মিশ্র সংস্কৃতির ঐতিহ্য ... ...
আমেরিকা নির্বাচনে একটা জিনিস সবাই জানে, কিন্তু কক্ষনো গভীরে ঢোকেনা, সেটা হল গ্রাম-শহরের বিভাজন। বস্তুত ভারতের থেকে বিভাজনটা অনেক বেশি। যদি কাউন্টি ধরে লাল আর নীল ম্যাপ দেখেন তো পিলে চমকে যাবে। প্রায় পুরোটাই লাল, অর্থাৎ রিপাবলিকান। খুচরো-খুচরো কিছু জায়গায় নীলের ছিটে । অঙ্কের হিসেবে মোটামুটি ২৫০০ রিপাবলিকানদের দখলে। আর ডেমোক্রাটরা তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ। ২০%। তাহলে নির্বাচনে কমবেশি ৫০-৫০ হয় কীকরে? কারণ, রিপাবলিকানরা যে কাউন্টিগুলো পায়, তার প্রায় সবটাই গ্রামে এবং কিছুটা শহরতলীতে। সেখানে লোক কম। আর বড় শহরে থাকে একটা বিপুল জনসংখ্যা। সেটা ডেমোক্রাটদের ঘাঁটি। এই দুই এলাকার বিভাজনটা কিন্তু বিপুল। এবার বড় শহরে, এক্সিট পোল অনুযায়ী ডেমোক্রাটরা জিতেছেন মোটামুটি ৬০-৪০ ব্যবধানে। আর গ্রামে ঠিক উল্টো। ট্রাম্প জিতেছেন মোটামুটি ৬৫-৩৫ ব্যবধানে। বিশ্বের আর কোথাও এত প্রকট ব্যবধান দেখা যায় কিনা সন্দেহ। শহরতলীতে একটু মিশ্র। ট্রাম্পই একটু এগিয়ে (৫১-৪৭)। এই বিভাজনটা তিরিশ বছর আগেও এত প্রকট ছিলনা। ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, এবং গত তিনটে নির্বাচনে একদম লাইন কেটে দেখিয়ে দেওয়া যায়। ... ...
এটা ২০২৪ এর নভেম্বর। গত আট বছরে ট্রাম্প তাঁর কিছু অবস্থানে মূলত অনড় থেকেছেন। তার মধ্যে কিছু আমেরিকান রক্ষণশীল পুঁজির পুরোনো অবস্থান। এক, তিনি আমেরিকায় জনতার হাতে বন্দুক থাকার পক্ষে। দুই, গর্ভপাতের সার্বজনীন অধিকারের বিরুদ্ধে, ওটা তিনি রাজ্যগুলোর হাতে ছেড়ে দিতে চান। তিন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যতে যে কোনো রকম 'সমাজতান্ত্রিক' ভরতুকির বিরুদ্ধে। চার, করব্যবস্থা একদম সোজা-সাপ্টা করে দিতে চান। অর্থাৎ প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন চলবেনা। এই চারটেই বিশেষ নতুন কিছু না। দুটো ব্যক্তিপুঁজির চূড়ান্ত অধিকারের পক্ষে এবং বাকিদুটো রিপাবলিকানদের পুরোনো অ্যাজেন্ডা। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন কিছুও দাবী আছে, যা ঠিক চিরপুরাতন রিপাবলিকানদের সঙ্গে মেলেনা। সেগুলো কী? এক, তিনি বড় আকারে অভিবাসনের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে। দুই, আমেরিকার বাজার বাইরের পুঁজিকে খুলে দেবার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ একরকম করে খোলা অর্থনীতি আর নয়, অবাধ ভুবনীকরণ আর নয়। তিন, যুদ্ধের একদম বিপক্ষে। আমেরিকা বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করবেনা, এ কথা শুধু ঘোষণা করেননি, রাশিয়ার সঙ্গে ভাবসাব করে ফেলেছিলেন। ন্যাটো প্রায় তুলে দেবেন বলেছিলেন। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার নেতাদের প্রশংসাও করেছেন একাধিকবার। কেবল চিনের খুবই নিন্দে করেছেন। চার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা, যেটা অন্যদের থেকে একদম আলাদা। একদিকে সেটা মুসলিম বিদ্বেষে পৌঁছে যায়, অন্যদিকে আরব দেশগুলোকে তোল্লাই দেবার বিপক্ষেও, যেটা আমেরিকার এতদিনকার নীতির পুরো উল্টোদিকে। ... ...
দুদিন আগে অবশেষে জুনিয়ার-ডাক্তাররা সিবিআইকে কিছু প্রশ্ন করতে পেরেছেন। আশি দিন পেরিয়ে যাবার পর। সেটা অভিনন্দনযোগ্য। সাংবাদিকে বৈঠক করে জানিয়েছেন। সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের বলেননি কেন, নিয়মিত আপডেটের দাবী করেননি কেন, বা বললে কী উত্তর পেয়েছেন, জানা নেই। মিডিয়াতেও যা করেছেন, তাতেও হোমওয়ার্কের এত অভাব কেন বোঝা দুষ্কর। তাহলেও পুরো প্রশ্নগুলো এক এক করে দেখা জরুরি। পুরো সাংবাদিক সম্মেলনের অডিও ভিশুয়াল পাইনি। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদারের উদ্ধৃতি দেওয়া পুরো বক্তব্যটা পেয়েছি এবিপি আনন্দে। সেগুলো টুকরো করে নিয়ে দেখা যাক। উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে দেবাশিসের বক্তব্য, নিচে আমার মন্তব্য। ... ...
আমেরিকার নির্বাচনে সবসময়েই একটু বেশি নাটক হয়। বিশ্বের উপর দাদাগিরি বজায় রাখার ব্যাপার, ইয়ার্কি না। কিন্তু এবার একটু বেশিই হচ্ছে। বিশ্বের কোনো নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কানের লতিতে গুলি খেয়েছেন বলে জানিনা, কিন্তু এবার আমেরিকায় খেলেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝখানেই প্রার্থী কাম প্রেসিডেন্ট অবসর নিয়ে নিলেন বলে সাম্প্রতিক কালে শুনিনি। এবার নিলেন। তাতে অবশ্য নিজের দলের লোকেরাই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। বাইডেন থাকলে ট্রাম্প এমনি এমনিই জিততেন, গুলি টুলি লাগতনা। তাঁর জায়গায় এলেন কমলা। গত চার বছরে তামিলনাড়ুতে গিয়ে নারকেল গাছ লাগালো ছাড়া আর কী করেছেন, সেটা অবশ্য এর আগে কেউ জানতনা। কিন্তু প্রচুর হইচই হবার পর জানা গেল, উনি আরও নানা জায়গায় ছাপ রেখেছেন। সেটা ভালো না মন্দ বলা অবশ্য কঠিন। বাইডেন আমলে দ্রব্যমূল্য, যাকে বলে, আকাশ ছোঁয়া। নতুন দুখানা যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমেরিকা সেখানে যথারীতি যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে। ভালর মধ্যে বেকারিত্বের হার খুব কমে এসেছে। কিন্তু সেটাও একটা রহস্যজনক ব্যাপার। কোভিডের সময় হঠাৎ বেকারিত্ব প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল, তারপরই হুহু করে কমে গেল। দোকান-বাজারে কাজ করার লোক নেই। সংস্থাগুলো নাকি লোক পাচ্ছেনা। সেটা এখনও চলছে। অনেক রকম স্পেকুলেশন পড়েছি, কিন্তু এত লোকে একসঙ্গে হুট করে উবে গেল কীকরে জানা যায়নি। ... ...
কাল ছিল সেই বহুপ্রতীক্ষিত সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান। খুবই ভালো ব্যাপার, ডাক্তাররা অবশেষে সিবিআইকে পাকড়েছেন। কিন্তু দাবীটা কী, সেটা পরিষ্কার করে জানা গেলনা। জুনিয়ার ডাক্তারদের পেজে একটা ভিডিও আছে, যেখানে খুব ভালো স্টুডিও রেকর্ডিং এবং মিক্সিং করা একটা গান পাওয়া গেল, সঙ্গে নানা দৃশ্যের কোলাজ। কিন্তু কোনো বক্তব্য পাওয়া গেলনা। লাইভ স্ট্রিমিং হয়নি, তেমন দাবীও ছিলনা। টিভিতেও কভারেজ অল্প হয়েছে। বিশদ কিছু নেই। এছাড়াও স্মারকলিপির কোনো প্রতিলিপি নেই, আদৌ কিছু দেওয়া হয়েছে কিনা তাও বোঝা যায়নি। ডাক্তারবাবুরা এবং অধুনা এই অভয়া মঞ্চ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে যা করেন, তা খুবই খোলাখুলি, যেটা দাবী করেন, সেটা হল সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা, দুটোই খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু রাজ্যপাল বা সিবিআই দপ্তরে গিয়ে কী করেন, সে ব্যাপারে তাঁদেরই ন্যূনতম স্বচ্ছতা না রাখার একটা ধারাবাহিকতা আছে। ছোটোরা এবং বড়োরা মিলে তিনবার সিজিও কমপ্লেক্স গেছেন। কিন্তু সেখানে কী হল, দাবীগুলো কী, তাঁরা ধমক খেয়ে ফিরে এলেন, নাকি সিবিআই সব দাবী মেনে নিল, জানার উপায়। রাজ্যপালের কাছেও সেই একই ব্যাপার। সেখানে অবশ্য স্মারকলিপিটা 'ফাঁস' হয়েছে। কিন্তু সে নিয়ে তাঁদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখিনি। ... ...
নির্বাচন না সার্কাস বোঝা মুশকিল। বাংলা আর নিজের মেয়েকেই চায় কিনা, তার অগ্নিপরীক্ষা হবার কথা ছিল, কিন্তু কোনো এক হরেরাম সিং হাজির করছিলেন পবন সিং কে, যাঁর স্লোগানই হল ভোজপুর বাংলার মেয়েদের চায়। গরগরে কামনা এবং কোনো লুকোছাপা নেই। বাঙালি বুদ্ধিজীবী হিন্দি বা ভোজপুরি গানে অবশ্য সেক্সিজম খুঁজে পায়না, "আমি তন্দুরি মুর্গি, আমায় অ্যালকোহলে চুবিয়ে গিলে ফেল" জাতীয় জিনিস জিভ বার করে দেখে, যেমন গাঁয়ের অপু-দুগ্গা দেখতো রেলগাড়ি। ফলে তারা আপত্তি করে উঠতে পারেনি। কিন্তু যা হোক, সেই আপদ বিদেয় হয়েছে। কিন্তু দেখিয়ে দিয়ে গেছে, জাস্টিস, আরজিকর ওসব ততটা জরুরি জিনিস না, আসল কথা হল ভোজপুরি নৃত্য। ... ...
সরকার- জুডা আলোচনার পুরোটা শুনলাম। আগেই লিখেছিলাম, এই দাবী-টাবীগুলো মোটের উপর মিটে গেছে, একটা বাদে। স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ। সেটা বেশিদূর যাবেনা, সেটাও বলেছিলাম। সেটা নিয়ে চারটি কথা হল। ওঁকে আদৌ অভিযুক্ত বলা যায় কিনা, আইনগতভাবে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, বলা যায়না। ওঁরা বললেন যায়। এবার অভিযোগ কোন পর্যায়ে গেলে সেটা ফর্মাল হয়, আইনত আমি বলতে পারবনা। তবে ওটা এক্তিয়ারের বাইরে, বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং সেখানেই কথা শেষ। ডাক্তাররা মেনে নিয়েছেন, অনশনও তুলে নিয়েছেন, ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ঠিকই বলেছিলাম, ওটা বড় কোনো ব্যাপার ছিলনা। ... ...
সুবর্ণ গোস্বামী এখনও ইন্টারভিউ দিচ্ছেন দেখে একটু আশ্চর্য হলাম। কাল কলকাতা টিভিতে দেখলাম, বেশ ক খানা কথা বলেছেন। গোটা তিনেক পয়েন্ট বেশ ইন্টারেস্টিং। এক, ওঁর বিরুদ্ধে ( ২০০১ সালের) অভিযোগ প্রসঙ্গে বললেন, "...আমাদের খবরের কাগজগুলোর কোয়ালিটির কথা বলছি। তারা ভেরিফাই করেনা, লিখে দেয়..." এইটা শুনে বেশ ভালো লাগল। খানিকটা একমতও। কেবল না-যাচাই করা 'সূত্র' এর 'খবর' গুলো নিজের পক্ষে গেলে সুবিধাজনকভাবে চুপ থাকেন কেন, আর বিপক্ষে গেলেই কেন গর্জে ওঠেন, এইটা বোঝা গেলনা। ... ...
তাহলে দেখা যাচ্ছে, যৌন চক্র অন্তত বছর তেইশ ধরে চলছে, যদি সূত্রের খবরে আস্থা রাখতে হয়। নতুন কী বেরোলো তাহলে বর্তমানে? তিনটে নতুন জিনিস পাচ্ছি। ১। শিয়ালদহ আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে আর জি করের হস্টেল থেকে পর্নোগ্রাফির শ্যুটিং সংক্রান্ত ট্রাইপড, লাইট রিফ্লেক্টার সহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল সিআইডি। এমনকী সিআইডি তার রিপোর্টে লিখেছিল, যৌনকর্মী ভাড়া করে এনে শ্যুটিং হতো সেখানে। ২। সে বছরের ১২ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি এসএফআই নেতাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছিলেন (মৃতর মা ) সবিতাদেবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘কলেজ ব্যাগের নাইলনের স্ট্র্যাপ দিয়ে ওকে ঝোলানো ছিল। মুখের মধ্যে ঠেসে রুমাল গোঁজা ছিল। দরজা খোলা। এভাবে কেউ আত্মহত্যা করে? ঘটনার পরদিন ২৬ আগস্ট চিৎপুর থানায় এফআইআর করি এবং তদন্তকারী অফিসারদের সমস্ত বিষয়টি জানাই। এরপর সুবিচারের জন্য কলেজ প্রিন্সিপাল, পুলিস কমিশনার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বারবার প্রার্থনা জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর (প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) অফিস থেকে পাঁচবার আমার জমা দেওয়া আবেদনপত্র হারিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পেলাম না।’ ৩। যেটা বিস্ফোরক, সেটা হল, সেই সময় যিনি আরজি করে এস এফ আই এর নেতা ছিলেন, তাঁর নাম সুবর্ণ গোস্বামী। ... ...
এসজি (SG): চার্জশিটের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৪। সিজেআই (CJI): (নির্দেশ দেন) সিবিআই কর্তৃক জমা দেওয়া ১৫ অক্টোবরের ৫ম স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এ পর্যন্ত হওয়া তদন্তের ভিত্তিতে ৭ অক্টোবর তারিখে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বি.এন.এস এর ধারা ৬৪, ৬৬ অনুযায়ী অপরাধের জন্য একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ.সি.জি.এম. শিয়ালদাহের একটি আদেশ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিচার বিবেচনার শুনানির তারিখ ৪ নভেম্বর নির্ধারিত হয়েছে। সিজেআই: সিবিআই এর রিপোর্টে বলা হয়েছে অন্যান্য অভিযুক্তদের ভূমিকা সংক্রান্ত চার্জশিট এখনও তদন্তের বিষয়। সিবিআই কিছু পক্ষ থেকে সংযোগও পেয়েছে, সেগুলোও সিবিআই পর্যালোচনা করছে। ... ...
কাল কিঞ্জল নন্দর বক্তব্য নিয়ে খুব হইচই হয়েছে। ট্রোলও হয়েছে। কিন্তু ওই একই প্রেস রিলিজে পরিচয় পাণ্ডাও কিছু বক্তব্য রাখেন, কেন তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এই নিয়ে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংক্ষেপে, ব্যাপারটা এই, যে, তাঁরা কিছু দাবী রেখেছিলেন। সরকার একটি চিঠি দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে উনি জানাতে চান, যে, এই আন্দোলন কেবল কয়েকটি রেস্টরুম, কয়েকটি সিসিটি ক্যামেরার আন্দোলন নয়। এটি সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পরিবর্তন এবং শুদ্ধিকরণের আন্দোলন। এটাকে এরকম ভাবে ছোটো করে দেবার কোনো মানে হয় না। এছাড়াও বলেন, দশ দফা দাবী থেকে তাঁরা নড়বেন না, এবং সরকার কোনো সদর্থক ইচ্ছা দেখায়নি এই দশ দফা দাবীকে নিয়ে। এবং তিনি নিজেও অনশনে যোগ দেন। শুনে সবই মিলিয়ে নেওয়াটা আমার স্বভাব। দশ দফা দাবীটা জানতাম। সরকারের চিঠিটাও দেখলাম, পাবলিক ডোমেনেই আছে। পরিচয় নিজের দশ দফা দাবী বা সরকারের চিঠি, কোনোটাই পড়েছেন কিনা জানিনা, তবে বিশেষ খাটাখাটনি না করেই দাবী এবং সরকারি প্রত্যুত্তরের তালিকাটা বানিয়ে ফেলা গেল। সেটা নিচে দিলামঃ ... ...
সাংবাদিকতা আগে দুরকম হত। এক, সূত্র উল্লেখ করে খবর পেশ করা। সেখানে সূত্র যদি বলেন সূর্য পশ্চিম দিকে ওঠে, তো দায় সূত্রের। আরেকটা হত সূত্রের নাম উল্লেখ না করে খবর দেওয়া। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকরা পরিবেশনের দায় নিজের কাঁধে নিতেন। এবং অসম্ভব সতর্কতা অনুসরণ করতেন। ওয়াটারগেট থেকে স্নোডেন অবধি, এরকম নানা বিস্ফোরণ আমরা দেখেছি, কোনোটাই মিথ্যা বলে দেখা যায়নি। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তিন নম্বর একটা সাংবাদিকতা আমরা দেখেছি। সূত্র উল্লেখ না করে সম্পূর্ণ গুল দিয়ে দেওয়া। সুধীর চৌধুরি বলেছিলেন মোদীর নতুন নোটে চিপ লাগানো আছে, যা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। রীতিমতো গ্রাফিক টাফিক দিয়ে। নিঃসন্দেহে, সেটা ডাহ মিথ্যা। এবং এই করে সুধীর চৌধুরি সাংবাদিকতার জগতে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দেন। শুভাশিস ঘটক, যদি কোনো ব্যাখ্যা না দেন, তো তিনিও ওই হল অফ ফেমে জায়গা পেতে চলেছেন। ... ...
এগুলো সবাই জানেন, তবু রেকর্ডের স্বার্থে লেখা যাক। দশ দফা দাবী নিয়ে জুডাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল সাগর দত্তে গোলমালের পর। তারপর সেই কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয় এবং আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়। প্রথমে ছ জন শুরু করেন অনশন। আরজি করের কেউ ছিলেন না। পরে অনিকেত মাহাতোও যোগ দেন। রিলে অনশন হচ্ছে কিনা এই নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছিল। কিন্তু জুডারা জানিয়েছেন, আদৌ রিলে না, টানা এবং আমরণ অনশন চলছে। ... ...