এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  গান

  • সলিলের তিন পর্যায়

    সম্বিৎ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | গান | ২০ নভেম্বর ২০২১ | ২০৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • সলিল চৌধুরীর গানের ওপর সেরা লেখাটা অবশ্যই কবীর সুমনের। মানব মিত্র ছদ্মনামে লিখেছিলেন সঙ্গীত-নাটক-অ্যাকাডেমির পত্রিকায়। টাইপ করে আমি ইন্টারনেটে তুলেছিলেম বছর কুড়ি আগে। গুগুল সার্চ করলে বোধহয় পাওয়াও যাবে। সেখানে সুমন দেখিয়েছিলেন যে সলিলের সাঙ্গীতিক অ্যাপ্রোচ প্রথম জীবনে ছিল ধ্রুপদী, সেখান থেকে সত্তর দশকে তিনি পপগানে চলে গেলেন। লাইনটা ছিল বোধহয় 'the classicist tended to go pop'। এখানে সলিলের গানের সঙ্গীতায়োজনের কথা বলা হচ্ছে।
     
    এটা সর্বৈব ঠিক নয়। সলিলের গানের সঙ্গীতায়োজন পরিস্কার তিনটে পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। যুগ শব্দটা ভারী বলে সেটা ব্যবহার করলাম না, পর্যায়ই চলুক। প্রথম পর্যায় আইপিটিএ-র সময় থেকে  বম্বে যাওয়া অব্দি, দ্বিতীয় পর্যায় বম্বে যাওয়া থেকে সত্তর দশকের প্রথম ভাগ অব্দি। তৃতীয় যুগ আরম্ভ অন্তরার গানের শুরু দিয়ে, যাকে সুমন 'the classicist tended to go pop' বলেছেন। মনে রাখতে হবে, সলিল বড় হয়েছেন বাবার শোনা ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকালের রেকর্ড শুনে। সুকিয়া স্ট্রিটে জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে থাকার সময় দাদা নিখিল চৌধুরীর অর্কেস্ট্রাতেও পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গর অভিজ্ঞতা হয়েছে। কাজেই যখন প্রথম যুগে তিনি রেকর্ডের জন্যে গান করছেন তখনও আমরা শুনতে পাচ্ছি শুনতে পাচ্ছি পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ। পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ বলতে আমি শুধু বিলিত যন্ত্র ব্যবহার বলছি না। সে তো আমাদের গানে অনেকদিন থেকে বেহালা, কর্নেট, ক্ল্যারিনেট, ইংলিশ ফ্লুট, পিয়ানো ব্যবহৃত হচ্ছে। আমি পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ বলতে বলছি সামগ্রিকভাবে সেই যন্ত্রগুলো কী পদ্ধতিতে একসঙ্গে বাজছে। গানের সঙ্গে একই সুরে বাজছে কিনা, ইন্টারলিউড-প্রিলিউড কীরকম ইত্যাদি। আমাদের সাবেক পদ্ধতি ইন্টারলিউডে আগের লাইনের সুরটি বাজানো হত। যাত্রা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত এই পদ্ধতি অনেকদিন ধরে রেখেছিল। বাংলা আধুনিকে চল্লিশ-পঞ্চাশের দশক অব্দি সেই টেকনিক অনেকাংশে চালু ছিল, যদিও এর অনেক আগেই পঙ্কজকুমার মল্লিক, হিমাংশু দত্তরা এর থেকে সরে এসেছিলেন। সলিলের এই পর্যায়ের যন্ত্রানুষঙ্গে আমাদের মনে হচ্ছে সলিল চেষ্টা করছেন পশ্চিমী ধাঁচে যন্ত্রানুষঙ্গ করতে, হয়ত পারছেনও অনেকটা, কিন্তু যতটা চাইছেন তার সবটা হচ্ছে না। যত সাধ তত যেন সামর্থ্যে কুলোচ্ছে না। দুটো গানের উদাহরণ এখানে দিচ্ছি - ১৯৪৯ সালের আইপিটিএ-র রেকর্ডিঙে 'ও আলোর পথযাত্রী' আর ১৯৫০ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের 'অবাক পৃথিবী'। এই কথা পরিষ্কার হবে যদি পরের পর্যায়ের গানের সঙ্গে আমরা তুলনা করি। সলিল এই পর্যায়ে যেখানে আটকে যাচ্ছেন সেটা হল হার্মনির ব্যবহারে - কর্ডের ব্যবহার নেই, নেই অবলিগেটোর ব্যবহার - যা সলিলের পরের পর্যায়ের যন্ত্রানুষঙ্গের সিগনেচার হয়ে গিয়েছিল।
     

     

     
    পরের যে পর্যায়, যেটা শুরু হল বম্বেতে যাবার পরে সেখানে সলিল হয়ে উঠছেন পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ রচনায় গোয়ান অ্যারেঞ্জারদের সঙ্গে টক্কর দেনেওলা একজন ধুরন্ধর অ্যারেঞ্জার। আবার কবীর সুমনের সঙ্গে প্রাইভেট ইন্টারভিউ ভিত্তি করে লেখা অন্য একটা লেখায় দেখিয়েছি সলিলের এই পরিবর্তন কীরকম নাটকীয়ভাবে হয়েছিল। এবং হয়েছিল বম্বেতে যাবার বছর দুয়েক পরে। প্রথম দিকের ছবিতে সলিলের ছবিতে পশ্চিমী যন্ত্রানুষঙ্গ যে শোনা যায় তা করেছিলেন অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ নামের একজন গোয়ান অ্যারেঞ্জার। কিন্তু সলিল যখন নিজেই ধুরন্ধর অ্যারেঞ্জার হয়ে পড়লেন, তার ছাপ শুধু হিন্দি ছবির গানেই আটকে রইলনা, তিনি ব্যবহার করলেন বাংলা গানেও। শুধু যন্ত্রানুষঙ্গতেই নয়, গানের দিক দিয়ে সলিলের শ্রেষ্ঠতম গানের মধ্যে যে গান আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্যতম বলে বিবেচনা করি তা হল লতা মঙ্গেশকরের ১৯৬১ সালের রেকর্ডিঙে 'কি যে করি দূরে যেতে হয়'। সে গানের অ্যারেঞ্জমেন্ট এতই রিচ, এতই সুন্দর - শুধু তার জন্যেই বার বার গানটা শোনা যায়। লক্ষ্য করবেন এই অ্যারেঞ্জমেন্টে কতগুলো লেয়ার। শুধু তাইই নয় যেখানে লতা গাইছেন, খেয়াল করলে শুনবেন তার পেছনেও যন্ত্রে অন্য একটা সুর বাজছে। সব মিলিয়ে যে হার্মনি তৈরি হচ্ছে - প্রমথ চৌধুরী বোধহয় বাংলা করেছিলেন স্বরসঙ্গতি - তা বাংলা গানে আগে শোনা যায়নি। এই পর্যায়ের আরেক আশ্চর্য গান - সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ১৯৬৬ সালের রেকর্ডিঙে 'যা রে যা যা ফিরে যা'। এখানে সেতার আর স্ট্রিংস দিয়ে মূল যন্ত্রানুষঙ্গ তৈরি করছেন। তবলার সঙ্গে পিয়ানো ব্যবহার করছেন তালবাদ্য হিসেবে। এই দুই গানে ক্লাসিসিস্ট অ্যারেঞ্জার হিসেবে সলিল স্কিলের পরাকাষ্ঠা দেখালেন।
     

     

     
    তৃতীয় পর্যায়ে সলিলের অ্যারেঞ্জমেন্ট 'tended to go pop'। আমার ধারণা দুটো ব্যাপার সলিলের স্টাইল পরিবর্তনকে প্রভাবিত করেছিল। এক পশ্চিমী পপ গানে বিটলসের আবির্ভাব। শুধু জনপ্রিয়তাতেই নয়, সাঙ্গীতিকভাবে বিটলস নতুন ঢেউ এনেছিল। বহুদিন পরে 'ফ্রেশ এয়ার' অনুষ্ঠানে শুনেছিলাম যে বিটলসের সদশ্যদের অলিখিত নিয়ম ছিল যে প্রতি গানে অন্ততঃ একটা অপ্রচলিত কর্ড তারা ব্যবহার করবে। শুনেছি সলিল চৌধুরী বিটলসের গান পছন্দ করতেন। আশির দশকে তাদের সুর নিয়ে কিছু বাংলা গান মেয়েদের দিয়ে গাইয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় যে ঘটনা ঘটল তা হল ইলেক্ট্রনিক সিন্থেসাইজারের ভারতে আগমন। দেবাশিস দাসগুপ্ত লিখেছিলেন, সেই সময়ে সবাই যখন যন্ত্রটি ঠিক কী ভাবে ব্যবহার করা হবে সেই নিয়ে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে, সলিল চৌধুরী অন্তরার গানে তার সঠিক ব্যবহার দেখিয়েছিলেন। এ কথা যদি আমরা সর্বৈবভাবে সত্যি বলে নাও মানি, সিন্থেসাইরের ব্যবহার সলিল করতে শুরু করেছিলে বহুলভাবেই, এবং তার প্রভাব তাঁর অ্যারেঞ্জমেন্টেও পড়েছিল। ১৯৭৭ সালে অন্তরা চৌধুরীর প্রথম রেকর্ডে 'বুলবুল পাখি ময়না টিয়া'-র যন্ত্রানুষনঙ্গ শুনলে সেটা বুঝবেন। আরও ভাল বোঝা যাবে এর দু বছর আগে, ১৯৭৫ সালে লতা মঙ্গেশকরের রেকর্ডিঙে 'ও মোর ময়না গো'  শুনলে। সেই লতা, সেই সলিল যাঁরা চোদ্দ বছর আগে 'কি যে করি' করেছিলেন। এই পর্যায়ের আরেক উজ্জ্বল অ্যারেঞ্জমেন্ট শুনুন ১৯৮০ সালে দ্বিজেন বন্দোপাধ্যায়ের গান 'সজল সজল মেঘ করেছে'। বাংলা লোকগানের সুর নিয়ে তাতে আধুনিক যন্ত্রানুষঙ্গ দিয়ে কী করে গানের চরিত্র পাল্টে দেওয়া যায় তার এক অসামান্য উদাহরণ এই গান। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র, সঙ্গে বাঁশি, মাদল, তবলা-টবলা নিয়ে এই অ্যারেঞ্জমেন্ট এখনও আধুনিক।
     

     

     

     
    ----------------
    যে গানগুলো উল্লেখ করলাম, সেগুলো একসঙ্গে আছে এই প্লে-লিস্টে।
     
    https://www.youtube.com/playlist?list=PLZLDwmmIJ9xdLrGg89kTqO7AV-bFFMLau
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২০ নভেম্বর ২০২১ | ২০৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গবু | 223.223.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৮:২২501537
  • ন্যাড়া - ধন্যবাদ।
     
    মানব মিত্র নামে সুমন যা লিখেছিলেন, সেটা বাংলায় ছিল (ইংরেজির শুরুটা দেখে তাই মনে হচ্ছে)। ইংরেজি অনুবাদ পাচ্ছি খুঁজে, কিন্তু বাংলাটা পাচ্ছিনা।
     
     
    আপনি কি বাংলাটা পেয়েছেন সাম্প্রতিক কালে ইন্টারনেটে কোথাও?
  • সম্বিৎ | ৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫১501542
  • সঙ্গীত-রিসার্চে ইংরিজিতেই বেরিয়েছিল। অনুবাদ বলে শুনিনি। বাংলাও চোখে দেখিনি।
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৫501570
  • অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখাটার জন্যে।
  • Suman Chakraborty | ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:০৬501623
  • সঙ্গীত শিক্ষার্থীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন