এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ভয়

    অমলেন্দু বিশ্বাস
    গপ্পো | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৭০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • রসা রোডের শান্তনু সেনের বাড়ীতে সেদিন আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিল। এবাড়ীতে এমন আড্ডা প্রায়ই হয়। শান্তনু সেন দর্শনের অধ্যাপক ছিলেন। অনেকদিন হল অবসর নিয়েছেন। বহুদিন থেকেই এবাড়ীতে আড্ডার রেওয়াজ ছিল কিন্তু পৌনঃপুনিকতার হার এত বেশি ছিল না। অবসরের পর এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হয়। শান্তনু সেনের পুরানো বন্ধুরা দূরে দূরে ছড়িয়ে গেছে; সুতরাং তাদের উপস্থিতি বিরল হয়ে উঠেছে আজকাল। অধুনা নতুন বন্ধু ও আগন্তুকরা আসে এবাড়ীতে। শান্তনু সেন স্বল্পভাষী, বন্ধু বৎসল ও জনপ্রিয়। স্ত্রী সোমা সেন প্রিয়ভাষিনী, অথিতি আপ্যায়নে পারদর্শিনী। সেন দম্পতির আবাসের পরিবেশ মনোরম, বন্ধু হোক বা নবাগত হোক এখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অবশ্য এমন কথা শপথ করে বলা যাবে না যে, এই জনপ্রিয়তার জন্য অপরিমিত চা,কফি ও মুখরোচক জলযোগের কোনো অবদান আছে কিনা।

    কবে কোন আড্ডা যে কেমন হবে তা বলা যায় না। কোন দিন শুধু গান বাজনা, শান্ত শিস্ট সুন্দর খুশী-খুশী আবহাওয়া; কোন দিন তুমুল তর্ক বিতর্ক, একই বিষয়ে নিজ নিজ মতবাদ জানাতে উৎসুক সকলে। তারস্বরে ভরে যায় ঘর বাড়ী।

    সন্ধ্যায় একে একে নীরেন, কান্তি, বোস দম্পতি মানব ও অদিতি এসে আসর জমিয়ে বসেছে। সকলে সেদিন তাদের জীবনে ভয় ও ভয়ংকর অভিজ্ঞতার গল্প করছিল। হঠাত ডাঃ তরুণ তরফদারের আবির্ভাব। বলল, ‘কাছাকাছি এসেছিলাম, ভাবলাম সোমাদির হাতে এক কাপ চা খেয়ে যাই একবার।’ ঘরে অপ্রত্যাশিত এত মানুষ দেখে একটু অবাক হল। শাতনু সকলের সঙ্গে ওর পরিচয় করিয়ে দিলেন। সোফায় আরাম করে বসল ডাঃ তরুণ তরফদার। সোমা চা আর গরম কচুরি ও ভেজিটেবল চপ এনে সামনে রাখল।

    ডাঃ তরুন তরফদার অত্যন্ত মিশুকে মানুষ। শহরে বন্ধু সংখ্যার সীমা নেই। সকলেই ওর বন্ধু। Dr Tarun Tarafdar ওর বন্ধুদের কাছে টিটি। ওই নামেই ও পরিচিত; অনেকে ওর আসল নামই জানে না। টিটি ডাক্তারি পেশা থেকে অবসর নিয়েছে। এখন ভ্রমণ, পরোপকার আর চিত্তবিনোদন করেই সময় কাটে। আড্ডা দিতে ভালবাসে, ভাল আড্ডা হলে সময় জ্ঞান থাকে না। কথা বলতে ভালবাসে, হয়তো একটু বেশীই ভালবাসে। একবার কথা শুরু করলে অন্যকারো সুযোগ হয় না আর। টিটি ভেবেছিল চা শেষ করে একটু বসেই উঠে পড়বে। শান্তনু বলল, ‘ আরে আরে উঠছ কি ? আড্ডাটা জমেছে ভাল। বসে যাও।’ টিটি সোফা থেকে উঠেই আবার বসে পড়ল। মনে হল ও শান্তনুদার অনুরোধের অপেক্ষায় ছিল। শান্তনুদাকে ও ভালভাবে চেনে; জানত শান্তনুদা ওকে কিছুতেই যেতে দেবে না।

    টিটি আসার আগে মানব একটা গল্প বলছিল। টিটি-র আগমনে সে গল্পে ছেদ পড়েছিল। কান্তি বলল, ‘মানব, এবার তোমার গল্পটা শেষ করো।’ মানব গল্পের সূত্র ধরল আবার - ‘শেষই হয়ে গেছে প্রায়। … তখন আর আমার কিছু করার ছিল না। দেহটা একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, বিভৎস। মহিলা স্বামীর দেহের উপর আছাড় খেয়ে পড়ল।’ মানব গল্প শেষ করল। সকলে চুপ, কারো মুখে কথা নেই। নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে শান্তনু টিটি-কে লক্ষ্য করে বললেন, এবার তুমি একটা গল্প বল। ‘সোমাদি, আর এক কাপ চা হবে কি?’, টিটি-র গলায় আব্দারের সুর।
    চায়ে চুমুক দিয়ে টিটি পাইপ বার করল। তাতে তামাক ভরে অগ্নি সংযোগ করল টিটি। সকলে ফিস ফাস কথা থামিয়ে চুপ হয়ে বসল। এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে টিটি শুরু করল।

    ‘‘ ... আমি তখন মেডিকাল কলেজ থেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে বেরিয়েছি। সে কালের বিখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সত্য মহাপাত্র পি জি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ডাঃ মহাপাত্রর অধীনে কাজ করার, তাঁর অসাধারণ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করা। পি জি হাস্পাতালে কাজ করার একটা সুযোগ যখন এল তখন সেটা লুফে নিলাম। ডাঃ মহাপাত্রর বিভাগে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করলাম। তখন আমার বয়স ছাব্বিশ-সাতাশ। আমার আশা, শিশুরোগের পীঠস্থান লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্টীট হাসপাতালে কিছুদিন কাজ করে আরো অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশে ফিরে আসা। প্রায় বছর ঘুরে গেল। খুব মন দিয়ে কাজ করে ডাঃ মহাপাত্রর আস্থাভাজন হয়েছি। আস্তে আস্তে তিনি অনেক সঙ্কটজনক রোগীর ভার আমাকে দিতে আরম্ভ করলেন। একদিন আমাকে ডেকে বললেন, ‘টিটি, ৬ নম্বর বেডে একটি শিশু এসেছে। কেসটা খুব জটিল মনে হচ্চে। তুমি দেখ। আমি তো আছিই।’ আমি দেখাশুনা করতে শুরু করলাম। এক বছরের একটি বাচ্চা। বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে আর মাঝে মাঝে চীৎকার করে কেঁদে উঠছে। পাশে এক মহিলা অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মহিলার বয়সবোধ হয় একুশ-বাইশ হবে। মুখটা বেশ মিস্টি, স্নিগ্ধ। মনে হল স্বাভাবিক উৎকন্ঠা ছাড়াও মনের মধ্যে যেন একটা ব্যাথা চেপে বসে আছে। সেই বেদনা ওর মুখেও ছড়িয়ে পড়েছে, ওকে মলিন করে রেখেছে। শিশুটি ওর প্রথম সন্তান। আমাকে দেখে মহিলা ব্যাকুল হয়ে বলল, ‘ডাক্তারবাবু, আমার ছেলের কি হয়েছে? ও বাঁচবে তো? ওকে আপনি ভাল করে তুলুন।’ আমি তাকে আশ্বাস দিয়ে বললাম, ‘আপনি চিন্তা করবেন না। আমরা যথাসাধ্য করব।’ মহিলা তাড়াতাড়ি বলল, ‘ডাক্তারবাবু, আপনি আমাকে ‘আপনি’ বলবেন না। আমি আপনার থেকে অনেক ছোট। আমি জিগ্যেস করলাম, ‘তোমার নাম কি’। উত্তর এল, ‘আমার নাম উর্মিলা।’

    ডাঃ মহাপাত্র প্রতিদিন শিশুটিকে দেখতে আসতেন। সবসময় সঙ্গে থাকতাম আমি। কোনো কোনোদিন একা একাই আসতাম। দেখতাম উর্মিলা ছেলের পাশে বসে আছে। সপ্তাহ দুই পরে শিশুটি বিপ্তজ্জনক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আরোগ্যলাভের দিকে যেতে লাগল। উর্মিলার মুখ থেকে উদ্বেগের ভাব অনেক কমে গেল। স্থির হল পরের সপ্তাহে শিশুটিকে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। খবরটা আমি উর্মিলাকে দিলাম। শুনে ও খুশী হয়েছে মনে হল। তারপর হঠাৎ ঢিপ করে প্রনাম করল আমাকে। আমি অপ্রস্তুত হয়ে এক পা পেছিয়ে এলাম। বললাম, ‘আরে, আরে, কর কি ?’ ওর চোখে মুখে কৃতজ্ঞতার ছাপ। বলল, ‘ডাক্তারবাবু আপনি আমার ছেলেকে বাঁচিয়েছেন। আমি সারাজীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’ আমি নির্বাক, কোনরকমে উচ্চারণ করলাম, ‘না না ওসব বোলো না। আমরা শুধু আমাদের কর্তব্য করেছি।’ ও বলল, ‘কথাটা বলতে আমার সঙ্কোচ হচ্ছে। আমার খুব ইচ্ছা আপনাকে আমি রান্না করে খাওয়াই। আপনি আসবেন আমার বাড়ীতে ?’ এমন অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব আমি আশা করিনি। একটু থেমে আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, যাব। নিশ্চয় যাব। সামনের বুধবার সন্ধ্যেয় আমার কোন কাজ নেই। আমি সন্ধ্যেবেলা আসব।’ ও বলল, ‘না, সন্ধ্যেবেলা না। রাত্রে আমি কাজ করি।’ আমি বললাম, ‘তাহলে সামনের রবিবার দুপুরে যাব।’ ও মাথা নেড়ে বলল, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে। রবিবার দুপুরে আপনাকে আশা করবো।’

    রবিবার সকালে স্নান-টান করে জামা-কাপড় পরে আমি প্রস্তুত হলাম। দিনটা ভাল ছিল, আমার মেজাজটাও। একটা ভাল আদ্দির পাঞ্জাবী পরলাম, পরনে কালো পাড়ের তাঁতের ধুতি, পায়ে নতুন জুতো। গ্লোব নার্সারি থেকে এক তোড়া ফুল নিলাম। একটু এগিয়ে পুঁটিরাম থকে মিস্টি কিনলাম। আস্তে আস্তে উর্মিলার বাড়ীর দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। উর্মিলার ঠিকানাটা দেখলাম। এ গলিটা আমি চিনি না। রাস্তার ধারে এক পান বিড়ির দোকানীকে জিগ্যেস করলাম ঠিকানাটা কোথায়। দোকানী আমাকে আপাদমস্তক দেখল, তারপর একটু মুচকি হেসে বলল, ‘সামনের বাঁদিকের রাস্তা দিয়ে পাঁচ মিনিট হেঁটে ডান দিকে বেঁকলেই পাবেন আপনার গলি।’

    আমি ওর কথা অনুযায়ী চলতে শুরু করলাম। ডান দিকের রাস্তার নাম দেখলাম, ‘রাইচাঁদ বড়াল স্ট্রিট’। আমি এ পাড়ার নাম শুনেছি। একটু এগিয়ে গেলেই ‘রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট’ ‘লাল বাতি পাড়া’। হঠাৎ আমার সব ইন্দ্রিয়গুলো সজাগ হয়ে উঠল। আমি কলকাতার উত্তর দক্ষিণ সব অঞ্চলেই ঘুরে বেড়াই, সর্বত্রই আমার বন্ধুবান্ধব, চেনাশোনা মানুষ চারিদিকে। কেমন যেন এক অজানা ভয় আঁকড়ে ধরল। যদি কোন বন্ধু বা চেনা জানা কেউ আমাকে এমন অবস্থায়, সৌখিন ধুতি-পাঞ্জাবী পরা, হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে, দেখে ফেলে। কি ভাববে তারা? এখন বুঝছি কেন দোকানিটা মুচকি হেসেছিল।

    আমি কোন চিন্তা করলাম না। তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে উল্টোদিকে বড়্ররাস্তায় এসে উঠলাম। রাস্তার ধারে একটা ছোট ময়লার স্তুপের উপর ফুলের তোড়াটা ছুঁড়ে দিলাম। একটু এগিয়ে এক বৃ্দ্ধা ফুটপাথে চাদর পেতে বসে আছে। আমি মিস্টির বাক্সটা চাদরের উপর রেখে দিলাম। সভয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছি; আদ্দির পাঞ্জাবী ঘামে ভিজে গেছে, দ্রুতবেগে নিশ্বাস পড়ছে। বাড়ী ফিরে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।

    পরের দিন শরীর খারাপের অজুহাতে হাসপাতালে গেলাম না। শুধু মনে হচ্ছে উর্মিলার কাছে মুখ দেখাব কি করে? দেখা হলে কি বলব?

    হাসপাতালে গিয়ে যথারীতি উর্মিলার ছেলেকে দেখতে গেলাম। উর্মিলা ছেলের বিছানার পাশে বসে আছে। আমাকে দেখে বলল, ‘কই, সেদিন তো আমার বাড়ীতে এলেন না। আমি যত্ন করে কত রান্না-বান্না করলাম।’

    একটু থামল। আমি কিছু বলার আগেই ও বলল, ‘আমি জানতাম আপনি আসবেন না।’

    আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বেরোল না। যেন এক প্রাগৈতিহাসিক দানব আমার গলা দুহাত দিয়ে চেপে ধরেছে। ... ’’

    টিটি থামলো। নিস্তব্ধ ঘর। পাইপটা নিভে গিয়েছিল। টিটি পাইপে অগ্নি সংযোগ করলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nilanjana Kaviraj | ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩১539674
  • আমার পড়ে খুব ভালো লেগেছে। এমন গল্প আরো চাই। 
  • Diptimoy Roy | ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৮539762
  • গল্প besh  ভালো. শুরু থেকে  চিত্ত  আকর্ষণ করে। লেখা  সাবলীল. aro লিখবেন আশা  করি। 
  • নমিতা আচার্য | 2a00:23c4:f921:b000:b009:d0d7:47e5:***:*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:০০540085
  •  প্রিয় অমলেন্দু দা - লেখা দুটি পড়লাম। মিনু পাঠিয়েছিল । উপভোগ করেছি । আরোএই রকম ছোট গল্প লিখলে পাঠাবেন। সেই "শেষ হয়ে হইলো না শেষ" বোধটি উপভোগ করলাম । আমার ফোন নম্বর ০৭৯৮৯৮৬০৩০৬ ওয়াটস্যাপ আছে  এই নম্বরে । অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন