l লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ... ...
বিগত চার দশকের রাজনৈতিক স্লোগান ও দেওয়াললিখন ... ...
বর্তমান রাজনীতি ... ...
আবার কি একটা প্যানডেমিক দরকার এই অলক্ষুণেদের মনে করাতে – যে রক্তের গ্রুপ হয়, ধর্ম না? অক্সিজেনের রঙ নেই, ঝান্ডার আছে? প্রিয়জনের মৃত্যুর সময়ে তার পাশে না থাকতে পারার চেয়ে বড় যন্ত্রণা কিছুতে নেই—সে তার রাজনৈতিক আদর্শ যা-ই হোক না কেন? যে সমস্ত ভয়, আত্মবিশ্বাসের অভাব, অসূয়া, অসহিষ্ণুতা আমাদের 'পৃথক' করে, আসলে তা বিশ্বব্যাপী? সেসবই আমাদের 'মানুষ' বানায়? ... ...
বিগত চার দশকের রাজনৈতিক স্লোগান ও দেওয়াল-লিখন ... ...
সদ্য পরাজিত বাম বিধায়কের দলের প্রতি সমালোচনা সবটাই কি যথার্থ? ... ...
নেতি, একটি অবস্থান। যা দার্শনিকও বটে। কখনও কখনও তা অতি জরুরি অবস্থান, ও রাজনৈতিক ভাবে যথাযথ। কেবলমাত্র বিরোধিতার মধ্যে সুপ্ত থাকে অসংখ্য ইতিবাচক সম্ভাবনার ইঙ্গিত। সেই সম্ভাবনাগুলিকে ছুঁয়ে থাকার জন্য রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। অতিক্রম করতে হয় ক্ষুদ্রতর প্রেক্ষিতের সীমানা। ... ...
সাম্প্রতিক রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে বামশক্তির পরাজয় ... ...
ভোটের বাদ্যির চোটে তার দ্বিরাগমনের পদধ্বনি কানে আসেনি। তাই পণ্ডিত মশাই যখন নিদ্রামগ্ন, ঠিক এই সময়েই পাগলা দাশু চিনে পটকায় আগুন দিয়ে ফেললো, একটু আনন্দের জন্য। সহপাঠীদের বিন্দু মাত্র বিশ্বাস নেই কিন্তু তাদের টাইট দিতে হবে তাকে...তারপর? ... ...
খুব রোমহর্ষক দিনকাল চারপাশে। বনগাঁ লোকালে সিট পাবো তাই ডিটেনশন ক্যাম্প চাইছি, ‘মেয়েদের স্বাধীনতা এনে দেবো’ এই বলে তাদের প্রেমিকদের ক্যালাচ্ছি, মন্দিরের লুঙ্গি তুলে দেখছি আগে বানানো কোনো মসজিদ নিচে ছিল কিনা আর মসজিদের কাছা খুলে ভাইসি-ভার্সা, জাঙিয়ার ভেতরেও ট্যাগলাইন দিচ্ছি ‘হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর দাবিতে গোরুমারা চলুন’, লোককে বলছি গোরুর মুত খান এদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে নিজের বিমানে চড়ে যাচ্ছি ক্যালিফোর্নিয়া অবশ্য বিমানের নাম দিয়েছি ‘পুষ্পক’ কিন্তু ভেতরে ঢুকে কুলকুচি করছি ব্ল্যু লেবলে। এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়। সব সত্যি! ... ...
মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগদান করলেন। মিঠুন-ভক্ত হওয়ায় বেশ দুঃখই হলো। আমার কাছে মিঠুন ডিস্কো ড্যান্সারের মিঠুন, “মৃগয়া”র নয়। ভেবেছিলাম মিঠুন চক্রবর্তীর "ফিল্ড নোটস" লাগে না। ভুল ভেবেছিলাম। ... ...
হিন্দু এবং মুসলিম দুই মৌলবাদই সমান ভয়ানক, কেউ কারও থেকে কম ভয়ানক নয়। একদিকে যেমন ১৯০০ শতকের প্রথম দুই দশকে যেমন ভারতে দুই মৌলবাদী শক্তি প্রায় এক সাথেই জন্ম নেয়, এক সাথেই শক্তিশালী হয়, তেমনি ২০১২ সালের পর থেকে সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে একই সাথে বিজেপি এবং এম.আই.এম এক শক্তিশালী হয়। বিগত ৫-৬ বছরে ভারতের মাটিতে হিন্দু মৌলবাদের হামলাতে গৌরি লঙ্কেশ, পানসারে, ধাবলকর, কাল্বুর্গিরা মারা গেছে, কিন্তু কোনো মুসলিম মৌলবাদী নেতাকে মারা যেতে দেখবেন না। তেমনি বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের আক্রমণে হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মেরই চিন্তাশীল সহিষ্ণু ব্লগাররা মারা যেতে পারে কিন্তু কখনো দেখবেন না কোনো হিন্দু মৌলবাদী মারা যাচ্ছেন। দুই মৌলবাদের মধ্যে তাৎক্ষনিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মৌলবাদ বেশী ভয়ানক কারণ এদের শক্তিবেশী, এদের কামড়ে জোর বেশী। কিন্তু দীর্ঘ কালীন ভাবে দুজনেই সমান শক্তিশালী। কারণ আসলে দুই বিপরীত ধর্মী মৌলবাদ পরস্পরের পৃষ্ঠপোষক। ... ...
সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল- এই সবকিছুর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি মানুষ হিসাবে এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি হয় না। বাংলায় কংগ্রেস আমলের কথা ছেড়েই দেওয়া যাক। কেন্দ্রেও ইউপিএ সরকার থাকাকালীন এমন বহু কাজ হয়েছে যা সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলায় বাম আমলে বহু নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। মরিচঝাঁপি, বানতলা সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে গণআন্দোলনে শুধু গুলি চালনা নয়; "শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান"-র যে মডেল সিপিএম সমর্থকরা এখনও দিয়ে থাকেন; তার সঙ্গেও বিন্দুমাত্র একমত নই। তৃণমূল সরকারের আমলেও লাগামছাড়া দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গণআন্দোলনের কর্মীদের ওপরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে। তাই এদের কারও হয়েই ভোট চাওয়ার প্রবৃত্তি নেই। কিন্তু বিজেপিকে ভোটের ময়দানে আটকানোর প্রবৃত্তি আছে। কারণ যাই হয়ে যাক না কেন; সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল- এরা কেউ ফ্যাসিস্ট নয়। ... ...