এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • সত্যজিৎ রায় সমীপেষু (২) -- পাখিরালয় 

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৭ জানুয়ারি ২০২২ | ২০০১ বার পঠিত
  • সে আমাদের বিয়ের দু-তিন বছর পরের কথা । তখন-ও কলকাতা ছাড়িনি । সদাগরি অপিসে তরুন তুর্কি প্রোগ্রামার । রাত জেগে কোবোল পোগ্রাম লিখি । কারখানার ক্যান্টিনে লাঞ্চ খাই । অপিসের কল্যানে রোজ দুপুররাতে বাড়ি ফিরে বউ-এর অভিমান আর মুখঝামটা সামলাই । মাইনে যা পাই, বাড়িভাড়া দিতে আরে ফি-শনিবারে নাটক সিনেমা দেখতে খরচ হয়ে যায় । সন্ধ্যেবেলা মাঝে মাঝে টিভিতে সচীন তেন্দুলকারের ব্যাটিং দেখতে দেখতে চা তেলেভাজা খেতে গিয়ে উত্তেজনায় জিভ কামড়ে ফেলি ।  অপিসের বাস মিস করলে, অটোয় উঠে, আটোওয়ালা-র সাথে খুচরো নিয়ে ফাটাফাটি করি। সুমনের নতুন ক্যাসেট রিলিজ করলেই ধাঁ করে কিনে ফেলি ।

    এতসব করে বছরের শেষে হাতে থাকে পেন্সিল আর ব্যাংকে লবডঙ্কা । তো সেবারে বছরের শেষে দেখি হাতে কিছু পয়সা বেঁচেছে । তারপর কো অপারেটিভ সোসাইটি থেকে আরো কিছু ধার নিয়ে কিছু-না-সই পুরী বেড়িয়ে আসার প্ল্যান করে ফেললাম । গ্যাংটকে জানুয়ারীতে হানিমুনে যাওয়ার পরে সেই প্রথম ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান। পুরী যাওয়ার অতিসাধারণত্বে বৌ একটু নাক সিটকিয়ে ছিল ঠিক-ই,তবে আমার, “এবার পুরী চল, আসছে গরমে ঠিক শিমলা-মানালি’ -র বরফট্টাই শুনে চেপে গেল। ভাবটা “দেখিইনা কত মুরদ’ টাইপ।

    আমার একটু উলটোপুরাণ স্বভাব আছে সব ব্যাপারে। এম্নিতে বাঙ্গালী পুরী যায় পুরী এক্সপ্রেসে চেপে। সন্ধ্যেবেলা লুচি আলুরদম বেগুনভাজা টিফিন বাক্সোয় ভরে নিয়ে এসে ট্রেনের বাঙ্ককে বসে খায় । তারপরে সকালে পুরী পৌঁছে , সাইকেল রিক্সায় বাকট্রপ্যাঁটরা তুলে , জগন্নাথ মন্দিরের কোন এক পাণ্ডার স্কুটারের পিছু পিছু হোটেলে গিয়ে ওঠে। আমি প্ল্যান করলাম প্রথমে নামবো ভুবনেশ্বর। সেখানথেকে ট্যাক্সি ভাড়া নিয়ে নন্দনকানন আর কোনারক দেখে তারপর পুরী। যাতে করে সাতদিন হোটেলের বারান্দায় পায়ের ওপর পা তুলে সমুদ্র দেখা আর দুপুরে দুজনে মিলে সমুদ্রের জলে খাবিখাওয়ার নির্ভেজাল ছুটি থেকে , 'কন্ডাক্টেট ট্যুর' নামক হাঁসফাঁস বাসে ঘুরে দুদিন সময় নষ্ট করতে না হয়।

    আমাদের প্ল্যান ছিল পুরী এক্সপ্রেসে সকাল পাঁচটায় ভুবনেশ্বর পৌঁছে সেদিনটা খালি নন্দনকানন ঘুরে আর সিনেমাটিনেমা দেখে কাটাবো।  পরেরদিন কোনারক দেখে পুরী। সেইমত ভুবনেশ্বৰে সেই সময়কার পকেটের ওজনের সাথে মানাসই 'না লাক্সারি, না খুব খারাপ হোটেল'  বুক করেছিলাম, এতদিন পরে কি  নাম হোটেলের মনে নেই । ষ্টেশন থেকে ভোরবেলা জিলিপি আর চা খেয়ে হোটেলে এলাম সকাল সাতটা নাগাদ। সেখানে হোটেলের রিসেপশন থেকে দুদিনের জন্য একটা ট্যাক্সি বুক করলাম, যেকিনা পরের দিন  আমাদের কোনারক দেখিয়ে পুরী পৌঁছে দেবে। চান-টান করে ফ্রেস হয়ে নন্দন কানন দেখতে যখন বেরোলাম তখন সকাল দশটা বেজে গ্যাছে। আমাদের ট্যাক্সি ড্রাইভার মাঝবয়সী , ডিগডিগে লম্বা, ঝাঁকড়াচুলের শ্যামলা হাসিখুশি লোক।  ধূসর বুশার্টের ওপরে সাদা হাফ হাত সোয়েটার। নীল চোঙ্গা প্যান্ট। ওড়িয়া হলেও বেশ ভাল বাংলা বলে। নাম কিশোর বেহেরা।  সারাক্ষণ বকর বকর করে কানের পোকা নড়িয়ে দিচ্ছে। শুনে টুনে মনে হল , ব্যাটা শুধু ওড়িশার নাড়ি নক্ষত্র , ইতিহাস ভূগোল-ই নয় , ভবিষ্যত -ও পুঙ্খানুপুঙ্খ জানে।  আর যেটুকু না জানে , গুনিন ওঝা সেজে ঝাড়ফুঁক করে বলে দিতে পারবে। তবে ওই বকবক টুকু ছাড়া বাকিটা অবশ্য ভালোই। একটা তোফা পাইস হোটেলে নিয়ে গিয়ে দারুনস্বাদের দইবড়া খাওয়ালো ব্রেকফাস্টে।

    সে যাইহোক নন্দনকানন দেখা হয়ে গেল দুপুর তিনটের মধ্যে।  এরপর সেদিন কোথায় যাব ভাবছি।  তো ড্রাইভার সাহেব বলল "এখানে থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার মত  পশ্চিমে একসাহেবের ফার্মহাউস আছে, সেখানে নাকি আশ্চৰ্য সব পাখির কালেকশন আছে , সে নাকি কোথাও নেই , নন্দনকানন তো নয়-ই"। যেতে  চাইলে, ও নিয়ে যাবে।  যেতে আসতে তিন ঘন্টা মোট লাগবে।  সাহেব নাকি লালমুখো , কোন দেশি তা ও জানে না।  সাধারণত কোনো ভিজিটর টিজিটর পছন্দ করে না।  একটু নাকি বদরাগী-ও।  তবে ওই ফার্মহাউসের দারোয়ানের সাথে আমাদের কিশোরবাবুর রিস্তেদারি আছে, ম্যানেজ করে দেবে।
    আমার সদা সন্দীহান সদা সতর্ক বেটারহাফ যাওয়ার জন্য মোটেই উৎসাহী ছিলেন  না।  তিনি ছিনতাইবাজদের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে মোটেই রাজি নন। কিন্তু আমার যেরকম স্বভাব ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার দেখে এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। তারপর বুঝিয়েসুঝিয়ে উনাকেও  রাজি করলাম।
    ***
    জ্যাকব সাহেবের ফার্ম হাউজ পৌঁছাতে চারটে বাজল। আমাদের ড্রাইভার কিশোরবাবু দারোয়ানের সাথে কথাটথা  বলে কি ম্যানেজ করল ওই জানে।  দারোয়ান হাসি মুখে গেট খুলে দিলে।  বলল সাহেব নাকি বাড়িতেই আছেন ।  ক্রিসমাস আসছে বলে মেজাজ এখন ভাল। গেটের কাছে ইন্টারকম আছে, খবর দিয়ে দিয়েছে , সাহেব আমাদের পাখি দেখাতে রাজি হয়েছেন । একশো মিটার মত ভেতরে গিয়ে দেখি একটা সাদামাটা একতলা বাংলো গোছের বাড়ি, তার জানালায় মশা-পোকা মাকড়ের জন্য জাল দেওয়া। সামনে একটা খোলা বারান্দা।

    জ্যাকব সাহেব মোটাসোটা, মাঝারি উচ্চতা, মাথায় অল্পচুল বয়স পঞ্চান্ন থেকে ষাটের ভিতর। কথায় মোটেই বদরাগী মনে হলো না।  বাড়ি পোল্যান্ডে , সেখানেই পরিবার আছে।  পেশায় ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।  ফ্রিল্যান্স।  ভারতে এসেছিলেন পাখির ছবি তুলতে। বছর পাঁচেক আগে।  নিজের খেয়ালে এখানে পক্ষিশালা তৈরি করেছেন। পরিবার (খালি বৌ এর কোথায় বললেন, ছেলেমেয়ে কজন জানি না) ক্রিসমাসে এসে থাকে তিন চারমাস।  বললেন  বাংলোর পেছনে প্রায় ছয় একর জমিতে সংগ্রহশালা।  দুটো বড় দিঘিও আছে, সেখানে এখন সাইবেরিয়ার বালি হাঁসের ঝাঁক। সেটাই ওর এই জায়গাটা বেছে  নেওয়ার কারণ। আমাদের বলল "ইউ গাইজ , কেম টু লেট্ টুডে, পুরোটা দেখতে পারবে না , তবে যতটা সম্ভব দেখাবো। আর আমার একটা অতিআশ্চর্য সংগ্রহ আছে সেটাও"। বলে খুব সিরিয়াস হয়ে গেল কেন বুঝলাম পরে।

    সাহেবের পাখির খাঁচা গুলো সব বিশাল বিশাল, মানে চিড়িয়াখানায় যেরকম দেখা যায় তার থেকেও বড়। ভারতীয় ছোট পাখি , টিয়া (বিভিন্ন প্রজাতির) ময়না , কোকিল , হর্নবিল ,কর্মোরান্ট , মাছরাঙা , কাঠঠোকরা , ট্রেগোয়ান , ফ্লাই ক্যাচার, রফুস ট্রিপই  হরেক রকম সংগ্রহ।  ময়ূর বনমোরগ (বিভিন্ন প্রজাতির) পাখি এমনি খোলাই আছে।  যে সময়ের কথা বলছি সে সময়  মুঠো ফোন দূরের কথা ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ভারতে প্রায় দুর্লভ।  তাই সাহেব যা বলে যাচ্ছে, কানে গেলেও মনে থাকছে না , আর গুগুল সার্চ করা তখন  আরো দশ পনেরো বছরের ভবিষ্যৎ। দেখলাম পুরো সংগ্রহশালা খুব ভাল রক্ষণাবেক্ষন করা। সাহেব বললেন মোটামুটি বারো জন লোক আছে বিভিন্ন দায়িত্বে।  দীঘির ধরে গিয়ে দেখলাম বালিহাঁসের কলকাকলি তে মুখর।  দীঘির জলে খালি জায়গা দেখাই  যায়না।
     
    আমরা বেরিয়ে আসার তোড়জোড় করছি তখন সাহেব তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  আর রহস্যময় সংগ্রহ দেখতে নিয়ে চললেন।  অনেকটা হেঁটে প্রায় একটা নির্জন আইসোলেটেড জায়গায় এসে পড়লাম।  এখানে অনেক বড় বড় গাছের  আড়াল। দীঘির হাঁসেদের ডাকা ক্ষীণ, অনেক দূরের টিয়াপাখির ডাক ক্ষীণতর। গাছ গাছালি এত বড় বড় যে সূর্যের এল বেশি ঢোকেনা, একটু স্যাঁতস্যাঁতে গা ছমছমে ভাব। দেখি  একটা তিন মানুষ সমান উঁচু খাঁচা।  দৈর্ঘ্যে প্রস্থে পঞ্চাশ ফুট বর্গ। আর খাঁচার জাল ভয়ংকর মজবুত লোহার শিকের। আর, ভেতরে একটা বেদির ওপরে যেটা বসে আছে, সেটা পাখি তো বটেই, তবে এরকম চেহারা কস্মিনকালেও কেউ কখন দেখেছে বলে মনে হয় না।  পাখিটা  বসে আছে প্রায় স্থির।  বসা অবস্থায়-ই পাখির উচ্চতা পাঁচ ফুট তো হবেই। ডানার আকার দেখে বোঝা যায় এ পাখি ওড়ে না। বেগুনি হলুদের চোখ ঝলসানো রং।  শরীরের তুলনায় ছোট গলা। গলায় সাদাটে ছোপ।  প্রকান্ড লম্বা, প্রায় অসম্ভব ধারালো হলুদ রঙা ঠোঁট। চোখ স্থির , অসম্ভব কুটিল আর হিংস্র।

    সাহেব বলল, কেওঞ্ঝরের সীমান্ত এলাকায় ফটো তুলতে গিয়ে এ পাখি পেয়েছিলেন বছর দুই আগে।  কাছে যাওয়ার সাহস হয় নি প্রথমে।  একটা উঁচু জমির ওপর জংলী আম গাছের নীচে বসেছিল পাখিটা।  তখন গরমের শেষ।  প্রায় দুদিন একই জায়গায় বসেছিল পাখি, দুদিন ধরে নজর করার পর দ্যাখেন পাখিটা গাছের তলায় পরে থাকা ফল ছাড়া কিছুই খায় নি।  তাতে সাহেবের সাহস বাড়ে।  নিজের ট্রাক থেকে ত্রিপল দিয়ে ধরে ফ্যালেন।  ধরে ফেলা বলতে, পাখি সেরকম কোনো বাধাই দেয নি।  তারপর  নিজের দু জন কর্মচারীর সাহায্যে  এখানে নিয়ে আসেন। খাঁচা এতো মজবুত ছিলোনা প্রথমে।  দরকার-ও ছিলনা। পেঁপে কলা  তরমুজ খেত পাখি। তারপর হঠাৎ মাস খানেক পরে খাওয়া বন্ধ করে দেয। দিন দশ কিছু না খাওয়ায় চিন্তা বাড়ে সাহেবের।  তার পর হঠাৎ একদিন একজন কর্মচারী পাখির খাঁচায় আবিষ্কার করে একটা বাঁদরের আধখাওয়া মৃতদেহ।  কাছাকাছি বাঁদরের পাল সেসময় ।  তারপর থেকেই মজবুত করা হয়েছে খাঁচা।  বাইরের জন্তু যাতে না ঢুকতে পারে।  আর হ্যাঁ , পাখি এখন কাছের বাজার থেকে কেনা চিকেন আর মাংসের  ছাট খায়।

    নেচার আর ন্যাটজিও ছাড়াও পৃথিবীর অনেক পক্ষী গবেষণা সংস্থায় ছবি পাঠিয়েছিলেন গত দুই বছরে।  পাখির আসল পরিচয় জানার জন্য।  কোনো উত্তর পাননি।  খালি নেচার থেকে উত্তর এসেছিল মর্ফড ছবি বলে।  সাহেবকেও ফ্রড ষ্টার বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি ছিল সেই চিঠিতে।  সবাইকে নাকি এই পাখি দেখান না সাহেব। আমাদের কেন দেখালেন নিজেই জানেন না।  
    ***
    আসার সময় সাহেবের ঠিকানা নিয়ে আসি। পুরীতে থাকার সময় সাহেবের নামে কিছু তথ্য দিয়ে একটা চিঠি পাঠাই।  তার উত্তর আসে ছয়মাস পরে কলকাতার  ঠিকানায়।

    ডিয়ার  মি: রায় ,
    এর মধ্যে দিল্লি গিয়েছিলাম কাজে।  দিল্লির পার্লামেন্ট লাইব্রেরিতে দুদিন কাটাই।  তোমার কথাই ঠিক।  পাখির নাম আন্দাগালর্নিস। ফ্রুসরাইড জেনেরিক।  প্রজাতির বয়স কমপক্ষে দুই মিলিয়ন। তবে এ পাখি ভয়ঙ্কর আর মাংসাশী।  শাকাহারী ছিল কি করে সেটাই রহস্য।  তবে বন্দি দশায় অনেক প্রাণীর খাদ্যাভাস বদলায়।  জীববিজ্ঞানে প্রমাণিত। যেমন করে কুকুর মাংশাসী থেকে সর্বভুক হয়েছে।  তেমনি হয়তো এই পাখি শাকাহারী থেকে মাংশাসী খাদ্যাভ্যাসে ফিরে গ্যাছে খাঁচায় বন্দি হবার পরে।

    আর হ্যাঁ , সেই গাছের নাম আরেকবার লিখে পাঠাবে ? তোমার কথা মত দন্ডকারণ্যে অনুসন্ধান করছি। যদি খুঁজে পাই সেই গাছ।  

    ***
    পরের চিঠিতে আমি লিখে পাঠালাম , গাছের নাম চক্রপর্ণ। আমিষ ছাড়ায়।

    ***উপসংহার
    বছর খানেক পরের শীতে সরকারি চাকুরে বন্ধু কুনাল পুরী বেড়াতে যাচ্ছে শুনে তাকে সবিস্তারে ঘটনাটা বললাম। ব্যাটা আমায় বিশ্বাস-ই করলোনা।  তারপর পুরী থেকে ফিরে সন্ধ্যেবেলায় আমার বাড়িতে হাজির।  প্রথমে একপ্রস্থ গালিগালাজ করে বলে আমার মতো গুলবাজ আফিমখোর নাকি দুটো নেই।  ভুবনেশ্বরের ওই হোটেলে কিশোর বেহারা বলে কোনো ট্যাক্সি ড্রাইভার নেই।  তাও  অন্য কাউকে ধরেটরে আমার বলা সেই জায়গায় গেছিলো।  জংলা পোড়ো জমি ছাড়া কিছু নেই।  না সাহেব, না সাহেবের দারোয়ান।  তবে হ্যাঁ, একটা পোড়ো ভাঙ্গাচোরা  বাংলো আছে বটে , স্থানীয় লোকের বলল এ বাংলো প্রায় আদিকাল থেকে আছে, ওখানে কেউ থাকে বলে কেউ জানে না।

    আমি মুচকি  হেসে বললাম , 'নে সিঙ্গাড়া খা .. '

    --- কৃতজ্ঞতা স্বীকার ‘বৃহচঞ্চু – সত্যজিত রায়’
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৭ জানুয়ারি ২০২২ | ২০০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 117.194.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৪503196
  • বাইনারি,  ভাল লাগল না । তার চেয়ে বরং আপনি ঐ গল্পটা শেষ করুন, ঐ যে একজন ভারতীয়্কে নিয়ে, বোধ হয় আটলান্টিক সিটির রেফারেন্স ছিলো .
  • R.K | 120.2.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৫503197
  • লেখার স্টাইল অসাধারণ , ঝরঝরে ভাষা। 
    আরো লিখুন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন