ব্রজঠাকুরের বোধোদয় : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১৯৮৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
ব্রজঠাকুর তো ঈশ্বরচিন্তায় ডুবে থাকেন। সামান্য জমি জিরেত। কিছু ফলের গাছ। দোকানটা চালায় ভাগ্নে মোহন, আর সংসার চালায় মোহনের বিধবা মা শান্তি। শান্তিবালা আর ছেলে মোহন, বড়ো ভালো মানুষ ওরা। তবে এও ঠিক কোন অকূলে ভেসে যেতো যদি ব্রজগোপাল ঠাঁই না দিতো। তা ব্রজঠাকুরেরও তো বয়স হল। কে দেখে সংসার?
হাঁপানি আর ভগবানের চিন্তা -এই নিয়েই জীবন। ব্রজঠাকুর বলেন তাঁর অলৌকিক দর্শনের কথা, চুপচাপ শুনে যান শান্তি।
তাঁর মাথার উপর ছাদ। ছেলেটার খাওয়া দাওয়ার কষ্ট নেই। ব্রজঠাকুর বেলাবেলি খেয়ে শুয়ে পড়েন। বলেন আমি যোগনিদ্রা দেই। তো বেশ। দুপুরে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে বাড়ী আসে মোহন। মায়ে পোয়ে খায়। জীবনে এতো শান্তি কখনো পায় নি শান্তিবালা।
স্বামী ঘর থেকে বার করে দিলে ছোটো ছেলে নিয়ে লোকের বাড়ী বাস। এর বাড়ী, তার বাড়ী। বারবার ঠাঁই বদল। আশ্রিতের জীবন। অনিশ্চয়। দুর্ভাবনা আর অপমান।
পুরাভারতের সুরাভাবনা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ২৫৫৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২০
কোটিল্য এরপর নানান মদের লিস্টি দিয়েছেন, যেমন মেদক, প্রসন্ন, আসভ, অরিষ্ট, মৈরেয় আর মধু। মধু মানে কিন্তু হানি নয়, আঙুরের থেকে তৈরি ওয়াইন। উনি রেসিপিও দিয়েছেন। একটা শুনুন। মৈরেয় বানাতে কী কী অ্যাডিটিভ লাগে। মেষশৃংগী গাছের ছাল গুড়ের সাথে মিশিয়ে বাটতে হবে। তার সাথে দিন গোলমরিচ ও ত্রিফলা চুর্ণ। ব্যাস,এটাই সিক্রেট রেসিপি। আমের রস থেকেও মদ হোতো। কতো রকমের মদ ছিলো? আয়ুর্বেদে বলে ষাটটি। কোটিল্য উল্লেখ করেছেন প্রায় দশ-বারোটির কথা। অগ্নিপুরাণেও আছে সাত-আটটির নাম। তন্ত্র ঘাঁটলেও গোটা দশেক জেনেরিক মদের নাম পাওয়া যায়।
মহারাজ বিশাখ : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ | ৩৮৮৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩৪
অকস্মাৎ গুম গুম গুম শব্দে অমোঘ পাহাড় কাঁপিয়া উঠিল। চমকিত বিশাখ দুই পদ পিছাইয়া আসিলেন। হেরিলেন বজ্রপ্রস্তর নির্মিত বেদী সহ জ্বলমণির বিশাল প্রস্তর মূর্তি মৃত্তিকায় প্রোথিত হইতেছে। স্থাণুবৎ মহারাজ দেখিলেন মণি মাণিক্য খচিত দেবগৃহ অতলে চলিয়া যাইতেছে। অপরূপ কারুকার্যখচিত স্তম্ভ, বংশ পরম্পরায় নিপুণ শিল্পীদের সাধনার ফল। নিমেষে নিমেষে মন্দির ভূমিতে গহ্বর সৃষ্ট হইতেছে, যেন নরক ভৈরবীর আদিগন্ত মুখ ব্যাদান। এক এক গ্রাসে বিলুপ্ত করিতেছে নাটমন্দির, দেবশিখর, উপচার গৃহ, বৃন্দবাদনের প্রাঙ্গন। সুদূর পর্বত শিখর হইতে প্রস্রবিনী শঙ্খশুভ্রা নির্মল জলধারা,যা একদিন ধৌত করিত মহাদেবতার চরণ দুটি ,সহসা শুকাইয়া গেলো। পুণ্য দির্ঘীকার পূত সলিল ফোয়ারার ন্যায় ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হইলো। দগ্ধ হইলো মন্দির উদ্যানের পুষ্পবীথি। অবশেষে মন্দিরের শীর্ষ কলসও বিলীন হইলো।
পুরাভারতের গুরুচেতনা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৩ মে ২০১১ | ১৩৪২ বার পঠিত
গুরু ব্যাপারটা নিতান্তই হিন্দু। অন্য কোনো ধর্মে বা সমাজে এর ঠিকঠাক প্যারালাল কিছু পাওয়া যায় না। শুধু শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বা আচার্য্যই নন, গুরু সবেতেই একস্ট্রা অনেক কিছু, অনেক বেশী। অনেকাংশে বাবা-মায়ের মতনই গুরুত্বপুর্ণ। ফ্রেন্ড, গাইড অ্যান্ড ফিলোজফার। ক্রমশই এই শ্রদ্ধার সম্পর্কের সাথে আরো একটা সম্পর্ক, আরো জোরদার হয়ে উঠতে লাগল, সেটা আনুগত্যের। প্রশ্নাতীত আনুগত্য। গুরুর আদেশ অলঙ্ঘনীয়, সেটি পালনের সাথে নিজের বিচারবুদ্ধির বা বিবেকের কোনো অজুহাত থাকতে পারবেনা। এই আনুগত্য আরো বেশী করে দেখা যায় যখন গুরু হন ধর্মগুরু। উদ্দালক আরুণীর বহু প্রচলিত গল্পটি তো সবার জানা। আলের গর্ত দিয়ে যাতে জল না ঢোকে ক্ষেতে, গুরুর সেই আদেশ পালন করতে গিয়ে অনন্যোপায় হয়ে আরুণী সারারাত আলের ধারে নিজের দেহ দিয়ে ঢেকে রাখলেন আলের গর্ত্ত। পরের ভোরবেলা গুরু ধৌম তাকে খুঁজে পেয়ে উদ্ধার করলেন, খুব খুশি হলেন ও নামকরণ করলেন উদ্দালক। বা শিষ্য বিন্ধ্যপর্বত ঘাড় গুঁজে রইলো চিরকালের জন্য গুরু অগস্ত্যের ফিরে আসার জন্য। শুধু গুরু নয়, গুরুপুত্রের জন্যেও একটা ধারাবাহিক দুর্বলতা। সরাসরি রণাঙ্গনে ..
পুজোর হুজুগ ৪ -- সাবেকি পুজো : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ০৬ অক্টোবর ২০১১ | ১৬৭২ বার পঠিত
কেশ বিন্যাসটাই দেখুন। অন্তত: পাঁচ আঙুল লম্বা চুল। তাতে বিনুনি করা। আর একটি খুব মোটা টিকি। বড় হাতলওয়ালা করাতের মতন দাঁত, তেমন একটি চিরুনি মাথায় গোঁজা। গলায় সরু হার। আঙুলে আংটি। কানে দুটো দুটো দুল, দলবীটক আর সীসপত্রক। সারা গায়ে কুমকুম ঘষে একটা হলদেটে আভা বেরোচ্ছে, বা বা নয়নাভিরাম। পরনের কাপড়টি ও হলুদ রংএর। পায়ে মোম দিয়ে বিজানেও হরির কাজ করা লোহার নাল লাগানো জুতো,খট খট শব্দ হবে কিন্তু পায়ে ব্যথা লাগবে না। সঙ্গে ল্যাপটপ নেই। আছে সদা-সর্বদার তাম্বুল বাহক ভৃত্য। তার ও গলায় মালা, তবে সেটি বড়ো পুঁতির মালা। তার নখগুলি রঙিন। হাতে শাঁখের মোটা বালা।
ইন্দো-চীন যুদ্ধ : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৪ জানুয়ারি ২০১০ | ১৪৩১ বার পঠিত
ৎসু আরো বলেছেন এই পাঁচ¢ট ¢বষয়ের উপর তার তৈরী সাত¢ট প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেলেই ¢ত¢ন বলে ¢দতে পারবেন কোন পক্ষ যুদ্ধে ¢জতবে। কৌ¢টল্য বলেছেন তাঁর পুরবর্ত্তী রণপ¢¾ডতরা উৎসাহকে (মো¢টভেশন) মূল ¢নর্ধারক বলতেন। ¢কন্তু কৌ¢টল্য এটা মানেন ¢ন। বলেছেন শ¢ক্ত আর উৎসাহর মধ্যে শ¢ক্তই জয়পরাজয়ের মূল ¢নর্ধারক। শ¢ক্তশালী রাজা, আর রাজা ই বা কেনো, ম¢হলা,খোঁড়া,কানা,বালক - যে কেউ শ¢ক্তশালী হলে উৎসাহকে "¢কনে ¢নতে পারেন"।
সাদা আমি কালো আমি : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ২৫ এপ্রিল ২০০৬ | ২২২৩ বার পঠিত
রুনু গুহ নিয়োগীর মেমোয়ের্স। ছোটোবেলা, প্রথম প্রেম ... এ সব নিয়ে খুব আদিখ্যেতা করেন নি। প্রায় প্রথম পাতা থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তার কর্ম জীবন নিয়ে।
প্রথম দুটো খন্ডে কয়েকটা ইন্টেরেস্টিং প্রতারনার ঘটনা, এ ছাড়া প্রায় সবটাই নকশাল আন্দোলন নিয়ে।
অনন্ত সিং-এর কাজ কারবার নিয়ে অনেক লিখেছেন, বার বারই প্রকাশ করেছেন ঐ দলের শৃংখলা বোধ আর বুদ্ধিমত্তার। সততার আর সাহসের। এ যেন দুই পেশাদারের লড়াই, যুদ্ধ শেষে পরাজিতকে মনের থেকে বাহবা দেওয়া।
"গভীর নির্জন পথে" ও কিছু কথা : ইন্দ্রাণী, কল্লোল, রঙ্গন ও দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ০১ জুলাই ২০০৭ | ১৮৫৭ বার পঠিত
জনপ্রিয় পাক্ষিকের ধারাবাহিক উপন্যাসে বাউল সাধনত্ত্বের বিশদ কিছু বিবরণে বিব্রত, বিরক্ত পাঠককুল। মাঝপথে উপন্যাস পাঠ বন্ধ করেছেন অনেকেই। শুনতে পাই।
নিজে যখন পড়ি, একটি ক্ষীণতনু পুস্তকের কথা মনে আসে। অনেকদিন আগে পড়া। একযুগ? তা' হবে হয়তো। খুঁজে বার করে আনি বইটি। জখম শিরদাঁড়া, পাতাগুলি ঈষৎ হলদে। 'গভীর নির্জন পথে'। লেখক সুধীর চক্রবর্তী। প্রথম সংস্করণ ১৯৮৯। প্রকাশক -আনন্দ। সে'সময় চল্লিশ টাকা দাম ছিল বইখানির।
বেদ মীমাংসা - অনির্বাণ : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বই | ২৭ এপ্রিল ২০০৮ | ১৬৯১ বার পঠিত
যদিও ঠিক পাঠ্য পুস্তকের স্টাইলে লেখা নয়, তবু এই বইটি অনেকদিন ধরে সংস্কৃত ও দর্শনের ছাত্রদের পাঠ্য পুস্তক হিসাবে বি এ, এম এ ক্লাসে পড়ানো হয়। বেদের দুটি অংশ। প্রথমটিকে বলা হয় মন্ত্র। পরের অংশটি ব্রাহ্মণ। যাতে রয়েছে (শুদ্ধ) ব্রাহ্মণ,আরণ্যক ও উপনিষদ। প্রচুর ওভারল্যাপিং রয়েছে। মন্ত্র অংশটিকে সংহিতাও বলা হয়। মন্ত্র অংশটি অপৌরেষেয়। যদিও অনেক ঋষি নিজেকে মন্ত্রবিৎ বলেছেন কিন্তু কোরাণের আয়াতের মতন এই মন্ত্রগুলি আবির্ভুত বা দৃশ্য হয়, বেদবাদীদের এরকমই বিশ্বাস।
আমার সত্তর (শেষ পর্ব) : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১০ জানুয়ারি ২০০৬ | ১৪০৭ বার পঠিত
না, দোষ দেই না কাউকেই। আমি নিজেই তো বালিতে মুখ গুঁজে। তবে সাংস্কৃতিক জগতে যারা খুব মন দিয়ে ঐ ইমেজ গুলো ছড়াচ্ছিল্লেন তারাও ব্যবসায়ী। তাদের কবিতা, গান, নাটক এই সবের সাথে নোংরা পাজামা, কানে গোঁজা বিড়ি, অবিন্যস্ত চুল, সোনাগাছিতে উন্মত্ততা, মাদ্যিক কাল্ট - এরাও পণ্য। এমারজেন্সীর এক গুঁতো এদের সবাইকে ল্যাংটো করে দিয়েছিলো। মুখ গোঁজার জন্য অত বড় মরুভুমি আর ছিলো না।
পানিপথ : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০১ জুন ২০০৬ | ৯৮০ বার পঠিত
ষোড়োশ শতাব্দীর মধ্য ভাগ, ঠিক বছর বলতে গেলে ১৫২৫। দুনিয়া কাঁপানো কিছু তেমন ঘটেনি সেই শতকে। অটোমান সাম্রাজ্য লম্বা পা ফেলে দখল করে নিচ্ছে মিশর ও আরব দেশ, লিওনার্দো ততদিনে এঁকে ফেলেছেন মোনালিসা, আর মার্টিন লুথার তার প্রতিবাদী ধর্মের থিসীস খাড়া করে ফেলেছেন। সারা দুনিয়া মাত্র ৪৫ কোটী মানুষ।
আমি ও ভিকিদা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ১৪৫৯ বার পঠিত | মন্তব্য : ১
দোহাই পাঠককুলকে, ভুল বুঝবেন না। এই লেখার প্রতিটি চরিত্রই জলজ্যান্ত। সব কটি অক্ষরই নিতান্ত ব্যক্তিগত। এটাকে নৈর্ব্যক্তিক ইয়ার্কিমুখী কাল্পনিক কথোপকথন ভাববেন না। এটি এক সিরিয়াস দলিল, মন দিয়ে পড়লে দুই প্রজন্মের বিভেদ ও বিভাগের সব রহস্যের চাবি কাঠি একেবারে আপনার হাতের মুঠঠিতে, হুঁ।
‘মহুল্যা আর নাইরে বাপ, তরহাই ত গাছগিলা কাট্যে ফুরাঞ দিলিশ!’ : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | পড়াবই : বই পছন্দসই | ২৫ অক্টোবর ২০২০ | ২৬৪১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
জিন-শেরি-শ্যম্পেন-রাম-হুইস্কি-ভদকা— কে না জানে? কিন্তু দ্ব-চুনি, মুলি, চুজাংগি, মাতে, সিংগানি, পিস্কো…? অরণ্য-বৈচিত্র্য অন্তর্হিত হওয়ার সঙ্গে আদিবাসীদের সুপ্রাচীন পানীয় হারিয়ে যাওয়ার পরিতাপের কথা? কিংবা ঢাকা-কলকাতায় স্রেফ খাঁটি পরিশ্রুত জল সরবরাহের কিস্সা-কাহিনি? একটি আদ্যোপান্ত পানাসক্ত সংকলন। পাঠ করলেন রসনারসিক কলমচি দীপ্তেন।
বাংলাদেশ : জন্মকথা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ১২ নভেম্বর ২০২০ | ৪৫৩৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ২২
গোপন কথাটি রবে না গোপনে
এমন তো নয় যে আমেরিকা সারা বিশ্বের শান্তিরক্ষার ইজারা নিয়েছিল কোনোদিন। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে যখন দুনিয়া উত্তাল তখনও আমেরিকা একবারও মুখ ফুটে কোনো প্রতিবাদের ধার কাছ দিয়েও যায়নি কেন? সামান্য হিপোক্রেসিও কি আশা করা যেত না?
লেখক বাস তিনটি কারণ বলেছেন। প্রথম দুটি গৌণ। প্রথমত, নিকসন আর ইয়াহিয়া, দুজনের কেউই যখন নিজের নিজের দেশের প্রেসিডেন্ট নন, তখন থেকেই দুজনের মধ্যে একটা সখ্যতা ছিল। নিকসনের অন্তরঙ্গ কথোপকথনের যে টেপ পাওয়া যায় তাতে দুজনের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ হয়েছে একাধিক বার।
দ্বিতীয়ত, নিকসন, ইন্দিরা গান্ধিকে রীতিমতন অপছন্দ করতেন। রাশিয়ার সাথে মাখামাখি, ইন্দিরা সোস্যালিস্ট ঝোঁক—শুধু এগুলিই নয়। মানুষ হিসেবেই ইন্দিরাকে নিকসন পছন্দ করতেন না। এর আগে একবার দুজনের মিটিং হয়েছিল দিল্লিতে মিনিট কুড়ির জন্য। ইন্দিরা নাকি যথেষ্ট উৎসাহ তো দেখানইনি, তায় তাঁর এক সহকর্মীকে হিন্দিতে প্রশ্ন করেন, “এ আরও কতক্ষণ টাইম নেবে?” নিকসনের আর-এক পরামর্শদাতার মতে নিকসন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কোনো মহিলাকে হজম করতে পারতেন না। তো সে কথা বলতে কী, নিকসন গোটা ভারতীয় জাতিকেই অপছন্দ করতেন, বলেছিলেন ভারতীয়রা ‘Slippery and treachorous’। পাকিস্তান ও তার অধিবাসীদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রশংসাই বরাদ্দ ছিল।
পুরা ভারতের পশুভাবনা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৯১৫ বার পঠিত
মানে সেই বেদ থেকে মহাভারত পর্যন্ত, মাঝে খান দশেক উপনিষদ ছুঁয়ে, এই হচ্ছে "পুরা ভারতে"র সময়সীমা। তো, তিন ভাগে লিখি। প্রথম পর্ব যেখানে পশু = জন্তু । কোনো প্যাঁচ পয়জার নেই। সেকেন্ড পর্বে লিখি সেই চেনা জন্তুদের কথা যারা বাহন হিসাবে বা অন্য কোনো ভাবে ঠাঁই পেয়েছে দেবলোকে, দেবতাদের বাহন বা স্রেফ দেবতা হিসাবেই। আর থার্ড ক্যাটেগরিতে মিথের পশু, যাদের সত্যিই কোনো অস্তিত্ব নেই, সেই সব ফ্যান্টাসির জীবেদের কথা।
মহাভারতের জানা অজানা : দীপ্তেন
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : ইদের কড়চা | ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ২৭২৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৩
নানা পণ্ডিতের নানা মত, তাও মোটামুটিভাবে বহুজন গ্রাহ্য টাইম লাইনটা এরকম-
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ, যদি সত্যি ঘটে থাকে, মানে একটা বড় রকমের যুদ্ধ, তবে সেটি হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব নবম শতকে (কম বেশি একশো বছর)। এবং মহাভারতের আদি রচনাকাল শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে। প্রথমে ছিল জয় নামে এক নেহাতই যুদ্ধ কাহিনী, পরে নানান ধর্ম ও উপনিষদের সংস্পর্শে এসে একটা মহাকাব্যের রূপ নেয় খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকের আগেই। এটি দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে যুদ্ধ বিবরণীর সাথে যোগ হয়েছিলো নানান উপকথার। প্রায় এক পুরাণের মতন।