এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • পরিকল্পনাহীন পরিকল্পনা, ব্র্যান্ড মূল্য এবং ব্যক্তিগত বিরাগ

    রোকেয়া
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৭২৭ বার পঠিত
  • গতবছরের ৮ই মার্চ। অর্জুন সিংহ ঘোষণা করলেন একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশ জুড়ে আরো আটখানি আইআইটি বানানো হবে, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ( DVBHF )-কেও আইআইটি-র "মর্যাদা' দেওয়া হবে। মানে মোট আইআইটির সংখ্যা একলাফে সাত থেকে গিয়ে দাঁড়াবে পনেরোয়। পরিকল্পনায় বলা হয়েছিলো, প্রত্যেক বছর প্রতিটি নতুন আইআইটিতে নেওয়া হবে ৫০০ জন বি. টেক. ছাত্র, ২৫০ জন এম. টেক. ছাত্র, ১০০ জন পি. এইচ. ডি. এবং ১০ জন পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপের ছাত্র। ১৯৯৪ সালে আইআইটি গুয়াহাটি তৈরীতে খরচ পড়েছিলো ১৫০০ কোটি টাকা, এবং তার ইনটেক ক্যাপাসিটি ৩০০ জন বি. টেক, কাজেই, মাথা পিছু ৫ কোটি টাকার সহজ হিসেবে নতুন আইআইটিগুলোর প্রত্যেকটির জন্য খরচ করা হবে ২৫০০-৪০০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার বাহাদুর একাদশ পরিকল্পনা খাত থেকে খরচ করবেন ৭৫০ কোটি টাকা, বাকিটা আসবে "নন-প্ল্যান এক্সপেন্ডিচার, পিরিওডিক গ্র্যান্ট, ক্যাপিটলাইজড অ্যানুয়াল অপারেটিং এক্সপেন্সেস', দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি থেকে। বলা হয়েছিলো, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চারটে, আর বাকিগুলো ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাজ শুরু করবে।

    এতো গেলো প্রতিশ্রুতির কথা। এবার নজর দেওয়া যাক যে কথা বলা হয় নি তার দিকে। প্রথমত:, টাকার হিসেবে মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি এড়ানোর কথা বাদ দিয়েও যে সবচেয়ে বড়ো গুপিটা দেওয়া হয়েছিলো, সেটা হলো, কোথাও জানানো হয় নি যে এখানে একটা ফরেন ফান্ডিং এর গল্প আছে। তখন নাকি ঠিক করা হয়েছিলো (মিডিয়ায় প্রকাশ) যে আইআইটি ভুবনেশ্বরের টাকা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া, আর আইআইটি হায়দ্রাবাদের টাকা আসবে জাপান থেকে। শেষ মুহুর্তে জাপান বেঁকে বসায় আইআইটি হায়দ্রাবাদের ভবিষ্যৎ ঝুলে গিয়েছে।

    দ্বিতীয়ত:, পরিকল্পনায় এটাও বলা হয়নি যে নতুন আইআইটিগুলোকে "মেন্টরিং'-এর নাম করে সেগুলোকে বাস্তবত: চাপিয়ে দেওয়া হবে পুরনোগুলোর ঘাড়ে। যেমন, আইআইটি ভুবনেশ্বরের প্রতিপালক হবে খড়গপুর, আইআইটি রাজস্থান চাপবে কানপুরের ওপর, পাটনা - গুয়াহাটি, পাঞ্জাব - দিল্লি আর, আইআইটি বোম্বাইকে নিতে হবে গান্ধীনগর আর ইন্দোরের দায়িত্ব! আমাদের একজন প্রফেসর, যিনি আইআইটি ভুবনেশ্বরের দেখাশোনা করার জন্য যে কমিটি করা হয়েছে, সেটার সদস্য, তিনি বলছিলেন যে এই মেন্টরিং-এর ব্যাপারটা আগে জানানো হলে কোনো আইআইটি-ই এই পরিকল্পনায় সায় দিতো না। এখন তো আর কিছুই করার নেই। উপরন্তু সুপ্রীম কোর্টের রায়ে যাবতীয় আইআইটির ডিরেক্টরের নিয়োগই অবৈধ হয়ে গ্যাছে, এখন বাঁচতে হলে গুডবুকে থাকতেই হবে!

    এইসব "আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত' ইত্যাদি আলোচনার পরে, আসুন ছোট্টো করে "আইআইটি পত্তনের ফলাফল' জেনে নিই।

    গতবছর থেকেই আইআইটি ভুবনেশ্বর, পাটনা, রাজস্থান আর হায়দ্রাবাদের ক্লাস শুরু হয়ে গোছে, মোটামুটি ১২০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী আছে এইগুলোতে। বাকিগুলো এইবছর করার কথা। ক্লাস কোথায় হচ্ছে/হবে? আইআইটি ভুবনেশ্বরের ক্লাস চলছে খড়গপুরে, আইআইটি পাটনার ক্লাস হচ্ছে "বিশ্বকর্মা গভর্নমেন্ট ইঞ্জি: কলেজ' (বলা বাহুল্য, ঐ কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে), আইআইটি রাজস্থানের ক্লাস চলছে কানপুরে, সন্ধ্যেবেলায়, আইআইটি পাটনার ছাত্ররা দিল্লিতেই ক্লাস করছে।

    আইআইটি পাটনা:- গতবছর থেকে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। ১১৪ জন ভর্তি হয়েছে। ক্লাস চলছে পাটনার একটা পলিটেকনিক কলেজে। ঐ কলেজের ইলেকট্রিক্যালের কোনো ল্যাব ছিলো না, তাই এই বছর ইলেকট্রিক্যালের কোনো ল্যাব হচ্ছে না, যদিও কথা ছিলো সেটা সেকেন্ড সেমিস্টারে তৈরী হয়ে যাবে। ক্লাস নিচ্ছেন গুয়াহাটির প্রফেসররা। ফলত:, গুয়াহাটি আর পাটনায় প্রকৃতপক্ষে অলটার্নেটিভ সপ্তাহগুলোতে ক্লাস হচ্ছে। আর, ঐ পলিটেকনিক কলেজটায় কোনো হস্টেল ছিলো না, তাই, আইআইটির ও কোনো হস্টেল নেই।

    আইআইটি রাজস্থান:- ক্লাস চলছে আইআইটি কানপুরের ক্যাম্পাসে, বিকেলে। ছাত্র-ছাত্রী ১০৬। থাকার ব্যবস্থা আইআইটি কানপুরের আন্ডার কনস্ট্রাকশন ফ্যাকাল্টি কোয়ার্টারে, কোয়ার্টার পিছু ৮-১০ জন। খাবার জলের ব্যবস্থা হয়েছে ডিসেম্বরে। তার আগে আইআইটি রাজস্থানের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ডায়েরিয়া হয়েছে ১৮ জনের, ম্যালেরিয়া ১২। আরেকটা ব্যাপার, প্রত্যেক কোয়ার্টারে বাথরুম একটাই, তাই সময়মতো ক্লাসে পৌঁছনো খুব চাপের।

    আইআইটি গান্ধীনগর:- গান্ধীনগরের একটা সরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্লাস চলছে, ভর্তি হয়েছে ১১৮ জন। হস্টেলের ব্যবস্থা নেই, কর্তৃপক্ষ বাড়ী ভাড়া নিয়ে মেসের মতো করে থাকতে বলেছেন। আইআইটি বোম্বাইয়ের কিছু প্রফেসর, স্থানীয় কিছু রিটায়ার্ড প্রফেসর ক্লাস নিচ্ছেন।

    আইআইটি ভুবনেশ্বর:- তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে ভালো অবস্থা এরই। ক্লাস চলছে আইআইটি খড়গ্‌পুরের সাথে। থাকার ব্যবস্থাও তাই। কিন্তু চাপটা অন্য। ওয়ান-সীটার রুমে দু'জন করে থাকা যে কি, সেটা না থাকলে বোঝা যায় না। রুমে দু'খানা খাট থাকলে টেবিল ঢুকবে না, প্লাগ পয়েন্ট একটাই, ল্যানের পোর্টও তাই। হলের কমন রুমে চারজনকে থাকতে হচ্ছে। সেখানে ফ্যানের ব্যবস্থা ছিলো না, অক্টোবরে টেবিল ফ্যান দিয়েছে। ল্যানের পোর্ট, চারজনের জন্য, একটা। ক্লাসের স্টেংথ হঠাৎ ৮০ থেকে ১৬০, খাওয়ার মেসে স্টাফ কমেছে, কিন্তু ছাত্র সংখ্যা ৯০০ থেকে বেড়ে ১৮০০ (এটার জন্য এক সপ্তাহ মেয়েদের হস্টেলের স্টাফরা স্ট্রাইক করেছিলো, শেষপর্যন্ত কিসে রফা হয়েছে জানিনা, কারণ অবস্থা একই আছে), সাইকেল স্ট্যান্ডে খুব বেশী হলে ৪০০ সাইকেল রাখার ব্যবস্থা আছে, সাইকেল ১৮০০। চূড়ান্ত ক্যাওস। (প্রতি সেমিস্টারে ১৬,০০০ টাকা হস্টেলে দেওয়ার পর, কোনো প্রাইভেট কলেজে যদি এই হাল হতো, এআইসিটিই ছেড়ে দিতো?) তাই আইআইটি খড়গ্‌পুরে যারা অ্যাডমিশন নিয়েছে, তারা, (এবং প্রফেসররাও) আইআইটি ভুবনেশ্বরের ছাত্র-ছাত্রীদেরই সব সমস্যার কারণ বলে মনে করেন। কাজেই ........

    সামনের বছর চাপ আরো বাড়বে, কারণ সবকটা নতুন আইআইটিতেই আরো ১২০ জন করে নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো আইআইটি ভুবনেশ্বরের কাজকর্ম চলে যাবে ভুবনেশ্বরেই একটা মেকশিফ্‌ট ক্যাম্পাসে, যেটাতে এখন আইআইটি খড়গ্‌পুরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা পড়ানো হয়। যদি ২০১০-এর মধ্যে আইআইটি ভুবনেশ্বরের নতুন ক্যাম্পাস বানানো হয়ে যায় (সেটার সম্ভাবনা কমই, কারণ সবকটা নতুন আইআইটির জন্যই রাজ্য সরকারগুলো যে জমি বেছেছিলো, ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের কমিটি সেগুলো বাতিল করে দিয়ে নতুন জায়গা দেখতে বলেছে), তাহলেও ভাবুন এই ব্যাচটার কথা, যাদের প্রথম তিনটে বছর ক্লাস করতে হবে তিনটে ক্যাম্পাসে, দুটো রাজ্যে! যদি নতুন ক্যাম্পাস বানানো না হয়, তবে তো কথাই নেই, ৪৫,০০০ বর্গফুটের এক্সটেনশন ক্যাম্পাস থেকেই চলবে ব্র্যান্ড আইআইটির কারখানা। জায়গার হিসেবটা এইজন্যই বললাম, যে ঐ কমিটির বক্তব্য অনুসারে যেকোনো আইআইটির জন্য ৬০০-৭০০ একর জায়গা থাকা উচিত, আর, গুগ্‌ল বলছে এক একর মানে ৪৩,৫৬০ বর্গফুট! বাকি আইআইটিগুলোর কথা জানি না, তবে সেগুলো যে এর থেকে ভালো কিছু হবে, সে বিশ্বাস করতে পারিনা। এখানে আরেকটা কথা বলা যায়, ২০০৭-এই আইআইটি খড়গ্‌পুরের তরফ থেকে কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রস্তাব গিয়েছিলো এক্সটেনশন ক্যাম্পাসের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য, সেটা নাকচ করা হয়েছিলো টাকা না থাকার কারণে, আর এখন সেটাই মান বাঁচাচ্ছে!

    লেখাটার কথা যখন প্রথম ভেবেছিলাম, তখন মনে হয়েছিলো যে অসুবিধা হচ্ছে বলেই বুঝি আমাদের গায়ে জ্বালা ধরছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরের লোকজনের সাথে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম ওরা কি ভাবছে। ক্লাসরুম থেকে স্প্রিংফেস্টের ওএটি, যেখানেই ভিড়-ঠেলাঠেলি, সেখানেই ওদেরকেই দায়ী বলে সাব্যস্ত করে চলছে কোরাসে খিস্তি। ব্র্যান্ড আইআইটির লোভে পড়ে ভর্তি হওয়ার খেসারৎ দিচ্ছে ওরা। আরো খারাপ লাগছে এটা দেখে, যে এসব দেখেও সেই মোহ কাটছে না, কোথাও কোনো কথা নেই এটা নিয়ে, যা কিছু বিরোধিতা, তা কেবল বেশী উৎপাদন করে ব্র্যান্ড আইআইটির দাম কমে যাওয়া নিয়েই! বাকিটা কোল্যাটারাল ড্যামেজ। আফটার অল, দিস ইজ অ্যান আইআইটি, ম্যান!

    (একটা ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখা দরকার, লেখাটা খাজা হয়েছে সেটা আমিও বুঝছি, একটু এদিক-ওদিক করে মডিফাই করার চেষ্টাও করলাম, কিন্তু পেটভরতি গ্লব্‌গ্লবে হিংসুটেপনাকে এর থেকে আর ভালোভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে নামাতে পারলাম না। আর, শুরুর ঐ "পরিকল্পনাহীন পরিকল্পনা', ওকথাটা আমার না, সি এন রাও, (সম্ভবত) প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা, তাঁর।)

    ফেব্রুয়ারী ৮, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ৭২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন