এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাঙালির নিজস্ব নৌযাত্রার আখ্যান

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মে ২০২৪ | ৪৬৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)

  •  
    খুল্লনার ছমাসের গর্ভে রাজার আদেশে সাধু ধনপতির সিংহল যাত্রা। খুল্লনাকে ধনপতি বলে যায় মেয়ে হলে নাম দিতে শশীকলা, ছেলে হলে শ্রীপতি। "বারো বছরেও না ফিরলে তাকে পাঠিও দক্ষিণ পাটনে। সে যেন সব বন্দিশালা ঘুরে দেখে কার কপালে দিনরাত শিবপূজার চিহ্ন আঁকা।"

    মধুকর, দুর্গাবর, শঙ্খচূড়, চন্দ্রপাল, ছোটমুঠি, গুয়ারেখি এবং নাটশালা এই সপ্তডিঙ্গা চড়ে পিতা জয়পতির বহু যুগ পরে ধনপতি যাবে দক্ষিণ পাটনে। নৌকাদের সামনের দিক সুঁচালো আর পিছন দিক গোল। গায়ে কাঠের কারুকার্য্য। নৌমুখগুলির সিংহ, মহিষ, হস্তী, তোতা, ভেক ইত্যাদি নানা আকৃতির। সেখানে ঝোলে মুক্তার স্তবক, স্বর্ণহার। ওপরে দুটো ঘর। দুপাশে নাইয়াদের বসার আয়োজন, মাঝখানে কান্ডারের। মাথার ওপর বাদাম[পাল]। পিছনে মালপত্র। লঙ্কায় যাবে নারকেল, বদলে মিলবে সমুদ্রের শাঁখ। মাতঙ্গ, তুরঙ্গ, কুরঙ্গ ইত্যাদিতে কোল ভরে মধুকর, দুর্গাবর, শঙ্খচূড়, চন্দ্রপালের। সিঁদুর, হরীতকী, বয়ড়া, মসরি, তন্ডুলে পূর্ণ হয় ছোটমুখী, গুয়ারেখী, নাটশালার খোল।

    এ রাঢ়দেশে বাঁচা মানে বাহিত হওয়া ভেলায়, মান্দাসে, ডিঙ্গায় দূর দেশে। মকর সংক্রান্তির তুসু ভেলা পাড়ি দেয় দীর্ঘ জলপথ - চাঁপাতলা, কোঙরবন্দ, বাঁকাদামোদর, জুজুটি, গোবিন্দপুর, বর্ধমান, দেউল্যা, আমাদিপুর, শিয়াল্যা, হাসনহাটি, নারিকেলডাঙ্গা, বৈদ্যপুর, ত্রিবেণী। তারপর গঙ্গা প্রবাহের উজানপথে দুলতে দুলতে স্বর্গপুরে।

    সদাগর স্ত্রীলিঙ্গ দেবতা পূজতে দেয় না খুল্লনাকে। চম্পানগরীর চাঁদ সদাগর বলেছিল পাঁচ কুলীনের এক কুলীন সে, তাই চ্যাংমুড়ি কানির পূজা করবে না। খুল্লনা ভাবে মা মনসার সঙ্গে চাঁদ ব্যানার ঝামেলায় সাপ কাটল লখাইকে। বেহুলা লখাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে কলার মান্দাসে যাত্রা করল সুরপুর। সনকা ছ মাস জ্বালিয়ে রাখল তেলের প্রদীপ আর দাড়িম্ব [ডালিম /বেদানা] তলে পুঁতে রাখল বাসর -অন্ন। তার কোনো শ্বশ্রূ নেই, তাহলে কে বাজাবে সন্ধেবেলা শাঁখ, প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে আর ধান দুর্বায় বরণ করবে আত্মজন। খুল্লনা সাধুর হয়ে দেবীর কাছে ক্ষমা চায়। বলে সাধু মূর্খ তাই তোমার ভজনা করে না। তা দেখে দেবী চন্ডী দেবী মনসাকে আশ্বাস দেন - "আমি ধনপতিকে প্রাণে মারব না নারায়ণী। সে মৃত্যুতে ধনপতির চেয়ে খুল্লনা, লহনার যন্ত্রণা বেশি। তার চেয়ে কালীয়দহে এমন অভিসন্ধি ফাঁদা হোক যাতে সে সিংহলে বন্দী হয়।"

    ওদিকে সপ্তডিঙ্গা ভেসে চলে আঘন ৱাতে। নদীঘাটে থেমে থেমে দ্বি প্রহর পাক নদীতীরে। ভাগীরথী - অজয় নদীসঙ্গমে জন্ম নেয় এক নব প্রত্যুষ। চিঁড়ে, দই, মর্তমান কলা আর ফেনির ফলার। বিন্নিধানের খই আর নারকেল দুধের গন্ধ। সাধু ধনপতির জন্য চাঁপা কলা, টাবা লেবু ও দাড়িম্ব। সঙ্গে খেজুর আর ক্ষীরপুলি। জমি চষে হালিক, জাল টানে জালিক, ক্ষীরপুলি গড়ে মোদক, সুতো কাটে তন্তুবায়। রঙ্গরসে কেবল গোপেরাই। অজয় নদকে সাক্ষী রেখে মধ্যাহ্ন সূর্যের কাছে লবনিয়া বর মাগে - "পরজন্মে গোপজীবন দান করো। দুগ্ধের মত আহার নাই, গো র মত ধন নাই, বেণুর মত বাদ্য নাই, গোচারণের মত ভূমি নাই, যমুনার মত নদী নাই, কৃষ্ণের মত নাম নাই, কদম্বের মত বৃক্ষ নাই, রাধিকার মত প্রেমিকা নাই।"

    কান্ডার গোদ্রুম দ্বীপের গল্প শোনায়। পথিকের জন্য যেমন পান্থশালা, জলযাত্রীদের জন্য তেমনই দ্বীপ। ভাগীরথী গড়ল স্রোতের পূর্ব দিকে চার দ্বীপ - গোদ্রুম, অন্তর্দ্বীপ, সীমন্তদ্বীপ, মধ্যদ্বীপ আর পশ্চিমে পাঁচ - কোল, ঋতু, জহ্নু, মোদ্দ্রুম, রুদ্র। এই নয় দ্বীপ হতে এই ভূখন্ড পরিচিত হল নবদ্বীপ নামে।

    সবুজ ঘাসের জমি ভাগীরথীর দু তীরে। কান্ডার বুড়ন বলে কোঙর ধানের যেমন বর্ণ তেমনি সুবাস। কোঙর তন্ডুলে নবান্ন, পার্বণের পিঠা, সাধভক্ষণ। অন্নপ্রাশনে কোঙরের পরমান্ন, শ্মশান যাত্রায় উড়ো খই। জনপদটির নাম কোঙরনগর, আর এই নদীকূলে যাদের বাস তারাও কোঙর। দীর্ঘ যাত্রাপথে থেমে সপ্তগ্রামবাসীদের সঙ্গে বেচাকেনা চলে। মেলায় সন্ধেবেলা পাইকদের মলযুদ্ধ আর রায়বেঁশে নাচ।

    সব নদী ধারা আজ সপ্তডিঙার সঙ্গে মগরা যাত্রী। বিচক্ষু দামুদর নদ জামালপুর থেকে জন্ম নিয়ে তারকেশ্বর, জগৎবল্লভপুর হয়ে ফুলেশ্বরে গিয়ে ত্রিনয়না গঙ্গা যাত্রা করে মগরায়। বুড়ো মন্তেশ্বরের দেখাদেখি যমুনা চলে বাদুড়িয়া, গোবরডাঙ্গা, গাইঘাটা ইটিন্ডা পথে। অজয় চলে পান্ডবেশ্বর, নবগ্রাম, কেন্দুলী কাটোয়া বেয়ে। সরস্বতী ধায় সপ্তগ্রাম, চন্দননগর, জনাই, চণ্ডীতলা ছুঁয়ে। ধনপতির বাবা সাধু জয়পতি যেবার দক্ষিণ পাটনে গিয়েছিল, তখন এই মগরা নদীটি ছিল মৃত ময়াল। আজকে সে ঝড়ে জেগে উঠেছে। দুর্গাবর ছাড়া বাকি ছয় ডিঙা এবং অজস্র প্রাণ মগরায় ডুবে গেল। মকরদের নদীগমন হল সপ্তডিঙার নাইয়া, গাবরদের ভোজন করতে। ত্রিবেণী, নীলাচল ছাড়িয়ে এবার দুর্গাবর উপকূল ধরে ধরে সমুদ্রপথে যাত্রা করে। কান্ডার বুড়ন সাবধান করে দেয় "সমুদ্রযাত্রায় কোথাও দেখবে দ্বীপ, কোথাও দহ। দ্বীপগুলোতে আশ্রয়, মিষ্টি জল, ফলমূল। আর দহ গুলোতে ছলনাময়ী বালা, কোনোটায় নাগ, কুমীর, জলৌকা [জোঁক]।"

    সেইমত সাধু ধনপতির কালীয়দহে কমলে কামিনী দর্শন। প্রতিশ্রুতি দিয়েও সিংহলরাজকে সেই দৃশ্য দেখাতে না পারায় আটক। কারারুদ্ধ কান্ডার গাবররা[জোয়ান নাবিক] সমগ্র যাত্রাপথের কথা ভাবে - কালিয়দহ [সম্ভবত পুলিকট হ্রদ], সর্পদহ [সম্ভবত চিল্কা], শঙ্খদ্বীপ, নীলাচল, মগরা, ত্রিবেণী, নবদ্বীপ অতিক্রম করে কিভাবে পৌঁছাবে তাদের উজানী নগরে।

    উপন্যাসে বিশেষ্য/বিশেষণ মধ্যযুগের বাংলা হলেও বাকি বাক্যগঠন চলিত ভাষার এবং পরিশিষ্টে মানে বোঝার তালিকা দেওয়া আছে। যেমন 'কেরয়াল' শব্দের অর্থ নৌকার দাঁড়। চণ্ডীমঙ্গলের 'বণিকখন্ড' কাহিনীর আধুনিক দৃষ্টিতে পুনর্নির্মাণ হলেও আখ্যান হিসেবে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। পাঁচশো বছর পুরোনো রাঢ়ের নদীপথের ও জনপদের ভুলে যাওয়া ইতিহাস-ভূগোল, নৌযাত্রার জন্য নক্ষত্র - রাশি চিহ্নের ব্যবহার ইত্যাদি অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সফলভাবে উঠে এসেছে। হোমারের ওডিসির সঙ্গে মধ্যযুগের বাংলার 'বণিকখন্ড'র ভাবনায় এত মিল এই প্রথম লক্ষ্য করে অবাক লাগল।

    ধনপতির সিংহলযাত্রা
    রামকুমার মুখোপাধ্যায় / মিত্র ও ঘোষ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 172.58.***.*** | ১৩ মে ২০২৪ ০১:৫৪531650
  • পাপাঙ্গুল এই যে খুব মন দিয়ে বইগুলো পড়েন আর বেশ আঁটসাঁট, অপ্রয়োজনীয় চুলদাড়ি বর্জিত রিভিউ লেখেন, এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। বইগুলো পড়বার আগ্রহ জাগে।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৩ মে ২০২৪ ০৩:২০531653
  • কেকের সাথে পূর্ণ সহমত। ইচ্ছে হচ্ছে এখনই বইটি যোগাড় করি আর পড়ে ফেলি।
  • | ১৩ মে ২০২৪ ১০:০২531660
  • এ বইটা ভারী আরামের। রোবু পড়িয়েছিল।  নেটে পিডিএফ পাওয়া যায়, আগ্রহীরা পড়ে ফেলুন। 
  • | ১৩ মে ২০২৪ ১০:০৩531661
  • এবং আসল কথাটা বলতে ভুলে গেছি। পাপাঙ্গুলের রিভিউ খাসা।
  • পাপাঙ্গুল | ১৩ মে ২০২৪ ২২:৪৫531687
  • অমিতাভদা , কেকে , দ লান - আর ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। ভাল বই পড়লেই সেটা নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে , সবসময় হয়ে ওঠে না। দেখি আরো কিছু এরকম ছোট পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার ইচ্ছে আছে। 
     
    হ্যাঁ এই বইটা বেশ পুরোনো , আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিল, নেটে পিডিএফ আছে।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৩ মে ২০২৪ ২৩:০১531688
  • নামালাম। থ্যাংকু।
  • সুদীপ্ত | ১৬ মে ২০২৪ ১৭:৪৯531819
  • এ-বইটা বেশ লেগেছিল! পিডিএফ পড়ে পরে বইটা কিনেছিলাম। রিভিউটাও ভালো লাগলো! 
  • Suvasri Roy | ১৭ মে ২০২৪ ১১:১৩531850
  • লেখাটি কৌতূহলোদ্দীপক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন