যায় গ্যারেট হার্ডিনের একটি তত্ত্ব, ট্র্যাজেডি অফ কমনস। যেখানে হার্ডিন বলছেন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত যেসব সম্পদ, যার মধ্যে প্রকৃতিও অন্তর্ভুক্ত, সেই সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহারের তাগিদ জন্মায় মানুষের মধ্যে। আর তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশ। কিন্তু এই ট্র্যাজেডি অফ কমনস কি বিশ্বায়ন পরবর্তী দুনিয়াতেও প্রযোজ্য? যেখানে জঙ্গল কেটে চাষজমি তৈরি হচ্ছে বা গৃহপালিত পশুদের চরানো হচ্ছে সেসব জায়গার কথা বাদ দিচ্ছি। কিন্তু যেসব জায়গায় শিল্পায়নের জন্য নির্বিচারে বনজ সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে? ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় তেলকল তৈরির উদ্দেশ্যে বিস্তীর্ণ জঙ্গলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ব্রাজিল,কঙ্গো বেসিন,ইন্দোনেসিয়া,পূর্ব রাশিয়ার জঙ্গলজুড়ে চলছে কাঠের চোরাচালান। ভারতবর্ষে উত্তরাখন্ডের জঙ্গলে আগুণ লাগার পেছনেও কাঠ চোরাচালানকারীদের হাত ছিল বলে ধারণা করা হয়েছিল। অথচ এইসমস্তকিছুর ফলে প্রবলভাবে বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ভারতবর্ষে একটি ডায়মন্ড মাইনিং প্রকল্পের জন্য মধ্যপ্রদেশের প্রায় ৪৯০০০ হেক্টর জঙ্গল ধ্বংস করার ধুয়ো ওঠায় সিঁদুরে মেঘ দেখছিলেন পরিবেশদরদীরা। ভাগ্যক্রমে সরকার এই প্রকল্পে সিলমোহর দেয়নি। এই বিস্তীর্ণ অরণ্যভূমি বাঘেদের নিশ্চিন্ত নিরাপদ চারণভূমি। এমনিতেই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের তালিকাভুক্ত হয়ে থাকা রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রজাতিটি আরও বিপন্ন হয়ে পড়ত এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে। তবে এখনও বাংলাদেশ এবং ভারতের ব্যাপক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ম্যানগ্রোভ অরণ্য,ভয়ঙ্কর সুন্দর সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে দুদেশেই চলছে প্রতিরোধ। বাংলাদেশে ছহাজার এবং ভারতে চারহাজার চারশো, কব সবমিলিয়ে দশহাজারচারশো বর্গকিলোমিটার বিস্তৃতির এই অরণ্য ধ্বংস হয়ে গেলে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণ তো ধ্বংস হবেই, পরিবেশের ভারসাম্যও ব্যহত হবে। যদিও সম্প্রতি ইউনেস্কো এই প্রকল্পকে পরিবেশবিরোধী বলে ঘোষণা করেছে, কিন্তু তাতে শাসকের মন টলে কিনা তা লক্ষণীয়। পৃথিবীজুড়েই অরণ্য অঞ্চলগুলি যত বিনষ্ট হচ্ছে তত বিপদসীমা অতিক্রম করছে পরিবেশের এই ভারসাম্যহীনতা। এই পৃথিবীব্যাপী গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর রক্তচক্ষুর সামনে দাঁড়িয়ে এ একপ্রকার আত্মহনন ব্যাতীত অন্য কী?

    হার্ডিনের তত্ত্বকে কারা সমর্থন করবেন বা করবেন না তা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়, এই তত্ত্বের মধ্যে যে আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত রয়েছে তা এড়িয়ে গিয়ে আমরা একটি সারবস্তু বেছে নিতে পারি। তা হল মানুষ এবং প্রকৃতির সহাবস্থান কীভাবে ঘটবে? কৃষি এবং শিল্প দুইয়ের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেও আমরা কি পরিবেশকে আগলে রাখার চেষ্টা করতে পারি না? সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট,অর্থাৎ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়নের তত্ত্ব সম্পর্কে অনেকেই অবিদিত। কিন্তু সে তত্ত্ব নেহাতই আটকে থাকছে অ্যাকাডেমিক চর্চার ঘেরাটোপে। 'ইন্ডিয়া: ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেশন' বইতে জঁ দ্রিজ এবং অমর্ত্য সেন প্রকৃতি এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবজীবনের ওপর সর্বগ্রাসী উন্নয়নের প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার কোনো চেষ্টা কোথাও দেখা যায়না। একইসঙ্গে ভাবা উচিত যেখানে অরণ্য এবং মানুষ পাশাপাশি রয়েছে সেখানে কী হতে পারে তাদের ভেতরকার সম্পর্ক? সম্প্রতি কাজিরাঙ্গায় জঙ্গল সংলগ্ন কিছু বসতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে দুজন মানুষের প্রাণ নিয়েছে শাসক, এ ঘটনা ভয়ঙ্কর নিন্দনীয়, কিন্তু এও তো ঘটনা যে অরণ্য সংরক্ষণের স্বার্থে ওই বসতির উচ্ছেদ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কী পদ্ধতি অবলম্বন করলে মানুষ এবং পশুর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার আশু প্রয়োজন আছে। আদিম যুগ থেকেই প্রকৃতি এবং মানুষের সংঘাত চলছেই। কীভাবে বিশ্বায়িত বিশ্বের থেকে কোটি যোজন দূরে মানুষ প্রকৃতিকে যুঝে তার সঙ্গেই বেঁচে থেকেছে তার নজির মেলে আফ্রিকার লোককথা বা আমাদের রায়মঙ্গল জাতীয় মঙ্গলকাব্যে। তাহলে এই সমস্যাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যায়? এখনও বহু জায়গায় হিংস্র বন্যপ্রাণের সঙ্গে যুঝতে হয় মানুষকে। ভারতবর্ষে ডুয়ার্স বনাঞ্চলে হাতির হানায় বহু শস্যক্ষেত্র নষ্ট হয়, সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বা মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হওয়ার ঘটনাও নেহাত কম নয়। কিন্তু এসব অঞ্চলের স্থানীয় মানুষরা কিন্তু পরম মমতার চোখে দেখেন বন্যপ্রাণীদের। তাও চোরাশিকার রোধ করা যায়না। এই শিকার কারা করেন? ব্যাধ বা নিষাদরা তাদের জীবিকানির্বাহ করতেন শিকার করে, আর রাজারাজড়াদের কাছে মৃগয়া ছিল শখ আহ্লাদ। এ থেকেই বোঝা যায় তথাকথিত সভ্যসমাজের এ বিষয়ে কী ভূমিকা। প্রযুক্তি এবং পুঁজিতে প্রথম বিশ্বকে টক্কর দেওয়া রাষ্ট্র চীনে বাঘেদের জন্য রয়েছে কসাইখানা। থাইল্যান্ডের 'টাইগার টেম্পল'এ ফ্রিজের মধ্যে ব্যাঘ্রশাবকদের রেখে দেওয়ার ঘটনা হয়তো অনেকেরই স্মৃতিতে টাটকা। লাওসের সরকার তাদের টাইগার ফার্মগুলিকে বন্ধ করার রাস্তায় এগিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাঘেদের কেন্দ্র করে এই বেআইনি বাণিজ্যের বাজার তাহলে কিছুটা থমকাবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মানুষ প্রকৃতি বন্যপ্রাণীদের সম্পর্ক তাহলে প্রকৃতপক্ষে কোথায় দাঁড়িয়ে? এর উত্তর খুঁজবেন পরিবেশবিদরা, কিন্তু প্রশ্নগুলো অন্তত তুলে রাখা যাক, তৈরি করে রাখা যাক চর্চার পরিসর।

    যুদ্ধের দামামা বাজছে ভারত পাকিস্তান জুড়ে, এইমুহূর্তে। জল জমি জঙ্গল পরিবেশ সংক্রান্ত দাবিগুলো ঢাকা পড়ে যাবে উগ্র জাতীয়তাবাদের হুঙ্কারের তলায়। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধে পরিবেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এসেছে সময়বিশেষে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় 'এজেন্ট অরেঞ্জ' নামক একটি হার্বিসাইড ব্যবহারের পরিবেশ যেভাবে বিষাক্ত হয়েছিল তা ইতিহাস জানা ব্যক্তিদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে না। গালফ্ ওয়ার বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও প্রভূত রাসায়নিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল। আর এইভাবে পরিবেশের ক্ষতিসাধন হলে মানুষ তার আঁচ এড়িয়ে বাঁচতে পারেনা। হিরোশিমা নাগাসাকি সাধারণ জ্ঞানের বিষয় হয়ে উঠেছে এখন, কিন্তু অনেকেই জানেন না যে জাদুগোড়ায় কীভাবে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের শিকার হচ্ছে শিশুরা।

    ডিপ ইকোলজির তত্ত্বের আমদানি করেছিলেন আর্নে নায়েস, ১৯৭৩ সালে। অনেকেই একে মানুষবিরোধী বলে ভেবে নিয়েছেন, কিন্তু আদতে এই তত্ত্ব এইটুকুই বলতে চেয়েছিল, "পৃথিবীটা পাখি গাছ মানুষ সবার"। মজার বিষয় টেকনোলজির অগ্রগতি থেমে নেই, এবং একইসঙ্গে বেড়ে চলেছে মানুষের মনোজগতের সমস্যা। মৌলবাদ, উগ্রপন্থা,গণহত্যা,অনাহার দুর্ভিক্ষের মতন বৃহৎ সামাজিক সমস্যার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে মানসিক রোগ। প্যানপটিকানের ছোট ছোট খুপরিতে বন্দী থেকে মানুষ ক্রমশ বিচ্ছিন্নতার পাঠ নিচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে পরিবেশই একমাত্র মুক্তির আয়ূধ হয়ে উঠতে পারে, আমরা এই অদ্ভুত আঁধারে দাঁড়িয়ে একবার যদি ভেবে দেখি এইভাবে , তাহলে খুব ক্ষতি হবে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ অক্টোবর ২০১৬ | ১৭৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | ***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৩৮58861
  • এই খবরটাও এখানে থাক।
    http://motherboard.vice.com/read/goodbye-world-weve-passed-the-carbon-tipping-point-for-good

    পরিবেশ নিয়ে কথা উঠলেই এতো বেশী করে "উন্নয়ন"এর কথা ওঠে যে এখন হতাশ আর বিরক্ত লাগে।

    হয়তো আর ফিরে যাবার রাস্তা নেই। আমরা নিশ্চিতভাবে আর একটা ধ্বংসের দিয়ে এগোচ্ছি।
  • avi | ***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২১58862
  • মূল লেখাটা তেমন জমলো না। এই বিষয় নিয়ে এখানেই আগে অনেক তথ্যবহূল আলোচনা পড়েছি। এতে খুব সিলেক্টিভ, এবং কিছু ক্ষেত্রে কল্পিত তথ্য ও অ্যাসাম্পশন পেলাম।
  • নন্টে | ***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২৭58863
  • এবিষয়ে জমাট তথ্যবহুল লেখার প্রয়োজন নেই, মোদ্দা কথা উন্নয়ন বলতে কি বুঝব? দুর্ভাগ্য ও নিয়ে সৎ আলোচনায় আমরা উৎসাহী নই।
  • সন্দীপ বেরা | ***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০১৬ ০৬:৩৭58864
  • আমরা জঙ্গলমহল বাসী প:ব: এর থেকে আলাদা হতে চাই ।।।
    কোলকাতা প্রতি নিয়ত আমাদের লুটে চলেছে সেই ব্রীটিসামল থেকে ।
  • avi | ***:*** | ০৭ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪১58865
  • কিন্তু এখন তো পাহাড়, জঙ্গল সব হাসছে জানি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন