এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি - কে কোথায় দাঁড়িয়ে?

    সাগর দাস লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৬০৪৪ বার পঠিত
  • নেভাডা ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে প্রত্যাশামত জিতলেন বার্ণী স্যান্ডার্স। ৫০% ভোট গণণা শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বার্ণী পেয়েছেন ৪৬.৬% ভোট। তার পরে আছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি যো বাইডেন (১৯.২%)। সাউথ বেন্ড শহরের মেয়র পীট বুডাজিজ পেয়েছেন ১৫.৪% ভোট। সেনেটার এলিজাবেথ ওয়ারেণ পেয়েছেন ১০.৩% ভোট।

    আমেরিকার ইলেকশানে আইওয়া আর নিউ হ্যাম্পশায়ারের গুরুত্ব আশ্চর্যজনক ভাবে অত্যন্ত বেশি। কারণ দুই দলেরই প্রাইমারি ইলেকশান শুরু হয় এই রাজ্য দুটো থেকে। যদিও আমরা পুরো প্রসেসটাকেই প্রাইমারি বলছি, কিন্তু আসলে দুই ধরনের উপায়ে মূল নির্বাচনের জন্য প্রার্থী নির্বাচিত করে দুই পার্টি। যেহেতু এই লেখার মূল বিষয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারি, তাই বাকি লেখাতেও শুধু সেইটুকু আলোচনা করা হবে।


    সেই আলোচনায় ঢোকার আগে বলে নেওয়া ভালো যে রিপাব্লিকান দলের প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইম্পিচমেন্টে সেনেটে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে যাঁর আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। সেনেটে রিপাব্লিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাহায্যে সেরকম কোনও আলোচনা-বিচার-সাক্ষী ছাড়াই মুক্তি পেয়ে গেছেন। রিপাব্লিকানদের মধ্যে একমাত্র মিট রমনি অন্যদিকে ভোট দিয়েছিলেন। দাবী করেছিলেন যে আরো সাক্ষীদের কথা শোনার প্রয়োজন আছে এবং তার পরে সঠিকভাবে বিচার করা সম্ভব। কিন্তু বাকী কোনও রিপাব্লিকান সেনেটার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেতে সাহস দেখাননি। কারণ সামনেই তাঁদের মধ্যে অনেককে মিড টার্ম ইলেকশনে যেতে হবে। আর এইমুহুর্তে রিপাব্লিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সাম্প্রতিক গ্যালাপ পোলে দেখা যাচ্ছে ৯৩% রিপাব্লিকান ট্রাম্পের কাজে খুশি। আমার ধারণা ইলেকশান যত কাছে আসবে, রিপাব্লিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।


    এইবারে আসা যাক সেই দুই প্রক্রিয়ার কথায়। প্রথমটি প্রাইমারি। প্রাইমারিও অনেকরকম হয়। তবু মূলত এটিতে লোকজন এসে ভোট দেয় এবং সেই ভোটের শতাংশের প্রেক্ষিতে ঠিক হয় কে কটি ডেলিগেট (প্রতিনিধি) পাবেন। এগুলি সাধারণত সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আছে ওপেন প্রাইমারি যেগুলিতে যে কেউ এসে দুই পার্টির প্রার্থীর পক্ষেই ভোট দিতে পারেন। ক্লোজড প্রাইমারিতে শুধুমাত্র যে পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হচ্ছে, সেই পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটাররাই ভোট দিতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে পার্টি-রান প্রাইমারি, যেগুলি সরকার নয়, পার্টি নিজেই ভোট পরিচালনা করে। দ্বিতীয়টি হল ককাস। ককাস অনেকটা প্রাইভেট ইভেন্ট, যেগুলি পার্টি বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করে। সেখানে পার্টির রেজিস্টার্ড ভোটাররা এসে নিজের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন দেখায়। এই সমর্থন কোথাও হাত তুলে, কোথাও ভোট দিয়ে দেখানো হয়।


    মোট ৫৭টি নির্বাচনক্ষেত্রে এই প্রাইমারি হয়ে থাকে। ৫০টি রাজ্য, দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, ৫টি টেরিটরি (যেগুলি রাজ্য নয়), এবং দেশের বাইরে থাকা আমেরিকানদের একটি আলাদা নির্বাচনক্ষেত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। মজার ব্যাপার হল, এর মধ্যে টেরিটরিতে থাকা নাগরিকদের ভোট মূল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গণ্য হয়না। এর মধ্যে তিনটি রাজ্য এবং চারটি টেরিটরিতে ২০২০তে ককাস হচ্ছে।


    তার মধ্যে প্রথমটি হয় আইওয়াতে। এইখান থেকেই আমেরিকার সবথেকে বড় ইলেকশানের সূত্রপাত হয়। এইবারে সেখান ডেমোক্র্যাটিক ককাসে গন্ডগোল হয়। দূরে থাকা ডেমোক্র্যাটরাও যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য একটি অ্যাপের ব্যবহার করা হয়, যেটি সময়মত ঠিকভাবে কাজ করেনি। অনেক কনফিউশান এবং সময় নিয়ে হিসাবের পর দেখা যায় মেয়র পীট বুডাজিজ সবথেকে বেশি সংখ্যক ডেলিগেট পাবেন (১৩ বা ১৪), বার্ণী স্যান্ডার্স পাবেন ১২ বা ১৩জন ডেলিগেট। দুজনের সমতুল্য ডেলিগেট শতাংশের মধ্যে ফারাক মাত্র ০.০০৪%। এইখানে যেন পাঠক মনে না করেন এটি তাঁদের পাওয়া ভোটের মধ্যে পার্থক্য। ভোটে (যেটিকে আমেরিকাতে পপুলার ভোট বলে) কিন্তু বার্ণী স্যান্ডার্স অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। মানে আমেরিকাতে একজন ইলেকশানে বেশি ভোট পেয়েও হারতে পারেন। উদাহরণ: ২০০০ এবং ২০১৬র রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই কারণেই আমেরিকাকে ডেমোক্র‌্যাসি না বলে রিপাব্লিক বলা হয়।


    এর পর নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারির আয়োজন করা হয় যেখানে ২৫.৭% পপুলার ভোট পেয়ে বার্ণী জেতেন এবং ৯ জন ডেলিগেট পাবেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পীট বুডাজিজও ৯ জন ডেলিগেট পাবেন। 


    ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি ইলেকশানে যে শুধুমাত্র ডেলিগেটের সংখ্যা নিয়েই সমস্যা আছে তা নয়, সেখানে সুপার ডেলিগেট নামক একটি ব্যাপার রয়েছে। ৭৭১ জন ডেলিগেট রয়েছেন যাঁরা সরাসরি নিজেদের ভোট যেকোনও প্রার্থীকে দিতে পারেন। এই ৫৭টি নির্বাচন ক্ষেত্র থেকে মোট ৩৯৭৯ জন ডেলিগেট নিয়ম অনুযায়ী ভোট বা সাপোর্ট দেবেন (প্লেজ্ড ডেলিগেটস)। এইবছর ১৩-১৬ জুলাই উইসকনসিন রাজ্যের মিলোয়াকিতে যখন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশান হবে, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী নির্বাচিত করা হবে রাষ্ট্রপতির জন্য, সেখানে প্রথমে দেখা হবে এই ৩৯৭৯ প্লেজ্ড ডেলিগেট্সদের মধ্যে কে বেশি সাপোর্ট পাচ্ছেন। এর পর দেখা হবে ঐ ৭৭১জন সুপার ডেলিগেটদের জোড়ার পর কে বেশি সাপোর্ট পাচ্ছেন।


    আপাতত তিনটে রাজ্যেই দারুন ফল করে এগিয়ে আছেন সেনেটার বার্ণী স্যান্ডার্স। ২০১৬তেও তিনি প্রাইমারি লড়েছিলেন এবং শেষে হিলারি ক্লিন্টন প্রার্থী হন। পরে এই ডেলিগেট সংখ্যা, সুপার ডেলিগেটদের ভূমিকা, বার্ণীর ক্যাম্পেইনকে সাবোটাজ করা ইত্যাদি অনেক বিতর্ক উঠে আসে। এবং অনেকেই দাবী করেন যে অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্পের ইলেকশান জেতার পিছনে এই কারণগুলো ছিল অন্যতম। চিত্র পরিচালক মাইকেল মূরের মতে বহু বার্ণী সমর্থক শেষে ভোট দিতে যাননি বা পার্টি লাইন অতিক্রম করে ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে এসেছিলেন। মনে রাখবেন ট্রাম্প কিন্তু বেশ কিছু রাজ্যে খুব সামান্য ভোট বেশি পেয়ে জিতেছিলেন। যেমন মিশিগানে পার্থক্য ছিল ১১ হাজারেরও কম ভোট, যেখানে প্রায় ৪৮ লক্ষ লোক ভোট দিয়েছিলেন। শোনা যায় গত ইলেকশনে প্রায় ১০ কোটি ভোটার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।


    চলুন একটু পরিচয় করে ফেলা যাক এইবারের ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে অংশগ্রহণ করছেন যেসব প্রার্থীরা, তাঁদের সঙ্গে।


    সেনেটার বার্ণী স্যান্ডার্স সক্রিয়ভাবে নির্বাচনমূলক রাজনীতিতে রয়েছেন বিগত প্রায় ৫০ বছর ধরে। প্রথমদিকে লিবার্টি ইউনিয়ন দলের হয়ে লড়লেও শীঘ্রই তিনি নিজেকে সফল ভাবে ডেমোক্র্যাটিক-ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে অংশগ্রহণ করলেও, সেখানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিসাবে মূল লড়াইতে জিতে সেনেটে যান। বিগত রাষ্ট্রপতি ইলেকশানে হিলারী ক্লিন্টনের মতন হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেটকে ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে বড় চ্যালেন্জের মুখে দাঁড় করিয়ে চলে আসেন মূল আলোচনার মধ্যে। নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক সোশালিস্ট বলে ঘোষণা করেন তিনি। বিতর্কের বদলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর ফ্রি কলেজ, মেডিকেয়ার ফর অল, মিনিমাম ওয়েজ নিয়ে বক্তব্য প্রতিধ্বনিত হয় বহু সাধারণ লোকেদের মুখে মুখে। তাঁর অকৃত্রিম  বক্তৃতা, মূল বিষয়েই টিকে থাকা সকলের নজর কাড়ে। এইবারেও তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়, যার ফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে একের পর এক প্রাইমারিতে। ভদ্রলোকের বয়স ৭৮ হলেও, তাঁর সবথেকে বড় সমর্থনের ভিত্তি হল কলেজ পড়ুয়ারা।


    এর পরেই যাঁর কথা বলবো তিনি হলেন সেনেটার এলিজাবেথ ওয়ারেণ। আইনের এই প্রফেসার বহুদিন হল আমেরিকার মূল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বড় কোম্পানি এবং ব্যান্কগুলোর সিইওদের যথাযথ প্রশ্ন করা এবং মুশকিলে ফেলায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তবে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং বার্ণীর বক্তব্যের মধ্যে মিল বহুলাংশে। অনেকেরই মতে ব্যালট বাক্সে ওয়ারেণের উপস্থিতি বার্ণীর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনার ক্ষতি করছে। তৃতীয় স্থান নিয়ে আইওয়াতে কিছুটা ভালো ফল করলেও, বাকী দুই রাজ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছেন এলিজাবেথ ওয়ারেণ। এমনকি আশ্চর্য্যজনক ভাবে ডিবেটে তিনি আক্রমণও করেছেন বার্ণীকে বেশ কিছু বিষয়ে। এঁদের দুজনের মধ্যে বহু মিল থাকলেও, দুজনে পরিবর্তন আনতে চান দুটো ভিন্ন উপায়ে। বার্নী মনে করেন যে পরিবর্তন আসবে মানুষের মধ্য থেকেই যাঁকে তিনি পিপলস' মুভমেন্ট বলেছেন। ওয়ারেণ মনে করেন বর্তমান পদ্ধতির মধ্যে থেকেও পরিবর্তন সম্ভব।


    মিশিগান লেকের ধারে ইন্ডিয়ানা রাজ্যের একটি ছোট শহর সাউথ বেন্ড। সেখানকার মেয়র পীট বুডাজিজ। তিনিই প্রথম সমকামী মানুষ যিনি রাষ্ট্রপতির প্রাইমারিতে লড়ছেন। সাউথ বেন্ডে থাকে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল কয়েক মাস আগে। তার মতে পীট লড়ছেন নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে নিয়ে আসার জন্য, রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আইওয়াতে ককাস জেতেন তিনি এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকেন তিনি। নেভাডায় তৃতীয় হয়ে এই মুহুর্তে নিজেকে অন্যতম প্রার্থী হিসাবে প্রতিষ্টিত করতে পেরেছেন তিনি। ডিবেটগুলোতে খুব ভালো পারফর্ম করেন তিনি, যার ফল তিনি পাচ্ছেন প্রাইমারিতে।


    এর পরে যাঁর নাম করতেই হয় তিনি হলেন যো বাইডেন। ওবামার উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। আশা করা হয়েছিল যে তিনি অন্যতম এবং অবিসংবাদী নেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। কিন্তু এখনও অবধি সেরকম কোনো লক্ষণ দেখতে পাইনি আমরা। আইওয়াতে চতুর্থ এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারে পঞ্চম স্থান পেয়ে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন। নেভাডাতে কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে তাঁর ক্যাম্পেইন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এলিট গ্রুপ যাঁরা পার্টির বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নেন, যাঁদেরকে পার্টির এস্টাব্লিশমেন্ট বলা হয়, তাঁদের প্রিয় প্রার্থী যো বাইডেন। মূল ধারার মিডিয়াও কিছুটা হলেও তাঁকে বেশি সমর্থন দেখাচ্ছে। ফলতঃ তিনি যে সুপার ডেলিগেট্সদের একটা বড় অংশের সমর্থন পাবেন, এটা বলাই বাহুল্য।


    পরের প্রাইমারি সাউথ ক্যারোলাইনাতে। সেখানে মাইনরিটি ভোটারদের সমর্থন পেয়ে জেতার আশায় রয়েছেন বাইডেন। নিজেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি নির্বাচনযোগ্য হিসাবে প্রচার করছেন তিনি। ডিবেটগুলোতেও তিনি এই দুটো কথাই বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তিনি সবথেকে বেশি নির্বাচনযোগ্য এবং ওবামার উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন। ফলে সাউথ ক্যারোলাইনা বাইডেন ক্যাম্পেইনের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। এখানে ভালো করতে না পারলে বাইডেনের দুটো দাবী নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। অন্যদিকে যেহেতু এই রাজ্যটিতে বাইডেনের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি, তাই এখানে ওয়ারেণ বার্ণীর বেশি ভোট কাটলে সমস্যায় পড়বে তাঁদের অ্যাজেন্ডা।


    সাউথ ক্যারোলাইনা খুব গুরুত্বপূর্ণ পীট বুডাজিজের জন্যও। কারণ সাউথ ক্যারোলাইনাতে খুব একটা ভালো না করলেও তার পর ৩রা মার্চ হবে সুপার টিউজডে। একটা বিশাল সংখ্যক রাজ্যতে একই দিনে প্রাইমারি হবে। সুপার টিউজডেতে মোট ডেলিগেটসের সংখ্যা ১৩৪৪। সাধারণত এর পরেই আন্দাজ পাওয়া যায় যে কে হবেন প্রার্থী। এই সুপার টিউজডেতে কিছু উদারপন্থী এবং বড় রাজ্য যেমন ক্যালিফোর্নিয়া এবং কলোরাডোতে বুডাজিজের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাঁকে যেন তেন প্রকারে সাউথ ক্যারোলাইনাতে প্রথম তিন চারজনের মধ্যে থাকতে হবে যাতে সুপার টিউজডেতে সমস্ত উৎসাহ এবং উদ্দেপণার সঙ্গে যেতে পারেন ভোট চাইতে।


    মজার ব্যাপার হল রক্ষনশীল সাউথ ক্যারোলাইনা এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও মূল নির্বাচনে ডেমোক্র‌্যাটরা কিছুতেই জিতবে না এই রাজ্যে।


    এছাড়াও রয়েছেন এমি ক্লোবাচার। এমি মিনেসোটা রাজ্য থেকে নির্বাচিত সেনেটার এবং মিনেসোটার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কৃষক-মজুর অংশের সদস্য। প্রথম থেকেই নিজেকে মডারেট এবং সেন্ট্রিস্ট দাবী করে এসেছেন, বার্ণী-ওয়ারেণের থেকে আলাদা জায়্গা করেছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে কিছুটা ভালো করলেও, বাকী দুটি রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেয়েছেন। এখন দেখার আর কতদিন লড়াইতে থাকেন তিনি এবং শেষে কোন মধ্যপন্থী প্রার্থীকে সমর্থন (এন্ডর্স) করেন।


    আরো একজনের নাম না করলেই নয়। নিউ ইয়র্কের নিজের নামের বিখ্যাত কোম্পানির মালিক মাইকেল ব্লুমবার্গ। একসময় রিপাব্লিকান ছিলেন, পরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট হয়ে নিউ ইয়র্কের মেয়র হন তিনি। এখন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রথমেই ৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে প্রচার শুরু করেন। ইন্টারনেটে বার্ণীর সমর্থকদের খারাপ ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচার চালান তিনি। কিন্তু শেষ (এবং ব্লুমবার্গের এখনও অবধি একমাত্র) ডিবেটে এলিজাবেথ ওয়ারেণ একাই ব্লুমবার্গকে মুশকিলে ফেলে দেন বিভিন্ন বিষয়ে। বাকীরাও সুযোগ হাতছাড়া করেন না। নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন মেয়ররের কিছু উত্তর ছিল বলে মনে হয়্না। পয়সার জোর ছাড়া রাজনীতিতে সফল হওয়ার জন্য তাঁর যে আর কিছুই নেই, সেটা এখন স্পষ্ট। মাঝখানে এও শোনা যাচ্ছিল যে হিলারী ক্লিন্টনকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়ে লড়তে চান তিনি। ফলে এখন দেখার যে ব্লুমবার্গের বিজ্ঞাপন বার্ণীর কতটা ক্ষতি করে আগামী দুই সপ্তাহে, সুপার টিউজডের আগে।


    ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বামপন্থী বার্ণী এবং সবথেকে দক্ষীনপন্থী ব্লুমবার্গ। দুজনেই নিজেদেরকে সাধারণতঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিসাবে পরিচয় দেন। যদিও দুজনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থন করে এসেছেন। তবে দুজনের মধ্যে একটা বিশাল ফারাক আছে। বার্ণী নিজেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেন কারণ তিনি মনে করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি যথেষ্ট বামপন্থী নয়। আর ব্লুমবার্গ নিজেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেন কারণ তিনি মনে করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বড্ড বামপন্থী।


    এই মুহুর্তে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত। এক, বামপন্থী ডেমোক্র‌্যাট (লেফট-লিবারল)। দুই, মধ্যপন্থী ডেমোক্র‌্যাট (মডারেট, সেন্ট্রিস্ট)। দ্বিতীয় দল প্রথম দলকে সোশালিস্ট বলে এবং ভয় পায় যে আমেরিকায় সোসালিজম নিয়ে যে ভয় রয়েছে, তার ফলে রিপাব্লিকানরা লাভবান হবে। অন্যদিকে প্রথম দল দ্বিতীয় দলকে কর্পোরেট ডেমোক্র‌্যাট নামে ডাকে, কারণ এই দলের প্রার্থীরা কর্পোরেটদের পয়সায় ক্যাম্পেইন চালায় এবং কিছু কর্পোরেট এদের হয়ে প্রচার করে। এবং প্রথম দল মনে করে যে এই কর্পোরেট সেন্ট্রিস্ট ডেমোক্র‌্যাটদের জন্যই রিপাব্লিকানদের বাড়বাড়ন্ত। যদিও রিপাব্লিকান পার্টিতেও এইরকম দুই ভাগ ছিল এই কয়েক বছর আগে অবধিও: মডারেট দক্ষীনপন্থী এবং চরম দক্ষীনপন্থী । কিন্তু হাউসের এক প্রাক্তন রিপাব্লিকান স্পীকারের মতে এইমুহুর্তে ওটি ট্রাম্পের পার্টি।


    তাহলে প্রশ্ন আসে যে আমেরিকার মতন ধনতান্ত্রিক দেশে বার্নী স্যান্ডার্সের মতন একজন ঘোষিত ডেমোক্র্যাটিক সোসালিস্ট এত সফল হচ্ছেন কী করে? শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই বার্ণীর ক্যাম্পেইন ২৫ মিলিয়ন ডলার জোগাড় করেছে। অথচ গড় অবদান ১৮.৭২ ডলার। অর্থাৎ, বিশাল সংখ্যক সাধারণ লোকেদের পয়সায় চলছে তাঁর ক্যাম্পেইন।


    আগের ইলেকশানে সবাই জানত যে হিলারী জিতবেই। বিশেষ করে উল্টোদিকে যখন ট্রাম্পের মতন ক্যান্ডিডেট। এইবারে একটু অন্যরকম আবহাওয়া। প্রথ্মতঃ সেন্ট্রিস্টদের মধ্যে থেকে, আজকাল যাদের কর্পো-ডেম বলা হচ্ছে, তেমন কোনও ভালো প্রার্থী নেই। বাইডেনের তেমন কিছু বলার নেই। এমি ক্লোবাচার নিজেকে সেন্ট্রিস্ট বলে প্রচার করে করে বাইডেনের একটু ক্ষতিই করেছেন মনে হচ্ছে। মাঝখানে ব্লুমবার্গ এসে যাওয়াতে লেফ্ট লিবারলরা খুব সতর্কিত। এছাড়াও এইবারে ট্রাম্পের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে লেফ্ট-লিবারলরা চাইছে যে তাদের পেট প্রজেক্টগুলোর কথাও লোকে জানুক। ফ্রী কলেজ, মেডিকেয়ার ফর অল, মিনিমাম ওয়েজ, কর্পোরেটদের ট্যাক্স কেন দেওয়া উচিত এগুলো লোকে শুনুক। বার্ণী প্রার্থী হলে প্রচুর রিপাব্লিকানরাও এগুলোর সম্বন্ধে জানবেন। কিন্তু এইমুহুর্তে তাঁদের মুখ্য সংবাদদাতারা তাদেরকে ইমিগ্রেশান, মেরি ক্রিসমাস, সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ডের চক্করে ভুলিয়ে রাখছে আর সোশালিজম নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে । 


    অন্যদিকে লেফ্ট লিবারল ডেমোক্র্যাটিক সোশালিস্টদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হচ্ছে গ্রীন নিউ ডিলকে বাস্তবায়ন করা। গ্রেট ডিপ্রেশানের পর আমেরিকাকে অর্থনৈতিক মন্দার থেকে তুলে আনতে ততকালীন রাষ্ট্রপতি ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন। যার একটি হল সোশাল সিকিউরিটি, যার ফলে আজকেও একটি বয়সের পর সব আমেরিকান সরকারের কাছ থেকে পেনশান পান। গ্রীন নিউ ডিল ক্যাপিটাল-সরকার-সমাজের মধ্যে একটা নতুন চুক্তি। এর ফলে, বামপন্থীদের মতে, কর্পোরেশান এবং বড়্লোকরা ন্যায্য পরিমাণ কর দেবে যেটা দিয়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতন মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো হবে। ন্যূনতম আয় বাড়ানো হবে, যার ফলে সাধারণ মানুষ তাঁর কাজের সঠিক মুল্য পাবেন। তাঁদের মতে আমেরিকার মতন বড়লোক সফল গণতান্ত্রিক দেশে সমস্ত নাগরিকদের ভালো থাকার অধিকার রয়েছে এবং সম্পদের সঠিক বন্টনের মাধ্যমে সমাজের সমস্ত স্তরের লোককে ভালো রাখা সম্ভব। এবং সেই দায়িত্ব সরকারের। তার সাথে সাথে তারা এটাও মনে করে যে আমেরিকার পরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে থাকবে ক্লিন এনার্জি টেকনলজি। পৃথিবীর পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করতে অগ্রগামী ভূমিকে নেওয়ার দায়িত্ব আমেরিকার। এই প্রস্তাবনার খ্সড়া যাঁরা বানিয়েছেন এবং প্রচার করছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিউ ইয়র্কের ১৪তম কঙ্গ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট থেকে জিতে আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নবীনতম সদস্যা আলেকজান্দ্রা ওকাসিও কোর্টেজ (এওসি)। বার্ণী এবং ওয়ারেণ দুজনেই তাঁকে সমর্থন জানান। এওসি ভোটে দাঁড়ানোর আগে অবধিও একটি রেস্তোরায় ওয়েট্রেসের কাজ করতেন। তিনি জানিয়েছেন যে নিজের স্টুডেন্ট লোন শোধ করেছেন কঙ্গ্রেসের থেকে পাওয়া মাইনে থেকে। স্পষ্টবক্তা এবং সুবক্তা এওসি ইতিমধ্যেই আমেরিকার রাজনীতির মূল ধারায় নিজের স্থান করে নিয়েছেন এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন।


    যদিও এই মুহুর্তে গ্রীন নিউ ডীল বা ঐধরনের যেকোনও প্রস্তাবনা আইন হওয়ার কোনই সম্ভবনা নেই, তবুও এর কিছু প্রভাব পড়েছে আমেরিকার মূল ধারার রাজনীতিতে। ২০১৮ সালের মিড টার্ম ইলেকশানে বহু রিপাব্লিকান প্রার্থী হেরে যান ওবামাকেয়ারের বিরুদ্ধে গিয়ে। বর্তমান ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারির মুখ্য প্রার্থীরাও সকলের জন্য স্বাস্থ্য বা ঐধরণের বিভিন্ন প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। এখন প্রায় সকলেই বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন, যাকে এখন ক্লাইমেট চেন্জ নামে ডাকা হয়, স্বীকার করে নিয়েছেন। স্টুডেন্ট লোন আমেরিকার অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। সেই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। ফলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে হাওয়া এবারে বামপন্থীদের দিকে. তিনটে রাজ্যের প্রাইমারিতেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৬০৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Pinaki | 162.158.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:২৩91078
  • ভাটে আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে যে আলোচনাগুলো হচ্ছে, সেগুলো এবার এই লেখার নিচে হতে পারে তো।
  • বার্ণির কি হবে | 172.69.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:০৮91080
  • "It's not just that he'd lose the presidency, it's that he'd put our candidates at risk," said Rep. Scott Peters of California, who supports Mike Bloomberg and is a leader in the 103-member New Democrat Coalition, a caucus of moderate House Democrats.
  • S | 108.162.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২২:১২91107
  • সাউথ ক্যারোলাইনা ডিবেট হয়ে গেল। মডারেটার ভালো কাজ করেনি, ফলে অনেকসময়ই দেখা গেছে যে সবাই একসঙ্গে কথা বলছে। (আমি দেখিনি, কিন্তু রিপোর্ট পড়লাম)

    সাউথ ক্যারোলাইনাতে এইমুহুর্তে ওপিনিয়ন পোলে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। তার পরে রয়েছেন বার্ণী। ব্যবসায়ী এবং ফিলনথ্রাপিস্ট টম স্টেয়ার রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। এই লোকটি প্রথম থেকেই সাউথ ক্যারোলাইনাকে টার্গেট করে প্রচুর পয়সা ঢেলেছেন অ্যাড আর ক্যাম্পেইনে। তার পর বুডাজিজ এবং ওয়ারেণ।

    বার্ণীকে সবথেকে বেশি অ্যাটাক সহ্য করতে হয়েছে। সেটার দুটো কারণ রয়েছে। এক, তিনি ফ্রন্ট রানার। দুই, কিউবা। কিন্তু সে কথায় পরে আসছি।

    বাইডেন তাঁকে আক্রমণ করেন গান কন্ট্রোলের ব্যাপারে তাঁর পুরোনো ভোটিং প্যাটার্ণ দেখিয়ে। বার্ণী জানিয়েছেন যে তিনিও সময়ের সাথে সাথে নিজের মত পাল্টেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে বার্ণীর এনারে রেটিং কোনও কালেই সি মাইনাসের উপরে যায়নি। এই মুহুর্তে বোধয় ডি মাইনাস বা এফ। অতেব বার্ণী যে সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ডের পক্ষে নয়, সেটা প্রমাণিত।

    এলিজাবেথ ওয়ারেণ স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁর মতামত এবং বার্ণীর মতামত প্রায় এক। কিন্তু ওয়ারেণ মনে করেন যে তিনি জানেন কিকরে সেগুলোকে বাস্তবায়িত করা যাবে, যেটা নাকি বার্ণী জানেন না।

    পিট বুডাজিজ স্বাভাবিক কারণেই বার্নীকে আক্রমণ করেছেন। কারণ পিট যদি ৪ বা ৫ নম্বরে আসে, তাহলে মাইনরিটি ভোটারদের মধ্যে যে তাঁর কোনই সমর্থন নেই সেটা আরো একবার প্রমাণিত হয়ে যাবে। পীটের মূল হাতিয়ার ছিল দুদিন আগে বার্ণীর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বলেন যে কিউবার সবকিছুই খারাপ ছিল তা নয়। কাস্ত্রোর আমলে শিক্ষাব্যবস্থার প্রশংসা করে বসেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যে তিনি বাকী ব্যবস্থার এবং ডিক্টেটারশিপের জন্য নিন্দে করেছেন, সেটা তিনি এদিন মন্চে আবার মনে করিয়ে দেন। মজার ব্যাপার হল এই একই কথা কয়েকবছর আগে প্রেসিডেন্ট ওবামাও বলেছিলেন।

    এমি ক্লোবাচারকে বেশ ক্লামজি লেগেছে। সাধারণতঃ ডিবেটে ভালো পারফর্ম করেন। ব্লুমবার্গের পারফর্মেন্স আগের ডিবেটের থেকে বেটার হলেও, ফার ফ্রম অ্যাকসেপ্টেবল। ওয়ারেণ সহ বাকীরা আবারও ধুয়েছেন উনাকে। আমি যতদূর জানি ব্লুমবার্গের নাম সাউথ ক্যারোলাইনা প্রাইমারির ব্যালটে থাকছে না।

    যা বোঝা যাচ্ছে এই প্রাইমারিতে বাইডেণ আর বার্ণীর কিছুটা লড়াই হবে। কিন্তু বাইডেনের জেতার সম্ভাবনা বেশি, কারণ মাইনরিটি ভোট। অলরেডী কিছু দারুন এন্ডর্সমেন্ট পেয়েছেন। এখানেও কোনোভাবে বার্নী জিতে গেলে প্রাইমারি মোটামুটি শেষ এবং বার্নী ক্যান্ডিডেট হচ্ছেই ধরে নেওয়াই যেতে পারে। এখানে প্রত্যাশামত বাইডেণ এক এবং বার্নী দুইয়ে এলে সুপার টিউজডেতে মোটামুটি ওয়ান টু ওয়ান হবে। কারণ বাকীরা তখন আলোচনার মধ্যেই থাকবে না। এঁদের মধ্যেও একমাত্র পীট বুডাজিজ চেস্টা করবে সাউথ ক্যারোলাইনাতে তিন নম্বরে থেকে সুপার টিউজডেতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে।
  • The Revolution Technology | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৬91152
  • In this place Bd Govt Job Circular 2020 you will find new and latest Govt Job Bd, because here we are published everyday new Government Job Circular. Government Job Bd Hello Everyone In This Categories You Will Find All Type of Government Jobs Circular, Government Bank Jobs Circular, Govt Job Scheduled, Govt Job Seat ... Govt Job In Bangladesh Bd Government Job Circular 2020: Latest Govt Job In Bangladesh, This is our main property of the job finding site in the Bangladesh. Palli Biddut Samity Job Circular here you will find latest and New Government Job Circular & Vacancies in 2020 for Male & Female both gender’s person in Bangladesh. Palli Biddut Samity Job Circular Also see the bangladesh army job circular bd 2020.

  • Ramit Chatterjee | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:২৮91155
  • একি এখানে বাংলাদেশ এর চাকরির পোর্টালের advert চলছে কেনো?
  • ভাট থেকে মতামত | 162.158.***.*** | ০১ মার্চ ২০২০ ০৮:২৯91158
  • commentS | 162.158.107.114 | ০১ মার্চ ২০২০ ০৫:৩৮432624
    সাউথ ক্যারোলাইনার ডেমোক্রুআটিক প্রাইমারি বিশাল মার্জিনে জিততে চলেছে যো বাইডেন। বার্ণী বোধয় ডিস্ট্যান্ট সেকেন্ড হবে।

    সিএনেন আলোচনা করছে। ওয়ারেণ আর এমি ক্লোবাচার যেন ক্যাম্পেইন চালিয়ে যান, নইলে ওদের হোম স্টেটে বার্ণী সহজেই জিতে যাবে। অন্যদিকে পীট বুডাজিজ আর কেনই বা ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে, ওর তো আর বেশি কিছু অ্যাচিভ করার নেই।

    বার্ণী নাকি তেমন ভালো ফল করেনি এখনও অবশি। কারণ আইওয়াতে ডেলিগেট কাউন্টে সামান্য পিছিয়ে আছে বুডাজিজের থেকে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে এমনিতেই জেতার কথা। ঐ এক নেভাডাতে বড় মার্জিনে জিতেছে। কিন্তু এদেরকে কে বোঝাবে যে এই রাজ্যগুলোতে তো বাইডেন কিছুই করতে পারেনি।

    এখন দেখাচ্ছে অ্যালাবামা, আরকানসা, নর্থ ক্যারোলাইনাতে, টেনেসিতে অনেক মাইনরিটি ভোট। এবং এগুলোতে প্রচুর ডেলিগেট রয়েছে। অতেব বাইডেন প্রাইমারি জিতবে। সমস্যা হল এই রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প জিতবেই। ফলে বাইডেন ক্যান্ডিডেট হলে আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, এবং নেভাডার মতন সুইঙ্গ স্টেটে যে ট্রাম্পের জেতার চান্স বাড়বে সেটা কি এরা বোঝে না?
  • pi | 162.158.***.*** | ০৪ মার্চ ২০২০ ২০:২২91228
  • হেঁিয়ো!
  • S | 162.158.***.*** | ০৪ মার্চ ২০২০ ২০:২৪91229
  • প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে বাইডেন অনেক ভালো ফল করলেন সুপার টিউজডেতে। বিশেষ করে দক্ষীনের রাজ্যগুলোতে বাইডেন প্রত্যাশামতন তো জিতেছেই। তার সঙ্গে বেশ কিছু রাজ্য যেমন ম্যাসাচুসেটস, মেইন, মিসেনোটা, টেক্সাস যেগুলোতে ধরা হয়েছিল যে বার্নী সহজেই জিতে যাবে, সেখানেও বাইডেন জিতে গেছেন।

    এর দুটো প্রধান কারণ রয়েছে। এক, সাউথ ক্যারোলাইনা প্রাইমারির পর মিডিয়া এবং ডেমোক্র‌্যাটিক এস্টাব্লিশমেন্ট সম্পূর্ণভাবে বাইডেনকে সমর্থন দিতে নেমে পড়ে। পীট বুডাজিজ এবং এমি ক্লোবাচার নিজেদের ক্যাম্পেইন বন্ধ করে বাইডেনকে সমর্থন দেন। টেক্সাসে জনপ্রিয় ডেমোক্র‌্যাট নেতা বেটো রৌরকেও সমর্থন দেন বাইডেনকে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে সম্প্রতি যেসব ভোট পড়েছে সেখানে বাইডেনের সমর্থন অনেক বেশি। আগে যেসব ভোট পড়েছে পোস্টাল ব্যালটে সেখানে বার্ণীর সমর্থন বেশি।

    আরেকটি কারণ ব্যালটে এলিজাবেথ ওয়ারেণের উপস্থিতি। একদিকে যেখানে মধ্যপন্থী প্রার্থীরা সড়ে গিয়ে বাইডেনের সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি ওয়ারেণ মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুজোগ না থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী থেকেছেন। যার ফলে ম্যাসাচুসেটস, মেইন, এবং টেক্সাস হাতছাড়া হয়েছে বার্ণীর।

    বাইডেণ যে ডেমোক্র‌্যাটিক মনোনয়ন পেতে চলেছে এখন সেটা সময়ের অপেক্ষা। এলিজাবেথ ওয়ারেণের রাজনৈতীক মুলধন প্রায় শেষ। যে প্রোগ্রেসিভ ভোটারদের তিনি খুব প্রিয়্পাত্রী ছিলেন, এর পর তাদেরই চক্ষুশুল হয়ে উঠবেন। আমাদের জীবনকালে এইরকম একজন সোশালিস্ট প্রার্থীকে হোয়াইট হাউসে পাঠানোর সুযোগ আর আসবেনা। সেই সুযোগ এলিজাবেথ ওয়ারেণ নিজে হাতে শেষ করেছেন। মাইকেল ব্লুমবার্গ এবং ওয়ারেণ দুজনেরই ডেলিগেট সংখ্যা অত্যন্ত কম। মাইকেল ব্লুমবার্গ একমাত্র আমেরিকান সামোয়া জিতেছেন, যেখানকার অধিবাসীরা মূল নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। ওয়ারেণ নিজের রাজ্যেও তিন নম্বরে এসেছেন।

    বাইডেন ডেমোক্র‌্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার অর্থ হল টআম্প আরো চার বছর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি থাকবেন। এবং এই নির্বাচনে বোধয় আরো বড় মার্জিনে জিতবেন। কারণ বাইডেণ যেসব রাজ্যে জিতেছেন, মূল নির্বাচনে সেগুলির বেশিরভাগেই ডেমোক্র‌্যাটরা বহুদিন জেতেনি।
  • S | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ০২:২০91232
  • একটু ডেলিগেট সংখ্যা অ্যানালিসিস করছি।

    এই মুহুর্তে সব মিলিয়ে বাইডেণ পেয়েছেন ৫৬৬ জন ডেলিগেট, বার্ণী পেয়েছেন ৫০১ জন ডেলিগেট। ব্লুমবার্গ, পীট এবং ক্লোবাচার মিলে ৫২+২৬+৭ = ৮৫। গাবার্ড পেয়েছে ২ জন ডেলিগেট। ওয়ারেণ পেয়েছেন ৬১।

    এবারে দেখা যাক সুপার টিউজডেতে হওয়া ককাস-প্রাইমারিগুলোতে যে ডেলিগেট এখনও দেওয়া হয়নি, সেগুলোর হিসাব।

    এর মধ্যে যে রাজ্যগুলোতে বাইডেন জিতেছেনঃ
    আলাবামা - বাকী ৪
    আরকানসা - ০
    মেইন - ০
    ম্যাসাচুসেটস - ৩
    মিনেসোটা - ১
    এনসি - ৭
    ওকলাহোমা - ০
    টেনেসি - ১১
    ভার্জিনিয়া - ০
    টেক্সাস - ৬৯
    অর্থাত সব মিলিয়ে ৯৫।

    যে রাজ্যগুলোতে বার্ণী জিতেছেনঃ
    কলোরাডো - ২৮
    ইউটাহ - ১৭
    ভার্মন্ট - ০
    ক্যালিফোর্নিয়া - ১৪৪
    মোট ১৮৫।

    সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে টেক্সাস আর ক্যালিফোর্নিয়া ডিসাইড করবে ডেলিগেট সংখ্যা।

    টেক্সাসে ৯৯% রিপোর্টিংএর পর বাইডেনের লীড সাড়ে ৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে। ক্যালিফোর্নিয়াতে ৯০% রিপোর্টিংএর পর বার্ণীর লীড সাড়ে ৮ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে।
  • Ishan | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৩৩91233
  • ঠিকই। তবে টেক্সাস মোটামুটি সমান ভাবে ভাগ হবে।

    বাকি মোটামুটি ৩০ টায় বাইডেন-বার্নি৬০-৪০।

    আর ১৮০ টায় বার্নি-বাইডেন ৬০-৪০। 

    খুবই আন্দাজে মারা বাজে হিসেব হল। কিন্তু কথা হল বাইডেনের লিড থাকলেও নমিনাল হবে। নাও থাকতে পারে।

    কিন্তু সমস্যা তো সেটা নয়। সমস্যা হল বাইডেন একটা হাওয়া তুলে দিয়েছে সেন্ট্রিস্ট কনসারভিটিভদের মধ্যে। "এই লোকটাই বার্নির সোশালিজমের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।" এটাকে বার্নির বিখ্যাত মুভমেন্টের পাল্টা বলা যায়। যে করেই হোক, এটা করে ফেলেছে। হাওয়াটা চললে এই সংখ্যায় আর কিছু এসে যায়না। বাইডেন জিতবেই। সেটা আটকাতে গেলে  পাল্টা হাওয়া লাগবে।

  • o | 173.245.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৪০91234
  • একমত, কিন্তু তার মানে বার্নির নিজের কোন হাওয়া নেই বলছেন? বার্নি তো আজকে হঠাৎ সোশালিজমের কথা বলছে না।
  • lcm | 172.68.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৩91235
  • টার্গেট বলছে - ১৯৯১ জন ডেলিগেট - নমিনেশন পেতে
  • Ishan | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৫৫91236
  • বার্নি হাওয়া আছে তো। গত চার বছর ধরে তৈরি। এখনও প্রতিটা পোলে বেশিরভাগ লোক মেডিকেয়ার-ফর-অল, অর্থনীতির খেলনলচে বদলে ফেলার কথা বলছে। এ তো এমনি এমনি হয়না। কিন্তু তার পরেও তারা বাইডেনকে ভোট দিচ্ছে। আমেরিকার ভোট তো আসলে রিয়েলিটি শো। মূহুর্তের খেলা। শেষ মুহূর্তের স্পেকটাকলে বার্নি পিছিয়ে। এছাড়াও একদিকে ইউনিটির দৃশ্য-শ্রাব্য বাণী অন্য দিকে বার্নি-ওয়ারেন বিভাজন --  এটা তো খুবই প্রকট। সব মিলিয়ে হয়েছে। একটা পাল্টা স্পেকটাকল তৈরি করতে পারলেই হয়তো এটা ঘোরানো যায়। কিন্তু সে কি হবে?

  • o | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:০৮91237
  • ওয়ারেন বার্নিকে সাপোর্ট দিলে (সম্ভাবনা প্রায় নেই) হয়ত হতে পারে।
  • pi | 162.158.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:২৮91238
  • ভাট থেকে কিছু পোস্ট রইল। হানুদাকে প্রশ্ন ছিল, পপুলার ভোটে বার্নি অনেক পিছিয়ে কেন?

    -----
    o | 173.245.52.116 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:২২433389
    আমার মনে হয় আমেরিকার পলিটিক্যাল সিস্টেমটা এত বেশি করাপ্ট হয়ে গেছে যে আউট অ্যান্ড আউট মুভমেন্ট ছাড়া কিছু পালটানো মুশকিল আছে। এই যে ট্রাম্প ফেনোমেনা, এ তো এস্টাবলিশমেন্টের ওপর ফেড আপ হয়ে গিয়েই একটা কনম্যানকে ভোট দেওয়া। এই যে সিএনএন এমএসেনবিসি, কে এদের বিশ্বাস করবে? ডেমরা কিছুদিন আগে নিজেদের সততার মূর্ত প্রতীক হিসেবে পুজো করছিল, সব ফালতু। বেসিক্যালি গোটা স্পেকট্রামটার এত রাইটওয়ার্ড শিফট হয়েছে যে ডেমোক্রাটস আর অ্যাকচুয়ালি রাইট উইং অ্যান্ড রিপাবলিকানস আর নো লংগার অ্যা পলিটিক্যাল পার্টি। ট্রাম্পের মত কনম্যান আসবেই, কারণ ডেমরা ওয়ার্কিং ক্লাসকে কমপ্লিটলি অ্যাবান্ডন করে কিছু ন্যাকা ন্যাকা লিবারেল ভিউজ দেখিয়ে নিজেদের হোলিয়ার দ্যান দাউ ভাবছে। বার্নির মুভমেন্টটা এবার সোজাসুজি মুভমেন্ট হিসেবে চালানো দরকার, বোথ এগেন্সট ডেমক্র্যাটস অ্যান্ড রিপাবলিকান্স।
    Ishan | 162.158.74.240 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:১১433388
    আমেরিকার হিসেবে লেফট আর কি। অনেকটা ভারতের ফরোয়ার্ড ব্লকের মতো। টোটালি ঙুলভাল কিন্তু বামফ্রন্টে থাকার মতো। :-)

    খ | 162.158.158.20 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৭:১০433387
    এনডোর্সমেন্ট দিয়ে ই জিতিয়ে দিল, পেলোসি , ওবামা খুব ই পাওয়ার ফুল। যত কুচুটে কাঠি তে পাওয়ার, বাইরে ভোট জেতাতে পারে না , বাইডেন স্যান্ডারস ডেলিগেট গ্যাপ কম, কিন্তু পপুলার ভোটে বার্নি অনেক পিছিয়ে, অতএব ভাইবেন আরামে ক্যান্ডিডট হবে, নিউ ইয়র্ক, মিশিগান , পেনসিলভানিয়া কি বাঁচাতে পারবে, মনে হয় না। তার পরে দাদূর ভাট আর পয়সাখোর ছেলেকে আবাজ দিয়ে হাসতে হাসতে ট্রাম্প জিতবে। বার্নি এলেও ট্রাম্প জিততেই পারত, তবে বিবেক টা শারপেনড হত। ওর সাদা জবলেস রা হয়তো কিছু টা ঘুরত।
    খ | 162.158.159.9 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৫২433386
    বার্নি ছাড়া লেফ্ট কোথায় রে ডিভাইড হবে। ওয়ারেন তো ভুলভাল।
    Ishan | 162.158.74.98 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৫433385
    সিএনেন একটি জিনিস। সুপার টুইসডের ঠিক আগের রাতে টেক্সাসে এসে এমি-বেটো-বুটি একসঙ্গে "বাইডেনই পার্টির মুখ, বাইডেনই পার্টিকে বাঁচাতে পারে" গোছের উলুতপুলুত স্টেটমৈন্ট দিল জনসভায়। খুবই ওয়েল অর্কেস্ট্রেটেড ব্যাপার। সিএনএন এবং যাবতীয় মেনস্ট্রিম মিডিয়া প্রাইম টাইমে চার ঘন্টা ধরে সেটা দেখিয়ে চলল। এরপর আর বাইডেনের অ্যাড লাগবে কীসে। তারপর গ্রাউন্ডগেমটা সামলাল এস্টাবলিশমেন্ট। হাওয়া উঠে গেল পার্টিকে বাঁচাতে হবে। টেলিপ্রম্পটার নিয়ে বাইডেন স্পিচ দিয়ে ফেললেন। সেটাও নিখঁুত লাইনে লেখা।

    কিন্তু ওই আর কি, লেফটদের তো বোঝা উচিতই ছিল এরকম হবে। তারা ডিভাইডেড। ঠিকই আছে।

    খ | 162.158.158.20 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৬:২৪433384
    ওরে আমার সন্টু মন্টু সি এন এন।
    https://edition.cnn.com/2020/03/04/politics/michael-bloomberg-2020-campaign-failure/index.হত্ম্য
    আজ তাদের বিলিয়নিয়ার রা না জেতা কেন ভালো মনে পড়েছে।
    *বাইডেন এর ক্রিমিনাল জাস্টিস সংক্রান্ত কোন ক্রেডিবিলিটি নেই , এবং মোটামুটি লিখে দেওয়া যায় লিপ সার্ভিস আর দু চারিটি কো-অপশন ছাড়া কালো রা ঘেঁচুপোড়া পাবে, ইংরেজি তে। হাউজিং, হায়ার এডুকেশন এও ঝাড় খাবে। সিভিল রাইটস মুভমেন্ট এর লিগাসি এতটাই ক্লিন্টন দের সময় থেকে এসটাবলিশমেন্ট এ বুকে গেছে , ব্ল্যাক লাইভস আর আকাডেমিক রাত ছাড়া প্রোগ্রেসিভ নেতা নাই ।

    এ বিষয়ে ডিটেলে আছে বেনীমাধব শীল এর হাফ আলাবামা তে।
    গ | 162.158.227.69 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৫433383
    হার্শ মান্দার দের দেওয়া যায় বোধহয়।গ
    গ | 162.158.227.55 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৪433382
    দিল্লি তে রিসেন্ট হত্যালীলা র পরে , আর আসাম এ এন আর সি র ট্রেকার ভিকটিম দের সাপোর্ট এ কোন রিলায়েবল অর্গে চাঁদা দেওয়া যায় কেউ জানাবেন।

    S | 108.162.246.52 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৩:২৯433379
    সরি ওটা আকাদার ২১ঃ৪৬ এর পোস্টের প্রেক্ষিতে।
    S | 108.162.246.52 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৩:২৫433378
    লসাগুদার কথাটা অনেকাংশে ঠিক। কালোদের মধ্যেও বাইডেনের সমর্থনের এইটাই কারণ। তাদের কাছে হেল্থকেয়ার, ফ্রি কলেজ, মিনিমাম ওয়েজ সেকেন্ডারি ইস্যু। প্রাথমিক চিন্তা হল আমার বাড়ির ছেলেটাকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যেন শুধুমাত্র কালো হওয়ার অপরাধে গুলি খেতে না হয়। অ্যাফ্রিকান আমেরিকানরা মনে করছেন যে বাইডেন এলে অন্তত এইটা কমবে।

    o | 173.245.52.68 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৩:১৮433375
    ইউ এস ইলেকশনে টাকা হচ্ছে আসল জিনিস। চমস্কি একটা গল্প বলেন। উনিশ শতকের বিখ্যাত ক্যাম্পেন অর্গানাইজার মার্ক হ্যানাকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সফল ক্যাম্পেনের জন্য কী কী জিনিস সবচেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ? তিনি বলেছিলেনঃ "There are two things. The first one is money, and I’ve forgotten what the second was." তো চমস্কির মতে ১৮৯৫ থেকে আজ পর্যন্ত অবস্থা বদলায় নি। কিন্তু বার্নি একমাত্র ব্যতিক্রম। এই ইলেকশনে আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার হাতে বিগ মানি থাকাটা কিছুটা নেগেটিভ ব্যাপার হয়ে গেছে, থ্যাঙ্কস টু বার্নি।

    S | 162.158.107.190 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০৩:০৪433367
    অন্যদিকে মনে করুন ট্রাম্প সেইসব প্রমিস দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ড্রেনিং দ্য সোয়াম্প। উনার ক্যাবিনেট ইজ ফুল অব সোয়াম্প অ্যানিমালস। সব বিশাল বড় কোম্পানির মালিক, সিইও, ব্যান্কার, ফান্ড ম্যানেজার। প্রচুর ডিরেগুলেশান করছে আর বিশাল ট্যাক্স কমিয়েছে বড়লোক আর কোম্পানিদের। এগুলো একদম রিপাব্লিকানদের পেট প্রজেক্ট।

    এখন এগুলো ডিফেন্ড করতে গিয়ে ডীপ স্টেটের গল্প ফাঁদতে হয়। যে একদল খুব শক্তিশালী লোকজন অন্ধকার ঘরে বসে সব কলকাঠি নাড়ছে।
    S | 108.162.246.244 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০২:৫৭433366
    আমেরিকাতে কিছুই সূক্ষ নয়। ক্যাম্পেইন ডোনেশান, সুপার প্যাক, কোখ ব্রাদার্স, লবিয়িস্ট এরা সবাই খোলাখুলি পয়সা দেয়, এন্ডর্স করে, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স করে। আমেরিকাতে মনে করুন ব্যান্কিং পলিসি বানায় ব্যান্কার বা প্রাক্তন ব্যান্কাররা। ফার্মা পলিসি বানানোর সময় সেই ইন্ডাস্ট্রি এবং তাদের লবিয়িস্টদের কথা শুনতে হয়। এইসব খুব খোলাখুলিই হয়। কিন্তু কেউ সেই নিয়ে কথাও বলেনা, আলোচনাও করেনা। একমাত্র বার্ণী করছিলেন। সেটা বন্ধ করে দেওয়ার চেস্টা চলছে।
    o | 162.158.62.82 | ০৫ মার্চ ২০২০ ০২:৪৮433365
    এই এক মুশকিল। ডীপ স্টেটের ওপর ফোকাস করে বসে রইলেন। ওদিকে বার্নি এলে বড় বড় কোম্পানীর ওপর ট্যাক্স চাপাবে বলে তারা ডেমদের চাপ দিয়ে বার্নিকে কাটিয়ে দিল, এই গোদা জিনিসটা চোখ এড়িয়ে গেল। সত্যকে সবসময় সূক্ষ হতে হবে এমন কোন কথা নাই, বেশকিছু গোদা গোদা সত্য চারপাশে লুটোপুটি খাচ্ছে। :-)
  • S | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১০:২১91240
  • এই লেখাটা থাক।
    There was no brilliant shift in strategy that lifted Biden's campaign from near-death before South Carolina to victory there and then to resurgence on Super Tuesday. Instead, he was thrust back into front-runner contention by a series of weighty endorsements, ......

    https://www.cnn.com/2020/03/04/politics/2020-vs-2016-democrats/index.html
  • o | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১০:৩৬91241
  • S | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১১:০৭91242
  • নেক্সট স্টপে ওয়াশিংটন আর মিশিগান রয়েছে। মিশিগানে বার্ণীকে হারানোর জন্য সবাই একসঙ্গে হয়েছে। মিডিয়া বাইট দিচ্ছে যে আমেরিকার লোকে রিভোলিউশানের জন্য প্রস্তুত নয়, তারা চায় calm ইত্যাদি, তাই বাইডেন ভোট পাচ্ছে। নভেম্বার মাসে দেখবো এইসব পন্ডিতরা কি বলে।
  • o | 108.162.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১১:১৯91243
  • S | 162.158.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১১:২৯91244
  • নভেম্বরে ইলেকশান না হারা অবধি এরা থামবে না।
  • pi | 172.69.***.*** | ০৫ মার্চ ২০২০ ১৩:২০91245
  • আসল যুদ্ধ তারমানে বার্নি বনাম ওবামা ? :)
  • Du | 172.69.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২০ ০০:৫৭91258
  • অলরেডি নভেম্বরে হারের জন্য বার্নি ও তার সমর্থকদের দায়ী করে অপ এড নামানো হয়ে গেছে
  • S | 162.158.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২০ ০০:৫৯91259
  • S | 162.158.***.*** | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৪:১৫91268
  • বাইডেণ এবং ট্রাম্প দুজনেরই সোশাল সিকিউরিটির ব্যাপারে রেকর্ড খারাপ। ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে সোশাল সিকিউরিটির রদবদল হবে বলে মনে হয়।
  • S | 162.158.***.*** | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৪:১৯91269
  • S | 162.158.***.*** | ১৪ মে ২০২০ ১২:৩১93308
  • ২০২০র ইলেকশনের কিছু সম্ভাবনার একটু বিশ্লেষণ প্রয়োজনঃ

    সিনারিও ১) ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি + ডেম হাউস + জিওপি সেনেটঃ

    এইটার সম্ভাবনাই সর্বাধিক। ট্রাম্পের বেস পুরোপুরি অক্ষত আছে দেখাই যাচ্ছে। সুইঙ্গ স্টেটগুলোতে জিওপিরা দলে দলে ট্রাম্পকে ভোট দেবেই, কেউ কেউ ব্যক্তিগত পছন্দের বিরুদ্ধে গিয়েও। বাইডেণ খুবই দুর্বল ক্যান্ডিডেট - লেজিস্লেটিভ ভোটিং রেকর্ড খুবই খারাপ। তার উপরে এই কোরোনা এসে ভোটিং প্যাটার্ণ পাল্টাবে। প্রচুর মাইনরিটি ভোটার সাপ্রেশান হবে, সেটা বলাই বাহুল্য।

    এর ফলাফল খুবই খারাপ হবে - শর্ট টার্মে মাইনরিটিদের আর লঙ্গ টার্মে পুরো আমেরিকার। অ্যান্টাই ইমিগ্র‌্যান্ট পলিসি-রেটোরিক বাড়বেই। আমেরিকাতে রেসিজম আবার লেজিটেমেসি পাবে। সুপ্রীম কোর্টে ট্রাম্পের আরো লোক বসবে। ফলে ডেমোক্র‌্যাসিকে সম্পূর্ন ভাবে আন্ডারমাইন করে ট্রাম্প প্রায় ডিক্টেটশিপ চালাবে। জিওপি ট্যাক্স কাট নিয়ে চুপ করে যাবে। যারা চুপ করে থাকতে পারবে না, তারা পার্টি ছেড়ে দেবে। শুধুমাত্র হাউস দিয়ে ডেমদের পক্ষে ট্রাম্পকে সামলানো প্রায় অসম্ভব। সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে ট্রাম্প বহু আজে বাজে ক্ষতিকারক একজিকিউটিভ অর্ডার আনবে।

    সিনারিও ২) ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি + ডেম হাউস ও সেনেটঃ

    এটার সম্ভাবনা খুবই কম। ডেমদের পক্ষে সেনেট জেতা প্রায় অসম্ভব। আমার হিসাবে মোস্ট লাইকলি ৪৮-৫২ বা খুব ভালো ফল হলে ৪৯-৫১ হবে। একটা আউটসাইড চান্স আছে বটে ৫০-৫০ হওয়ার, কিন্তু সেক্ষেত্রেও পেন্স প্রতিবার টাই ব্রেক করবে জিওপির পক্ষেই। জিওপিতে যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারোর নেই, সেটা দেখতেই পাচ্ছি।

    তবু কোনও যাদুবলে সেনেট ডেমদের হাতে এলে ট্রাম্পকে কিছুটা হলেও থামানো যাবে। সেক্ষেত্রে আবারও প্রচুর সংবিধান বিরোধী এগজিকিউটিভ অর্ডার এনে দেশ চালানোর চেষ্টা করবে ট্রাম্প। ডেমরা যে এক ইন্চিও ছেড়ে দেবেনা, সেটা বলাই বাহুল্য। প্রচুর গন্ডগোল হবে, ক্যাপিটলে এবং বাইরে।

    এমনিতেও প্রেসিডেন্সি আবার জিতলে ট্রাম্প দুটো দাবী করবেই। ১) কোনও বিরোধীতা করা চলবে না (এই মর্মে প্রচুর পলিসিও নেবে)। ২) আর ইলেকশান করার দরকারই নেই।

    সিনারিও ২) ট্রাম্প প্রেসিডেন্সি + জিওপি হাউস ও সেনেটঃ

    এটার সম্ভাবনাও খুবই কম। তবু তর্কের খাতিরে ধরে নিলেও খুবই ভয়ন্কর দিন দেখতে হবে। বড়লোক আর কর্পোরেশনরা ট্যাক্স কাট পাবে, সোশাল বেনিফিট প্রচুর কমবে, রেসিস্ট রেটোরিক বাড়বে, এনভায়রণমেন্টের সর্বনাশ হবে, জনগণের মধ্যে ডিভিশান বাড়বে, এক আধটা ছোটো বড় রিসেশান আসবে, আর সেইসব সামাল দিতে যুদ্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে।

    ডেমোক্র‌্যাসিকে আন্ডারমাইন করা হবে, ভোটার সাপ্রেশান বাড়বে, সুপ্রীম কোর্ট আগামী কয়েক দশকের জন্য ডানদিকে চলে যাবে, প্রায় সব এজেন্সিতে আজে বাজে লোক বসবে। ট্রাম্পের আর এগজিকিউটিভ অর্ডারেরও তেমন প্রয়োজন পড়বেনা।
  • S | 162.158.***.*** | ১৪ মে ২০২০ ১২:৪৭93310
  • সিনারিও ৪) বাইডেণ + ডেম হাউস + জিওপি সেনেটঃ

    এটার সম্ভাবনা একটা আছে বটে। মাইনরিটি ভোটার টার্ণাউট বাড়লে আর ট্রাম্প বিরোধী জিওপি টার্ণাউট কমলে (সুইঙ্গ স্টেটগুলোতে) এটার সম্ভাবনা বাড়বে। সাথে ভাইরাস হ্যান্ড্লিং এবং সেকেন্ড ওয়েভ কোনদিকে ঝোল টানবে কেউ জানেনা।

    এই ফলে ক্যাপিটল আবার নর্মালসিতে ফিরে আসতে পারে। অন্তত দুবছরের জন্য সেনেট জিওপিরা একটু সমঝে চলবে। সেই সুযোগে একজন মডারেটকে সুপ্রীম কোর্টে বসানো যেতে পারে। তেমন কোনও র‌্যাডিকাল পলিসি চেন্জ হবে না - কোনওদিকেই না। তবে রেটোরিক কমবে, ইত্যাদি। বিদেশেও সফ্ট পাওয়ারগুলো কিছুটা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করবে আমেরিকা।

    সিনারিও ৫) বাইডেণ + ডেম হাউস আর সেনেটঃ

    এটার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণটা হিসাবসহ আগেই লিখেছি। তবে এটা হলে ডেমরাও তাদের পেট প্রজেক্টগুলো আবার মাঠে নামাবে। ওবামাকেয়ার বেঁচে যাবে। ইপিএ আর এস-ই-সি প্রচন্ড পাওয়ারফুল হয়ে উঠবে। হয়ত স্টুডেন্ট লোনের ক্ষেত্রেও কিছু ব্যবস্থা হবে। সুপ্রিম কোর্টে গরসীচ, ক্যাভানারের মতন লোক আর যাবেনা। রেটোরিক ইত্যাদি কমবে।

    সিনারিও ৬) বাইডেণ + জিওপি হাউস আর সেনেটঃ

    এটা প্রায় অসম্ভব। তবু তর্কের খাতিরে এটা হলে ওবামার প্রেসিডেন্সির শেষ দুই বছরের মতন হবে। কোনও কাজ হবেনা। সুপ্রীম কোর্ট নিয়ে কি হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। রেটোরিক-পাল্টা রেটোরিক চলবে। ফরেন পলিসিতে একটু নর্মালসি আসবে।

    অন্য সম্ভাবনাগুলো বাদই দিচ্ছি।
  • S | 162.158.***.*** | ১৪ মে ২০২০ ১২:৫৯93312
  • কিন্তু একটা ব্যাপার এখানে ইগনোর করা ঠিক হবেনা। সেটা লেখা প্রয়োজন।

    ট্রাম্প হারার ফলাফল। ট্রাম্প সারা দেশ জুড়ে বলে বেড়াবে যে সবাই মিলে তাকে হারিয়েছে। সেখানে ক্লিন্টন + ওবামা + মিডিয়া + ডেম + ডীপ স্টেটকে দায়ী করবে। কিছু অন্য দেশেরও নাম নেবে (মোস্ট প্রোবাবলি চীন, ইরাণ)। এবং সেসব দাবী দাওয়া যে খুবই অসঙ্গত এবং মিথ্যা হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। যে লোক ইলেকশান জিতে বলেছিল যে কারচুপি হয়েছে, সে যে হারলে কি ধরনের মিথ্যা কথা বলবে সে ভাবাও যাচ্ছে না।

    আর এইসব মিথ্যাকে সত্যি বানানোর দায়িত্ব নেবে ফক্স নিউজ আর ব্রাইটবার্টরা। ট্রাম্প একটা মিথ্যা বলবে, যার কোনও প্রমাণ নেই। সেটা শুনে ফক্স নিউজ আর ব্রাইটবার্ট (এবং বাকী দুষ্কৃতীরা) খবর ছাপবে। সেই খবরকেই ট্রাম্প আবার এভিডেন্স হিসাবে দেখাবে।

    ট্রাম্পের বেস যে ট্রাম্পকে যীশু খ্রিষ্টেরও বাবা মনে করে সেটা দেখতেই পারছি। যীশু নিজে এসে যদি ট্রাম্পের সমালোচনা করেন, তাহলে ট্রাম্পের বেস নিজেরাই তাঁর ক্রুসিফিক্সানের ব্যবস্থা করবে।

    এই অবস্থায় ট্রাম্প হারলে দেশে প্রচুর গন্ডগোল বাঁধার একটা চান্স থেকেই যাচ্ছে। এগজ্যাক্টলি কি কি হবে, সেসব আন্দাজ করা খুব কঠিন কিছুই নয়, কিন্তু লেখা অপ্রয়োজনীয়।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::a22:***:*** | ১৭ জুন ২০২০ ০৭:২০94379
  • ১২ পয়েন্ট লীড তো কম নয়। সব স্ট্যাটিস্টিকাল এরর আর বায়াসের পরেও অ্যাক্চুয়াল লীড বেশ বড় হওয়ার কথা। কিন্তু এই ধরনের পোল নিয়ে সমস্যা অনেক।

    ১) রেসপন্স বায়াস থাকবেই। একজন ট্রাম্প ভোটার অনেক ক্ষেত্রেই নিজেকে সহজে রেকগনাইজড হতে দেয়্না। তাহলে সামনের জন তাকে রেসিস্ট ভাববে, সেই চিন্তাভাবনা থেকে।
    ২) তাছাড়া এখন আবহাওয়া গরম। অনেকেই নিজেকে ট্রাম্পের থেকে (মানে হোয়াইট সুপ্রেমেসী) আপাতত দুরে রাখছে। সময়মতন ট্রাম্পকেই ভোট দেবে।
    ৩) ইলেকশান এখনও ৫ মাস দেরী। এর মধ্যে কোরোনা আর রেস রিলেশান নিয়ে ট্রাম্পের ছড়ানো অনেকেই ভুলে যাবে। কারণ অনেকের কাছে আমেরিকাকে হোয়াইট মেনদের কান্ট্রি রাখার তাগিদ আছে।
    ৪) বাইডেন খুবই দূর্বল ক্যান্ডিডেট। ১৯৭৩ থেকে আমেরিকার সেনেটে আছে। ফলে প্রচুর সেনসিটিভ ইস্যুতে ভুল দিকে ভোট দিয়েছে। ট্রাম্পের সেসব ব্যাগেজ নেই।

    নভেম্বরে কি হবে, সেটা আন্দাজ করা মুশকিল। কিন্তু একটা ব্যাপার শিওর।

    এবারে আমেরিকার ইলেকশানে আনপ্রেসিডেন্টেড কোরাপশান হবে। হবেই। অলরেডি জর্জিয়াতে প্রাইমারি ইলেকশানে হয়েছে। প্রাইমারিলি ডেম বুথে লোকে চার ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে গেছে। মেশিন কাজ করছে না, পেপার ব্যালট নেই, এনাফ স্টাফ নেই। অথ্চ রিপাব্লিকান অধুষ্যিত এলাকার বুথ পুরো ফাঁকা। রেজা আসলানের এই টুইটটা দেখুন।

    https://twitter.com/rezaaslan/status/1270461849633353729

    এছাড়া আগেরবারও হয়েছিল, এবারেও হবে যে ইলেকশানের ঠিক আগে প্রচুর কালো লোকদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে পার্জ হয়ে যাবে। মানে আপনি ১ মাস আগে চেক করেছেন, আপনার নাম আছে। ভোট দিতে গিয়ে দেখবেন যে নেই। তাছাড়া প্রচুর মাইনরিটিদের ক্ষেত্রে কোন বুথে ভোট দিতে হবে, সেটাই ঠিক থাকেনা। তারা একের পর এক বুথে চেক করে অসফল হয়ে ফিরে গেছে।

    সর্বোপরি জিওপি এবারে ৫০,০০০ ক্যাডার নামাচ্ছে। এদের কাজ হবে বিভিন্ন মাইনরিটি অন্চলে গিয়ে লোকদের ভয় দেখানো।

    ট্রাম্প নিজেই বলেছে Republicans would ‘never’ be elected again if it was easier to vote

    https://www.theguardian.com/us-news/2020/mar/30/trump-republican-party-voting-reform-coronavirus
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৭ জুন ২০২০ ০৮:২২94380
  • অ্যামেজিং. এতো প্রায় থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি গুলোর ভোট স্ট্রাটেজি কপি করছে.
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন