এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • আমার পাড়াতুতো কৈশোর

    Sinjini Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ | ২২১০ বার পঠিত
  • আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায় আমার কৈশোরটা এক্কেবারে আলাদা ছিল। বিশেষত সেন্ট থমাস' বা সেন্ট জেভিয়ারসের বন্ধুদের তুলনায়। মফঃস্বলে বড় হয়েছি বলে। এটা আমার একটা একান্তই অহংকারের জায়গা।

    পুরো কৈশোর নিয়ে গুছিয়ে লিখতে সাঙ্ঘাতিক ক্ষমতা এবং ধৈর্য দরকার, যে দুটোর কোনটাই আমার নেই, এবং সেই বিষয়ে কোন সন্দেহও আমার নেই। তাই ভাবছি টুকরো টুকরো করে, মানে বুলেট পয়েন্টস করে ব্যাপারটা ধরার চেষ্টা করব। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও, ইত্যাদি...

    যাই হোক! লিস্টে আসা যাক।

    - আমাদের পাশাপাশি সব কটা বাড়িতেই বেশ ক'টা করে পেয়ারা গাছ, নারকোল গাছ এবং সুপুরি গাছ ছিল। ইন ফ্যাক্ট, এটা বলার মতো কোন বিষয়ই নয়। এই বেসিক গাছগুলো ছাড়া কার বাড়িতে কি কি গাছ ছিল তাই নিয়ে বরং আলোচনা হলেও হতে পারে। যেমন, আমাদের বাড়িতে আম গাছ এবং বাতাবি লেবু গাছ ছিল। আমাদের পেছনের বাড়িতে জামরুল। পাশের বাড়িতে (যেটাকে আমি অনেকদিন অবধি নিজেরই আরেকটা বাড়ি বলে জানতাম। সেটার জন্য একটা আলাদা ডেডিকেটেড পোস্ট লাগবে।) গন্ধরাজ লেবু, পাতাবাহারি ইত্যাদি বেশ কিছু শৌখিন গাছ ছিল। তার পাশের বাড়িতে, কাঁঠাল। এবং আমাদের সামনের বাড়িতে, খেজুর।

    - যেদিন লোক ডেকে নারকেল পাড়ানো হতো, আমরা ভাইবোনেরা সবাই গাছের নীচে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ওপরদিকে তাকিয়ে সেই কাটারি হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে নারকেল গাছে চড়া, তিন-চারটে নারকেল একসাথে বেঁধে দড়ি দিয়ে নামান, ইত্যাদি ম্যাজিকাল ব্যাপার-স্যাপার পরম বিস্ময়ে মুখ হাঁ করে দেখতাম। এই কাণ্ডটির পর বেশ কয়েক সপ্তাহ অবধি আমাদের খাটের নীচে কচি ডাব থেকে ঝুনো নারকোল ভরে থাকত, আর নিজেরা খেয়ে শেষ করা যেতো না বলে লোকজনকে ডেকে ডেকে সেগুলো বিলোনো হত।

    - আমরা চিরকাল গাছে চড়ে বা অন্তত আঁকশি দিয়ে পেড়ে পেয়ারা খেয়েছি। পেয়ারা যে বাজারে পাওয়া যেতে পারে অনেদিন অবধি ধারণাই ছিলনা। দুঃখের বিষয় হল, আমি পেয়ারা ভালবাসা সত্ত্বেও আজও বাজার থেকে কেনা পেয়ারা খেতে পারিনা। চেষ্টা করেছি অনেকবার, জাস্ট পারিনি।

    - আমরা পেয়ারা পাঁচিলে বসে খেতাম। পেয়ারা পাঁচিলে বসেই খেতে হয়।

    - আমি হাতে সর্ষের তেল মেখে দিব্যি কাঁঠাল ভাঙতে পারি।

    - আমাদের বাড়ির ২০০ মিটার রেডিয়াসের মধ্যে যে বাড়িতেই কাঁঠাল ভাঙ্গা হোক, বিকেলে অন্তত এক টিফিন বক্স ভর্তি ওই স্বর্গীয় বস্তুটি আমার নাম করে বাড়িতে পৌঁছে যেত।

    - সিজন বেসিসে রেগুলার কোন না কোন বাড়িতে কাঁচা আম উইথ কাসুন্দি, কদবেল, ইত্যাদি মাখা এবং পাড়াময় বিতরণ করা হতো।

    - পাশের বাড়িতে দিদা, এখন আর পারেন না, কিন্তু ক'বছর আগে অবধিও নারকোল গাছের পাতা পড়লে একটা বঁটি নিয়ে বসে যেত আঁশ ছাড়াতে। ঝাঁটা যে দোকানে কিনতে পাওয়া যায়, এবং বেশ শস্তাতেই পাওয়া যায়, দিদা বোধ হয় কোনোদিন জানত না।

    - বলাই বাহুল্য, তুলসি মঞ্চ, বাগান, এসবের জন্য আলাদা ডেসিগ্নেটেড জায়গা সব বাড়িতেই ছিল। টিউবওয়েলও। ওই নারকোল, সুপুরি বা পেয়ারা গাছের মতই এটা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। উপরন্তু যা ছিল আর মনে পড়ছে, ক'টা বলি। যেমন, আমাদের পাশের বাড়িতে (অর্থাৎ, যেটা আমার আরেকটা নিজের বাড়ি, সেটায়) কুয়ো আছে, কালীপূজোর জন্য বেশ বড়সড় একটা মঞ্চ আছে, ইত্যাদি। সামনের বাড়িতে একটা বেশ দীঘি আর পুকুরের মাঝামাঝি সাইজের ওয়াটার-বডি ছিল, যেটার পরিচয় এখন জি প্লাস ফোর ফ্ল্যাট উইথ লিফট। পাশের গলিতে আরেকটা বাড়িতে গোয়াল ছিল। আমরা এড়িয়েই চলতাম। শুধু দোলের দিন গোবর জলে মিশিয়ে শত্রুপক্ষকে স্নান করানো ছাড়া ওই গোয়ালের আর কোন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আমাদের জীবনে ছিল না। (এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল - আমাদের জমিতেও বাড়ির বাঁদিকে বেশ বড়সড় একটা বাঁধানো জায়গা ছিল, তাতে দু'তিনটে ঘর বানানো ছিল, কিন্তু সেই জায়গাটা লুকোচুরি খেলা ছাড়া অন্য কোন কাজে আসতে কখনও দেখিনি। অ্যাপার্ট ফ্রম বিয়েবাড়ি।)

    - লোডশেডিং প্রায়ই হতো। লোডশেডিং হলে আমরা লুডো খেলতাম, খুব চোট্টামি করতাম, আর পাশাপাশি মশা মেরে প্রত্যেকে একটা করে ছোট্ট মশার ঢিপি বানাতাম। আমি প্রথমটায় জিততাম, দ্বিতীয়টায় সবসময় হারতাম। দিদা চোখে দেখত না, মাঝেমাঝে নিজের দানে আমার গুঁটি চেলে দিলে আমি অবশ্যই কিছু উচ্চবাচ্য করতাম না।

    - বিকেলবেলা মশা হলে আশেপাশের বাড়িতে ধুনো দেওয়া হতো। (আমাদের বাড়িতে অবশ্য হতনা। আমার মায়ের জন্ম, বড় হওয়া, প্রাক-বিবাহ জীবন পুরোটাই সাউথ কলকাতায় কাটায় মা এসব মফস্বলি ব্যাপারে চিরকালই বেশ আনাড়ি।)

    - বিকেল থেকে সন্ধ্যে হওয়াটা কোনোদিন ঘড়ি দেখে জানতে হতনা। চারিদিকে সব বাড়ি থেকে দু-এক মিনিটের ব্যবধানে শঙ্খ বাজত। সময়মত দৌড়ে গেলে নকুলদানা বা বাতাসা পাওয়া যেতো অপর্যাপ্ত। (এই ব্যাপারটাও আমাদের বাড়িতে মিসিং ছিল, কারণ আমাদের বাড়ি ছিল ঘোরতর নাস্তিক। ভাগ্যিশ!)

    (আমাদের বাড়িতে এই হতনা - সেই হতনা যতই খেয়াল করছি ততই মনে হচ্ছে, তাহলে আমাদের বাড়িতে হতটা কি? মানে, আমাদের বাড়িটাও তো বেশ পপুলার ছিল; রহস্যটা কি? তারপর মনে পড়ল। আমাদের বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তীর আগ দিয়ে ঋতুরঙ্গের স্ক্রিপ্ট লেখা হতো, নাচ-গান-আবৃত্তির রিহার্সাল হত, ফি রবিবার বিকেল চারটেয় উত্তম-সুচিত্রাকে গোগ্রাসে গেলা হতো (আমাদের বাড়িতেই বোধ হয় প্রথম টিভি এসেছিল), আর সর্বোপরি, পাড়ার ইয়ং পিসি-কাকাদের বিশেষ বন্ধুদের ফোন করে "পাঁচ মিনিট পর আবার করব, একটু ডেকে দেবেন?" হত।)

    - আমরা পাড়ার বাচ্চা-কাচ্চারা মিলে ফি বছর প্রায় প্রতি গরমের ছুটিতেই নতুন করে একটা ক্লাব এবং একটা লাইব্রেরি চালু করতাম। পাড়ার মা-কাকিমাদের থেকে মেম্বারশিপ ফি বাবদ খুচরো পয়সা নিতাম এবং রসিদ কেটে দিতাম। রসিদের নীচে সইটা অবশ্যই প্রতিবছর হাতের লেখার উন্নতি বা অবনতির সাথে সাথে বদলাত। ক্লাবের নামকরণ নিয়ে দু'রাত্তির ঘুম হতনা। অবশ্যই, প্রত্যেকবছর নতুন করে উদ্যম এবং নতুন করে নামকরণ করা হতো।

    লিখতে লিখতে রিয়ালাইজ করছি, এই লিস্টের কোন শেষ নেই। তবু, কোথাও তো একটা থামতে হবে। তাই এই পয়েন্টটা দিয়েই শেষ করি -

    - আমাদের বাড়ির গলিতে চারটে বাড়ি। এই চারটে বাড়ি একে অপরের নিকটাত্মীয় বললে একটুও বাড়িয়ে বলা হয়না। এই আমাদের ইমিডিয়েট পাড়া। তা, এই পাড়ার যে কোন বিয়েতেই এই চারটে বাড়ির দায়িত্ব যেভাবে ভাগাভাগি করা থাকত যে বাইরের কারোর পক্ষে নেমন্তন্নর কার্ড না দেখে গেস করা সহজ হতনা যে বিয়েটা এর মধ্যে কোন বাড়ির ছেলের বা মেয়ের। আমাদের বাড়ির দোতলায় মেয়ে বসত, আর নিচের তলায় অতিথিদের জন্য সারি দিয়ে চেয়ার। আর ওই পিছনের বাঁধানো জায়গাটা, যেখানে লুকোচুরি খেলা ছাড়া আর কিছু হতনা আদারওয়াইজ, সেখানে বড় বড় উনোন বসিয়ে রাঁধুনি দিয়ে রান্না হতো। আমার অন্য বাড়িটায়, ওই নিচের ঘরটায়, মেঝেতে ফরাস পেতে বর বসানো হতো। আর দুটো বাড়ি মেইনলি গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহার হতো (শুনতে সেকেন্ডারি লাগলেও ওই দায়িত্বটাই সব চেয়ে কঠিন এবং লম্বা, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই!)। আর গলির মুখেই বড় করে গেট এবং সেখান থেকে চতুর্থ বাড়িটা অবধি টানা প্যান্ডেল হতো। লাইন করে বেঞ্চ-চেয়ার পেতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা ওখানে।

    বলাই বাহুল্য, এখন আর রামও নেই আর অযোধ্যাও নেই। আমার বিয়ে আর আমার ভাইয়ের বউভাত দুটোই হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট হল ভাড়া করে হয়েছে।

    সবার বয়েস ও হয়েছে। সবার বাড়িতেই আমাদের জেনেরেসানের সবাই প্রবাসী। পাড়ার অ্যাভারেজ এজ বোধহয় পঞ্চাশোত্তির্ণ হবে। এখন আর কেউ ফি সন্ধ্যে বেলা একসাথে বসে সিরিয়াল দেখতে দেখতে চা-মুড়িভাজা খায় না। কারোর বাড়িতেই আর অত গাছ নেই, টিউবওয়েল নেই, মায় খালি জমিও আর নেই; সব বাড়ি এক্সটেন্ড হয়ে পুরো জমি নিয়ে নিয়েছে। নারকোল ঝুনো হয়ে নিজে থেকেই গাছ থেকে পড়ে এককোণে পড়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। নারকোল পাতা পড়লে মিউনিসিপালিটির ময়লার গাড়িকে এক্সট্রা পয়সা দিয়ে ব্যবস্থা করা হয়। কালবৈশাখীর পরের দিন "ইশ! সব আমের মুকুল ঝরে গেল!" সুলভ দুঃখ আজকাল আর কারোর হয়না। এবারে বাড়ি গিয়ে কাছেই একটা মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখলাম, তারপর বিগবাজারে শপিং।

    এখন আমরা বেশ কলকাতা-কলকাতা ফিল করি। হোয়াটেভার দ্যাট মিনস!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ | ২২১০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    Epitaph - Sinjini Sengupta
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nabanita | ***:*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৪৬58194
  • শিঞ্জিনী,

    খুব ভাল লাগলো পড়ে। আমার বাড়িতে কিন্তু এখনো নিম, নারকেল, বাতাবীলেবু, তেজপাতা, সুপারী, ডুমুর, শিউলি, চালতা গাছ আছে। আমাদের প্রজন্ম প্রবাসী বটে কিন্তু মা-দের রিটায়ার্ড প্রজন্মের আড্ডা, লুডো, বা ফেস বুক সব চলে আমাদের বাড়িতে, কারণ অন্য বাড়ি গুলি হয় বেড়ে জমি দখল করে নিয়েছে নয়তো প্রোমোটেড (আমি মনে করি ডিমোটেড ) হয়ে ফ্ল্যাট হয়ে গেছে।
    দেশে গেলে নিমপাতা ভাজা, শিউলিপাতা ভাজা, ডুমুরের ডালনা আমার রোজকার মেনু। কাঁঠাল আমিও ছাড়িয়ে খাই - ভিয়েতনামিজ দোকান থেকে কিনে, ডাইনিঙ টেবিলে খবরের কাগজ পেতে হাতে গ্লাভ্স পরে আর তার উপর সর্ষের তেল লাগিয়ে।
    গরম ওভেনে কাঁঠালের বীচি পোড়া অতি উপাদেয় ভাবে রান্না হয়।
  • ranjan roy | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:৩০58195
  • আমার ছোটবেলা কোলকাতার পার্কসার্কাসে কাটলেও পাশের বাড়ির বাগানে বিরাট তালগাছ ছিল। রাত্তিরে ভয় পেতাম, ওটায় ভূত থাকে ! ভাদ্রমাসে পাকা তাল পড়লে দুটো আমাদের বাড়িতেও পৌঁছতো, ঠাকুমা তালের রসের বড়া করতেন--একটু তিতকো মত স্বাদ।
    ওদের বাগানের পেয়ারা গাছে চড়ে দু-একবার ডাঁসা পেয়ারাও খেয়েছি।
    সব বাড়ির ছাদে রেডিওর এরিয়েলের জাল ছিল। তাতে কখনো কখনো ঘুড়ি আটকাতো। হ্যাঁ, সরস্বতী পূজো থেকে বিশ্বকর্মা পূজো পর্য্যন্ত দারুণ সব ঘুড়িতে আকাশ ছেয়ে থাকত।
    সমস্ত গায়ে গায়ে লাগা ফ্ল্যাটের ছেলেমেয়েরা ছাদে এসে খেলত--লাট্টু-ঘুড়ি-মার্বেল। আর আড্ডা দিত, ঝগড়া করত। কিছু বাড়ির বা করপোরেশন স্কুলের সিঁড়িতে ধাপে ধাপে বসে ছোটবড়দের আড্ডা হত।
    দুপুরবেলায় চিলের ডাক শুনতাম। কখনও কখনও দাঁড়কাক।
    এখন পার্কসার্কাসে গেলে ওদিকে তাকাই না। গাছগুলো নেই। বহুতল। বাজারের জঞ্জাল উপচে রাস্তায় নেমে এসেছে। হাইড্র্যান্ট খুলে গঙ্গার জলে আর রাস্তা ধোয়া হয় না।
    একধরনের গা-ঘিনঘিনে নোংরা ভাব হাওয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে।
  • | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:১৩58196
  • দারুণ। পরে বিস্তারিত মন্তব্য করবোখনে। আমিও মফস্বলের আর প্রচুর গাছপালা পুকুরওয়ালা পাড়ায় বড় হওয়া। আমাদের টিউবওয়েল ছাড়াও কুয়ো ছিল, পাতকুয়ো। সেই পাতকুয়োতে মাঝে মাঝেই বালতি পড়ে যেত আর সে এক কান্ড!

    লিখতে থাকুন পড়তে থাকছি।
  • AS | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ০৬:০৯58197
  • চমৎকার নিজের ছোটবেলার সঙ্গে আইডেণ্টিফাই করতে পারলাম আরো কিছু পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
  • 0 | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:৫৮58198
  • ভীষণ রকম ভালো। এই লেখাটার পরে অবসর/সময় মতন প্লিজ আরো অনেক ক'টা পর্ব যোগ ক'রে ক'রে একটা বড়ো সিরিজ করুন।

    ওই ফি'বচ্ছরের নাটকের রিহার্সাল, নতুন নতুন ক্লাব তৈরীর প্ল্যান, লোডশেডিং, মশা, আত্মীয়সম প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরোয়া পাড়া -- সব কেমন অবিকল মিলে যাচ্ছে :-)
  • achintyarup | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:৪৩58199
  • বেশ তো! কিন্তু এইটুকু কেন? একটু লম্বা করে লিখলে হয় না?
  • Hirak | ***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৬:১৭58200
  • সেন্ত জেভিএর্স বুঝ্লম।।। সেন্ত থোমাস ক্যনো ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন