বিভূতিভূষণের দ্রবময়ীর কাশীবাস গল্পের সেই নীরজা বলেছিলো,-দিদি, সংসার অনিত্য, সবই অনিত্য!
এ একেবারে উপনিষদের মূল কথা!
তা আজকের মিডিয়া(সোশ্যাল-আনসোশ্যাল মিলিয়ে)বাহিত হয়ে সে ঔপনিষদীয় সত্যই যেন ফিরে ফিরে আসে। আমরা আপাতত চান্দ্রায়ণের সাফল্য-ব্যর্থতা-নিয়ে মথিত! ৩৭০ ব্যাপারটা অতটা আলোচনায় নেই আর, বরং এনআরসি নিয়ে ঈষৎ ভাবিত! যদি ঘাড়ে এসে পড়ে কোনো আধা-আত্মীয়, একমাত্র সেই ভাবনায়! তবে সত্যি বলতে কি ঘাড়ের ওপর এসে পড়ার পরেও আমরা সেতুভঙ্গ নিয়ে আর তেমন আন্দোলিত,আলোড়িত, বিচলিত, ক্রুদ্ধ নই আর কারণ ওটা সয়ে গেছে! ব্রিজ-কোর্সের জমানা কিনা! আমরা এখন ডেঙ্গু নিয়ে আর চিন্তিত নই, ভাগাড়ের মাংসও দিব্যি হজম হয়ে গেছে! গোমূত্র(দেশভেদে উষ্ট্রমূত্রও) তো শোনা যাচ্ছে সর্বরোগহর, অমৃত-সম! মিছিলের মোমবাতি নিভে যাওয়ায় আগেই আমরা ভুলে গেছি নির্ভয়া-জেসিকা-আসিফার নাম! উপহার সিনেমা হলের বা আমরি হাসপাতালের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলি আমাদের আলোচনার সিলেবাস থেকে কবেই হারিয়ে গেছে! পানসারে, দাভোলকার, কালবুর্গি,গৌরী লঙ্কেশের নামই মনে রাখতে পারি না তার আবার কোয়েম্বাটোর না কোথাকার এইচ ফারুক! অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, আসিফ মহিউদ্দীনরা তো সীমান্তের ওপারের ব্যাপার তাতে আমাদের বয়েই গেলো! সিঙ্গুর, রিজোয়ানুর, পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি,সারদা-নারদা- কঙ্কালকান্ড, শিনা বোরহ হত্যা-আরুষি তলোয়ার-উইকিলিকস-ললিত মোদী-বিজয় মালিয়া-নীরব মোদি-ধীরেন্দ্র ব্রহ্মচারী-চন্দ্রস্বামী হয়ে আসারাম-রামরহিম আমরা সব ভুলে যেতে থাকি অথবা ভুলিয়ে দেওয়া হয়! আমরা মনে রাখি না কে ছিলেন সত্যেন্দ্র দুবে বা
বরুণ বিশ্বাস! তেহেলকা মনে আছে? বঙ্গারু লক্ষণ? অথবা সেই কফিন কেলেঙ্কারি? টুজি স্ক্যাম? অথবা বোফর্স!
এ প্রজন্ম সম্ভবত জানেও না ব্যাপারটা কি! ইন্দিরাতনয়ের অমন দোর্দন্ডপ্রতাপ সরকার সেরেফ হাওয়ায় উড়ে গেলো বোফোর্সে আর বিশ্বনাথপ্রতাপে! আমরাও ভুলে গেলাম। মাঝে মাঝে নামটা ফিরে ফিরে এসেছে বটে, ওই কার্গিল বা কোয়াত্রোচ্চির কল্যাণে কিন্তু ওই পর্যন্তই!
কথাটা আদতে দার্শনিক হেরাক্লিটাসের।
The only thing that is constant in life.
প্লাতোর ক্রেতাইলাস বা ডায়ালগে সেটা এই রকম দাঁড়ায়
Everything flows and nothing stays.
Everything flows and nothing abides.
Everything gives way and nothing stays fixed.
Everything flows; nothing remains.
All is flux, nothing is stationary.
All is flux, nothing stays still.
All flows, nothing stays
দ্রবময়ীর কাশীবাস গল্পের সেই নীরজা যেমনবলেছিলো,-দিদি, সংসার অনিত্য, সবই অনিত্য!
নিত্য কেবল শুধু চিকিৎসক নিগ্রহ!
৩ মার্চ 2017 রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাবিত এবং গৃহীত হয়চিকিৎসা সংক্রান্ত এক নতুন প্রাদেশিক আইন(অথবা, পুরোনো আইনের নব সংস্করণ) যার পুরো নামWest Bengal Clinical Establishments (Registration, Regulation and Transparency) Bill, 2017;এর পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সৃষ্টি হয় এক অস্বস্তিকর, অনাকাঙ্খিত এবং ভয়ংকর পরিস্থিতি।একের পর এক চিকিৎসা সংস্থা, চিকিৎসক এবংচিকিৎসাকর্মীদের পর নেমে আসতে থাকে আক্রমণ। তার কিছু স্বতঃস্ফূর্ত হলেও, বেশির ভাগটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নতুন আইন করাহয়েছিল, শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের কথা ভেবে, কিন্তু আইন বলবৎ হবার তিরিশ মাস পর দেখা যাচ্ছে, সিংহভাগ আক্রমণের অভিমুখ হয়েছেন এবং হচ্ছেন সরকারি ডাক্তাররাই।বিল পাশ হবার পর আজ অবধি ন্যূনধিক ন'শো দিনে পুরুলিয়ায়,পাঁশকুড়ায়, ডেবরায়, শিলিগুড়িতে, ভাঙ্গরে, আউশগ্রামে, গোপীবল্লভপুরে, মালদায়, মথুরাপুরে, বোলপুরে, বর্ধমানে, ইসলামপুরে, মুর্শিদাবাদে, রায়গঞ্জে, ভগবানগোলায়,ডায়মন্ডহারবারে, দার্জিলঙে, হেমতাবাদে এবং আরো বহু-বহু নাম শোনা না শোনা জায়গায় অপমানিত, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত,আহত,বিষ্ঠালেপিত, বিধ্বস্ত হয়েছেন অন্তত শ'তিনেক চিকিৎসক!
কে এই চিকিৎসক? চিকিৎসক কিন্তু অন্য গ্রহ থেকে আসা কোনো প্রাণী নন!
চিকিৎসক আমার আপনার বাড়ি থেকে আসা কোনো মেধাবী ছেলে বা মেয়ে, অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, সাধ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে, কয়েক লক্ষ প্রতিযোগীর সঙ্গে যে লড়ে সুযোগ পায় ডাক্তারি পড়ার! পাঁচ বছর অমানুষিক পড়ার চাপ সহ্য করে ডাক্তারি পাশ করে! চিকিৎসক সেই একজন যিনি তাহলে ছোটো বেলা থেকে মনোযোগী ছাত্র বা ছাত্রী ছিলেন,মেধাবীও।
পাড়ায়, ইস্কুলে কলেজে যাঁকে ভালো ছেলে বা মেয়ে বলা হতো, কৈশোর আর যৌবনের প্রায় পুরোটাই যিনি মনোনিবেশ করেছেন বইয়ের পাতায়,জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দুর্লঙ্ঘ্য পর্বতারোহন করে ফের পাড়ি দিয়েছেন অজস্র পার্ট, সেমেস্টারের ঢেউ পেরিয়ে MBBS এর অকূল পাথার, তারপর আবারপোস্ট গ্রাজুয়েশনের যুদ্ধে জয়ী কিংবা পরাজিত হয়ে নেমেছেন জীবন যুদ্ধে!
কেউ কেউ আবার সাধ্যবিত্ত পরিবারের নানা রকম পিছুটান পেরিয়ে শুধুমাত্র মেধার ওপর ভিত্তি করে পাড়ি দিয়েছেন বিলেতে, উচ্চশিক্ষিত হয়েছেন,নিয়েছেন সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণ এবং তার পর ফিরে এসেছেন নিজের দেশে, হয় বাধ্য হয়ে, অথবা, আদর্শের টানে।সেই দেশে, যেখানে 'ব্রেন ড্রেন' কে জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান, কাউন্সিলর, এমএল এ, এম পি, প্রাক্তন মন্ত্রি এমনকিপ্রাক্তন কয়েদি পর্যন্ত চিকিৎসকদের বা সংস্থা কে হুমকি দিয়ে থাকেন প্রায় জন্মগত অধিকার বশতঃ!
গোড়া কেটে আগায় জল দিলে এইই চলতে থাকবে।
এদেশে চিকিৎসা খাতে ব্যয় মাথাপিছু ৩৯ ডলার যা এমনকি অনেকঅনুন্নত দেশের থেকেও কম। প্রতি হাজরে শয্যা সংখ্যা ০.৮ যা প্রতিবেশীশ্রীলঙ্কার (৩/১০০০) থেকে কম। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১.২ শতাংশ। সরকারি পরিকাঠামোয় রোগী- চিকিৎসকেরসাক্ষাতের গড় সময় মিনিট খানেক মাত্র। এই একশ তিরিশ কোটির দেশে প্রতি ১৬৬৮ মানুষ পিছু মাত্র একজন চিকিৎসক! তার জন্য কি একজন চিকিৎসক দায়ী?না কি দশক দশক ধরে চলে আসা আমাদের অব্যবস্থ স্বাস্থ্যনীতি?
সংকটের এখানেই শেষ নয়! কফিনে শেষ পেরেক মারার মতো, নতুন একটি অগণতান্ত্রিক, অবৈজ্ঞ নিক, দমনমূলক, জনবিরোধী বিল আনতে চলেছেন দেশের সরকার বাহাদুর।
অনেক দোষ-ত্রুটি সত্বেওমেডিক্যাল কাউন্সিল কিন্তু একটি নির্বাচিত স্বশাসিত সংস্থা। নতুন ব্যবস্থায় নির্বাচিত কাউন্সিলের বদলে আসবেন সরকার মনোনীত আমলারা। দেশের স্বাস্থ্যনীতির নির্ধারক হবেন প্রধানত সরকারি আমলারা এমনকি এই কমিশনের সর্বোচ্চ পদেও থাকবেন একজন অচিকিৎসক। মডার্ন মেডিসিনের চিকিৎসাপদ্ধতির সঙ্গে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানী, ম্যাগনেটোথেরাপি মিশিয়ে আনারচেষ্টা হচ্ছে এক হাঁসজারু ভয়ংকর চিকিৎসাব্যবস্থা।
তিনসপ্তাহের ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে একজন আয়ুষ চিকিৎসক পেয়ে যাবেন মডার্ন মেডিসিনের ওষুধের প্রয়োগাধিকার!
এটা তাঁর নিজের অধীত শাস্ত্রের প্রতি চরম অনাস্থা ও অপমান তো বটেই, মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দ্বার প্রশস্ত করা। মেধাভিত্তিক ভর্তির প্রথাকে পেছনে ঠেলে খুলে দেয়া হবে বেসরকারি, ক্যাপিটেশন ফি ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের দরজা।এতে শুধু যে ভবিষ্যতেরস্বাস্থ্য-শিক্ষার সর্বনাশ হবে তাই নয়, সমস্যা-জর্জর স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। সংকটকাল পেরিয়ে এক মহাশূন্যতার দিকে এগিয়ে চলেছে সমাজ।যে সমাজের চিকিৎসক প্রয়োজন নেই।
তা তো নয়!
১৯৪৮ সালে জেনেভায় বিশ্ব মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএমএ) এর দ্বিতীয়সাধারণ পরিষদ সভায় গৃহীত হয় আড়াইহাজার বছরের পুরোনো হিপোক্রাটিক শপথবাক্য গুলির একটি আধুনিক এবং সংহত রূপ। সারা পৃথিবী জুড়ে চিকিৎসকরা যে তেরোটি শপথগুলিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকেন।
খুব আশার কথা যে শিকাগোতে 14 ই অক্টোবর ২017 তারিখে বিশ্ব মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএমএ) সাধারণ পরিষদ জেনভা ঘোষণার নতুন সংশোধিত সংস্করণটি গৃহীত হয়েছে।এবং সত্তর বছর পর এই প্রথম তাতে সংযোজিত হয়েছে একটি খুবতাৎপর্যপূর্ণ শপথ বাক্য
এই দুটি মাঝখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই কথা গুলি
নতুন কথা তো নয়, সেই চেনা কথা " Physician, heal thyself " - নিজের যত্ন নাও, ডাক্তার, নিজে সুস্থ থাকো,নিরাপদ থাকো, সুরক্ষিত থাকো।তা এই যদি বিশ্ব-সংস্থার শপথ বাক্য হয়, তবে তো সমাজের দায়িত্ব চিকিৎসককে সুরক্ষা দেওয়া, সুস্থ কাজের পরিবেশ দেওয়া, যাতেএকজন চিকিৎসক অন্ততঃ নিরাপদে মানুষের চিকিৎসা করতে পারেন!
এই দেশের সর্বোচ্চ আদালত কিন্তু বলেছিলেন এ কথা, একবার নয়, বার বার!
২০০৯ সালে মাননীয় বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু এবং বিচারপতি আর এম লোধা র বেঞ্চ তো পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “This is necessary to avoid harassment to doctors who may not be ultimately found to be negligent. We further warn the police officials not to arrest or harass doctors unless the facts clearly come within the parameter laid down in Jacob Mathew’s case, otherwise the policemen will themselves have to face legal action,”
দেখা যাক জ্যাকব ম্যাথিউ র সেই কেসে মাননীয় বিচারক রায়ের সেই ঐতিহাসিক কথাগুলি,"A medical practitioner faced with an emergency ordinarily tries his best to redeem the patient out of his suffering. He does not gain anything by acting with negligence or by omitting to do an act. Obviously, therefore, it will be for the complainant to clearly make out a case of negligence before a medical practitioner is charged with or proceeded against criminally. A surgeon with shaky hands under fear of legal action cannot perform a successful operation and a quivering physician cannot administer the end-dose of medicine to his patient.
If the hands be trembling with the dangling fear of facing a criminal prosecution in the event of failure for whatever reason - whether attributable to himself or not, neither can a surgeon successfully wield his life-saving scalpel to perform an essential surgery, nor can a physician successfully administer the life-saving dose of medicine."
উপায় কিন্তু আছে, ছিলই, ২০০৯ সালে এই রাজ্যেই আনা হয় একটি একটি আইন ছিল, আজ পর্যন্ত প্রয়োগ হয় নি।
West Bengal Medicare Service Persons & Medicare Service Institutions (Prevention of Violence & Damage to Property) Act, 2009 চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে র ওপর আক্রমণ এবং সম্পত্তির ক্ষতি নিবারক আইন।
এই ভুলে যাওয়া যাওয়া আইনটি বলবৎ করাকি খুব ই কঠিন কাজ?
পারস্পরিক দোষারোপ নয়, আসুন সবাই মিলে খোঁজা হোক সমাধান সূত্র।
এর জন্য চাই সমাধানের সদিচ্ছা।রাজনৈতিক সদিচ্ছা।সমাজের কলংকমোচনের জন্য এই উদ্যোগ কিন্তু নিতে হবে প্রশাসনের সরবোচ্চ স্তর থেকেই।কিন্তু সংশয়ীমন একটা নিষ্ঠুর হিসেবের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।এই একশ তিরিশ কোটির দেশে প্রতি দেড় হাজার মানুষ পিছু মাত্র একজন চিকিৎসক! আর সেই জন্যই ভোটবাদী এইরাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রশাসক যে অংকের( তথা ভোটের) হিসেবে করুণভাবে সংখ্যালঘু চিকিৎসক সমাজের কথা আদৌ ভাববেন, সেটাও কষ্টকল্পনা! এটাই সত্যিকারের সংকট।এক ভয়ংকর সামাজিক অচিকিৎস্য মহামারী আসন্ন হবে। আর তার দায়ভাগী হতে হবে প্রশাসনকেই।কে না জানে, অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে না, নগরে আগুন লাগলে দেবালয় রক্ষা পায় না।সাউথ ব্লক না!নবান্ন ও না!
একটা চেষ্টা কিন্তু করা হয়েছিল, চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকদের বাড়ি বাড়ি ফুলের তোড়া আর কার্ড নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্তারা! সরকারের পক্ষ থেকে বহুকোটি টাকা ব্যয় করে হাসপাতালে হাসপাতালে লাগানো কলকাতা পুলিশের ঢক্কানিনাদিত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল ডাক্তাররা সমাজবন্ধু, ওঁদের গায়ে হাত তোলা দণ্ডনীয় অপরাধ! জেল হতে পারে দশ বছর পর্যন্ত!
প্রশ্ন উঠতে পারে, যাদবপুর থানা কি কলকাতা পুলিশের আওতার বাইরে?আলিপুর থানা?
সমাজবন্ধু ডাক্তারের গায়ে হাত তুললে সাধারণ মানুষের জন্য দশ বছরের জেলের ব্যবস্থা থাকলেও পুলিশ কর্তার থাকে সরকারি ফেসবুক পেজে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং তারপর পুলিশের বড়কর্তার ঠান্ডা ঘরে বসে চা খেয়ে, আক্রান্ত ভিন রাজ্যের তরুণ চিকিৎসকটির পিঠে হাত রেখে বলার ঔদ্ধত্য " জো হো গিয়া ভুল জাইয়ে"!
তাহলে কি এটাই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলো না, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, গুন্ডামি যে যা অপরাধই করে থাকু তার পর স্রেফ চা খাইয়ে হাত মিলিয়ে নেবেন, আর বলে দেবেন, ভুলে যান!আর না ভুললে ভুলিয়ে দেবো!
আর চিকিৎসক নিগ্রহের পর, আপনার কিন্তু কিছুই হয় নি ডাক্তারবাবু!