ভাবমূর্তি কিছু ধরে রেখেছিলো বটে আমার বাবা। খুব বেশিদিনের জন্য না, স্টিল। বিকেলে ইস্কুল থেকে এলে আমার বরাê ছিল ডাল আর ওমলেট। ওমলেট তো না, ওমেত্ত লাগতো পুরো। বাবা বানাতো ঐটি। এদিকে নিজের ডিম খাওয়া বারণ। আমি করুণা করে হয়তো এক আধটা ছোটো অংশ ভেঙ্গে দিতুম ( খুব বেশি না অবিশ্যি , আমার হাত দিয়ে আবার ডিম, চানাচুর, হজমি এসব জিনিস মোটে গলে না)। তাছাড়া, বিবেক বলেও তো একটা জিনিশ আছে। ডাক্তারে বাবাকে ওটি পইপই করে খেতে মানা করেছে জানাঅ ছিল। যদিও বাবা আমাকে ব্রেইনওআশ করার চেষ্টা করেছিল, মায়ের পছন্দের এই ডাক্তারের আণ্ডা সú²আংন্ত ফান্ডায় গলতা আছে বলে , তবু কনসার্নড কন্যা হিসেবে এই চাহিদাকে মাúআতিরিক্ত প্রশ্রয় দিতে পারিনি। নইলে আকুতি কাকুতি মিনতি ভরা চোখপানে চেয়ে আরেকটু বেশি ডিমের ভাগ দিতে পারতুম না, অতটা পাষাণীও নই ! যাইহোক অল্পেতেই মোটামুটি খুশি হতেন পালবাবু। বদলে আমার জুটতো পাপড়ি চাট । আপিসের কোনো সবজান্তা কলিগের ভাংচানিতে এই অতি সুস্বাদু বস্তুটি অতি অপকারী (অপকারী টু দ্য এক্সটেন্ট অব বিয়ি ংকার্সিনোজেনিক) বলে চিহ্নিত হয়ে আমাদের বাড়ি নিষিদ্ধ ছিল। বাবার ব্রিফকেসে ওটা লোকানো থাকতো। বলা বাহুল্য, ব্রিফকেস, ওমলেটের কেস সব ই মায়ের থেকে সযত্নে লুকানো থাকতো। ইন ফ্যাক্ট, আজ ও আছে। গোপন কথা গোপন রবে না, এরকম জেনেরালাইসড স্টেটমেন্ট দেওয়া যে কত ভুলভাল, দুই দশক ধরে পিতা-পুúঈর এই গোপন প্যাক্টের ইন্ট্যাক্ট থাকাই তার প্রমাণ ।
গোল বেঁধেছিল অন্যú। সেই ব্যাপারটা এমনকি আমারও অজানাই ছিল। জানা গেল, যেদিন, কি কারণে, সন্ধেবেলা আপিস থেকে ফিরে জাল ঘাঁটছিল মা। বোধহয় দরকারী কিছু হারিয়ে গেছিল, ঐ যা যা মোটামুটি রেগুলার ইন্টারভ্যালে হারাতো, বিয়ের আংটি কিম্বা মাথার ব্যাকক্লিপ কি ইলেকট্রিক বিল, তারই কিছু একটা হবে। তা, ঘেঁটে টেঁটে বেরোলো দুটি ডিমের খোলা। হ্যা, ঁদুটি। হিসেবমত হবার কথা একটি। আমার বৈকালিক বরাê। না, ভালো গোয়েন্দা কিনা, তাই প্রথমদিনেই এ নিয়ে বাবাকে তলব করেনি মা। পরবর্তী চার দিন বাড়ি এসে রিলিজিয়াসলি জাল স্ক্যান করেছে। এব ংবেরিয়েছে, হ্যা, ঁদুখানি ডিমের খোলা, প্রতিদিন ই । তৃতীয় ও চতুর্থ দিন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আবার আমি নিযুক্ত ছিলুম। লুকিয়ে লুকিয়ে পা টিপে টিপে রান্নাঘরের দরজার আড়াল থেকে দেখেছিলুম, স্কুল থেকে ফিরে আমার হাত মুখ ধোবার সময় ই তৈরি হয়ে যায় প্রথমটি, এব ংতত্ক্ষণাত তার স্থান হয় উদরে। তারপর আমি অফিসিয়ালি রান্নাঘরে এলে তৈরি হয় আমারটি, রোজের মত। ডিম ফেটিয়ে রাখবে বাবা, আমি গুলবো, বাবা তেল গরম করবে, আমি ছাড়বো, বাবা ওপিঠ উল্টে দেবে, এরকম ই একটি জয়েন্ট ভেন্চার ছিলো বাপ বেটির। তবে অতি দুর্জনেও বলতে পারবে না আমার এই ক্যাম্প বদলের পিছনে কোনোরূপ উতে্কাচ প্রú²য়িআ ছিল। ছিল খুবই সরল সাদাসিধা দুটি কারণ। এক তো, কন্যার কর্তব্যসচেতনতা। ঐ ভগ্নাংশ ডিম দিয়েই নিজের বিবেকের কাছে অপরাধের বোঝা কমানোর চেষ্টা করছি, আর উনি ওদিকে।অ।অ।অ।! আর, দুই, নিজে তো কোনোরকম হিস্সা না দিয়ে একটা গোটাগুটি ডিম খেত ই, উল্টে আমারটাতেও ভাগ বসাতো, এটা বুঝে নিজেকে বেজায় বতি মনে হয়েছিল। রাগ ও হয়েছিল। মানে, এরকম একটা বিট্রে , আমার গুপ্তচরবৃত্তির একটা মরাল গ্রাউণ্ড তৈরি করে দ্যায়।
অত:পর আর কি! দশখানি ডিমের খোলার প্রদর্শন সহ আমার বন । এই হালে পালাবার আছে কি উপায় ?
লিখতে লিখতেই একটা কথা মনে হল, কদিন আগে অব্দি লেখার সময় বাবা মা কে রেফার করতাম আপনি বলে। পুরানো অভ্যেস। আজ মোটে ইচ্ছে করলো না।
Lama | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৫৭ | 203.99.212.54
কি? কি?
pi | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৫৪ | 72.83.210.50
আকাদার ঐ ভাবমূর্তি সংক্রান্ত পোস্ট পড়ে খুব হাসলাম। আর ছোটোবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে গ্যালো।
besh korechhi | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৫২ | 203.99.212.54
পাপ
sorry | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৫১ | 85.154.255.42
প্রায়শ্চিত্ত
pi | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৩৯ | 72.83.210.50
ঃ)
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:৩১ | 121.242.177.19
kissই দিপুর ভিত্তি, শিল্পা ভবিষ্যৎ।
o d | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:২৯ | 61.12.12.83
সিঙুরে সিল্প কোরবো।
pi | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:২৫ | 72.83.210.50
কেন ? তুই যে সেই নাইজেরিয়ান খুড়োর থেকে অত্ত অত্ত সম্পত্তি পেলি ? একটু সিল্প টিল্প কর এবার।
o d | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:১৮ | 61.12.12.83
আমি না।
Lama | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:০১ | 203.99.212.54
পুরো খবরটা পড়ে শেষ করতে পারি নি, কে কিনল? কোনো সাহেব? ভারত সরকার নাকি কেনার চেষ্টা করেছিল?
অবশ্য সরকার না কেনাই বোধ হয় ভালো। কদিন পর ছাতা পড়বে অথবা চোর নিয়ে যাবে। সরকারী গোয়েন্দা দু বছর তদন্ত করে খাতা বন্ধ করে দেবে। তার থেকে ভালো কোনো সমঝদারের ব্যক্তিগত সংগ্রহে যাওয়া।
o d | ১৬ জুন ২০১০ ১২:৫১ | 61.12.12.83
দাদুর আঁকা বারোটা ছবি 1.6 বিলিয়ন পাউন্ডে নিলাম হয়েছে।
Ishan | ১৬ জুন ২০১০ ১২:২৩ | 125.18.17.16
নাঃ, অল্পে হয়না। সুইসাইড করলে তবেই মিডিয়া হাজির হয়।
Kartuj | ১৬ জুন ২০১০ ১১:৫১ | 125.20.3.146
তবে একটা জিনিস হয়ত অনেকে একমত হবেন, আমরা স্কুলবেলায় স্কেল বা বেতের যে এলোপাথাড়ি প্রলয়নৃত্য মুখ বুজে সহ্য করেছি, এখনকার দিনে তার কিঞ্চিৎ প্রদর্শনেই মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পীড়িতের বাড়ির দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়। সারা বঙ্গদেশ তোলপাড় হয়ে ওঠে। একবার তো ক্লাস টুয়ে নজরুলের 'কাঠবিড়ালী পেয়ারা তুমি খাও' পড়ানোর পরদিন মাস্টারমশাই প্রত্যেককে কবিতা মুখস্থ করে ১ লাইন ১ লাইন করে ধরছেন। তো একটু বোধায় ভুল বলেছিলাম, স্কেল দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আমার গায়ে হপ্তা তিনেকের মত ডিজাইন করে দিয়েছিলেন রগচটা অনীশবাবু। দুর্ভাগ্যক্রমে, তখন মিডিয়ার এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না।
quark | ১৬ জুন ২০১০ ১১:৩৭ | 202.141.148.99
এই রকম " কারণ না বোঝা" শাস্তির আরেকটা গল্প। ক্লাস বোধ হয় এইট। বাংলার মাস্টারমশাই এসে প্রশ্ন ক'রে বসলেন (টপিকটা মনে নেই)। কিস্যু মনে করতে না পেরে হেব্বি ঘাবড়ে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লুম সুড়্সুড় ক'রে। কিন্তু মাথা চুলকে অনেক ভেবে মনে হ'ল ওটা পড়ানোই হয় নি। বলতেই ধমক। পর পর দাঁড়িয়ে পড়তে লাগল "বানরের দল"। ধমকের রেশ তখনও চলছে, কারো মুখে টুঁ নেই। প্রায় সিকি ক্লাস দাঁড়িয়ে পড়ার পর ফার্স্ট বয়। উঠে দাঁড়িয়ে কাঁচুমাচু মুখে বলল
কিন্তু টিআর কি বাংলা টাইপ শেখার চাপে পড়ে আর এলেনই না?
Kartuj | ১৬ জুন ২০১০ ১১:২৬ | 125.20.3.146
আমার ছোটোবেলায় দুটো স্যারের হাতে মার খাবার ঘটনা আছে, কেন খেয়েছিলাম অনেকদিন অব্দি বুঝে উঠতে পারিনি।
১) কেলাস ১। সবে সবে স্কটিশে ঢুকেছি। ফার্স্ট টার্মের অঙ্ক পরীক্ষা। লেখাপত্তর শেষ। তখন খাতার দুধার মুড়ে মার্জিন করতাম, স্কেল ইউজ করতাম না টাইম বাঁচাতে। তো, রিভিশন করে-টরে মার্জিনটা একটু prominent করতে মুড়ছি ভালো করতে। invigilator এসে হঠাৎ পাশে দাঁড়ালো। - "কি করছ ওটা?" - "মার্জিন ঠিক করছি স্যার"।
কান মুলে সপাটে এক চড়। সে কালশিটে ২ হপ্তা মতন ছিল।
২) কেলাস ৩। বাংলা ব্যাকরণের ক্লাস। "লিঙ্গ" পড়ানো হয়েছে আগের দিন। নরেনবাবু একে তাকে ধরছেন এটা ওটা। তো, "মস্তান' কোন লিঙ্গ জিগেস করতে করতে বেঞ্চির ধার দিয়ে যাচ্ছেন। আর সে বেঞ্চির বসে থাকা ছাত্র পরমুহূর্তে স্ট্যাচু হয়ে যাচ্ছে কর্ণধারণপূর্বক। আমার তো আর জানা নেই যে উত্তর জানলেও আমার বলা মানা। কারণ উনি যে আমি নিশ্চিত পারব জেনে আমাকে বাদ দিয়ে গেছেন তা তো বুঝিনি। তো ঝটিতি বলে বসেছি, "স্যার, এটা উভলিঙ্গ।" আমি জানি বেশ পিঠ চাপড়ানি পাবো, একগাল হাসি মুখে আমার। ও বাবা, রেডিওর নব ঘোরানোর মত নির্মমভাবে আমার সাধের কানদুটো দিলেন মুলে। সে ব্যথাও সহজে কমেনি। পরে মা একদিন জিগেস করাতে বলেছিলেন, "আমি তো জানি ও পারবে, যারা পারবে না তাদেরই তো ধরছিলাম, ও বলে দিলে বাকিরা শিখবে কি করে?" বোঝো !!
h | ১৬ জুন ২০১০ ১১:০৮ | 203.99.212.54
ছোটো থেকে জাস্ট মেরে মেরে কয়েকটা দুষ্টু ছেলেকে ক্রিমিনাল আর মাতাল/পাতাখোর বানিয়ে দেওয়ার ঘটনা শান্তিনিকেতন পাঠভবনে চোখের সামনে ঘটেছে। একজন মরেও গেছে, ব্লান্ট ছিল, রাইট উইং এ ভালো খেলা ছাড়া সম্মানজনক কিসু কখনো করে নি, বার বার ফেল করেছে, কিন্তু ক্যালানি টা, ঐ লেভেলের ক্যালানি টা আর আনুষঙ্গিক অপমান, তার আদৌ প্রাপ্য ছিল কিন জানি না। তবে যাঁরা মারতেন তাঁদের দু জন নানা ভাবে কিছুটা অল্প বয়সেই মারা গেছেন, এই বীভৎস এন্ডিং ছাড়া এই গল্পটার কোন শেষ নেই। তার মধ্যে একজন আবার আমার মামা। বাজে মফস্বলের গল্প।বা*।
h | ১৬ জুন ২০১০ ১০:৫৮ | 203.99.212.54
প্রাক্তনীদের অবস্থান, এটা অনেকটা স্মার্টনেস বাড়ানোর জন্য র্যাগিং কে প্রোমোট করার মত। যদি স্কুলের আচরণের সঙ্গে আত্মহত্যার কোন যোগযোগ নাও থাকে, এটা তো ঘটনা বেত মারা, শাস্তি র অন্যান্য আজেবাজে ফর্ম বন্ধ হওয়া উচিত।
আমি যে লেভেলের ক্যালানি খেয়েছি ছোটোবেলায়, মরে যে যাই নি, এটাই আশ্চর্য। বড় হয়ে এক স্কুল মাস্টার, আর দুই প্রোফেসর কে কাঁচা খিস্তি করে ব্যাপক প্রাণে আনন্দ পেয়েছিলাম, ছোটোবেলার রাগ একটা কারণ, অন্য সাম্প্রতিক কারণ ও ছিল। তবে আস্তে করে স্টুডেন্টশিপ ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছিল, সেটা আটকে দিয়েছিলেন কলেজ প্রিন্সিপাল, আমার ধারণা উনি হেবি দয়ালু টাইপের ছিলেন, আর ঝামেলায় বিব্রত বোধ করতেন। হাইট হল, ছাত্র পরিষদের যে সব ছেলেরা 'অধ্যাপক দের অপমানের' প্রতিবাদে, প্রতিবাদ দিবস পালন করলো, তারাই আমাকে 'বোকা ড্যাশ' দের উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য রুটি,তড়কা আর বাংলু খাইয়েছিল ঃ-)
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ১০:৫৩ | 122.162.75.192
হুঁ। তবে কী জানি কেন পুরো কেসটা এত সহজ লাগছে না। চাহিদা একটা ল্যাপটপ। অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু সেই অন্যায় সহ্য করা হল-অথচ-হল-না দু বছর ধরে। ল্যাপটপ দেওয়া হল না, সঞ্জয়কেও দু বছর ধরে ফেল করানো হল, অথচ কেসটা জানানো হল দু বছরের পর। একটা বা দুটো ল্যাপটপই যেখানে ছেলের পাশ করার একমাত্র চাবিকাঠি, সেটা দিতে না-চাওয়া মানে সঞ্জয়ের বাবা খুব সৎ। তিনি দু বছর ওয়েট করলেন ব্যাপারটা পুলিশে জানানোর আগে? একটা ছেলের দুটো বছর নষ্ট হয়ে গেল?
Arijit | ১৬ জুন ২০১০ ১০:৪৮ | 61.95.144.122
আমি তো ওটা শুনেও তাজ্জব হয়ে গেসলুম...
Arijit | ১৬ জুন ২০১০ ১০:৪৭ | 61.95.144.122
পুলিশে ডায়েরি হয়েছে জুনে। তবে ঘটনাটা জানাজানি হয় এবং অল্পস্বল্প হইচই শুরু হয় সঞ্জয় "ল্যাপটপ' স্মার্ট-এর কেসটা সামনে আসার সময়েই।
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ১০:২৩ | 122.162.75.192
না, আর কিছু করার নেই। লা মার্টসের কেসটা, আজকের আবাপ-র রিপোর্টিংটা যদি সত্যি হয়, তা হলে এত সহজ সরল দুইয়ে দুইয়ে চার নয়। ফেব্রুয়ারির আট তারিখে সে বেত খেল, বারো তারিখে স্কুলে দুষ্টুমি করে ডায়েরিতে নোট নিয়ে হাসতে হাসতে বাড়ি গেল, এবং সেইদিন সে আত্মহত্যা করল। সেই কেস পুলিশে জানানো হল জুন মাসের বারো তারিখে।
Lama | ১৬ জুন ২০১০ ১০:২২ | 203.99.212.54
ভায়োলেন্স আগেও ছিল, কিন্তু লোকজন বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে জানতে পারত। যেখানে যত ভায়োলেন্সের ঘটনা ঘটত তার সব কটাই সবার কানে আসত না।
আমাদের স্কুলে দ্বিজপদ স্যার বলে একজন ছিলেন। শুনেছি তাঁর শিশু ভাগ্নে (না ভাইপো, কিছু একটা হবে) একবার তাঁর চটি পায়ে দিয়েছিল বলে রাগের মাথায় শিশুটিকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলেন। তারপর প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ (এটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত ঠেকত) সারা জীবন খালি পায়ে থাকতেন- দুষ্টু ছেলেরা বলত "খালিপদ স্যর' । রগচটা স্বভাবটা অবশ্য বিন্দুমাত্র কমেছিল বলে মনে হয় না।
আমাদের অনেক বন্ধুর কাছেই স্কুল জীবনে শোনা এটাই একমাত্র ভায়োলেন্সের ঘটনা। হয়তো একই সময় আসামে কিংবা পাশের শহরে কিংবা টিম্বাকটুতে এর চেয়েও বীভৎস কিছু ঘটেছে, কিন্তু আমরা জানতে পারি নি। এখন যেখনে যা ঘটে আমরা জানতে পারি- তাই জানতে পারি চারদিকে রোজ কত বীভৎস ঘটনা ঘটছে।
Ishan | ১৬ জুন ২০১০ ১০:১৭ | 125.18.17.16
আমার ইশকুলের কথাও মোটামুটি একই। কিন্তু সেসব বলে কি হবে। কিভাবে ক্যাম্পেনটা করা যায় একটু ভেবে দেখ। আমি ম্যাক্সিমাম একটা লেকা লিখতে পারি। অন্য কিছু?
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ১০:১০ | 122.162.75.192
খুব বেশিদিন আগে আমরা স্কুল ছাড়ি নি, কিন্তু এখনকার দিনের দিকে তাকিয়ে দেখছি, আমরা বেশ আগের দিনের একটা জেনারেশন হয়ে গেছি। আমাদের সময়ে মারা-টা টেক্ন ফর গ্র্যান্টেড ছিল, কেউ বিশেষ কিছু মনে করত না।
সম্ভবত তখন চাইল্ড ভায়োলেন্স, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং ওভারঅল ভায়োলেন্স ব্যাপারটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এত বেশি ওভারএক্সপোস্ড ছিল না, যেটা আজকের দিনে ঘটছে। এই জন্যেই তখন মারধর ব্যাপারটা কি লোকের চোখে বিশেষ কিছু ব্যাপার ছিল না, আর আজকের দিনে ব্যাপারটা খুব বড় একটা ইস্যু?
Lama | ১৬ জুন ২০১০ ১০:০৬ | 203.99.212.54
মিশনারী না, তবে নেতাজী সুভাষ বসুর আদর্শে অনুপ্রাণিত বলে দাবী করত
Lama | ১৬ জুন ২০১০ ১০:০৪ | 203.99.212.54
মেয়েদের ক্লাস আবার আলাদা ঘরে হত। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি নিম্নরূপঃ
লঘু অপরাধের শাস্তি মৃদু তিরস্কার। তারপর অরো গুরুতর অপরাধ অনুযায়ী যথাক্রমে কঠোর তিরস্কার, দাঁড়িয়ে থাকা, বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা, কান ধরে বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা, নিল ডাউন, কান ধরে নিল ডাউন, কান ধরে ওঠবোস, আড়ং ধোলাই, বাবাকে ডেকে পাঠানো ইত্যাদি।
আর চরম অপরাধের চরম শাস্তি- মেয়েদের ক্লাসরুমের সামনে দিয়ে একপ্রস্থ ঘুরে আসা, কান না ধরে (এটা কেউ কেউ ভয় পেত, এই শাস্তিটা এড়ানোর জন্য কেঁদেকেটে স্যরের পায়েটায়ে ধরত। আবার কেউ কেউ এই শাস্তিটা পাবার জন্য ইচ্ছে করে কঠিন অপরাধ করত, যেমন অমূল্য স্যারের সাইকেলের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া)
Arijit | ১৬ জুন ২০১০ ১০:০২ | 61.95.144.122
আমাদেরও পেটাতো, এবং তখন সেটা দিব্যি গ্র্যান্টেড ছিলো। কিন্তু এখন অন্যরকম ভাবি। নইলে ঋককে লরেন্সে ভর্তি করেও সাতদিন পর উইথড্র করতুম না।
লা-মার্টসের ঘটনাটাকে শনিবার রেডিও মির্চিতে মীর তুলেছিলো। ওই স্কুলেরই এক প্রাক্তন ছাত্র ফোন করে বল্ল যে আমরাও তো বেত খেয়েছি, কই এরকম তো হয়নি। নির্ঘাৎ বাড়ির কোনো প্রবলেম ছিলো। এখন স্কুলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা নাকি এটা নিয়ে মুভ করার কথা ভাবছে।
আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে ছাত্র দেখলে পিটিয়ে দেওয়াটাই ছিল দস্তুর- নিল ডাউন, দাঁড়ানো, বসা, চলমান নির্বিশেষে কোনো স্যরের সঙ্গে কোনো ছাত্রের সাক্ষাৎকার অবশ্যই কয়েক ঘা বেত দিয়ে শুরু হবে, তারপর অন্য কথা।
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ০৯:৪৬ | 122.162.75.192
আচ্ছা, এই বেত মারা কেসটা কি যে-কোনও মিশনারি স্কুলেই কমন? আমাদের স্কুলেও ফাদাররা বেত নিয়ে ঘুরত, আর ক্লাসের বাইরে কাউকে নিল ডাউন দেখলেই তাকে উপর্যুপরি বেত মারত। রকফোর্ড সিনেমাটাতেও ঐ বেত মারার কেস দেখেছি।
কেস হচ্ছে, কেবল ফাদাররাই মারত। অন্য টিচাররাও মারত, তবে হাত দিয়ে বা স্কেল দিয়ে। সেটা থিক মারার মত মারা ছিল না, আমার নিজের অভিজ্ঞতায়, অন্তত বেত মারার কাছে সে-সব ছিল নস্যি।
Samik | ১৬ জুন ২০১০ ০৯:৪২ | 122.162.75.192
মাথা নিচু হয়ে আসে। নিজের গায়ে থুতু ফেলতে ইচ্ছে হয়। কোথায় পৌঁছচ্ছি আমরা, সমষ্টিগতভাবে? "ভারতীয়' হিসেবে? "মানুষ' হিসেবে? কোথায় এর শেষ?
এতকিছুর পরেও আমরা সাধারণ মানুষ, কিংবা সরকার, দু পক্ষই উদাসীন। এই অনার কিলিংয়ের বিরুদ্ধে, কল্ অফ দা টাইম হল একটা অ্যাগ্রেসিভ ক্যাম্পেন। সো-কল্ড সুশীল সমাজ, জানি না দিল্লি বা উত্তর ভারতে এই ধরণের কোনও সংগঠন আছে কিনা, এবং সরকারের তরফ থেকে একটা অ্যাগ্রেসিভ ক্যাম্পেন দরকার ছিল। সরকারের হাতে পুরো মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ, এতগুলো চ্যানেল, কিছু কি করা যেত না? করা যায় না?
আরও গল্প আছে। আমার লোকালিটির গল্প। বলছি বিকেলের দিকে।
d | ১৬ জুন ২০১০ ০৯:২৯ | 115.117.242.207
এঃ আমি দিতে যাচ্ছিলাম, বেথে দিয়ে দিল। হ্যাঁ রোভনজিৎএর ইশকুলের প্রিন্সির বক্তব্যটাও পড়তে ভুলো না কিন্তু।
তবে ব্রাজিল গ্রুপ লিগে বাজে খেল্লে সচরাচর পরের দিকে ভালো করে। ঃ-)
Tim | ১৬ জুন ২০১০ ০৩:১৮ | 198.82.16.115
ব্রাজিলের কোন ভালো গোলগেটার নেই। আত আলট্রা ডিফেন্সিভ টিমের বিরুদ্ধে ওরা চিরকালই ভোগে।
এই ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে ওরা বেশিদূর যেতে পারবেনা। তবে ডিফেন্সটা মন্দ না। কাকা খুবই অখাদ্য খেললো। মাইকনের এত নাম শুনলাম, শেষে এই? আমার কাল হল্যান্ডের খেলাও খুব স্লো আর বাজে লাগলো। এখন স্পেনই ভরসা।
Tim | ১৬ জুন ২০১০ ০৩:১৫ | 198.82.16.115
ঃ-)))
a x | ১৬ জুন ২০১০ ০৩:১০ | 143.111.22.23
ঃ-)))
aka | ১৬ জুন ২০১০ ০৩:০১ | 168.26.215.13
সুগার? আজকাল কড়া নজরে রয়েছি। মা ও ছেলের স্বাস্থ্য সচেতনতায় আমার প্রাণ যায় যায়। সাম্পান স্কুলে আজকাল কোন ড্রিংক না নিয়ে জল নেয়। এদিকে আমি কোক খেলে মাকে লুকিয়ে অর্ধেক সাবড়ে দেয়। এদিকে মায়ের সামনে কি ভাবমূর্তি।
aka | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৫৮ | 168.26.215.13
আমি একবার ভুল করে টু-এর জায়গায় নিজের ঠিকানা লিখেছিলাম, আর ফ্রম-এর জায়গায় যাকে পাঠাচ্ছিলাম তার। কদিন বাদে চিঠি আমার কাছে ফেরত এসেছিল।
a x | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৫৮ | 143.111.22.23
শেক'এ বেশি করে ফল দিলে ওজন নিয়ে ভাবতে হবে কেন?
ধর একদিন ডিনার করলে খালি ঐ দিয়ে, তালেই তো হল।
aka | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৫৭ | 168.26.215.13
ব্রাজিল কিরম বুঝলে? সেই জোশটা নেই। আমার কেমন মনে হচ্ছে সাদামাটা বিশ্বকাপ হবে।
a x | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৫৭ | 143.111.22.23
সব কটার নোঙ্গা মন! আমি ডেয়ারী কুইন ছাড়া কোনোটাতেই যাইনি। ডেয়ারী কুইনের ব্লিজার্ডটাও একগাদা দিত, সঙ্গী ছাড়া খাওয়া যেত না।
ভুল জিপ কোড লেখা চিঠি এসেছে, কিন্তু না দিলে আসবে কিনা জানিনা।
Tim | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৪৯ | 198.82.16.115
কোল্ডস্টোনও ভালো। তবে বড্ড বেশি দেয়। সবথেকে ছোটটাও শেষ করতে প্রাণ ওষ্ঠাগত।
aka | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৪৭ | 168.26.215.13
আইসক্রিমের থেকেও আমার শেকগুলো বেটার লাগে। ওজনের কথা ভেবে আর প্রাণে ধরে খেতে পারি না।
aka | ১৬ জুন ২০১০ ০২:৪২ | 168.26.215.13
আমাদের গেরামে ওসব পাওয়া যায় না, ছোট গ্রামের ছোট ছোট পার্লার - বেন অ্যাণ্ড জেরি। আজ এখানে হিট ইন্ডেক্স ১০৫ গতকাল ছিল ১১৫। বাইরে বেরলে মনে হচ্ছে দিল্লিতে আছি।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন