এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ম্যানেজারের দিন কি শেষ?

    শ্যামল পাইন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৭৮৮ বার পঠিত
  • বোধহয় শিল্প বিপ্লবের সময়েই কয়লা খনিতে মজদুরদের চালানোর জন্য সর্দারদের দরকার হল। এর আগে সব দেশেই মানুষ ছিল সেল্ফ-এম্পলয়েড। কুমোর, কামার, জেলে , চাষী নিজের কাজ নিজেই করত বংশপরম্পরায়। তা নিরক্ষর মজদুরদের চালাতে তো সর্দার লাগত। তারাই কি আজকের ম্যানেজারদের পূর্বসূরী?

    সেই শিল্প বিপ্লবের আমল থেকে আজ অবধি ম্যানেজমেন্ট মোটামুটি একই পথে চলেছে যার আকার পিরামিডের মত। সবচেয়ে নীচে কর্মীরা যারা হাতে কলমে কাজ করে। তার ওপরে নানা ধরনের সর্দার যাদের নাম সুপারভাইজার, ম্যানেজার, ডিরেক্টর, ভিপি, প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান ইত্যাদি। তা এই সর্দারদের কি কাজ? একজন ম্যানেজমেন্ট গুর্বী বলেছেন, লোককে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার আর্ট হল ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া প্ল্যানিংও এনাদের একটা প্রধান কাজ।
    কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে কিছু মানুষ বললেন, এই পিরামিডে কি খুব উপকার হচ্ছে? নিজের স্বার্থ রাখতে অনেক সময়ে সর্দাররাই টপ-হেভি সংস্থা তৈরী করে ফেলেন। তারপরে আসে চর্বি কাটার সময়। যেমন এক বিশ্বখ্যাত ব্যাঙ্কে এ বছর দেখা গেছে কোন কোন ডিভিশনে একশো জন কর্মির মধ্যে ৬৫ জন সর্দার ৩৫ জন কর্মিকে চালাচ্ছেন। বলাই বাহুল্য, ঐ ৬৫ জনের মধ্যে অনেকে আর আজ ঐ ব্যাঙ্কে নেই। বিশেষত: তথ্যপ্রযুক্তির মানুষেরা এ ব্যাপারে অন্য ধরনের চিন্তা শুরু করলেন। তথ্য প্রযুক্তি হল যাকে বলে নলেজ ইন্ডাস্ট্রী বা জ্ঞানশিল্প যেখানে নীচের তলার কর্মীরা সবাই উচ্চশিক্ষিত। সেখানে কি দুশো বছরের পুরোন ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি চলবে? যারা অতি জটিল সফটওয়্যার সৃষ্টি করছেন যাতে কোম্পানীর অনেক খরিদ্দার আসছে তাদের কি ম্যানেজার করে দেওয়াটাই কোম্পানির সবচেয়ে লাভজনক? কে কোম্পানীর জন্য বেশী ভ্যালু তৈরী করছেন? যিনি জটিল সফটওয়্যার সৃষ্টি করছেন না যিনি তাঁকে ম্যানেজ করছেন? সোজা বাংলায় বলতে গেলে, বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় যিনি এন বি এ তে নামজাদা, তিনি বেশী রোজগার করবেন না কি তাঁর কোচ? এন বি এ দেখলে কিন্তু স্টার খেলোয়াড় কোচের চেয়ে বহুগুণ রোজগার করেন।

    আরেকটা প্রশ্ন উঠল। ম্যানেজার যা কাজ করেন, কোঅর্ডিনেশন আর প্ল্যানিং -- সেটা কি কর্মীরা নিজেরাই করতে পারেন না? এই ভাবনা থেকে এল নতুন কাজের পদ্ধতি -- অ্যাজাইল মেথড। কোন কোন জায়গায় পিরামিড অনেকটা চ্যাপ্টা হয়ে হল ফ্ল্যাট সংস্থা। যেখানে অজস্র ম্যানেজমেন্টের পরত নেই।
    কি ভাবে হয় এই কাজ? অ্যাজাইল পদ্ধতির নানা উপপদ্ধতি আছে। এর মধ্যে একটি হল স্ক্রাম পদ্ধতি। এই পদ্ধতির একটি বৈশিষ্ট্য হল কাজকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেওয়া যাতে একবারে মাসখানেকের কাজের ওপরে সময় দেওয়া যায়। এই মাসখানেকের সময়সীমাকে বলে স্প্রিন্ট। মাসের প্রথমে খদ্দের বা স্টেকহোল্ডারদের দেওয়া কাজ থেকে সবথেকে দরকারি কাজ গুলো লিস্ট করা হয়। টীমে থাকেন পাঁচ থেকে দশ বারোজন কর্মী যাঁরা সফটওয়্যার তৈরী করেন ও টেস্ট করেন। এঁরাই বাস্কেটবল খেলোয়াড়। এঁদের একজন কোচ থাকেন যাঁর নাম স্ক্রাম মাস্টার। টীমে আরেকজন মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ করেন। তিনি হলেন প্রডাক্ট ওনার যিনি খদ্দেরের সঙ্গে কথা বলে কাজ আনেন ও কোন কাজ আজ বেশি দরকারি সেটা ঠিক করেন। মূলত: তিনি বাজারে টীমের ক্ষমতা বিক্রি করেন আর বাজার ধরেন। এ কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    মাসের প্রথমে প্রডাক্ট ওনার আর টীমের সদস্যরা ঠিক করেন কি কি কাজ করবেন। প্রডাক্ট ওনার খদ্দেরের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কতকগুলো গল্প বা স্টোরী লেখেন। প্রতিটা স্টোরি খদ্দেরের জন্য এক বা একাধিক ফিচার তৈরী করে। স্টোরী হল আগেকার জমানায় যাকে রিকুয়্যারমেন্ট বলা হত। মাসের প্রথমে টীমের সদস্যরা ভোট দিয়ে আন্দাজ করেন প্রতিটা স্টোরি করতে কতক্ষন বা কত ঘন্টা লাগবে। পুরোন পদ্ধতিতে সাধারণত: এটা প্রজেক্ট ম্যানেজারের কাজ । কিন্তু স্ক্রাম পদ্ধতিতে এটা করেন টীমের সদস্যরা।
    যথেষ্ট স্টোরী পাওয়া গেছে, এবার কাজ শুরু। প্রথমে সদস্যরা স্টোরিগুলোকে ছোট ছোট কাজে বা টাস্কে ভাঙেন। এক একটি টাস্ক ৮ ঘন্টা বা তার কম। যেহেতু কাজ সবে শুরু হয়েছে তাই সারামাসের কাজ এস্টিমেট করা সম্ভব নয়। মোটামুটি প্রথম দুসপ্তাহের টাস্ক ঠিক করা হয়। এও ঠিক করা হয় কে কোন স্টোরী করবে। এই পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে কঠিন নিয়ম মানা হয়না। ফলে দরকার মত পথ পাল্টানো যেতে পারে। যদি টীম দেখে একজন একটা কাজ নিয়ে পিছিয়ে পড়ছে, তাকে সাহায্য করার জন্য অন্যেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    কি করে জানা যাবে কাজ কেমন এগোচ্ছে? প্রতিদিন সকালে প্রথম কাজ হল টীমের স্ক্রাম মিটিং করা। এতে টিমের সব সদস্যরাই থাকেন। মিটিং ডাকেন স্ক্রাম মাস্টার। এতে প্রত্যেক সদস্য বলেন, কাল তিনি কোন টাস্কগুলো করেছেন, আজ কোনগুলো করবেন আর তাঁর কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা। পনের কুড়ি মিনিটে মিটিং শেষ। এই মিটিংএ এক সদস্য আরেকজনকে প্রশ্ন করতেই পারেন , আচ্ছা, এ টাস্কটা তিন দিন লাগছে কেন? তোমার কি সাহায্য চাই? কিংবা , তোমার ঐ টাস্কটা আজকের মধ্যে শেষ করলে ভাল কারণ ওটা হলে আমি এই টাস্কটা শুরু করতে পারব। টিমের টাস্ক ও স্টোরি রেকর্ড করার জন্য আর কাজের গতি দেখার জন্য বিশেষ সফটওয়্যার টুল আছে। সেটা এই মিটিংএ ব্যবহার করা হয়। তবে স্ক্রাম মাস্টারের কি কাজ? মূলত: দেখা যে টাস্কগুলো শেষ হয়ে আসছে। তার চেয়েও বড় কাজ হল প্রশ্ন করা যে টিমের কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা। যেমন টীমের কোন সদস্য বলতে পারে , আমাদের এ মাসে দুটো কম্পিউটার বেশি চাই যাতে এই টেস্টগুলো করা যায়। বা আমাদের এই সফটওয়্যারটা কিনতে হবে আমাদের স্টোরী শেষ করার জন্য। স্ক্রাম মাস্টার সেই ব্যবস্থাগুলো করেন। অর্থাৎ সোজা বাংলায় তিনি ম্যানেজার নন, ফেসিলিটেটর।

    এই পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে টিমের সদস্যদের দায়ীত্ব দেওয়া হয় যা আগে প্রজেক্ট ম্যানেজার করতেন। অর্থাৎ কোঅর্ডিনেশন ও প্ল্যানিং। তার কারণ এই প্যারাডাইমে ধরা হয় যে সদস্যদের দায়ীত্ব দিলে তাঁরা এই কাজ ভাগ করে নেওয়াতে যথেষ্ট পারদর্শী। সেক্ষেত্রে প্রচুর টাকা দিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার রাখার মানে হয়না। অ্যাজাইল পদ্ধতিতে ধরা হয় প্রতিটা টীম যেন একটি স্বয়ংসম্পুর্ণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রডাক্ট ওনার কাজ আনবেন, আর টীম সেই কাজ শেষ করবেন। মাসের শেষে একটি মিটিং হয় -- স্প্রিন্ট রিভিউ মিটিং। এতে খদ্দের আর স্টেকহোল্ডারদের সামনে টিম বলে তারা কি কি স্টোরি নিয়েছে, কোন কোন স্টোরি শেষ করেছে আর এতে খদ্দেরের কি লাভ হচ্ছে অর্থাৎ এই একমাসের টাকা খরচ করে খদ্দের কি পেল। কোন কোন স্টোরির জন্য ডেমো দেওয়া হয় যাতে খদ্দের বুঝতে পারে কিভাবে এই ফিচার কাজে লাগানো যাবে। এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসের শেষে খদ্দেরকে কিছু ফিচার ডেলিভার করা হয় যা সম্পুর্ণ কাজ করছে। আগে যে জলপ্রপাত পদ্ধতি ছিল, তাতে খদ্দেরের বিরাট কাজ নিয়ে বলা হত ছমাস বা এক বছর পরে তোমাকে পুরো জিনিষটা ডেলিভার করব। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যেত আট মাস কাজ করার পর বোঝা গেল খদ্দের চায় ঘোড়া আর তৈরি হয়েছে খচ্চর। কিন্তু অ্যাজাইল পদ্ধতিতে যেহেতু অল্প অল্প করে ডেলিভার করা হয়, সেজন্য খদ্দেরের চাহিদা সবসময়ে টিমের মাথায় থাকে। প্রজেক্ট ব্যার্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। হলেও একমাসের ওপর দিয়ে যাবে।
    তবে সাধারণত: এই পদ্ধতিতে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ডেভেলপার থাকা দরকার যাঁরা চট করে আর্কিটেকচার আর ডিজাইন করে ফেলতে পারবেন। সে সঙ্গে জুনিয়র ডেভেলপারদের গাইড করতে পারবেন। যেহেতু রোজ সকালে টীমের সামনে বলতে হচ্ছে কাল কি করেছি, তাই ফাঁকি দেওয়াটা অসম্ভব কমে যায়। আপনি ম্যানেজারকে টুপি পরাতে পারেন। কিন্তু অন্য সব ডেভেলপার, যাঁরা ঐ কাজে ডুবে আছেন, তাদের টুপি পরানো অসম্ভব। এর ফলে টিমের উৎপাদনশীলতা খুব বেশি হয়। বেশি হওয়ার আরেকটা কারণ হল, যেহেতু সদস্যদের অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়, তাঁরা টিমের খ্যাতির জন্য লড়ে যান।
    সব শেষ মিটিং হল রেট্রোস্পেকটিভ বা রেট্রো। স্প্রিন্ট রিভিউএর পরেই এই মিটিং হয় যাতে আলোচনা করা হয় এ মাসে কি কি জিনিষ ভাল হয়েছে, কি কি আরো উন্নত করা যেতে পারে। এতে সদস্যরা খোলাখুলি বলেন কার কি ভুল হয়েছে। ভুলটা কোন সদস্যেরও হতে পারে বা টিমের বা কোন প্রসেসের হতে পারে। এই মিটিংএর শেষে সাধারণত: দুটি কি তিনটি অ্যাকশন আইটেম ঠিক করা হয়। এগুলো হল এমন কাজ বা পদ্ধতি যা অনুসরণ করলে এমাসের ভুলগুলো আর হবেনা। এভাবে ক্রমাগত: উন্নতির দিকে টীম এগিয়ে যায়।

    আমার মনে হয়, আজ প্রধানত: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে হলেও ভবিষ্যতে এই ম্যানেজার বিহীন পদ্ধতি হয়তো অন্যান্য এঞ্জিনিয়ারিং ও পরিষেবা সংস্থাতেও ছড়িয়ে পড়বে।

    ডিসেম্বর ৭, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৮ | ৭৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন