কালীপ্রসাদী হাঙ্গামা : কলকাতা কাঁপানো কেচ্ছা : দীপাঞ্জন ঘোষ
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | ১৯৫৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
বাঙালিরা, বিশেষ করে শহর কলকাতার উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত বাঙালি নিজেকে উদার এবং সহিষ্ণু বলে গর্ব অনুভব করে। সেটা খুব একটা মিথ্যেও নয়, কারণ অন্য জাতে বা ধর্মে বিয়ে করার মতো যেসব কান্ড ভারতের অন্যান্য জায়গায়, বিশেষ করে তথাকথিত গোবলয়ের মতো জায়গায় হলে গোলযোগের চূড়ান্ত হত, সেসবও কলকাতায় হামেশাই হয়ে থাকে। এই উদাতার অনেকটাই আসলে বাঙালি নবজাগরণের ফল, যার নেতৃত্বে ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং রাজা রামমোহন রায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা| স্বাধীনতা-উত্তর যুগেও বিশেষ করে ৩৪ বছরের নাস্তিক, কমিউনিস্ট শাসনও রাজনীতিতে জাত-পাত যাতে না ঢোকে তার শক্তপোক্ত বন্দোবস্তো করেছিল। কিন্তু, বলাবাহুল্য, অবস্থা চিরকালই এমন ছিল না| উনবিংশ শতকের শুরুতে, কলকাতা যখন টানা পশ্চিমী প্রভাবের আওতায়, তখনও, হিন্দু সমাজ, এমনকি কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ও ছিল ভয়ংকরভাবে রক্ষণশীল। আর এই সময়েই ঘটেছিল শহরের বৃহত্তম কেচ্ছাটি। কালীপ্রসাদী হাঙ্গামা নামে কুখ্যাত এই কেলেঙ্কারিটির জল গড়িয়ে গিয়েছিল বহুদূর। এতে জড়িয়ে গিয়েছিল শহরের অনেক নামীদামী পরিবার, জল গড়িয়েছিল নানা ধর্মের উপাসনাস্থলে, যার মধ্যে কলকাতার বিখ্যাত হিন্দু মন্দির কালিঘাটও ছিল|
পবিত্রতার খোঁজে : দীপাঞ্জন ব্যানার্জি
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ৩০ মে ২০১০ | ১২৬৫ বার পঠিত
নাইন লাইভস এ সাধারণ মানুষের এই ধুলোকাদা মাখা গল্পগুলোর মধ্যেই ফুটে ওঠে লেখকের এক প্রচ্ছন্ন হতাশা। সেই কিশোরী বারাঙ্গনার দুই মেয়েই আজ এইডস রোগে আক্রান্ত। আজকের এই শহুরে বাজার-সর্বস্ব জমানায় যে হাজার হাজার গ্রামের মানুষ এসে ভিড় করছেন শহরে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানির ব্যবসার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবে ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বহু মানুষ, যা একদিকে করুণ আবার হয়ত অন্যদিকে অবশ্যম্ভাবী, তাতে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে এই সনাতন, প্রাচীন, উপমহাদেশ।
দিল্লির কৃষক আন্দোলন - বাঁচতে গেলে লড়তে হবে : দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য
বুলবুলভাজা | আলোচনা : রাজনীতি | ৩০ জানুয়ারি ২০২১ | ৩৩৫২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৬
যদি কৃষকরা লাল কেল্লার ঐতিহাসিক কাঠামোর কোনও অংশ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লা থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করতেন, যদি লাল কেল্লাতে ঢুকে জাতীয় পতাকার উপরে অন্য কোনও পতাকা ওড়ানোর চেষ্টা করতেন, তাহলে অবশ্যই কৃষকরা ভারতের সংবিধানের উপরে আঘাত করেছেন বলা যেত, এবং কৃষক আন্দোলন যাঁরা করছেন তাঁদের এই ব্যাপারে দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন আসত।
পঁচাত্তর বছরের বীক্ষণ : দীপাঞ্জন
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৩৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ২
সংকলনটি দেশভাগের অব্যবহিত পরবর্তীকালে জন্ম নেওয়া ছিন্নমূল প্রজন্মের নতুন দেশে বেড়ে ওঠার নতুন জনপদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এক জরুরী প্রয়াস। বইয়ের প্রচ্ছদে যেন দেখি - কালো বাংলা অক্ষরমালারা কাছাকাছি আসতে আসতে ধেবড়ে গেছে, তাদের গা বেয়ে গড়াচ্ছে রক্তের দাগ, সেই রক্ত আবার কালচে জমাট বেঁধে জন্ম নিয়েছে মানুষদের আবছা অবয়ব। বইয়ের ভূমিকাতেও সোমনাথ রায়ের মনে পড়েছে তার কলকাতার বাড়ির পাশের খলিসাকোটা কলোনির মানুষদের কথা, যারা বরিশালের খলিসাকোটা গ্রাম থেকে চলে এলেও নিজেদের গণস্মৃতি এবং গণশোক ছিন্ন হতে দেননি এবং কলোনির নামের মধ্যে দিয়ে নিজেদের গ্রামকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
এই ঘুম শারীরবৃত্তীয় : দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৩
এগারোটার সময় মৌলিকের অফিসের শেষ ডিনার পাওয়া যায়। তারপর শুধু এককোণে কফি, কেক, স্যান্ডউইচ ইত্যাদির কাউন্টারে একজন বসে বাকি রাত ঝিমোয় আর খুচরো প্যাকেটের চানাচুর, মধু মেশানো ওট বার উগরে দেওয়া ভেন্ডিং যন্ত্রগুলোতে সারারাত কাঁচের ভেতর নীল আলো জ্বলে থাকে। কিউ আর স্ক্যান করে টাকা দিলেই প্যাঁচানো স্প্রিং ধাক্কা মেরে কাঙ্খিত প্যাকেটকে নীচে ফেলে দেয়।
রাতে কাজ করা বাধ্যতামূলক নয় অথচ রাতে একজন থাকলে ভালো হয়, সমুদ্রের ওপার থেকে বারো ঘণ্টা এগিয়ে থাকা দেশ থেকে ভেসে আসা এমনই অনুরোধ। এই শিফটে কেউ রাজি হলে প্রতি রাতে অতিরিক্ত টাকা, বিনামূল্যে খাবার এবং যাওয়া আসার গাড়ি পাওয়া যায়। রাত দশটা থেকে ভোর ছটা এই শিফটটাকে দিনের বেলা অফিসের বাকি সবাই বলে গোরস্থানের সময়।
নিজস্ব আলোছায়ার সংকলন : দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়
বুলবুলভাজা | পড়াবই : প্রথম পাঠ | ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ৫৭৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫
জোহানেস ভার্মিয়েরের আঁকা, হ্যান্স এন্ডারসনের ছোট জলকন্যার গল্প, নরওয়ের দেবতা জেন্ডার ফ্লুইড লোকি, একানড়ে সব মিলেমিশে যায় এই দুনিয়ায়। সেখানে আলোর অন্যরকম রং। কথা বলা খরগোশ, ভেড়ার ছানা, জ্ঞানের পেঁচা লেখককে সেই দুনিয়ার দরজার সন্ধান দেয়। সেখানে লেখক 'রাইড দ্য ওয়াইল্ড হর্স' ধ্যানের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন যেখানে প্রতিটি অনুভূতি একেকটা উদ্দাম বুনো ঘোড়ার মত। অভিযোগ একটিই, বইটি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়।