... মিল্কি ওয়ে -ওরাইয়ন স্পার - সোলার সিস্টেম - ইউরেনাস স্যাটার্ন জুপিটার মার্স ... আর্থ। এইখানেই নামার কথা। অরবিটে যাও।
আচ্ছা - ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা। ডানদিক করে - সুন্দরবন ডেল্টা - পেয়েছি। বিবেকানন্দপুর। গ্রাউন্ড জিরো।
প্রাইমারি ডেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে একটা যুগান্তর ঘটে যাবে।
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
ভূত আছে না নেই, এই নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনো ধন্দ রয়ে গেছে। আগে একসময় ধন্দ ছিল না, সবাই মোটামুটি শিওর ছিল ভূত হয়। এখন এমন একটা সময় আসছে যখন মানুষ শিওর থাকবে - মোটামুটি - যে ভূত হয় না। এর মাঝামাঝি সময় চলছে এখন। অনেকে বলে ভূত হয়, প্রমাণও দিতে চায়। যারা ভূত মানে না তারা বলে - হ্যাঁ, ওই তোমার পিসি বা মামার ভূত দেখার গল্পই শোনাতে পারবে, নিজে দেখেছ কোনোদিন? - নিজে-ভূত-দেখা লোক খুব কম।
আবার ভূত দেখা বা মানার সাথে কিন্তু ভূতে ভয় পাওয়ার সম্পর্ক খুব একটা নেই। এই দুটো পপুলেশন এক নয়। অনেক লোক ভূত মানে, কিন্তু ভয় পায় না। অগুনতি লোক ভূত হয় বলে মানেই না, কিন্তু ভূতের ভয় পায়। রাতে একা হরর মুভি দেখে না, দেখলেও তারপর অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে একা নামতে চায় না।
ভূতের গল্প ব্যাপারটাও আস্তে আস্তে কী লোপ পাচ্ছে? ভূতের গল্প - লেজেন্ডস - একটা খুব জরুরী জিনিস। এটা না থাকলে - ভূত আসল হোক বা না হোক - ভূতের অস্তিত্ব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ভগৎ সিংদের সেই কোর্টরুমে ইস্তাহার ছড়ানোর মতো; বিপ্লবীরা কারা, তারা কী করতে চায়, কাদের জন্যে করতে চায় - এই বার্তা জনতার কাছে না পৌঁছে দিলে যেমন বিপ্লব জোর পায় না, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূত নিয়ে লেজেন্ডস চালু না থাকলে, যদি সত্যিসত্যি ভূতেরা কিছু ভূতুড়ে কান্ড করেও - সেটা বিশেষ পাত্তা পাবে না। আর এই যুগে ভূত নিয়ে লেজেন্ডস চালু থাকা খুব কঠিন।
যার ফলে যেসব জায়গায় হয়তো ভূত সত্যিই আছে, সেখানেও তারা অনাবিষ্কৃত থেকে যাচ্ছে।
ইতিহাসের একধরনের উপাদান হয়, যারা কখনো ইতিহাস বইয়ের পাতায় স্থান পায় না। লিখিত, প্রমাণিত, রিসার্চড ইতিহাসের বাইরে, - মানুষের মুখে মুখে, গল্পে গল্পে, স্থানীয় কিংবদন্তী হয়ে তারা বেঁচে থাকে। নিজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত না থাকলে টের পাওয়া যায় না সেইসব গল্প আসলে কতটা সত্যি। স্কুলেকলেজে পড়ার সময়, যখন মানুষের অনুভূতির জানালা কিছু কিছু তখনও আধখোলা থেকে যায়, সেইসময় কেউ কেউ মাঝে মাঝে অদ্ভুত, ব্যাখ্যার অতীত কিছু কিছু জিনিসের সাক্ষী হয়। যেমন বিবেকানন্দপুর কলেজের এক নম্বর হস্টেলে একবার অনেক রাতে কয়েকজন ছেলে হয়েছিল।
এইটুকু টুকু কিস্তি হলে পড়তে কেমন যেন লাগে !
সন্ধেমুড়োর বারণ আছে।।