এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • চিন্তাসূত্র-১

    Sabyasachi Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ মার্চ ২০১৯ | ২২৮৬ বার পঠিত
  • চিন্তাসূত্র-১ ( জ্বরের আদর কোলে)
    ---------------------------------------
    গলা খুসখুস করলেই আমার ঠাকুমার কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, ভর সন্ধ্যেবেলায় আমি পুজো প্যান্ডেলে না গিয়ে, ঠাকুমার কোলে শুয়ে আছি। আমার গলায় প্যাঁচানো এইয়া মোটকা একটা কুটকুটে মাফলার। এরকম মাফলার আমি এর পরে আর কোথ্থাও দেখি নি। ঠাকুমা বলতো আলপাকা। মসৃণ শরীরে গোল্লা গোল্লা উলের রোঁয়া। মাফলারটা ঠাকুমা একটু আগেই গরম করেছে হ্যারিকেনের আগুনে। তাইতে ঘুম ঘুম আরাম।
    সারা বাড়িতে আর কেউ কোনোখানে নেই। শুধু, রুনু পিসি ঝাঁট দিচ্ছে উঠোনে। বেঁটে মোটা একটা ঝাঁটা। খড়ের খ্যাংরা।
    তাই, লন্ঠনের আলোতে আবছা ধুলোর স্তর।

    এখন নিশ্চয়ই ষষ্ঠী। সপ্তমী অষ্টমী নবমী দশমী কারেন্ট যায় না গ্রামে।
    নয়নরা ডাকতে এসে ফিরে গ্যাছে। --" পার্থ যাবেক নাই..জ্বর আইসছে" । নয়নদের নতুন জামা। আমিও পরবো কালকে। জ্বর সারুক।
    আমার পুরো শরীরটাই কেমন করে যেন এঁটে গেছে ঠাকুমার ছোট্ট কোলে পুরোপুরি। আমি কুঁকড়ো মুকড়ো হয়ে কাৎরাচ্ছি। আমি ঢুকে যাচ্ছি আরো আরো ভেতরে। ঠাকুমার শাড়ীর নরম ছোঁয়াচ। "অন্য অন্য মা"য়ের গন্ধ।
    ঠাকুমা আঁচলে শিকনি মোছে আমি জানি। আমার বড্ডো ঘেন্না লাগে সেসব দেখে। এখন লাগছে না যদিও। এখন আমি আরাম খাচ্ছি তলিয়ে।
    ঠাকুমা গল্প বলছে। সে গল্পের আমি শুনছি না কিছুই ।
    শুধু,
    এলোমেলো কথার গুঁড়ো, সাঁঝের আড়ালে এদিক সেদিক উড়ে উড়ে যাচ্ছে।

    ঠাকুমা বলছে--" মানিক আমার", বলছে "ধন"। আমার ভারী আরাম লাগছে। আমার কান ব্যথা করছে। ঠাকুমা, কানে হাপ্পা দিয়ে দিলো দু'বার। শাড়ীর আঁচল মুঠো পাকিয়ে, শ্বাস বায়ু দিয়ে গরম ক'রে ক'রে সেঁক দেওয়ার নাম হাপ্পা। ঠাকুমা এটাকে হাপ্পা বলে না কিন্তু। মা বলে।
    মা আমায় হাপ্পা দিয়ে দ্যায় চোখে।
    একবার ট্রেনে চেপে ফিরছিলাম। কোথা থেকে কী জানি! কিন্তু ফিরছিলাম। যাচ্ছিলাম না। কারণ আমার তখন মনখারাপ ছিলো। যাওয়ার সময় কারোর মনখারাপ হয় না। আমি জানলা রেলিঙে মুখ চেপে ধরে বাইরেটাতে চেয়ে দেখছিলাম। স্টিমের ইঞ্জিন ছিলো সেইটা। ভসভসানো ধোঁয়া। চললে শব্দ হতো ভস ভছ ভস ভছ। এরম শব্দ আমি মুখে করেও পারি। হাতের তালুটা আড়াআড়ি ঠোঁটের সামনে নিয়ে এসে, ফুঁ দিতে হয় জোরে। আর সঙ্গে কুউউউউউ সিটি।
    বাবা শিখিয়ে দিয়েছে।
    বাবা আমায় এইসব শিখিয়ে দেয়। দড়ির ফাঁসে ফাঁসে আঙুল চালিয়ে চালিয়ে মুরগির ঠ্যাং। নাক ঘষাঘষি করে-- নাকে নাকে ঝগড়া। কাগজ টুকরো ভাঁজ করে করে-- দিনরাত রাতদিন। একটা মোড়ক খুললে চাঁদ আঁকা। ওইটা রাত। আরেকটাতে সূর্য। ওটা দিন।
    আমার চোখে কি ক'রে জানি কয়লার গুঁড়ি পড়ে গেলো। ইঞ্জিনের কয়লা। চোখ টোখ ফুলে চুলকে, একাকার কান্ড। দরদর করে জল পড়তে লাগলো গড়িয়ে।
    ওহঃ..মনে পড়েছে। আমরা বর্ধমানে ফিরছিলাম। কোথ্থেকে, সেটা আর মনে নেই।
    বর্ধমানে তখন বাবার পোস্টিং। আমাদের এক কামরার ভাড়া ঘর। নোনা ওঠা দেওয়াল। দেওয়ালে শিবের ক্যালেন্ডার। ফ্যান চললে ক্যালেন্ডার ওড়ে খচাৎ খটৎ। ক্যালেন্ডারের নিচের দিকের শিকটা গোল্লা গোল্লা দাগ এঁকে দ্যায় দেওয়ালে....গোঁত্তা খায়। তারপর, কদিন বাদে বাদেই পেরেক শুদ্ধ খসে পড়ে যায় দেওয়াল থেকে। নোনা ধরেছে যে!
    বাবা তখন চেয়ারে উঠে, নোড়া দিয়ে পেরেক পোঁতে ঠক ঠক। নোড়াটার শরীরে দাগ দাগ খোঁদলানো। শিলের গায়ে মাছ আঁকা। শিল কুটতে এসে, এঁকে দিয়ে গেছে একটা কাকু। দুপুর বেলায় হাঁক দিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলো সুর করে--" শিইইইইল কুটাবেএএএএন? শীঈঈঈঈঈল?"
    মা ডেকে নিয়ে এসেছিলো জানালা দিয়ে। বস্তা ছিলো লোকটার কাছে। চটের বস্তা। তাইতে শিল নোড়া পেতে ঠুকে ঠুকে দাগ আঁকছিলো ঠঙ্ক ঠঙ্ক করে। কাজ শেষ করে জল খেলো এক গ্লাস। চুমুক দিয়ে না। উঁচু থেকে গলায় ঢেলে ঢেলে। ঢোঁকের তালে তালে, গলার লুড়লুড়িটা নাচছিলো। ওই ভাবে মা-ও জল খায়। আমি চেষ্টা করে দেখেছি। পারি নি। বুকের জামা ভিজে যায় খালি খালি। আমি অনেক কিছুই পারি না করতে। আমার বয়স কম। বড়ো হলেই পারবো। বাবা বলেছে।

    পরদিন সকাল থেকেই চোখ ফুলে হাঁড়ি। খুলতে পারি না কিছুতেই। চিপকে গেছে পাতা দুটো। দু চোখেরই। আমি বোধহয় অন্ধ হয়ে গেলাম হরেরাম ভিখিরির মতো। " বনফুলো মালা, গাঁথি দুই বেলাআআআ...মা গঅঅঅ...দুটি ভিক্ষা দেবেন মাআআআ.."

    আমার কিন্তু ভয় লাগছে না একটুও। অন্ধ হলেই বা কি! ধুৎ! আরটু ঘুমোই।
    কিন্তু ঘুমোতেই দিলো না মা। চোখে গরম ভেজা স্পর্শ। মা মুছিয়ে দিচ্ছে। ঐ কেটে গেলো পুরোটা। পিটপিটিয়ে চাইছি আমি। মায়ের মুখ, এখন মুখের ওপর আমার। ডান হাতে ভেজা তুলো-জল। আমার প্রথম " চোখ ওঠা"। কিম্বা কি জানি...হয়তো নয়..হয়তো আগেও উঠেছিলো কখনো। কিন্তু সেসব আমার আর মনে নেই। আমার এইটাই মনে আছে স্পষ্ট। সেবারে মা " হাপ্পা" দিয়ে দিতো খুব। মাঝে মাঝেই।

    তারপর আমার " চোখ ওঠা" সেরে গেলো।
    তারপর এই যে এই ঠাকুমা হাপ্পা দিচ্ছে।
    চোখে নয়।
    কানে।
    আমার কান ব্যথা তো!

    ঠাকুমা বললো--" ফিস্ট করে হইচে" ।
    ফিস্ট তো করেই ছিলাম আমরা। কালকে। গতকাল।
    নয়ন দীপু আপু টুম্পার সাথে গিছলাম --" স্টেশনধার" । আমাদের কেক পাউরুটির ফিস্ট। বাবাদের মতো মাংস ভাত নেই। কেক আর নরম বিস্কুট কিনে নিয়ে গিছলাম মুসলমান পাড়ার বেকারি থেকে। বিস্কুটের গায়ে সবুজ রঙের হাঁস আঁকা।
    স্টেশনধারের ওইপাশটায় কি জঙ্গওওওওওল... বাপ রে। টুম্পা বললো, বাগদীদের বউ নাকি গলায় দড়ি দিয়েছিলো এইখানে। টুম্পা গ্রামেই থাকে। ও সব জানে খবরাখবর।
    আমার ভয় ভয় লাগছিলো। ওদেরও বোধহয়...। কিন্তু আমরা বলি নি। আমরা কুয়ো পাড়ে বসে বসে কেক বিস্কুট খেলাম। একটা বালতি ছিলো জল ভর্তি। জল ছেটালাম মুখে। ওই থেকেই বোধায় ঠান্ডা লেগেছে আমার। কি জানি! দীপু নয়নদের তো লাগে নি একটুও। আমি বড্ডো ভুগি...

    কালকেই ঠিক হয়ে যাবো যদিও। এগুলোর নাম ভালুক জ্বর। আপনা আপনি আসে, আপনা আপনিই সেরে যায়। ঠাকুমা সাপের গল্প শোনাচ্ছে---" তারপর...বুঝলে ধন..হারকেনটা দেখি ভারি লাইগছে...হাঁ দ্যাখো, হারকেনটা অ্যাতো ভারী কেনে? তুমি তখনও হও নাই। তুমার মায়ের তখন শরীর খারাপ..নইড়তে লারে..আমি তো বুঝে গেইছি..হারকেনটা আইস্তে আইস্তে নামায়ে বইললাম, বঅউ সরঅ দেখি...হারকেনের গায়ে লতা উইঠেছে..জানো ধন? শীতের রাইত, রামু তক্কো ঘরে নাই, কুথায় না কুথায় ফিস্ট কইরতে গ্যাছে...ঘরে তিনটা বিটিছিলা একা...হারকেনটা নামাতেই সরসর করে লতাটা চইল্যে গ্যালো..গরম খুঁইজতে এসছিলো.."

    আমার কানে আরাম হয়েছে। আমার খুসখুস গলা কমেছে। আমি মুখ তুলে বললাম--" বাবা যে ফিস্ট করতো, তার ব্যালা?"

    এইসব মনে পড়ে।
    টুকরো টুকরো ছবি। মনে হয় লিখে রাখি। কিন্তু কলমে কুলোয় না। লিখতে পারি না স্মৃতি। আঁকতে পারি না অতীত। আমি তাই প্রলাপ লিখি।
    ক খ গ এবং ঘ হাততালি দ্যায়। বলে--" দারুন হয়েছে" ।
    আমার মন ভরে না।
    আমি জানি কিচ্ছুটি হয় নি।
    আমি জানি কিচ্ছুটি হয় না।
    দু তিনটে শব্দ, চার পাঁচটা বাক্য, হয়তো ছুঁয়ে যায় কাউকে। কিন্তু আমাকে তো ছোঁয় না। হাত ধরে না আমার। ঘুম দ্যায় না আমাকে।
    আঙুল কলম খাতা ছটফট করতে থাকে কেবলই----" বলা হলো না। বলা হলো না। এখনও যে অনেক বাকি...এখনও যে বলে উঠতে পারি নি কিছুই.."

    ভাষা হবে আমার? স্বপ্নভাষা?
    আঙুল ছোঁয়ালে পাতায় ফুটবে স্বপ্ন?
    কারো ফোটে?
    নাকি বেকার শব্দ সেচন করা? রাত প্রতিরাত ঘেঁটে?

    সেই যে বুড়ো বলে গিছলো--" বাণী দাও..বাণী দাও.."
    আমারও কেন এরকমই এখন লাগে?
    বাক্য হারা? বাণী হারা? জগৎ জোড়া?

    আমি বাণী খুঁজতে খুঁজতেই না হারিয়ে যাই একদিন!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৩ মার্চ ২০১৯ | ২২৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৬49451
  • অপূর্ব শৈশব! ভীষণ মায়াময় লেখা। উড়ুক
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন