এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অথ-ভোট-কথা:পাগল

    priyak mitra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ মে ২০১৬ | ১৫২৯ বার পঠিত
  •      পাড়ায় তৃণমূলের দেওয়াল হয়েছে কয়েকবছর হল। তেরো বছর টানা প্রবাসে কাটিয়ে পাড়ায় ফিরে পাড়াটাকে কেমন অচেনা এবং অভিমানী লাগছে সৌম্যর। রাস্তাঘাট,দোকানপাটের চরিত্র পাল্টেছে। তবে মানুষজনের চরিত্র যে বিশেষ পাল্টেছে এমন নয়।  রণেনজ্যাঠা আগের মতই কাঁটাপুকুরের রকে বসে ফুট কাটেন এবং লোকে আগের মতই তাকে পাত্তা দেয়না।  ভদ্রলোকের বয়স বেড়েছে স্বাভাবিক নিয়মে,ফুট কাটার অভ্যেসটা যায়নি। দুনিয়াসুদ্ধু সকলেই ভুল,ঠিকের হদিশটা একমাত্র উনি জানেন-এই ভাবটা আর গেল না। কেউ পূর্বদিকে যেতে চাইলে উনি তাকে দক্ষিণ-পশ্চিমে যেতে উপদেশ দেবেন,কেউ শেতলামন্দিরে পুজো দিতে যেতে চাইলে তাকে
    শিবমন্দিরে পাঠাতে তৎপর হবেন,কেউ চাল কিনতে চাইলে তাকে লঙ্কা কেনাতে উদ্যোগী হবেন,কেউ ঘোষডাক্তারের কাছে যেতে চাইলে উনি তাকে ডাঃ চ্যাটার্জীর কাছে পাঠিয়েই ছাড়বেন। এর উল্টোগুলোও করে থাকেন। কোনো পক্ষপাত নেই অকৃতদার রণেনজ্যাঠার। পথচারীরাও ভদ্রতাবশত "হেঁ হেঁ" করে সৌজন্য রক্ষা করেন। বল্লালদা এখনও মোহনবাগান হারলে মনখারাপ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান,রাস্তায় সুকুমার ছোঁড়া স্যাডিস্ট মজা নেওয়ার জন্য টিটকিরি কাটলে বল্লালদা এখনও হাত পা ছুঁড়ে কাঁচা খিস্তি সহযোগে ইস্টবেঙ্গলের বাপের শ্রাদ্ধ করেন। বই বাঁধাইয়ের দোকানটাও একইরকম রয়ে গেল,রোজ সন্ধ্যেবেলা একটা টিমটিমে আলো জ্বলে দোকানটার ভেতর,প্রাক্তন অধ্যাপক অরুণেন্দুবাবু এখনও শূন্য দৃষ্টি মেলে বসে থাকেন দোকানের বাইরের চেয়ারটায়। এদের সকলেরই শুধু বয়সটাই বেড়েছে,যেভাবে গোটা পাড়াটার বয়স বেড়েছে। ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে এখন মুদির দোকানেও ব্যালান্স ভরা যায়,সকলেরই হাতে কমবেশি মোবাইল,ওটুকুই। একটা রোলের দোকান উঠে গিয়ে সুগার এন্ড স্পাইস হয়েছে,ওষুধের দোকান এবং সেলুনে এসি বসেছে। এরকম খুচরো কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ল বটে।
               এতরকম পরিবর্তন অপরিবর্তনের মাঝে দেওয়ালের দখলিস্বত্ত্ব পাল্টেছে দেখে বিশেষ অবাক হয়নি সৌম্য। পালাবদলের খবর সে ওদেশে বসেই পেয়েছিল,যদিও বাম আমলের শেষ কয়েক বছরে এরাজ্য,বা বলা ভালো গ্রামবাংলার উত্তাপ সে বিশেষ টের পায়নি। তার বাড়িতে সিপিএম নিয়ে বিশেষ আদিখ্যেতাও ছিল না,যদিও ভোট প্রতিবছর নির্দিষ্ট জায়গাতেই পড়ত। এপাড়ায় 'পরিবর্তন'-এর বিশেষ কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে বড়রাস্তা একটু ছাড়িয়ে গেলে গলির ভেতর জেলেপাড়া বস্তি। সুধীজনেরা বলে থাকেন,জেলেপাড়া হল এই এলাকার ওয়াটারলু,অর্থাৎ জেলেপাড়া দখল হলে এলাকা দখল। আসল খেলাটা হয় সেখানেই। ওই বস্তি যেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি,তার পেটের মধ্যে লাভা উদগীরণ হয়েই চলেছে,সে লাভার টুকরো কখনও সখনও বড়রাস্তায় এসে পড়ে বটে,তবে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়না তার দৌলতে। 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর'সুলভ মাস রেটে রক্তারক্তির সিন এখানে কল্পনা করা কষ্টকর।  কলকাতার কোনো অংশেই তেমন এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাস হয় বলে জানা নেই। সত্তরের কাশীপুর বরানগর ছাড়া বঙ্গজনের স্মৃতিতে তেমন কোনও দগদগে ঘা আছে বলে তো মনে পড়েনা। তবে সত্তরে এই এলাকাও পিছিয়ে ছিলনা,এ পাড়াটা ছিল ওসময় নকশাল অধ্যুষিত,এপাড়ায় সিপিএম নকশাল এনকাউন্টার তখন নিয়মিত(কংগ্রেস সেভাবে ছিলনা)। তারপর সিদ্ধার্থ রায়ের আমলের পাঁচবছরে সিপিএম নকশাল ফরওয়ার্ড ব্লক নির্বিশেষে সমস্ত বামঘেঁষা পাবলিক পাড়াছাড়া হয়। কেউ কেউ বুকের পাটার জোরে থেকেও যান। সাতাত্তরের পর থেকে প্রাক্তন নকশালরা সিপিএমের দিকে ঝুঁকে পড়েন,ধীরে ধীরে এপাড়ায় সিপিএমের প্রভাবটা সর্বাত্মক হয়। তবে সে প্রভাব যে খুব রাজনৈতিক ছিল এমন নয়। শুধু রক্তদান শিবিরের আধিক্য বেড়ে গিয়েছিল প্রবল পরিমাণে। মাঝে মাঝে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করতেন,এত গ্যালন গ্যালন রক্ত দিয়ে পাড়াটা রক্তশূন্য হয়ে যাবে না তো। তবে হ্যাঁ,মে দিবস মহাসমারোহে পালন হত,এখনও তাতে ছেদ পড়েনি,এখন তৃণমূলের কাউন্সিলর,বিধায়করাও সেখানে উপস্থিত থাকেন। এর পাশাপাশি পাড়ার একটি সিপিএমঘেঁষা প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের ক্লাব ফি বছর দুর্গাপুজো করত,এখনও করে। নকশাল আমলে বিভিন্ন দলের সুপারি নিয়ে চতুর্দিকে বোমটোম ফেলে বেড়াতেন এমন এক মাতব্বর গোছের মহাপুরুষও বাম আমলে এক মন্ত্রীর দাক্ষিণ্য পেয়ে যান। পাড়ার মধ্যে একটা রেস্টুরেন্ট হাঁকিয়ে বসেন,ওই মন্ত্রীর আশীর্বাদে কলকাতার নানান প্রান্তে সেই রেস্টুরেন্টের শাখা খোলা হয়,এবং পরে ওই মন্ত্রীর সাহচর্যেই পাড়ার ব্যবসায়ী সমিতিকে বগলদাবা করে পাড়ায় গণেশপুজো চালু করেন । কলকাতার বুকে অমন লার্জ স্কেলে গণেশপুজো বোধহয় প্রথমবার। 'অবস্কিওর রিলিজিয়াস কাল্ট'-এর দিকেই  ওনার আগ্রহটা বেশি ছিল,তাই কয়েকবছরের মধ্যেই শুরু হল পৌষকালী পুজো। এসব ওই ভরভরন্ত সিপিএম আমলেই হয়েছে। ওই মন্ত্রী অকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে এই ভদ্রলোক অকুল পাথারে পড়েন। সেই মন্ত্রীর শোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রবল কান্নাকাটিও করেন উনি,এই প্রথম ওনাকে কেউ কাঁদতে দেখল। তবে সেই শোক কাটিয়ে উঠে খুব শিগগিরি পরের আমলে আরেক মন্ত্রীকে উনি গডফাদার বানিয়ে ফেলেন,তিনিও বেশ কয়েকমাস যাবৎ জেলে পচছেন,ভদ্রলোকের মন্ত্রীভাগ্য নেহাতই খারাপ। তবু প্রতিবছর গণেশ এবং পৌষকালী নিয়মমাফিক হাজির হন। প্রসঙ্গে ফেরা যাক,এমন হালকা সিপিএম কালচার বহাল ছিল পাড়ায়,পুজোআচ্চার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক উৎসব হত শীতকালে। এসবের মাঝেই রাজ্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইলে হালকা করে চিড় ধরতে শুরু করে এপাড়ার সিপিএম দূর্গে। কিছু পুরনো কংগ্রেসি(জোটের সুবাদে যাদের মধ্যে কারুর কারুর মুখ এতবছর বাদে দেখছে পাড়ার লোক), কিছু আদি তৃণমূল(যারা তৃণমূল হওয়ার আগে অবধি কংগ্রেস করত) ,আর কিছু না-সিপিএম মানুষ তাদের স্বর খুঁজে নেয়। তবে মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই ক্ষমতাচক্রের চাকা ঘোরার বিষয়টা সম্পন্ন হয়েছিল এপাড়ায়।
               তবে সৌম্য বিস্মিত হল কাঁটাপুকুরে তৃণমূলের দেওয়ালটা দেখে(যেটা বহুবছর পর্যন্ত সিপিএমের একচেটিয়া ছিল)। বড় বড় করে লেখা আছে, 'প্রচারে-কালু'। এই এতবছরে কালুও পাল্টায়নি। এখনও প্রতিদিন সকালে একটা নির্দিষ্ট দোকান থেকে ডিমটোষ্ট খায় বিনাপয়সায়,মাঝেমধ্যে ইতিউতি দু একজনের থেকে দুটাকা পাঁচটাকা করে চায়। এখনও খালি গায়ে একটা ময়লা হাফপ্যান্ট চাপিয়ে ঘুরে বেড়ায় সারা পাড়া,কেউ বিরক্ত করলে মা বাবা চোদ্দপুরুষ উদ্ধার করে জঘন্য খিস্তির ফোয়ারা ছোটায়,কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে। সেই খিস্তি এবং অঙ্গভঙ্গি শোনার এবং দেখার জন্য পাড়ার সুস্থ মানুষরা উদগ্রীব থাকেন,তাদের বিকৃতকাম লকলক করে। সেই কালু তৃণমূলের প্রচারে অপরিহার্য! কালু ভোট দেয়? কালুর ভোটাধিকার আছে? ফুকোর 'হিস্ট্রি অফ ইনস্যানিটি' পড়েনি সৌম্য,কালুর পাগলামির ইতিহাস কি সেটা সৌম্য জানে না। তবে সৌম্য এটুকু জানে,যে বৃদ্ধা ভদ্রমহিলা পরম মাতৃস্নেহে কালুকে লালনপালন করছেন,তার ভগ্নপ্রায় বাড়িটা,আর যাই হোক,বিপজ্জনক নয়। সিপিএম আমলে এক জোনাল কমিটির নেতার তদারকিতে বাড়িটার গায়ে, 'সাবধান। বিপজ্জনক বাড়ি'-র সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়। তিনি এক প্রোমোটারকে নিয়েও আসেন। "আমরা আপনার ভালোই চাইছি মাসিমা,তাছাড়া এখানে ফ্ল্যাট উঠলে আপনিও একখানা ফ্ল্যাট পাবেন,তাছাড়া দাম আপনাকে বেশিই দিচ্ছি"; ভদ্রমহিলা প্রতিবাদী চরিত্র নন,শুধু খুব শান্তভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন উনি নারাজ। বাড়ির পোজিশন নাপসন্দ ছিল বলে প্রোমোটারও আর ঝুলোঝুলি করেনি। তবে একজন মাঝারিমানের নেতাকে মুখের ওপর 'না' বলার শাস্তিস্বরূপ তিনি পাড়ায় একঘরে হয়ে গেলেন। যে রকটায় এখন উনি বসে থাকেন,এবং সারা পাড়া টইটইবাজি করে,সুস্থ ভদ্রলোকদের হেনস্থাকে কদর্য খিস্তি এবং অঙ্গভঙ্গি দিয়ে প্রতিরোধ করে ক্লান্ত বিধ্বস্ত কালু দিনের শেষে যে রকটায় এসে বসে,সৌম্য দেখল সেই রকটার ওপর সুস্থ মানুষদের লাগানো পতাকা,চারকোল দিয়ে লেখা 'প্রচারে-কালু'। কোনো রসিক ব্যক্তি আবার একখানা ছোট কার্টুন এঁকে তার ওপর লিখে দিয়ে গেছে 'ইওরস কালু'(বানান ভুলের সংস্কৃতিটা এপাড়ায় সিপিএম আমলেও ছিল,তবে এখন সেটা মহামারীর আকার ধারণ করেছে,ইওরস বানানটা শোচনীয়ভাবে ভুল)। সেই কার্টুনটাতে কালুকে লাগছে পুরো খুশিয়াল শিশুর মতন।
                  ভোট হয়ে গেল এপাড়ায়। প্রতিবারের মতই নির্লিপ্তিতে। কালু ভোট দিল? দিয়েছে হয়তো,ভোটকেন্দ্রে প্রতিটা মানুষের সিগনিফায়ার তো আসলে ভোটার কার্ড,ওই কার্ডে ছাপানো ছবিটাই ওইমুহুর্তে সেই মানুষের মুখ। কালুর মুখও আছে তার মধ্যে,অথবা নেই। কালুর আঙুলে দাগ আছে কি? কে জানে! তবে হ্যাঁ ,কাঁটাপুকুর এলাকায় প্রচারে কালুকে লাগবেই। কালু মনেপ্রাণে সিপিএমের গুষ্টিউদ্ধার করে কথায় কথায়,একটু খোঁচালেই,বুঝে না না বুঝে কে জানে। কালু মনে করে তৃণমূল ভালো,ওকে কোনো কাজ দিলে ও করে দেবেই। কিন্তু কালু ভোট দিল কি না দিল তাতে কারুর কিছু যায় আসে না। পাগলের আবার ভোটাধিকার কিসের? কালুরও কি কিছু যায় আসে? ওই যে নাগরিক কবিয়াল বলেছেন, "তার ভোট চাইবেনা গণতান্ত্রিক কোনো প্রার্থী/সরকারে দরকার নেই তাই নিজের সুড়ঙ্গে"।
                  আবার কয়েকবছরের মধ্যেই হয়তো এই দেওয়ালটার দখল নেবে অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তি। তবে সৌম্য চাইল,ভীষণভাবে চাইল,কালুর ওই হাসিমুখ ছবিটুকু টিকে থাকুক ওই দেওয়ালজুড়ে,ওটাই থেকে যাক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ মে ২০১৬ | ১৫২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | ***:*** | ০৫ মে ২০১৬ ০৪:২৩54646
  • থাকবে কি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন