রীতিকা....তুমি কোনোদিন ফ্লাইটে ট্রাভেল করেছ?", অফিস থেকে ফিরেই কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে জুতোটা খুলে ঘেমো জামার হাতাটা গোটাতে গোটাতে সৌমেন জিজ্ঞেস করল।"না...হঠাৎ একথা জিজ্ঞেস করছ যে?", রান্নাঘর থেকে সরবত করতে করতে রীতিকা উত্তর দিল।বেসিনে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে ধুয়ে তোয়ালেতে মুখ মুছতে মুছতে সৌমেন বলল,"কাল প্রিয়াংশু আর ওর মিসেস সিমলা মানালি ঘুরতে যাচ্ছে.......দিল্লী অবধি ডাইরেক্ট ফ্লাইট..... তারপর ওখান থেকে বাই কার মানালি। সিমলাটা মানালি কমপ্লিট করে তারপর যাবে বলল। সাতদিনের ট্যুর!""ধরো।", বলে সরবতের গ্লাসটা সৌমেনের হাতে দিয়ে ওর পাশে সোফায় বসল রীতিকা।এক চুমুকে পুরো গ্লাসটা নিঃশেষ করে হাঁফাতে হাঁফাতে সৌমেন বলল,"আমরা কতদিন কোথাও ঘুরতে যাইনি বল?""হ্যাঁ, অনেকদিন......বিয়ের পর সেই ... ...
বদলা নিতে মক ড্রিলের ধোঁয়াশায় চলছে অপারেশন ‘সিন্দুর‘! ৮ই মে এর কালরাত্রি! ছুটে আসছে পাক – ড্রোন! ভারতীয় সেনা সেগুলো চুটকি মেরে ভূপতিত করছে ‘সুদর্শন‘ এর কেরামতিতে। গোটা রাত সারা ভারত জেগে! মানচিত্র থেকে মুছে গেছে করাচি বন্দরের চিহ্ন! আই. এন. এস বিক্রান্ত স্বমহিমায় ফিরে আসছে তেরঙ্গা টাঙিয়ে! আবারও অ্যাটাক! আবারও ভারতীয় ডিফেন্স পরাজিত করেছে পাকিস্থানের জঙ্গিসুলভ মানসিকতাকে! ছুটিতে থাকা সৈনিকেরা ফিরে আসছে সীমান্তে! বন্ধ হয়েছে সীমান্ত লাগোয়া সমস্ত স্কুল কলেজ! রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা অবধি ব্ল্যাকআউট! কমানো হয়েছে পর্যটকদের ইতিউতি ঘোরা! শুধু রাজধানী নয়, সমুদ্রতীরবর্তী শহর মুম্বাইয়েও বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা! প্রাণ যাচ্ছে কত মানুষের, শহীদ ... ...
থেকে এক ছুটে বেরিয়ে এসে বিছানার ওপরে রিং হতে থাকা ফোনটা রিসিভ করে ঋতু জিজ্ঞেস করল,"হ্যালো, কে বলছেন?"উত্তর এল,"কী রে? এর মধ্যেই ভুলে গেলি?""আরে! অর্ক? তুই! কী খবর? এত দিন পর! ওওওওও.....তুই তো এখন বিদেশী! দেশের লোকজনকে মনেই বা রাখবি কেন বল?", ওপারের গলার আওয়াজ শুনেই ঋতু চিনতে পারল যে সে অর্ক ছাড়া আর কেও নয়।"এই তো? লেগ পুল শুরু করলি? আচ্ছা এই নম্বরটা সেভ করে নে, এটা আমার নতুন নম্বর।""কেন আগের টা কী হল?""আরে, আগেরটা লন্ডনের নম্বর ছিল। আজই তো ইন্ডিয়া এলাম। ভোরের ফ্লাইটেই ল্যান্ড করলাম। নেমেই আগে এই সিমকার্ডটা নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বাড়ি, তারপর একটা ন্যাপ। ... ...
বিদ্যালয় শিক্ষা নিয়ে এমন গাছাড়া মনোভাব পৃথিবীর কোন দেশ বা রাজ্যে কাম্য নয়। বিশেষ করে যে দেশে বা রাজ্যে বেকারত্ব এত বেশি! যেখানে বেশিরভাগ মানুষ স্কুলের গণ্ডি না পেরিয়েই পেটের ভাত যোগাড় করতে কোন না কোন কাজে লেগে পড়েন, চলে যান অন্য জেলায় বা রাজ্যে! আঠারোর নীচের শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়! একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখা যায়, অমুক জায়গায় তমুক পরিবারের শিশু অন্যত্র কাজ করতে চলে গেছে পড়াশোনার ল্যাটা চুকিয়ে। অথবা, পাশের গ্রামের এক নাবালিকার ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে! এ ছবি নিরন্তর! দৈনিক পত্রিকার পাতায় এসব খবর যেন নিত্যদিনের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে! কিন্তু পরিস্থিতি ... ...