
সেনাপতিদের মৃত্যুতে দুই অসুর ভাই শুম্ভ ও নিশুম্ভ ভয়ানক রাগে জ্বলে উঠল, তারা ঠিক করল এবার নিজেরাই যাবে দেবীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে। প্রথমে এল নিশুম্ভ...দুই ভাই কিন্তু একসঙ্গে এল না - কেন কে জানে? হয়তো জানে পুরাণকার এবং অসুর ভ্রাতৃদ্বয়। সে যাই হোক দুই ভাই কি পারল, দেবীকে পরাস্ত করতে? ... ...

দেবীর কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভের দূতের মাথা গরম হয়ে গেল। সে ফিরে গিয়ে প্রভুদের কাছে দেবীর স্পর্ধিত উত্তর নিবেদন করতেই ক্রোধে উন্মাদ হয়ে উঠল দুই অসুর ভাই। তারা একে একে তাদের মহাবীর সেনাপতিদের পাঠাল দেবীকে জোর করে ধরে আনার জন্যে - যেমন ধূম্রলোচন, চণ্ডমুণ্ড, রক্তবীজ । দেবী কি সামলাতে পেরেছিলেন এই মহাবীর অসুর সেনাপতিদের প্রবল পরাক্রম? ... ...

কিন্তু অন্যদিকে আরেক বিপদ উপস্থিত হল স্বয়ং দেবীর কাছেই! শুম্ভ-নিশুম্ভ নামে প্রবল-পরাক্রমী দুই অসুর ভাই দেবী দুর্গার কাছে দূত পাঠাল - তাদের দুজনের কোন এক ভাইকে পতিরূপে বরণ করতেই হবে আদ্যাশক্তি মহামায়াকে এবং দূতের কথায় রাজি না হলে দেবীকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে শুম্ভ ও নিশুম্ভ। দেবী এখন কী করবেন? দূতের কথায় রাজি হবেন নাকি দূতকে কড়া কথায় তাড়িয়ে দিয়ে বলবেন - তোর প্রভু মুখপোড়া ওই অসুরের বাচ্চা দুটোকে বলে দিস...আমিও "ঈশানী পাড়ার নন্দিন.."। ... ...



চলছে পিতৃপক্ষ - আগামী রবিবার মহালয়া - দেবীপক্ষের শুরু। মহালয়া মানেই ওই দিন ভোরের চণ্ডীপাঠ - সেই চণ্ডী নিয়েই শুরু হচ্ছে আজকের আলোচনা। ... ...



এই পর্বের প্রথম শ্লোকটির সবিস্তার ব্যাখ্যা রয়েছে গীতায় - গীতার পঞ্চদশ অধ্যায় পুরুষোত্তমযোগের প্রথম চারটি শ্লোকে। ... ...

সূর্যের কিরণ পবিত্র গঙ্গাজল স্পর্শ করে, আবার বদ্ধ জলাশয়ের পঙ্কিল জলও স্পর্শ করে – কিন্তু তাতে সূর্য কিরণে কোন পুণ্য বা ক্লেদ যেমন অর্শায় না, তেমনি জীবাত্মাও কোন পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হন না।] ... ...

ইন্দ্রিয়সমূহ মানুষের জ্ঞানের দ্বারস্বরূপ। কিন্তু এই দ্বার যেন শুধু বাইরের দিকেই খোলে – ভেতরের দিকে নয়। সেই কারণে সে কেবল বাইরের জগৎ-লীলা সম্পর্কে অবহিত হয় – কিন্তু অন্তরের জীবাত্মাকে দেখতে বা উপলব্ধি করতে পারে না। অতএব সে দেহকেই আত্মা বলে মনে করে এবং কামনা-বাসনায় বিভ্রান্ত হয়ে দেহেরই সেবা করে। প্রকৃতপক্ষে সে অজ্ঞান এবং জীবন-মৃত্যুর চক্রে বারবার এই মর্ত্য জগতেই ফিরে ফিরে আসে। ... ...



এখানে মৃত্যুর দেবতা যম ও নচিকেতার আলোচনার বিষয় - ব্রহ্মের স্বরূপ কেমন? ... ...

পঙ্গুর গিরি লঙ্ঘন ... ...

২২শে এপ্রিল ২৫ এর পহেলগামে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গীদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধে নিখুঁত এবং নিশ্চিত আঘাত হানার জন্যে ভারত মাত্র চোদ্দদিন সময় নিয়েছে প্রস্তুতির জন্যে। সরাসরি রণাঙ্গনে নামার আগে এই যুদ্ধ প্রস্তুতির কথাই চিন্তা করেছিলেন যুধিষ্ঠিরও। বনবাস এবং অজ্ঞাতবাসের তের বছরে ধৈর্য ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিলেন - কী ভাবে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করা যায়। সেই আলোচনাই করেছি - মহাভারতের বন পর্ব থেকে। ... ...

২২শে এপ্রিল ২৫ এর পহেলগামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারত কী পদক্ষেপ নেয়, তার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম আমরা। যতদিন গেছে - ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সামরিক শক্তির তুচ্ছতা নিয়ে বহু কথা বলা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমের প্রতিটি শাখায়। জনগণেশ বারবার বলেছে - এত অপেক্ষার কী আছে - ভারত তো নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে বিরুদ্ধ দেশকে। দীর্ঘ পনেরদিন অপেক্ষার পর ভারত সরকার দুর্দান্ত আঘাত হেনেছে। পাকিস্তানের সীমানার বাইরে থেকেই ভারত নটি জঙ্গী ঘাঁটি বিধ্বস্ত করেছে মোট একুশটি মিসাইলের আঘাতে। অর্থাৎ নিখুঁত এবং নিশ্চিত আঘাত হানার জন্যে ভারত মাত্র চোদ্দদিন সময় নিয়েছে প্রস্তুতির জন্যে। সরাসরি রণাঙ্গনে নামার আগে এই যুদ্ধ প্রস্তুতির কথাই চিন্তা করেছিলেন যুধিষ্ঠির। বনবাস এবং অজ্ঞাতবাসের তের বছরে ধৈর্য ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিলেন - কী ভাবে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করা যায়। সেই আলোচনাই করেছি - মহাভারতের ... ...

ক্ষমতালিপ্সু তথাকথিত সমাজসংস্কারকরা ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে সেই ধুরন্ধর পুরাণকারদের ট্র্যাডিশানেই আজও যে ইতিহাসের অশুদ্ধি ঘটাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী? কিন্তু তাতেও কী আর অমৃতসমান মহাভারতের অশুদ্ধি ঘটতে পারে? ... ...

যাঁরা একটু আলবোড্ডে টাইপের, যাঁরা তাঁদের মানুষটিকে প্রাণ ভরে বিশ্বাস করেন, চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন এবং স্বামীর প্রতিটি কথাই বেদবাক্য বলে মনে করেন, তাঁরা কী করবেন? ... ...

এই যুদ্ধ প্রতি মুহূর্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিবারকে এবং পূর্ব ইউরোপের অনেক বন্ধুজনকে। আমার রোমানিয়ান স্ত্রীর কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালটা গল্পে পড়া কাহিনি নয়। মাখনের জন্য দীর্ঘ লাইন। কাঠের টুল পেতে হোম ওয়ার্ক করেছে সেখানে। যে কোনো বিরোধী মতামতের মানুষকে পাড়া থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেছে নিয়মিত। অত্যন্ত গোপনে রেডিও ফ্রি ইউরোপ শুনেছে বাবার পাশে বসে। চাউসেস্কু শহর ভ্রমণে বেরুলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়েছে। সেটাই নিয়ম ছিলো। ... ...